Category: দেশজুড়ে

  • দোয়ারাবাজারে”অবৈ-ধ বালু উত্তোলন” মোবাইল কোর্টে দুইজনকে কা-রাদণ্ড” ২টি হ্যান্ড ট্রলিসহ বালু জ-ব্দ

    দোয়ারাবাজারে”অবৈ-ধ বালু উত্তোলন” মোবাইল কোর্টে দুইজনকে কা-রাদণ্ড” ২টি হ্যান্ড ট্রলিসহ বালু জ-ব্দ

    হারুন অর রশিদ।
    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চিলাই নদী থেকে ইজারা বিহীন অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে দুই যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরূপ রতন সিংহ।

    শনিবার (৪ অক্টোবর ২০২৫) সকালে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত এ মোবাইল কোর্ট অভিযান দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বালিচড়া গ্রামে বাংলাবাজার– বোগলাবাজার সড়কের পাশে চিলাই নদীর ভোলাখালী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত হয়। অভিযানে বোগলাবাজার ইউনিয়নের বালিছড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র মিলন মিয়া (২৭) ও লাল মিয়ার পুত্র ফালান মিয়া(২৫)কে ৬ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে এবং ২টি হ্যান্ড ট্রলি বালু বুঝাইসহ জব্দ করা হয়েছে।

    অভিযানে দোয়ারাবাজার থানার এসআই কৌশিক উপস্থিত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ বলেন, দোয়ারাবাজার উপজেলার ইজারাবহির্ভুত চিলাই নদীর বালিচড়া এলাকা হতে ২ জনের প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, বালিচড়া গ্রাম সংলগ্ন ভোলাখালী ব্রীজ তলদেশ হতে অবৈধভাবে বালুউত্তোলনের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • পাইকগাছায় চিংড়ী রোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অ-নুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় চিংড়ী রোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অ-নুষ্ঠিত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ।।

    খুলনার পাইকগাছায় চিংড়ী রোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার সকালে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, লোনাপানি কেন্দ্র, পাইকগাছা, খুলনার অডিটোরিয়ামে চিংড়ী রোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ও ইউনাইটেড স্টেটস্ ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এর যৌথ অর্থায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত চিংড়ীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উক্ত কর্মশালা আয়োজিত হয়। প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমন্ত্রিত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার (চিংড়ি চাষি, উদ্যোক্তা, টেকনিশিয়ান, ম্যানেজার, একুয়া ড্রাগস কোম্পানির প্রতিনিধি, গবেষক, বিজ্ঞানী) এর উদ্দেশ্য কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোনাপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. মো. লতিফুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আবু সাবাহ, সহকারী অধ্যাপক, ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ ও সফল চিংড়ী চাষী।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাকুয়াটিক এনিমেল হেলথ গ্রুপ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন জনাব শাওন আহম্মেদ, প্রভাষক, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন লোনাপানি কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মোঃ গোলাম মোস্তাফা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আহসান হাবিব (সেকশন ম্যানেজার, সিপি বাংলাদেশ), জিএম মিজানুর রহমান (সাংবাদিক), কমলেশ বিশ্বাস, (সিনিয়র টেকনিশিয়ান, শ্রিম্প কালচার, ইয়ন গ্রুপ), ইবরার হোসেন (টেকনিশিয়ান, সেতারা ফিস এন্ড শ্রিম্প ফার্ম), সাফুজ্জামান সাগর (পরিচালক, ব্লু-বে বাগদা ও গলদা ফার্মিং), হেলাল উদ্দিন খান (ম্যানেজার, রয়েল গ্রুপ), তারক সানা (চিংড়ী চাষী) সহ আরো অনেকে । কর্মশালায় চিংড়ী চাষীদের বাস্তব ভিত্তিক উপলব্ধি প্রকাশ, চিংড়ীর প্রধান রোগসমূহের বর্তমান অবস্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশলের উপর অতিথিবৃন্দ আলোচনা করেন।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায়  অ-নির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন

    পাইকগাছায় অ-নির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ।।

    বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাইকগাছায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে এসোসিয়েশন এর আওতাধীন কর্মচারীরা। ১ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। সরকারি ছুটি শেষে ৪ অক্টোবর শনিবার ও অব্যাহত রয়েছে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক / সমমান সংযুক্ত করে ১৪ তম গ্রেড প্রদান ও ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদান সহ ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ইপিআই এবং টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে এসোসিয়েশন এর পাইকগাছা উপজেলা শাখা এ অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি পালন করছে। কর্মবিরতি পালনের সময় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশন এর উপজেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সহ সভাপতি আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক তুষার সরকার, এম আজিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, রীতা সরদার, বেবী সরদার, তরুলতা, কল্পনা বালা, নমিতা গাইন, প্রজিত রায়, সাইফুল ইসলাম, আল আমিন রেজা, রোকেয়া আক্তার, মুসলিমা খাতুন, লাইলী খাতুন ও ঝর্ণা সিকদার সহ সকল স্বাস্থ্য সহকারী।

  • ৮০ বছর থেকে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বি-খ্যাত গোদাগাড়ীর পানিহার লাইব্রেরি

    ৮০ বছর থেকে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বি-খ্যাত গোদাগাড়ীর পানিহার লাইব্রেরি

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ আলবার্ট আইনস্টাইন এর মতে, “লাইব্রেরির অবস্থান জানা ঠিক পাঠশালার ঠিকানা জানা মতো”
    লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার শুধু বইয়ের ভাণ্ডার নয়—এটি জ্ঞান, কল্পনা এবং স্বপ্নের এক অনন্ত জগৎ। এখানে প্রতিটি বইয়ের পাতায় লুকিয়ে থাকে নতুন এক অভিজ্ঞতা, নতুন এক শিক্ষা। এসব কথাগুলির মূল্যয়ন করে
    রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল অজপাড়াগাঁ পনিহার গ্রামে এনায়েত উল্লাহ পন্ডিত গড়ে তোলেন লাইব্রেরির যার নাম ঐতিহাসিক বিখ্যাত পানিহার লাইব্রেরি। এখানে যে কেউ এসে পাঠাগারের গ্রন্থবলির বৈচিত্র্য ও বিপুল সংখ্যা দর্শন করে বিস্মিত হবেন। কতটা ঐকান্তিক আগ্রহ এবং সাধনা থাকলে এইরূপ একটি বিরাট সংখ্যার একত্র সমন্বয় করা যায়, সে শুধু কল্পনার বিষয়।” আমরা গর্বিত জাতি, গর্ব করার মতো এখনো অনেক কিছু আছে।

    শেখ এনায়েত উল্লাহর জন্ম এই পানিহারেই‌। গ্রামটিতে যাতায়াতের জন্য আগে কোন পাঁকা সড়ক ছিল না‌। এনায়েত উল্লাহ প্রতিদিন হেঁটে যেতেন ১৩ কিলোমিটার দূরের স্কুলে। এভাবেই প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে পড়াশোনা করতে যান অবিভক্ত বাংলার নবাব বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। তিনি যখন মাইনোর (এখনকার অষ্টম শ্রেণি) পাস করেন, তখন মারা যান বাবা। এনায়েতের স্কুলজীবনও এখানেই শেষ‌‌। কিন্তু বই পাগল এনায়েতের পড়ার ঝোঁক ছাড়ে না।

    তিনি বই কিনতেন আর আলমারিতে সাজিয়ে রাখতেন। তখন গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত মানুষও তাঁর বাড়িতে গিয়ে বই পড়া শুরু করলেন। তা দেখেই আশেপাশের কিছু মানুষকে নিয়ে এনায়েত উল্লাহ প্রতিষ্ঠা করলেন পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি। তখনো পানিহারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। গ্রাম থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ছিল বাসস্ট্যান্ড। আর ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল রেলস্টেশন‌। তবুও দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই লাইব্রেরীতে আসতেন।

    রাজশাহী থেকে বিখ্যাত ‘পানিহার লাইব্রেরী দেখতে গিয়েছিলাম গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী এক বন্ধুর সাথে। গোদাগাড়ী যাবার পথে বসন্তপুর মোড়, রাজশাহী মহানগরী থেকে ১৭ কিঃ মিঃ, সেখান থেকে ৭/৮ কিঃমিঃ গ্রোগ্রাম ইউনিয়ন হয়ে পানিহার গ্রাম। সেখানে জরাজীর্ণ ভগ্ন লাইব্রেরী দেখে কষ্টই হয়েছিল, এক সময়কার বিখ্যাত মনীষী ও গুণীজনের পদভারে আলোকিত সেই বিখ্যাত লাইব্রেরী দেখে।

