Category: দেশজুড়ে

  • জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন এরফানুল করিম চৌধুরী

    জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন এরফানুল করিম চৌধুরী

    মহিউদ্দীন চৌধুরী,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ আসন্ন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা পরিষদের সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন এরফানুল করিম চৌধুরী।

    ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ঘঠিকায় জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে এ মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগ উপ-দপ্তর সম্পাদক ও বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়ুয়া,লোহাগাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আক্তার আহমদ সিকদার,লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও লোহাগাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুচ্ছফা চৌধুরী,সহ-সভাপতি শ্রী নিবাস দাস সাগর,কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহেদ,চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনু,পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক,আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন,পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন,চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন,আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনুচ,চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ গনি সম্রাট, নুরুল আলম জিকু,লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জহির উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক ফজলে এলাহি আরজু,আব্দুল হান্নান ফারুক,লোহাগাড়া শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরুল হক নুনু,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মিয়া শাহজান,লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান,লোহাগাড়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিদুয়ানু হক সুজন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগের ওবায়দুল,জাবেদ করিম,লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদুর রহমান রিয়াদ প্রমূখ।

    জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী এরফানুল করিম চৌধুরী বলেন ইনশাআল্লাহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো বলে আশা করছি। নির্বাচিত হওয়ার পর সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে লোহাগাড়া বাসীর সেবায় সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো ইনশাআল্লাহ।
    জেলা পরিষদ সদস্য এরফানুল করিম চৌধুরী সকলের কাছে দোয়া,সহযোগীতা কামনা করেছেন।

  • আগৈলঝাড়ায় নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

    আগৈলঝাড়ায় নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আগৈলঝাড়ায় ৩৮জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২হাজার ১শ ২১জন। বাংলা প্রথম পত্রে উপজেলার ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তায় নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সকালে সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গৈলা মাদ্রাসা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পরীক্ষ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সার্বিক পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী কেন্দ্রে ২৪৫জন, শ্রীমতি মাতৃ মঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৮৭জন, সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৭৪জন, বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৪৫জন, বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৯০জন,বাগধা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৮০জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় গ্রহণ করে। অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গৈলা দাখিল মাদ্রাসায় ১৫৯জন ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শ্রীমতি মাতৃ মঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৭১জন পরীক্ষার্থীসহ মোট ২১২১জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। প্রথম দিনে বাংলা পরীক্ষায় ৩৮জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

  • টাঙ্গাইলের মধুপুরে কোচ বর্মন শিক্ষার্থীর উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    টাঙ্গাইলের মধুপুরে কোচ বর্মন শিক্ষার্থীর উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    আঃ হামিদ মধুপুর ( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

    টাঙ্গাইলের মধুপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নৃ- তাত্বিক জনগোষ্ঠীর অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী প্রসেণজিৎ কোচ বর্মনের উপর হামলার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মধুপুর, ঘাটাইল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার মিলন মোহনা গারো বাজারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানব বন্ধন করেছে জয়েন শাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন, কোচ আদিবাসী ইউনিয়ন, কোচ আদিবাসী সংগঠন ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। কোচ আদিবাসী সংগঠন মধুপুর শাখার সভাপতি গৌরাঙ্গ বর্মনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জয়েন শাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীন চিসিম, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন মধুপুর শাখার সভাপতি রঞ্জিত নকরেক,ঘাটাইল শাখার সভাপতি স্বপন বর্মন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি জন যেত্রা, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল, কোচ আদিবাসী ইউনিয়ন মধুপুর শাখার সভাপতি অমল বর্মন, মহিষ মারা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেলহাসান ও হামলায় আহত কোচ কিশোরের মা সমেলা রানী প্রমুখ।
    প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানব বন্ধন মধুপুর, ঘাটাইল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার কোচ, গারো সংগঠনের নারী পুরুষ প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
    মানব বন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল গারোবাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। উল্লেখ্য গত ৩০ আগষ্ট কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রাসেনজিৎ বর্মন নামের এক শিক্ষার্থী আহত হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা জামিন নিয়ে এসে পুনরায় হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আদীবাসি নেতৃবৃন্দ যৌথভাবে মানববন্ধন করে।

  • পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রেডক্রিসেন্ট এর মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ

    পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রেডক্রিসেন্ট এর মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ

    মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।

    বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি খাগড়াছড়ির ইউনিট এর আওতায় পানছড়ি যুব রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার সময় প্রথম পর্যায়ে পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাসুদের এর সভাপতিত্বে ও যুব রেডক্রিসেন্ট এর সদস্য শাহিন আলম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এই মৌলিক প্রশিক্ষণ এর উদ্ভোধন করেন উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান যুব রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক যুব প্রধান ও রেডক্রিসেন্ট এর আজীবন সদস্য রায়হান আহম্মেদ।এই সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মিঠুন সাহা।এই সময় আরও বক্তব্য রাখেন
    আজীবন সদস্য আল আমিনসহ প্রমুখ।

    দ্বিতীয় ধাপে মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণে রেডক্রিসেন্ট এর জন্ম, ইতিহাস, মূলনীতি, প্রতীক ও
    প্রাথমিক চিকিৎসা মধ্যে রক্তপাত,পোড়া,হাড় ভাঙা,
    ফিট মুর্চা সহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন পানছড়ি উপজেলা যুব রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব সদস্যবৃন্দ।

    রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক যুব প্রধান ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের আজীবন সদস্য রায়হান আহম্মেদ বলেনঃ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাসুদেব স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।তিনি আন্তরিকতার সহিত শিক্ষার্থীদের এই প্রশিক্ষণ করাতে সহযোগিতা করেছেন।

  • খাগড়াছড়িতে পিআইওদের কর্মবিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

    খাগড়াছড়িতে পিআইওদের কর্মবিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

    (খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি)

    খাগড়াছড়িতে কর্মরত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সারা দেশের ন্যায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে টানা চার দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।

    আজ বৃহস্পতিবার ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন শেষে জেলা প্রশাসক হাতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

    স্মারকলিপি প্রদান কার্যক্রমে পানছড়ি ও মহালছড়ি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পিআইও মোঃ রকিবুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা ও গুইমারার পিআইও ইশতিয়াক আহমেদ, খাগড়াছড়ি সদর পিআইও নিমাই চন্দ্র রায়, দিঘীনালার পিআইও আব্দুস সালাম, মানিকছড়ি ও লক্ষিছড়ির পিআইও তহিদ উজ জামান, রামগড় পিআইও মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তারাধীন সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারি কল্যাণ পরিষদের ডাকে এ কর্মবিরতি পালন করেন।

    দাবি আদায়ের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার(ডিআরআরও) কার্যালয় ও ৯ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কর্মসূচির প্রথম দিন সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন শেষে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

  • পাথরঘাটা পিআইও অফিসের  চলমান অর্ধদিবস কর্মবির‌তির ৪র্থ দিন  অতিবাহিত

    পাথরঘাটা পিআইও অফিসের চলমান অর্ধদিবস কর্মবির‌তির ৪র্থ দিন অতিবাহিত

    পাথরঘাটা (বরগুনা)প্রতিনিধি :বরগুনার পাথরঘাটা পিআইও অফিসে চতুর্থ দিনের মত কর্মবিরতি কর্মসূচি চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলে। সকালে পিআইও মোকছেদুল মোঃ মোকছেদুল আলমসহ তার অফিসের সকলকে এই কর্মবিরতি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখাগেছে।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ এর আলোকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন
    ডিআরআরও পদ আপগ্রেডেশন, পিআইও পদ আপগ্রেডেশন, সচিবালয়ের ন্যায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন ও আপগ্রেডেশন,সকল শুন্যপদ/পদোন্নতি/চলতি দায়িত্ব/নিয়োগের মাধ্যমে পুরনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলার নেয় বরগুনার পাথরঘাটাতেও তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি চলছে।

    অমল তালুকদার।

  • মহালছড়ি দুটি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষা আরম্ভ

    মহালছড়ি দুটি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষা আরম্ভ

    (রিপন ওঝা,মহালছড়ি)

    মহালছড়ি উপজেলার দুটি কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি(ভোকেশনাল) পরীক্ষায় -২২ আরম্ভ হয়েছে।

    তবে এবার সকাল ১০টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    পরীক্ষাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে হবে। এ স্তরে বিকেলে কোনো পরীক্ষা রাখা হয় নি। এমসিকিউ পরীক্ষার সময় ২০মিনিট এবং রচনামূলক পরীক্ষার সময় ১ঘণ্টা ৪০ মিনিট। প্রতিটি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে।

    মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৭০ জন এবং অপর কেন্দ্রে মাইসছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৭৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। উভয় কেন্দ্রে বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২০০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

  • টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাইকগাছায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ; কৃষকের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি

    টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাইকগাছায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ; কৃষকের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    পাইকগাছায় নিন্মচাপের প্রভাব ও টানা চারদিনের ভারি বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর টানা বৃষ্টিপাতে আমন আবাদে চাষীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরিবেশ-প্রকৃতি ও কৃষির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন সবাই। অনাবৃষ্টির কারণে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকায় নতুন করে আমন চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকরা। ধানের চারা ফেলেও বৃষ্টির অভাবে ধান চাষ করতে ব্যর্থ হন চাষিরা। তবে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে কৃষকদের মাঝে। তাই নতুন করে আমন চাষে শুরু করেছে। কৃষকরা সারাদিন আমন চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে যাচ্ছে উপকূল। বছর বছর বাড়ছে পানি, প্লাবিত হচ্ছে আগের বছরের চেয়ে আরও বেশি এলাকা। বিশেষ করে ভরাকটালের পূর্ণিমায় এমনটি বেশি ঘটছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে দক্ষিণ উপকূলের নদনদী এখন আর অমাবস্যা-পূর্ণিমার উঁচু জোয়ারের পানি ধারণ করতে পারছে না। পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এতে পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে যাচ্ছে; ফসলহানি ও জমিতে লবণাক্ততা এবং বাড়িঘর ডুবে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। টানা বর্ষণের কারণে দিন মজুররা কাজ করতে পারেনি।এতে সংসারে টানাটানি পড়েছে। তাছাড়া সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিন্ম আয়ের দিন মজুর মানুষেরা। গত কয়েক দিনের গুড়িগুড়ি, হালকা,মাঝারি ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা বিরামহীনভাবে বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিন্মচাপের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে।ঝুকিপূর্ণ বাধগুলিতে স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করে মেরামত করা হচ্ছে। পৌর বাজারে প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। অনেক নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
    উপকূল এলাকার চাষাবাদ কিছুটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চিংড়ি লীজ ঘেরে সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের উপকার হবে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, লীজ ঘের গুলোতে আমন রোপন চলছে।তাছাড়া অন্য সকল ক্ষেত রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আমনের চারা রোপনের সময় রৌদ্র ও অনাবৃষ্টি থাকা কৃষকদের পানি সেচ দিয়ে জমি তৈরী করতে হয়। এই বৃষ্টি লবণাক্ত এ এলাকার আমন আবাদে অনেক উপকার হবে। এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের কোন ক্ষতিতো হবে না আরো উপকার হবে।বৃস্টি হওয়াতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে আমনের আবাদ হবে বলে তিনি জানান। পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাজু হাওলাদার জানান, এখন পূর্ণিমা ভারিবৃস্টি এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপকূলে উঠে পড়েছে। পাইকগাছায় প্রায় ৩০ কি:মি: বেড়ীবাধ ঝুকিপুর্ণ রয়েছে।তবে কোন বেড়ীবাধ ভাংগেনি।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • সুজানগরে সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    সুজানগরে সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগরে পূজাকে সামনে রেখে উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন। বিশেষ অতিথির ঊক্তব্য দেন পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাননান। অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান,উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী সুবোধ কুমার নটো, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রাজা হাসান প্রমুখ। সভায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জিল্লুর রহমান,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, ভাঁয়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল জলিল বিশ্বাস, মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস আলী বাদশা, মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মাহতাব উদ্দিন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন,সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আলিম রিপন, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাজু, আ,লীগ নেতা গোলাম রসুল বকুল,উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সদস্যবৃন্দ,ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক প্রতিনিধি, নারী সমাজের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলকে আহবান জানানোর পাশাপাশি আসন্ন পূজা উদ্যাপন উপলক্ষে বিশেষ সর্তক থাকার জন্য সভায় বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া আলেম-ওলামা, সনাতনীধর্মের সাধু-পুরোহিত,বীর মুক্তিযোদ্ধা,জনপ্রতিনিধি,পেশাজীবি,ছাত্র,যুব, এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সদস্যদের নিয়ে সামাজিক-সম্প্রীতি সমাবেশ করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • নড়াইলের কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দ্রুত দিনক্ষণ ঘোষণার প্রত্যাশায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বাসী

    নড়াইলের কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দ্রুত দিনক্ষণ ঘোষণার প্রত্যাশায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বাসী

