Category: খুলনা

  • পাইকগাছায় পাখির জন্য নিরাপদ প্রজনন ও অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে গাছে গাছে বাঁধা হয়েছে মাটির পাত্র

    পাইকগাছায় পাখির জন্য নিরাপদ প্রজনন ও অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে গাছে গাছে বাঁধা হয়েছে মাটির পাত্র

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা(খুলনা)।।

    বাংলাদেশের দেশিয় বা আবাসিক পাখিদের এখন প্রজনন মৌসুম চলছে। মার্চ থেকে সেপ্টম্বর মাস পর্যন্ত বিভিন্ন গোত্রীয় ও পরিবারভুক্ত পাখিদের প্রজননকাল। পাখিদের বাসা বাঁধতে এবং ডিম পাড়ার দৃশ্য বসন্ত ঐতিহ্যকে জাগিয়ে তোলে। অনেক পাখি বসন্তে প্রজনন করে এবং ডিম দেয়।তবে বেশ কয়েকটি প্রজাতি গ্রীষ্মে প্রজনন করে না। কিছু শীতের প্রথম দিকে শুরু হয়, কিছু গ্রীষ্মের শেষের দিকে এবং অন্যরা প্রজনন করে সারা বছর ধরে।

    আমাদের দেশে বড় গাছপালা নির্বিচারে নিধনের ফলে এদেশের আবাসিক পাখিদের প্রজননের জন্য যে আবাস প্রয়োজন তা বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রকৃতি ও পরিবেশের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে বিচিত্র প্রজাতির পাখি। কিন্তু পাখিদের আবাসস্থল নিরাপদ থাকছে না।পাখির প্রজনন ও বিচরণক্ষেত্র দিন দিন শিকারিদের দখলে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া কৃষক ও জেলেদের অসচেতনতার কারণে পাখির অভয়ারণ্য হুমকির মুখে পড়েছে।

    বৈশাখ মাস থেকে এসব পাখিরা বিশেষ করে ঝুঁটি শালিক, টুনটুনি, ভাত শালিক, দোয়েল, কুটুরে প্যাঁচা, কাঠ শালিক, চড়ুঁই পাখিরা প্রজনন ঘটায়। এই সময় এসব পাখিদের বাসা বাঁধবার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার প্রয়োজন হয়। যেমন বড়সড় গাছের কোটর, নারকেল গাছের ফোঁকর সহ পুরনো দালানের ভাঙ্গা ভেন্টিলেটার। এই জায়গাগুলোই এ সব পাখিদের বাসা বাঁধবার প্রকৃত স্থান। এ সকল জায়গা পাখিদের জন্য নেই বললেই চলে।

    পাখির জন্য নিরাপদ প্রজনন ও অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে পাইকগাছায় গাছে গাছে বাঁধা হয়েছে মাটির পাত্র। সেসব পাত্রে পাখি বাচ্চাও দিচ্ছে। পরিবেশবাদী স্থানীয় সংগঠন বনবিবি এলাকার গাছে গাছে পাখির বাসার জন্য মাটির পাত্র বেঁধে দিচ্ছে। দেখা গেছে, বিভিন্ন গাছে বাঁধা মাটির পাত্রে পাখি বাসা তৈরি করেছে, ডিম পেড়েছে ও বাচ্চা ফুটিয়েছে।

    বনবিবির সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান জানান, গাছে বাঁধা মাটির পাত্রে পাখি বাসা তৈরি করায় আমাদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া পড়েছে। গাছে গাছে বাঁধা হচ্ছে মাটির পাত্র, ছোট ঝুড়ি,টিন- কাঠের বাসা ও বাঁশের তৈরি বাসা। উপজেলার সরল মেইন সড়কের পাশে বট গাছে বাঁধা মাটির পাত্রে শালিক বাসা বেঁধেছে। নতুন বাজারের পাশে বকুল ও মেহগনি গাছে বাঁধা মাটির পাত্রে দোয়েল ও চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছে। গোপালপুর স্কুলের পাশের মেহগনি গাছে ও বোয়ালিয়া কপোতাক্ষ নদের তীরে বটগাছে দোয়েল পাখি বাসা বেঁধেছে। উপজেলায় বিভিন্ন গাছে বাধা প্রায় দুল শতাধিক কৃত্রিম পাখির বাসায় পাখি বাসা তৈরি করেছে।

    এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত পাখিদের প্রজননের সময়। এপ্রিল থেকে বাসা বানাতে শুরু করে পাখি। এক সময় জলাশয় ও ধানখেতে ফাঁদ, জাল, বিষটোপ দিয়ে পাখি শিকার করা হতো। পাখি রক্ষায় সচেতনতামূলক লিফলেট ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গাছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মাটির পাত্র স্থাপন করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন সময় ঘূর্ণিঝড়ে গাছের ডালপালা ভেঙে প্রায় চার শতাধিক মাটির পাত্র ভেঙ্গে গেছে। যেসব গাছে মাটির পাত্র ভেঙে গেছে, সেখানে পুনরায় বাসা স্থাপন করা হচ্ছে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, বনবিবির কৃত্রিম বাসা তৈরির এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এর ফলে আমাদের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে। পাখিরা ফিরে পাবে নিরাপদ আবাসস্থল। পাখি শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়, মানুষের উপকারী বন্ধু। তাই পাখির সুরক্ষায় সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

    বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৭২২টি প্রজাতির পাখির উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কমবেশি ৩৪০টি প্রজাতি আবাসিক। এরা সারা বছর দেশের ভৌগোলিক সীমানায় থাকে এবং বংশবৃদ্ধি করে। বাকি প্রায় ৩৭০ প্রজাতি পরিযায়ী।অল্প কিছু প্রজাতি বাদে বেশির ভাগ পরিযায়ী পাখি আসে শীতকালে। তার মানে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ওরা এ দেশে আসে, বাস করে এবং সময়মতো আগের আবাসে।

