Category: জাতীয়

  • মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর স্টেডিয়ামে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত

    মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর স্টেডিয়ামে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত

    লিটন মাহমুদ,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 

    মুন্সীগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর তৃতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলা স্টেডিয়ামে হাজারো মানুষের উপস্থিতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ গ্রহণ করেন। পরে সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে তার গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বাদ জোহর গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দয়হাটায় চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।#

    অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    ১৯৭৯ সালে বদরুদ্দোজা চৌধুরী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া—দুই সরকারের সময়ই মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপালন করেছিলেন। বিটিভিতে তাঁর ‘আপনার ডাক্তার’ অনুষ্ঠান ছিল খুবই জনপ্রিয় ছিল।
    মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরী পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দুবার জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং একবার বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
    এরপর ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের জুন মাসে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
    পরে ২০০৪ সালের ৮ মে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দলটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর ছেলে মাহী বি চৌধুরী দলের মুখপাত্র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য।

    অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
    ১৯৭৯ সালে বদরুদ্দোজা চৌধুরী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া—দুই সরকারের সময়ই মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপালন করেছিলেন। বিটিভিতে তাঁর ‘আপনার ডাক্তার’ অনুষ্ঠান ছিল খুবই জনপ্রিয় ছিল।
    মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরী পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দুবার জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং একবার বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    এরপর ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের জুন মাসে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
    পরে ২০০৪ সালের ৮ মে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দলটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর ছেলে মাহী বি চৌধুরী দলের মুখপাত্র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
    ১৯৭৯ সালে বদরুদ্দোজা চৌধুরী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া—দুই সরকারের সময়ই মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপালন করেছিলেন। বিটিভিতে তাঁর ‘আপনার ডাক্তার’ অনুষ্ঠান ছিল খুবই জনপ্রিয় ছিল।
    মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরী পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দুবার জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং একবার বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
    এরপর ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের জুন মাসে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

    পরে ২০০৪ সালের ৮ মে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দলটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর ছেলে মাহী বি চৌধুরী দলের মুখপাত্র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য।

  • তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ দখলদার ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে  সুজানগরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

    তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ দখলদার ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সুজানগরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

    এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার এবং দখলদার ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে অসংখ্য নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে থানা চত্বর থেকে বের হওয়া মিছিলটি সুজানগর পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মন্ডল মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা রাশেদুল ইসলাম বাবু মন্ডলের স ালনায় অনুষ্টিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব। অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু, বিএনপি নেতা আহম্মদ আলী লাটু,আব্দুল হাই, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পিন্টু, সদস্য সচিব রিয়াজ মন্ডল,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন,উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান খোকন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সুজা উদ্দিন, সদস্য সচিব বিপুল ও ছাত্রদল নেতা গাজী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব বলেন, বিগত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে দায়েরকৃত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন দখলদার ও চাঁদাবাজির সাথে সে যে দলের লোকই হোক তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি দখলদার ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • বাংলার মাটিতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হবে-কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

    বাংলার মাটিতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হবে-কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

    হেলাল শেখঃ পাবনার সুজানগরের রাণীনগর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪) বিকেলে পাবনার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার রাণীনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাহ্তাব আলী মৃধার সভাপতিত্বে সঞ্চালনার করেন রানীনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ ইকবাল মাস্টার।

    উক্ত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। তিনি বলেন, একটি কথা ভালো করে মনে রাখবেন নতুন কর্মীদের ভিড়ে আমাদের পুরাতন কর্মীরা যেন হারিয়ে না যায়, তাদের কথা অবশ্যই আগে মাথায় রাখবেন তাদেরকে মূল্যায়ন করবেন আবারও তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই দেশে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ।

    এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক এবিএম তৌফিক হাসান, পৌর বিএনপির আহব্বায়ক মো: কামরুল হুদা, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ, বেড়া উপজেল স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মোঃ মঞ্জুর আলম শিকদার, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো: জসিম বিশ্বাস, বেড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জাতসাখনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, মোঃ স্বপন মির্জা, বেড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ আঃ গনি ফকির, কাজী মোঃ জহিরুল হক সদস্য সচিব, বেড়া উপজেলা কৃষক দলসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী মাসুম হায়দার।

    এসময় বক্তারা বলেন আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের মধ্যে সকল বিভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিএনপিকে বিজয়ের লক্ষ্য কাজ করে যেতে হবে। দলের যেন বদনাম না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

  • দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে পরিনতি ভালো হবে না-রিজভী

    দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে পরিনতি ভালো হবে না-রিজভী

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহসচিব
    রুহুল কবির রিজভী বলেছেন দিল্লির কোনো গোলামকে আর বাংলাদেশের জনগণের ওপর রাজত্ব করতে দেয়া হবে না। দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে তার ফল ভালো হবে না। তিনি বলেন
    অন্য কোনো দেশ থেকে প্রেসক্রিপশন দেওয়া যাবে না। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছেন ভালো কথা, তবে আশ্রয় দিয়ে তার কথা মতো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল কিছু করতে চাইলে তার ফলাফল ভালো হবে না। বাংলাদেশ সিকিম বা ভুটান নয়। পার্শ্ববর্তী দেশের পলিসি মেকার, নীতিনির্ধারক যারা তাদেরকে বলে রাখতে চাই- বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন,ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ভারতকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ স্থিতিশীল হবে না। আপনারা কীসের আলামত দিচ্ছেন এগুলো ? বাংলাদেশিরা সাহসী ও বীরের জাতি। কীভাবে দেশ পরিচালিত হবে, কাকে নির্বাচিত করতে হবে জনগণ সেটা জানে। অন্য কোনো দেশ থেকে প্রেসক্রিপশন দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে। সবাই সহযোগিতা করতে চায়। কিন্তু প্রশাসনের মধ্যে যদি এমন লোক থাকে যারা শেখ হাসিনার ১৫-১৬ বছর ক্ষমতা থাকাকালীন ফ্যাসিবাদ লুণ্ঠনে সহায়তা করেছে, তারা একটি বিপ্লবের সরকারকে কখনোই সমর্থন দিতে পারে না। তারা যদি ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হয়, সচিব হয়, গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে বসে তাহলে নির্বাচন কমিশন,বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে এই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না। এরা সংস্কার ব্যর্থ করে দেবে। রিজভী বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়ম ও দর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি ঋণ নিয়েছেন, পাচার করেছে ১৭ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। ঘনিষ্ঠদের কালো টাকা আয়ের সুযোগ করে দিয়েছিলেন, যাতে বিপদে পড়লে তিনি সেই টাকার ভাগ নিতে পারেন। রাজশাহী নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভয়ংকর দোজখ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছি। আগে রাজশাহীতে এসে প্রাণ নিয়ে ফিরে যেতে পারব কি না,তা নিয়ে সংশয় থাকত। বিএনপির সাংগঠনিক সংগঠনের বাইরে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে বিএনপির নির্যাতিত, নিহত পরিবারকে তারেক রহমান ১৫ বছর ধরে দেখে আসছেন।
    এসময় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করলেও তা উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন,কেন উদ্ধার হবে না সেটি জানতে চাই। অস্ত্র উদ্ধার না হলে দেশ অস্থিতিশীল ও সংঘাতময় হবে। শেখ হাসিনা কি ভারতে থেকে উপলব্ধি করছেন জুলুম করে,নির্যাতন করে,জনগণের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত,‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা,সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুনপ্রমুখ। এছাড়াও কেন্দ্রীয় এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহীর নিহত তিন পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেন রুহুল কবির রিজভী।#

