আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের
অর্থনীতি প্রায় সম্পুর্ণ কৃষি নির্ভর। তবে নির্বিচারে ফসলি জমি নষ্টের কারণে খাদ্য উদ্বৃত্ত বরেন্দ্র অঞ্চলে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাবশালী ভুমিগ্রাসী চক্রের কৌশলের কাছে পরাস্থ হয়ে কৃষি জমির মালিকেরা অনেকটা বাধ্য হয়ে তাদের আবাদি
জমিতে পুকুর খনন করতে দিচ্ছে।এছাড়াও কল-কারখানা ও বাড়িঘর নির্মানে নস্ট হচ্ছে একেরর পর একর তিন ফসলী জমি। প্রভাবশালীরা প্রথমে বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মধ্যে অল্প জমি বাছাই করে সেখানে কৌশলে পুকুর করা শুরু করে। এর পর ওই পুকুরের কারণে পাশের
জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন ওই সব জমির মালিকেরা ফসল উৎপাদনে লোকশানে পড়ে।এতে তারা তাদের আবাদি জমি
প্রভাবশালী ওই পুকুর খননকারীকে লীজ দিয়ে দিতে বাধ্য হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুকুর খননকারী বলেন, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকসহ সকলকে ম্যানেজ করতে বিঘাপ্রতি ৩০ হাজার টাকা খরচ করলেই অনায়াসে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা যায়। তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি) জুড়ানপুর, রাতৈল, হাড়দহ,বেড়লপাড়া,তানোর পৌর এলাকার মাসিন্দা,কামারগাঁ ইউপির হাতিশাইল, শ্রীখন্ডা, নেজামপুর প্রভৃতি এলাকায় বিএমডিএ’র গভীর নলকুপের স্কীমভুক্ত শত শত একর ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। অথচ এসব জমি এখানো কৃষি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তারা সরকারকে কৃষি জমির খাজনা পরিশোধ করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। কারণ পৌর এলাকায় পুকুরের বার্ষিক খাজনা ৫০ টাকা শতক, পৌরসভার বাইরে ৪০ টাকা শতক এবং কৃষি ও পতিত জমি ২ টাকা শতক। সেই হিসেবে ৩৩ শতক বা এক বিঘা আয়তনের একটি পুকুরের
খাজনা বছরে এক হাজার ৩২০ টাকা।কিন্ত্ত
কৃষি জমি দেখিয়ে এক বিঘা আয়তনের পুকুরে তারা খাজনা দিচ্ছে দু’টাকা শতক হিসেবে মাত্র ৬৪ টাকা। অর্থাৎ প্রতি শতকে ৩৮ টাকা করে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে ফসলি জমিতে এসব পুকুর খনন করায় বিএমডিএর অনেক গভীর নলকুপ অকেজো হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্লাইস্টোসিন যুগের উচ্চভূমিকে বরেন্দ্রভূমি বলা হয়। পদ্মা, মহানন্দা, পুনর্ভবা, আত্রাই, বারনই ও করতোয়া নদীর অববাহিকায় এই উচ্চভূমির সৃষ্টি, যা বারিন্দ নামেও একসময় পরিচিত ছিল। এই উচ্চভূমি প্রাচীন গৌড় রাজ্যের অংশ ও এককালে রাজধানীও ছিল। রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পশ্চিমাংশের ৯ হাজার ৩২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বরেন্দ্রভূমি। প্রাচীন এই ভূমির আরেকটি অংশ পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, যা রাঢ় অঞ্চল নামে পরিচিত। এককালে মৌসুমী বৃষ্টিই ছিল এই ভূমির কৃষকের ফসল উৎপাদনের একমাত্র অবলম্বন। কালের পরিক্রমায় তপ্ত-উত্তপ্ত বরেন্দ্রভূমি এখন দেশের অন্যতম শস্যভাণ্ডার। সারা বছরই ধানসহ নানা ধরনের ফসল ফলছে এই ভূমিতে। তবে, ইদানিংকালে আশঙ্কাজনকভাবে কমছে এখানকার ফসলি জমি। কৃষিবিদরা যদিও বলছেন, কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণ ছাড়াও কৃষকরা এখন লাভজনক কৃষিপণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে। ধানের জমি উজাড় করে তৈরি হচ্ছে আমসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। তিন ফসলি জমি কেটে খনন করা হচ্ছে পুকুর। এভাবে গত চার দশকে বরেন্দ্রভূমির প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ২৮০ হেক্টর ফসলি জমি কমে গেছে। ফলে বছর বছর কমছে ধানের উৎপাদন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অঞ্চলের তথ্যানুযায়ী, শুধু বরেন্দ্রভূমির রাজশাহী অঞ্চলের চার জেলা-রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে গত এক দশকে ৯০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি কমেছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের ধানের জমিতে গড়ে উঠছে বসতভিটা, ইটভাট, ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা, সবজিখেত, পুকুর ও আমসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। যে কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। কৃষকরা বলছেন ফসলি জমি রক্ষায় আইন থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এদিকে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্পের সাম্প্রতিক এক জরিপের তথ্যানুযায়ী অপরিকল্পিত আবাসন, শিল্প-কারখানা, সড়ক নির্মাণসহ নানা স্থাপনা নির্মাণের কারণে বরেন্দ্রভূমিতে প্রতিদিন কমছে ২২০ হেক্টর করে কৃষিজমি। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ মাত্র ১৪ শতাংশ। এভাবে কৃষিজমি কমতে থাকলে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জমির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। এর আগে ১৯৭২ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল এক একর ৩৫ শতাংশ করে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা অববাহিকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তিন দশক ধরে চলছে নদীভাঙন। এ ভাঙনে উদ্বাস্ত হয়ে প্রতিবছরই বহু মানুষ বরেন্দ্রভূমির ফসলি জমিতে গিয়ে বসতি গড়ছে। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল থেকে প্রতিবছরই শত শত উদ্বাস্তু মানুষের অভিবাসন ঘটছে বরেন্দ্রভূমিতে। এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা ও গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা, নাচোল, নেজামপুর, গোমস্তাপুর, নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর এলাকায় গত কয়েক বছরে শত শত ভাঙন কবলিত মানুষরা গিয়ে বাড়িঘর বসতভিটা করেছে। এসব কারণেও বছর বছর কমছে ফসলি জমি। আশঙ্কাজনকভাবে ফসলি জমি উজাড় হওয়া প্রসঙ্গে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, কৃষিজমি ধ্বংস করে বসতি গড়ে ওঠা ছাড়াও পুকুর খনন ও ইটভাটা গড়ে তোলা হচ্ছে। কৃষিজমি রক্ষায় আইন রয়েছে। তবে এই প্রবণতা বন্ধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। কৃষিজমির শ্রেণিও বদল করা হয়েছে, যা বেআইনি কাজ। বরেন্দ্র অঞ্চলে জমি উজাড়ের কারণে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে।#
Category: দেশজুড়ে
-
রাজশাহী অঞ্চলে ফসলি জমি হ্রাস খাদ্য ঘা-টতির আ-শঙ্কা
-
সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক ইংরেজি শিক্ষক ডঃ শওকাত আলীর মৃ-ত্যু
এম,এ আলিম রিপন সুজানগর : পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক ইংরেজি শিক্ষক, জেলার সুজানগর পৌর শহরের ভবানীপুর পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা ডঃ মোহাম্মদ শওকাত আলী বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরার বাসায় অসুস্থতা জনিত কারণে আনুমানিক সকাল দশটার দিকে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী ও তিন কন্যা সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। ইংরেজি বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করা ডঃ শওকাত স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সাল থেকে পরবর্তী কয়েক বছর পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, পরে তিনি পাকিস্তানে চলে যান। তার স্ত্রী পাকিস্তানের জনপ্রিয় একজন সংগীতশিল্পী। বর্তমানে তার স্ত্রী এবং দুই কন্যা পাকিস্তানে এবং এক কন্যা অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করছেন । ২০০৫ সালে ডক্টর শওকত আলী শিকড়ের টানে বাংলাদেশের চলে আসলেও তার স্ত্রী ও মেয়েরা থেকে যায় পাকিস্তানে। এবং মাঝের মধ্যে তিনি পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য পাকিস্তানে যেতেন। তার ভাগ্নে মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পরিবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকার উত্তরায় জানাজা শেষে সেখানকার স্থানীয় কবর স্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। প্রসঙ্গত , ডক্টর শওকাত আলী মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ দুলালের আপন চাচাতো ভাই। তার নামেই প্রতিষ্ঠিত হয় সুজানগর শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর প্রতিনিধি। -
ব-জ্রপাত প্র-তিরোধ ও পরিবেশ রক্ষায় তাল গাছ রোপণ করলো ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
বজ্রপাত প্রতিরোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে ঝিনাইদহে মহাসড়কের পাশে তালগাছের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আজ ৯ অক্টোবর (বুধবার) সকালে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের বোরায় মাঠ এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এতে অংশ নেয় আরাপপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা। আরাপপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বজ্রপাত থেকে মানুষকে সুরক্ষা দিতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি থেকে ১০ মাইল পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে ২০০টি তালগাছের চারা রোপণ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, তালগাছ বজ্রপাত প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি এটি ছায়া দেয়, সৌন্দর্য বাড়ায় এবং পরিবেশ সংরক্ষণেও সাহায্য করে। স্থানীয়রা হাইওয়ে পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরও বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানান।আতিকুর রহমান