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
    নড়াইলের কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ
    প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দ্রুত দিনক্ষণ ঘোষণার প্রত্যাশায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী। দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান। তিনি বলেন, ৩০ আগস্টের মধ্যে সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধুমাত্র সেতুতে লাইটিংয়ের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তারিখ ঘোষণা হলেই চূড়ান্ত হবে উদ্বোধনের দিনক্ষণ। সেই অপেক্ষায় আছেন সেতু কর্তৃপক্ষসহ গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার কোটি কোটি মানুষ। মুখিয়ে আছেন যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন সংশ্লিষ্টরা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মিত হয়েছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মতি পেলে অক্টোবরের যে কোনো দিন সেতুটি উদ্বোধন হবে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ৭ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
    অপরদিকে, কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বড় ট্রেইলার ৫৬৫টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপ, কনভারশনকৃত জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজি অটোরিক্সা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিনচাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিক্সা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
    উদ্বোধনের পর প্রথমে ম্যানুয়্যাল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে। পরবর্তীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় হবে। এক্ষেত্রে প্রায় একমাস সময় লাগবে। অপারেটরের মাধ্যমে টোল আদায় হবে।
    সেতু কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়রা জানান, এপারে নড়াইলের কালনাঘাট। ওপারে গোপালগঞ্জের শংকরপাশা। মাঝ দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদী। এ নদীর ওপরই নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতু।
    কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, কালনা দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু এটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশে ছয় লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা। এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত এটি। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে। তবে এতোদিন কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদী ধারা বিছিন্ন ছিল। সেতু নির্মাণের ফলে সেই বিছিন্নতা আর রইল না। কালনা সেতু চালু হলে শুধু জাতীয় ক্ষেত্রেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। ভারত, কোলকাতা, আসামসহ দেশের মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর, বেনাপোল ও নোয়াপাড়া নদীবন্দরের মধ্যে যোগাযোগের মাইলফলক রচিত হবে। নড়াইলের লোহাগড়ায় ইপিজেড (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) চালুসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
    কালনাঘাটে স্থাপিত নামফলক থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কালনা সেতু’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কালনাঘাট থেকে ঢাকার দুরত্ব মাত্র ১০৮ কিলোমিটার। ফলে ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, বেনাপোল, যশোর, খুলনাসহ আশেপাশের সড়ক যোগাযোগ কোথাও ১০০ কিলোমিটার, কোথাও আবার ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। তবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ‘এক্সপ্রেস ওয়ে’ নির্মাণ করা হলেও ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত এ ধরণের সড়ক নির্মিত হয়নি। ফলে ‘এক্সপ্রেস ওয়ে’র সুফল পাচ্ছে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বড় একটি অংশ। ভাঙ্গা থেকে নড়াইল-যশোর-বেনাপোল পর্যন্ত বর্তমানে দুই লেন সড়ক চালু আছে। এই অংশে ‘এক্সপ্রেস ওয়ে’ সড়ক নির্মাণের বিষয়টি প্রকল্পাধীন বলে জানিয়েছেন কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান। তিনি বলেন, কালনা সেতু চালু হলে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাবে। তাই আপাতত যশোরের মনিহার সিনেমা হল চত্বর থেকে নড়াইলের কালনাঘাট পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সড়কটি ১৮ফুট প্রশস্ত থাকলেও তা বাড়িয়ে ২৪ ফুট করা হবে। দরপত্রের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দরপত্র অনুমোদন হলে দুই সপ্তাহের মধ্যে ওয়ার্কঅডার দিব। নড়াইল অংশে প্রায় ৪৭ কোটি এবং যশোর অংশে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণ করা হবে। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। এ লক্ষ্যে সড়কের দুই পাশে গাছকাটার কাজ শুরু হয়েছে।
    যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু বলেন, কালনা সেতু চালু হলে যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, মাগুরাসহ পাশের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে যাবে। খুব সহজেই রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াত করা যাবে। আমরা কালনা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি।
    এদিকে কালনা সেতু চালু না হওয়ায় নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, নোয়াপাড়া শিল্পনগর, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলার লোকজন পদ্মা সেতুর সরাসরি সুফলও পাচ্ছেন না। কারণ, কালনাঘাটে এসে ফেরি পারাপারের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সব ধরণের যানবাহনকে। তাই এ অঞ্চলের সবাই তাকিয়ে আছেন কালনা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। প্রধানমন্ত্রী দ্রুত উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবেন-এমন প্রত্যাশা সবার।