হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজিব এর পক্ষ থেকে সাভারের জনগণসহ দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদ-উল আযহা’র শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী নেতা জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজিব বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় শীর্ষ নেতাকর্মীসহ আমার সাভারের জনগণ এবং দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, “ঈদ মোবারক”। তিনি বলেন, “৭৫’ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আবার, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যার সাথে যারা সরাসরি জড়িত তাদেরকে বাংলার মাটিতেই বিচার করা হবে। তিনি মন্তব্য করেন যে, আমরা আওয়ামী লীগের সৈনিকরা বেঁচে থাকতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গায়ে একটা আচড়ও লাগতে দেবো না। তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের নিজস্ব অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রমাণ করেছি আমরাও পারি, কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের কিছুই করতে পারবে না, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, “ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, এই পবিত্র ঈদ-উল আযহা সবার জীবনে বয়ে আনবে অনাবিল সুখ-শান্তি’র বার্তা। সবাইকে আবারও পবিত্র ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক”।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব এর সভাপতি সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, আমাদের আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব এর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে পেয়েছি একজন দেশপ্রেমিক ত্যাগী নেতা সৎ ও নীতিবান ভালো মানুষ। তিনি হলেন, সাভারের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মঞ্জুরুল আলম রাজিব। এই মহৎ মানুষটির পক্ষ থেকে সবাইকে আবারও ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক”।
Category: দেশজুড়ে
-

সাভার উপজেলা’র চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা
-

কেশবপুরে পৌরসভার মেয়রের সাথে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় সভা
কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের সঙ্গে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩জুলাই পৌর মেয়রের কার্যালয়ে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম।
আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জয় সাহা, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ জনাব আলী, নির্বাহী সদস্য বি এম শহিদুজ্জামান শহিদ, হাবিবুর রহমান, আব্দুল লতিফ, উত্তম বসু, অর্পণা আইচ, মনিরা খানম প্রমুখ।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ সভার শুরুতেই পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
-

কেশবপুরে এক শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩জুলাই উপজেলার পাঁজিয়া মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পাঁজিয়া বাজারে পাঁজিয়া মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কবি পার্থ সারথী সরকার, পাঁজিয়া মহাবিই মানববন্ধনদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব বিশ্বাস প্রান্ত, জ্যোতি, সৌরভ রায়, চন্দন বিশ্বাস, বাঁধন, জয় প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে ঢাকার আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারের হত্যাকারীর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
-

নওগাঁয় দূর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু
রওশন আরা শিলা,নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় আনুষ্ঠানিক ভাবে দূর্নীতি দমন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ টায় শহরের চকপাথুরিয়া এলাকায় কমিশনের অফিস চত্বরে জাতীয় পতাকা, দূর্নীতি দমন কমিশনের পতাকা উত্তোলন এবং ফিতা কেটে দাপ্তরিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দূর্নীতি দমন কমিশনের মহা-পরিচালক ( প্রশাসন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ।
এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান এবং মহা- পরিচালক দূর্নীতি দমন কমিশনের পতাকা উত্তলোন করেন।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি দূর্নীতি দমন কমিশনের মহা- পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ বিশেষ অতিথি দূর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহীর পরিচালক মো: কামরুল আহসান, নওগাঁর ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার কে এম এ মামুন খান চিশতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জয়পুরহাট মো: মহি উদ্দিন জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়পুরহাট ফারজানা হোসেন বক্তব্য রাখেন।
নওগাঁয় স্থাপিত দূর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত এই কার্যালয় নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।#
রওশন আরা পারভীন শিলা
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।। -

