Category: জনদূর্ভোগ

  • টিনের বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা দ-খল করে দোকান নির্মাণ- দু-র্ভোগে ১৫ টি পরিবার

    টিনের বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা দ-খল করে দোকান নির্মাণ- দু-র্ভোগে ১৫ টি পরিবার

    খলিলুর রহমান খলিল নিজস্ব প্রতিনিধ:
    নীলফামারীতে পঞ্চাশ বছরের পুরোনো একমাত্র চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সেতু নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এতে সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের নগর দাড়োয়ানী টেক্সটাইল কবিরাজ পাড়া গ্রামের ১৫টি পরিবার চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা বাজার, স্কুল, মসজিদ ও হাসপাতালে যাতায়াত করে আসছিলেন। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় পুরো গ্রাম প্রায় অবরুদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে তারা চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগের পরও কোনো ব্যবস্থা নেয় নি তারা।

    ভুক্তভোগী আঞ্জুয়ারা সুমি বলেন, “আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে এই রাস্তায় চলাচল করছি। এখন সেতু দোকান তুলে পুরো পথ বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে কষ্ট হচ্ছে।”

    রুবি বেগম বলেন, “বাড়ি থেকে বাজারে যেতে এখন অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। বৃদ্ধ মানুষদের জন্য এটা অনেক কষ্টকর।”

    শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, “রাস্তায় দোকান উঠায় স্কুলে যেতে অনেক দেরি হয়। ক্লাসও মিস করি।” নয়ন ইসলাম বলেন, “আমরা খেলাধুলা বা পড়াশোনার কাজে বাইরে যেতে পারি না, কারণ রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ।”

    এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সেতু বলেন,“তারা এখন পর্যন্ত আমাদের জমিতে বসবাস করতেছে। আমরা তাদের রাস্তা দিয়েছি, থাকার জমি দিয়েছি। তাদের এখন ওই রাস্তা দিয়ে চলতে দূর হয় নাকি। তারা যে অভিযোগ করছে তা সত্য নয়। তাদের চলাচলের রাস্তা রয়েছে।”

    এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,“বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

  • নেছারাবাদের সাগরকান্দা নাথপুর খালের পোল যেন মৃ-ত্যুফাঁদ ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

    নেছারাবাদের সাগরকান্দা নাথপুর খালের পোল যেন মৃ-ত্যুফাঁদ ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

    নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

    নেছারাবাদের সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাগরকান্দা বাজার হয়ে নাথপুর খালের উপর লোহার ভিমের স্লিপার পুলগুলো এখন পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুর উপর সুপারি গাছ ও বাঁশের হাতল দিয়ে কোনোভাবে পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থী সহ স্থানীয়রা। প্রতিদিন প্রাণ হাতে নিয়ে চলছে তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড়যুগ আগে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এই সেতুটি সাগরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের তিন গ্রামের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেতুগুলো নড়বড়ে হয়ে পড়ে। কয়েক বছর আগে বন্যায় গাছ পড়ে সেতুগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম.কে. সবুর তালুকদার সেতু মেরামতের কথা বলে ভিম, অ্যাঙ্গেল ও স্লিপার খুলে নেন। কিন্তু এরপর থেকে আর মেরামতের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

    স্থানীয় বাসিন্দা মো. মজিবুর রহমান মৃধা বলেন, এই রাস্তার সবচেয়ে ভয়াবহ পুল নাথপুর গ্রামের তিনটি পুলটি “পুলের অবস্থা এত খারাপ যে, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না, অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে নিতে পারি না। চেয়ারম্যানরা মেরামতের নামে লোহার ভিম খুলে নিয়ে গেছে, তারপর আর কেউ খোঁজ নেয়নি।”

    আরেক বাসিন্দা মো. জিয়া উদ্দিন তৌহিদ জানান, “এই রাস্তাটি তিন গ্রামের মানুষের একমাত্র যোগাযোগ পথ। এখানে তিনটি মন্দির ও একটি স্কুল আছে। পুল না থাকায় আমরা প্রতিদিন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করি।”

    উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সাগরকান্দা বাজার থেকে এক কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক ও তিনটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছিল। কাজটি মেসার্স ইফতি ইটিসিএল নামের প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডার হয়, যার মালিক সাবেক সংসদ সদস্যের ভাই মহিউদ্দীন মিরাজ। কিন্তু দুর্নীতির মামলায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

    ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন বেপারী বলেন, “টেন্ডার হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু মামলার কারণে কাজ হয়নি। পুলের লোহার ভিম ও অ্যাঙ্গেল কারা খুলে নিয়ে গেছে, তা আমার জানা নেই।”

    সাবেক চেয়ারম্যান এম.কে. সবুর তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    উপজেলা এলজিইডি অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ বলেন, “টেন্ডার হয়েছিল প্রায় কোটি টাকার উপরে। পরে ঠিকাদারি লাইসেন্সের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে পুনরায় বিবেচনা করা হবে।”

    স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এতে তিনটি গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ।।

  • পাইকগাছার উওর গড়ের আবাদ গ্রামে  বাঁশের সাঁকোই দু”সহস্রাধিক মানুষের পারাপার একমাত্রই ভরসা

    পাইকগাছার উওর গড়ের আবাদ গ্রামে বাঁশের সাঁকোই দু”সহস্রাধিক মানুষের পারাপার একমাত্রই ভরসা

    ইমদাদুল হক, (পাইকগাছা ( খুলনা ) ।।

    আষাড়ে টানা ২৫দিন বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকো উপর কোমর পানি দীর্ঘদিন যাবৎ পারাপারে নেই সেতু, তাই বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা নদীপাড়ের মানুষের। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় এই সাঁকোর উপর দিয়ে। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর গড়ের আবাদ সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে নৈর নদীর ওপর রয়েছে নড়বড়ে এই সাঁকো। সংস্কারের অভাবে সাঁকোটি এখন পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে।প্রতিদিন উত্তর গড়ের আবাদ ও পূর্বগজালিয়া গ্রামের শত শত মানুষ চলাচল করেন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগীরা। দীর্ঘদিনেও সেতু তৈরি না হওয়ায় কিংবা কোনো সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে নির্বাচন শেষে কোনো খোঁজ রাখেননি। তাছাড়া প্রতিনিয়তই এই সাঁকোতে দুর্ঘটনা ঘটছে।কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদিত হলেও সময়মতো পরিবহণের ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলো বাজারে পৌঁছানো যায় না। ফলে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় প্রায় ২ হাজার মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। তাই দ্রুত সেখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উত্তর গড়ের আবাদ গ্রামের বাসিন্দাদের জেলা কিংবা উপজেলা সদরে যাতায়াতের সহজ পথ হলো পূর্ব গজালিয়া ইটের সলিং রাস্তা। প্রতিদিন শত শত মানুষ এ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে পূর্ব গজালিয়ার ডাবল ইটের পাকা রাস্তায় উঠেন। টানা বৃষ্টিতে সাঁকোটি উপর কোমর পানি বর্তমানে প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থায় রয়েছে, ।উত্তর গড়ের আবাদ গ্রামের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকার দুই হাজার মানুষ সম্পূর্ণভাবে এই সাঁকোর উপর নির্ভরশীল। এখানে নেই কোনো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পূর্ব গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হলে বাধ্য হয়ে বিপজ্জনক সাঁকো পার হতে হয়। শুকনো মৌসুমে অনেকে বাদুড়িয়া ব্রিজ বা চৌমুহনী বাজার ঘুরে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে স্কুলে যান। এছাড়া স্থানীয় গাড়িচালকরা (মোটরভ্যান, নসিমন, করিমন) রাস্তার মাথায় কিংবা অন্যের বাড়িতে গাড়ি রেখে সাঁকো পার হয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হন। এলাকার সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে গ্রামের মানুষ নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করেন। এরপর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জোয়াদুর রসুল বাবুর সময় সরকারি বরাদ্দে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাস ঢালী কিছু পাকা পিলার ও কাঠ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই সাঁকোটি আবার ভেঙে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় স্থানীয়ভাবে বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করা হলেও সেটিও এখন পারাপারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীনের সু-দৃষ্টি কামনায় উল্লেখিত স্থানে ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানান এলাকা বাসি

    প্রেরক,

    ইমদাদুল হক

    পাইকগাছা,খুলনা

  • পাইকগাছা পৌরসদর সহ নিন্মাঞ্চল প্লা-বিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষ-তি- বেড়েছে জনদু-র্ভোগে

    পাইকগাছা পৌরসদর সহ নিন্মাঞ্চল প্লা-বিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষ-তি- বেড়েছে জনদু-র্ভোগে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা ) ।।

