Category: জাতীয়

  • এতোদিন শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের প্রতিহত করেছি এখন অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করতে হবে- গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

    এতোদিন শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের প্রতিহত করেছি এখন অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করতে হবে- গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:-
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যতোটুকু সময় প্রয়োজন এবং সেজন্য যেসব সংস্কার পদক্ষেপ নিতে হবে, সে পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিএনপি সমর্থন দেবে। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছে। তাকে ১৬ দিনের হিসেবে বিচার করলে চলবে না। সরকারের পতন হয়েছে, কিন্তু এখনো গণতন্ত্র ফেরত পাই নাই। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজের হাতে না দেয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। এতোদিন শেখ হাসিনার ফ্যাসিষ্ট দোসরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছি। এখন অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রস্তুত।
    বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ঘোষিত র‌্যালিপুর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
    বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা-বার্তা না বলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না। উস্কানীমূলক মন্তব্য করলে দলের নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না। সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার না করার কঠোর সমালোচনা করে সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনাদের নামের মামলাগুলো তো প্রত্যাহার করে নিলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধের মামলাগুলো কেনো এতোদিনে প্রত্যাহার করে নিলেন না। গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে কি আমরা রক্ত দেইনি? আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। বৈষম্যহীন সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষ্যমের সৃষ্টি করবেন না। আইন উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
    বিএনপি’র বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, জনপ্রশাসন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সূক্ষ্মভাবে আওয়ামী দোসরদের দিয়ে প্রশাসন সাজাচ্ছেন। এর ফল ভালো হবে না। শেখ হাসিনার স্বৈরচারী দোসরদের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলকে ধুলিসাৎ করে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করে গণহত্যাকারীদের ফিরে আসার পথ সুগম করছেন।
    বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের গেল ১৬ বছরে খুলনার খালিশপুরে বন্ধ সকল পাটকল চালুর উদ্যোগ নিতে হবে। আওয়ামী স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে- যেনো স্বৈরাচারের প্রেত্মারা দেশে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড ও গণহত্যা চালাতে না পারে।
    ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারীর পোষ্য ক্যাডার দুর্নীতিবাজ শেখ হাসিনার দোসর খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
    নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি’র জাতীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, সংগ্রাম কিন্তু শেষ হয়নি, সকল ষড়যন্ত্রের বিষ দাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করি, এই সরকারের ব্যর্থতা মানে বাংলাদেশের ব্যর্থতা। এই সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনের দিকে পদক্ষেপ নিতে আহবান জানিয়েছেন।
    নগরীর শিববাড়ী মোড়স্থ জিয়া হলের সম্মুখে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শিববাড়ী মোড় থেকে লোয়ার যশোর (খান এ সবুর) রোড হয়ে পাওয়ার হাউজ মোড়, ফেরীঘাট মোড়, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দান, খুলনা জিলা স্কুলের সামনে ঘুরে কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে যেয়ে শেষ হয়। দুপুর গড়াতেই বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী-সমর্থকদের মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে খুলনা মহানগরী।
    খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যের বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ। দুপুর থেকেই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান, বিপ্লবী সঙ্গীত পরিবেশন জাসাস খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা। শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীতের পূর্বে কোরআন তেলোয়াত করেন হাফেজ মোঃ জাহিদুল ইসলাম। র‌্যালিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড ছিল চোখে পড়ার মতো।।

  • মুক্তিযুদ্ধকালীন বেস কমান্ডার বেনী লাল দাশগুপ্ত বেনু আর নেই

    মুক্তিযুদ্ধকালীন বেস কমান্ডার বেনী লাল দাশগুপ্ত বেনু আর নেই

    বিশেষ প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ায় ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বরিশাল,ঝালকাঠি এবং পিরোজপুর জেলার এক বিরাট অংশের মুক্তিযুদ্ধকালীন বেস কমান্ডার বেনী লাল দাশগুপ্ত বেনু,(৮৫) পরলোকগমণ করেছেন।

    রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫ টা ১০ মিনিটের সময় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ভূগছিলেন।