হরিণাকুন্ডুর ভাই ভাই ক্লিনিকে আবারো নবজাতকের মৃত্যু
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত ১ জুলাই শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকার ভাই ভাই ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ৩০জুন রুপালী খাতুন (২৫) নামে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের এক নারী ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। রাত নয়টার দিকে কালিগঞ্জ হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন তাঁর সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এ সময় ওই নারীর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। অপারেশনের পর নবজাতক শিশু ও মা দু‘জনেই সুস্থ ছিল। স্বজনদের অভিযোগ, রাতে নবজাতককে অক্সিজেন দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরে সেটি খুলে ফেলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে বলে। দুধ খাওয়ানোর পর নবজাতক ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নবজাতকের বাবা নিয়াজি জানান, অপারেশনের পর সুস্থ সন্তান জন্ম নেয়। তখন সন্তান ও তাঁর মা দুজনেই সুস্থ ছিল। তাহলে কীভাবে ঘুমের মধ্যে আমার শিশু বাচ্চা মারা গেল। নিশ্চয় কারও না কারও অবহেলা ছিল। ওই ক্লিনিকের মালিক আসমত আলীর কাছে জানতে চাইলে প্রথমে শিশুটি মায়ের গর্ভে মারা গেছে বলে দাবি করেন। সুস্থ সন্তানের জন্ম হয়েছে এমন কথা ডাক্তার জানিয়েছেন জানালে আসমত আলী বিষয়টি এড়িয়ে যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ না দিতে নানাভাবে ওই নবজাতকের বাবাকে হুমকি দিচ্ছেন ক্লিনিক মালিক আসমত। রুবেল নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, ঘটনাটি কাউকে না বলতে ক্লিনিক মালিক নবজাতকের বাবাকে হুমকি দিচ্ছেন। এর আগেও এই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভুলে কয়েকজন প্রসূতি ও নবজাতক মারা গেছে। অনেকবার ক্লিনিকটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই যুবকের দাবি, মানহীন এই ক্লিনিকটিতে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে। সাময়িক এটি বন্ধ থাকে। কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফের চালু করা হয়। চিকিৎসক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি অপারেশন করার পর নবজাতক ও মা দু‘জনেই সুস্থ ছিল। শুনেছি ঘুমের মধ্যে মারা গেছে। কী সমস্যা হয়েছিল এটা আমি জানি না। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন শুভ্রা রাণী দেবনাথ বলেন, কোনোভাবেই নবজাতকের মৃত্যু কাম্য নয়। এ ঘটনায় তদন্ত করে যারই অবহেলা পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান। -

নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল। নড়াইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জুতার মালা দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। শনিবার (২ জুলাই) রাতে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।
এর আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা পরানোসহ শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেন নড়াইল জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম সায়েদুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবিরের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আদালতে বিচারকার্য চলমান থাকায় প্রতিবেদনে কারা জড়িত বা কাদের নাম এসেছে সেটা বলা সম্ভব নয়।
সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায় গত ১৭ জুন রাতে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ভারতের বিতর্কিত বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে নিয়ে ইতিবাচক পোস্ট করেন। পরে ১৮ জুন কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে পোস্টটি মুছে ফেলার অনুরোধ করেন। রাহুল তার পোস্টটি না মুছে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। একপর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছোড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।
এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনার দিন ১৮ জুন বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা পরানোসহ শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পোড়ানো এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ১৮০ জনকে আসামি করে মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুরসালিন বাদী হয়ে গত ২৭ জুন মামলা করেন।
এর মধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার আসামি-রহমতুল্লাহ বিশ্বাস রনি (২২) মোবাইল ফোনের মেকার শাওন (২৮), অটোচালক রিমন (২২) এবং মাদরাসা শিক্ষক মনিরুল ইসলাম (২৭) দের পুলিশ আটক করেছে। নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় (পিপিএম বার) বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অতি দ্রুত হাতে পাব। -

র্যাব-১২’র বিশেষ অভিযানে ২ কেজি ৬৩০ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক কারবারি আটক
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০২/০৭/২০২২ ইং তারিখ বিকেল আনুমানিক ০৫.০০ ঘটিকায় গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ ব্যাটালিয়নের সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানাধীন সয়দাবাদ গ্রামস্থ এলাকায় একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ০২(দুই)কেজি ৬৩০(ছয়শত ত্রিশ) গ্রাম হেরোইনসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ঐ সময় তাদের নিকট থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ০১ টি প্রাইভেট কার (যাহার নাম্বার- ঢাকা মেট্রো-গ-১৯-২৫৭৪), ০৪ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ- ১২,২০০/-(বার হাজার দুইশত) টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীঃ ১। মোঃ রাশিদুল হক @ মনি (২২), পিতা- মোঃ শামসুল হুদা লুকমান, সাং- সুলতানগঞ্জ, ২। মোঃ কামরুজ্জামান @ রনি (২৩), পিতা- মোঃ কামাল উদ্দিন, সাং- ব্্রাম্মন গ্রাম, উভয় থানা- গোদাগাড়ী, জেলা- রাজশাহী, ৩। মোঃ শাকিল আহম্মেদ (২০), পিতা- মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাং-হরমা, থানা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
উল্লেখ্য এই যে মাদক সরবরাহকারী চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
উক্ত প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন
মেজর কাজী আলমগীর হোসেন, এসি
উপ-অধিনায়ক র্যাব-১২এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।
র্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।
স্বাক্ষরিত—–
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
সহকারী পুলিশ সুপার
মিডিয়া অফিসার
র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ।
মোবা-০১৭৭৭-৭১১২০৩
-