  • শীত মৌসুমে কুমড়ার বড়ি তৈরি করতে ঘরের চালে চালে শোভা পাচ্ছে চালকুমড়া

    শীত মৌসুমে কুমড়ার বড়ি তৈরি করতে ঘরের চালে চালে শোভা পাচ্ছে চালকুমড়া

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা ॥
    পাইকগাছায় ঘরের চালে চালে চাল কুমড়া। ঘরের চালে এ সবজি ফলানো হয় বলে এটি চাল কুমড়া নামে পরিচিত। তবে চাল কুমড়া শুধু চালে নয় এই সবজি এখন মাচায় এবং জমিতেও চাষ করলে ফলন ভালো হয়। চাল কুমড়া সবজি হিসাবে আমাদের দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। সবুজ কচি চাল কুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু চাল কুমড়াই নয় এর কচি পাতা ও ডগা খাওয়া যায়।বড়ো হলে চুনের মত সাদা চাল কুমড়া দিয়ে বড়ি, মোরব্বা ও হালুয়া তৈরি করা যায়।
    পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়ির ঘরের চালে চালে চুন সাদা চালকুমড়া শোভা পাচ্ছে। চাল কুমড়া চাষ করতে ঘরের কোনায় মাদায় গাছ তৈরী করা হয়। ঘরের চালে চাল কুমড়া লাগাতে জমিতে কোন চাষ করা লাগেনা। ঘরের কোনায় পতিত জায়গায় চালকুমড়া গাছ লাগিয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। উপজেলার হিতামপুর গ্রামের হায়দার আলী জানান, তার ঘরের কোনায় মাদা করে চারটি চালকুমড়ার বিজ বপন করেছিল। গাছ বড় হয়ে ঘরের চাল ঢেকে যায়। চারটি গাছে একশ’র বেশি চালকুমড়া হয়েছিল। সবুজ চালকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। আরও প্রায় ৪০টি চালকুমড়া ঘরের চালে সংরক্ষন করে রেখেছে।কুমড়া বড়ি তৈরিতে চাল কুমড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শীতকালে কুমড়া বড়ি তৈরী করার সময় বিক্রি করবে। চারটি গাছের কুমড়া থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হবে বলে তিনি জানান।
    দেশে উন্নত ফলনশীল চালকুমড়ার জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।যা বরো মাস চাষ করা যায়।এর মধ্যে বারি চালকুমড়া-১ অন্যতম। হাইব্রিড জাতের বীজও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এসব জাতের মধ্যে জুপিটার ,ভেনাস,নিরালা,বাসন্তি,পানডা,মাধবী অন্যতম। এসব জাতের বীজের গাছ থেকে বারো মাস চালকুমড়া পাওয়া যায়। চাল কুমড়া বসতবাড়িতে লাগাতে ঘরের কোণে মাদা তৈরি করে তাতে ৩-৪টি বীজ বপন করতে হবে।চারা গজালে ও একটু বড় হলে বাঁশের কি বা পাট কাঠি চারার গোড়ায় পুঁতে দিয়ে চারাগুলো চালায় তুলে দিতে হবে। আর জমিতে চাষ করলে জমি ভাল করে ৩-৪টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। তারপর জমিতে মাদা তৈরি করে ৪-৫টি বীজ বপণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে জমিতে যেন বৃষ্টির বা বন্যার পানি জমে না থাকে।এরপর ২.৫ ফুট চওড়া ২ ফুট গভীর গর্ত তৈরি করতে হবে। ২ থেকে ২.৫০ মিটার দূরে দূরে মাদা তৈরি করে বীজ বুনতে হবে। তাছাড়া নার্সারি থেকে চালকুমড়ার চারা সংগ্রহ করা যায়। চারা লাগানোর দুই মাস পর থেকে গাছে ফলন ধরে।
    কুমড়া বা কুমড়ো দুই রকমের হয়; যেমন মিষ্টিকুমড়ো এবং চালকুমড়ো।মিষ্টিকুমড়া ফলজাতীয় সবজি। মিষ্টিকুমড়ার আকার পেটমোটা গোল এবং পাকা অবস্থায় এর ভিতরের অংশ উজ্জ্বল কমলা বর্ণের হয়ে থাকে। জালিকুমড়া এটি সবুজ রঙের হয়। চালকুমড়া পুষ্টিকর একটি সবজি। এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার রয়েছে তাই চাল কুমড়ার উপকারিতা অনেক। যক্ষা , কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে চাল কুমড়া। চাল কুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া ছাড়াও মোরব্বা, হালুয়া, পায়েস এবং কুমড়া বড়ি তৈরী করেও খাওয়া হয়। শুধু চাল কুমড়াই নয় এর কচি পাতা ও ডগাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়।
    এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসিম কুসার দাশ বলেন, বিনা চাষে কম খরচে ঘরের চালে চাল কুমড়া ফলানো যায়। তাই গ্রামের বাড়ির চালে চালে কৃষকরা চালকুমড়ার আবাদ করছে। চালকুমড়া সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই কৃষকদের বাড়ি কোনার পতিত জমি ফেলে না রেখে চালকুমড়া বা মিষ্টি কুমড়া লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • কৃষ্ণ রায়কে বন্ধন সেরা এ্যাওয়ার্ড প্রদান