  • জনগন দ্বারা নির্বাচিত সরকারই কেবল দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারে-তারেক রহমান

    জনগন দ্বারা নির্বাচিত সরকারই কেবল দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারে-তারেক রহমান

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগন দ্বারা নির্বাচিত সরকারই কেবল গনতন্ত্র ও দেশে উন্নয়নের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, এই সরকারের প্রতি সেদিনও আমাদের সমর্থন ও আস্থা ছিল, আজও আছে। তবে এখানে একটি কিন্তু রয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের আস্থাকে প্রশ্নহীন রাখার চ্যালেঞ্জ কিন্তু তাদেরকেই নিতে হবে। স্বৈরাচার পতনের এই মহা সময়ে দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা, কৃষক, শ্রমিক ও সর্বস্তরের মানুষের অবদানকে যদি আমরা মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে ১৬ বছরের স্বৈরাচারী হাসিনার গুম, খুন, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার জনতার অবদানকে যদি স্বীকৃতি দিতে না পারি, তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। তারেক রহমান আজ শনিবার (২৮ সেপ্টম্ব) ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে ফ্যাসিবাদী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত ঝিনাইদহের সাব্বির ও প্রকৌশলী রাকিবুল হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিন এক বিরাট ভার্চুয়ালি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দানকালে এ কথা বলেন। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা ও মুন্সি কামাল আজাদ পাননু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তারেক রহমান আরো বলেন, আমরা আজ এমন একটা পরিবেশে সমবেত হয়েছি যেখানে কারো কোন ভয় নেই। সকলে আমরা শংকামুক্ত পরিবেশে একত্রিত হয়ে কথা বলছে পারছি। আমরা আমাদের কথা বলার জন্য একই সাথে আমরা অন্যের কথা শোনবার জন্য একত্রিত হয়েছি। অথচ মাত্র ক’দিন আগেও এই দেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে কথা বলতে পারতো না। বিগত ১৬ বছর ধরে আমরা আমাদের কষ্টের কথাও স্বাধীন ভাবে বলতে পারতাম না। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল দেশের মানুষ। কি ভাবে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করা হয়েছিল। ঝিনাইদহ জেলায় জাতীয়তাবাদী দলের অনেক নেতাকর্মী আছেন যাদেরকে আমরা হারিয়েছি। মিরাজুল, দুলাল ও পলাশসহ বহু মানুষকে হারিয়েছি। ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনেও এই জেলার মানুষ সাব্বির ও প্রকৌশলী রাকিবুল বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে। দেশের মানুষ গত ৫ আগষ্ট এই স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়েছে। জনগনের আন্দোলনের মুখে যে স্বৈরাচার জনগনের বুকের উপর চেপে বসেছিল, সেই স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের সকল মানুষের কৃতিত্ব। আজকে যখন স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, তখন দেশের জনগরে দাবী ছিল দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সৃষ্ট শুন্যতা পুরণের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের। গত ১৬ বছরে বিশেষ কত এই জুলাই-আগস্টে যে মানুষগুলো আন্দোলনে গিয়েছে, যে মানুষগুলো সবকিছু উজাড় করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মেও জন্য জীবনবাজি রেখে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের এই আত্মত্যাগ সেদিনই সফলতা লাভ করবে, যেদিন এদেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে। সেদিনই বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হবে। সেদিন আমাদের এই আন্দোলনের শহিদদের, ৭১ এর শহিদদের এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন এবং যারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ সফলতা লাভ করবে। আজ আমাদের সেই প্রতিজ্ঞা নিতে হবে, বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে একটি স্বাভাবিক মঞ্চে। যা দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। দলমত নির্বিশেষে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে। প্রতিটি শিশু, প্রতিটি শিক্ষার্থী নিরাপত্তা ও শিক্ষাগ্রহণের যে গ্যারান্টি চায়, প্রতিটি কৃষক তাদের অবদানের যে স্বীকৃতি চায়, এই সকল কিছু সরকার গঠনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সকলকিছু প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তারেক রহমান দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া উপেক্ষা করে তার বক্তব্য শোনার জন্য ঝিনাইদহের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, আসুন, আমরা আন্দোলন করে, সংগ্রাম করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। আমরা জনগণের প্রত্যাশা পুরনে কাজ করি। আসুন আমরা বৈষম্যহীন সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হই। তারেক রহমান বিকাল ৪.৪০টার দিকে ভার্চুয়াল সমাবেশে যুক্ত হয়ে ১১ মিনিট বক্তব্য রাখেন। ১৬ বছর পর আয়োজিত বিএনপির এই সমাবেশটি গনবিস্ফোরণে রুপ নেয়।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।।

  • ঝিনাইদহে আজ তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি সমাবেশ

    ঝিনাইদহে আজ তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি সমাবেশ

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ১৬ বছর পর ঝিনাইদহে বিএনপির বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ শনিবার (২৮ সেপ্টম্বর) বিকাল ৩টায় শহরের পায়রা চত্বরে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ফ্যাসিবাদী শক্তি পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পেটোয়া বাহিনীর নির্বিচারে গুলির মুখে ঢাকায় নিহত ঝিনাইদহের সাব্বির ও প্রকৌশলী রাকিব হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল বক্তব্য রাখবেন। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে জানান, আজকের (শনিবার ২৮ সেপ্টম্বর) সমাবেশ সফল করতে তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সমাবেশকে ঘিরে গোটা ঝিনাইদহ জেলাসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলে নেতাকর্মদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। তিনি বলেন, খুন গুমের রাণী শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে বিএনপি ঝিনাইদহে বড় কোন সমাবেশ করতে পারেনি। সমাবেশ করতে গেলেই পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে পন্ড করে দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের সমাবেশ থেকে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানো হয়েছে। দুঃশাসনের প্রতিবাদ করে প্রায় ৩০ জন বিচার বহির্ভুত হত্যার শিকার হয়েছেন। ১১ হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করেছে। অনেকেই হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে পিষ্ট হয়ে সম্পদ ও সংসার হারিয়েছেন। তাই মুক্ত পরিবেশে বিএনপির আজকের এই সমাবেশ বিএনপির লাখো কর্মীদের কাছে বেঁচে থাকার একটি উজ্জীবনী বার্তা ও নতুন করে লড়াই সংগ্রাম করার প্রেরণা যোগাবে বলে বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদ মনে করেন।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।।

  • বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগালে বদলে যাবে অর্থনীতি  মানুষের জীবনযাত্রা

    বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগালে বদলে যাবে অর্থনীতি মানুষের জীবনযাত্রা

