Category: অন্যান্য

  • খাগড়াছড়িতে Binge এর সৌজন্যে আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র  মেইড ইন চিটাগং প্রদর্শিত

    খাগড়াছড়িতে Binge এর সৌজন্যে আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র মেইড ইন চিটাগং প্রদর্শিত

    মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

    চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ” মেইড ইন চিটাগং সিনেমাটি খাগড়াছড়ি শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রদর্শিত হয়েছে।

    রবিবার (২১ মে ) সন্ধ্যা ৭ টার সময় Binge এর সৌজন্যে কমেডি ঘরানার সিনেমাটিতে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়া অভিনীত ও ইমরাউল রাফাত পরিচালনা করেছেন।

    এই মুভি প্রদর্শনিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,।

    এই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া,খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে,খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন,জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী পার্থ বড়ুয়া,নিশিতা বড়ুয়া,তই তই আমার বৈয়াম পাখি কই এর পরিচালক ও অভিনেতা জনাব নাসির উদ্দিন খানসহ সিনেমাটির লেখক ও কলাকুশলী,সাংবাদিকবৃন্দসহ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    এই সময় প্রদর্শনিটিতে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।সেখানে অভিনয় শিল্পীরা প্রদর্শনিগুলোতে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া উপভোগ করেন।

    এ সিনেমায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় রচিত পেটফুরাদ্দে তোঁয়ার লাই শিরোনামে একটি গান ব্যবহার করা হয়েছে, যেটি মুক্তির পরপরই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

  • ক্ষেতলালের নারীরা কচুরিপানায় বাহারি হস্তশিল্প

    ক্ষেতলালের নারীরা কচুরিপানায় বাহারি হস্তশিল্প

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কচুরিপানাকে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে ঝুড়ি তৈরির কাজ করছেন নারীরা। গৃহকর্মের পাশাপাশি ঝুড়ি তৈরির এ কাজ করে বাড়তি আয় করছে তারা। নারীদের তৈরি এসব ঝুড়ি যাচ্ছে দেশের বাহিরে।
    বুধবার পৌর এলাকার ফকিরপাড়া ও সূর্যবান গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে। বেশকিছু বাড়িতে নারীরা এই ঝুড়ি তৈরির কাজ করছেন। কাজের ফাকে নিজ বাড়িতে বসে বিভিন্ন আকৃতির ঝুড়ি তৈরি করছেন তারা। এসব ঝুড়ি বাহারি রং করার পর পাঠানো হয় দেশের বাহিরে।
    পৌর মহল্লার ফকিরপাড়া এলাকার শ্রী বিকাশ চন্দ্র এর স্ত্রী বৃষ্টি রানী জানান, নিজ গ্রামের মিঠুর স্ত্রী রোমানা বেগম এর মাধ্যমে এই ঝুড়ি তৈরির কাজে আগ্রহী হন। তার গ্রামের প্রায় পঞ্চাশজন মহিলা এই ঝুড়ি তৈরির কাজের সাথে সম্পৃক্ত। প্রথমে তারা রোমান বাড়িতে ঝুড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে নিজ বাড়িতে বসে এসব ঝুড়ি তৈরি করেন। কচুরিপানা সহ ঝুড়ি তৈরির যাবতীয় উপকরণ রোমানা তাদের সরবরাহ করে। তারা শুধু নিজের শ্রম দ্বারা ঝুড়ি তৈরি করে। ঝুড়িগুলো তৈরির ক্ষেত্রে আকৃতি অনুয়ায়ী ২০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান। সংসারের কাজের পাশাপাশি এই ঝুড়ি তৈরি করে মাসে সে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় করতে পারে।
    সূর্যবান গ্রামের নবিরুল মন্ডলের স্ত্রী শান্তনা আক্তার বলেন, আমরা কচুরিপানা দিয়ে প্রায় এগারো থেকে বারটি আইটেম এর ঝুড়ি তৈরির কাজ শিখেছি। আমি রোমানার মাধ্যমে কাজে আগ্রহী হয়েছি আমার দেখাদেখি আমার গ্রামের প্রায় ২০-৩০ জন নারী এখন এই কাজ করে।
    ঝুড়ি গুলো বিভিন্ন আকৃতির হওয়ায় তৈরির ক্ষেত্রে আমরা আলাদা আলাদা মজুরি পাই। বর্তমানে আমি যে মডেল এর ঝুড়ি তৈরি করছি সেগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা মজুরি পাই। সংসারের কাজের পাশাপাশি এই ঝুড়ি তৈরি করে আমি বাড়তি আয় করতে পারি।
    ঝুড়ি তৈরির উপকরণ সংগ্রহকারী পৌর এলাকার ফকিরপাড়া গ্রামের মিঠুর স্ত্রী রোমানা বলেন, আমি আগে অনলাইনের মাধ্যমে সুতার কাজ করতাম। পরে জয়পুরহাটের হেলকুন্ডা গ্রামের মা হস্ত শিল্প সংস্থার প্রধান মাহফুজ আলম সবুজ ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়। তখন তিনি আমাকে এই ঝুড়ি তৈরির কাজ দেখান, কাজ দেখে আমি আগ্রহী হই
    এবং কাজ করি। পরে আমার দেখাদেখি উপজেলায় এখন প্রায় ১০০ জন মহিলা এই ঝুড়ি তৈরির কাজ করছে। আমি এখন শুধু যারা ঝুড়ি তৈরির কাজ করে তাদের বিভিন্ন উপকরণ পৌঁছে দেই এবং ঝুড়ি বুঝে নেই এই দায়িত্ব পালন করি। ঝুড়ি গুলো বুঝে নিয়ে আমি সেগুলো জয়পুরহাটে সবুজ ভাইকে দেই। সবুজ ভাইয়ের বড় ভাই পাবনা বিডি ক্রিয়েশন কোম্পানিতে চাকুরী করেন। সবুজ ভাই এসব ঝুড়ি তার কাছে পাঠায় ওখানে বাহারি রং করার পরে নদী পথে জাহাজে করে এসব ঝুড়ি বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়।

