Category: দেশজুড়ে

  • বাগেরহাটে স-ন্ত্রাসীদের হা-মলায় সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন নিহ-ত

    বাগেরহাটে স-ন্ত্রাসীদের হা-মলায় সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন নিহ-ত

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বিশেষ প্রতিনিধি :দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হায়াত উদ্দিন (৪২) সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন।শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয়রা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    নিহত হায়াত উদ্দিন বাগেরহাট পৌর শহরের হাড়িখালি এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং সম্প্রতি বাগেরহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

    বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি নেতা ও সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

    পুলিশ জানায়, হত্যাকারীরা কারা এবং কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ঘটনার পেছনের কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। তদন্ত করতে পুলিশ ও অন্যান্য ইউনিট মাঠে কাজ করছে। হত্যাকারী এবং ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

  • নড়াইলের কমল দাশগুপ্ত সুরের মহারাজা

    নড়াইলের কমল দাশগুপ্ত সুরের মহারাজা

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
    নড়াইলের কমল দাশগুপ্ত সুরের মহারাজা হলেন পথের ভিখারি। ১৯১২ সালে ২৮ জুলাই নড়াইলের কালিয়া থানার বেন্দা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন কমল দাশগুপ্তের। ছোট থেকে কখনওই আর্থিক অনটন তাঁকে বুঝতে হয়নি। পরিবারের প্রত্যেকেই জড়িয়ে ছিলেন সঙ্গীতের সঙ্গে। সেই সূত্রেই যোগাযোগ তাঁর। এরপর পরিচয় নজরুল ইসলামের সঙ্গে। কবি নিজে ছাড়া তাঁর সবথেকে বেশি গানের সুর হয়তো কমল দাশগুপ্তই দিয়েছিলেন। অন্তত ৪০০টি নজরুল গীতি এবং অসংখ্য আধুনিক ও সিনেমার গানে সুর দিয়েছেন প্রথম জীবনে। প্রতি মাসে গড়ে ৪৫টি করে গানের সুর দেওয়ার রেকর্ড তাঁর। শুধু এইচ এম ভি-র জন্যই সুর দিয়েছেন ৭ হাজারের বেশি গান। অত সেই কমল গানের সরোবরে তলিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর সুর দেওয়া গান থেকে গিয়েছে। আর থেকে গিয়েছে এক বিষম প্রেমের অমর কাহিনি।
    প্রতি মাসে গড়ে ৪৫টি করে গানের সুর, ১৯৪৬ সালে ৩৭ হাজার টাকা আয়কর
    দিয়েছেন, যিনি গাড়ি ছাড়া পা রাখেননি কলকাতার রাস্তায়; সেই কমল দাশগুপ্ত
    অবশেষে ঢাকায় খুললেন এক মুদিখানা, সত্যি ভালোবাসা তাঁকে ‘ভিখারি’করেছে।