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:আধুনিক বিশ্বে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার পর্যটন।বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ঘিরে বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পের বিকাশে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এই বনের সৌন্দর্য দেখতে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা। তবে বন ঘিরে মানুষের যত আগ্রহ, কিছু অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতার কারণে সেটা মেটাতে পারছেন না পর্যটকরা। এগুলোর বিষয়ে উদ্যোগ নিলে পর্যটকদের কাছে সুন্দরবন ভ্রমণ আরও আনন্দের হবে। এখানে পর্যটনশিল্পের বিকাশ হলে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি ও এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা।

    পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছর লাখো পর্যটক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন দেখতে যান। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এ সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। এতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। এ অবস্থায় দায়িত্বশীলদের সঠিক কর্মপরিকল্পনা, বন বিভাগ ও পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে বারবার হোঁচট খাচ্ছে সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন। এতে অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নও ব্যাহত হয়।

    পর্যটকরা বলছেন, পর্যটনের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা থাকলেও দীর্ঘদিনেও পর্যটকদের জন্য বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা, রাতে অবস্থান, বিশুদ্ধ পানি ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনও নিশ্চিত হয়নি। সুন্দরবনের সড়কপথে চলাচলের তেমন কোনও ভালো ব্যবস্থা নেই। বনের ভেতর ঘুরে দেখার জন্য ওয়াকওয়ের অবস্থা তেমন ভালো না। এসব কারণেই ঠিক ওভাবে পর্যটক টানতে পারছে না সুন্দরবন।

    বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু সুন্দরবনের প্রতিবেশ, পরিবেশ ও ইকোসিস্টেম অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই এখানে ইকোট্যুরিজমের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন। যা তৈরিতে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে পর্যটনশিল্পের বিকাশে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীববৈচিত্র্যের প্রাণ-প্রাচুর্যের কারণে সুন্দরবন পৃথিবীর অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র। এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের নাম। এ ছাড়া বনে আছে নানা ধরনের পাখি, চিত্রাল হরিণ, কুমির, ডলফিনসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী। তাই সুন্দরবন ঘিরে গড়ে তুলতে হবে ইকোট্যুরিজম। তবেই এটি বিনোদনের পাশাপাশি গবেষণার স্থান হয়ে উঠবে। বাড়বে প্রসার।

    পরিবেশবিদরা বলছেন, সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনকে যদি সুন্দর করে নিয়ন্ত্রণ কিংবা পরিচালনা করা যায় তাহলে এটি বিরাট সম্ভাবনাময় খাতে পরিণত হবে। এ ছাড়া সুন্দরবনে পর্যটককেন্দ্রিক যেসব নৌযান আছে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালনা করা গেলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে না। তখন পর্যটকদের কাছে সুন্দরবন ভ্রমণ আরও আনন্দের হবে।

    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মো. নুর আলম শেখ বলেন, ‘সুন্দরবনের প্রাকৃতিক যে বৈশিষ্ট্য এবং জীববৈচিত্র্য রয়েছে সেগুলোকে রক্ষা করেই পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে। বনের আশপাশে যেসব গ্রাম আছে সেগুলোকে ইকোট্যুরিজম সেন্টারে পরিণত করতে হবে। যেসব পর্যটক এখানে প্রবেশ করেন তারা যাতে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি না করেন, প্লাস্টিক দূষণ না করেন, পরিবেশ সম্পর্কে সতেচন থাকেন, সে ব্যাপারে টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এই উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।’

    সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকেন্দ্রিক পরিবেশবান্ধব পর্যটনশিল্পের বিপুল সম্ভাবনা আছে। এতে একদিকে দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধ হবে অন্যদিকে শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। তবে বনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সুন্দরবন ভ্রমণের নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কারও কোনও ক্ষতি না হয়।’

    বন বিভাগ জানিয়েছে, সুন্দরবনের পর্যটন এলাকাগুলোতে পর্যটকবান্ধব অবকাঠামো না থাকা ও অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ব্যাহত হচ্ছে ইকোট্যুরিজম। ২০১৪ সালে ভ্রমণ নীতিমালা প্রণীত হয়েছিল। যার আলোকে নতুন পর্যটনকেন্দ্র বাড়ানোর কাজ চলছে। তবে এখনও কাজ শেষ হয়নি।

    এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘২০১৪ সালের ভ্রমণ নীতিমালা অনুযায়ী সুন্দরবনে বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে ১১টি পর্যটনকেন্দ্র আছে। পর্যটকরা সেখানে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে প্রকৃতি উপভোগ করছেন।’

    তিনি বলেন, ‘পর্যটকরা সুন্দরবনে যতই আসুক না কেন তাদের আমাদের ধরে রাখার মতো সক্ষমতা আছে। পরিবেশের ক্ষতি হবে না। এ ব্যাপারে বনরক্ষীদের প্রশিক্ষন দেওয়া আছে। সে অনুযায়ী পর্যটকদের সেবা দেওয়া হয়।’

    সুন্দরবন ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের গাইড শাকিল আহমেদ বলেন, কিছু সমস্যার কারণে বিদেশিরা একটু আকর্ষণ কম দেখাচ্ছে। আশা করি, এই খাত থেকে আরও আয় করা সম্ভব। যদি সরকার একটু নজর দেয়।সারা বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশ এ শিল্পে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সঠিক তথ্য-উপাত্ত না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হয়, বছরে প্রায় ৪ কোটি দেশীয় পর্যটক সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়ান। সে হিসেবে বাংলাদেশেও ভবিষ্যতে পর্যটকের সংখ্যা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে পর্যটন খাতে নানা পদপে গ্রহণ করতে হবে, পদপে গুলো হলো- ১. পর্যটন সমৃদ্ধ অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন ২. সকল ক্ষেত্রে পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ৩. পর্যটন এলাকায় পর্যটন পুলিশ কেন্দ্র স্থাপন ৪. বিমানবন্দর ও নৌবন্দর স্থাপন ও উন্নয়ন ৫. পর্যটন স্পটে পর্যটকদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা ৬. পর্যটন মেলার আয়োজন ৭. বিদেশি পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গাইডের ব্যবস্থা করা ৮. বিদেশে বাংলাদেশের ট্যুরিজম প্রমোশনে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের উদ্যোগী ভ‚মিকা পালন ৯. পাঠ্যপুস্তকে পর্যটন বিষয়ে কোর্সগুলো অন্তর্ভূক্তকরণ ১০. ওয়েব সাইটে প্রচারণা ১১. পর্যটন বিষয়ে শিা ও গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ ১২. টুরিস্ট জেনারেটিং দেশে পর্যটন অফিস ¯’াপন ১৩. পর্যটন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত, গ্যাস ও টেলিফোন ব্যবস্থা ১৪. পর্যটন এলাকা বা তার আশপাশে সরকারি উদ্যোগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক থ্রি-স্টার/ফাইভ-স্টার হোটেল নির্মাণ করা ইত্যাদি।
    অপরূপ সৌন্দর্যের আধার বাংলাদেশ যার প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্রের কোনো জুড়ি নেই। সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

    ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। প্রতি বছরের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও যথাযথভাবে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের সঙ্গে মিল রেখে দেশে প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘পর্যটন শান্তির সোপান’। পর্যটনশিল্পের বিকাশে পর্যায়ক্রমে ‘পর্যটন সপ্তাহ’ ও ‘পর্যটন মাস’ উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিব নাসরীন জাহান।#

  • তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন

    তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ও ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এই টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন, প্রধান অতিথি রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই টুর্ণামেন্টে তানোর উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা দল অংশগ্রহণ করেন।
    উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাসুদ করিমের সভাপতিত্বে ও তানোর পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শাহিন সরকার রনজুর পরিচালনায় উক্ত খেলায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা বিএনপি সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ তারেক, তানোর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাওয়াল, তানোর পৌর বিএনপি আহবায়ক একরাম আলী মোল্লা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহাবুর মোল্লা ও ওবাইদুর মোল্লাপ্রমুখ।এদিকে
    শেষ বিকেলে টুর্ণামেন্টে ফাইনাল খেলায় উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়ন ১-০ গোলের ব্যবধানে কলমা ইউনিয়নকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন। পরে বিজয়ী দল ও রানার্সআপ দলের খেলোয়ারদের মধ্যে পুরুষ্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।এ সময় তানোর এবং গোদাগাড়ী উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার দর্শক উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন।

  • সুনামগঞ্জে সহিংসতা মামলায় আটক সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

    সুনামগঞ্জে সহিংসতা মামলায় আটক সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

    কে এম শহিদুল্লাহ,
    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
    সুনামগঞ্জে আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধের(দ্রুত বিচার) মামলায় আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে রাতে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছিল।
    শুক্রবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার ফারহান সাদিকের আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক বাদিপক্ষের শোনানী শেষে তার জামিন না মঞ্জর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করেন।
    গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর(রোজ বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশের একটি দল শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ সদর থানায় নিয়ে আসা হয় এবং রাতে তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। সুনামগঞ্জ-৩(শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) আসন থেকে চার বার এমপি নিার্বচিত হন এম এ মান্নান । বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তিনি দুইবার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ।
    উল্লেখ্য গত ৪ আগষ্ট সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় ছাত্রজনতার সাথে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও পুলিশের চুর্তরমুখী সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউপির এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমদের ছেলে জহুর আলী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জহুর আলী বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসাপতালে চিকিৎসাধীন থাকলে ও তার বড়ভাই হাফিজ আহমদ গত ২ সেপ্টেম্বর বাদি হয়ে আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী(দ্রুুত বিচার) আদালত সুনামগঞ্জ জোনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটকে প্রধান এবং সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে ২নং আসামী করে এবং ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলায় বাকি আসামীরা হলেন, সাবেক এমপি মহিবুর রহমান মানিক,সাবেক এমপি এড. রনজিৎ চন্দ্র সরকার,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন,সাবেক পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,জেলা যুবলীগের আহবায়ক খায়রুল হুদা চপল,রেজাউল করিম শামীমসাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,মোঃ সালেক মিয়া,জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি,সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস,সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরী,শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর এ পি এস হাসনাত হোসাইন,তার আপন সহোদর মোঃ নুর হোসেন,সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক রিয়াজ আহমেদ,মজ্ঞুর আহমদ খন্দকার,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস,রেজাউল আলম নিক্কু,হাজী আবুল কালাম,অমল কান্তি কর ও ছাত্রলীগের সভাপতি দিপংঙ্কর কান্তিদে সহ প্রমুখ।

  • তরুন প্রজন্মের অহংকার  আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান

    তরুন প্রজন্মের অহংকার আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলীঃ কলিন পাওয়েলের মতে, ‘যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।’ নেতা হবে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। মানুষ যাকে দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার পরিবর্তে সাহস ও মনোবল খুঁজে পাবেন, তিনিই হবেন নেতা। একজন নেতাকে তার প্রতিটি কাজের জন্য যোগ্য লোক বেছে নেয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। সেইসাথে, তাদের ওপর বিশ্বাস রাখার ক্ষমতা থাকতে হবে। যে অন্যের ওপর বিশ্বাস করতে পারে না, বুঝতে হবে তার আসলে নিজের বিচার বিবেচনার ওপর বিশ্বাস নেই। নিজের বিবেচনার ওপর বিশ্বাস না থাকলে তাকে কোনওভাবেই নেতা বলা যাবে না। ভাঙ্গন নয়, গড়ার কাজই করেন একজন আদর্শ নেতা। ভালোবাসতে পারলে শত্রুও একদিন বন্ধুতে পরিণত হয়। নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা একজন মানুষকে সাধারণ থেকে অসাধারণ নেতৃত্বের উপযোগী করে তুলতে পারে। সাথে দক্ষতা, সচেতনতা, ইতিবাচক মনোভাব, নেতৃত্বের গুণাবলি আরও বাড়িয়ে দেয় তারেক রহমানের মধ্যে এ সব গুন রয়েছে।

    বাংলাদেশের উপর পরাশক্তি বিশেষ করে ইন্ডিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলা করতে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তি যোদ্ধা (বীরউত্তম) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য উত্তারিধাকারী তারেক রহমানের যে বিকল্প বাংলাদেশে নেই সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশের নিপিড়িত জনগন। ‘স্বাধীনতার মহানায়ক শহীদ জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান বাংলা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন। দেশের সাবেক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম সন্তান তিনি। তরুন প্রজন্মের অহংকার তারেক রহমান। ‘সেনা সমর্থিত’ মঈন-ফকরুদ্দীন এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ দেশপ্রেমিক নেতা তারেক রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে ১৩টি হাস্যকর মামলা করা হয়। বিভিন্ন মামলায় তাকে মোট নয়দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে অমানসিক নির্যাতন করে তারেক রহমানের কোমরের হাড় ভেঙে দেয় তৎকালীন স্বৈরশাসকরা। এরপর ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ বছরের ১৯ জানুয়ারি নানি বেগম তৈয়বা মজুমদারের মৃত্যুতে তারেক রহমান মাত্র ৩ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান। দীর্ঘ ১৮ মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সব মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। তিনদিন পর লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হবে তাই সেখানের (নর্থ লন্ডন) একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে সেখানেই আছেন তিনি।

    সে সময় তারেক রহমান দল ও দেশের জন্য এক অনন্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করে যুগান্তকারি কর্মসুচি বিএনপির তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে গন জাগরনের সৃষ্টি হয়েছিল নেতা কর্মিদের মধ্যে ফিরে এসেছিল প্রাণ তারেক রহমানের মাঝে খোজে পয়েছিল তাদের প্রাণ প্রিয় নেতার প্রতিচ্ছবি, আর সে কারনে ভীত হয়ে মঈন-ফখরুদ্দিন গংরা ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সেদিন তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু জনগনের ভালবাসা আর দাবীর মুখে তারা তাকে জেলে আটকে রাখতে পারেনি। আসলে কল্পিত দুর্নীতির অপপ্রচার চালিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিল। কারাগারে যেভাবে তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে আর কোনো রাজনীতি নেতার ওপর এভাবে নির্যাতন করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দেয়া হয়েছিল। তবে একটি মামলাও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়। সব মামলা গুলো ছিল ভিত্তিহীন রাজনৈতিক উদ্দোশ্যপ্রনোদিত, হয়রানিমূলক যার একটি ও এখনো প্রমান করতে পারে নাই,‘শোনা গেছে, এর মধ্যে ১১টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত। রাখে আল্লাহ মারে কে। কারন জিয়া পরিবারের উপর দেশ বাসীর দোয়া ও আল্লাহের রহমত আছে। তিনি এখন একে একে মামলা থেকে খালাস পাচ্ছেন।

