Category: জনদূর্ভোগ

  • অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়কই খানাখন্দে ভরা দেড় লাখ মানুষের ভো*গান্তি চ*রমে

    অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়কই খানাখন্দে ভরা দেড় লাখ মানুষের ভো*গান্তি চ*রমে

    এস এম সাইফুল ইসলাম কবির .বিশেষ প্রতিনিধি:বাগেরহাট জেলা শহরের দেশের প্রথম শ্রেণির বাগেরহাট পৌরসভা অধিকাংশ সড়কই খানাখন্দে ভরা দেড় লাখ মানুষের ভোগান্তি চরমে । পৌরসভার ৭৮ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়কের ৭০ ভাগই চরম ঝুঁকিপূর্ণ। অধিকাংশ সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এমন অবস্থায় ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে যানবাহনে চলাচল করতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
    ১৯৫৮ সালে ১৫ দশমিক ৮৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাগেরহাট শহর পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৯১ সালে উন্নীত হয় দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভায়। বাগেরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৭টি মহল্লায় বর্তমানে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে। বাগেরহাট জেলা সদর হওয়ায় ৯টি উপজেলায় মানুষকে তাদের প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত এ শহরে আসতে হয়। বছরের পর বছর বাগেরহাট পৌরসভার ৭৮ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই সংস্কার করা হয়নি।

    সরজমিন দেখা যায়, নূর মসজিদ মোড় থেকে এলজিইডি, রাহাতের মোড় থেকে চানমারী ব্রিজ, পুরাতন বাজার থেকে সম্মিলনী স্কুল, নূর মসজিদ থেকে সরকারি মহিলা কলেজ হয়ে হাড়িখালী মোড়, মুনিগঞ্জ-হাড়িখালী রোড যান চলাচলের অনুপোযগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা, খারদ্বার, বাসাবাটী, শাহাপাড়া, দশানী, গোবরদিয়া, সোনাতলা, সরুই এলাকার অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এর উপরে জলাবদ্ধতা। একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় শহরের অধিকাংশ রাস্তা।

    শহরের ইজিবাইক চালক আব্দুল জলিল বলেন, শহরের অধিকাংশ সড়ক এখন রিকশা, অটোরিকশা চলাচলের অনুপোযগী হয়ে পড়েছে। আগের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। না পারতে কেউ আর অটোতে উঠতে চায় না। সড়কে বের হলেই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। অটোরিকশা প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে। তারপরেও পেটের টানে বাধ্য হয়ে অটো চালাচ্ছি। মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী সুমন শেখ বলেন, আমি সদর উপজেলার কাড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। জরুরি প্রয়োজনে প্রতিদিনই শহরে আসতে হয়। কিন্তু রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তাতে রিকশা, ইজিবাইক তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতেও কষ্ট হয়। বিষয়টি বলারও কেউ নেই, দেখারও কেউ নেই। নরসুন্দর সুনীল বলেন, দু’দিন আগেও এই ভাঙা রাস্তায় ভ্যান উল্টে পড়ে গিয়ে এক গর্ভবতী নারী আহত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছে। এমন দুর্ঘটনা এই সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে। রাস্তাঘাট খারাপ হওয়ার কারণে আমার সেলুন ও আশপাশের দোকানগুলোতে কাস্টমারও কমে গেছে। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।
    বাগেরহাট বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি তালুকদার আব্দুল বাকী বলেন, বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পৌরসভার আওতাধীন। কিন্তু দুঃখের বিষয় দীর্ঘদিন কোনো প্রকার সংস্কার কাজ না করায় টার্মিনালের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে প্রতিনিয়ত গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মালিক সমিতি সমস্যা সমাধানে একাধিকবার ইট, বালি দিয়ে ভাঙা স্থান মেরামত করেছি। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার ভাঙা অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় থাকা সড়কগুলো নিয়ে মিডিয়ার সামনে কথা বলতে চান না পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান। তবে দ্রুতই পৌরসভার প্রধান ১১টি সড়কসহ ভাঙাচুরা সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

  • দীর্ঘ  ১৮ বছরেও চালু  হয়নি মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর সন্ন্যাসী কলারন ফেরিঘাট

    দীর্ঘ ১৮ বছরেও চালু হয়নি মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর সন্ন্যাসী কলারন ফেরিঘাট

    এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির,বিশেষ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর সন্ন্যাসী -কলারনফেরিঘাট দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে । বারবার আশ্বাস দিয়েও শুরু হয়নি ফেরি চলাচল। ফলে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছে এই রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী।

    সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সংলগ্ন পানগুচি নদীতে সন্ন্যাসী- কলারন ফেরি ঘাটটি ২০০৬ সালের ৪ আগস্ট চালু হয়। চালুর এক বছর পর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরে কলারন প্রান্তের ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল। এরপর প্রায় ১৮ বছর কেটে গেলেও চালু করা হয়নি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ-মোংলা-শরণখোলা -পিরোজপুর রুটের ইন্দুরকানীরকলারনএই ফেরি ঘাটটি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ। দুপাড়ের যাত্রী উঠানামার ঘাটটিও রয়েছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। যাত্রীরা কোনোমতে উঠানামা করতে পারলেও মোটর সাইকেল উঠানামার ক্ষেত্রে থাকে প্রচুর ঝুঁকি। দুপাড়ের ঘাটের অবস্থা ভালো না থাকায় অনেক সময় নদীতে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় যাত্রী সাধারণকে।

    সন্ন্যাসীর ওপরের যাত্রীদের ট্রলারে করে নদী পাড় হয়ে কলারন ঘাট থেকে বাসে উঠে পিরোজপুর জেলা শহর এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।

    এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের ডিউলেটার এবং অনেক দিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের চিঠি চালাচালিতেও কোনো কাজ না হওয়ায় ফেরি ঘাটটি অদ্যবধি চালু হচ্ছে না।

    স্থানীয় সন্ন্যাসীর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নদীটি পার হতে ট্রলারই আমাদের একমাত্র ভরসা। তা আবার বর্ষা মৌসুমের বৈরী আবহাওয়ায় প্রায়ই বন্ধ থাকে। বর্ষার সময় নদীতে বেশি ঢেউ থাকায় ট্রলারে করে নারী ও শিশুদের নিয়ে নদী পারাপার অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। বারবার আশ্বাসের পরও অজানা কারণে চালু হয়নি ফেরি চলাচল। ফলে, অসুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। আমাদের দাবি হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আবারও কলারন সন্ন্যাসীর ফেরি চালু করা হোক।’

    সাংবাদিক অমল তালুকদার, সাংবাদিক ডা: নাসির উদ্দীন জোমাদ্দার বলেন, ‘প্রায়ই এই ঘাট থেকে যাতায়াত করি। সব সময় ট্রলার না থাকার কারণে আমাদের অনেক সময়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন বলেন, এই ঘাটটি আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ফেরি না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নারী শিশুদের নিয়ে পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

    স্থানীয় ১৬নং খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, এ ফেরিঘাটটি পুনরায় চালু হলে মোরেলগঞ্জউপজেলার সাথে সন্ন্যাসী ইন্দুরকানীর কলারন,পিরোজপুর, শরনখোলা, সুন্দরবন, মোরেলগঞ্জ ও মোংলার সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা সহজ হবে। এর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যেরও একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’

    পিরোজপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, ‘পানগুছি নদীর সন্ন্যাসী- কলারন ঘাটটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি ফেরি ঘাটটি পুনরায় চালু করার জন।

  • বাবুগঞ্জে রাস্তার ভোগান্তিতে পথ চলা বন্ধ শিক্ষার্থীরা পরছে চরম দুর্ভোগে

    বাবুগঞ্জে রাস্তার ভোগান্তিতে পথ চলা বন্ধ শিক্ষার্থীরা পরছে চরম দুর্ভোগে

    কেএম সোহেব জুয়েল ঃ বাবুবাবুগঞ্জে রাস্তার ভোগান্তিতে পথচলা বন্ধ হতে যাচ্ছে। কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের পরতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে এ যেন দেখার কেউ নেই।

    সম্প্রতি সংসদ ও উপজেলা নির্বাচন পরিসমাপ্তি হলেও এ সকল নেতারা অভিভাবক সেজে নির্বাচনের পূর্বে জনগনের মাঝে দিয়েছিলেন অনেক প্রতিশ্রুতি আসলে এ সকল প্রতিশ্রুতির ধারা বাস্তবায়িত হবে কিনা এ নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম নিচ্ছে।

    গতকাল বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই সরজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা গেছে বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নুতনচর জাহাপুর গ্রামের কাচা রাস্তার বেহাল দশা।