ঝিনাইদহ। -
দোয়ারাবাজারে DLI’র উদ্যোগে ‘এবার ইংরেজি শিখবে পুরো বাংলাদেশ’ সিম্পোজিয়াম অ-নুষ্ঠিত
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
‘তোমার স্বপ্ন পূরণের বন্ধু” Dream Language Institute” (DLI)’ এর উদ্যোগে ও দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘এবার ইংরেজি শিখবে পুরো বাংলাদেশ’শীর্ষক সিম্পোজিয়াম।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাষ্টার মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালিব ভুইয়া।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুপ রতন সিংহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল হক এবং উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল হামিদ। এছাড়া প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিম লিলু, সিনিয়র সহসভাপতি মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, সহসভাপতি বজলুর রহমান ও আলাউদ্দিন, সিরাজ মিয়া,
যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, শাহ মাসুক নাইম সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মামুন মুন্সি, অর্থ সম্পাদক মােঃ সােহেল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মােঃ আক্তার হােসেন সুমন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মােঃ ফারুক মিয়া,
সাংস্কৃতিক সম্পাদক, শানুর ওয়াদুদ তালুকদার সাগর, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদ রানা সােহাগ, প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সানী , প্রকাশনা সম্পাদক আবু বকর, সদস্য ইসমাইল হােসেন, রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম প্রমুখসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।বক্তারা বলেন, ইংরেজি শেখা শুধু একটি ভাষা শেখা নয়, বরং এটি আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তারা মনে করেন, DLI’র এই উদ্যোগ দেশের তরুণ প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন Dream Language Institute (DLI)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও কানাডা প্রবাসী উদ্যোক্তা আহমেদ রাসেল। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি হলো বিশ্ব সংযোগের চাবিকাঠি। একজন শিক্ষার্থী যদি ইংরেজিতে দক্ষ হয়, তবে সে শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে। DLI সেই পথটি সহজ করে দিতে চায়—যাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ইংরেজি শিক্ষা পৌঁছে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটি ইংলিশ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে প্রতিটি তরুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বে নিজের অবস্থান তৈরি করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের হাতে DLI কর্তৃক প্রকাশিত ‘English for Everyone’ গাইডবুক তুলে দেওয়া হয় এবং আগত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ঘোষণা করা হয়।
উপস্থিত অতিথি, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা DLI’র এ উদ্যোগকে যুগোপযোগী ও প্রশংসনীয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ইংরেজি শিক্ষা এখন সময়ের দাবি, এবং এমন উদ্যোগ দেশের প্রতিটি উপজেলায় সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।
-
কাশিয়ানীর নিজামকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান গ্রে-প্তার
কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী নওশের আলীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: কামাল হোসেন।
নিজামকান্দি ইউনিয়নের সচিব মলয় বিশ্বাস জানিয়েছেন বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলীকে নিজামকান্দি বাজারে দেখা করতে বলেন। চেয়ারম্যান সঙ্গীদের নিয়ে তখন নিশ্চিতপুর গ্রামে একজন মৃত ব্যক্তির জানাযা নামাজে অংশ নিতে অবস্থান করছিলেন। জানাযার নামাজ শেষ করে নিজামকান্দি বাজারে পুলিশের ওই দলের সাথে দেখা করতে গেলে তাকে আটক করে পাশ্ববর্তী ফলসি বাজারে রাখা পুলিশের গাড়ীতে করে কাশিয়ানী থানায় নিয়ে যায়। পরে দুপুর দুইটার দিকে তাকে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ফুকরা এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপর গাছের গুড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল ব্যাহত করা সম্পর্কিত দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানাগেছে। চেয়ারম্যান কাজী নওশের এর আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে সামরিক বাহিনীর গাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও পোড়ানোর দায়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হন। তিনি ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামী। তবে পরবর্তীতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলী নিজামকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