    গীতিকার মোহিনী চৌধুরী লিখেছিলেন ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে’। আর কমল দাশগুপ্তের সুরে সেই গান পরিবেশন করেছিলেন জগন্ময় মিত্র। কিন্তু সেই একটি পঙক্তি যে সুরকারের জীবনের শিরোনাম হয়ে থেকে যাবে, সেটা তখন আন্দাজ করা যায়নি। তখন অবশ্য কমল দাশগুপ্ত কলকাতা কাঁপাচ্ছেন। শুধুই কলকাতা কেন, সারা দেশেই তাঁর মতো সুরকার হাতে গোনা কয়েকজনই আছেন। কিন্তু এসবের মধ্যে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিল এক একাকী কমল দাশগুপ্ত। নিজের শিক্ষার্থীদের শিল্পী যূথিকার কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন আগেই। তার উপরে আছে সংসারের ভার। বাবা এবং দাদাকে হারিয়ে তাঁর কাঁধেই দায়িত্ব মা, ভাই এবং তিন বোনের। তবে মা এবং ভাইও বেশিদিন বাঁচলেন না। পরপর এই দুই মৃত্যু বেশ বিচলিত করেছিল কমলকে। আর ঠিক তখনই এসে হাত ধরল সেই প্রেম। যার টানে সুরের মহারাজা কমল দাশগুপ্ত হলেন পথের ভিখারি।
    সালটা ১৯৫৫। প্রায় এক যুগ পর দেখা হল দুজনের। কমল দাশগুপ্ত এবং ফিরোজা বেগম। ফিরোজা তখন কলকাতায় তাঁর দিদির বাড়িতে চরম অত্যাচারের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে কমল দাশগুপ্তের জীবনেও প্রয়োজন ছিল একটি নিশ্চিত আশ্রয়। আর এভাবেই জন্ম নিল এক প্রেমের রূপকথার। দুজনের ধর্ম আলাদা। তাছাড়া ফিরোজার থেকে ঠিক ১৮ বছরের বড়ো কমল। কিন্তু এসব কোনোকিছুই তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। কমলের বয়স তখন ৪৩।
    বিবাহের পর দুজনে ঘর বাঁধলেন পার্ক সার্কাস অঞ্চলে। বিবাহের ঠিক ৪ বছরের মাথায় ধর্ম পরিবর্তন করলেন কমল। তখন তাঁর পরিচয় হল কামাল। আর ততদিনে কেরিয়ারের ঊর্ধ্বগামী গ্রাফ একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। কলকাতা যেন আর তাঁকে চায় না। সঙ্গীতের জগতে এসে গিয়েছেন অনেক নতুন মুখ। অবশ্য বেশিরভাগ সুরকারকেই নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন কমল দাশগুপ্ত। কিন্তু সেই কৃতজ্ঞতার সঙ্গে খানিকটা অনুজ্ঞা মিশে থাকবে, এটা যে তাঁর সহ্য হয় না। তাছাড়া নাথ ব্যাঙ্ক ভরাডুবি হওয়ায় সমস্ত সঞ্চয়ও খুইয়েছেন। অন্যদিকে ফিরোজার তখন গগনচুম্বী খ্যাতি। কমল ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন ফিরোজার খ্যাতির আড়ালে।
    ১৯৬৭ সালে সপরিবারে সীমানার ওপারে পাড়ি দিলেন কমল দাশগুপ্ত। পূর্ব পাকিস্তানে। কিন্তু ঢাকা শহরেও কোনোরকম অভ্যর্থনা পেলেন না তিনি। পরবর্তী জীবন কাটতে লাগল অভাব আর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে। যে কমল দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে ৩৭ হাজার টাকা আয়কর দিয়েছেন, গাড়ি ছাড়া পা রাখেননি কলকাতার রাস্তায়; সেই কমল অবশেষে ঢাকায় খুললেন একটি মুদিখানার দোকান। অবশ্য তখন তিনি কামাল উদ্দিন।