    ভারী বর্ষায় উপকূলীয় পাইকগাছার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি আর বেড়েছে জনদূর্ভোগ। উপজেলা কৃষি অফিস ও আদালত চত্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে কয়েকবার একটানা ভারী বর্ষণে পাইকগাছার বিস্তির্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এবছর বর্ষকালের শুরু আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে একটানা গুড়ি গুড়ি, হালকা ও ভারি বৃষ্টি লেগে আছে। এতে আমন ধানের বীজ তলা, সবজি ক্ষেত, মৎস্য লীজ ঘের, নার্সারী, পুকুর, বাগান, রাস্তা ও বসতবাড়ী তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

    পাইকগাছার গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলী উঁচু এলাকা হলেও বাকী ৬টি ইউনিয়ন নিচু এলাকায় অবস্থিত। সামান্য বৃষ্টি হলে এ সকল এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। তবে গত দিনের ভারী বর্ষণে উঁচু এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌর বাজারের স্বর্ণ পট্টি, মাছ বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামীন রাস্তাগুলি পানিতে তলিয়ে থাকে। বাড়ির উঠানে পানিতে তলিয়ে থাকায় সাধারণ মানুষ বিড়াম্বনায় পড়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শ্রমজীবী মানুষরা কাজেে যেতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়ে আর্থিক অনাটনের মধ্যে পড়েছে।

    উপজেলার সদর ইউনিয়ন গদাইপুরের কয়েক’শ নার্সারী ক্ষেত পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবজি ক্ষেত ও আমন ধান ঝড়ো হাওয়ায় পড়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টিতে মানুষের জনদূর্ভোগ বেড়েই চলেছে। গদাইপুর ইউনিয়নের কৃষক সামাদ গাজী জানান, ভারী বৃষ্টিতে নার্সারী, সবজি ও ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তার কুল, পেয়ারা ও লেবুর প্রায় তিন হাজার ছোট চারা পানির নিচে তলিয়ে আছে। বাড়ির উঠান পর্যন্ত তালিয়ে রয়েছে।

    উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এলাকাবাসির একই অভিযোগ, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ানের পানি নিষস্কাশনের ড্রেন ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি বের হতে পারছে না। তাছাড়া ব্যক্তি স্বার্থে কিছু মানুষ তার বাড়ির সামনের বা পাশের ড্রেনটি বন্ধ করে রাখায় বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পানি ঠিক মত বের হতে পারছে না। এতে করে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

    পাইকগাছা মেইন সড়কের ঘোলাবাটি, সলুয়া, নতুন বাজার ও জিরো পযেন্ট এলাকার ভাঙ্গা রাস্তা আরো ভেঙ্গে ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয়েছে। যানবাহন ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে।

    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হয়ে আমন ধানের বীজ তলা তলিয়ে গেছে ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের উপসহকারি কর্মকর্তারা ইউনিয়ানে কাজ করছেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই প্লাবিত এলাকা পানি সরে গেলে আমন ধানের চারার তেমন ক্ষতি হবে না।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি নিষস্কাশনের জন্য নদীর স্লুইস গেটগুলি উন্মুক্ত রাখাসহ বিভিন্ন পানি নিঃস্কাশনের ড্রেনগুলি পরিস্কার করার জন্য টিমগুলি কাজ করছে।