-
আশুলিয়ায় যৌ-থ বাহিনীর অ-ভিযানে বিপুল পরিমাণ অ-স্ত্রসহ কু-খ্যাত স-ন্ত্রাসী ৩ জনকে আ-টক
হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ঘোষবাগ পূর্ব পাড়ায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের সেনাদল যৌথ অভিযানে কুখ্যাত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ তিনজনকে আটক করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫ইং) ভোর রাত ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার “জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের সেনাদল” আশুলিয়ার ঘোষবাগ পূর্বপাড়ায় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন, এ অভিযানে অস্ত্রধারী গ্যাংয়ের ৩ জন সদস্যকে আটক করা হয়।
উক্ত সন্ত্রাসীদের বাসা তল্লাশীকালে একটি অত্যাধুনিক শটগান, চায়না ও দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র এবং চাঁদাবাজির টাকাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আলামত উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলো-১। মোঃ বিশাল (২০), পিতা: শহিদুল,
২। নাজমুল (২০), পিতা: রইস উদ্দিন,৩। শিপন (২১), পিতা: আহসান হাবিব। এই তিনজনের ঠিকানাঃ ঘোষবাগ, আশুলিয়া, ঢাকাউদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সামগ্রী: একটি শটগান, চাপাতি ১৩ টি, ছুরি ৪টি, তার কাটার ১টি, চাঁদাবাজির টাকা ৩৬,৭৬০ টাকা। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ৬টি। আটককৃতদের উদ্ধারকৃত অস্ত্রসমূহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ জানিয়েছেন।
-
শ্রমিকলীগ নেতার বাঁ-ধায় থম-কে আছে সরকারি ভবন নি-র্মাণের কাজ
কে এম সোয়েব জুয়েল,
শ্রমিকলীগ নেতার বাঁধায় মডেল গ্রাম সমবায় সমিতির ভবন নির্মানের কাজ থমকে আছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শ্রমিকলীগ নেতা ঢাকায় বসে ভবন নির্মান বন্ধে মামলা ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করার কারণে নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের।হোসনাবাদ মডেল গ্রাম সমবায় সমিতির সদস্য আজিম আকন, মনিরুজ্জামান আকনসহ একাধিক সদস্যরা বলেন, সমিতির ভবন নির্মানের জন্য জমির মালিক স্থানীয় শাহ আলম রাড়ী ২০২২ সালে ১৫ শতক জমি দান করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে ২ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদার ইঞ্জিনিয়ারিং নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মানের কাজ শুরু করা হয়।
নির্মান কাজ শুরুর দুইদিন পরই স্থানীয় বাসিন্দা শ্রমিকলীগ নেতা রবিউল ইসলাম সুমনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বরিশাল সহকারী জজ আদালত থেকে জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে ভবন নির্মানের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
তারা আরও বলেন-একই বছরের ৭ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে পূনরায় ভবন নির্মানের কাজ শুরু করা হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রæয়ারি হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের জন্য স্ট্যাটাস-কো আদেশ জারি করা হয়। গত ১২ আগস্ট স্ট্যাটাস-কো’র মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এরপরও সে (রবিউল) বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ভবন নির্মান কাজ বন্ধের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
অভিযোগ করে তারা আরও বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রবিউল ইসলাম সুমন নিজেকে ঢাকা মহানগর শ্রমিকলীগের সহসভাপতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে ভবন নির্মানে বাঁধা প্রদান করেছেন। বিভিন্ন কৌশলে এখনো সেই ধারা তিনি অব্যাহত রেখেছেন।
স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিউলের দাদা মোহসিন আকন স্থানীয় শাহ আলম রাড়ীর কাছে জমি বিক্রি করে গেছেন। ওই জমির দলিল পর্চা সব শাহ আলমের নামে। এরপরও সে (রবিউল) আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। তার বাঁধার কারনে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তারা আরও জানিয়েছেন-নিজের রাজনৈতিক পরিচয় গোপন রেখে রবিউল ইসলাম সুমন বর্তমান ক্ষমতাসীন কতিপয় কেন্দ্রীয় নেতার মাধ্যমে হোসনাবাদ মডেল গ্রাম সমবায় সমিতির ভবন নির্মানের কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রবিউল ইসলাম সুমন বলেন, জমি দানকারী শাহ আলম রাড়ীর সাথে জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ রয়েছে। জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় আদালত থেকে জমির ওপর স্থিতিবস্থা জারি করা হয়েছে। যে কারনে ভবন নির্মান কাজ বন্ধ ছিলো। সর্বশেষ ন্যায় বিচারের জন্য আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। হাইকোর্ট বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য নিন্ম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে মামলা চলমান থাকার পরেও সেখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. অহিদুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুন মাসে ভবন নির্মান শেষ হওয়ার কথা ছিলো। তবে আদাতলের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এতোদিন নির্মান কাজ বন্ধ ছিলো। বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুত কাজটি সমাপ্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-
রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় ম-হাশ্মশান সভাপতি-অরবিন্দু সাধারণ সম্পাদক-রাসুদেব
আমিরুল ইসলাম কবির,
স্টাফ রিপোর্টারঃগাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ গেলো ৩ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে ওই শ্মশান ও মন্দির চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ৯ই অক্টোবর দুপুর ১২টায় রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর সকল ভক্তবৃন্দ ও ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বসম্মতি ও সিদ্ধান্তক্রমে ১১সদস্য বিশিষ্ট ত্রিবার্ষিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আর এ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়,ওই এলাকার বাসিন্দা পলাশবাড়ী এমএ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর বাবু অরবিন্দু সরকার’কে। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় বাবু রাসুদেব সরকার।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন,সহ সভাপতি বাবু সন্তোষ চন্দ্র মহন্ত,সহ সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রভাত সরকার,কোষাধ্যক্ষ বাবু রনজিৎ চন্দ্র সরকার,ধর্মীয় সম্পাদক বাবু অপূর্ব কুমার রায়,প্রচার সম্পাদক শরী রনজিৎ চন্দ্র সরকার-২,সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সজল কুমার বর্মন,ক্রীড়া সম্পাদক বাবু উৎসব চন্দ্র ও কার্যকরী সদস্য হলেন যথাক্রমে বাবু সুকমল চন্দ্র বর্মন ও বাবু মানিক চন্দ্র’কে নিয়ে পলাশবাড়ী পৌর এলাকার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর ১২সদস্য বিশিষ্ট ত্রিবার্ষিক কমিটি ৯ই অক্টোবর ২০২৫ খৃঃ নির্বাচিত করা হয়েছে।
যার কপি পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার,পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নব গঠিত কমিটির সদস্যরা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।
উল্লেখ্য,গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর সভাপতি পলাশবাড়ী পৌর শহরের কালীবাড়ি বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা বাবু দিলীপ চন্দ্র সাহা ওই সভাপতি পদটি কুক্ষিগত করে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অনিয়মের কারণে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ফুঁসে উঠে। একপর্যায়ে তারা গত তেসরা অক্টোবর
রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর সকল ভক্তবৃন্দ ও ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ এ জনবিক্ষোভ ও সমাবেশের আয়োজন করেন।বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাবৎ ওই শ্মশানের সভাপতি পলাশবাড়ী পৌর শহরের কালীবাড়ি বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা দিলীপ চন্দ্র সাহা সভাপতি পদটি আঁকড়ে ধরে অর্থ আত্মসাৎ বাণিজ্য সহ নানাবিধ অনিয়মের করে আসছেন বলে বিক্ষোভকারীরা দাবী করেন। এসময় তারা বলেন,ওই ধুরন্ধর সভাপতি শ্মশানের ৪ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে সে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও যেসব লাশ দাহ করা হয়না সেসব লাশগুলো মঠে সমাধি বা কবরস্থ করা হয় এবং মঠে কবরস্থ করতে হলে লাশ প্রতি মঠের জায়গার জন্য ৫০/৬০ হাজার করে ওই সভাপতি নেন বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন।
এসব অর্থ আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অনিয়মের কারণে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় ফুঁসে উঠে অভিযুক্ত সভাপতি দিলীপ চন্দ্র সাহা’কে বিক্ষোভকারীরা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে ওই শ্বশ্মানের সভাপতি বাবু দিলীপ চন্দ্র সাহা’র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে গাছ বিক্রি করে তিনি ৮ শতাংশ জমি কিনেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।