    এ বিষয় কথা বলতে গেলে স্হানিয় অনেকের মধ্যে ছিদ্দিক, হারুন, রাসেল সুমন সহ একাধিক লোকজন বলেন , মাননীয় সাংসদ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের সক্তি আমাদের অভিভাবক গোলাম কিবরিয়া টিপু ভাই একটু সুনজরে তাকালে আমাদের স্কুলগামি কচিকাচা শিক্ষার্থী সহ এ রাস্তার দিয়ে ওই গ্রামের হাজারো মানুষের পথচলা সহ কৃষিকাজ ব্যাবসা বানিজ্য ছারাও বিভিন্ন কাজে এই রাস্হাটি যাতায়াতের কাজে ব্যাবহার করা হয়। এ ছারাও অসুস্হ মানুষদের সু- চিকিৎসা দিতে অন্যত্র নিয়ে যেতে হয় কিন্তু বর্ষার মৌসুমে রাস্তায় একহাটু কাদা জল ও দুরাবস্থার কারনে পথি মধ্যে অনেককেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতে হয়। ওই এলাকার সাধারন মানুষ তাদের মহান নেতা টিপু ভাইর হস্তক্ষেপে রাস্তাটি পুনরুদ্ধার হবে বলে বিশ্বাস করছেন।

    তাই দ্রুত এই সমস্য লাঘবে মাধ্যমে কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের বিদ্যাপাঠে যেতে ও জন চলাচলের দুর্ভোগ এরাতে তাদের একমাত্র অভিভাবক মাননীয় সাংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপুর হস্তক্ষেপ ছারা অন্যকোন কিছু ভাবছেননা তারা। তাই অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এরাতে কর্তৃ পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী এলাকার মানুষ।

  • পঞ্চগড়ে ভারি বর্ষণের চাপে ভেঙে গেছে সড়ক

    পঞ্চগড়ে ভারি বর্ষণের চাপে ভেঙে গেছে সড়ক

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।। পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার কাজীপাড়া-কামারপাড়া কাচা সড়কটি গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণের চাপে রাস্তা ভেঙে যান চলাচল ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা।

    গত বুধবার (১০ জুলাই) হঠাৎ ওই সড়কটি পানির চাপে ভেঙে যায়। পরে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে সড়কটির ভাঙা স্থানে মাটি ভরাট ও পানি নিষ্কাশনের জন্য রিং দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা গ্রহনের কাজ চলছে।

    স্থানীয়রা জানান, একদিকে চাওয়াই নদীর ঢেউয়ের পানি অন্যদিকে কামারপাড়া ও কাকপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার পানি জমা হয়ে পড়তো সড়কের পাশে একটি খালে কিন্তু গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টির ফলে পানি সড়কের পাশের সেই খালে গিয়ে জমাট হলে পানির চাপে সড়কের মাটি ভেঙে পানি চাওয়াই নদীতে চলে যায়। এতে সড়কটি ভেঙে গেলে স্থানীয়দের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরদের বিষয়টি জানালে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএস মোঃ শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ কয়েকটি রিং বাসনোর ব্যবস্থা করে দেন এবং স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নিজ উদ্যােগে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করেন।
    কামারপাড়া এলাকার রমিজ উদ্দিন বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মানুষ যাতায়াত করে কিন্তু হঠাৎ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় চলাচল করতে পারছি না। তবে দ্রুত মেড়ামতের উদ্যোগ নেয়ায় আমাদোর জন্য উপকার হলো।
    একই কথা বলেন সফিউল আলম নামে আরেক বাসিন্দা, তিনি বলেন, উপজেলা থেকে রিং ও বকুল নামে এক ব্যবসায়ী মাটি ভরাট করে দিচ্ছে। এতে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। এছাড়াও এলাকাবাসী কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা জানান, বকুল নামের বালি ব্যবসায়ীকে শুত্রুতার জের ধরে তাকে ফাঁসাতে একই এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে রশিদুল ইসলাম স্যোশাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়েছে।

    কামারপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব রমজান আলীর ছেলে বশিরুল ইসলাম বকুল নামে ওই ব্যবসায়ী বলেন, সড়কের দুই পাশে তার প্রায় ৬ একর জমি ও বালির ব্যবসা রয়েছে। নদীতে তার ২০ শতক জমিও ভেঙে গেছে। পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে ব্যবসার সমস্যা ও স্থানীয়দের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনস্বার্থে তার নিজস্ব টাক্টর দিযে ভাঙা স্থলে মাটি ভরাট করে দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, শত্রুতার জের ধরে এবং তাকে ফাঁসাতে ফেসবুক আইডিতে ইংরেজি রশিদুল ইসলাম রশিদুল নামের এক ব্যক্তি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়েছেন। তিনি এই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    রশিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বকুল তার ব্যবসার উদ্দেশ্যে রাস্তাটি ভেঙে দিয়েছেন। ভেঙে দেয়ার প্রমাণ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে কথা সটকিয়ে ফেলেন এবং সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাস করার কথা বলেন। অথচ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান কালে বকুল কর্তৃক রাস্তা ভেঙে দেয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীর কোন বক্তব্য উপস্থাপিত হয়নি বা সত্যতার প্রমাণ মিলেনি।

    এ বিষয়ে সাতমেড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ার খবর উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও প্রশাসন মহোদয়কে অবগত করা হলে পানি নিষ্কাশনের জণ্য রিং দেওয়া হয়েছে। বকুল নামের ব্যক্তি রাস্তা ভেঙে ফেলেছে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে এটি কতটুকু সত্য বলে আপনি জানেন জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, বকুল নামে কোনো ব্যক্তি রাস্তা ভাঙেনি বরং পানির চাপেই ভেঙে গেছে।

    এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, তিনি বিষয়টি অবগত আছেন। এ বিষয়ে মিটিং এ আলোচনা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

    মুুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।

  • সুজানগরের পদ্মায় তীব্র ভাঙন, বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি

    সুজানগরের পদ্মায় তীব্র ভাঙন, বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি

    এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা ও চরা লে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে উপজেলার ভায়না,সাতবাড়িয়া,মানিকহাট,নাজিরগঞ্জ ও সাগরকান্দি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদীর পানি বৃদ্ধি ও পানি কমতি এবং পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলন নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নদীপাড়ের বাসিন্দারা। উপজেলার সাতবাড়িয়া অ ল থেকে শুরু করে নদীর পশ্চিম ও পূর্ব দিকের কয়েকটি গ্রামের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙনে প্রতিদিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য কৃষি জমি। এ কারণে নদী পাড়ের জমিতে আবাদকৃত অপরিপক্ক চিনাবাদাম ও তিল উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা। চর সুজানগর গ্রামের কৃষক মোতাহার আলী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় কৃষকেরা চিনাবাদাম ও তিলের আবাদ করেছিলেন। কিন্তু আকস্মিক নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে অনেক ফসল পনির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া চরে ভাঙনের ফলে উঁচ জমিতে লাগানো তিল ও চিনাবাদাম ফসলের ক্ষেত ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীর বুকে। নদী ভাঙনে ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ভাঙনে সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। স্থানীয় সাতবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আম্বিয়া খাতুন জানান, প্রতিনিয়ত ভাঙনের কারণে নিঃস্ব হচ্ছেন তারা। যেভাবে ভাঙছে এতে বসতবাড়ি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে পদ্মাপারের বাসিন্দাদের। সময় থাকতে এই নদী ভাঙন ঠেকাতে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে হারিয়ে যাবে তাদের মাথা গোঁজার শেষ ঠিকানা। কৃষকেরা জানান, ভাঙন প্রতিরোধে সরকারি কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে নদীর পারের মানুষ। এ থেকে তারা পরিত্রাণ চায়। তাই তাদের দাবি আশ^াস নয় নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের। এদিকে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির,উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড(বাপাউবো) পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভাঙন রোধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • টিআরএম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিবসা ও হাড়িয়া নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবী

    টিআরএম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিবসা ও হাড়িয়া নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবী

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা) ॥
    টিআরএম পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী শিবসা ও হাড়িয়া নদীর স্বাভাবিক নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণের সার্বিক সহযোগিতায় পৌর বাজার সংলগ্ন শিবসা নদীর বুকে ব্যতিক্রমী এ আলোচনার আয়োজন করে উপজেলা পানি কমিটি। সভায় বক্তারা বলেন, শিববাটী ব্রিজ সংলগ্ন কপোতাক্ষ প্রান্ত থেকে সোলাদানা খেয়াঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার নদী পলি জমে ভরাট হয়ে মরাখালে পরিণত হয়েছে। যার ফলে নৌযান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নদীর বুকে জেগে ওঠা চর দখল করে নিচ্ছে কতিপয় মহল ও ব্যক্তিরা। ঐতিহ্যবাহী এ দুটি নদী দখল মুক্ত করে টিআরএম বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদীর স্বাভাবিক নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবী জানান পানি কমিটির নেতৃবৃন্দ। উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গীর সভাপতিত্বে ও উত্তরণ কর্মকর্তা দীলিপ কুমারের স ালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা রণজিৎ কুমার সরকার, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, প্রাক্তন শিক্ষক কামরুজ্জামান, শেখ সাদেকুজ্জামান, রেজাউল করিম, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি তৃপ্তি রঞ্জন সেন ও মোঃ আব্দুল আজিজ, প্রভাষক মোমিন উদ্দীন, সাংবাদিক এসএম আলাউদ্দীন সোহাগ, স্নেহেন্দু বিকাশ, এসএম বাবুল আক্তার, পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল, ইমদাদুল হক, নাজমা কামাল, ঝর্ণা রানী সরকার, মাহবুব জোয়াদ্দার, নাজমুল শেখ, আনারুল ইসলাম ও দীপক কুমার মন্ডল।

  • পানছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনে  ফাটল,ঝুঁ*কিতে শিক্ষার্থীরা

    পানছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনে ফাটল,ঝুঁ*কিতে শিক্ষার্থীরা

    মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

    খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি ইউপির মুসলিম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসভবন সহ ক্লাস ভবনে ফাটল,ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

    সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ফাটল। কিন্তু এরমধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। ভবনের ছাদ থেকে ঝরে চুন-সুড়কি,পুরাতন সিলিং, কাঁচ বিহীন জানালাসহ রয়েছে শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুমের সংকট।

    বিদ্যালয়টি হ‌ওয়ার প্রায় ২৫ বছর পাড় করলেও এখানে এখনো নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।কিন্তু বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বেহাল অবস্থায় আছে ভবনটি এরমধ্যেই চলছে পাঠদান।

    সরেজমিনে গিয়ে আরও দেখা যায়, ভবনের প্লাস্টার বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে গেছে।ভিম গুলোর ফাটল থেকে রড় বেড়িয়ে এসেছে।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান বলেন,দীর্ঘদিনের পুরাতন ভবন,যার বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। যেকোন সময় বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাছাড়া ক্লাসরুম ও ওয়াশরুমের অবস্থা পরিবেশবান্ধব নয়। যা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ব্যবহারের অনুপযোগী।এই ভবন থেকে শুরু করে আমাদের ক্লাস রুমের সংস্কার দরকার। শিক্ষার্থীদের টয়লেটগুলো গন্ধ ছড়িয়ে যায় ক্লাস রুমে। ভবনটি সংস্কারের জোড়ালো দাবি জানাচ্ছি।

    দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির পুনর্নির্মাণ অথবা সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান এলাকার অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