    কৃষ্ণ রায়কে বন্ধন সেরা এ্যাওয়ার্ড প্রদান

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় বন্ধন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি কৃষ্ণ রায়কে বন্ধন সেরা এওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি বিকালে বন্ধন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মুজিব শতবর্ষ পার্কে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে এ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বন্ধন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মধুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন (বিজেএ) এর চীফ ডিরেক্টর ও আমার সংবাদ পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক এস এম হাবিবুর রহমান মহব্বত, বিশেষ অতিথি ছিলেন মধুখালী থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদুজ্জামান মুরাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক রেজাউল হক বকু, জেলা পরিষদ সদস্য আকরামুল করিম, বিসিআই কলেজ অধক্ষ্য আসাদুজ্জামান আসাদ। বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান খান, জাহিদুল হাসান টিপু, সাবির হোসেন শেখ, মধুখালী রিপোটার্স ইউনিটি সভাপতি মনিরুজ্জামান মৃধা, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিরাজুল ইসলাম, মহাসচিব রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিঃ রফিকুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংক ব্যবস্থাপক মামুন উর রশিদ, পূবালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক শাহজাহান শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশানুল ইসলাম গরীব, সম্পাদক শাকির আহমেদ, প্রকাশক ও সাহিত্যিক শাহেদ বিপ্লব, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সম্পাদক হাবিবুর রহমান, কৃষ্ণ রায়, শাহ আলম, আরিফ হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন। এসময় বিভিন্ন পেশায় ১২ জনকে বন্ধন সেরা এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা, খুলনা।

  • পাইকগাছায় সরস্বতী প্রতিমার হাট জমে উঠেছে

    পাইকগাছায় সরস্বতী প্রতিমার হাট জমে উঠেছে

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।পাইকগাছায় সরস্বতী প্রতিমার হাট জমে উঠেছে। বসন্ত প মীতে সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে পৌর বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও পুরাতন খেয়াঘাট গলিতে সরস্বতী প্রতিমার এ হাট বসেছে। ছোট বড় মাঝারী বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা রয়েছে। সর্বনিন্ম ১ শত টাকা থেকে ২ হাজার টাকা দামের প্রতিমা রয়েছে।
    হিন্দু পুরাণ অনুসারে সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বিদ্যা, সংগীত ও শিল্পকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী। বসন্ত প মীতে পূজায় বিদ্যার দেবী সরস্বতী আরাধনায় মেতে উঠবে হিন্দু ধর্ম অবলম্বীরা। তবে করোনার প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পূজার অয়োজন থাকবে সিমিত এবং স্বাস্থ বিধি মেনে পূজায় অংশ গ্রহন করবে শিক্ষার্ধীরা।
    ২৬ জানুয়রি বৃহষ্পতিবার প মী তিথীতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তাই প্রতিমা তৈরী ও রং তুলির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করে বিক্রির জন্য হাটে প্রতিমা তুলেছে। তার পাশে বিক্রয়ের জন্যে বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করতে রয়েছে ব্যস্ততা। উপজেলার পৌর সদর ছাড়াও কপিলমুনি, বাঁকা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতিমা ক্রয় করতে পাওয়া যাচ্ছে।
    পাইকগাছা বাজারে সরস্বতী প্রতিমার হাট থেকে পছন্দমত প্রতিমা কিনছে ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দ। উপজেলার হিতামপুর গ্রামের অরুন দাশ, অরবিন্দ দাশ, গোপালপুর গ্রামের নিমাই দাশ. দিপংকর দাশ, রবি দাশ, সোলাদানা গ্রামের মান্দার সরদার, পুরাইকাটী গ্রামের পলাশ রায়, তারক পাল, অজিত পাল, শুভ মণ্ডল পাইকগাছা পৌর বাজারে প্রতিমার হাটে তাদের তৈরী প্রতিমা সরবরাহ করছেন। ভাস্কর দিপংকর দাশ জানান, এবার পূজায় তিনি প্রায় ৯০টি প্রতিমা তৈরী করেছেন। তাছাড়া অর্ডারী ৫শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা মূল্যের প্রতিমাও তৈরী করেছেন।স্কুল-কলেজ ছাড়াও বিভিন্ন মন্দির ও বাড়ীতে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্যবসাহী নারায়ণ ঘোষ জানান,বাড়ীতে পূজা করার জন্য হাট থেকে প্রতিমা ক্রয় করেছেন। বাজারে প্রতিমা সরবরাহকারী দিপংকর দাশ জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার বিক্রয় খুবই ভালো। প্রতিদিন কম-বেশি প্রতিমা বিক্রয় হচ্ছে। তারা আশা করছে পূজার আগের দিন সব প্রতিমা বিক্রয় হবে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায় সড়কে ইট রাখায় এক ব্যক্তিকে জরিমানা

