Category: Uncategorized

  • তানোরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী

    তানোরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিন প্রদর্শনী মেলা শেষে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ী খামারিদের মাঝে পুরস্কার স্বরূপ নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
    জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার
    সকালে তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা উদ্বোধন করা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
    (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন-তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন ও প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী প্রমুখ।উপজেলা
    প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুল আলম সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সফল খামারি সেকেন্দার আলী। এতে সার্বিক সহযোগী করেন তানোর প্রাণিসম্পদ অফিসের মাঠসহকারী মামুনুর রশিদ।
    এদিন প্রদর্শনীতে ৩০টি স্টলে সফল উদ্যোক্তা ও খামারিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ী সফল খামারিদের মাঝে পুরস্কারের নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।#

  • ধরা পড়ার পরও ১২ বছর ধরে জাল এনটিআরসিএ সনদে চাকরী এক স্কুল শিক্ষিকার

    ধরা পড়ার পরও ১২ বছর ধরে জাল এনটিআরসিএ সনদে চাকরী এক স্কুল শিক্ষিকার

    আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ধরা পড়ার পরও জাল সনদে চাকরী করার অভিযোগ উঠেছে গুলশান আরা খাতুন নামে এক স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তিনি ১২ বছর ধরে হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাহাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা লাল মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এ ক্ষেত্রে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাসহ সংশ্লিষ্টরা এই অপকর্মের সহায়ত করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। গুলশান আরা খাতুন হরিনাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত আমজাদ আলী বিশ্বাসের মেয়ে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, গুলশান আরা খাতুন গত ২৩ জুলাই ২০১১ সালে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে ঘোড়াগাছা লাল মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক নজির উদ্দীন আহমেদের যোগসাজসে সহকারী শিক্ষিকা পদে যোগদান করেন। ২০১২ সালের ১ নভেম্বর তিনি এমপিও ভুক্ত হন। জাল নিবন্ধন সনদের বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যাচাই-বাছাই করে ভুয়া বলে প্রমানিত হয়। এক চিঠিতে তাকে সরকারি বেতন ভাতা চালানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার কথা বলা হয়। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে তিনি চাকরী করে যান। ২০১৬ সালে মন্ত্রনায়ের নিয়মিত অডিটে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে চাপ প্রয়োগ করে এই মর্মে অডিট রিপোর্ট প্রেরণ করে তাতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষিকা গ্রহনকৃত ৩ মাসের বেতন ভাতাদি সরকারী কোষাগারে জমা করেছেন এবং বর্তমানে তিনি উক্ত স্কুলে কর্মরত নাই। এদিকে সর্বশেষ মন্ত্রনায়লের অডিট রিপোর্ট পর্যালচনা করে দেখা যায় তাতে সহকারী শিক্ষিকা গুলশান আরা খাতুনের নাম নেই। অথচ তিনি এখনো বহাল তবিয়তে চাকরী করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে স্কুলটির বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা শিল্পী খাতুন জানান, তৎকালীন স্কুল কমিটির সভাপতি মশিয়ার রহমান জোয়ার্দার মানবিক দিক বিবেচনা করে পুনরায় নিয়োগ দেন। কিন্তু সেটি ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ। এর বাইরে প্রধান শিক্ষিকা কিছু বলতে রাজি হননি। নিয়োগে না পেয়েই জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারী বেতনভাতা গ্রহনের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাগজ সব ঠিক আছে। বেশি কিছু জানতে চাইলে সে সময়কার সভাপতি মশিয়ার জোর্য়াদের কাছে জানেন। আমি কিছু বলতে পারবো না। এ বিষয়ে স্কুলটির সাবেক সভাপতি মশিয়ার রহমান জোয়ারদার জানান, আমার সময়ে আমি কোন বেআইনি কাজ করিনি। আমি জানি কোনটা নিয়ম, আর কোনটা অনিয়ম। আমার মনে হয় নিয়ম মেনেই সহকারী শিক্ষিকা গুলশান আরাকে নিয়োগ দিয়েছি। এ বিষয়ে স্কুলটির বর্তমান সভাপতি ও কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু জানান, যদি কোন অনিয়ম থেকে থাকে তাহলে আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন শিক্ষা অফিসে গিয়ে বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে পুনরায় নিয়োগ না হলে যদি তিনি চাকরীতে বহাল থাকেন, তাহলে বিষয়টি অবশ্যই কঠোর হাতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন, এখন তো অনলাইনের যুগ। জাল এনটিআরসিএ সনদ দিয়ে চাকরী করার কোন সুযোগ নেই।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমন।।