    এদিন বিকাল ৩টায় বানারীপাড়া হরিসভা মন্দির প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের মানুষ তার মরদেহে ফুল দিয়ে অন্তিম শ্রদ্ধা জানান এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসিল্যান্ড মুনতাহসিন তাসমিম রহমান অনিন্দ্রের নেতৃত্বে গার্ডঅব অনার দেওয়া হয়। পরে বানারীপাড়ার কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।

    বেনীলাল দাস গুপ্ত বেনু ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বানরীপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি ছিলেন গাভা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার জন্য তিনি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্বাধীনতার পরে তিনি চট্টগ্রামে অবস্থান করেন এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালণ করেন। অবসরের পরে তিনি বানরীপাড়ায় অবস্থান করেন। তিনি ছিলেন বানরীপাড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি, একজন লেখক, কবি ,সাহিত্যিক ও গবেষক। তিনি বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য ছিলেন। দেশের স্বনামধন্য সুরকার গীতিকার ও শিল্পী সুমন কল্যাণ তার একমাত্র ছেলে।

    এদিকে তার প্রয়াণে বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কেএস মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক,বানারীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার তরুনেন্দ্র নারায়ন ঘোষ,বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, বানারীপাড়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

  • কেন্দ্রীয় সমন্বয়  সারজিস পঞ্চগড়ে যা বললেন 

    কেন্দ্রীয় সমন্বয়  সারজিস পঞ্চগড়ে যা বললেন 

     

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :

    পঞ্চগড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, সন্তানদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নয়, ভালো রাজনীতিবিদ বানান। শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারী কলেজের বটতলা চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, সরকার বদলের পরেও কি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? এই জন্য কি আমরা আন্দোলন করেছিলাম? একটা কথা মনে রাখবেন এই পঞ্চগড়ের মানুষের পেশি রিক্সা চালকের পেশি। আমরা রাস্তায় নামলে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের মুলোৎপাটন করে ছাড়বো। পঞ্চগড় নিয়ে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে তাহলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটান এই চারদেশের যে সীমান্ত, এই চার দেশের যে গলা, এই চার দেশের যে নিঃশ্বাস, এই চার দেশের যে হৃদপিন্ড সেই তেতুঁলিয়া, বাংলাবান্ধা আমরা চিরতরে বন্ধ করে দেবো। একটা জিনিস মনে রাখবেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের একপাশ দিতে পারেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাদের গলা চেপে ধরার মত একটি জায়গা দিয়েছেন।

    এসময় তিনি বলেন, আপনাদের সন্তানদের শুধু ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার বানানো বাদ দেন। এখন থেকে তাদের ভালো রাজনীতিবিদ বানান। কারণ সংসদে যে ভাগ্য নির্ধারণের জায়গা সেখানে রাজনীতিবিদরা ভাগ্য নির্ধারণ করেন। তাই দেশের ভাগ্য নির্ধারণে তাদেরকেও রাজনীতিতে আসতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, পঞ্চগড়ের মানুষ একটি কথাই মনে রাখবেন আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি কথাই বলতে চাই, আজকের পর থেকে কোন মানুষকে পোশাক দেখে বিচার করা যাবে না। আজকের পর থেকে কোন মানুষকে দাড়ি বা টুপি দেখে বিচার বা জাজ করা যাবে না। আজকের পর থেকে কোন মানুষকে তার দল দেখে জাজ না করে তার কাজ দেখে বিচার করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, পঞ্চগড় থেকে ঢাকার দুরত্ব সবচেয়ে বেশি দূরের। প্রায় ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা ধরে জার্নি করতে হয়। কিন্তু পঞ্চগড়ের এক মন্ত্রী বদলের পর থেকে এখানে রেলের বগির বদলে নসিমন দেয়া হয়েছে। আমরা আজকের পর থেকে হুশিঁয়ার করে দিতে চাই। আমরা আর বৈষম্যর শিকার হতে চাই না।

    মতবিনিময় সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, রাকিব রানা মাসুদ, আবু সাইদ লিয়ন, মিশু আলী সুহাস, জহির রায়হান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  • জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইস্যুতে রাজশাহীতে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

    জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইস্যুতে রাজশাহীতে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী : জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইস্যুতে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার দুপুর ১২ টায় রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে । আমরা এমন কোন এই মুহূর্তে কাজ করতে চাই না যেটি নিয়ে কোন বিতর্ক সৃষ্টি হোক। সবাইকে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই।

    ধর্মীয় উপাসনালয় হামলার প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলা গর্হিত কাজ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শক্রু, ক্রিমিনাল। আমরা ক্রিমিনালদের ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে। এছাড়াও দুর্গাপূজার নিরাপত্তায়
    স্থানীয় সাধারণ জনগনের পাশাপাশি
    মাদ্রাসার ছাত্রদের পূজার সাথে সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেয়া হবে। যেন কোন ধরনের হামলা বা নাশকতা না হয়। মাদ্রাসার ছাত্ররা কোন ধরনের জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিলো না। এটা পূর্বের সরকারের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার।

    বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপর হিন্দু মহাসভার হামলার আশঙ্কার খবরে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক চাই। আমাদের ক্রিকেট দলের উপর ভারতে হামলার খবর শুনছি। যেহেতু বিসিবি আছে, তারা এবিষয়ে করনীয় ঠিক করবে। পট পরিবর্তনের পর কিছু সনাপন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ীতে যেমন হামলা হয়েছে, তেমনি মুসলমানদের বাড়ীতেও হয়েছে। এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। এ সরকার সকলের সরকার, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর।

    আমরা হলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজিয়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

    হজ্বের প্যাকেজ মূল্য কমানোর পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হজ্বের প্যাকেজ মূল্য কমানো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। হাজিরা যে টাকা দেয় তা থেকে এক পয়সাও আমরা ধর্মমন্ত্রণালয় রাখি না। হাজিদের এক কোটি টাকার আমরা ঔষধ দেই। ৮০ জন ডাক্তার, ২০-৩০ জন নার্স ব্রাদার্স আমরা সাথে রাখি। স্থায়ী চিকিৎসা প্রদান করি। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করি। এছাড়াও সৌদি আরবের সাথে যেসব চুক্তি আছে সেগুলো দিয়ে থাকি। এগুলো হাজিদের কাছে নেই না। এছাড়াও হজ্বের যে মূল খরচ থাকা, খাওয়া, বিমান ভাড়া, এবং সৌদি সরকারকে একটি নির্দিষ্ট খরচ দিতে হয়। তিনি বলেন, এই মাসেই সৌদি হজ্ব মন্ত্রীর সাথে দেখা হবে। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি হাজিদের জন্য যে যে খাতে কমানো যায় এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় প্যাকেজ ঘোষণা করতে চাই।

    কোথায় কোন ধরনের হামলার বিষয়ে বলেন, হামলা হবে এমন কোন পরিস্থিতি নেই। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সাথে মিটিং করে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি। কোথাও কিছু হলে সাথে সাথে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • শেখ হাসিনার দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়েছে : আলতাফ হোসেন চৌধুরী 

    শেখ হাসিনার দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়েছে : আলতাফ হোসেন চৌধুরী 

    ঝালকাঠি প্রতিনিধি : মোঃ নাঈম মল্লিক

    শেখ হাসিনার দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়েছে বলে  মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সারা দেশের লুটপাটের রাজনৈতি কায়েম করেছিল। দেশের বিচার ব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে তাদের হত্যা করেছে। শুধু তাই না, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে জালেম সরকার। গুম, খুন, নিপীড়ন ছিল এই সরকারের নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড। তিনি আজ দুপুরে ঝালকাঠির নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহফুজ খানের অফিসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় এসব কথা বলেন। 

    সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের এখন একটাই কাজ হচ্ছে ড. ইউনূসকে  সহযোগিতা করা। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি একটি জাতীয় নির্বাচন দেবেন বলে আমরা আশা করি। রাজনীতিবিদরা দেশ পরিচালনা করলে দেশের অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে। 

    দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের পেতাত্মারা এবং ভারতীয় ‘র’ দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। 

    বিএনপি নেতাকর্মীদের তিনি ধৈর্য ধরে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে বলেন। 

    মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এম খান গ্রুপের কর্ণধার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাহফুজ খান, তার ছেলে এম খান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফসান খান রাফি, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার অহিদুল ইসলাম বাদল, নলছিটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তৌহিদ আলম মান্না, সদস্যসচিব সাইদুল কবির রানা, দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নান্টু মল্লিক, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সুজন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহাম্মেদ, পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব সাব্বির আহমেদ।

  • জামায়াতকে ধ্বংস করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সংকটে …মাসুদ সাঈদী

    জামায়াতকে ধ্বংস করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সংকটে …মাসুদ সাঈদী

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক ওলামা সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে । শেখ হাসিনার পরিবারতান্ত্রিক নেতৃত্বে দেশও দেউলিয়া হবার পথে হাটছিলো। দেশের মানুষ এতোদিন কারাবন্দী ছিলো। এখন সকলে মুক্ত।

    শনিবার আবু হুরায়রাহ্ জামে মসজিদে ওলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা শাহাদাত হোসাইন।
    প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান ও প্রধান বক্তা প্রয়াত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলেমাসুদ সাঈদী সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, শিশু, কিশোর ও যুবকের প্রাণের বিনময়ে ৫ আগষ্ট আমরা বাকস্বাধীনতা ও স্বৈরাচারমুক্ত দেশ পেয়েছি। এ অর্জন যেন কারো ভুলে হাতছাড়া না হয়।
    প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা রাখেন নমিনী বাগেরহাট-৪ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম।
    প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা শাখার আমির মাওলানা রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা নায়েবে আমির এডভোকেট মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ,,বিশিষ্ট সমাজসেবক রাজনীতিবিদ মাসুদ সাঈদী, উলামা জেলা সভাপতি বাগেরহাট অধ্যাপক মাওলানা আলতাফ হোসেন,
    অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা রাখেন পীর সাহেব আমতলী অধ্যক্ষ আবুবক্কার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ,,অধ্যক্ষ আমতলী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা মাওলানা বায়েজিদ হোসাইন,অধ্যক্ষ গুলিশাখালী ফাজিল মাদ্রাসা মাওলানা আব্দুল বারী,অধ্যক্ষ মোরলগঞ্জ লতিফিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাওলানা ড. রুহুল আমিনসহ উপজেলার বিভিন্ন আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণ, উলামা ফোরাম নেতৃবৃন্দ,বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন বৃন্দ,বিভিন্ন স্কুল কলেজে আরবি ও ধর্মীয় বিষয়ক শিক্ষকগন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক মক্তব সমূহের শিক্ষকবৃন্দ।
    আলোচনা সভাশেষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রুহের মাগফিরাত কামনাসহ দেশের শান্তি ও সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়।##**

  • দুর্যোগ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এর সাথে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটার অধ্যক্ষ নুরুল আমিনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    দুর্যোগ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এর সাথে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটার অধ্যক্ষ নুরুল আমিনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    শহিদুল ইসলাম,

    নিজশ্ব প্রতিনিধি

    চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ ও দুর্যোগ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এর সাথে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটার অধ্যক্ষ নুরুল আমিনের নেতৃত্বে ফটিকছড়ি থানা জামাত ইসলামের একটি প্রতিনিধি দল ফটিকছড়ি সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ত্রান,ও পূর্ণবাসন বিষয়ে আলোচনা করেন। উপদেষ্টা মহোদয় মনোযোগ সহকারে প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শোনেন এবং আসিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সহকারী অফিস ও প্রচার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম ফটিকছড়ি থানা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ইসমাইল গনি ফটিকছড়ি জামায়াতের সভাপতি আব্দুর রহিম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ

  • আশুলিয়া থানার সামনে ৫ আগস্ট ১৫ জনকে নৃশংস হত্যার চিত্র

    আশুলিয়া থানার সামনে ৫ আগস্ট ১৫ জনকে নৃশংস হত্যার চিত্র

    হেলাল শেখ,

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার আশুলিয়া থানার সামনে একটি ভ্যানে লাশের স্তূপ করছে পুলিশ, এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে থাকা একটি পোস্টার দেখে আশুলিয়া থানার সামনে ভিডিও বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।

    শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে গিয়ে ঘটনাস্থলের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র হুবহু মিল পাওয়া যায়। এর আগে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সারাদিন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।

    উক্ত ভিডিওটি আশুলিয়া থানার সামনের ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে ধারণ করা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দুইজন পুলিশ সদস্যের একজনের হাত ও একজনের পা ধরে লাশ ভ্যানে নিক্ষেপ করছেন।

    এর আগে ভ্যানে লাশের স্তূপ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন হত্যাকারীরা। সর্বশেষ লাশ তুলে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া শেষে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়। ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে একটি পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় যুবলীগের ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের।

    সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার পাশে। ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশুলিয়া প্রেসক্লাবের পেছনের সড়ক দিয়ে থানা রোড অতিক্রম করে এসবি অফিসের দিকে যাওয়ার সময় ডান পাশের দেয়ালটি হুবহু ভিডিওর সাথে মিল পাওয়া যায়। সেই পোস্টারটি এখনো দেয়ালে রয়েছে। মহাসড়ক থেকে থানার দিকে অগ্রসর হয়ে এসবি অফিসের দিকে চৌরাস্তায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সেখানে স্থানীয় দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে সকাল থেকেই নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারীরা। শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরে আন্দোলনকারীরা থানার চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলে। এসময় পুলিশ মসজিদের মাইক ও হ্যান্ডমাইক দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে থাকেন।

    এরপর আত্মসমর্পণের পরেও আন্দোলনকারীরা থানার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এসময় পুলিশ গুলি চালাতে থাকে। তখন তারা দোকান বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে চলে যান।

    এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার একাধিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা কেউ মুখ খোলেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

    ৫ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে থানায় হামলার চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। এসময় পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকেন, বিকেল ৪টা পর থেকে চলে গোলাগুলির ঘটনা। এসময় আশপাশে আরও শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত থেকে নৃশংস হামলা চালায়, এতে ছাত্রসহ বেশ কিছু ব্যক্তি নিহত হোন।

    এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আরাফাতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকালে ভিডিওটি আমি দেখেছি। এটি অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন, আপনারা যেহেতু মিডিয়ায় কাজ করেন, কোনো তথ্য কিংবা সূত্র পেলে আমাদের সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরে আন্দোলনকারীরা আশুলিয়া থানার দিকে অগ্রসর হয়।

    এসময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এঘটনায় ৫ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখেই আশুলিয়ায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। (তবে ভ্যানে তোলা লাশ ভ্যান থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে উঠিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া লাশের কোন হিসাব পাইনি বলেও জানান অনেকে। উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিছু মামলা রেকর্ড করা হলেও অনেক নিহত ভিকটিমের পরিবার জানান, আমরা বাদী হয়ে মামলা করতে পারিনি। উক্ত বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

  • নড়াইলে বেগম খালেদা জিয়ার নামে মানহানির মামলা খারিজ

    নড়াইলে বেগম খালেদা জিয়ার নামে মানহানির মামলা খারিজ

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলে দায়ের করা মানহানির মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ জুয়েল রানা এ আদেশ দেন। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে অভিযোগটি দায়ের করেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে আশিক বিল্লাহ।
    মামলায় অভিযোগ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি সভায় বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল আমলী আদালতে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন।
    আদালত অভিযোগ গ্রহন করে সদর থানার তদন্তের নির্দেশ দেন। থানা অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার সিআর নং-২৮/২১। আসামীর বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়ে আদালত ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেন।
    বৃহস্পতিবার মামলার নির্ধারিত দিনে বাদি পক্ষ আদালতে দির্ঘদিন হাজির না হওয়ায় বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন।

  • বিভিষিকাময় ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল ঝিনাইদহে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার বিএনপি জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মী

    বিভিষিকাময় ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল ঝিনাইদহে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার বিএনপি জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মী