জনবিক্ষোভ সমাবেশে পলাশবাড়ী এমএ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর ও মহাশ্মশান এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দু সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহাশ্মশানের জমি দাতা ও মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা রনজিত চন্দ্র সরকার, রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা ও জমি দাতা সুভাশ চন্দ্র চুনি,চন্দন কুমার দাস এলাকাবাসী,সুলতানপুর বাড়াইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাসুদেব কুমার রায়,জমি দাতা সজল কুমার রায়,অপূর্ব কুমার রায় এলাকাবাসী,প্রভাত চন্দ্র দাস এলাকাবাসী,এর সংগে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন,পাশ্ববর্তী পলাশগাছী গ্রামের বাসিন্দা,সমাজ সেবক ও বিএনপি নেতা শাহীন মন্ডল,সুভাষ চন্দ্র মন্ডল,রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা রনজিত চন্দ্র সরকার-২,সুমল চন্দ্র সরকার,উৎসব চন্দ্র মহন্ত, কাঞ্চন চন্দ্র সরকার,সুশীল চন্দ্র সরকার,আনন্দ চন্দ্র মহন্ত,সুবল চন্দ্র সরকার,উৎপল চন্দ্র প্রমুখ।।
-
নলছিটিতে প্র-তিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পেলো স্কুলভ্যান
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
ঝালকাঠির নলছিটিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের স্কুলে দেয়া হলো স্কুল ভ্যান। উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের জিরোপয়েন্টে অবস্থিত প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য পরিচালিত দপদপিয়া ইউনিয়ন প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ স্কুলভ্যান দেয়া হয়।
অত্র স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থের জন্য ঝালকাঠি জেলা পরিষদের অর্থায়নে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে একটি স্কুলভ্যান ক্রয় করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ( ০৯ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লাভলী ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক দপদপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম বাদল,প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম, ইয়ুথনেট গ্লোবাল-এর সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান শুভসহ অত্র স্কুলের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন।
-
ময়মনসিংহের ত্রিশালে মা-বাবাকে হ-ত্যা করে বসত ঘরে মা-টিচাপা দিল ছেলে
আরিফ রব্বানী,
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় নিজের মা’কে গলা টিপে ও বাবাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন ছেলে রাজু মিয়া (২৬) । এ ঘটনায় রাজু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বসত ঘরের বিছানার পাশের গর্ত থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ময়মনসিংহে ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ত্রিশালের বাঁশকুড়ি গ্রামে রাজু তার মা বানুয়ারা বেগমকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে রাতে বাবা মোহাম্মদ আলীকেও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর দুইজনের মরদেহ নিজের ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুঁতে রাখেন তিনি।
পরদিন সকালে রাজু নিজেই তার বোনদের ফোন করে জানান, বাবা-মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। বোনেরা এসে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাজুর ঘরে মাটির গর্ত দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয়দের সহায়তায় রাজুকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।
পরে রাজু পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে তিনিই বাবা-মাকে হত্যা করে ঘরের ভেতরে মাটিচাপা দিয়েছেন। তার দেখানো স্থান থেকে পুলিশ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, নিহত মোহাম্মদ আলী পেশায় কৃষক ও মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক তিনি।
তাদের ছেলে রাজু দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা না পেলে অত্যাচার ও নির্যাতন করতেন রাজু।
এক মাস আগে তার নির্যাতনে স্ত্রী এক মাসের সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর আহমেদ গনমাধ্যমকে বলেন, ছেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ ও মাদকাসক্তির কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
এদিকে, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় স্তব্ধতা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, রাজু প্রায়ই টাকার জন্য মা-বাবার ওপর নির্যাতন চালাতো। এমন ভয়াবহ পরিণতি কেউ ভাবতেও পারেনি।