Category: দেশজুড়ে

  • ঈদুল আযহায় নিরাপত্তা জোরদারে জিরোটলারেন্সে ওসি কামাল

    ঈদুল আযহায় নিরাপত্তা জোরদারে জিরোটলারেন্সে ওসি কামাল

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহে ঈদুল আজহায় সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ।
    জেলা পুলিশের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দের দিকনির্দেশনা মোতাবেক থানার আওতাধীন তিনটি পুলিশ ফাঁড়ি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নগরবাসীর জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান- দেশের চতুর্থ বৃহত্তম মহানগরী ময়মনসিংহ নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং নগরীতে বাড়তি নজরদারির জন্য বিদ্যমান ট্রাফিক সদস্যের বাইরেও ৬’শ ৭৩ জন পুলিশ সদস্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের অনির্ধারিত স্থানে সড়ক মহাসড়কের উপর পশুর হাট বসতে দেয়া হচ্ছে না। কোরবানীর পশু বহনকারী যানবাহনে চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে মোকাবেলা করা হচ্ছে। নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিদ্যমান ১’শ ৪০টি সিসি ক্যামেরা ছাড়াও কোরবানী ঈদ উপলক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও কোরবানীর পশুর হাট এলাকায় প্রয়োজনে আরো সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় নগরীতে আইনশৃঙ্খলা নজরদারিতে জেলা পুলিশের দিনের বেলায় ৫ টি মোবাইল টিম এবং রাতে ১০ টি মোবাইল টিম টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। কোতোয়ালি মডেল থানা ও থানার অধীনস্থ তিনটি ফাঁড়ির মোট ৪ টি মোবাইল টিম দিনের বেলায় এবং ৫টি মোবাইল টিম রাতে নিয়মিত টহল পরিচালনা করে আসছে। ঈদ উপলক্ষে নগরীর বাস স্ট্যান্ড ও জনাকীর্ণ রাস্তার মোড়ে সাদা পোশাকে পুলিশ বাহিনী তৎপর রয়েছে। এই নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা চলবে আগামী কাল ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই (২০২২) পর্যন্ত আরো কঠোরভাবে কাজ করবে। পশুর হাটে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও জেলা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে জাল নোট সনাক্তকরণ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। ঈদ আনন্দকে নিরবিচ্ছিন্ন উৎসবমুখর করতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নিজ নিজ উদ্যোগে জনকল্যাণকর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলেও জানা গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানা গেছে- কোন গ্রাহক যাতে ব্যাংক টাকা উত্তোলন ও লেনদেন করতে ভয় না পায় সেজন্য প্রতিটি ব্যাংকের সামনের পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।কোরবানির পশু কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতারাদের নির্ভয়ে লেনদেন ও পশু বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাড়ী ফিরতে সমস্যা না সেজন্যও নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা।এমনকি কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ নিজে শারিরিক ভাবে অসুস্থ থাকলেও কোতোয়ালীবাসীর নিরাপত্বার জন্য স্ব-শরীরে নিজেও বিভিন্ন কোরবানি পশুর হাট পরিদর্শন করছেন।শুনছেন মানুষের সমস্যার কথা সমাধানও করছেন।

    সেই ধারাবাহিকতায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই ২০২২) তারিখ বিকেলে সার্কিট হাউজ মাঠ, দাপুনিয়া বাজার, চর খরিচা, বোররচর, কাঠগোলা বাজারসহ বিভিন্ন কোরবানি পশুর বাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট বাজারগুলোর ইজারাদার,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ বিক্রেতা ও ইজারাদারদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। পশুরহাটে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে এবার পুলিশ ইজারাদার স্থানীয় প্রশাসন সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছে। মাস্ক, গ্লাবস পড়া এবং নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখার জন্য বাজারে অনবরত মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি হাটে ডুকতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যারা গরু কিনতে আসবে তাদের যেন করোনা সংক্রমন না হয়। পশু হাটে বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং শিশুরা যাতে না আসে সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে।

    নিরাপত্তার ব্যাপারে ওসি কামাল বলেন, দূর দুরান্ত থেকে পাইকারদের টাকা ছিনতাই চুরি ডাকাতি ও মলম পার্টির খপ্পর রোধে সার্বক্ষণিক পুলিশ কাজ করছে। ব্যাংকে যেন টাকা জমা রাখতে পারে ব্যাংকে লেনদেনের সময় বাড়ানো হয়েছে। সময়ের পরেও বিক্রির টাকা ইজারাদারদের মাধ্যমে পুলিশ পাহারায় টাকা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তাকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সমভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি।