  • জনবল সংকটে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

    জনবল সংকটে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা।।

    জনবল সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবা। বর্তমানে ৫০ শয্যা হাসপাতালের ১৯০ জনবলের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৯০টি পদ। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক কাজ করেন অন্য জায়গায়। প্যাথলজি বিভাগ চালু থাকলেও নেই কোন টেকনিশিয়ান, এক্স-রে মেশিন নষ্ট, আল্ট্রাসনোগ্রাম কখনো করা হয়, কখনো করা হয় না। পরিচ্ছন্নকর্মী না থাকায় অপরিচ্ছন্ন এবং বাথরুমের দূর্গন্ধময় পরিবেশের মধ্যে সেবা নেন সাধারণ রোগীরা। জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে উন্নত সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
    উল্লেখ্য, জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় এ উপজেলায় বর্তমানে ৩ লাখেরও অধিক মানুষের বসবাস। পাশাপাশি কয়েকটি উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা অনেকটাই নির্ভর করে অত্র উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপর। ১৯৯০ সালের দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সকল কার্যক্রম সরল এলাকার ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হতো। ১৯৯৫ সালের দিকে পৌর সদরের ৬নং ওয়ার্ডের বাতিখালী মৌজায় ৫.৮০ একর সম্পত্তির উপর স্থান্তরিত করা হয়। ১৯৯৭ সালে ৩১ শয্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। নতুন নতুন ভবন নির্মিত হলেও এখনো নানা সংকটে জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পর্যাপ্ত আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকের থাকতে হয় বাইরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। রয়েছে তীব্র জনবল সংকট। ৫০ শয্যা হাসপাতালে ১৯০টি পদের বিপরীতে কর্তরত রয়েছে ১০০টি পদ। ৯০টি পদের নেই কোন জনবল।
    হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন হাসপাতালের একমাত্র অবেদিনবিদ চিকিৎসক। ১১ জুনিয়র কনসালটেন্ট পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ২ জন চিকিৎসক। শূন্য রয়েছে ডেন্টাল সার্জনের পদ। মেডিকেল অফিসার ও সহকারী সার্জনের ৭ পদের বিপরীতে কর্মরত ৪ শূন্য রয়েছে ৩। মেডিকেল অফিসার ১জন কর্মরত রয়েছে। অন্যদিকে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। ৩২ জন সিনিয়র স্টার্ফ নার্সের বিপরীতে কর্মরত রয়েছে ২২ জন, শূন্য রয়েছে ১০টি পদ। মিড ওয়াইফ ৪টি পদে কর্মরত ৩, শূন্য ১। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৫ পদের কর্মরত ১, শূন্য ৪। গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সহকারীর পদটি শূন্য রয়েছে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের ৪ পদে কর্মরত ২, শূন্য ২। ক্যাশিয়ার ও স্টোর কিপারের ২টি পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে ১৩ জনের বিপরীতে ১২ জন কর্মরত রয়েছে, শূন্য রয়েছে ১টি পদ। ৪ স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে কর্মরত ১, শূন্য ৩টি পদ। ফার্মাসিস্ট ২ জনের বিপরীতে কর্মরত ১, শূন্য ১। কম্পিউটার অপারেটরের ১টি ও হেলথ এডুকেটর ১টি পদ শূন্য। প্রধান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ১ জন কর্মরত রয়েছে। পরিসংখ্যান বিদ ১টি ও ১টি সহকারী নার্সের পদ শূন্য রয়েছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ইপিআই পদে ১ জন এবং কার্ডিওগ্রাফার পদে ১ জন কর্মরত রয়েছে। কম্পাউন্ডারের ১টি পদ শূন্য রয়েছে। ১জন ড্রাইভার কর্মরত রয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীর ৬৫ পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছে ৪২, শূন্য রয়েছে ২৩টি পদ। হারবাল এসিট্যান্ড পদে ১জন কর্মরত রয়েছে। জুনিয়র ম্যাকানিকের পদ শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের ৩টি পদে ২জন কর্মরত রয়েছে, শূন্য রয়েছে ১টি পদ। অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ১টি পদ শূন্য রয়েছে। টিবি এন্ড ল্যাপরোসি কন্ট্রোল এসিট্যান্ড পদে ১ জন কর্মরত রয়েছে। ২টি সিকিউরিটি গার্ড ও ২টি আয়া পদ শূন্য রয়েছে। ২ জন কুকের স্থলে কর্মরত রয়েছে ১জন। মালি পদ শূন্য রয়েছে। অফিস সহায়ক ৪ জনের স্থলে কর্মরত ১, শূন্য রয়েছে ৩। ৫টি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ৩টি ওয়ার্ড বয়ের পদ শূন্য রয়েছে।
