Category: দেশজুড়ে

  • সেনবাগে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত হলেন নি-র্যাতিত নেতা আবদুল খালেক

    সেনবাগে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত হলেন নি-র্যাতিত নেতা আবদুল খালেক

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

    আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদ,নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত হলেন কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা আবদুল খালেক। তিনি সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড (নিজ সেনবাগ) বিএনপির বর্তমান সভাপতি। আগামীর পথচলায় কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতা আবদুল খালেক সকলের নিকট দোয়া ও দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • ভালুকায় গ-রীব অ-সহায়রা পেলো  বিএনপি নেতা মোর্শেদ আলমের মানবিক উপহার শাড়ী লুঙ্গী

    ভালুকায় গ-রীব অ-সহায়রা পেলো বিএনপি নেতা মোর্শেদ আলমের মানবিক উপহার শাড়ী লুঙ্গী

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ

    ভালুকার মানবিক নেতা মোর্শেদ আলমের মানবিক উদ্যোগে অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুসারে দলীয় তৃণমূল পর্যায়ে মানবিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় অসচ্ছল পরিবারের মাঝে শাড়ী লুঙ্গী বিতরণ করেছেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

    শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে ও বিকেলে ভালুকা পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় এক অনাড়ম্বর কিন্তু হৃদয়স্পর্শী মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের।

    সকালে পৌরসভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে, কাঠালী বাঘড়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এবং বিকেলে ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অসচ্ছল নারী-পুরুষের মাঝে ভালুকা সরকারি কলেজ মাঠে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।

    এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ও আলোচনা সভা যৌথভাবে আয়োজন করে ভালুকা উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জনতার মেয়র হিসেবে পরিচিত আলহাজ্ব হাতেম খান। সকালের অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন আমিনুল ইসলাম, আর বিকেলে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কায়সার আহমেদ কাজল।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সালাহ উদ্দিন আহমম্মেদ, মজিবুর রহমান মজু, রুহুল আমিন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল ইসলাম ঢালী, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জহির রায়হান, আবু তাহের ফকির, শ্রী স্বপন বনিক, পৌর বিএনপির সদস্য আমিনুল ইসলাম পাপ্পু, পৌর বিএনপির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ তাজুন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি সৌমিক হাসান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ সুজন, পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি মাহাবুল আলম মোল্লা, সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, পৌর বিএনপি নেতা ও কাউন্সিলর প্রার্থী ফজলুল হক প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

    মানবিক সহায়তা নিতে আসা এক বয়স্কা নারী বলেন, “রাজনীতি যাই হোক, আজ যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে, তাতে মনে হলো আমরা ভুলে যাইনি। আল্লাহ উনাদের উত্তম প্রতিদান দিক।”

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে জানান, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের সময় এমন উদ্যোগ তাদের জীবনে আশার আলো ছড়িয়েছে।

    আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, “বিগত সাড়ে ১৭ বছর আমরা আপনাদের কাছে আসতে পারি নাই। এখন দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। নিয়মিত আপনাদের সাথে দেখা হবে। পর্যায়ক্রমে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার নিয়ে আসবো।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি মানবিক রাজনৈতিক সংগঠন। তারেক রহমান একজন মানবতার ফেরিওয়ালা। তার নীতিই হচ্ছে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত হলে তাদের পাশে দাঁড়ানো, বিপদগামী ও অস্বচ্ছল মানুষের সাহায্য করা তার শিক্ষা।মানুষের দুর্দিনে আর্থিক সহায়তা,খাবার-দাবার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং চিকিৎসাসেবায় এগিয়ে আসা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নীতি আদর্শ। তারেক রহমান তার পিতা জিয়াউর রহমানেট আদর্শকে বুকে লালন করেন। আমি তার কর্মী হিসাবে তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক গরীব ও অসহায়দের বিভিন্নভাবে সহযোগী করি। আগামীতেও আমার পক্ষ থেকে এধরণের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।

    তিনি বলেন,দুর্গত মানুষদের পাশে সমাজের সকল বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত। দুর্গত মানুষের পাশে বিত্তশালীরা এগিয়ে আসলে সমাজের অসহায় মানুষগুলোর কষ্ট হবে না।

    অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় জনগণ বিএনপি নেতৃবৃন্দের এই মানবিক ও সমাজমুখী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও তাঁদের পাশে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

    এই কর্মসূচি কেবল একটি দান-সহায়তা নয় এটি ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের মানবিক রূপের প্রকাশ, যেখানে ভালুকাবাসী দেখল এক ভিন্নধর্মী রাজনীতির প্রতিচ্ছবি যেখানে রাজনীতি মানে কেবল ক্ষমতার প্রতিযোগিতা নয়, বরং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া।

  • কোথায় হা-রিয়ে গেল সেই নোয়াখালী বনাম কুমিল্লা জেলার মানুষের আন্তরিক বন্ধন?

    কোথায় হা-রিয়ে গেল সেই নোয়াখালী বনাম কুমিল্লা জেলার মানুষের আন্তরিক বন্ধন?

    তরিকুল ইসলাম তরুন।।

    অগ্রহায়ণের হিমেল হাওয়ায় আজও মনে পড়ে যায় এক সময়ের দৃশ্য—নোয়াখালীর একদল টাউক্কা এসে জমে উঠত বৃহত্তর কুমিল্লার নবীনগর থানার ভিটি বিশাড়া আদমআলী মুন্সি বাড়িতে।
    তারা আসলে পুরো গ্রাম যেন প্রাণ ফিরে পেত।

    ওরা ছিল পরিশ্রমী, নীরব, নিঃস্বার্থ কর্মী। নিজেদের রান্না নিজেরা করত, ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের আউশধান, আমনধান, তিলবাজালধান, কালা আমন, পরসুম, বিলবাজাল কিংবা খামা ধান কেটে জমিতে শুকিয়ে, ঘরে এনে জাবার, ঢুলী, মটকায় ভরে দিত—তারপর নিয়ে যেত সামান্য মজুরি।

    আজ যখন দেখি, সেই নোয়াখালীর মানুষ কেউ কেউ কুমিল্লার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে—মনটা কেমন হাহাকার করে ওঠে।
    কেন এমন হলো?
    যে মানুষগুলো একসময় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেটের নিচু জমিতে প্রাণ ঢেলে কাজ করত, তারা আজ কেন বিভক্তির কথা বলছে?

    তখন কিন্তু দেশে অভাব ছিল, ভাতের কণা ছিল না অনেক ঘরে। যার ১০ কানি জমি ছিল, তারও ঘরে ভাত ছিল না। ধান পেকে শুয়ে থাকত জমিতে, কিন্তু কাটার লোক ছিল না। কৃষকরা অপেক্ষা করত—“নোয়াখালীর টাউক্কা” আসবে কবে!
    তারা না এলে ধান ঘরে উঠত না।

    তাহলে আজ কেন আমরা ভুলে যাচ্ছি সেই ঐতিহাসিক সম্পর্ক?
    নোয়াখালীকে আমরা শ্রদ্ধা করতাম, ভালোবাসতাম—আজও করি।
    তাই প্রত্যাশা করি, নোয়াখালী যেন সহসাই কুমিল্লার পাশে দাঁড়ায়, বিভেদের নয়—একতার সুর তোলে।

    ব্রাহ্মণবাড়ীয়া থেকে কুমিল্লার দূরত্ব যতই হোক, হৃদয়ের দূরত্ব যেন কখনও না বাড়ে। কারণ, আমাদের প্রাণের নাম—কুমিল্লা। সাংবাদিক ও লেখক মোঃ তরিকুল ইসলাম তরুন,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি দঃ দৈনিক বাংলা, স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক কুমিল্লার কাগজ, সভাপতি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কুমিল্লা জেলা, সদস্য কুমিল্লা প্রেসক্লাব।

  • পাইকগাছায় টাই-ফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

    পাইকগাছায় টাই-ফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

    ইমদাদুল হক পাইকগাছা (খুলনা)।।
    খুলনার পাইকগাছায় টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ অক্টোবর রবিবার সকালে ৬১নং শহীদ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মাহবুবর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াদ মাহমুদ, উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডাঃ সুজন কুমার সরকার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেস্থেসিয়া) ডাঃ জহিরুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাজাহান আলী শেখ, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার অনাথ কুমার বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ শাকিলা আফরোজ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আইসিটি অফিসার মোঃ আব্দুস সামাদ,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা পারভীন, নার্সিং সুপারভাইজার হামিদা খাতুন প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, টাইফয়েড একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ, এবং শিশুদের সুরক্ষায় এই ভ্যাকসিন কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাসব্যাপী এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার শিশুরাও টিকাদানের আওতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • সুজানগর পৌরসভায় টাই-ফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন

    সুজানগর পৌরসভায় টাই-ফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগর পৌরসভায় টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে।
    সুজানগর পৌর এলাকায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এ টিকাদান কর্মসূচি আগামী চার সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে।
    রবিবার সুজানগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান। এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোলায়মান হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাইফুর আজিজ খান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রাজ্জাক, পৌর সচিব(ভারপ্রাপ্ত)হেদায়েতুল হক,পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস, পৌরসভার স্যানেটারী ইনস্পেক্টর আমিরুল ইসলাম, কঞ্জারভেন্সী ইনস্পেক্টর হাসান উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার বিকল্প নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আজকের সুস্থ শিশু মানেই আগামীর সুস্থ প্রজন্ম ও ভবিষ্যতের দক্ষ নাগরিক। শিশুদের লেখাপড়া-খেলাধুলায় সফল হওয়ার জন্য সুস্থতার বিকল্প নেই। যে সকল শিশু ইতোমধ্যে টিকা পেতে রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের সঠিকভাবে টিকা দিতে হবে। একইসাথে, রেজিস্ট্রেশন না করা শিশুদেরকেও রেজিস্ট্রেশন করিয়ে টিকার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। টাইফয়েড টিকার উল্লেখযোগ্য কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং টিকাটি হালাল সনদপ্রাপ্ত।
    সুজানগর পৌরসভার স্যানেটারী ইনস্পেক্টর আমিরুল ইসলাম জানান, সুজানগর পৌর এলাকায় এক লাখ ১০ হাজার একশত ৯৯ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। টিকা ক্যাম্পেইনের আওতায় পৌর এলাকায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ১৮ কমিউনিটি কেন্দ্রে টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে। টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন (টিসিভি) এর আওতায় প্রথম দুই সপ্তাহ (১২-৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও টিকাদান কেন্দ্রে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহ (১-১৩ নভেম্বর) কমিউনিটি পর্যায়ে নিয়মিত এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। ক্যাম্পেইনে নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে একডোজ টিকা প্রদান করা হবে । পৌর এলাকার আওতায় টিকা ক্যাম্পেইনে ১৮ জন টিকাদানকারী, ২৭জন স্বেচ্ছাসেবী ও ৯ জন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তিনি।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সদ্য অবস-রে যাওয়া প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায়ের বিরু-দ্ধে নানা অ-ভিযোগ

    সদ্য অবস-রে যাওয়া প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায়ের বিরু-দ্ধে নানা অ-ভিযোগ

    আনোয়ার হোসেন,
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

    ১২১নং গণপতিকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দায়িত্বপালন কালীন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন (স্লিপ ও রুটিন মেরামত) বাবদ বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাব ও ধন্যবাদ নো ব্যক্তিবর্গের ৭১ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা দিয়েছেন।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে ব্যয় না করে শিক্ষা অফিসে পরিকল্পনা ও বিভিন্ন ভাউচার জমা দিয়েছেন। যেখানে আমাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। আমি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হলে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয় সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাই। এছাড়া বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাগজপত্র, রেজিস্ট্রার ও মালামালের হিসাব বুঝিয়া দেয়ার কথা বলায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে তার ছেলে সাগর রায় সহ অফিস কক্ষে এসে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

    আমি বিষয়টি বিদ্যালয়ের জমিদাতা, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানালে তারা বিগত দিনের বরাদ্দের হিসাব জানতে চায় এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার জন্য পরামর্শ প্রদান দেন।

    গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করি এবং এলাকাবাসি ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের পরামর্শক্রমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। সাধারণ ডায়েরীর বিষয়টি জানার পর উপরোক্ত শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায় ও তার ছেলে সাগর রায় বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান সহ আমাদেরকে দেখিয়ে দিবে বলে বিভিন্ন লোককে বলে বেড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, এলাকার নির্বাচিত ইউপি সদস্য, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বার বার উদ্যোগ নিলেও উক্ত শিক্ষক তাতে কোনো কর্নপাত করেননি।