    ওসি বলেন, আমাদের দেশের খামারীরা কষ্ট করে সারা বছর পশু পালন করে। তাদের বিবেচনা করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিটাকে মাথায় রেখে গরুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে যাতে প্রান্তিক কৃষকরা তাদের জীবিকার জন্য রাস্তায় না বসে। অনুমোদনকৃত জায়গায় বসে পশু বিক্রি করে তারা সংসারের অভাব অনটন মিটাতে পারে। এসময় তিনি চুরি,ছিনতাইসহ যেকোন দুর্ঘটনা এড়াতে গরু মালিক, ইজারাদার ও বিক্রেতাদের সতর্ক থাকার আহবান জানান।

  • ঘাগড়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ বিতরণ কর্মসুচীর উদ্ভোধন করলেন পিআইও

    ঘাগড়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ বিতরণ কর্মসুচীর উদ্ভোধন করলেন পিআইও

    আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এই শ্লোগান বাস্তবায়নে মানবিক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদের বিশেষ বরাদ্ধ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ কর্মসুচীর উদ্ভোধন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৭ই জুলাই) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায়, ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়,উপজেলা প্রশাসনের বাস্তায়নে এবং ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান এর সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ইউনিয়নের ৩৪৬১টি (৩হাজার ৪শত ৬১টি অসহায় দরিদ্র উপকারভোগী পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে মোট ৩৪৬১০ কেজি চাউল
    বিতরণ করা হয়। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ওয়ার্ড ভিত্তিক এ চাউল বিতরণ কর্মসুচীর উদ্ভোধন করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান। ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুম মনিরা উক্ত চাউল বিতরণ কর্মসুচীর সার্বক্ষণিক তদারকি করেন।

    এই সময় পিআইও মনিরুল হক ফারুক রেজা বলেন-প্রধানমন্ত্রী চায় ধনী আর গরীব সমান অবস্থানে থেকে ঈদ আনন্দ উদযাপন করুক,ঈদে গরীবের মুখেও যাতে দু-মুঠো খাবার জুটে সেই লক্ষে এই ভিজিএফ কর্মসূচি। তাই প্রকৃত গরীব হত-দরিদ্র অস্বচ্ছলরা যেন এই চাউল পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে তিনি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সকলকে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলারও পরামর্শ দেন।

    চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান বলেন, অসহায় দরিদ্র পরিবারকে ভিজিএফ চাউল দেওয়াসহ যেকোন সহযোগিতা প্রদানে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকার সবসময় পাশে আছে এবং থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে, জনগণ কিছু না কিছু পাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের ৩ হাজার ৪শ ৬১টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ প্রকল্পের আওতায় ১০ কেজি করে চাউল সহায়তা প্রদান প্রদান করা হয়েছে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন-ঘাগড়া ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম আকন্দ রুবেল,আওয়ামী লীগ নেতা ও দাপুনিয়া বাজার ইজারাদার নুর মোহাম্মদ মাক্কু,সচিব মুনিরা ইয়াসমিন, কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই দেবাশীষ, ইউপি সদস্য- মোছাঃ জাহান,মর্জিনা আক্তার,মোবারক হোসেন,কামাল হোসেন,মোবারক হোসেন,সাইদুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ত্রিশালের বইলরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ  পেলো  ১৬৬৩ জন হতদরিদ্র পরিবার

    ত্রিশালের বইলরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ পেলো ১৬৬৩ জন হতদরিদ্র পরিবার

    ময়মনসিংহ সংবাদদাতা।।

    ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এই শ্লোগান বাস্তবায়নে মানবিক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদের বিশেষ বরাদ্ধ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মশিহুর রহমান শাহানশাহ।

    ৭ ই জুলাই বুধবার সকালে বইলর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায়, ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়,উপজেলা প্রশাসনের বাস্তায়নে এবং ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে চেয়ারম্যান মশিহুর রহমান শাহানশাহ এর সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ইউনিয়নের ১৬৬৩টি (১হাজার ৬শত ৬৩টি অসহায় দরিদ্র উপকারভোগী পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে মোট ১৬৬৩০ মেঃ টন চাউল
    বিতরণ করা হয়। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ওয়ার্ড ভিত্তিক এ চাউল বিতরণ কর্মসুচীর উদ্ভোধন করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মশিহুর রহমান শাহানশাহ ও ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশীষ তরফদার।