    ঠিক এমনই সময় বাংলাদেশ উত্তাল আরেক স্বাধীনতার লড়াইতে। একসময় এমনই এক স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কমল দাশগুপ্ত সুর দিয়েছিলেন ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’ গানটি। নেতাজির নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ বাহিনীর সদস্যদের মুখে মুখে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছিল সেই গান। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে যেন এক চরম উদাসীনতা গ্রাস করেছে কমলকে। আর তার প্রতিফলন পাওয়া যায় ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের শিরোনাম, ‘তিনি সাক্ষাৎকার দিতে চাননি’।
    সুরকার কমল দাশগুপ্তের সন্ধান নিতে এসে ‘পথিকার’ নামে একটি মুদি দোকানের সামনে এসে রীতিমতো অবাক হয়েছিলেন সেই প্রতিবেদনের লেখক। এই নিয়ে প্রশ্ন করতেই আবেগঘন হয়ে ওঠে সুরকারের গলা। উত্তর দিলেন ‘আমাকে তো সংসার চালাতে হবে। খেয়ে বাঁচতে হবে।’
    কথায় কথায় উঠে এসেছিল এক গভীর অভিমানের অভিব্যাক্তি। স্পষ্ট বলে বসলেন, ‘পাঁচ বছর এই দেশে আছি, কই কেউ তো কোনোদিন সাক্ষাৎকার নিতে আসেনি। কোনোদিন বেতার টেলিভিশন জানতেও চায়নি কেমন আছি? আজ এতোদিন পর কী দরকার ওসবের?’ তবে শেষ পর্যন্ত আবার কাজের মধ্যে ফিরেছিলেন কমল দাশগুপ্ত। তখন গীতিকার ও বেতার শিল্পী শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে রাজি করালেন নিজস্ব স্টুডিও এবং বিশেষ বাদ্যযন্ত্রী গোষ্ঠী গড়ে তোলার। এসবের দায়িত্ব নিলেন কমল দাশগুপ্ত নিজেই। জন্ম নিল ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিস। এখানেই রেকর্ড করলেন নানা ধরনের কাওয়ালি গান। আর ‘কেন এমন হয়’ সিনেমাতেও সঙ্গীত পরিচালনা করলেন তিনি। এছাড়া স্ত্রী ফিরোজার নামে বাংলা আকাদেমি থেকে প্রকাশ করলেন ‘নজরুল গীতিমালা’। প্রতিটা স্বরলিপির চিহ্ন এবং কৌশল তাঁর নিজের আবিষ্কার।
    তবে শেষ পর্যন্ত আর স্রোতে ফিরতে পারেননি। দীর্ঘদিনের অনিয়মে শরীর ততদিনে ভেঙে পড়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। তারপর আর উঠলেন না। ১৯৭৪ সালের ২০ জুলাই এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন তিনি। সেই কমল দাশগুপ্ত কি শেষ জীবনে বলেছিলেন, ‘পৃথিবী আমারে চায় না’?
    ১৯১২ সালে ২৮ জুলাই বাংলাদেশের কালিয়া থানার বেন্দা গ্রামে জন্ম কমল দাশগুপ্তের। ছোট থেকে কখনওই আর্থিক অনটন তাঁকে বুঝতে হয়নি। পরিবারের প্রত্যেকেই জড়িয়ে ছিলেন সঙ্গীতের সঙ্গে। সেই সূত্রেই যোগাযোগ তাঁর। এরপর পরিচয় নজরুল ইসলামের সঙ্গে। কবি নিজে ছাড়া তাঁর সবথেকে বেশি গানের সুর হয়তো কমল দাশগুপ্তই দিয়েছিলেন। অন্তত ৪০০টি নজরুল গীতি এবং অসংখ্য আধুনিক ও সিনেমার গানে সুর দিয়েছেন প্রথম জীবনে। প্রতি মাসে গড়ে ৪৫টি করে গানের সুর দেওয়ার রেকর্ড তাঁর। শুধু এইচ এম ভি-র জন্যই সুর দিয়েছেন ৭ হাজারের বেশি গান। অত সেই কমল গানের সরোবরে তলিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর সুর দেওয়া গান থেকে গিয়েছে। আর থেকে গিয়েছে এক বিষম প্রেমের অমর কাহিনি। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