  • ২৯৮আসনে প্রতীক পেলেন যারা, প্রচারণা শুরু

    ২৯৮আসনে প্রতীক পেলেন যারা, প্রচারণা শুরু

    (রিপন ওঝা,খাগড়াছড়ি)

    খাগড়াছড়ি ২৯৮ সংসদীয় আসনে আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে বৈধ প্রার্থীগণ আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্ধ পেয়েছেন।

    জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান সকল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধের বিষয়টি প্রকাশ করেন।

    নির্বাচন কালীন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান নিকট হতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি “নৌকা” প্রতীক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা “লাঙ্গল” তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী সাবেক গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা সোনালি “আঁশ” ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মোঃ মোস্তফা “আম” প্রতীক গ্রহণ করেন।

    প্রতীক বরাদ্ধের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা সকল প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান। নির্বাচনী আইন শৃঙ্খলা নিয়ম কানুন মেনেই আগামীকাল হতে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি জেলায়ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৯৮ সংসদীয় আসনের এমপি পদপ্রার্থীগণ প্রচারণার কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।

    আগামী ৭জানুয়ারি২০২৪ সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। খাগড়াছড়ি জেলার সংসদীয় আসনে মোট ভোটার রয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পুরুষ ভোটারঃ ২,৬২,০৬১জন, মহিলা ভোটারঃ ২,৫৩,২৮৫ জন, মোট ভোটারঃ ৫,১৫,৩৪৬ জন।

    উল্লেখ যে, খাগড়াছড়ি ২৯৮সংসদীয় আসনে ৭জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা ও কংগ্রেস পাটির প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন বাতিল হয়। অপরদিকে জাকের পার্টির মোঃ হোসেন মনোয়নপত্র কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে প্রত্যাহার করেন।

    এসময়ে নৌকার প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, গনতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে চলমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে মাননীয় সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকার মাঝি হিসেবে বাছাই করেছেন। তাই জেলা আওয়ামী লীগ ও সকল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকার জয়লাভে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সভাপতি মাননীয় দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল আহ্বান জানাচ্ছি। তাই খাগড়াছড়ি জেলার সকল উপজেলার সকল ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের সকল গ্রামের আপামর জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ভোগ করছে, কৃষকের মাঝে কৃষি ভূর্তকি গ্রহণ করছে, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করছে, সড়ক ও জনপথের উন্নয়ন ভোগ করছে, বছরে নতুন বই পাওয়ার আনন্দ উপভোগ করছে, সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে, গরীব অসহায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মাথাগোজার ঠাই বাসস্থান বা ঘর পেয়েছে, বয়স্কভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, উপবৃত্তি যারাই পেয়েছেন বিশ্বাস করি সেই জনগণ ভোটকেন্দ্রে এসে নৌকার প্রতি অটুট সমর্থন রাখবে।

  • বানারীপাড়া চাখারে ডিবি পুলিশের বিশেষ অ*ভিযানে ১৬৫ পিস ই*য়াবাসহ আটক দুই

    বানারীপাড়া চাখারে ডিবি পুলিশের বিশেষ অ*ভিযানে ১৬৫ পিস ই*য়াবাসহ আটক দুই

    সুমন খান:

    বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের সোনাহার গ্রাম থেকে বরিশাল ডিবি পুলিশের একটি টিম ১৬৫ পিচ ইয়াবাসহ সামসুল হক মোল্লা(৩০) ও রমজান হাওলাদার(২৬) নামের দুই মাদক ব্যাবসায়িকে আটক করে।

    আটককৃত আসামি মৃত আতাহার মোল্লার পুত্র সামসুল হক পাশ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের আশোয়ার গ্রামের এবং মৃত মোজাম্মেলের পুত্র রমজান হাওলাদারের বাড়ি চাখার ইউনিয়নের বলহার গ্রামে।

    থানা সূত্রে জানা গেছে, ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে নয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাখার ইউনিয়নের সোনাহার গ্রামের আলমগীর সিকদারের দোকান সংলগ্ন থেকে এদের কে ইয়াবা টেবলেট সহ গ্রেফতার করে বানারীপাড়া থানায় হস্তান্তর করেন।পরে এদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার সকালে বরিশাল জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