  • বানারীপাড়া পৌরশহরের সড়কগুলো এখন জনগনের জন্য ম-রন ফাঁ-দ

    বানারীপাড়া পৌরশহরের সড়কগুলো এখন জনগনের জন্য ম-রন ফাঁ-দ

    বিশেষ প্রতিনিধি।।

    বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। সড়কগুলোতে ছোট বড় অসংখ্য পুকুরের মতো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে সড়কে চলাচলরত যানবাহন প্রায় দিনই বিপদের সম্মূখিন হচ্ছে।এ থেকে ঘটতে পারে বড় কোনো দূর্ঘটনা।পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৯ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত কোনো সড়কই মানুষের চলাচলের উপযুক্ত নেই।ফেরিঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড হয়ে হাসপাতালে প্রসূতি রোগী,বৃদ্ধ ও অন্যান্য অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা হওয়ার কারনে এসব মানুষ খরার উপরে মরার ঘা পরিস্থিতির শিকার হন।এছাড়াও ১ নং ওয়ার্ডের সকল সড়ক,২নং ওয়ার্ডের বন্দর বাজার হয়ে নাজিরপুর যাওয়ার বাইপাস ,কলেজ মোড় হয়ে নাজিরপুর যাওয়ার সড়ক,ডাকবাংলো হয়ে ৪,৫ ও ৭নং ওয়ার্ডে যাওয়ার সড়ক, বানারীপাড়া হাইস্কুলের সামনের ও পিছনের দুইটি বাইপাস,বানারীপাড়া কলেজ হয়ে হাইস্কুলে যাওয়ার সড়কসহ পৌরসভার সকল সড়কেরই এ বেহাল দশা।তাছাড়াও পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নিম্নমানের হওয়ার কারনে বিভিন্ন সড়ক,মাঠ ও জলাশয়ে পানিবদ্ধতার সৃস্টি হয়।পৌরসভায় রয়েছে একটি কলেজ,একটি আলিম মাদ্রাসা, একটি ফাজিল মাদ্রাসা,তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,দুইটি প্রাইমারি স্কুল, দুইটি কিন্ডারগার্টেন, কয়েকটি নূরাণী ও হাফেজি মাদ্রাসা।সড়কগুলোর অবস্থা খারাপ হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

    পৌরবাসী অভিযোগ করে বলেন নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করেও তারা পৌরসভা থেকে তেমন কোনো উন্নত সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না।তারা এর কারণ হিসেবে জানান বিগত সরকারের সময়ে অনেক ঠিকাদার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন।তারা পৌরসভা থেকে বিভিন্ন কাজের কন্টাক্ট নিয়ে নিম্নমানের কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।যার ভুক্তভোগী হয়েছেন পৌরসভায় বসবাসরত কয়েক হাজার জনগণ।

    সড়ক,ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে পৌর প্রশাসক মোঃ আহসান হাফিজের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে সকল সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে তা মেরামত করা,ড্রেনগুলো পানি চলাচলের উপযুক্ত করাসহ অন্যান্য যে সকল সমস্যা আছে তা দ্রুত সমাধানের জন্য তিনি তার পৌর কর্তৃপক্ষ জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

  • থানচিতে বলিপাড়া খ্রিস্টান মিশন সড়কের বেহা-লদশা, জনদু-র্ভোগ চরমে

    থানচিতে বলিপাড়া খ্রিস্টান মিশন সড়কের বেহা-লদশা, জনদু-র্ভোগ চরমে

    থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: মথি ত্রিপুরা।

    বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়ন সাংঙ্গু নতুন ব্রীজ হইতে খ্রীষ্টান মিশন ও রুমা উপজেলা দুর্গম ৪ নং গালেংগ্যা ইউনিয়ন সীমান্ত পর্যন্ত ১.৫ কিলোমিটার সড়কটির বেহাল দশায় ৩ ইউনিয়নের অন্তত ৫০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন।
    সংস্কারের অভাবে ইট সোলিন সড়কটি ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের, যা যান চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বলিবাজার সাঙ্গু সেতু থেকে বলিপাড়া খ্রিস্টান মিশন রুমা ও থানচি উপজেলা গ্যালেংগ্যা ইউনিয়ন সীমান্ত পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে গর্তগুলো কারনে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
    থানচি রুমা উপজেলায় বলিপাড়া, গালেংগ্যা ও রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। বলিপাড়া, ক্যচু পাড়া, মরো পাড়া, ব্রহ্মদত্ত পাড়া, জৈতুন পাড়া, জ্ঞানলাল পাড়া, এদেন পাড়া, রামদু পাড়া, আদিগা পাড়া,বিশায় পাড়া,কিস্ত পাড়া,মুংগহা পাড়া, সতিচন্দ্র পাড়াসহ ২ উপজেলার প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষের জন্য এটিই প্রধান যাতায়াতের পথ।
    বলিবাজার এলাকাটি দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়, ১০টি সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাহাড়ের ফল ফসলাদি ও তরিতরকারি বিভিন্ন পণ্য হাটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দুই উপজেলায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এখানে পণ্য কেনাবেচার জন্য আসেন। কিন্তু সড়কের করুণ অবস্থার কারণে তারা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না, যা ব্যবসায়িক ও কৃষকের জন্য ক্ষতিসাধন হচ্ছে।
    প্রতিদিন এই সড়কে টমটম, তিন চাকার মাহেন্দ্র গাড়ি ও বিসেভেন্টিসহ ছোট বড় ট্রাক যানবাহন চলাচল করে। সড়কের দুরবস্থার কারণে প্রায় প্রতিদিনই ছোটবড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। পথচারী ও চালকদের জন্য সড়কটি এখন চরম দুর্ভোগে কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    এলাকার কৃষিজীবী মানুষেরা তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য কলা, আম, কাজুবাদাম, আদা, হলুদ, তরিতরকারি বাজারজাত করতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সড়কের বেহাল দশায় শিক্ষার্থীরাও স্কুলে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে।
    এই নিয়ে প্রফুল্ল পাড়া বাসিন্দা শান্তি রঞ্জন চাকমা বলেন, এই রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে গর্তে হয়ে যাওয়ার কারনে যাতায়াতের খুবই কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে যায় রাস্তাটি। রাস্তা সংস্কারের জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    টমটম গাড়ি চালক রতন কর্মকার বলেন, এই রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। রাস্তার খারাপ হওয়ার কারনে গাড়ি নষ্ট হয়ে ঘনঘন ঠিক করতে হয়। বৃষ্টি হলেই আর গাড়ি চালানো যায়না। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
    বাসিল মরো পাড়া কারবারি বার্নাড ত্রিপুরা বলেন, সড়কের প্রতিদিন অন্তত শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। এই পথ দিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের একমাত্র সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অতি দ্রুত সংস্কারে দাবি জানাচ্ছি।
    বলিপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যসাউ মারমা বলেন, সাঙ্গু সেতু থেকে বলিপাড়া খ্রিস্টান মিশন পর্যন্ত অনুমানিক ১ কিঃমিঃ রাস্তাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে মানুষের যাতায়াত করতে হচ্ছে। অচিরেই সড়কটির পুনঃ সংস্কারে জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, বলিপাড়া খ্রিস্টান মিশন সড়কটি বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সামনের বাজেটে বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-আল-ফয়সাল জানান, বলিপাড়া খ্রিস্টান মিশন সড়কটির বেহালদশা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