    পাইকগাছায় সড়কে ইট রাখায় এক ব্যক্তিকে জরিমানা

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছায় সড়কে ইট রেখে জন সাধারণের চলাচল বিঘ্নিত করায় এক ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলার চাঁদখালী বাজার সংলগ্ন সড়কে জুলফিকার নামে জনৈক ব্যক্তি তার বসতবাড়ী নির্মাণের জন্য ভাটা থেকে আনা বিপুল পরিমাণ ইট বসতবাড়ীর সামনের সড়কে মজুদ করে রাখে। এতে জনসাধারণের
    চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ককে ইট রাখার দায়ে ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর আওতায় বাড়ীর মালিক জুলফিকারকে
    ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পেশকার ইব্রাহীম।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায় আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নালিশী চিংড়ি ঘেরে জোরপূর্বক বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ

    পাইকগাছায় আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নালিশী চিংড়ি ঘেরে জোরপূর্বক বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছায় প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা
    করে ভোগ দখলীয় নালিশী চিংড়ি ঘেরে জোরপূর্বক বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ
    উঠেছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাপ্ত অভিযোগ জানাগেছে,
    পাইকগাছা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের বাসিন্দা মৃত বিশে সরদারের ছেলে ব্যবসায়ী সাজ্জাত আলী সরদার ২০২০ সাল থেকে সোলাদানা ইউনিয়নের পশ্চিম কাইনমুখী, সোলাদানা, দক্ষিণ কাইনমুখী ও সোনামুখী মৌজায় ৪শ বিঘা জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে লিজ ঘের করে আসছে। অত্র চিংড়ি ঘেরটি এর আগে প্রায় ২০-২৫ বছর যাবৎ জলিল বিশ্বাস নামে জনৈক ব্যবসায়ী করে আসছিল। চিংড়ি ঘেরে সাজ্জাত আলী সরদারের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকালে পৌরসভার বাতিখালী গ্রামের এফাজ উদ্দীন গাজীর ছেলে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম গাজী
    ঘেরের বিভিন্ন মৌজা থেকে প্রায় ১শ বিঘা জমি ডিড করে নিলে সাজ্জাত
    আলী সরদারের সাথে রেজাউল করিমের ঘের নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল ব্যবসায়ী জলিল বিশ্বাস ও রেজাউল করিম গাজীর মধ্যে লিখিতভাবে আপোষ মিমাংশা হয়। ২০২২ সালে সাজ্জাত আলী কোন বাঁধা ছাড়াই
    চিংড়ি ঘের পরিচালনা করবেন এবং পরবর্তীতে গণমান্য ব্যক্তিবর্গের শালিশী
    বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২৩ সালে বিরোধ পূর্ণ নালিশী সম্পত্তির বিষয়টি নিরসন ও নিষ্পত্তি করা হবে মর্মে আপোষ মিমাংশায় উল্লেখ করা হয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী রেজাউল করিমকে বারবার
    আপোষ মিমাংশার জন্য তাগিদ দিলেও তিনি তা গুরুত্ব না দিয়ে জবর দখলের পায়তারা করে আসছিল। যার ফলে ব্যবসায়ী সাজ্জাত আলী সরদারের পক্ষে ঘেরের ম্যানেজার বাতিখালী গ্রামের সদর উদ্দীন সরদারের ছেলে সেলিম সরদার বাদী হয়ে ব্যবসায়ী
    রেজাউল করিম সহ ৫ জনকে বিবাদী করে নালিশী চিংড়ি ঘেরে প্রতিপক্ষদের
    প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ২২ জানুয়ারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
    ২৯নং এমআর মামলা করে। মামলায় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট নালিশী চিংড়ি ঘেরের দখল ভিত্তিক স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে
    থানার ওসি’কে নির্দেশনা দেন। এদিকে ঘের মালিক সাজ্জাত আলী সরদার জানান, ব্যবসায়ী রেজাউল করিম, আপোষ মিমাংশা কিংবা শালিশী বৈঠক না করে আদালতের স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহিরাগত লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘেরের পূর্বপাশে সোলাদানা মৌজায় জোর পূর্বক বাঁধ দেয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, চিংড়ি ঘেরের মধ্যে ৮৮
    বিঘা জমি আমার ডিড করা রয়েছে। ডিড কৃত জমিতেই আমার ল
    লোকজন বাঁধ দিচ্ছে। ওসি জিয়াউর রহমান জানান, চিংড়ি ঘেরের প্রায় ১শ বিঘা জমি নিয়ে দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে অনেকদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। নালিশী চিংড়ি ঘেরে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মঙ্গলবার সকালে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য নির্দেশনা
    দেওয়া হয় বলে থানার ওসি জানান।

  • পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি রাস্তা; নোটিশ দিয়ে ঘের মালিকদের সতর্ক করলো এলজিইডি

    পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি রাস্তা; নোটিশ দিয়ে ঘের মালিকদের সতর্ক করলো এলজিইডি

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।
    খুলনার পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকায় নির্মিত সরকারি রাস্তা। পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যেসব সরকারি রাস্তা রয়েছে, চিংড়ি ঘেরের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ঘেরের পাশের সকল রাস্তা। সরকারিভাবে রাস্তাগুলো সংস্কার করা হলেও সংস্কার কাজের স্থায়ীত্ব আসছে না ঘেরের কারণে। ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। সরকারি এসব রাস্তা সংরক্ষণে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভ ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ঘের
    মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে সতর্ক করে ঘের মালিকদের নোটিশ প্রদান করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর
    এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য, আশির দশক থেকে অত্র উপজেলায় লবণ পানির চিংড়ি চাষ হয়ে আসছে। বর্তমানে পৌর সদর সহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। বেশীরভাগ ঘের মালিকরা ঘেরের পাশের সরকারি রাস্তাকে সীমানাবাঁধ ও রিং বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করছে। চিংড়ি ঘের বছরের বেশীর ভাগ সময়ে পানিতে তলিয়ে থাকে। ফলে বাতাসে পানির চাপে ঘেরের পাশের রাস্তাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কোথাও কোথাও রাস্তার পিচ, ইট, বালি ভেঙ্গে ঘেরে চলে যাচ্ছে।
    রাস্তাগুলো হয়ে যাচ্ছে সরু। ফলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি রাস্তা, অপরদিকে ঘন ঘন সংস্কার করে অপচয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ। পাশাপাশি যাতায়াতে দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বরের সভায় কোন ঘের মালিকরা বাঁধ হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, ত্রাণ বিভাগ সহ সরকারি ও বেসরকারিভাবে
    নির্মিত কোন সড়ক বা রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পরিষদের এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। এলজিইডি’র পক্ষ থেকে রাস্তার পাশের সকল ঘের মালিকদের নোটিশ দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান খান জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ঘের মালিকদের নোটিশ দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর যারা ঘেরের বাঁধ হিসেবে সরকারি রাস্তা ব্যবহার কিংবা ক্ষতি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, চিংড়ি ঘেরের কারণে প্রতিবছর অসংখ্য সরকারি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অপচয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ। এ জন্য উপজেলা পরিষদের মাসিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঘের মালিকদের ৫ ফুট পর্যন্ত মাটি ভরাট করে সরকারি রাস্তা সুরক্ষিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি সম্পদ সংরক্ষণ করা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এ ধরণের কাজে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
    যারা নির্দেশনা অমান্য করে সরকারি রাস্তা যথা ইচ্ছা ব্যবহার করে ক্ষতি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