  • গোদাগাড়ীতে দিন দিন হারি-য়ে যেতে বসেছে মসজিদ, মক্তব্যে দুয়া, কালাম, কুরআন শিক্ষা।

    গোদাগাড়ীতে দিন দিন হারি-য়ে যেতে বসেছে মসজিদ, মক্তব্যে দুয়া, কালাম, কুরআন শিক্ষা।

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ মসজিদ-মক্তবে কুরআন শিক্ষা হলো একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যবস্থা যেখানে শিশুরা মসজিদ বা অনুরূপ স্থানে একত্রিত হয়ে কুরআন তেলাওয়াত, আরবি ভাষা, এবং ইসলামিক মূল্যবোধ শেখে। এটি সাধারণত ছোট শিশুদের জন্য প্রথমিক ইসলামি শিক্ষার একটি মাধ্যম, যা তাদের নৈতিক ও ধর্মীয় ভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

    দু যুগ আগেও ছেলে মেয়ে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসাসহ যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া লেখা করুক না কেন? অভিভাবকগণ তার ছেলে মেয়ে বাড়ী পাশ্ববর্তী মসজিদে হুজুরের হতে কুরআন শিক্ষা, দুয়া, কালাম গ্রহন করতে বাধ্য করতেন। বিনিময়ে হুজুরকে সপ্তাহে দেয়া হতো বাড়ী বাড়ী উঠানো মুষ্ঠির চাউল।বয়স্ক লোকজনও কুরআন শিক্ষা গ্রহন করতেন। এখন এগুলি রুপকথার গল্প। কোন মসজিদ কতৃপক্ষ আগ্রহ দেখালো, শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না কোচিং, প্রাইভেট বানিজ্যের কারণে।

    আগেও খুব ভোরে প্রতিটি বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েরা দল বেধে বুকে আমপারা বা কোরআন অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আরবি শিক্ষা নিতে যেত, দুয়া কালাম, আযান দেয়া, সালাম দেয়া, বাবা, মা, বয়স্কদেরকে শ্রোদ্ধা, সালাম কালাম করা শিখাতেন এবং আসার সময় মক্তব থেকে প্রফুল্ল মনে বাড়ি ফিরত। গ্রামাঞ্চলেতো বটেই শহরাঞ্চলেও এই দৃশ্য দেখা যেত। যা প্রত্যেক শিশুদের জন্য সারা জীবনের প্রাপ্তি হয়ে থাকতো।

    কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের চাপে সেই স্মৃতি এখন অতীত। এখন শহরেতো নেই বরং গ্রামাঞ্চলেও উঠে গেছে মসজিদ, মক্তবে গিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা নেওয়ার প্রবণতা নেই। কোচিং, প্রাইভেট বানিজ্য তবে এই বন্ধাত্বতাকে কাটিয়ে উঠে কিছুটা হলেও সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম।

    মহিশালবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ও মহিশালবাড়ী শাহ সুলতান (রহ.) কামিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের অধ্যাপক মোঃ দুরুল হোদা বলেন, আরবি শিক্ষা অর্জনকারী, কোন ব্যক্তি তার বৃদ্ধ বাবা মা কে রেল স্টেশনে ফেলে রেখে আসেন না। বাড়ী থেকে বের করে দেন না। সেবা বঞ্চিত করেন না।
    সত্যি কথা বলতে আমরাও ছোট বেলায় পাশ্ববর্তী মসজিদের মক্তবে আমপারা এবং কোরআন শিক্ষা নিয়েছি এবং সেখানেই নামাজ শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব কিছু শিখেছি যা এখনো আমাদের মনে গেথে আছে। তবে বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায়, কোচিং, প্রাইভেট, কেজি স্কুল সকালে হওয়ার কারণে আর ছেলে মেয়েরা মসজিদ, মক্তবমূখি হয় না, তাই এখন অভিবাবকগণ আগেরমত শিশুদের মক্তবে পাঠায় না বরং ভোরে কিন্ডার গার্ডেন, প্রাইভেট, কোচিং হাত ধরে নিয়ে যায়। ফলে ধর্মীয় শিক্ষার অভাব রয়ে যাচ্ছে। তবে আমি দেখেছি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বেশ কিছু মসজিদে বিনামূল্যে কোরআন শিক্ষা বা মক্তব্যের ব্যবস্থা করেছে সেখানও উপস্থিতি কম। এযদিও এই কার্যক্রম সব মসজিদে নেই আমি মনে করি এটা সব মসজিদে করা দরকার।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিশালবাড়ী জামে মসজিদের ঈমাম মাসুদ রানা বলেন, ছোটবেলায় যে, শিক্ষা মানুষ পায় সেটা কখনো ভুলেনা। তাই ছোট বেলা থেকে সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা দিতে পারলে মানুষ বিপদগামী হওয়ার সম্ভবনা কম। মসজিদ কতৃপক্ষ ও আমি ব্যক্তিগত ভাবে এ মসজিদে কুরআন শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করে বার বার ব্যর্থ হচ্ছি। আভিভাবকগণ তার ছেলে মেয়েদের মসজিদে পাঠাতে যাচ্ছেন না। ২৫/৩০ ছেলে ছেলে মেয়ের বেশি পাওয়া যাচ্ছে না।

