Category: দেশজুড়ে

  • শিক্ষার মূল চা-লিকাশক্তি শিক্ষক সমাজ- ডিসি মুফিদুল আলম

    শিক্ষার মূল চা-লিকাশক্তি শিক্ষক সমাজ- ডিসি মুফিদুল আলম

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) মুফিদুল আলম বলেছেন-শিক্ষা হলো একটা জাতির মেরুদন্ড আর শিক্ষক হলেন জাতির মেরুদণ্ড গড়ার কারিগর। একটি আধুনিক যুগোপযোগি জাতি গঠনের অন্যতম মাধ্যম হলো শিক্ষা। মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে মানসম্পন্ন শিক্ষক । শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন সময়োপযোগী শিক্ষক । তিনি বলেন- একটি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভিত্তি হচ্ছে মানসম্পন্ন শিক্ষা, আর সেই শিক্ষার মূল চালিকাশক্তি শিক্ষক সমাজ। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও সুশিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

    রবিবার (৫অক্টোবর) সকালে ‎শিক্ষকতা পেশা, মিলিত সেবার দীপ্তি” এই শ্লোগানকে ধারণ করে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের যৌথ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    ‎সভায় শিক্ষক সমাজের ভূমিকা, মানোন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় তিনি শিক্ষক সমাজের মর্যাদা, দায়িত্ববোধ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে তাদের ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রতিনিধি ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

    আলোচনায় জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে শিক্ষকতার মহত্ব ও শিক্ষকদের অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে একটি মানসম্মত ও মানবিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন-শিক্ষা আলোকিত সমাজ বিনিমাের্ণর হাতিয়ার। শিক্ষক হলো তার সুনিপুণ কারিগর। শিক্ষা ছাড়া আলোকিত মানুষ সৃষ্টি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। একজন শিক্ষকের কিছু কাজ ও দায়বদ্ধতা আছে। এ কাজ ও দায়বদ্ধতা সহকমীের্দর কাছে, সমাজের কাছে, দেশ ও জাতির কাছে, আগামী প্রজন্মের কাছে। একজন সফল মানুষের পেছনে শিক্ষকের গুরুত্বপূণর্ ভূমিকা থাকে। শিক্ষক শুধু সফল নয়, একজন ভালো মানুষ হতে শেখান। মানবিক বিপযর্য় বা বৈশ্বিক, অথৈর্নতিক সংকটে আক্রান্ত হয়েও সামাজিক, অথৈর্নতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিমাের্ণ শিক্ষকরা অবিরাম ভূমিকা রেখে চলেছেন। শিক্ষক হচ্ছেন সভ্যতার ধারক-বাহক। শিক্ষক শুধু শিক্ষাদানই করেন না, তিনি মানুষ গড়ার কারিগরও। পিতা-মাতা আমাদের জীবনদান করেন ঠিকই। শিক্ষকরা সেই জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। শিক্ষক সমাজ হচ্ছেন প্রকৃতই সমাজ ও সভ্যতার বিবেক। তাই শিক্ষকদের বলা হয় ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার’ তথা সমাজ নিমাের্ণর স্থপতি। সমাজের সাবির্ক অগ্রগমনের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও শিক্ষকের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে একটি বিশাল র্যালী নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

  • নলছিটিতে শিক্ষকের বিরু-দ্ধে অভি-যোগের তদ-ন্তে সরেজমিনে তদন্ত কর্মকর্তা

    নলছিটিতে শিক্ষকের বিরু-দ্ধে অভি-যোগের তদ-ন্তে সরেজমিনে তদন্ত কর্মকর্তা

    মো.নাঈম মল্লিক,
    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

    ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের ১২৫নং বাইতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলামের বিভিন্ন অভিযোগের সরেজমিন তদন্ত শুরু করেন তদন্ত কর্মকর্তা বরিশাল সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন খলিফা।

    রবিবার( ০৫ অক্টোবর) বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়ে উপস্থিত সবার লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন।

    অভিযোগকারীদের একজন শারমিন সুলতানা জানান, প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। তিনি কবির হাওলাদার নামের একজনের জমি দখল করে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করেছেন। আমার নামে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে।তার বিরুপ আচরণ ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবে দিন দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

    এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিদ্যালয় আমার কোন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান না যে আমি অন্যের জমি দখল করে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করবো। যারা অভিযোগ করেছেন তাদের ভিতর অনেকেই আমার নিকটাত্মীয় তাদের সাথে আমার পারিবারিক সমস্যা আছে। অভিযোগকারী লাভলী বেগমের সাথে জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান, মামলা নং ১৯৮/২৩। যেটাকে তারা এখন ভিন্ন উদ্দেশ্যে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন খলিফা জানান, আমরা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয় আজকে সরেজমিন তদন্ত করতে এসেছি। আমরা তদন্তের স্বার্থে অনেকের লিখিত বক্তব্য নিয়েছি। এখনো তদন্ত চলমান আছে।

  • মোরেলগঞ্জে জমিজমা বিরো-ধে  ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে পি-টিয়ে কু-পিয়ে হ-ত্যা

    মোরেলগঞ্জে জমিজমা বিরো-ধে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে পি-টিয়ে কু-পিয়ে হ-ত্যা

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বিশেষপ্রতিনিধি :বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কালাম খান (৪৮) নামে একব্যবসায়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    শনিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের ঢেপুয়ারপাড় গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত কালাম খান চিংড়াখালী গ্রামের ওয়াজেদ আলী খান ওরফে কালু খানের ছেলে।

    এসময় দুর্বৃত্তদের হামলায় কামাল খানের বড় ভাই লুৎফর রহমান খান (৫২) গুরুতর আহত হন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    নিহতের ছেলে রাব্বি খান বলেন, ঘটনার রাতে তার পিতা ও চাচা ওয়াজেদ আলীর দোকানে চা খাচ্ছিলেন। ওই স্থানীয় একদল সন্ত্রাসীরা তার পিতা ও চাচাকে ধরে নিয়ে হামার ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হাত পা ভেঙ্গে গুরুত্বর জখমী অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় পথচারিরা দেখতে পেয়ে খবর দিলে রাত ১০টার দিকে আহতদেরকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালাম খানকে মৃত ঘোষণা করেন।

    জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে কালাম খানকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার ছেলে রাব্বি খান দাবি করেছেন।

    নিহত কালাম খান ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। তার ৫ ছেলে ও স্ত্রী ফাহিমা বেগম রয়েছে বলে নিহতের চাচা নূরুজ্জামান খান দুলাল জানিয়েছেন। যারা এ হামালার সাথে জড়িত একই বংশের লোক।

    এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. মতলুবর রহমান বলেন, নিহত কালাম খানের মরদেহ উদ্ধার করে পোষ্টমর্টেম করাতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কালাম খানের ঘাতকদের আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। মামলা প্রস্তুতি চলছে।

  • মোরেলগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনু-ষ্ঠিত

    মোরেলগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনু-ষ্ঠিত

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:
    “শিক্ষকতা পেশা মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি”প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    এ উপলক্ষে আজ রবিবার ৫ অক্টোবর সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে একটি র‌্যালি উপজেলা প্রশাসন চত্বর থেকে বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের সভা কক্ষে মোরেলগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুস সালাম এর সঞ্চালনায় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.শহিদুল ইসলাম। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.হাবিবউল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।
    এসময় উপস্থিত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ড. রুহুল আমিন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান,অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী ,অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম হাওলাদার, প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী আকন, মো.আমির হোসেন দুলাল, সুপার আব্দুস সোবহান,প্রধান শিক্ষক মো.বেলায়েত হোসেন,সুপার,বেল্লাল হোসেন,মাওলানা হারু অর রশিদ প্রমূখ।
    সভায় বক্তরা উপজেলার শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা, শিক্ষকদের ন্যায্য প্রাপ্যতা ফিরে পেতে শিক্ষক সহ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

  • ঘাটাইলে চায়না জাল বিরো-ধী অভি-যানে ৬০টি জাল ধ্বং-স

    ঘাটাইলে চায়না জাল বিরো-ধী অভি-যানে ৬০টি জাল ধ্বং-স

    মো.রায়হান,
    ঘাটাইল প্রতিনিধি মোঃ রায়হান মিয়া
    ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মা ইলিশ অভিযানে ২০২৫ চলাকালীন ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নে বল্লা বিলে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অভিযানে ৬০টি চায়না জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দকৃত জালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা।

    শনিবার (৪ অক্টোবর ) বিকালে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুর রহমান।

    বল্লা বিলে অবৈধভাবে চায়না জাল ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় মাছের রেনু পোনা নিধন করা হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসন চায়না জাল বন্ধে এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উদ্ধারকৃত সব জাল পরে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর এই অভিযান চলবে।