    আর যদি মতলববাজ ফখরুদ্দীন মইনুদ্দিনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে খালেদা জিয়া যদি তখন শেখ হাসিনার মত দেশ ত্যাগ করতেন তখন তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমানকে গ্রেফতার হতে হতো না। মইনের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে সেটা এখন সবাই জেনেছে। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের ধারাবাহিকতায় এখনও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার অব্যাহত রয়েছে। অতীতের মত পতিত শেখ হাসিনা সরকারও তারেক রহমানকে টার্গেট করেছিল । কারণ তারেক রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। বাবার মতোই তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কথা শুনেছেন, সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন। জনগণের সঙ্গে তারেক রহমানের গভীর ভালবাসা আওয়ামী লীগ কখনও মেনে নিতে পারেনি। তারেক রহমানকে শেষ করতে পারলে কিংবা জিয়া পরিবারকে বিতর্কিত করতে পারলেই বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করে দেয়া যায়। এ কারণেই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে চালানো হয়েছে সুপরিকল্পিত অপপ্রচার যা অব্যাহতভাবে চলছে।

    মানুষ আজ সন্ত্রাস, ফ্যাসিবাদী হাসিনার অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়, বিদ্যুৎ চায়, পেট ভরে খেতে চায় কিন্তু বাকশালী সরকার শুধু জিয়া পরিবারের কুৎসা করেই সময় কাটাচ্ছেন কোথাও কোন উন্নয়ন নেই, মানুষের কাজ নেই, বেঁচে থাকার অবলম্বন টুকু কেড়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। নাভিস্বাস উঠেছে এই সরকারের প্রতি, তাই দেশের মানুষ আজ ফেসিস্ট বাকশালী স্বৈরশাসন থেকে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে গত আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন। সরকার পরিবর্তন হয়ে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রশংসায় ভাসছেন। তিনি কোটি কোটি মানুষের শেষ আশ্রল স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

    ডিজিটাল নামক ফেসিস্ট বাকশালী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আতঙ্কে ছিল তারেক রহমানের। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইন্তেকাল। এ কারণেই আওয়ামী লীগ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মরিয়া ছিল। তবে দেশের কোটি কোটি মানুষ আশা করে তরুন প্রজন্মের অহংকার এই তরুন রাজনীতিবীদ তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়েই বীরের বেশে দেশে ফিরবেন তার রাজনীতিতে আবারও সরব উপস্থিতির অপেক্ষায় বাংলাদেশ। তার বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন বেগম খালেদা জিয়ার পরে বাংলাদেশের মাটিতে তিনিই হবেন বিএনপির কর্নধার। আগামী দিনের তারেক রহমান হবেন চৌকষ রাজনৈতিক প্রশাসন সমন্বয়ে এক সমন্বিত সফল প্রতিষ্ঠান, আদর্শের রাষ্ট্রনায়ক। তারেক রহমান ফিরে আসবেন নতুন তারেক রহমান হয়ে। যার চারপাশে ঘিরে থাকবে রাষ্ট্রপরিচালনার বেষ্ট আইকনরা। বাকশালী নিকৃষ্ট শাসনে, নিপিড়নে ইসলাম, জনজীবন, দেশের সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। কালো রাতের মাঝ প্রহর পেরিয়ে গেছে তার সাথে সাথে গোটা বাংলাদেশ প্রতিটা দিন গুনছে নতুন দিনের আশায়। কালো রাতের প্রহর শেষে অবশ্যই আসবে নতুন ভোর, আসবে সোনালী সূর্যোদয়। ফিরে আসবেন নতুন তারেক রহমান। সেই নবপ্রভাতের নতুন আলো দেখার জন্য অধীর আগ্রহে তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করছেন গোটা দেশবাসী।
    সীমাহীন মিথ্যা অপপ্রচারের পরেও দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে এখনো তারেক রহমান। দেশের মানুষ আবার বিএনপিকে ভোট দিবেন এবং ক্ষমতায় বসাবেন। তখন তারেক রহমানই হবেন নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক।

    তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার প্রথম ছেলে। তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন বাংলাদেশের ৭ম রাষ্ট্রপতি এবং তার মা বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উনার আদরের একমাত্র ছোট ভাই মরহুম আরাফাত রহমান কোকো। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রাক্তন নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কনিষ্ঠ কন্যা চিকিৎসক জুবাইদা রহমানকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে, ব্যারিষ্টার জাইমা রহমান । রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনি এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকে দিন রাত পরিশ্রম করে দলকে সু-সংগঠিত করছেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

    তিনি সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ঢাকা) এবং ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। প্রথমে তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে স্থানান্তরিত হন।
    ১৯৮৮ সালে, তারেক রহমান দলের গাবতলী উপজেলার প্রাথমিক সদস্য এবং পরে বগুড়া জেলা কমিটির সদস্য হিসাবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।

    ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়, যখন স্বৈরাচারী শাসন থেকে গণতান্ত্রিক সরকারে রূপান্তর ঘটছিল তখন তারেক রহমান সক্রিয়ভাবে দলের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করেছিলেন। তিনি বিএনপির জাতীয় প্রচারাভিযান কৌশল কমিটির সদস্য ছিলেন এবং তার মা খালেদা জিয়া যে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন সেখানে নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয়ের দায়িত্বও পালন করেন। সেই সময়ে তিনি সক্রিয়ভাবে বগুড়ার বিএনপি ইউনিট গুলোকে সংগঠিত করেন এবং রাজনীতিকে আরও শক্তিশালী, কর্মীবান্ধব ও উন্নয়নমুখী করতে সহজাত সংস্কৃতি পরিবর্তন করেন।

    ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সাফল্য এবং নতুন সরকার গঠনের পর, রহমানকে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে দলের সিনিয়র ভূমিকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার জন্য তিনি উচ্চ পদে অনীহা প্রকাশ করেন।

    বহু বছর ধরে তিনি বিএনপির বগুড়া ইউনিটের উন্নয়নে তৎপর ছিলেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়, দলের তৃণমূল এবং সিনিয়র নেতৃত্ব তাকে বগুড়া থেকে একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তিনি তৃণমূল পর্যায়ে তার কাজকে আরও এগিয়ে নেওয়া এবং তার মায়ের জন্য নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয় করার লক্ষ্যে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন।

    ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে, তারেক রহমান সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি সক্রিয়ভাবে অর্থনৈতিক বঞ্চনার সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য প্রচারণা চালান এবং গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী জনগণের দুর্দশার কথা প্রকাশ করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পরামর্শমূলক কর্মসূচিতে সফল হন।