    তবে অনেক অভিভাবকগণ মনে করেন সকাল বেলায় প্রাইভেট, কোচিং, কেজি স্কুলগুলোর সময় পরিবর্তন করা দরকার। কারণ সেই সময়ে যদি শিশুদের মসজিদে মসজিদে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে খুবই ভাল হতো। আর স্বল্প সংখ্যক মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই গণশিক্ষা কার্যক্রম চলছে এটা খুবই ভাল দিক, এর মাধ্যমে এখনো গ্রামে অনেক ছেলেমেয়ে বিনাপয়সায় কোরআন শিক্ষা পাচ্ছে তাই এর পরিধি আরো বাড়ানো দরকার।
    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক ফয়সাল আহমেদ বলেন, মসজিদে, মক্তব্য কুরআন শিক্ষা দিন দিন কমে যাওয়া আমাদের জন্য কষ্টকর। আমরা এখান থেকে প্রথম ইসলামের জ্ঞান অর্জন করি। শুদ্ধভাবে সুরা-কেরাত পড়ার যোগ্যতা অর্জন, বিশুদ্ধভাবে নামাজ আদায়ের মাসয়ালা শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে অজু, গোসল, তায়াম্মুম, দোয়া-দরুদ, কালেমা, নামাজ, রোজা, মৃত ব্যক্তির গোসল, কাফনের কাপড় পরানো, দাফন করার নিয়মসহ বিভিন্ন বিষয় শেখানো হয়। এ সসজিদ মক্তব ব্যবস্থা শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত আছে।

    আলেমগণসহ সচেতন মহল মনে করেন, শিশুদের ইসলামি জ্ঞান, কুরআনের জ্ঞান না থাকার কারণে শিশু, কিশোরগণ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়ছে। পৃর্বের মত মসজিদে মসজিদে কুরআন শিক্ষা চালু করা প্রয়োজন। এব্যপারে প্রধান উপদেষ্টা, ধর্মীয় উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • নেছারাবাদে গাবখান চ্যানেলের ভাঙনে বি-লীন হওয়ার পথে শতবর্ষী সাগরকান্দা হাট এবং পরিবেশ বান্ধব  রেইনট্রি গাছ

    নেছারাবাদে গাবখান চ্যানেলের ভাঙনে বি-লীন হওয়ার পথে শতবর্ষী সাগরকান্দা হাট এবং পরিবেশ বান্ধব রেইনট্রি গাছ

    নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

    নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেল সংলগ্ন সাগরকান্দা হাট নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙনে হাটের একাংশ বিলীন হয়ে গেছে খালের গর্ভে। এবার হুমকির মুখে পড়েছে শতবর্ষী কয়েকটি রেইনট্রি গাছ ও হাটের অবশিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

    সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, খালের পাড় ঘেষে দাড়িয়ে থাকা শতবর্ষী রেইনট্রি গাছগুলোর শিকড় বেরিয়ে গেছে, কয়েকটি গাছ হেলে পড়েছে খালের দিকে। স্থানীয়রা জানান, এগুলো তাঁদের পূর্বপুরুষের রোপণ করা গাছ, যা শুধু পরিবেশ নয়, এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাগরকান্দা হাট উপজেলার অন্যতম প্রাচীনতম হাট, প্রায় এক শতাব্দী ধরে এখানে সাপ্তাহিক বেচাকেনা হয়ে আসছে। প্রতিবছর এখান থেকে প্রায় চার লাখ টাকা রাজস্ব জমা হয় সরকারি কোষাগারে। এক সময়কার জমজমাট মিঠারহাট (ঘুড়ের দোকান), তরকারিপট্টি, নরসুন্দরের দোকান, মুদিমনোহারি দোকানসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট মামুন হোসেন বলেন, “এই গাছগুলো আমাদের পূর্বপুরুষের হাতে রোপণ করা। এগুলো শুধু গাছ নয়, আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। আমরা চাই সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এই গাছ ও হাটকে রক্ষা করুক।”