  • পাইকগাছায় রাধা শ্রীনিবাস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

    পাইকগাছায় রাধা শ্রীনিবাস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছায় পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবির আয়োজনে রাধা শ্রীনিবাস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোন সেল্টরে সকল ধর্ম-বর্ণের শতাধিক অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম।শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বনবিবির সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন,পাইকগাছা সরকারি কলেজের প্রভাষক স্বপন কুমার ঘোষ,গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুস্মিতা সোম।উপস্থিত ছিলেন,কবি সুশান্ত বিশ্বাস,ঐশী আক্তার লিমাসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।অনুস্ঠানে শতাধিক অসহায়,প্রতিবন্ধী, দুস্থ ও গরীব শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায় গাঁজা সহ আটক ২

    পাইকগাছায় গাঁজা সহ আটক ২

    পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছায় গোলাম রসুল গাজী (২৫) ও মিথুন বিশ্বাস (২২) নামে দু’ব্যক্তিকে গাঁজা সহ আটক করেছে পাইকগাছা থানা পুলিশ।আটককৃত গোলাম রসুল গাজী উপজেলার সোলাদানা ইউপি’র বয়ারঝাপা গ্রামের মোঃ নুরু গাজীর পুত্র ও মিথুন বিশ্বাস একই গ্রামের মোঃ মাসুদ বিশ্বাসের পুত্র। এসআই এসএম মোস্তাফিজুর রহমান ও এএসআই মোঃ নাসির উদ্দীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫.৩০মিনিটের দিকে পাইকগাছা উপজেলাধীন সোলাদানা ইউপি’র বয়ারঝাপা পুরাতন খেয়াঘাট সংলগ্ন রহিম গাজীর বাড়ীর সামনে ইটের রাস্তার উপর থেকে গোলাম রসুল গাজী ও মিথুন বিশ্বাস কে ৪৫গ্রাম গাজাসহ তাদের কে আটক করা হয়। এ অভিযানে এসআই এসএম মোস্তাফিজুর রহমান,এএসআই মোঃ নাসির উদ্দীন ও কনস্টেবল পিযূষ কান্তি ঘোষ সহ সঙ্গীয় ফোর্স এ মিশনে অংশ নেন।ওসি জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছার চাদঁখালীতে খাস খালের বাঁধ কেটে জলাবদ্ধতা নিরসন

    পাইকগাছার চাদঁখালীতে খাস খালের বাঁধ কেটে জলাবদ্ধতা নিরসন

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    পাইকগাছার চাঁদখালীতে আমন মৌসুম সহ দীর্ঘদিনের জলবদ্ধতা নিরসনে খাস খালের বাঁধ কর্তন ও নেটপাটা অপসরনের ধারাবাহিকতায় শনিবার ফেদুয়ার আবাদ উটকাঠি খাল অবমুক্ত করা হয়। ভুক্তভোগীরা জানান, এর ফলে প্রায় ৩ হাজার একর ধানের জমির জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে।
    অভিযোগ রয়েছে, ফেদুয়ার আবাদ উটখালী সরকারী খাস খাল দখল করে রেখেছিলেন ফেদুয়ার আবাদ গ্রামের নলিত বিশ্বাসের ছেলে সন্তোষ বিশ্বাস, অসিম বাছাড়ের স্ত্রী ডলি বাছাড়, আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুস সোবহান, সোহরাব গাজীর ছেলে আব্দুর রহমান ,ওয়ায়েজ করনী, চক কাওয়ালী গ্রামের আনোয়ার গাজীর ছেলে শাহিনুর রহমান, কাটাবুনিয়া গ্রামের সাজ্জাদ গাজীর ছেলে আব্দুর রহমান গাজী, কালিদাসপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী গাজীর ছেলে শাহাদাত গাজী, ছবেদ আলী গাজীর ছেলে কুবাত গাজী এবং কালুয়ার ডাঙ্গা গ্রামের ফয়েজউদ্দীন ঢালীর ছেলে কামাল ঢালী।জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি সরবরাহে বাঁধ কর্তনের নির্দেশনা দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। বাঁধ কর্তন অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা মোঃ আবু ইলিয়াস, ইউপি সদস্য এস্নোয়ারা বেগম, মোঃ আনিসুর রহমান ও লস্কর ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।