    অভিযানে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, থানা পুলিশ, মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, দেশীয় মাছের প্রজনন ও রেনু পোনা রক্ষায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • বিএনপির ৩১ দফা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে-আব্দুল হালিম সাজ্জাদ

    বিএনপির ৩১ দফা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে-আব্দুল হালিম সাজ্জাদ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর : বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেয়ার লক্ষে সুজানগরে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় উলাট বাজার চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক,সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল হালিম সাজ্জাদ।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল হালিম সাজ্জাদ বলেন, বিএনপির ৩১ দফা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এই ৩১ দফার মাধ্যমেই জনগণকে জানাতে হবে, বিএনপি সরকার গঠন করলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে কীভাবে দেশ পরিচালিত হবে, এবং জনগণের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক সংস্কারের নীলনকশা নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেরও সুস্পষ্ট রূপরেখা। দুর্নীতি দমন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে ।
    তারেক রহমানর ৩১ দফা দাবি আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে জানিয়ে আব্দুল হালিম সাজ্জাদ আরো বলেন, পাবনা দুই নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে থেকেছি। আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের দুঃশাসনকালে নির্যাতনের শিকার হয়েছি,গ্রেপ্তার হয়েছি, জেল খেটেছি, সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাঠে থেকে দলের নেতা কর্মী সহ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছি। বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি। নেতাকর্মীদের দলীয় কর্মসূচিতে চাঙা রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছি। আশা করছি, এসব বিষয় মূল্যায়ন করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।
    তিনি আরও বলেন, নতুন সময়ের প্রত্যাশা পূরণে পাবনা-২ আসনে আমি নিঃসন্দেহে আমার দলের জন্য সেরা পছন্দ হব বলে আস্থা রাখি। আমি বিশ্বাস করি, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দলের জন্য আমার সুদীর্ঘ নিরলস পরিশ্রমের মূল্যায়ন করবে। পাবনা দুই নির্বাচনী এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। দলের দুঃসময়ে মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। তৃণমূলের কর্মীরা আমার পাশে আছে। যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে পাবনা দুই নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলব। বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করতে আমি সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে চাই।
    মানিকহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মজিবর রহমান খান, পৌর বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দল বাতেন, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক বাবু মোল্লা, বিএনপি নেতা রুহুল খান, নুরুজ্জামান শিকদার লালু, হান্নান কাজী, পান্না চৌধুরী, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নবী মোল্লা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আলম মন্ডল,যুবনেতা আনোয়ার হোসেন আনাই ও আরিফ বিশ্বাস এবং এন এ কলেজ শাখা ছাত্রদল নেতা শাকিল খান প্রমুখ।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি ।।

  • ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটি অ-নুমোদনে  অনিয়ম বা-তিলের দাবিতে সংবা-দ সম্মেলন

    ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমিটি অ-নুমোদনে অনিয়ম বা-তিলের দাবিতে সংবা-দ সম্মেলন

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঝিনাইদহ জেলা কমান্ড অনুমোদনের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ঝিনাইদহ শহীদ জিয়াউর রহমান ল কলেজের অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মশিয়ুর রহমান। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল আলীম, গোলাম মোস্তফা লোটন, মোঃ রেজাউল ইসলাম, মোঃ ইসরাইল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান ও লিয়াকত আলীসহ শাতাধীক মুক্তিযোদ্ধা উপিস্থিত ছিলেন।

    সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, দেশের সরকার পরিবর্তন হলেও “দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবন বাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।”অভিযোগ করা হয়, গত ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভায় স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয়, জেলা কমান্ড গঠন করতে হবে উচ্চতর ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে। যেখানে একাধিক কমিটি থাকবে, সেখানে সমঝোতা অথবা কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। এছাড়া বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কিংবা অবৈধ সুবিধাভোগীদের বাদ দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঝিনাইদহ জেলা কমান্ড গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

    অভিযোগে দাবী করা হয়, অনুমোদিত কমিটির ১ নং আহ্বায়ক, ২ নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এই তিনজনের কেউই উচ্চতর ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নন। বরং তাঁরা বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন।এছাড়া জেলার পক্ষ থেকে চারটি কমিটি জমা দেওয়া হলেও প্রস্তাবিত তিন কমিটির কাউকে না জানিয়ে গোপনে একটি প্যানেল থেকে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ঘোষিত কমিটির আহ্বায়কের ছেলে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়ন্ত্রিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব। উপরন্তু ঘোষিত কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে রেজাউল মাষ্টার, আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ারদার, সাহেব আলী, সিরাজুল ইসলাম, লিয়াকত হোসেন ও মসির উদ্দীন পদত্যাগ করেছেন, ফলে গঠিত ওই কমিটির কোনো বৈধতাই নেই।

    সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “বর্তমান জেলা কমান্ড অবৈধ। অবিলম্বে এ কমিটি বাতিল করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। নইলে যে কোনো পরিস্থিতির দায় কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকেই বহন করতে হবে।”

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • বাবুগঞ্জে  ১৪ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার ও মালামাল চু-রি- সিসিটিভিতে ধ-রা দুই চো-র

    বাবুগঞ্জে ১৪ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার ও মালামাল চু-রি- সিসিটিভিতে ধ-রা দুই চো-র

    বরিশাল বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা>>

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন পশ্চিম রহমতপুর এলাকায় এক ভাড়াটিয়া বাসায় তালা ভেঙে স্বর্ণ ও রুপার অলংকারসহ প্রায় ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।

    ভুক্তভোগী তরুন চন্দ্র মন্ডল (৩৬), পিতা মৃত বিজন বিহারী মন্ডল, মাতা মলিনা রানী মন্ডল, স্থায়ী ঠিকানা ঝালকাঠি জেলার গাভা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জুতিয়া গ্রাম। বর্তমানে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে পশ্চিম রহমতপুর এলাকার নুর কমপ্লেক্স ভবনের ৪র্থ তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসি রহমতপুর বাজার শাখায় চাকরি করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে। ওই সময় ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রী নিজ নিজ কর্মস্থলে এবং শ্বাশুড়ি নাতিকে নিয়ে স্কুলে ছিলেন। দুপুরে বাসায় ফিরে শ্বাশুড়ি দেখতে পান, দরজার তালা ভাঙা এবং দরজা খোলা অবস্থায়। পরবর্তীতে তরুন চন্দ্র মন্ডল বাসায় ফিরে আলমারি খুলে দেখেন স্বর্ণ ও রুপার অলংকারসহ কাপড়চোপড় এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে এবং বহু মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে। চুরি যাওয়া মালামালের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

    ১০ আনা ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের লাল পলা

    এক ভরি ওজনের গলার হার এক ভরি ওজনের ২টি চেইন, ৫টি হাতের আংটি ,স্বর্ণের আয়স্তি, এক জোড়া বালা, কানের ঝুমকা, পাশা, দুল ও কান ফুল রুপার চেইন, বালা, নুপুরসহ অন্যান্য অলংকার সব মিলিয়ে চুরিকৃত মালামালের মোট বাজারমূল্য আনুমানিক ১৪,৩৭,০০০/- টাকা। চোরেরা তালা ও কড়া ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে চুরি করে এবং ভাঙা তালা ও কড়া একটি বেডরুমের বিছানার নিচে ফেলে যায়।

    সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে দুই চোর ঘটনার পর ভবনের চারপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুইজন অজ্ঞাতনামা চোর সকাল ১০টার দিকে ঘোরাঘুরির করে এবং কিছুক্ষণ পর ভবনে প্রবেশ করে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, তারাই চুরির সঙ্গে জড়িত, এবং ভবনের ঘেট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। ফুটেজে চোরদের স্পষ্ট চেহারা ধরা পড়েছে, যা পুলিশের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ভুক্তভোগী ঘটনার পর স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

    এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • পাইকগাছায় জমে উঠেছে মৌসুমী কাঁচা সুপারির হা-ট