    গোদাগাড়ী উপজেলার বরেন্দ্রভূমির এক সময়কার সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকার পল্লীর এক নিভৃত গ্রাম পানিহার। এই গ্রামের শিক্ষানুরাগী এনায়েত উল্লাহ পন্ডিত তাঁর বাড়ির সামনে ২ শতক জমির উপর মাটির ঘর ও টিনের চালা নির্মিত দুটি ঘরে এই ঐতিহ্যবাহী লাইব্রেরীটি ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।
    এই লাইব্রেরীতে বর্তমানে ত্রিশ হাজেরের মত নামী দামী দেশ বিদেশের বহু লেখকের বই রয়েছে। সাময়িকী পত্রিকা, উপন্যাস, কবিতা, বাংলা অনুবাদ,কাব্য ও কবিতা, বিশ্বকোষ, নাটক, জীবনী, রহস্য উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, ডিকেটটিভ, অর্থনীতি, উদ্ভিদ ও প্রাণী বিজ্ঞান বই ইত্যাদি।
    গোদাগাড়ীর সাঁওতাল জনপদে জন্ম নেওয়া সাঁওতাল সংগ্রামী নেতা এনায়েত মাষ্টারের পরম বন্ধু শিক্ষানুরাগী সারগাম ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে সংসদ সদস্য এল,এম,এ নির্বাচিত হলে এ লাইব্রেরীটি আরও সমৃদ্ধ হয়।

    তৎকালীন মন্ত্রী প্রভাস লাহিড়ী, ধীরেন দত্ত, আইনুদ্দীন চৌধুরী,পল্লী কবি জসিম উদ্দীন,কবি বন্দে আলী মিয়া সহ অনেক দেশ বিদেশের কবি,সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ,গবেষক এই লাইব্রেরীতে এসেছেন এবং মুগ্ধ হয়েছেন। জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদি তে এ লাইব্রেরির কথা সুন্দরভাবে তুলে ধরেণ সুন্দর উপস্থাপনার অধিকারী হানিফ সংকেত। ৫০ হাজার টাকা অনুদানও হয়েছ।
    চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাচোলের রানী খ্যাত তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ইলা মিত্র এই গ্রামে লুকিয়ে থাকা অবস্হায় এই লাইব্রেরীতে যেতেন ও সময় কাটাতেন বলে কথিত রয়েছে।

    ১৯৭৫ সালে এনায়েত মাষ্টারের মৃত্যুর পর হতে ধীরে ধীরে এর অবকাঠামো দূর্বল হয়ে পড়ে, মাটির দেওয়াল খসে পড়ে, চালার টিনগুলো ফুটো ও মরিচাধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে লাইব্রেরীটি এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়।

    পরবর্তী সরকারী ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় ও চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় লাইব্রেরীটির ছাঁদওয়ালা পাঁকাঘর নির্মাণ করে দেন। ফলে বহুকালের পুরাতন গুরুত্বপূর্ণ বই সংরক্ষনের ব্যবস্থাকরনের ফলে লাইব্রেরীটি আবারো তার পুরাতন ঐতিহ্য ফিরে পায় ঐতিহ্য আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী জানান। আসুন আমরা এই লাইব্রেরীটিকে রক্ষা করি ও জ্ঞান অর্জনে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সহায়তা করি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই গ্রামীণ লাইব্রেরিটি একসময় ছিল শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এখানে এসে জ্ঞানের আলো ছড়াতেন। ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ—বই পড়া, আলোচনা, পাঠচক্র, প্রাণবন্ত উপস্থিতি।

    কিন্তু আজ এই লাইব্রেরিটি তার প্রাণ হারিয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, এটি এখন প্রায় সারাবছর বন্ধই থাকে—শুধু কোনো গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এলে সাময়িকভাবে খোলা হয়, এরপর আবার তালা ঝোলে। ধুলো পড়ে, বই অযত্নে থাকে, কোন কার্যক্রম হয় না।

    কাশিমালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শওকত আলী জানান, একটি লাইব্রেরি শুধু ভবন নয়—এটি জ্ঞান, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও চিন্তার বিকাশের স্থান। পানিহার লাইব্রেরীতে দেশ বিদেশের অনেক বিখ্যাত লোকজন এসেছেন, বিবিসি, টেলিভিশন, স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকা, ইত্যাদিতে প্রচার করা হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করি যেন লাইব্রেরীটিকে আধুনিক ডেকরেশন করে জাঁকজমকপূর্ণভাবে সচল ও কার্যকর করতে। এককই মন্তব্য করেন দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান।

    লাইব্রেরীতে বইয়ের সংখ্যা এখন ৭ হাজার ৩১৫টি। এর বেশির ভাগই কলকাতা থেকে সংগ্রহ করেছিলেন শেখ এনায়েত উল্লাহ। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় নিবন্ধিত গ্রন্থাগার ৩১টি। সর্বোচ্চ ৩২ হাজার ৫৪৪টি বই আছে রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারে। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বই আছে গোদাগাড়ীর নিভৃত পল্লির সেই লাইব্রেরীতে।

    প্রতিষ্ঠাতা শেখ এনায়েত উল্লাহর জীবন প্রদীপ থেমেছে অনেক আগেই‌। কিন্তু আজও নিভৃত পল্লির জ্ঞানের আলোর প্রদীপ হয়ে আছে তাঁর প্রতিষ্ঠা করা লাইব্রেরি‌। ১৯৭৫ সালের ৯ এপ্রিল পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি গিয়ে পরিদর্শন বইয়ে এ কথা লিখেছিলেন কবি বন্দে আলী মিয়া‌‌।

    ১৯৮৯ সালেও জাইদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি লাইব্রেরিতে গিয়ে পরিদর্শন বইয়ে লিখেছেন, “দীর্ঘ পাঁচ মাইল পথ পায়ে হেঁটে পানিহারে আসার সময় নিজের প্রতিই ভীষণ ক্ষুব্ধ হচ্ছিলাম। আমার বলতে এখন লজ্জা নেই, আসার সময় বারংবার মনে হচ্ছিল যেখানে আলো নেই, সভ্যতার বাইরে যারা বাস করে, সেখানে আবার লাইব্রেরি! অথচ এসে আমার চক্ষু চড়কগাছ! সত্যিই এ এক অগাধ জ্ঞানের সমুদ্রই বটে। যার কূল আমি হয়তোবা কোন দিনই পাব কি না, সন্দেহ।”

    নতুন তিনটি ঘরে সারি সারি পুরনো দিনের আলমারিতে রাখা আছে সাহিত্য, কবিতা, বিজ্ঞান, শিশুসাহিত্য, অভিধান, ভ্রমণ, নাটক, ইংরেজি সাহিত্য, ধর্মগ্রন্থ, ইতিহাস, জীবনী, রম্যরচনা, উপন্যাস-রহস্য উপন্যাসের বই গুলো। বই ছাড়াও আছে শনিবারের চিঠি, মাসিক মোহাম্মদী, ভারতবর্ষ, সাপ্তাহিক নতুন দিন-এর মতো পুরনো পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী। দেয়ালে দেয়ালে টাঙানো বিখ্যাত মনীষীদের ছবি। যত্ন করে রাখা হয়েছে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠাতা স্কুলশিক্ষক এনায়েত উল্লাহর ছবিও।

    এখন একটি কমিটির মাধ্যমে লাইব্রেরীটি পরিচালিত হয়। গত শুক্রবার বিকালে লাইব্রেরিতেই পাওয়া গেল লাইব্রেরিয়ান মোয়াজ্জেম হোসেনকে। তিনি জানালেন, আগে গ্রামের মানুষের বিনোদনের মাধ্যমই ছিল বই। এখন যুগ পাল্টেছে‌। সবাই মোবাইলে ব্যস্ত! তাও কিছু শিক্ষার্থী লাইব্রেরিতে আসেন। আর আসেন গবেষকেরা। পুরনো বইপত্র থেকে খুঁজে নেন নানা তথ্য। আগামী প্রজন্ম শুধু লাইব্রেরির নাম শুনবে, কিন্তু তার প্রাণবন্ত রূপ আর কখনও দেখতে পাবে না।