  • জন্মদিনে শুভেচ্ছাদানকারীদের সাংবাদিক আরিফ রববানী কৃতজ্ঞতা

    জন্মদিনে শুভেচ্ছাদানকারীদের সাংবাদিক আরিফ রববানী কৃতজ্ঞতা

    সবার কাছে দোয়া চাই—–

    ১লা মার্চ বুধবার ছিলো আমার জন্মদিন। অনেকে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রথমেই সকল প্রশংসা জ্ঞাপন করছি সেই মহান আল্লাহকে যিনি আমাকে আপনাদের সকলের ভালোবাসায় সিক্ত ও প্রিয় হবার তৌফিক দিয়েছেন-(শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ)!

    ২৮শে ফেব্রুয়ারী রাত ১২টা বাজার পর থেকেই আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই-বোন, সহকর্মী, সহপাঠী, আত্মীয়-স্বজন, ছোট ভাই-বোন ও প্রান প্রিয় বন্ধুরা ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টেক্সট, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যারা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

    প্রত্যেকটি মানুষের কাছে তার জন্মদিনের বার্তাটি সত্যিই আনন্দের। আমার মতো একজন অতিক্ষুদ্র মানুষের জীবনে কাছেও তেমনই।

    সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর প্রতি লাখো কোটি শুকরিয়া ও আমার প্রাণপ্রিয় বাবা-মায়ের প্রতি সশ্রদ্ধ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যাদের কল্যাণে আমি আজ পৃথিবীর আলো দেখতে পারছি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই। আমি অতিক্ষুদ্র মানুষ টা যেনো একদিন বৃহৎ হতে পারি আমার কর্মের মাধ্যমে। একজন কলম সৈনিক হিসেবে দেশের সেবা করতে পারি।

    আজ শৈশব, কৈশর আর অনেকটা সময় পেছনে ফেলে যৌবনে আমি। জীবন চলার বাঁকে জন্ম দিয়েছি কত রূপকথা, ছোট বড় গল্প আর নাটক। ছোট্ট একটা জীবনে কত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছি।! এই পৃথিবীতে এমনি একটি দিনে আমি এসেছিলাম। সেই জন্য আমি আমার সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে দায়বদ্ধ। তিনি আমায় সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমার রব।

    আজ থেকে মৃত্যুর এক বছর কাছাকাছি চলে এলাম! জীবনটা অনেক সুন্দর যদি সুন্দর করে দেখা যায়। তবে একথাও ঠিক বিচিত্র এই জীবনে বৈচিত্রময় হয়ে ওঠা অনেকটাই কঠিন। যারা হয়ে উঠতে পারে তাদেরকেই মানবজাতি সারাজীবন মনে রাখে।
    পরিশেষে সবার কাছে বলতে চাই , আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

  • গোলাম মোস্তাফার ‘ঐতিহ্যের কথকতা”বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

    গোলাম মোস্তাফার ‘ঐতিহ্যের কথকতা”বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

    সুমন খান:

    পুরনো দিনের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যে নিয়ে গোলাম মোস্তাফার লেখায় ঐতিহ্যের কতকথা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

    গতকাল বিকেল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে বিকেল ৪টায় ,প্রধান অতিথি হিসেবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক তপন বাক্সি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন, একুশে পদক প্রাপ্ত কবি আসলাম সানি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী,সাংবাদিক ও সাহিত্যক গোলাম কাদের , বাংলাদেশ গণমাধ্যম কর্মী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেন মোল্লা, হুমায়ুন রহমান (আপন প্রকাশ ও প্রকাশনা), সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগনেতা মো.শাহ্ আলম,মো. ইমন হোসেন স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক আমার সময়, আশ্রয় প্রতিদিন ও দ্যা প্রেস জার্নাল সিনিয়র রিপোর্টার সুমন খান,ও দৈনিক মানবজমিন স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি এস এম সায়েম প্রমূখ।

    বক্তারা লেখক সম্পর্কে বলেন, লেখার মত আন শুদ্ধ অনেক ভালো তার অনেক আগে থেকেই ভালো লেখে মনে হয়,

    কিন্তু প্রকাশের কোনো আগ্রহ তার কখনই ছিল না। জীবনের বেশিরভাগ সময়টা কাটিয়েছেন সাংবাদিকতার মাধ্যমে । তার লেখার মধ্যে সারল্যতার প্রাধান্যটাই বেশি।
    মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে লেখক বলেন,আধুনিকতার ছোয়ায় হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য যাতে হারিয়ে না যায়,তরুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করলাম।