    একইভাবে স্থানীয় বাসিন্দা ও বাংলাদেশ বাফার সদস্য মো: জিয়াউদ্দিন তৌহিদ বলেন, “সাগরকান্দা হাট আমাদের দাদাদের সময়ে গড়ে ওঠেছে। এই গাছগুলোও তাঁদের লাগানো। এখন হাট ও গাছ উভয়ই সরকারি সম্পদ। যদি দ্রুত নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে শতবর্ষের ঐতিহ্য বিলীন হয়ে যাবে।”

    এদিকে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রয়োজনে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি দেখব। হাটের পক্ষ থেকে কেউ আবেদন করলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

    স্থানীয়রা মনে করছেন, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে শতবর্ষী গাছ ও ঐতিহ্যবাহী হাট দুটোই গাবখান চ্যানেলের গর্ভে হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।।

  • বাবুগঞ্জ টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন ও সম্মাননা অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    বাবুগঞ্জ টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন ও সম্মাননা অনুষ্ঠান সম্পন্ন

    বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি: মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।

    বাবুগঞ্জ টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকবৃন্দকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ৯টায় বাবুগঞ্জ টিচার্স ক্লাবের নিজস্ব ভবনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

    বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাব এর আয়োজিত এ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এতে বাবুগঞ্জ টিচার্স ক্লাব এর সহ-সভাপতি, মোঃ মাসুদ আহম্মেদ এর সঞ্চালনায়

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান, এভারগ্রিন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও সভাপতি গভার্নিং বোর্ডের বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ জনাব মেহেরুন্নেসা শিরিন, বাবুগঞ্জ টিচার্স ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহে আলম এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এভারগ্রিন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড আবুল কালাম আজাদ, আ.ন.ম. আঃ হালিম অধ্যক্ষ বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ,

    মোঃ কামরুজ্জামান সহযোগী অধ্যাপক সমাজকর্ম, বরিশাল বিএম কলেজ

    মোঃ মুজিবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট,পিটিআই, ঝালকাঠি।

    মোঃ আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস, উপ-পরিচালক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা ও সভাপতি ফরিদগঞ্জ বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসা কেদারপুর বাবুগঞ্জ বরিশাল, অ্যাডভোকেট এস এম সফিউল্লাহ বিদ্যুৎসাহী সদস্য গভর্নিং বডি বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ,

    মেজবাউল আমিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার ইসলামী ব্যাংক, চরফ্যাশন উপজেলা শাখা,ভোলা,

    মোঃ মনজুর রহমান

    অধ্যক্ষ কেদারপুর সোনার বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,

    মোঃ ইসহাক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক

    নূর-ই-কারিমা, জমিদাতা বাবুগঞ্জ টিচার্স ক্লাব ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক,

    এইচ এম শাহজাহান সহকারি প্রধান শিক্ষক কেদারপুর সোনার বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সভাপতি বিমানবন্দর প্রেসক্লাব ও সুজন সম্পাদক বাবুগঞ্জ মোঃ আরিফ আহমেদ মুন্না, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন খান রানা,

    অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন আব্দুল কাদের মাল সাবেক অধ্যক্ষ পশ্চিম বছরিয়া আলিম মাদ্রাসা, মোহাম্মদ আব্দুল সালাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক সিংহেরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

    সভাপতিত্ব করেন বাবুগঞ্জ টিচার্স ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শাহে আলম।