  • ধামইরহাটে প্র-তিপক্ষের হা*মলায় গৃহবধু জ*খম

    ধামইরহাটে প্র-তিপক্ষের হা*মলায় গৃহবধু জ*খম

    ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
    নওগাঁর ধামইরহাটে প্রতিপক্ষ কর্তৃক গৃহবধুকে মারপিটে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জখমী গৃহবধু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    ধামইরহাট থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উমার ইউনিয়নের চকমহেশ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মুকুল হোসেনের সাথে প্রতিবেশী এনামুল হক গংদের জমি জমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল, যার বিষয়ে পরবর্তীতে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরই জেরধরে ২১ নভেম্বর সকাল ৮ টার দিকে প্রতিপক্ষ মৃত জফির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক, তোফাজ্জল হোসেন ও রুবি বেগম গৃহকর্তা মুকুল হোসেনের স্ত্রী মোসাঃ ছকিনা বেগম (৪৫) কে বাড়ীতে একা পেয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং বেধড়ক মারপিটে ছকিনা বেগমের মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় অতি আক্রোশবশতঃ হয়ে প্রতিপক্ষ তোফাজ্জল হোসেন গৃহবধু ছকিনা বেগমের গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে বলেও বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন। ঘটনা জানতে পেরে জমির মাঠ থেকে দ্রুত বাড়ীতে এসে স্বামী মুকুল হোসেন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়, জখমীর মাথায় একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে এবং হাসপাতালে অতিরিক্ত ৯নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে অভিযুক্ত এনামুল হকের সাথে ০১৭৪২-৮৪১৯২০ নম্বরে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলে অপর অভিযুক্ত রুবি বেগম ফোন এনামুল হকের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে বলেন, ‘মারামারি হয়নি, তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে এবং সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া যাবেনা বলে ফোন রেখে দেন।’ এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছকিনা বেগম বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    ধামইরহাট থানার ওসি মো. বাহাউদ্দীন ফারুকী বিপিএম,পিপিএম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আবুল বয়ান
    ধামইরহাট, নওগাঁ।

  • র‌্যাব-১২’র অভিযানে ৫৭৫ গ্রাম হেরোইনসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রে*ফতার

    র‌্যাব-১২’র অভিযানে ৫৭৫ গ্রাম হেরোইনসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রে*ফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় ১৫ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ রাত ০২.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১২’র সদর কোম্পানির একটি চৌকষ আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন রামারচর মোড়স্থ নিউ রুপালী খাবার হোটেলের সামনে রাজশাহী টু ঢাকা মহাসড়কে” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫৭৫ গ্রাম হেরোইনসহ ০১ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তার সাথে থাকা মাদকদ্রব্য হেরোইন ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ও নগদ ৮,০০০ টাকা জব্দ করা হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ জাকারিয়া (৩৮), পিতা-মোঃ এনামুল হক, সাং-ছাবানিয়া, থানা -চাঁপাইনবাগঞ্জ সদর, জেলা- চাঁপাইনবাগঞ্জ ।

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ লোক চক্ষুর আড়ালে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য হেরোইন ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    ৪। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

    মোহাম্মদ ইলিয়াস খান

    স্কোয়াড্রন লীডার

    কোম্পানি কমান্ডার

    র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি, সিরাজগঞ্জ।

    ফোন-০১৭৭৭৭১১২৫৮

  • কালকিনিতে আ.লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ

    কালকিনিতে আ.লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ

    মোঃ মোঃ মিজানুর রহমান,কালকিনি ডাসার প্রতিনিধিঃ
    মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    আজ শনিবার বিকেলে কালকিনি উপজেলা অডিটোরিয়াম মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    কালকিনি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও মহিলা আসনের সংরক্ষিত এম.পি অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীনের সার্বিক পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মীর মামুন অর রশীদ, কালকিনি পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশ্রাব আলী বেপারী, সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার,ডাসার উপজেলা আ.লীগের সদস্য সচিব কাজী মাহমুদুল হাসান দোদুল সহ কালকিনি ও ডাসার উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    উক্ত সমাবেশে পৌরসভা সহ কালকিনি ও ডাসার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আ.লীগ,বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এবং সাবেক চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনের পরিবর্তন দাবি করে মিছিল নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো অডিটোরিয়াম মাঠ পরিপূর্ণ হয়।
    সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর কথায় সুর-মিলিয়ে বলেন, খেলা হবে,খেলা হবে, এবার খেলা হবে। কালকিনি ও ডাসারের জনগণ পরিবর্তন চায়। এ বার খেলা হবে।

  • আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আবারও আমাকে মনোনয়ন দিবেন-উপমন্ত্রী হবিবুন নাহার

    আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আবারও আমাকে মনোনয়ন দিবেন-উপমন্ত্রী হবিবুন নাহার

    মোংলা প্রতিনিধি
    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, কোন অন্যায়-অপকর্ম করিনি, আর কেউকে এসব করার প্রশয়ও দিইনি। তাই প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও নৌকার মনোনয়ন দিবেন। জনগণ ভোট দিয়ে তাকে আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করবেন। বিগত দিনে এই মোংলা-রামপালে দায়িত্ব পালনকালে মোংলা বন্দর, ইপিজেড ও এ এলাকার রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বেড়েছে কর্মসংস্থানও।

    আগামী ১৩ নভেম্বর খুলনায় অনুষ্ঠিতব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে সকলকে আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোংলা বন্দর, পদ্মা সেতুসহ দক্ষিণাঞ্চলের যে উন্নয়ন করেছেন তা কোন সরকারের আমলে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে চতুর্থবারের মতো আবারও নির্বাচিত করে উন্নয়নের সেই প্রতিদান দিতে হবে।

    মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রমেদ্র নাথ কির্তনিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শেখ আব্দুস সালাম, সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কবির উদ্দিন, সুন্দরবন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি মেম্বর খাঁন আহাদুজ্জামানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

    এ সমাবেশে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি মেম্বর খাঁন আহাদুজ্জামানের নেতৃত্ব কয়েক হাজার নারী-পুরুষ কর্মীরা মিছিল নিয়ে এলে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তাকে স্বাগত জানান।

  • আদিতমারী ওসির জন্য অপরাধ করতে ভয় পায় অপরাধীরা

    আদিতমারী ওসির জন্য অপরাধ করতে ভয় পায় অপরাধীরা

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।
    লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার (ওসি) মোজাম্মেল হক,যোগদানের পর থেকে অপরাধ করতে ভয় পায় অপরাধীরা বিধায় খুবই শান্তিতে আছে আদিতমারীর সাধারন মানুষ। ওসি মোজাম্মেল হক, এর চৌকস বুদ্ধিতে আদিতমারী উপজেলার মানুষ খুবই শান্তিতে আছে। মাঝে মাঝে কিছু অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটলেও তার উপস্থিত বুদ্ধিতে সমাধান হচ্ছে।তার কারনে অপরাধিরাও অপরাধ করতে ভয় পায়। আদিতমারী থানার একঝাঁক তরুন পুলিশ সদস্য দিনরাত পরিশ্রম করছে।ডিউটি তাদের দ্বায়িত্ব আর দ্বায়িত্ব পালোন করতে গিয়ে ডিউটি করে ১৮ ঘন্টার উপরে মোটা কাপড় ও ভারি বুট পড়ে। আদিতমারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে পুলিশ সদস্যরা টহল দিয়ে সকল ধরনের অপরাধ মাদকাসক্ত, জুয়া, চুরি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী সহ অপরাধ দমনে পেশাদ্বারিত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে থানার (ওসি) মোজাম্মেল হক, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম, এসআই জনাব গোকুল চন্দ্র বর্মন, এসআই জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম, এএসআই তপন কুমার রায়, এএসআই মিজানুর রহমান,সহ থানার সকল পুলিশ সদস্য বৃন্দ।

    আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক,এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি পেশাদ্বারিত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমার থানার পুলিশ সদস্য দের নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টায় সফলতা অর্জন করেছি, পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।আমার এই সাফল্যর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি পুলিশ সুপার সহ যারা আমার কাজে সহযোগীতা করেছেন। তিনি পরিশেষে আরো বলেন আদিতমারী উপজেলাকে মাদক মুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোজাম্মেল হক, গত ২২শে ফ্রেবুয়ারী/ ২৩ ইং যোগদান করেন। তিনি ছাত্রজীবনেও ফুটবল, ক্রিকেট এর ক্যাপ্টেন পদে থেকে দল পরিচালনা করেছেন।