  • গোদাগাড়ীর মোহনপুর  ইউনিয়নের পালশা এলাকায় রাস্তার বেহা-ল দশা

    গোদাগাড়ীর মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা এলাকায় রাস্তার বেহা-ল দশা

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে হাটু পরিমান পানি। বৃষ্টি কৃষি কাজের জন্য উপকারী, জনজীবনে স্বস্তি দিলেও কিছু জায়গায় তৈরি করে জনদুর্ভোগ। যদিও এর দায় বৃষ্টির নয়, মানুষের। স্বস্তির বৃষ্টি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন, ভ্যান, সাইকেল, বাইক, মানুষ, শিক্ষার্থীগণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী জানান এ রাস্তা পাঁকা করার জন্য মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নিকট অনেকবার যোগাযোগ করেছেন এবং প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। ফলে জনগনের কষ্টের সীমা নেই। এলাকাবাসী আরও জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধু প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, বাস্তবে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি রাস্তাটিতে।

    এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    এলাকার ভৃক্তভোগি আর এইচ রানা দেওয়ান বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও এ রাস্তায় কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি। উন্নয়ন বৈষম্যের স্বীকার গ্রামের মানুষ। যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা বৃষ্টি শুরু হলে বর্ষাকালে হাঁটাচলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। রাস্তায় জমে হাটুপরিমান পানি ও কাঁদা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এলাকাবাসী এই রাস্তাটি জরুরীভাবে সংস্কারের প্রশাসন ও মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ

    কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ

    এম এস সাগর,
    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী হয়ে কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর পর্যন্ত ৩৭.৭কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ তৈরী হচ্ছে। এটি নির্মাণ শেষ হলে বন্যা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে নদী পাড়ের শতাধিক গ্রামের মানুষ আর পাল্টে যাবে আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং বাড়বে মফস্বলের।জীবন যাত্রার উন্নয়ন।

    জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞার যথার্থ নির্দেশে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তারঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবর রহমানে র সার্বিক প্রচেষ্টায় এবং কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মুন্না হকের তত্ত্বাবধানে দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী উপজেলা হয়ে কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর পর্যন্ত ৩৭.৭কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ৯টি প্যাকেজে ৩৭কোটি ৭০লাখ ১২হাজার ৩২৮টাকা ৪৮পয়সা বরাদ্দে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দ্রুত গতিতে তৈরী হচ্ছে। ইতোমধ্য ঠিকাদার রিপন সরকার ও হারুন অর রশিদ নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়া ঘাট থেকে বামনডাঙ্গা (আয়নালের) ঘাটের পূর্বে ৫০০মিটার পর্যন্ত দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে বিধি মোতাবেক দ্রুত তৈরী করছে প্রায় দুই।কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বাঁধ নির্মাণ শেষ হলে সামনের বন্যা-নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে ও বন্যা থেকে রক্ষা পাবে কৃষি জমি ও নদী পাড়ের মানুষ। এছাড়া এই বাঁধ স্থানীয়দের নিরপেক্ষ চলাকালসহ পাল্টে যাবে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা। এরই মধ্য এই প্যাকেজের বাঁধের ৫০শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরে বর্ষার মধ্য শতভাগ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ঠিকাদার রিপন সরকার বলেন, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়া ঘাট থেকে বামনডাঙ্গা (আয়নালের) ঘাটের পূর্ব পর্যন্ত দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে বিধি মোতাবেক দ্রুত তৈরী চলছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এলাকার মানুষ বন্যা ও কৃষি জমি রক্ষা পাবে। এলাকার উন্নয়নে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হবে।

    স্থানীয় আমজাদ হোসেন, এনামুল হক, জামাল হোসেন ব্যাপারী, বাবলু মিয়া বলেন, বাঁধটি তৈরী হলে ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। নিরপেক্ষ চলাচলের প্রধান বাহক হিসেবে বাঁধটি ব্যবহার হবে। পাল্টে যাবে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থা।

    কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান বলেন, দুধকুমার নদীর পাড় ঘেঁসে ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী হয়ে কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর পর্যন্ত ৯টি প্যাকেজে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কাজ যথা সময়ে শেষ হওয়ার আশা করছি। বাঁধটি নির্মিত হলে এই এলাকার মানুষ বন্যা থেকে রক্ষা পাবে এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে উপকৃত হবে।

    বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তারঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবর রহমান বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজি মুহাম্মদ আমিরুল হক মহোদয়ের ভূঞার যথার্থ নির্দেশ মোতাবেক আমরা কুড়িগ্রামের নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করছি। কাজ সন্তোষজনক।

  • পাইকগাছা পৌরসভায় সুপেয় পানির সংকট চরমে

    পাইকগাছা পৌরসভায় সুপেয় পানির সংকট চরমে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা ( খুলনা )।।