    সঞ্চালনায় ছিলেন ক্লাবের সহ-সভাপতি জনাব মোঃ মাসুদ আহম্মেদ।

    এ সময় বাবুগঞ্জ উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। বক্তারা তাঁদের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, শিক্ষকরাই একটি জাতির পথপ্রদর্শক।

    আয়োজনে ছিল বাবুগঞ্জ টিচার্স ক্লাব, বাবুগঞ্জ, বরিশাল।

  • দোয়ারাবাজারে সুষ্ঠু ভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ কে প্রেসক্লাব উপদেষ্টার অভিনন্দন

    দোয়ারাবাজারে সুষ্ঠু ভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ কে প্রেসক্লাব উপদেষ্টার অভিনন্দন

    হারুন অর রশিদ,

    দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন সম্পন্ন হওয়ায় দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ ও দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহিদুল হক -কে অভিনন্দন জানিয়েছেন দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিম লিলু ও প্রেক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হারুন অর রশিদ।

    শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এ বছর দোয়ারাবাজারে দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে। এতে প্রশাসনের ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

    তিনি ইউএনও এবং ওসির পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণের প্রশংসা করেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি ভবিষ্যতেও এ ধরণের উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।

    উল্লেখ্য, এবছর দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যথাযথ নিরাপত্তা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়, যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন।

  • বিজয়া দশমী উপলক্ষে গোপালগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত

    বিজয়া দশমী উপলক্ষে গোপালগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জের সাতপাড়ে যুব সমাজের আয়োজনে দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীকে আনন্দ মুখর করতে শতবছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকালে সদর উপজেলার সাতপাড় মধুমতী বিলরুট ক্যানেল নদীতে প্রায় শত বছর ধরে বিজয়া দশমীতে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ নৌকাবাইচে সরেঙ্গা, ছিপ, কোষা, চিলাকাটা, জয়নগর, বাচারী বাহারী নামের নৌকা অংশ নেয়।

    উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ -২ আসনে বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি এবং বর্তমান আহবায়ক কমিটির অন্যতম সিনিয়র সদস্য এম এইচ খান মঞ্জুকে ট্রলারে ঘুরে ঘুরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান তিনি।

    এসময় কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরের সভাপতি রমেন্দ্রনাথ সরকার, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শেখ ইয়াহিয়া, শরীফ আমিনুল ইসলাম টিক্কা, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোঃ লিটন মিয়া, শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মাসুদ শেখ, সিঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি তাপস কুমার সরকার, সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দীপঙ্কর বিশ্বাস, বিষ্ণুপদ সহ বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিতি ছিলেন।

    এছাড়া নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ মানুষের মিলন মেলা বসেছিল। বর্ষার বিদায় লগ্নে শরতের মনোরম বিকেলে। সকাল থেকে বৃষ্টি থাকলেও বিকেলে বৃষ্টি না থাকায় আনন্দ মুখর পরিবেশে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে মাঠে বসেছে গ্রামীণ মেলা।

  • সংবাদ প্রকাশের জে-র : সাংবাদিকের ওপর ব-হিস্কৃত নেতার হা-মলা

    সংবাদ প্রকাশের জে-র : সাংবাদিকের ওপর ব-হিস্কৃত নেতার হা-মলা

    কে এম সোয়েব জুয়েল,

    সরকারি সম্পত্তির গাছ কাটার সংবাদ প্রকাশের পর দলীয় পদ থেকে বহিস্কারের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে বরিশালের গৌরনদী প্রেসক্লাবের সদস্য ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) উপজেলা শাখার সভাপতি এসএম মিজানের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    শুক্রবার সকালে ঘটনার সাথে জড়িত বহিস্কৃত স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ভুক্তভোগি সাংবাদিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি এসএম মিজান অভিযোগ করে বলেন, সরকারি সম্পত্তির গাছ কেটে সমালোচনার মুখে স্বেচ্ছাসেবক দলের গৌরনদী শাখার যুগ্ন আহবায়ক সফিকুল ইসলাম রোকনকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল।