    এই বৃহৎ পরিসরের কর্মসূচী, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রকৃতির প্রথম, সরকারের বিরুদ্ধে গণসংহতি গড়ে তোলে, যা ফলস্বরূপ, বিএনপিকে ক্ষমতায় ফেরাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। খোলা পরিষদের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের জন্য তিনি বগুড়ায় গোপন ব্যালট পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেন।

    ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল, ১লা বৈশাখ, খুলনা জেলার দীঘলিয়া ও রূপসা থানায় আয়োজিত স্বাস্থ্যমেলার সফল আয়োজন দিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই সংগঠনের। “একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সচ্ছলতা, দেশে আসবে স্বনির্ভরতা” এই স্লোগানকে মূলমন্ত্র ধরে যাত্রা শুরু করা জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন-এর ভিশনারি প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান বিশ্বাস করেন আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ যদি ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে এই দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি আসবেই। এ লক্ষ্যে তিনি প্রাথমিক অবস্থায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে, শিক্ষাখাতে, কৃষিখাতে বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক প্রকল্প গ্রহণ করেন।

    ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে, দলটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ব্যাপক বিজয় লাভ করে। সরকারের মধ্যে অবস্থান নেওয়ার জন্য দলের তৃণমূলের পাশাপাশি জাতীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রহমানের ওপর ব্যাপক চাপ ছিল। কিন্তু তিনি বারবার রাজি না হয়ে দলের মধ্যে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

    ২০০২ সালের জুনে তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটি কর্তৃক যুগ্ম মহাসচিব নিযুক্ত হন। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর, তিনি দলের কর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় “তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন” এর পাশাপাশি “বিভাগীয় সম্মেলন” এবং “উপজেলা সম্মেলন” নামে একটি কর্মসূচি চালু করেন। সারাদেশে দলের শতাধিক সভায়ও তিনি যোগ দেন, সেই সব সভায় দলের নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।

    ২০০২ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সফরকালে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি পরিদর্শন করেন যা রাজনৈতিক সহনশীলতা পরিচয়। এসময় তিনি বিভিন্ন সমাবেশে উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিক্রিয়া পত্রে স্বাক্ষর করেন। এই প্রতিক্রিয়া পত্রগুলিতে আঞ্চলিকভাবে নির্দিষ্ট সমস্যা এবং সেগুলি কীভাবে সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ১৮,০০০টি চিঠি স্বাক্ষরিত হয়।

    তিনি ২০০৯ সালে বিএনপির ৫ম জাতীয় কাউন্সিলে রহমান রহমানকে দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।

    তারেক রহমান বিভিন্ন কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠায়ও অবদান রাখেন। হাঁস-মুরগি, দুগ্ধ ও মৎস্য খামার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে নানাভাবে স্বাবলম্বী হতে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে যান।

    ৪ জানুয়ারী ২০১৪-এ, ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায়, রহমান বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “সময় এসেছে আমাদের সকলের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধ ও বর্জন করার। ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, দেশের অস্তিত্বের স্বার্থে।”

    ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮-এ রহমানের মা খালেদা জিয়ার মুক্তির পর, তিনি সেন্ট জন’স উডের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ওয়েলিংটন হাসপাতালে বিদেশী চিকিৎসার জন্য লন্ডন, যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সেনাবাহিনী সমর্থিত ১/১১ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর সময় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করে।

    দুর্নীতি দমন কমিশন তারেক রহমান এবং ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ১২ টি মামলা করেছে, যা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তারেক রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ। তবে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ এখনো কমিশনে প্রমাণিত হয়নি। ১৬ অক্টোবর ২০০৯-এ হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে সরকার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশকে ব্যাখ্যা করতে বলে যে কেন খালেদা জিয়া ও রহমানের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি জিয়ার দায়ের করা একটি পিটিশনে বাতিল করা হবে না।

    ২০ নভেম্বর ২০০৯, বিএনপি ছাত্র ফ্রন্ট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি) তার পৈতৃক জেলা বগুড়ায় রহমানের ৪২ তম জন্মদিন পালনে সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বলেন, তার ছেলে বিদেশ থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেবেন। তিনি বগুড়া যাওয়ার পথে কয়েকটি জনসভায় ভাষণ দেন এবং অভিযোগ করেন যে বর্তমান সরকার তার ছেলে যাতে দেশে ফিরতে না পারে সেজন্য তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, “তারেক দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন, কিন্তু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে তাকে ধ্বংস করার জন্য প্রচুর মামলা করা হয়েছিল।” তিনি আরও যোগ করেন, “২০০৭ সালের ৭ মার্চ তাকে তুলে নেওয়া হয়, আমার ঠিক সামনেই একটি গাড়িতে। কিন্তু হেফাজতের পর আমার ছেলেকে স্ট্রেচারে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হয়েছে । চিকিৎসকরা বলেছেন তার সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে” তিনি অভিযোগ করেন যে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার মিথ্যা মামলা করেছে। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে এবং তারা এখন তারেক রহমানকে হুমকি মনে করছে। তিনি আরও বলেন, তিনি যাতে ফিরতে না পারেন সেজন্য নতুন মামলা করা হচ্ছে।

    ২০০৯ ইং সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ৫ তম জাতীয় কাউন্সিলে, রহমানকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তিনি লন্ডন থেকে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে হাজির হয়ে বাংলাদেশের জনগণ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। তিনি স্বীকার করেন, তার চিকিৎসা এখনো চলছে। সুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফিরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    ২৫ জুলাই ২০১৩, তারেক রহমানকে লন্ডনে দলের প্রবাসী সমর্থকদের দ্বারা আয়োজিত একটি ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি তার ধারনা শেয়ার করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার রূপরেখা দেন।

    ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু প্রতিনিধি তারেক রহমানের সাথে দেখা করেন এবং কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তাদের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থানের আশ্বাস দেন। ৭ জুন ২০০৭ তারিখে তারক রহমান এবং ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক একটি মানি লন্ডারিং মামলা দায়ের করেন। ১৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে আদালতের দেওয়া রায়ে, ২০.৪১ কোটি টাকার মামলায় রহমানকে খালাস দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন: “তারেক ও মামুনের অপরাধে সমান ভূমিকা ছিল। তাই আইনগতভাবে পার্থক্য করার সুযোগ নেই।” এটি ছিল সতেরটি মামলার একটিতে প্রথম রায়। এর মধ্যে ১২টি মামলা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

    বিএনপির কর্মকর্তা ও নেতারা দাবি করেছেন যে এই রায় তার নির্দোষতার প্রমাণ এবং তার দুর্নীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই এবং রহমানের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”।