    এ বিষয়ে সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায় বলেন, ওরা জানে একটি বিদ্যালয়ে কতটাকা বরাদ্দ আশে কতটাকা হাতে পাওয়া যায়। তাছাড়া আমি যে বরাদ্দ পেয়েছি তার বিদ্যালয়ের কাজে ব্যায় করেছি। আমার এখন অবসরে যাওয়ার সময় ওরা একটা ঝামেলা সৃষ্টি করে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে।

    এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিষয়টা দেখবো।

    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ।।

  • বানারীপাড়ার অ-গ্নিকাণ্ডে সুমনের বাড়ি পু-ড়ে ছাই

    বানারীপাড়ার অ-গ্নিকাণ্ডে সুমনের বাড়ি পু-ড়ে ছাই

    সাব্বির হোসেন।।
    বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠীতে বিদ্যুৎ সট সার্কিটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
    ৩নং সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বড় করপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ সুমনের বাড়িতে বিদ্যুৎ সট সার্কিটের ফলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যার ফলে তিনি সম্পূর্ণ নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হয়ে গেছেন।

    এ বিষয়ে মোঃ সুমন জানান, তিনি তার পরিবারসহ বাড়িতে ছিলেন না।রবিবার ১২ই অক্টোবর রাত ৮:৩০ এর দিকে হঠাৎ করে ফোনে তাকে জানানো হয় যে তার বাড়িতে আগুন লেগেছে। তড়িঘড়ি করে বাড়িতে ফিরলে দেখতে পান তার স্বপ্ন ও শ্রম যে ঘর নির্মান করেছিলেন, সবকিছুই আগুনে পুড়ে নিমিষেই ছাই হয়েছে।

    সুমনের প্রতিবেশীরা জানান, আগুন লেগে যাওয়ার পর তারা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন, কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আসতে দেরি করেন। ফলে আগুন পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়ার আগেই তাদের দ্বারা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তারা আরও জানান, যত দ্রুত সম্ভব তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু আগুনের তীব্রতা অত্যধিক ছিল।
    এছাড়া প্রতিবেশীরা উল্লেখ করেন, সুমন সম্প্রতি নতুন একটি ঘর নির্মাণ করেছিলেন। সাধারণ জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যে যদি ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আসতো, তাহলে এই পরিমাণ ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হতো।একই সাথে বিষয়টি কেন্দ্র করে সৈয়দকাঠীতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

    মোঃ সাব্বির হোসেন ।।

  • ব্যবসায়ীরাই দেশের অর্থনীতির চা-লিকাশক্তি: মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল

    ব্যবসায়ীরাই দেশের অর্থনীতির চা-লিকাশক্তি: মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য, ময়মনসিংহ মহানগরের আমীর ও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেছেন, ব্যবসায়ীরাই দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় না করে সরকারও সব সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। সমস্যার সমাধান করতে হলে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘একটি দেশের রাজনীতিবিধরা কখনও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় সময় দেন না। আমাদের জামায়াতে ইসলামীর আমির দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির স্বার্থে ব্যবসায়ীদের সেই সময় দিয়েছেন। এতেই বুঝা যায়, তিনি বিশ্বাস করেন যে, বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরাই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

    রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ময়মনসিংহ মহানগরীর নতুন বাজার সাংগঠনিক থানার ১০ নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী ভাইদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    নতুন বাজার সাংগঠনিক থানা শাখার আমীর ইঞ্জিনিয়ার সুলতান মাহমুদ মুস্তাকিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুল হাসান শামীম,মহানগর অফিস সম্পাদক খন্দকার আবু হানিফ।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ী সমাজ দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। নৈতিকতা, সততা ও ইসলামী মূল্যবোধে বলীয়ান ব্যবসায়ী গোষ্ঠীই পারে সমাজে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।

    মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল তিনি আরও বলেন,সংকট নিরসনে সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি শক্তিশালী জন প্রতিনিধির দরকার। তাই দেশের সব স্থানে ব্যবসায়ীদের মেলবন্ধনের মাধ্যমে যদি একটি শক্তিশালী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা যায়, তবেই সব ব্যবসায়ীর সমস্যা নিয়ে সরকারের কাছে ভালো কিছু উপস্থাপন করা যাবে। যেহেতু আমাদের বর্তমান অর্থনীতি এখন নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে; তাই আগামীতে জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় বসিয়ে ব্যবসায়ীদের সম্মিলিতভাবেই সংকট নিরসনে কাজ করতে হবে।

    এসময় দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে আন্তরিকভাবে সমর্থন দিয়ে বিজয়ী করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

  • স্বরূপকাঠি টু পিরোজপুর সড়কের গনমান খালের ব্রীজ তো নয় যে মৃ-ত্যুকূপে পরি-নত হয়েছে

    স্বরূপকাঠি টু পিরোজপুর সড়কের গনমান খালের ব্রীজ তো নয় যে মৃ-ত্যুকূপে পরি-নত হয়েছে

    স্বরূপকাঠি(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

    স্বরূপকাঠি টু পিরোজপুর আঞ্চলিক সড়কের গনমান খালের ব্রীজ তো নয় যে মৃত্যুকূপে পরিনত হয়েছে। মাত্র ৩ টন ধারণক্ষমতার এই পুরনো ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিনই ১০ থেকে২০ টন ওজনের ভারী মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও ছোট যানবাহন চলাচল করছে। ফলে ব্রীজটির রেলিং ও পাটাতন ভেঙে পড়েছে, আর যেকোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

    স্থানীয় বৃদ্ধ মো. আবুল বাশার বলেন, “ত্রিশ বছর আগে নির্মিত এই ব্রীজটি এখন একেবারেই অচল। রেলিং ও পাটাতন ভেঙে গেছে বহু বছর আগে, এখন তো প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে।”

    এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আদনান হোসনাইন জানান, “এরশাদ সরকারের আমলে ব্রীজটি নির্মিত হয়েছিল। বহু বছর সংস্কার না হওয়ায় এখন এটি সম্পূর্ণ নাজুক অবস্থায় আছে। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় দুর্ঘটনা অনিবার্য।”

    স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক মো. মাইনুল হোসেন বলেন, “ব্রীজটির পাটাতন ও রেলিং প্রায় পুরোপুরি ধসে পড়েছে। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও মুসল্লি এই পথে যাতায়াত করে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এমতবস্থায় ব্রীজটি দ্রত মেরামত সংস্কার প্রয়োজন।”

    রবিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রীজের ভাঙা জায়গাগুলোতে লোহার পাত ও ইট–পাথরের সুড়কি দিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক স্থানে রড বেরিয়ে পড়েছে, এবং টমটম উঠলেই ব্রীজ দুলে ওঠে।

    পিরোজপুর সড়ক বিভাগের (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানভীর আহমেদ এর নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।

    নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ব্রীজটির অবস্থা খুবই খারাপ। পিরোজপুর সড়ক বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে দ্রুত মেরামতের জন্য জানানো হয়েছে।

    আনোয়ার হোসেন
    স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি।।

  • জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রে-নেড জল-কামানের ব্যবহার আন্দো-লন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা

    জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রে-নেড জল-কামানের ব্যবহার আন্দো-লন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা

    মোঃ হায়দার আলী, ঢাকা থেকেঃ শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামান ব্যবহার। ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়।

    রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশ শিক্ষকদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে। একই সময়ে সেখানে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দও পাওয়া যায়। এর আগে, দুপুরে প্রেস ক্লাবে সামনের সড়ক থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতারা। শিক্ষক নেতাদের নেতৃত্বে একটি অংশ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে চলে যায়।

    তবে আরেকটি পক্ষ প্রেস ক্লাবের সামনের অবস্থান অব্যাহত রাখতে চান। একই সঙ্গে তারা সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করার ঘোষণা দেন। এতে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

    শিক্ষক নেতাদের নেতৃত্বে একটি অংশ শহীদ মিনারের দিকে চলে যাওয়ার পর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাওয়া শিক্ষকদের আরেকটি অংশকে সরাতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ।

    এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।

    বিনা উসকানিতে পুলিশী এ্যাকশন সত্যি দুঃখজনক। অবিলম্বে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের নায্য দাবী মেনে নেয়ার জোর দাবী জানান।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক।।