    মো.হাসমত উল্ল্যাহ ।

  • MTFE সিইও শিবির নেতা আবু সালেক দম্পতির প্রতারনায় নিঃসম্বল পাচঁশত পরিবার

    MTFE সিইও শিবির নেতা আবু সালেক দম্পতির প্রতারনায় নিঃসম্বল পাচঁশত পরিবার

    বিশেষ প্রতিবেদন। পর্ব ৫।।
    বানারীপাড়ায় MTFE এর সিইও দম্পতি আকরাম ও লামিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের মাষ্টার প্লানে নিঃসম্বল হয়েছে প্রায় পাচঁশত পরিবার । অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে বানারীপাড়ায় একমাত্র MTFE এর সিইও দম্পতি আকরাম হোসেন ওরফে আবু সালেক ও তার স্ত্রী লামিয়া আক্তার মিম। আবু সালেক ওরফে আকরাম তার বাড়ি বানারীপাড়ার ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। সোজাকথায় বানারীপাড়া বন্দর হাইস্কুল মাঠের দক্ষিন ও পশ্চিম কর্নারে অবস্থিত তার বাড়ি যেখানে রয়েছে তাদের পরিবারের তিনটি আলিশান বাড়ি যার মধ্যে দুটি চার তলা একটি একতলা বিল্ডিং এছাড়াও বাড়ির সামনে রয়েছে মার্কেট যার মধ্যে একটি তারা নতুন তুলেছেন। খবর নিয়ে জানাযায় আবু সালেক ওরফে আকরাম তিনি শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত তিনি বানারীপাড়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের শিবিরের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি শিবির করার বদৌলতে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল চাকুরী পান। তিনি বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল বরিশাল পুরাতন কয়লাঘাট শাখার রিসিপশনে নিয়োজিত আছেন।

    অভিযোগসুত্রে জানাগেছে তিনি শিবির নেতা আব্দুর রহমানের সাথে শিবির করার সুত্রে ডেসটিনিও করেছেন। যেখানে তিনি শত পরিবারের সাথে করেছিলেন প্রতারনা। এবার MTFE এর মালিক পক্ষ হাফেজ আব্দুর রহমানের বাম হাতের মধ্য দিয়ে আবু সালেক শুরু করেন MTFE প্রতারনা। আবুল সালেক বা আকরাম বানারীপাড়ায় নামিদামি সিইও এর মধ্যে একজন যে কিনা তার স্ত্রী লামিয়া আক্তার মিমকেও বানিয়ে ছিলেন সিইও। অর্থাৎ বানারীপাড়ায় একমাত্র দম্পতি সিইও বলতে ছিলেন আকরাম ও মিম। মূলত তিনি নিজের স্ত্রীকে দিয়ে MTFE এর নারী সদস্য সংগ্রহে ব্যবহার করতেন ,আর এভাবেই তিনি লামিয়াকে বানিয়েছিলেন MTFE এর সিইও । এর থেকে প্রায় আড়াইশত নারী প্রতারিত হয়েছেন ও সালেকে হাতে প্রতারিত হয়েছেন প্রায় তিনশত পরিবারের পুরুষ। আবু সালেক বা আকরাম MTFE এর নিজের সেমিনার হলে সেটি তিনি নিজের বাড়ির ছাদে আয়োজন করতেন আর তার স্ত্রীর সেমিনার হলে বানারীপাড়ার লারিসা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করাতেন। এছাড়াও চাকরির সুবাদে তিনি বরিশালেও গড়েছিলেন ব্যপক বিনিয়োগকারী তাই সালেক বা মিমের বড় সেমিনার হলে আয়োজন করতেন বরিশালের বড় বড় চাইনিজে । স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই সিইও হওয়ায় তারা দুজনে MTFE থেকে বেতন পেতেন ৭০০ ডলার করে ১৪০০ ডলার এছাড়ার তাদের দুজনের দুজন এসিটেন্ড ছিলো যাদের MTFE বেতন দিত বাংলা টাকার প্রায় ৪০হাজার টাকা মত । সম্ভবত তদের এসিটেন্ডের নাম ছিলো রাজু তবে তার স্ত্রী লামিয়ার এসিটেন্ডের নাম পাওয়া যায়নি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিনিয়োগকারী জানান, প্রোফিট ও কমিশন মিলিয়ে হাজার ডলারের উপরে প্রতিদিন ইনকাম ছিলো তাদের। এছাড়া বেতন ,সেমিনার ফি ও অফিস ভাড়া ছিলো আলাদা। তিনি আরও জানান ছালেকের ছিলো ডলারের অবৈধ ব্যবসা। তিনি ডলার কিনতেন ও ডলার বিক্রি করতেন। যা তিনি বাইন্যান্সের মাধ্যমে করতেন।