    মোঃ হালদার আলী
    রাজশাহী।

  • সাভারে হ-ত্যা চেষ্টা ও গ-ণহত্যা মাম-লা বা-ণিজ্যে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ হয়রানির শি-কার

    সাভারে হ-ত্যা চেষ্টা ও গ-ণহত্যা মাম-লা বা-ণিজ্যে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ হয়রানির শি-কার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার আশুলিয়ায় হত্যা চেষ্টা ও গণহত্যা মামলা বাণিজ্যে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ চরমভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। মামলা বাণিজ্যে নাম উঠে এসেছে সায়েব আলী, আঃ জলিল ও রবিউল, রফিকসহ কয়েক জনের। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী, এমনকি সাংবাদিকদেরকেও মামলায় জড়িয়ে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং হয়রানি করছে।

    অভিযোগ, ফেসবুকের ভুয়া আইডি ‘সৈরাচারমুক্ত সুবিধাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস’ ব্যবহার করেও এই সিন্ডিকেট চাপ সৃষ্টি করছে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষকে।

    গণহত্যার প্রকৃত খুনিরা বিদেশে পালিয়ে গেলেও মামলায় অনেক নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মহোদয় বিষয়গুলো জানলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন তা জাতি জানতে চায়।

    ঘটনার প্রেক্ষাপটঃ ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আশুলিয়ার বাইপাইলে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে, দুই পুলিশ সদস্যকে ধরে এনে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয় ওভার ব্রীজে।

    ছাত্র জনতার ৬টি লাশ গুম করতে গিয়ে পুলিশের ভ্যানে থাকা লাশ আগুনে পোড়ানো হয়। এই ঘটনা ঘিরেই শুরু হয় মামলা ও গ্রেফতারের ধারা।

    বিতর্কিত দিকঃ গণহত্যার মতো সংবেদনশীল মামলাকে ব্যবসায় পরিণত করার অভিযোগ জনমনে ক্ষোভ তৈরি করেছে।

    প্রকৃত খুনিরা বাইরে থাকলেও মামলাবাজরা সাধারণ মানুষকে ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠছে। মামলা বাণিজ্য আরও কারা করছে তদন্ত চলছে বলে দাবী করেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।

  • দেবীগঞ্জে ভাউলাগঞ্জ মাদরাসার অধ্যক্ষ ও তার ছেলের বিরু-দ্ধে লু-টপাটের অভি-যোগ

    দেবীগঞ্জে ভাউলাগঞ্জ মাদরাসার অধ্যক্ষ ও তার ছেলের বিরু-দ্ধে লু-টপাটের অভি-যোগ

    মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় ভূয়া কাগজ ব্যবহার করে ছেলেকে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বানিয়েছেন। বাবা আর ছেলে মিলে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, এমপিও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদরাসার নাম ভাউলাগঞ্জ দারুসসালাম নেছারিয়া আলিম মাদরাসা। মাদরাসাটি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ বাজারে। অভিযুক্ত ওই অধ্যক্ষের নাম মাওলানা আজিবুর রহমান। তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ওলামা দলের দেবীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি।
    এছাড়া নিয়োগে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে এনটিআরসি নিবন্ধন ছাড়া ১০ জন শিক্ষক ও নানা অনিয়ম করে ৫ জন কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ব্যাক্তি।
    অভিযোগ থেকে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ দারুসসালাম নেছারিয়া আলিম মাদরাসায় গত জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের পর পূর্বের তারিখ দেখিয়ে এনটিআরসি নিবন্ধন ছাড়া বিভিন্ন পদে প্রায় ১০ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ আজিবুর রহমান ও তার ছেলে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মাহমুদ হাসান মাসুদ। এছাড়া মাসুদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজে ক্রটি রয়েছে। তার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ভূয়া। তিনি ভুয়া সনদ তৈরির মূল কারিগর এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদরাসার মুল ভবনের নকশা পরিবর্তন করে শ্রেণী কক্ষের জানালা বন্ধ করে সড়কের উপরে দোকান নির্মাণ করেছেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মাদরাসার স্বার্থবিরোধী।
    অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বাবা ছেলে মিলে তারা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা শুরু করেছেন। অনিয়ম করে ৫ জন কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে সরকারি বিধিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী উপায়ে। এছাড়াও বর্তমানে আরো ৫ জন শিক্ষকের এমপিও অনুমোদনের জন্য পূর্বের নিয়োগ দেখিয়ে কাগজপত্র প্রেরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। যেখানে সরকারি সময়সীমা ছিল চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই কর্মকান্ড পুরোপুরি বেআইনি ও শিক্ষানীতি বিরোধী।
    অনিয়মমূলক কর্মকান্ডে দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সক্রিয় সহযোগিতা করছেন। যার ফলে এসব বেআইনি কাজ রোধ করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে

    অভিযোগে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মাদরাসার শিক্ষা পরিবেশ রক্ষা, সরকারি বিধিমালা বাস্তবায়ন এবং দুর্নীতি দমন করার লক্ষ্যে, মাদরাসার সভাপতির ভুয়া সনদপত্র যাচাই ও ব্যবস্থা গ্রহণ, এনটিআরসি ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিষয়ে তদন্ত, অবৈধ ভাবে দোকান নির্মাণ ও মাদরাসার অবকাঠামো পরিবর্তনের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

    অভিযোগকারী মামুন মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ছেলেকে সভাপতি বানিয়েছেন অধ্যক্ষ বাবা। তাদের অনিয়মের শেষ নেই। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। সঠিক তদন্ত চাই। এই ঐতিহ্যবাহী মাদরাসার সুনাম কেউ ক্ষুন্ন করুক সেটা আমরা চাই না। নিয়োগ বাণিজ্য ও বাবা ছেলের দুর্নীতির বিচার চাই। যাতে আর কেউ এসব করার সাহস না পায়।
    এবিষয়ে জানতে ভাউলাগঞ্জ দারুসসালাম নেছারিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আজিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলের বিষয়ে আপনার আপত্তি কথায়। আমিতো আপনার সব কথার উত্তর দিতে পারবোনা। একটা তদন্ত হচ্ছে সেটা হোক। ঠিক আছে ভাল থাকবেন।
    সম্প্রতি এই অভিযোগের তদন্তে মাদরাসাটি পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব পেয়ে তদন্তে গিয়েছিলাম। তাদের কাছে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা অফিসার জড়িতের যে অভিযোগ করা হয়েছে তাও দেখা হচ্ছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • দুর্গাপূজার নি-রাপত্তা ও সু-ষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে ইউএনও

    দুর্গাপূজার নি-রাপত্তা ও সু-ষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে ইউএনও

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মবসিংহের সদর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

    পুর্জার প্রতিমা তৈরীকাল থেকে শুরু করে বিজয়াদশমী বিসর্জন পর্যন্ত তিনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের খোজ নেন এবং কোথায় কি সমস্যা আছে তা পর্যবেক্ষণ করে সমাধান করেন।

    প্রতিটি মন্ডপে সরেজমিন খোঁজখবর নিয়ে তিনি দেখেন নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি আছে কিনা, দায়িত্ব পালনে অবহেলা হচ্ছে কি না, অথবা জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা। তার দায়িত্বশীল উদ্যোগে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

    অনেকে তাকে উপজেলার পূজা মন্ডলের প্রকৃত অভিভাবক” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
    ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূজা মণ্ডপ সফরসঙ্গী হিসেবে এই তদারকিতে তার সঙ্গে ছিলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা,দাপুনিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, ভাবখালী ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস,কুষ্টিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, চরনিলক্ষিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারিক আজিজসহ রাজনৈতিক সামাজিক বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজনকে উপজেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দকৃত চাউল অন্যান্য সহযোগিতা সঠিক সময়ে দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের কোন প্রকার সমস্যা না হয়।