    ৩ নভেম্বর ২০০৮-এ, একটি ফাঁস হওয়া মার্কিন দূতাবাসের বার্তায় বলা হয় যে ঢাকার দূতাবাস বিশ্বাস করে যে তারেক রহমান “মহারাজনৈতিক দুর্নীতির জন্য দোষী যা মার্কিন জাতীয় স্বার্থের উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলেছে”। ১৭ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের একটি মেট্রোপলিটন আদালতের দেওয়া রায়ে, আদালতের বিচারক বলেছিলেন যে খাদিজা ইসলাম, যিনি মামুনকে টাকা দিয়েছিলেন তিনি আদালতকে বলেননি যে তারেক রহমান ঘুষ চেয়েছিলেন বা তাকে দেওয়ার জন্য তাকে চাপ দিয়েছিলেন। কোম্পানীর কাজ তারেক রহমান ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি এবং আদালতে এমন কোনো নথি উপস্থাপন করা হয়নি যা প্রমাণ করে যে তিনি টাকা নিয়েছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান, মামুনের মাধ্যমে খাদিজাকে টাকা দাবি করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন এমন দাবিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। ৯ ডিসেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়।

    বাংলাদেশ পলিসি ফোরাম কেমব্রিজ, একটি অলাভজনক সংস্থা, ২০১৩ সালে দ্য পলিটিক্যাল থট অফ তারেক রহমান শিরোনামে ১৭ টি নিবন্ধের একটি সংকলন প্রকাশ করে। বইটি জুন ২০১৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছিল। আগস্ট ২০১৩ সালে, নিউ ইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আমেরিকান সংস্করণ চালু করা হয়েছিল, তারপরে অস্ট্রেলিয়ান, কানাডিয়ান এবং জার্মান সংস্করণগুলি যথাক্রমে নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় এবং উলম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর ২০১৩ এর মধ্যে চালু হয়েছিল।

    ২০১৮ নির্বাচনের সময় উনি লন্ডন থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন । নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দলকে সু-সংগঠিত করার লক্ষ্যে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি করন, প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে নিজে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে তৃণমুল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি উনার “টেইক ব্যাক বাংলাদেশ” সর্বসাধারনের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে মিডিয়া সেল গঠন করে সকল শ্রেনী-পেষার মানুষকে এক করে বি এন পি এর ভিশন সম্পর্কে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।
    তার নেতৃত্বে বাংলাদেসশ জাতীয়তাবাদী দল এই মুহুর্তে অনেক শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ।
    বলাবাহুল্য, সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি গঠন করেন। প্রথম থেকেই বিএনপির লক্ষ্য ছিল, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রায়ন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের মধ্যে স্বনির্ভরতার উত্থান ঘটানো। এগুলোর ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল তাঁর ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই ১৯ দফার উপরে ভিত্তি করে বিএনপির রাজনীতির মূল নীতি ও আদর্শ প্রসারিত।

    ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অবধি বাংলাদেশ নানাভাবে বিভেদে নিমজ্জিত হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হলেও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা অনৈক্যের রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। ভোট চুরির মচ্ছবের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীতে ব্যর্থ রাষ্টের তকমা পেয়েছে। গণতন্ত্রহীন পরিবেশ ও বাকস্বাধীনতা হরণের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের গণঐক্যের চেতনা গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছে।

    ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা বিতারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি ছিল ভারতের কাছে নতি স্বীকার করার নীতি। এজন্য ভারত ছাড়া পৃথিবীর অন্যকোনো দেশ তাঁকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। ২০২৪ সালে গণ-আন্দোলনের পর যে যুবসমাজের জন্য আমরা গৌরব বোধ করছি, সেই যুবসমাজ নিয়ে নারী-পুরুষ সকল স্তরের মানুষের জীবনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য বাস্তবধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।

    স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ছিল দৃশ্যত অগণতান্ত্রিক উপাদানের পাশাপাশি কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার উপস্থিতি এবং শাসন পরিচালনার জন্যে শক্তি প্রয়োগের ওপরে নির্ভরশীল একটি অকেজো রাষ্ট্র। গত ১৬ বছরে রাষ্ট্রের আনূকূল্যে ও ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে নতুন ধনিক শ্রেণি। গড়ে ওঠা এই শ্রেণির মধ্যে জবাবদিহি ও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার প্রচলনের আকাক্সক্ষার ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত এক নির্ধারক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ফলে, বাংলাদেশ বারবার রাজনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি পড়েছে। ১৯৯১ সালে দেশে নির্বাচিত বেসামরিক শাসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চালুর পরে আশা করা হয়েছিলো যে, এই ধরনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটবে। কিন্তু তার পরিবর্তে আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিশেষত ২০০৯ থেকে ২০২৪ অবধি নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকটগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

    ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর, বিশেষ করে ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর পর, বাংলাদেশে নতুন ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটে। অন্যান্য দেশে বিরাজমান এই ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে এন্ড্রিয়াস স্যাডলার বলেছেন, এই ব্যবস্থায় যা চলে তা বহুদলীয় রাজনীতির খেলা এবং নির্বাচন গণতন্ত্রের নয়, কর্তৃত্ববাদের হাতিয়ারে পরিণত হয়। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে এই ধরনের ব্যবস্থা সহজেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেই তা ভিন্ন হতো কিনা, কিংবা এর কারণ ২০১৫ সালের শুরুতে বিএনপি’র আন্দোলন কিনা সেটা এখন প্রশ্নসাপেক্ষ। কেননা, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরপরই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপিকে আর কোনভাবেই রাজনীতিতে জায়গা দিতে আগ্রহী নয়। ২০১৫ সালে ১ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘দেয়ার ক্যান বি অনলি ওয়ান’ (কেবল এক পক্ষই থাকতে পারবে) শিরোনামের এক নিবন্ধে জাফর সোবহান সু¯পষ্টভাবেই বলেছিলেন যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গেম প্ল্যান খুব ¯পষ্ট। আগামী বছরে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা খুব সোজাসাপ্টা : চেপে ধরে বিএনপির প্রাণবায়ু বের করে ফেলা অব্যাহত রাখা।

    আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সরকারের প্রতি অন্ধ আনুগত্যে পরিণত করেছিল। বিশেষত মিডিয়াকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ, স্বতঃপ্রণোদিত সেন্সরশিপ এবং দলীয় আনুগত্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যাতে করে গণমাধ্যমগুলো সমাজের বৃহদাংশের কাছে আবেদন রাখতে ব্যর্থ। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে আওয়ামী রাজনীতিবিদদের আচরণের কারণে দল নির্বিশেষে রাজনীতিকেই দোষারোপ, তরুণদের মধ্যে রাজনীতির প্রতি অনীহা তৈরি এবং এই ধারণা সৃষ্টি যে, তাঁদের ব্যক্তিগত সাফল্য দেশের সার্বিক রাজনীতি থেকে আলাদা সেটা ইচ্ছে করেই তৈরি করা হয়েছিল। সমাজে যারা আছেন তাঁদেরকে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা তখন প্রতিদিনের বিষয় ছিল। সে কারণে বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং গুমকে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করা হয়েছিল।

    স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সময় এক ধরনের প্রবৃদ্ধিকে উন্নয়ন বলা হলেও তার সুফল সকলে সমানভাবে ভোগ করেছে, তা কিন্তু নয়। তদুপরি এই ধরনের প্রবৃদ্ধি সমাজের শ্রেণিবিন্যাস বদলে দেয় এবং তার প্রভাব পরে রাজনীতিতে। আওয়ামী লীগের সময় বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের গচ্ছিত রাখা অর্থের পরিমাণ, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীদের সেকেন্ড হোমের সংখ্যা এবং ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটির (জিএফআই) তৈরি করা হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ এসবই বাংলাদেশে বিত্তবানদের সংখ্যা এবং সম্পদের প্রমাণ দেয়।