    এদিকে স্বল্প জনবল দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন হিমশিম খেতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। একদিকে জনবল সংকট, অপরদিকে ৪জন চিকিৎসক অত্র হাসপাতালের বেতনভাতা ভোগ করলেও প্রেশনে কর্মরত থাকেন ভিন্ন হাসপাতালে। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন থাকে ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী।
    প্রতিমাসে আড়াই’শ থেকে ৩শ গর্ভবতী নারী গর্ভকালীন সেবা নিয়ে থাকেন। রয়েছে জরুরী ও বহিঃ বিভাগ। সবমিলিয়েই জনবল সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা। পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর জানান, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর থাকলেও জনবল সংকটের কারণে পাইকগাছা উপজেলাবাসী কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। প্রতিবেশী দেশ ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক এগিয়ে গেলেও আমরা এখনো পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নির্ভর করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপর। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ চালু থাকলেও নেই কোন টেকনিশিয়ান। এক্স-রে মেশিনটি রয়েছে নষ্ট।
    ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এক্স-রে করতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মাসুম বিল্লাহ লাচ্চু। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি কখনো ভালো থাকে, কখনো আবার খারাপ থাকে। এভাবেই চলছে আল্ট্রাসনোগ্রাম। পরিচ্ছন্নকর্মী না থাকায় বেশিরভাগ সময় অপরিচ্ছন্ন থাকে হাসপাতাল। বাথরুমের দুর্গন্ধে নিঃশ^াস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় ভর্তিকৃত রোগীদের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনিমা বিশ্বাস জানান, হাসপাতালটি সব সময় নোংরা পরিবেশ থাকে। বাথরুমের গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। এভাবেই চলছে কয়েক লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা।
    এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সুজন কুমার সরকার জানান, নানা সংকটের মধ্যেও আমরা গর্ভবতী নারীদের গর্ভকালীন সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা রয়েছে ৮৫ ভাগ নরমাল ডেলিভারী নিশ্চিত করা। এটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করতে না পারলেও আমরা শতভাগ নিশ্চিত করছি। এটি আমাদের অনেক বড় সাফল্য।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানান, চরম জনবল সংকটের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রয়েছে। কিন্তু স্বল্প জনবল দিয়ে জরুরী বিভাগ সহ সবখানে সেবা দেওয়া অনেক কঠিন। জনবলের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে এটা যেমন সঠিক আবার স্বল্প জনবল নিয়ে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কয়েক লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি এটিও ঠিক।
    স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি প্রতিমাসের মিটিং এ উত্থাপন করা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
    অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১জনও পরিচ্ছন্নকর্মী নাই। আমরা কিছু পরিচ্ছন্নকর্মী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিয়েছি। যারা প্রতিদিন পরিচ্ছন্নকাজে নিয়োজিত থাকে। কিন্তু রোগী এবং তাদের স্বজনরা হাসপাতাল এবং হাসপাতালের বাথরুম যথাচ্ছো ব্যবহার করার ফলে বাথরুমগুলো নোংরা হয়ে যায়। এ কারণে বাথরুম পরিস্কার রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
    তিনি বলেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যেমন পর্যাপ্ত জনবল প্রয়োজন তেমনি উন্নত পরিবেশ বজায় রাখতে হাসপাতালে আসা রোগী এবং আগত সকলের সচেতন হওয়া উচিৎ। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন এলাকাবাসী।

  • নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে প্রায় দেড় বছর

    নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে প্রায় দেড় বছর

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি অবহেলার চরম সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
    দেড় বছর ভেঙে আছে কাঠের সেতু, নেই সংস্কারের উদ্যোগ। নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে প্রায় দেড় বছর ধরে। নতুন করে নির্মাণ বা সংস্কারে নেই কোনো উদ্যোগ। অবহেলার চরম এক সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, নির্মাণের এক যুগেও সেতুটির জন্য নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক। তাই এতদিন হেঁটেই সেই পথ পার করে আসছিল পৌর বাসিন্দারা। সর্বশেষ ভেঙে পড়ার পর জন প্রতিনিধিদের খামখেয়ালিপনায় পৌরবাসীর এক যুগের আক্ষেপ হয়েছে দ্বিগুণ। পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের। হাট-বাজারের যাতায়াতকারীদের অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও তাদের ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌরসভার পশ্চিম এলাকার একাংশ ও উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নকে সংযুক্ত করার জন্য ২০০৬ সালে নবগঙ্গা নদীতে কাঠের এ সেতু নির্মাণ করে লোহাগড়া পৌরসভা। নদীর উত্তরে চোরখালী, জয়পুর আর ছাতড়া গ্রাম নিয়ে গঠিত ১ নম্বর ওয়ার্ড। নদীর দক্ষিণে কচুবাড়ীয়া, রামপুর, শিংগা আর মশাঘুনি নিয়ে গঠিত পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড। পৌরসভার পশ্চিম এলাকার জনগণের যাতায়াত নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য চোরখালি আর দক্ষিণের কচুবাড়ীয়া গ্রামের সোজাসুজি একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে লোহাগড়া পৌর কর্তৃপক্ষ। তাতে করে পৌরবাসীর স্বল্প দূরত্বে পৌরকার্যালয়, উপজেলা সদর ও জেলা শহরে যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
    ইতোমধ্যে ক্ষমতার পালাবদল হলেও সেতুটি নির্মাণের এক যুগ পরেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। হেঁটেই নদীর এপার-ওপার যাতায়াত করে আসছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু গত বছরের জুনের শেষ দিকে বালুব্যবসায়ীরা ড্রেজার দিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আনার ব্যবস্থা করতে গিয়ে অতিপ্রয়োজনীয় সেতুটি মাঝ বরাবর ভেঙে ফেলে রাতের অন্ধকারে। তারপর থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়ে সেতু ব্যবহারকারীরা।
    কচুবাড়িয়া গ্রামের শ্যাম সুন্দর পাল বলেন, ব্রিজটা ভেঙে যাওয়ায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরের যেতে হয়। এতে আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তেমনি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। সেতুটি দ্রুত মোরামত করে দিলে সময় বাঁচবে এবং আর্থিক ক্ষতি থেকেও রক্ষা পাব।
    ধোপাদাহ গ্রামের জাহিদুল হক বলেন, আমাদের ছেলেমেয়ে ওপারে মাদরাসায় পড়ে। তারা এখন ঠিকমতো যেতে পারছে না। এ ছাড়া নড়াইল সদর হাসপাতালে ও কোর্টে ঠিকমতো যেতে পারছি না। এক মিনিটের পথ এখন ঘুরে যেতে সময় লাগছেএক ঘণ্টা। তারপর আবার সময়মতো এখান থেকে গাড়ি পাওয়া যায় না। ব্রিজটা আমাদের খুবই জরুরি।
    এক যুগেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক এক মিনিটের পথ এখন লাগছে এক ঘণ্টা পৌরবাসীর আক্ষেপ, তাদের এই দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি দেখতেও আসেনি পৌর কর্তৃপক্ষ, এমন ভাষা তাদের।
    এলাকাবাসীর দাবি, জেলার ‘সি’ শ্রেণির এই পৌরসভার চার ভাগের একভাগ মানুষের সহজ যাতায়াতের জন্য সেতুটি যেন মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা হয় এবং তার মাধ্যমে শিশুদের স্কুলে যাতায়াত ও সাধারণের অফিস-আদালত, হাটবাজারসহ মূল সড়কে সংক্ষিপ্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়ে মূল সড়কে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।
    লোহাগড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল বলেন, নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি প্রায় দেড় বছর আগে ড্রেজারের ধাক্কায় ভেঙে গেছে। জনগণের পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। আমি ও পৌর মেয়র সেতুটি পরির্দশন করেছি।
    এই বিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসিয়ুর রহমান বলেন, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা তিনি অবগত আছেন। তবে ক্ষতিপূরণ বা ড্রেজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারেননি তিনি।
    তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে সেতু মেরামতের কথা ভাবছি না। সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজের নির্মাণের কথা ভাবছি। এসময় সাধারণ মানুষকে নৌকার ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দেন তিনি।

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

  • জীবনের  ঝুঁকি নিয়ে পানগুছি নদী পারাপার ট্রলার ডুবির ঘটনায় গত ১০ বছরে ১৮ জন মৃত্যু বরন

    জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানগুছি নদী পারাপার ট্রলার ডুবির ঘটনায় গত ১০ বছরে ১৮ জন মৃত্যু বরন

    এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:বাগেরহাটের পানগুছি নদী তীরবর্তী উপজেলা মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা। নদীটিতে ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষ। এছাড়া ট্রলার মালিকদের উদাসীনতায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা অবিলম্বে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

    এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, চলতি অর্থবছরে পানগুছি নদীর ওপরে ব্রিজ তৈরির একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

    নদী পারাপারে নৌযানটি যাত্রী নিতে পারে প্রায় ৩০ জন। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ মানুষ নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণভাবেই চলছে বাগেরহাটের পানগুছি নদীর ইঞ্জিল চালিত ট্রলারগুলো।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পারাপার হতে বাধ্য হন তারা। প্রায়ই ট্রলার মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

    তাই, জনদূর্ভোগ এড়াতে দ্রুত পানগুছি নদীর ওপর ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়েছেন তারা।

    বাগেরহাট মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ-ই আলম বাচ্চু বলেন, ‘মোরেলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, শরনখোলা এমনকি মটবাড়িয়া ভান্ডারিয়ারও একটা অংশের লোকজন এখান থেকে চলাফেরা করে। যে কারণে ব্রীজটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

    সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা জানালেন, পানগুছি নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

    বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ৪’শ ১২ কোটি টাকার একটা প্রজেক্ট ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি।’

    স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য মতে, গত ১০ বছরে পানগুছি নদীতে প্রায় অর্ধশত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছে প্রায় ৩০ জন। সবশেষ গত ২৮ মার্চ ৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় নারী,শিশুসহ ১৮ জন মৃত্যু বরন করেন।