    শারদীয় দুর্গোৎসবকে শান্তিপুর্ণ ও উৎসবমুখর ভাবে সফল করতে জেলা প্রশাসক স্যারের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক সব সময় মনিটরীং করা হয়েছে যাতে সদর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা দুষ্কৃতিকারীরা কোন প্রকার সমস্যা না করতে পারে সেই দিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।

    উপজেলার ৪০টি পূজা মন্ডপে ইউএনও স্যার নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। যেকোনো প্রয়োজনে তিনি নিজেই ছুটে গেছেন ঘটনাস্থলে।

    স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান-এবার দুর্গাপূজায় প্রতিবছরের তুলনায় খোজ খবর নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা, জেলা-উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দ পুলিশ প্রশাসনের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন ও তদারকির কারণে কোন প্রকার সমস্যার জনিত কারণ ছাড়াই এবারের পূজা উদযাপন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মলম্বী লোকজন তাদের ধর্মীয় উৎসব শান্তিতে উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করতে পারে সেই দিকে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দের প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৪০টি পূজা উদযাপন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য আমি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

  • নলছিটিতে অভিভাবক সম্মেলন–২০২৫ ও দোয়া মাহফিল অ-নুষ্ঠিত

    নলছিটিতে অভিভাবক সম্মেলন–২০২৫ ও দোয়া মাহফিল অ-নুষ্ঠিত

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম নাঈম

    শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১০ টায় ডেবরা জামে মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত, এ মহতী অনুষ্ঠানে এলাকার অভিভাবক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধান মেহমান ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন নলছিটির মডেল কেয়ারটেকার হযরত মাওলানা নুরুজ্জামান।

    এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা আতাউর রহমান সামিম, মোঃ মোর্শেদ আকনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ রেজাউল করিম মোল্লা এবং সার্বিক দিক নির্দেশনায় ছিলেন অত্র মক্তবের শিক্ষক মোঃ রাকিব হোসাইন।

    বক্তারা তাঁদের আলোচনায় ডেবরা জামে মসজিদ মক্তবের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে এমন উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় বলে অভিহিত করেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের সম্মেলন শিশুদের নৈতিক বিকাশ ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    শেষে দোয়া মাহফিলে দেশ, জাতি ও মক্তবের শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

  • পঞ্চগড়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংব-র্ধনা

    পঞ্চগড়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংব-র্ধনা

    নিতিশ চন্দ্র বর্মন,বিশেষ প্রতিনিধি ।।
    পঞ্চগড়স্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে আজ শনিবার কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এমরান আল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার জাকির হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ারুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আফরোজা বেগম রীনা, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক মকবুল হোসেন ও জ্যেষ্ঠ গণমাধ্যমকর্মী শহীদুল ইসলাম শহীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের মধ্যে সাদেকা সুলতানা, কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুয়েটের মুনাওয়াত, হাবিপ্রবির আমিনা আশরাফী, ঢাবির শতাব্দী রায় বক্তব্য দেন।
    কি
    ক্রিয়েটিভ আইটি ও পঞ্চগড় চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু হিরনের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হাসনা হেনা মন ও মাফরুহা বেনিস।
    অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ৭৪ জন কৃতি শিক্ষার্থী ও ৪৮ তম বিসিএস পরীক্ষায় মেডিকেল অফিসার হিসেবে সুপারিশকৃত ৮ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রত্যেককে গোলাপ ফুল ও ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।
    শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা এত হয়।

  • বাগেরহাটে সাংবাদিক হ-ত্যার বিচা-র ও শা-স্তির দা-বিতে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের মা-নববন্ধন

    বাগেরহাটে সাংবাদিক হ-ত্যার বিচা-র ও শা-স্তির দা-বিতে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের মা-নববন্ধন

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বিশেষ প্রতিনিধি :

    বাগেরহাটে কর্মরত দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এস. এম. হায়াত উদ্দিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (৪ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাগেরহাট প্রেসক্লাব।

    মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আইনজীবী, সমাজসেবক ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

    এ সময় বক্তারা বলেন, একজন নির্ভীক ও ন্যায়নিষ্ঠ সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ন্যায়ের শাসনের প্রতি এক গভীর আঘাত। তারা অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।

    মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম,এসময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং নিহত সাংবাদিকের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।###