    এই সময় চেয়ারম্যান খন্দকার মশিহুর রহমান শাহানশাহ বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অসহায় দরিদ্র পরিবারকে ভিজিএফ চাউল দিয়েছেন। গরীবদের যেকোন সহযোগিতা প্রদানে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকার সবসময় পাশে আছে এবং থাকবে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে, জনগণ কিছু না কিছু পাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের ১ হাজার ৬শ ৬৩টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ প্রকল্পের আওতায় ১০ কেজি করে চাউল সহায়তা প্রদান প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয়রাও জানান-এবার চেয়ারম্যান খন্দকার মশিহুর রহমান শাহানশাহ তার বুদ্ধিমত্ত্বায় প্রকৃত গরীব হত-দরিদ্রদের মাঝে চাউলের কার্ড দেওয়া হয়েছে।আমরা ঘরে বসেই কার্ড পেয়েছি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উক্ত চাউল বিতরণ কর্মসুচীর পরিদর্শন করেন। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারগণসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

  • জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক ০২ (দুই) কেজি মাদকদ্রব্য শুকনা গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কর্তৃক ০২ (দুই) কেজি মাদকদ্রব্য শুকনা গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

    রিদয় হোসেন জয়পুরহাট সদর প্রতিনিধি।।
    জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ কর্তৃক জয়পুরহাট সদর থানা এলাকা হতে ০২ (দুই) কেজি মাদকদ্রব্য শুকনা গাঁজা উদ্ধারসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

    জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট সদর থানা এলাকায় অদ্য ০৬-০৭-২০২২ খ্রিঃ তারিখ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই (নিঃ) মোঃ আমিরুল ইসলাম, এএসআই (নিঃ) মোঃ জাহিদুল ইসলাম, এএসআই (নিঃ) মাহমুদ সিদ্দিকী ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা ডিউটি চলাকালীন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জয়পুরহাট সদর থানাধীন জয়পুরহাট পৌরসভার অন্তর্গত রূপনগর গুচ্ছগ্রাম (বুলু পাড়া) গ্রামস্থ মোঃ জামিরুল ইসলাম, পিতা-মৃত ফকির মন্ডল এর বসতবাড়ীর ভিতর হতে ০২ (দুই) কেজি মাদকদ্রব্য শুকনা গাঁজা উদ্ধারসহ আসামী ১। মোঃ সুজন(২৪), পিতা-মোঃ জামিরুল ইসলাম, ২। মোছাঃ সুজাতা বেগম(৪২), স্বামী-মোঃ জামিরুল ইসলাম, উভয় সাং-রূপনগর গুচ্ছগ্রাম (বুলু পাড়া), থানা ও জেলা-জয়পুরহাটদ্বয়কে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    রিদয় হোসেন সদর, প্রতিনিধি, জয়পুরহাট

  • ময়মনসিংহে আ’লীগকে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন নারী নেত্রী জেসমিন মিনু

    ময়মনসিংহে আ’লীগকে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন নারী নেত্রী জেসমিন মিনু

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে হাতেখড়ি জেসমিন আক্তার মিনু প্রায় ২০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আছেন। দলের দুঃসময়ে রাজপথে তার ভূমিকা ছিলো চোখে পড়ার মত। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলীয় নির্দেশে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে জীবন বাজী রেখে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল মিন্টু কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ছাত্র নেত্রী জেসমিন আক্তার মিনু।

    আপদমস্তক রাজনৈতিক জেসমিন আক্তার মিনু
    আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল মিন্টু কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদ্য অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুল্যায়ন করা হয়।

    এমন একজন মাঠের রাজনীতিককে ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদ্য অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে
    ঘোষণা করায় উৎফুল্ল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

    ছাত্র রাজনীতি থেকেই তিনি সর্বদা তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পাশে আছেন। সবার সাথে তিনি হাসিমুখে কথা বলেন। তার কাছে এসে নেতাকর্মীরা সব সময় সাহস ও উদ্দীপনা পান। এমন একজন রাজনীতিককে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পাওয়ায় নেতাকর্মীরা বেশ খুশি।