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার যুবদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জা ছিলেন এক প্রতিবাদী যুবক। অন্যায় দেখলেই করতেন প্রতিবাদ। সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে চক্ষুশুল হয়ে ওঠে এলাকার আ’লীগের কাছে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে থাকতেন সক্রিয় ভাবে সামনের সারিতে। আর এটাই কাল হয় দাড়ায় তার জীবনে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে মীর্জা বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার হন। ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ ঝিনাইদহ শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই মাসের ২৫ তারিখে মীর্জার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পন্নাতলা মাঠে। মীর্জার ১০৭ বছর বয়সী পিতা জোনাব আলী তার একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ। ছেলে হারানোর শোক আর কান্নায় কেটে গেছে ৯ বছরেরও বেশি সময়। বয়সের ভারে আর চলাফেরা করতে পারেন না। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের প্রতি মাসে পাঠানো অনুদানে তার সংসার চলে না। ফলে স্ত্রী বুলবুলি খাতুন বৃদ্ধ বয়সে পরের বাড়ি কাজ করে সংসার চালান। শুধু যুবদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জাই নয়, তার মতো বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মী। আর চরমপন্থি সংগঠনের ক্যাডার নিহত হয়েছে ১৪ জন। লাশ পাওয়ার পর আজ পর্যন্ত পরিচয় মেলেনি ৮ জনের। কেন্দ্রে পাঠানো বিএনপির খুন গুমের তালিকা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪০ মাসে জেলায় বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ৪২ জন। এরমধ্যে বিএনপির ৪ জন, জামায়াত শিবিরের ১৫ জন, সাধারণ ব্যবসায়ী একজন, সন্ত্রাসী ১৪ জন ও অজ্ঞাত রয়েছেন ৮ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকার শনির আখড়া এলাকার বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামের বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম রবি. ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা গ্রামের বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম আজম পলাশ, একই গ্রামের দুলাল হোসেন, আরাপপুর ক্যাডেট কলেজ পাড়ার ব্যবসায়ী তমুর রহমান তুরান, হরিণাকুন্ডুর রঘুনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ইদ্রিস আলী পান্না, শৈলকুপার শিবির কর্মী ইবি ভার্সিটির ছাত্র সাইফুল ইসলাম মামুন, ঝিনাইদহ শহরের জনপ্রিয় শিবির নেতা ইবনুল পারভেজ, মেধাবী ছাত্র জহুরুল ইসলাম, তারিক হাসান সজিব, কুষ্টিয়ার আনিছুর রহমান, ঝিনাইদহ শহরের শহীদ আল মাহমুদ, কালীগঞ্জের ঈশ^রবা গ্রামের সোহানুর রহমান সোহান, একই উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের শামিম হোসেন, চাপালী গ্রামের আবুজার গিফারী, সদর উপজেলার কালুহাটী গ্রামের হাফেজ জসিম উদ্দীন, সদর উপজেলার অশ^স্থলী গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক ও জামায়াত কর্মী আবু হুরাইরা, কোটচাঁদপুরের বলাবাড়িয়া গ্রামের জামায়াত কর্মী হাফেজ আবুল কালাম ও একই উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের জামায়াত নেতা এনামুল হক বিশ^াস। বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের অভিযোগ সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ ঝিনাইদহের এসব কর্মীদের টার্গেট করে আওয়ামী লীগ পুলিশ দিয়ে একের পর এক হত্যা করে গেছে। আর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল অতি উৎসাহী কতিপয় পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের লোকজনেরা। বিশেষ করে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মদদে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হন বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা। প্রথমে পুলিশ, ডিবি বা র‌্যাব পরিচয়য়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হতো। কিছুদিন পর ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যেত তাদের। বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবু বকর জানান, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের আমলে ঝিনাইদহে জামায়াত শিবিরের ১৬ নেতা কর্মীকে খুন করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে মামলা করার। ইতিমধ্যে আমরা জামায়াত কর্মী আব্দুস সালাম হত্যার ঘটনায় মামলা করেছি। পর্যায়ক্রমে সব খুনের মামলা করা হবে এবং সেই প্রচেষ্টা চলছে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ বলেন, খুনি হাসিনা সরকারের আমলে ঝিনাইদহে যেসব বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে মামলার পক্রিয়া চলছে। দ্রæতই বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত কুশিলবদের বিরুদ্ধে মামলা করে আইনের আওতায় আনা হবে।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।