    লবণ পানি-অধ্যুষিত উপকূলবর্তী খুলনার দক্ষিণ জনপদ পাইকগাছা। এ অঞ্চলে সুপেয় পানির বড়ই অভাব। এলাকার মানুষ ছোটবড় পুকুর, দীঘি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি শোধন ও সরবরাহ করে থাকে। পাইকগাছা পৌরসভাও এর ব্যাতিক্রম নয়।পরীক্ষা করে দেখা গেছে পৌরসভায় গভীর নলকূপ বসানোর উপযুক্ত নয়। আবার পানি সংরক্ষণের মত বড় পুকুরেরও অভাব। দীর্ঘদিন ধরে সুপেয় পানির চরম সংকট হওয়ায় পানির অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছে এলাকাবাসী। পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারায় অনেকেই পুকুরের শ্যাওলাভর্তি, দুর্গন্ধযুক্ত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন পৌরবাসী। সরজমিনে পৌর সদরস্থ মধুমতি পার্কে পানি প্রকল্পের আওতায় বি ব্লকে পানি নিতে আসা শুধু পৌরবাসী নয় পার্শ্ববর্তী লস্কর ইউনিয়নের কড়ুলিয়া গ্রাম, স্মরণখালী, মাঠাম, আলমতলা নারী-পুরুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে কেউ কলসে, কেউ পটে করে পানি সংগ্রহ করেন। সেখানে এখন ধূ ধূ করছে। জনশূন্য। প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ৯নং ওয়ার্ড থেকে আসা চঞ্চলা রাণী, আরতী ও নাজমা আক্তারদের সাথে কথা হলে বলেন, এখান থেকে আমরা নিয়মিত পানি নেয়। কয়েক দিন ধরে পানি নেই। বাধ্য হয়ে পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করছি। উপজেলার লোনা পানি কেন্দ্রের পুকুর থেকে ড্রামে পানি তোলার সময় ভ্যানচালক সুশান্ত মন্ডল বলেন, পৌরসভা যে পানি দেয় খাওয়া যায় না। আমি প্রায় ৩/৪ কিলোমটার দূরে শিববাটি, পাশে সরল ও বাতিখালী গ্রামের অনেক মানুষদের খাওয়ার জন্য এখান থেকে পানি সরবরাহ করি। আর পৌরসভা আজকে পানি দেয় তো কালকে দেয় না। উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম আশরাফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি পানি সাপ্লাই অনিয়মিত। শুনেছি পানি সংকটের কারণে পৌরসভা পানি দিতে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু পানি ছাড়া তো এক দিনও চলা যায় না। এরকম নানাবিধ অভিযোগের কথা শোনা যায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পুকুর থেকে পানি নিতে আসা রুপালী, আক্তারের মা, বাসন্তী রাণী, টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ছ্যালোযুক্ত পুকুর থেকে পানি আনা শেফালী, অর্চনা রাণী, উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে পানি আনা নজর আলী, রোজিনা, আমেনারা। প্রত্যেকেই অত্যন্ত নিরুপায় হয়ে শ্যাওলাভর্তি, দুর্গন্ধযুক্ত পুকুরের পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। এবং পড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এদিকে জানা যায়, পানির সংকট নিরসনে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯১৪ সাল থেকে পৌর পানি শাখার মাধ্যমে ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ শুরু করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই বছরই সরল পুকুর পাড়ে তিনটি পাম্প হাউজের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে ট্রিটমেন্ট করে সরবরাহ করেন। তখন গ্রাহক সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫০টি। বর্তমানে হাউজের সংখ্যা ৫ হাজারের উর্ধ্বে। এত বিপুল চাহিদার মধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ মাত্র ১২ শত গ্রাহকদের পাইপ লাইনের মাধ্যমে সকালে ও বিকেলে সুপেয় পানি সরবরাহ করে আসছিল। আর পানি সংকটে বান্দিকাটি, গোপালপুরের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত। পানি সংকটে ওই তিন ওয়ার্ড পানি দিতে না পারার দায়ভার স্বীকার করেছেন কর্তৃকপক্ষ। সম্প্রতি মানুষের চাহিদার তুলনায় পৌরসভায় পানি অনেক কম দিতে বাধ্য হচ্ছে। সকাল বিকালে দু’বার এর পরিবর্তে ১বার পানি সরবরাহ করছে। অনেক সময় একদিন পর পর পানি সরবরাহ করে। পানি মান সহ বিবিধ প্রশ্ন উঠালে পৌর পানি সরবরাহ শাখা বিলক্লার্ক মোঃ শাহিনুর হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, পানির গুণাগুণ ভালো আছে কিনা তার জন্য প্রতি ৬ মাস পর পর কুয়েট খুলনা হতে পানি টেস্ট করা হয়। গ্রাহকের নিকট ভালো পানি দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে পৌরসভার পার্শ্ববর্তি ইউনিয়ন গদাইপুরের মানিকতলা নামক স্থানে একটা বোরিং করে সেখান থেকে পানি সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু দিন দিন গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ায় একটা পাম্প হাউজ দিয়ে পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। একটি পাম্প যদি নষ্ট হয় তখন সেটি মেরাতম করতে সময় লাগে মিনিমাম ৭ দিন। যার কারণে পৌরসভা গদাইপুর মোড়ে একটি জমি ক্রয় করে। পুকুর থাকায় সেটা ভরাট করে সেখানে একটি পাকা পাম্প হাউজের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে পৌরসভার অর্থায়নে। বিদ্যুৎ এর ফোর ফোরটি লাইন না থাকায় বিদ্যুৎ অফিস প্রায় লক্ষাধিক টাকা জমা দিয়ে দুইটি কারেন্টের পোল ক্রয় করে নির্মাণ করা হয়। সেখানে নিজস্ব তিনটি ট্রান্সমিটার ক্রয় করে বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। কারেন্টের সংযোগও নেওয়া শেষ। মানিকতলা হতে গদাইপুর জমি পযর্ন্ত ৪” ই ক্লাস পাইপ বসানোর কাজ ও শেষ করা হয়েছে ঠিকাদারের মাধ্যমে। জনগনের নিকট ভালো পানি দেওয়ার জন্য এখন বোরিং এর কাজটা শেষ হওযা জরুরি। না হলে পৌরসভায় কোন ভাবে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। পৌরসভার ভিতরে এখন ৫০% লোকের বাড়িতে পানির লাইন আছে। গ্রাহকের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পানি দেওয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়া প্রায় ১ বছর ধরে নতুন পানির লাইনের সংযোগ দেওয়া বন্ধ আছে। অস্বাস্থ্যকর, দুর্গন্ধযুক্ত পুকুর থেকে খাবার পানি সংগ্রহকারী পরিবারের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবর রহমান বলেন, এভাবে চলতে থাকলে হেপাটাইটিস এ, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশা, ডায়রিয়া, এলার্জি সহ পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পারে। যাহা এলাকাবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে। এব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, আপনারা জানেন এ অঞ্চলটি লবণ পানি-অধ্যুষিত। চারিদিকে পানি। তবে বিশুদ্ধ খাবার উপযোগী পানি নাই। পৌরসভার বর্তমান পানির গ্রাহকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় পানি সরবরাহ অনেক কম থাকায় এ সংকট উত্তরণে গদাইপুরে পাম্প হাউজের কাজ চলমান। সকলের সহযোগিতায় খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হলে পৌরসভা সহ আশেপাশের এলাকার মানুষের সুপেয় পানি আর সংকট থাকবে না। দ্রুত বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পৌরবাসী।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা

  • গৌরনদীর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় ভোগান্তিতে মা ও শিশুরা

    গৌরনদীর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় ভোগান্তিতে মা ও শিশুরা

    কে এম সোহেব জুয়েল ঃ বরিশালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় ভোগান্তিতে পরছেন এলাকার গর্ভজনিত রুগি ও শিশুরা।

    ২০ অক্টোবর রবিবার বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মিয়ারচর গ্রামে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মানাধীন ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ও প্রয়োজন মাফিক অফিস স্টাফ না থাকায় ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে এলাকার গর্ভ জনিত মা ও শিশুদের। সরজমিনে ঘুরে এমনটিই লক্ষ করা গেছে।

    স্হানীয় গর্ভজনিত অনেকের মধ্যে খাদিজা বেগম বলেন, সেবা কেন্দ্রটিতে মেডিকেল অফিসার ও পর্যাপ্ত পরিমান লোকবল না থাকায় স্হানীয় গর্ভজনিত মা ও শিশুদের শহর এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে গিয়ে যোগাযোগের দুরাবস্থার কারনে কাউকে আবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতেও দেখা গেছে। সেকমো মোঃ আবির হোসেন (অতিরিক্ত) কে দিয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার দায়সারা কাজ করানো হচ্ছে বলে এমন মন্তব্য করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

    অপরদিকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের একাধিক কর্মরতদের মধ্যে পরিবার কল্যান কেন্দ্রের পরিদর্শক এফ ডব্লিউ ভি ঝুমকা বলেন, গর্ভ জনিত রুগিদের সঠিক সেবা ও চিকিৎসা দেয়ার ইচ্ছে থাকলেও মেডিকেল অফিসার নিয়োগ না থাকার কারনে সঠিক ভাবে চিকিৎসা দিতে পারছেননা তিনি। তাই অতি দ্রুত মেডিকেল অফিসার নিয়োগের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা ফিরে দিতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনাও করছেন তিনি। অপর দিকে জমি দাতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও দানবীর মোঃ শাহালম হাওলাদার বলেন, বর্তমান বাজার দরে অর্ধ র্কোটি টাকার জমি দান করেও আশানুরূপ সুফল দেখতে পাচ্ছেননা তিনি, মেডিকেল অফিসার না থাকার করনে রুগিদের সমাগম শুন্যতায়। ভিন্ন দিকে ভবন গুলিও জরাজীর্ণতায় ধংশের দার প্রান্তে পৌছেছে প্রায়। তাই এই মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অতি দ্রুত মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করে কেন্দ্রের জৌলুস ফিরে আনতে কর্তৃ পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জমি দাতা মোঃ শাহালম হাওলাদার।

    অপর দিকে, ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওয়ার্ড বয় মোঃ সাইফুল ইসলাম, এম এল এস এস রবিন, আয়া হসিনা আক্তার, ক্লিনার নিরাঞ্জন ঘোষ, সহকারী নার্স তানজিলা আক্তার বলেন, ৫/৬ মাসের বেতন ভাতা না পাওয়ায় স্ত্রী পরিজন নিয়ে নিদারুন দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। এবং আউট সোর্সসিং থেকে মুখ ঘুরিয়ে সরকারী করন করে যথা নিয়মে বেতন ভাতা পেতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ সরকারের সর্ব মহলে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ওই কেন্দ্রের ভুক্তভোগী ৪ র্থ শ্রেনীির কর্মচারিরা।