    ময়মনসিংহের দলীয় কয়েকজন মহিলা নেতৃবৃন্দ বলেন, জেসমিন আক্তার মিনু সবার প্রিয় মানুষ। তিনি সবার সাথে সুন্দর ব্যবহার করেন। দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে পছন্দ করেন। দলের জন্য তার অনেক অবদান রয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। আমরা সবাই তার সাথে থেকে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে এক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। দলের জন্য তার অনেক ত্যাগ রয়েছে। তিনি রাজপথের যোদ্ধা। দল তাকে মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করে মূল্যায়ন করেছে।

    জেসমিন আক্তার মিনু একজন সাহসী নারী।যিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে সমাজের ব্যধি মাদক,যৌতুক,নারী নির্যাতন,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ভাবে নারীদের ভাগ্যোন্নয়নের কথা বলে নারীদের অধিকার বাস্তবায়নে কথা বলেন।যে কারণে তিনি ময়মনসিংহের একজন জনবান্ধব রাজনীতিবিদ ও নারী নেত্রী হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত।

    জেসমিন আক্তার মিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারিবারিক সহযোগিতায় আমি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই। ওই সময় ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল মিন্টু কলেজে লেখাপড়া করি। দায়িত্ব পাই কলেজ ছাত্রলীগের মহিলা সম্পাদকের। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি। জাতির জনকের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মানে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে সাথে নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম কে আরো তরান্বিত করতে করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

  • পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক তিন

    পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক তিন

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
    জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার পর রাতে সেখান থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
    আটককৃতরা হলেন, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা সদরের বড়দাপ এলাকার কলিম উদ্দীনের ছেলে মোকসেদুর রহমান (২৮), একই উপজেলার ছোটদাপ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আহসান হাবিব (২৮) এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি এলাকার বাবর আলীর ছেলে বেলাল উদ্দীন (৩৮)। এদের মধ্যে মকসেদুর ও আহসান হাবিব নিয়োগ পরীক্ষার্থী এবং বেলাল উদ্দীন নিয়োগ জালিয়াতি চক্রের অন্যতম হোতা বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
    পুলিশ ও জেলা প্রাথমিক নিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মধ্যে পরীক্ষার্থী মোকসেদুর রহমান ও আহসান হাবিবের মৌখিক পরীক্ষার খাতায় লেখার সাথে তাদের মৌখিক পরীক্ষার হাতের লেখার অমিল পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা প্রক্সির মাধ্যমে অন্যের দ্বারা দেওয়া হয়েছিল এবং এজন্য তারা মোটা অংকের টাকাও লেনদেন করেছেন বলে স্বীকার করেন। তাদের অন্য কাউকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দেওয়া এবং আর্থিক লেনদেনের সাথে বালিয়া ডাঙ্গির বেলাল হোসেনও জড়িত। এরপর কৌশলে তাকেও ডেকে এনে তিন জনকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়।
    পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাদের হাতের লেখা দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অন্য কাউকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং এজন্য তারা মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেছেন বলেও স্বীকার করেন। এজন্য তাদের আটক করে রাখা হয়।
    সকলের পরীক্ষা শেষে কৌশলে নিয়োগ পরীক্ষায় এমন জালিতির মুল হোতা বেলাল হোসেনকে ডেকে এনে তিন জনকেই পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
    পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ তিন জনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে রাতে থানায় আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা

    ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ): ঢাকা রেঞ্জের সম্মানিত ডিআইজি জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) মহোদয় গত (২৫ মে ২০২২ইং) তারিখ হতে ৩০জুন ২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই-এ অবস্থিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিস’এ অনুষ্ঠিত “কমপ্রিহেনসিভ সিকিউরিটি কো-অপারেশন ফোর্স” সফলতার সাথে সম্পন্ন করায় ঢাকা রেঞ্জের পক্ষ থেকে জনাব জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) (ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), জনাব নুরে আলম মিনা বিপিএম-বার, পিপিএম অ্যাডিশনাল (ক্রাইম) (ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এবং জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপস্ অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স) (ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) সহ ঢাকা রেঞ্জের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উক্ত ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মহোদয়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় ঢাকা রেঞ্জের সকল জেলার পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সৃষ্টি করছে কিছু সাংবাদিকঃ এর কারণেই বাড়ছে সমস্যা

    নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সৃষ্টি করছে কিছু সাংবাদিকঃ এর কারণেই বাড়ছে সমস্যা

    হেলাল শেখঃ সারাদেশেই নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সুষ্টি করছে কিছু সাংবাদিক ও দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ, এর কারণেই জাতির বেশি সমস্যা হচ্ছে। সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক কিন্তু তারা যদি বিবেকহীনের মতো কর্মকান্ড করেন তাহলে সাধারণ মানুষ সেবা পাবে কোথায়? অর্থ ও স্বার্থের জন্য মানুষ যদি অমানুষের পরিচয় দেন এটা খুবই দুঃখজনক।
    জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে কাজ করা, জনগণের প্রকৃত বন্ধু সাংবাদিকরা। কর্মরত অবস্থায় ডিউটির পর ডিউটি করতে হয় তাদের। পুলিশ ও সাংবাদিকদের মনের দুঃখ কেউ বুঝতে চায়না। সাংবাদিকদের পেশা যেন ধর্ম কর্ম মানুষের সেবা করা। যারা কাজ করেন তাদের ভুল হতেই পারে কিন্তু ছোট একটা ভুল করলেই বড় ধরণের হামলা, মামলার শিকার হতে হয় সাংবাদিকদের।
    বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন পুলিশ বাহিনী ও সাংবাদিকরা। সরকার পুলিশকে বেতন ভাতা দিলেও সাংবাদিকরা পাচ্ছেন না সরকারি কোনো ভাতা। ভালো কাজ করলে বলা হয় এটা তাদের দায়িত্ব। সামান্যতম ভুল করলে তাদেরকে বড় গালাগালি দেওয়া হয়। পুলিশ ও সাংবাদিক তাদের ঘর থেকে বাহিরে বের হলে বা ডিউটিতে গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অনেক চিন্তায় থাকেন যে, কখন যেন কোন হামলার শিকার হয়। সাংবাদিক ও পুলিশকে বলা হয় ঘুষখোর, চাঁদাবাজ কিন্তু করোনাকালীন সময়ে যখন বাসা বাড়িতে ঘুমিয়েছেন জনগণ-তখন পুলিশ ও সাংবাদিক এবং ডাক্তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করেছেন। যুগ যুগ ধরে সেবা সহযোগিতা করে আসছেন যারা, তারাই জনগণের প্রকৃত বন্ধু। সব পুলিশ বা সাংবাদিক বা ডাক্তার খারাপ না।
    বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র‌্যাব যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গী, খুনী, ধর্ষণকারী, অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতার করেন এবং ভিকটিম উদ্ধার করাসহ অনেক কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। বিশেষ করে কিছু লোকজন অভিমত প্রকাশ করেন যে, পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট হলেও সেই অর্থে তুলনামূলক ভাবে সেবার মান বাড়ছে না। সূত্রমতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মানয়ীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করাসহ পাশাপাশি বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের সকল থানায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে,এতে যেমন প্রশংসা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের। তবে কিছু থানা পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে পুলিশ বাহিনীর বদনামও হচ্ছে, কিন্তু এই দায় নিবে না মানবিক পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ধুলাবালির মধ্যে প্রতিদিন অনেক কষ্টের মধ্যে ডিউটি করেন, তাদের সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
    দেশের থানা পুলিশ কর্তৃক আটক হওয়া ব্যক্তিদের হাজত থেকে কারাগারে থাকা নানারকম সমস্যা হয়ে থাকে, তারপরও মানুষ সঠিক পথে চলে না এটা দুঃখজনক ব্যাপার। ঢাকার আশুলিয়া থানায় জিডি ও অভিযোগের তদন্তই করেন না কিছু পুলিশ অফিসার এমন অনেক ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে। কিছু পুলিশ সদস্যদের দাবি-বেতন বাড়ার সাথে সেবার মান বাড়ছে, আগের চেয়ে অনেকটা উন্নতি হয়েছে পুলিশ বাহিনীর সেবার মান। পুলিশের সেবার মান আরও বাড়বে ও স্বপ্ন একদিন পূর্ণ হবে। তবে পুলিশ ও জনগণের মানুষিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। সূত্র জানায়, জরাজীর্ণ থানাগুলোতে অনেক জায়গায় নতুন ভবন করেছে সরকার। এদিকে বাংলাদেশের পুলিশের নতুন প্রায় ১৫টির মতো ইউনিট গঠিত হয়েছে। কিছু পুলিশ সদস্যের ভুলের কারণে পুরো পুলিশ বাহিনীর দোষ দেয়া হয় এটা ঠিক নয়। পুলিশ সদস্যদের দাবি-বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন তারা, তবে চট্রগ্রামের মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করেন ওসি প্রদীপ এমন একটি সংবাদ শিরোনাম প্রকাশ হয়েছে শীর্ষ জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে। এরপর থেকে পুলিশ বাহিনীর অনেক বদনাম হয়। তবে তাকে র‌্যাব বাহিনী আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর সিলেটে ডাক্তারের চেম্বারে কর্মচারি রায়হানকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। এই হত্যার ঘটনায় সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তরুণ (এসআই) আকবর ভুঁইয়াকে আটক করা হয়। গত ৯ নভেম্বর ২০২০ইং সকালে রাজধানীর আদাবর মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালের কর্মচারিদের গণপিটিুনিতে এ এসপি আনিসুল করিম হত্যার ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনা কেউ আশা করেনি বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন।
    রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের থানায় পুলিশের তেমন কোনো সমস্যা না থাকায় মফস্বল এলাকা থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় আসার জন্য পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে থাকেন। এর অনেক কারণও রয়েছে। মফস্বল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নানারকম সমস্যা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। পুলিশের থাকা খাওয়ার সমস্যা। অনেক সময় জরুরি কাজে গাড়ি না পাওয়াসহ নানারকম সমস্যা রয়েছে পুলিশের। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যেদের অনেক কষ্ট করে ডিউটি করতে হয়, তাদের অনেকেই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এমন অনেক তথ্য রয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, অনেক ইউনিটে চাহিদার চেয়ে অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে দৈনন্দিন কাজ চালানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীতে। বেশিরভাগ ইউনিটি ও থানার নিজস্ব কোনো ভবন নেই, আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। অনেক সময় জরুরি অভিযান পরিচালনার জন্য গাড়ি পাওয়া যায় না। দুঃখজনক বিষয়ঃ সাধারণ মানুষ অনেকেই বলেন, ডাকঢোল পিটিয়ে রং বে-রঙের বেলুন উড়িয়ে পুলিশ বাহিনীতে নতুন নতুন ইউনিটির যাত্রা শুরু হয়, কিন্তু পুলিশের সেবার মান বাড়ছে না কেন? অনেক পুলিশ সদস্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন এর কারণও রয়েছে পারিবারিক সমস্যা। সূত্র জানায়, রাজধানী ছাড়াও যেমনঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। এই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও তদন্ত ওসিসহ ৪০ জনের মত অফিসার রয়েছেন। দেখা যায়, বেশিরভাগ পুলিশ অফিসারগণ ভাড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ১০-১২ বছর আগের পুলিশ আর বর্তমান সময়ের পুলিশ একরকম নয়। সরকার যেমন পুলিশের বেতন বৃদ্ধি করেছে,তেমনি পুলিশের কষ্টও বাড়ছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য জানান, পুলিশ সদস্য ভালো কাজ করলে পাবলিক বলে এটা পুলিশের দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ সদস্য ছোট কোনো ভুল করলে তাদেরকে অনেক সময় বড় ধরণের শাস্তি দেয়া হয়, এমন কি চাকরি চলে যায়।
    বাংলাদেশের “প্রশাসনিক কাঠামো” ৬টি থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ৮টি বিভাগ ও ৬৪ জেলা এখন। ৬৪ জেলায় ৮৬,৬০৮টি গ্রাম। ১৯৭১ সালে মাত্র ৭কোটি জনগণ ছিলো, যা বর্তমানে প্রায় ১৮কোটির মত জনগণ হয়েছে। মানুষ বাড়ছে, ঘর বাড়ি বাড়ছে, ইটভাটা বাড়ছে, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট বাড়ছে, পুলিশ সদস্যও বাড়ছে, কিন্তু সেই অর্থে কি সেবার মান বাড়ছে?। পুলিশ বিভাগের জন্য আলাদা মেডিকেল ইউনিটি গঠিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান খান কামাল গত ৩ অক্টোবর ২০১৯ইং সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে “বিএসআরএফ সংলাপ” অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সরকার গত মেয়াদে ৮০ হাজার পুলিশের জনবল বৃদ্ধি পেয়েছে। জরাজীর্ণ থানাগুলোতে নতুন ভবন করা হচ্ছে।
    পুলিশের নতুন ১৫টি ইউনিট গঠিত হয়েছে। আমরা হেলিকপ্টার সংযোজন করতে যাচ্ছি, তার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি। (পিবিআই), এ ছাড়া দেশের শিল্প এলাকার নিরাপত্তা জোরদার ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ইন্ডাষ্টিয়াল পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ট্যুরিষ্ট পুলিশ গঠন করা হয়। এ ছাড়াও কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট নামে নতুন আরও একটি ইউনিট গঠন হয়। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দাবি-পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর রেঞ্জে রিজাভ ফোর্স (আর আর এফ) এবং পাবনা জেলার আতাইকুলা ও আমিনপুর থানাসহ প্রায় ২৯টি নতুন থানা এবং প্রায় ৪৭টি তদন্ত কেন্দ্র নতুন হয়েছে। বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ও র‌্যাব কর্তৃক অপরাধীদের আটক করতে বেশি সময় লাগে না, অতি দ্রুত অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, জমি দখলকারীসহ সকল অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুরো ক্ষমতা দিয়েছে। বর্তমানে অনেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মানবিক পুলিশের প্রতি মানুষের বেড়েছে সম্মান। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য।