    আবু সালেকের প্রতারনার মূল চাবী ছিলো ধর্ম । তিনি ধর্মকে অপব্যবহার করে MTFE প্রতারনার ফাদঁ পাততেন বা সদস্য সংগ্রহ করতেন। তিনি সর্বদাই সেমিনারে নামাজের উদ্ধৃতি দিতেন। এছাড়াও সেমিনারে ছালেক বলতেন MTFE একটি মাষ্টার প্লান নিয়ে এগোচ্ছে। MTFE দশ বছরের মাষ্টার প্লানে তাদের বিজনেসটি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিবেন। ছালেক আরও বলতেন MTFE একটি চ্যারাটি ফার্ম এটি সমাজ উন্নয়নে কাজ করে। শ্রীলঙ্কা যে দুরাবস্তার মধ্যে পরেছে MTFE তাদের ঘুরিয়ে দাড় করিয়েছে। এছাড়াও তিনি MTFE এর কমিশন খাওয়া দালালির পক্ষে উদ্ধৃতি বলতেন ওরা অর্থাৎ MTFE যদি থাকে তাহলে MTFE এর লাভ অর্থাৎ MTFE যাবেনা। তিনি MTFE নিয়ে উদাহরন টেনে বলতেন MTFE একটি সোনার ডিম পাড়া হাঁস, যদি ওরে জবাই দিয়া খাইলাম তাহলে একদিনে শেষ আর যদি বাইচা থাকে তাহলে প্রতিদিন খাবো। যেহেতু ওদের লাভ তাই ওরা যাবেনা দশ বছর থাকবে। এছাড়াও তিনি বলেছেন MTFE এর মাষ্টার প্লানে আমাদের উন্নয়নে ও আমাদের সমাজ উন্নয়নে MTFE এর একশত স্কুল প্রতিষ্ঠা করবে আগামী দশ বছরে এর মধ্যে আমাদের অর্থাৎ MTFE এর পাচঁটি স্কুল বাজেটে রয়েছে যার মধ্যে এক একটি স্কুলের বাজেট সাড়ে আট কোটি থেকে প্রায় নয় কোটি টাকা বাজেট এই বিগ এমাউন্টের ধারনা দিয়ে তিনি MTFE তে বিনিয়োগ করাতেন বা প্রতারনা করতেন । এছাড়াও তিনি MTFE কে নিজের বলে দাবি করে বলতেন তাদের বাজেট আছে ও MTFE যাবেনা।

    এদিকে এক বিনিয়োগকারী জানান MTFE পালানোর পর আর আবু ছালেক বা আকরামকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা এছাড়াও তিনি ফোন নাম্বার বন্ধ রেখেছেন। তবে খোজ নিয়ে জানাগেছে তিনি তার শশুর বাড়ি সম্ভবত মেহেন্দিগঞ্জে গাঁঢাকা দিয়েছেন। তবে তিনি নিয়মিত অফিস করছেন। এছাড়াও লোকমুখে শোনাযাচ্ছে তিনি বরিশালে MTFE এর টাকায় জমি ও ফ্লাট কিনেছেন ।

    তবে ফ্লাট ও বাড়ির বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি কারন তার ব্যক্তিগত এই 01636-204244 নম্বরটি বন্ধ ছিলো।

    এদিকে বানারীপাড়া সচেতন মহলের দাবী আবু ছালেক বা আকরামের সমাজ উন্নয়ন,আমাদের উন্নয়ন ,স্কুল করা বা মাষ্টার প্লান সবকিছুই যে ছিলো তার মাষ্টার প্লানের প্রতারনা সেটি জনগন বুঝতে পারেনি তাই আবু সালেক বা আকরাম’কে অতিসত্বর গেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক ।এছাড়াও তিনি ছিলেন হাফেজ আব্দুর রহমানে সহযোগী তাই আবু সালেক’কে গ্রেফতার করলে সকল বিড়াল বেরিয়ে আসবে। তবে ছালেক যেন বরিশাল থেকে পালাতে না পারেন সে ব্যবস্থা যেন প্রশাসন করে।

    বিঃদ্রঃ পরবর্তীতে সিইও আবু সালেকের ভিডিও প্রতিবেদন নিয়ে আসছি….