    এনিয়ে “সরকারি গাছ কেটে তদন্তের মুখে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা” শিরোনামে বাংলাদেশের খবর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রোকনকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরপর থেকেই রোকন ও তার সহযোগিরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো।

    তিনি আরও বলেন-গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত দশটার দিকে টরকী চৌরাস্তায় বসে বহিস্কৃত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রোকন ও তার সহযোগিরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা চালায়। পরবর্তীতে হামলাকারীরা আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। হামলাকারীরা সাংবাদিকের ম্যানিব্যাগসহ সাথে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

    অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম রোকন বলেন, হামলা কিংবা কোন হুমকির ঘটনা ঘটেনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

    লিখিত অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযোগের তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অ-ভিযান ৯ লক্ষাধিক টাকাসহ ২৯ জু-য়ারিকে আ-টক

    আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অ-ভিযান ৯ লক্ষাধিক টাকাসহ ২৯ জু-য়ারিকে আ-টক

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার বগাবাড়ী বাজার এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ৯ লক্ষাধিক নগদ টাকা ও জুয়ার তাস এবং অন্যান্য আলামতসহ ২৯ জন পেশাদার জুয়াড়িকে হাতেনাতে আটক করেছেন।

    গত বৃহস্পতিবার ০২/১০/২০২৫ইং গভীর রাতে আশুলিয়া থানার এসআই মোঃ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি যৌথবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেন।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে, বগাবাড়ী বাজারের শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে জুয়ার আসর বসে আসছিল।

    অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ জানায়, রাত আনুমানিক ২টার দিকে অভিযানে গেলে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। এসময় ধাওয়া করে ২৯ জনকে আটক করা হয়। আসামিদের মধ্যে কয়েকজন পালানোর সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়, পরে তাদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

    পুলিশ জানায়, জুয়ার আসর থেকে মোট ৯,০৬,৭৩০/- টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অর্থের মধ্যে ১০০০ টাকার নোট ৫২৬টি, ৫০০ টাকার নোট ৭৪৮টি, অন্যান্য মূল্যমানের নোটও উদ্ধার করা হয়েছে।

    এছাড়াও মোট ২৫ বান্ডেল তাস উদ্ধার করা হয়, প্রতিটি বান্ডেলে ৫২টি করে তাস ছিল।

    আটক কৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই এলাকায় গোপনে জুয়া পরিচালনা করে আসছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৮৬৭ সালের জুয়া আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৯ জন জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৯ লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হয়, এ ধরনের অভিযান চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।

  • নলছিটিতে কী-টনাশকে হাঁসের মৃ-ত্যুতে ভেঙে পড়েছে অ-সহায় পরিবার

    নলছিটিতে কী-টনাশকে হাঁসের মৃ-ত্যুতে ভেঙে পড়েছে অ-সহায় পরিবার

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মধ্য ভেরনবাড়িয়া গ্রামে কৃটনাশকের কারণে অসহায় এক পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। মৃত মো: আক্কাস তালুকদারের একমাত্র ছেলে মো: রনি তালুকদার পড়াশোনার পাশাপাশি হাঁস-মুরগি পালন করে সংসারের খরচ চালাতেন।

    স্থানীয়রা জানান, কে বা কারা চাষের জমিতে জনসাধারণকে না জানিয়ে ক্ষতিকর কৃটনাশক প্রয়োগ করে। এতে পাশের পানিতে থাকা রনির পালিত হাঁসগুলো বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে তার ২৬ টি হাঁস মারা যায়।

    হঠাৎ এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে রনি তালুকদারের পরিবার। হাঁসগুলোই ছিল তাদের সংসারের একমাত্র ভরসা। হাঁস হারিয়ে পরিবারটি চরম সংকটে পড়েছে।

    এ বিষয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের কারণে নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা এর সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।