    পাইকগাছায় জমে উঠেছে মৌসুমী কাঁচা সুপারির হা-ট

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
    খুলনার পাইকগাছায় গদাইপুর বাজারে কাঁচা সুপারি বেচা কেনার হাট জমে উঠেছে। এখন সুপারির ভরা মৌসুম চলছে। ফলে বাগান মালিক, খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা সুপারি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। উপজেলার গদাইপুর, আগড়ঘাটা, বাকা, নতুন বাজার, কপিলমুনিসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে সুপারি বিক্রি হচ্ছে। এ বছর সুপারির ফলন খুব বেশি ভাল হয়নি। ব্যবসাহীরা জানান, সুপারি পাকার শুরুতে দাম বেশী ছিলো, এখন দাম কিছুটা কমে গেছে।উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে,উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। গাছের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ৪শতটি। গাছ প্রতি ২ থেকে ৪ কাধি সুপারির ফলন ধরে। কোন কোন গাছে সর্বনিন্মে ৫০ থেকে ১৫০ আবার কোন কোন গাছে ৫শত থেকে ৬শত সুপারি ফলন হয়। লবণাক্ত এ উপজেলার ভূমির অবস্থান উচু ও বিলান, নিচু ও বিলান জমির পরিমাণ বেশী। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী,কপিলমুনি, রাড়ুলীতে সুপারি গাছের পরিমাণ বেশী। চাঁদখালী ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় সুপারি গাছ রয়েছে। বাকী ইউনিয়নগুলোতে গাছ নেই বললেই চলে।বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন হাটে সুপারি সরবরাহ করে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে পাইকারী সুপারি ক্রয় করে এলাকার বাইরে মোকাম গুলোতে বিক্রি করছে। তাছাড়া স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা সুপারি ক্রয় করে গুদামজাত করছে। যা পরে শুকিয়ে বা পানিতে মজিয়ে পরবর্তীতে বিক্রি করা হবে। গদাইপুর গ্রামের সুপারি বাগান মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর সুপারির ফলন খুব ভাল হয়নি তবে বাজার মূল্য ভাল। স্থানীয় সুপারি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর বাজারে সুপারির পরিমাণ কিছুটা কম। সুপারির দাম উঠানামা করেছে, প্রথমে ৭শত থেকে ৮ শত টাকা কুড়ি বিক্রি হলেও এখন ২৫০ থেকে ৩শত টাকা দরে কুড়ি বিক্রি হচ্ছে। সুপারির হিসাব অঞ্চল হিসাবে ভিন্ন। এ এলাকায় এক কুড়ি ৫৫গোন্ডা অর্থাৎ ২২০টি সুপারি। ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে পাইকারী সুপারি কিনে বড়দল, সোলাদানা, শান্তাসহ পাশ্ববর্তী হাট-বাজারের আড়ৎ গুলোতে সুপারি বিক্রয় করেন।সুপারি স্থানীয় সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। সুপারি ছাড়া পানের পূর্ণতার কথা ভাবা যায় না। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সুপারি ব্যবহার হয়। সুপারি কাঁচা, শুকনা, মজানো-ভিজা পান পাতা দিয়ে মুড়িয়ে খিলি বানিয়ে খাওয়া হয়।অনেকের আবার শুধু সুপারি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠির এক দশমাংশ সুপারি খান। শিশু, নারী ও পুরুষ সুপারি ব্যবহার করেন।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, সুপারি এ অঞ্চলের একটি অর্থকারী গুরুত্বপূর্ণ ফসল। তাছাড়া এ এলাকার সুপারির মানও ভালো। তবে লম্বা সুপারি গাছ গুলো মরে যাওয়ায় অথবা কেঁটে ফেলায় নতুন করে সুপারির বাগান তেমন একটা গড়ে উঠছে না। তাই কৃষি অফিস থেকে নতুন করে সুপারি বাগান তৈরীর জন্য বাগান মালিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • র‍্যাবের অভি-যানে বিপুল পরিমাণ মা-দকসহ আ-টক ১

    র‍্যাবের অভি-যানে বিপুল পরিমাণ মা-দকসহ আ-টক ১

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
    জানা গেছে,গত শুক্রবার (০৩ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার নতুন বাররশিয়া গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব সদস্যরা। এ সময় তারা ১১৭ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ৮৮ বোতল ফেন্সিডিল, একটি বার্মিজ চাকু ও মাদক বিক্রির নগদ ৯২ হাজার ৭৭০ টাকা উদ্ধার করে।
    আটককৃত ব্যক্তির নাম জিহাদ আলী(১৯)।তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার নামোচাকপাড়া গ্রামের আমান আলীর পুত্র। র‍্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত বিদেশি মদের মধ্যে রয়েছে-ROYAL STAG, SUPERIOR WHISKY, SIGRAM QUALITY (৩০ বোতল), SEAGRAM’S IMPERIAL BLUE SUPERIOR GRAIN WHISKY (৩০ বোতল), BLACK DOG CENTENNARY WHISKY (৩৪ বোতল) ও VAT 69 BLENDED SCOTCH WHISKY (২৭ বোতল)।
    র‍্যাব-৫ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংস্থাটি দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক ও অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ সফল অভিযান পরিচালিত হয়। উদ্ধারকৃত আলামত ও আটককৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।#