নামেই কেবল অবরোধ হাটে বাজারে সহজেই মিলছে ইলিশ
অমল তালুকদার,পাথরঘাটা (বরগুনা) থেকে:
সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বঙ্গোপসাগরে দেয়া ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞার এমন অব্যবস্থাপনা দেখা যায়নি আর সাম্প্রতিককালে। একদিকে ঘোষিত অবরোধ, অপরদিকে হাটে বাজারে মিলছে ইলিশ সহ সামুদ্রিক মাছ!ইলিশের জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সফল হওয়ায় এই পথেই এগুচ্ছিল সরকার। গত ২০ মে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে। শেষ হবে চলতি মাসের ২৩ জুলাই। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মৎস্য আইনের সংশোধনে ২০১৫ সালের ১৯ ধারায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ফিশিং ভ্যাসেলে মাছ শিকার বন্ধের আইন করা হয়। তবে এ আইনের আওতায় গত তিন বছর ধরে উপকূলের ইঞ্চিন চালিত কাঠের ট্রলার গুলোকেও আনা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য -২ (আইন) অধিশাখা এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনটিতে ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তবে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করছে অসাধু জেলেরা। তাদের দাবি নৌ পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সোর্সদের কাছে টাকা দিয়ে তাদের ম্যানেজ করেই তারা গভীর সমুদ্রে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করছে নৌ-পুলিশ। কোষ্টগার্ড বলছে এমন কোন প্রমাণ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৎস্য ট্রলার মালিক আবুল হোসেন ফরাজি সাংবাদিকদের জানান, গভীর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় দেশীয় ট্রলারের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভারতীয় ট্রলার মাছ শিকার করছে। আমরা আমাদের সীমানায় জাল ফেলে মাছের জন্য অপেক্ষা করলে ভারতীয়রা আমাদের জেলেদের তাড়িয়ে দেয়। ‘তারা বলে তোদের দেশে অবরোধ তোরা মাছ শিকার করো কেন?’ তিনি বলেন,আমাদের জলসীমায় আমাদেরকেই মাছ ধরতে দেয়না ভারতীয় জেলেরা। এমন অবরোধ দিয়ে আমাদের লাভটা কি? এমন প্রশ্ন তুলেছেন পাথরঘাটার জেলে ও ট্রলার মালিকরা। তবে গভীর বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের নিয়মিত পেট্রোল টহল চলছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কে এম শফিউল কিঞ্জল। তিনি জানান, যদি কোষ্টগার্ডের কাউকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে মাছ শিকারে যায় প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে ঘাটে বিক্রি করতে এসে মৎস্য বিভাগের অভিযানের আটকা পড়ে গুনতে হচ্ছে জরিমানা। সাথে নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ। গত তিন দিনে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য বিভাগের অভিযানে সাতটি ট্রলার থেকে আদায় হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ী অভিযোগ করে জানান, ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। যা কতৃপক্ষ যেন দেখেও দেখছে না। জেলেরা জানান গত দুদিন আগে একটি অভিযান চালিয়ে মংলায় নৌবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৩৫ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে। কিন্তু পাথরঘাটার কোস্টগার্ড সদস্যরা নদীতে টহল না দিয়ে স্থলে অভিযান চালায়। আর তাদের সোর্সদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে অসাধু জেলেরা নির্ভয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে।
পাথরঘাটা মৎস্য ঘাট এলাকায় কোন মাছ ধরা ট্রলার চোখে পরছে না। জানা যায় এসব ট্রলার মাছ শিকার করে গভীর রাতে ঘাটে ফিরে মাছ বিক্রি করে আবার সমুদ্রে চলে যায়।
চরদুয়ানী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইশান জানান, নৌ-পুলিশ, কোষ্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানে আটক হয়ে জেলেরা নিজেদের বাঁচাতে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার দায়ে আমরা থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় রাতে অভিযান চালাই। গত তিন দিনে আটক ৭টি ট্রলারের মাছ অকশনে বিক্রি করে তাদেরকে সমপরিমান অর্থদণ্ড করি। এতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা সরকারি ফান্ডে জমা হল#
-

নড়াইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমারবিশ্বাসের গলায় জুতার মালা দেয়ার ঘটনায়: ৪ জনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস লাঞ্ছিত: ৪ জনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর। নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা দেয়ার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৪ জনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা হলেন-অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার দুই হোতা অনার্স শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ রনি ও মোবাইল মেকার শাওন খান এবং রিমন ও মনিরুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান। এ মামলায় ১৭০জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখে-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসে রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট মুছেনি রাহুল।শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।
এদিকে, অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ জনতা ঘটনার দিন ১৮ জুন বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। -

কালাইয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা
এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের কালাইয়ে রাইসা খাতুন ওরফে চম্পা (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মান্দাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাইসা ওই গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়ে ও মোসলেমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মোসলেমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে রাইসা খাতুন ওরফে চম্পা। শনিবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে পোকা মারার কীটনাশক ট্যাবলেট (গ্যাস ট্যাবলেট) খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপরও অবস্থার অবনতি হওয়ায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে বগুড়া যাওয়ার পথেই মহাস্থানের মসলা গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা হবে।