    রাষ্ট্র সংস্কারের যে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তা রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একথাও প্রত্যেক নাগরিককে মনে রাখতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে, এটাই প্রত্যাশা। সময়মত দেশে বিদেশে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে সকলের নিকট হতে প্রশাংসা কুড়াবেন। এ জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টাদের যথেষ্ট সময় দিতে হবে কেউ হাউকাউ, কথায় কথায় বিরোধীতা করলে হবে না। যারা করতে চান তারা ১৮ বছর কি করেছেন, কোথায় ছিলেন? ভারতে বসে ঘোষটি বেগম একের পর এক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বীজবপন করছেন, ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা তথ্য, রংচং করে প্রচার করছেন, যা শক্তহাতে দমন করছেন বর্তমান সরকার। ফলে সফল হতে পারছেনা।

    বিএনপি একটি বড় দল দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দলের ভিতরে থাকা কিছু নেতা পাতিনেতা বিগতদিনে আওয়ামীলীগ নেতার সাথে গোপন আতাত করে সুবিধা নিয়ে দল ভাঙ্গার চেষ্টা করেছেন, বিএনপি নেতাদের নামে মামলা করিয়ে জেলে পাঠাতে সাহায্য করেছেন, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ আওয়ামীলীগ দলীয় পদপদবী গ্রহন করে মাদার অফ ম্যাফিয়া অধীনে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে নিয়ম ভঙ্গ করে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হাজার হাজার ব্যালট পেপারে আগাম নৌকায় সীল মেরে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ওইসব সুবিধাবাদী বিএনপির নেতারা রহস্যজনক কারনে কোন কথা বলছেন না। মামলা করলেও তাদের আসামী করছেন না। পদপদবীধারী আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগের নেতারা নিয়োগবানিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজী, হাটঘাট, করিডোর, কাষ্টম, সাব-রেজিষ্টার অফিস, বালুমহল, জলমহল, খাসপুকুরসহ বিভিন্নভাবে কোটি কোটি কাল টাকার সম্পদ গড়েছেন তাদেরকে আসামী না করে বিএনপির ত্যাগি নেতাকর্মী, সিনিয়ার সাংবাদিক, কলামিষ্টসহ তৃনমূল বিএনপির কর্মী, শ্রমিক, কলেজ শিক্ষকেও আসামী করেছেন ফলে দলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ নজীরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানায় দায়েরকৃত ২টি মামলায়। রাজশাহী জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ বাবলু গত ২৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৪৫ জন নামসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০-৬০০ জনের নামে মামলা করেন। বাদী নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ও ব্যাক্তিগত আক্রোশের জেরে বিএনপির ৬-৭জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছেন, সেখানে বিএনপির নেতা কলেজ শিক্ষক সুমনকে আসামী করা হয়েছে। একই কায়দায় গত ২৮/০৮/২৪ ইং তারিখে গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ দিলীপ গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন যার নম্বর ৩২, ওই মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০/৬০ কে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপি পরিবারের সদস্য, দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলীসহ কয়েকজনকে অসৎ উদ্দেশ্যে জড়ানো হয়েছে। অথচ যারা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের পদধারী নেতাদের মামলায় আসামী করা হয় নি বাদীর বাড়ীর পাশে অবস্থান করে নির্বাচনী অফিস, বাড়ী ভ্যাংচুর, আগুন দিয়েছেন ওই সব নেতাদের আসামী করা হয়নি। যারা লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজী করে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, আওয়ামীলীগের নেতা ও মেয়র, উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, এমপি ফারুর চৌধুরীর ডান হাত বাম বলে খ্যাত, থিম ওমর প্লাজায় বসে কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য, খাস পুকুর বানিজ্য, খাদ্য গুদামসহ বিভিন্ন প্রকল্প করে লুটে নিয়েছেন কোটি কোটি, ওমর প্লাজায় ফ্লাট, দোকান বাড়ী কিনেছেন রহস্যজনক কারনে মামলার আসামী করা হয়নি। মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। এমন কি আওয়ামীলীগ দলীয় পদ নিয়ে প্রত্যেক নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হয়ে রাতের আধারে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হাজার হাজার ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মেরেছিল তাদেরকেও আসামী করা হয়নি। অবিলম্বে মামলা থেকে ওই সাংবাদিক, বিএনপির নেতা কর্মী নাম প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বিএনপির ত্যাগি নেতাকর্মী গোদাগাড়ী উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে মিথ্যা মামলাবাজ ওই দুই নেতার বহিস্কার দাবী করেছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম কেন্দ্রীয়কমিটিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই সব সুবিধা নেতারা কেন্দ্র, বিভাগ, জেলা, উপজেলার সিদ্ধান্ত ছাড়ায় মামলা করেছেন। ব্যক্তিস্বার্থে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এ চিত্র শুধু গোদাগাড়ীতে নয়, দেশের অন্য অন্য স্থানে ঘটছে, বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকজন মারা গেছে, যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অনেকে, কিছু সুবিধাবাদী নেতা বহিষ্কার হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুটপাট,
    চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন মামলা হচ্ছে, অভিযোগও বিস্তর যা পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আনলাইন নিউজ পোটাল, টিভি নিউজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। ওই সব সুবিধাবাদী বিএনপির নেতাদের থামাতে হবে এখনই। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। দলের মধ্যে দ্বন্দ্বসৃষ্টিকারী নেতাদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন না এরা বিএনপি তথা খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ভাল চান না এরা তৃতীয় পক্ষের হয়ে কিংবা শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগের হয়ে বিগত দিনে কাজ করেছেন এবং এখনও কাজ করছেন বলে প্রতিয়মান হচ্ছে।

    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জোর দিয়ে বলেছেন, দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছে। পরাজিত ঘাতকরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাবধান হতে হবে, যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা না যায়। একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে, দিল্লি এদেশের অপরাধীদের আশ্রয় দেয় আর সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ দেশকে লাশের রাজ্যে পরিণত করেছিল। দেশের সম্পদ লুট করে পার্শ্ববর্তী দেশের ফায়দা করেছে শেখ হাসিনা। দিল্লির গ্যারান্টি নিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। এ জন্য গুম, খুন থেকে শুরু করে দেশের মানুষকে ক্রীতদাস করে রেখেছিলেন তিনি। প্রশাসনে এখনো দুর্নীতিবাজেরা রয়ে গেছে। তাদের হাতে প্রচুর টাকা। তারা যে কোনো সময় স্যাবোটাজ করতে পারে। মুক্তচিন্তার মানুষদেরকে হয়রানিমুক্ত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দিতে হবে। যত কালো আইন আছে, তা এখনো বাতিল হলো না কেন।
    আগামীতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হলে, বিভেদ ভুলে সবাইকে এক সাথে কাজ করতেই হবে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের চীনের সীসা ঢালা প্রাচীরের মত শক্তিশালী ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

    লেখক: মো. হায়দার আলী
    গোদাগাড়ী উপজেলা শাখা,
    রাজশাহী।