  • পাইকগাছায় গাঁজা সহ আটক- ১১ চেয়ারম্যান-মেম্বার ও অভিভাবকদের জিম্মায় ১০ জন থানা থেকে মুক্ত

    পাইকগাছায় গাঁজা সহ আটক- ১১ চেয়ারম্যান-মেম্বার ও অভিভাবকদের জিম্মায় ১০ জন থানা থেকে মুক্ত

    ইমদাদুল হক।।
    পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছায় গত ২ দিনে গাজাসহ ১১ জনকে পুলিশ ও জনতা আটক করেছে। উপজেলার লস্কর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (১৮) বুধবার সকালে ১০ বন্ধু এক সাথে খড়িয়া বিনা পানি বিদ্যালয়ের কক্ষে গাজা খাচ্ছিল। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫’শ গ্রাম গাজা উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করে । তাদের বয়স কম ও নবম দশম শ্রেণীতে লেখা পড়া করায় তাদেরকে ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন ,তিনজন ইউপি সদস্য ও অভিভাকদের জামিন নামায় ওসি জিয়াউর রহমান মুক্তি দেন বলে ওসি জানান।অন্যদিকে রবিন বিশ্বাস (৪০) নামে এক জনকে গাঁজা সহ থানা পুলিশ আটক করেছেন। সে গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের মালোপাড়ার নকুল বিশ্বাসের ছেলে। উপ-পুলিশ পরিদর্শক তাকবীর হোসাইন জানান, বোয়ালিয়া ব্রীজের উপর এক যুবক গাজা বিক্রির জন্য অবস্থান করছে। এ সংবাদে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রীজের পূর্বপাড়ের দক্ষিণ পাশের সিঁড়ির নিচে থেকে রবিন বিশ্বাসকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে থেকে ৬০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়। পাইকগাছা থানাওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, রবিন একজন মাদক ব্যবসায়ী অন্যান্য ধৃতরা গাজা খোর। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে যার নং ৭।

  • পাইকগাছায় আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষ রোপন

    পাইকগাছায় আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষ রোপন

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছায় বুধবার সকালে আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষ রোপণ অভিযান শুরু হয়েছে। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোছাঃ মৌলুদা খাতুনের সভাপতিত্বে উক্ত বৃক্ষ রোপণ অভিযানে প্রধান অতিথি হিসাবে গাছের চারা রোপণ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন, আনসার কমান্ডার আবু হানিফ, মোঃ হারুনার রশিদ, মোঃ রোকনুজ্জামান, ইউনিয়ন লিডার মোঃ ফয়সাল হোসেন, ওয়ার্ড লিডার মোঃ মিজানুর রহমান, কৃষ্ণা চক্রবর্তী, মনা সানা, সুদিপ্তি বিশ্বাস ও ভিডিপি সদস্য মোঃ আব্দুস সামাদ গাজী সহ অন্যান্য আনসার সদস্যবৃন্দ।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।