Category: জাতীয়

  • চলতি মাসের মধ্যে সংস্কার কমিটির রিপোর্ট জমা- উপদেষ্টা আদিলুর

    চলতি মাসের মধ্যে সংস্কার কমিটির রিপোর্ট জমা- উপদেষ্টা আদিলুর

    লিটন মাহমুদ,
    মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    চলতি মাসের মধ্যে সংস্কার কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শ অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগির সুনির্দিষ্ট নির্বাচনি টাইম ফ্রেম দেবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ গণপূর্ত ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

    সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে মুন্সিগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান। এদিন প্রায় ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মুন্সিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাথে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের জুলাই স্মৃতি সংযোগ করিডোর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে শহীদ পরিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন উপদেষ্টা।
    উপদেষ্টা আদিলুর রহমান জানান, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য টাইম ফ্রেম ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যে সংস্কার কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। তিনি জানান, সংস্কার কমিটিগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পরে যত দ্রুত সম্ভব দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

    এর আগে তিনি জুলাই স্মৃতি সংযোগ করিডোর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। পরে স্থানীয় আইনজীবীদের সাথে নিয়ে শহীদদের স্মরণে আদালত প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন।

    এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার শামসুল আল সরকার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তার, অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট তোতা মিয়া ও শহর বিএনপি সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম স্বপন, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হালিম হোসেনসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

    প্রসঙ্গত, আদালত ভবনের জুলাই স্মৃতি সংযোগ করিডোরটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুন্সিগঞ্জের শহীদ রিয়াজুল ফরাজী, শহীদ ফরিদ শেখ, মো. সজল মোল্লা, মানিক মিয়া শারিক চৌধুরী ও শহীদ ডিপজল সরদারের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ইতিহাস বহন করবে।

  • শ্রমিক নেতা থেকে গুন্ডা বাহিনীর প্রধান হয়েছে শাজাহান খান – আব্দুল মোনায়েম মুন্না

    শ্রমিক নেতা থেকে গুন্ডা বাহিনীর প্রধান হয়েছে শাজাহান খান – আব্দুল মোনায়েম মুন্না

    মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ

    শাজাহান খান জাসদের গণবাহিনীর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ছিল এরপর শ্রমিক নেতা, শ্রমিক নেতা থেকে গুন্ডাবাহিনীর প্রধান হয়েছেন আজকে তার পাপের ফল তার সন্তানসহ তিনি নিজে ভোগ করছেন বলে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। শুক্রবার সন্ধায় মাদারীপুর জেলা যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এর আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে
    সারাদেশে জেলা ভিত্তিক সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মানে দিকনির্দেশনা মূলক যৌথ কর্মীসভায় তিনি এ কথা বলেন।

    এ সময় আব্দুল মোনায়েম মুন্না আরো বলেন,আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ তাদের পাপের কারনে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে, রাষ্ট্রের পট পরিবর্তনের পরে আমাদের দল বিএনপি যখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয় তখন কিন্তু আমাদের দেশ থেকে পালাতে হয়নি। আমরা তো দেশে ছিলাম নিজের এলাকায় ছিলাম।আমাদের উপর হামলা হয়েছে আমাদের নামে মামলা হয়েছে তারপরও আমরা রাজনীতির মাঠ থেকে পালিয়ে যাইনি। আমরা পরবর্তী সময়ে ঠিকই আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।

    এ সময় মাদারীপুর জেলা যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সভাপতির যৌথ সভাপতিত্বে ও তিন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সঞ্চালনায়
    সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না,যুবদলের কেন্দ্রীয় নিবার্হী কমিটির সদ্য সাবেক সহসাংগঠিক সম্পাদক দেওয়ান অলিউদ্দীন সুমন,কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান,কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক মামুন হাশেমী দিপু,কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির,কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল সরকার,জেলা যুবদলের আহবায়ক ফারুক বেপারী,সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকু,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহাদাত হাওলাদার,সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মাসুদ পারভেজ,জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান জাকির,সদস্য সচিব কামরুল আহসানসহ যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

    আরিফুর রহমান
    মাদারীপুর প্রতিনিধি ।।

  • নড়াইলের কৃতি সন্তান ডা: মোস্তফা আজিজ সুমন জিয়া ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর নির্বাচিত

    নড়াইলের কৃতি সন্তান ডা: মোস্তফা আজিজ সুমন জিয়া ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর নির্বাচিত

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি:
    নড়াইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের চেয়ারম্যান শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহযোদ্ধা এম এম মকবুল হোসেনের সুযোগ্য পুত্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (বিভাগীয় প্রধান) ও অঙ্কোলজি বিভাগ (ক্যানসার বিশেষজ্ঞ) ডা: মোস্তফা আজিজ সুমন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) নির্বাচিত হয়েছেন।

    ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধু ডা: জুবাইদা রহমান। ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে জিয়া পরিবারের আর এক সদস্য তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিষ্টার জাইমা রহমানও ডিরেক্টর নির্বাচিত হয়েছেন। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি জানান, সম্প্রতি নতুন এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়াইলের বিএনপি, যুবদল, শ্রমিকদল, সেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা কমিটির সকল সদস্যকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং নিজ নিজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশেষ করে নড়াইলের সাবেক এমপি এম এম মকবুল হোসেনের ছেলে ডা: মোস্তফা আজিজ সুমনকে কমিটিতে ডিরেক্টর নির্বাচিত করায় আনন্দের জোয়ার বইছে নড়াইলের বিএনপিসহ অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে।
    নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মরিচপাশা গ্রামের মোল্লা বংশের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের কৃতি সন্তান কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা: মোস্তফা আজিজ সুমন যশোর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি, নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস পাশ করেন। পরে ২৪তম বিসিএস থেকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। ডা: মোস্তফা আজিজ সুমন ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ হিসাবে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।

    নড়াইল জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সনি বলেন, এম এম মকবুল হোসেন ছিলেন নড়াইল জেলা বিএনপির বট বৃক্ষের মত। তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নড়াইলে বিএনপি শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত হয়েছে। মকবুল হোসেনের কথা নড়াইলের মানুষ আজীবন মনে রাখবে। ডা: মোস্তফা আজিজ সুমন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) নির্বাচিত হওয়ায় নড়াইল জেলা ছাত্রদল আনন্দিত এবং গর্বিত।

    নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার ফশিয়ার রহমান বলেন, নড়াইলে বিএনপির অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা ছিলেন আমাদের অভিভাবক সমতূল্য এম এম মকবুল হোসেন। তার সুযোগ্য পুত্র ডা: মোস্তফা আজিজ সুমন একজন সৎ, বিনয়ী ও মানবিক মানুষ। নড়াইলের এই কৃতি সন্তান জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) নির্বাচিত হওয়ায় আমরা সেচ্ছাসেবকদল তথা নড়াইলবাসী গর্বিত ও আনন্দিত। গুরুত্বপূর্ন এই পদে নড়াইলের সন্তানকে দায়িত্ব দেওয়ায় দেশ নায়ক তারেক রহমানকে নড়াইল জেলা সেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সায়দাত কবির রুবেল বলেন, নড়াইলে বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য এম এম মকবুল হোসেনের যোগ্য উত্তরসূরী ডা: মোস্তফা আজিজ সুমনকে এই গুরু দায়িত্ব দেওয়ায় নড়াইল জেলা যুবদল অত্যন্ত আনন্দিত। উক্ত কমিটিতে দায়িত্ব পাওয়ায় দেশ নায়ক তারেক রহমানসহ সকল সদস্যকে আভিনন্দন জানাচ্ছি।

  • অপশক্তি যদি ছোবল মারে, তাহলে গণতন্ত্রের ভিত নষ্ট হয়ে যেতে পারে- এ্যানি

    অপশক্তি যদি ছোবল মারে, তাহলে গণতন্ত্রের ভিত নষ্ট হয়ে যেতে পারে- এ্যানি

    নাজিম উদ্দিন রানা:বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, জনগণের চেতনা এবং অনুভূতিকে ধারণ করতে হবে। জনগণ মনে করছে এখনই দেশে নির্বাচন প্রয়োজন। খুব অল্প ও যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র আমাদের ওপর আবার আঘাত করতে পারে। এটি দেশের মানুষের জন্য কঠিন বিপদ হতে পারে। অপশক্তি যদি ছোবল মারে, তাহলে গণতন্ত্রের ভিত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নির্বাচন কমিশন সংস্কারে নভেম্বর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এ তিন মাসের বেশি লাগার কথা নয়। সংস্কার শেষে অবিলম্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।

    তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের প্রত্যাশা ও গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হবে। আমরা যদি এ মুহূর্তে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা না করতে পারি, তাহলে পাশের দেশে বসে এখনো হাসিনা-ফ্যাসিস্টরা যে চক্রান্ত যে ষড়যন্ত্র করছে, সে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

    শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধনকালে এ্যানি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপি এ র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালিটি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পুরাতন গোহাটার বাসভবন থেকে শুরু হয়ে চকবাজার-উত্তর তেমুহনী হয়ে ঝুমুর এলাকায় গিয়ে মিলিত হয়।

    এ্যানি আরও বলেন, ১৭ বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। দেশকে গড়ার জন্য যদি আরও ২-৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়, দেশের ভিতকে শক্তিশালী করার জন্য, গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করার জন্য, সেই ত্যাগ স্বীকার করতেও আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।সন্ত্রাস আমাদের চাওয়া পাওয়া নয়। লুটপাট আমাদের চাওয়া পাওয়া হতে পারে না।কারণ আমরা জনগণের প্রত্যাশাকে, জনগণের চেতনাকে ধারণ করি।তারেক রহমান এ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চান,ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে গড়তে চান। সেজন্য আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আছি এবং থাকব।

    তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এ দেশে যদি সেই ক্রান্তিলগ্নে তিনি নিউক্লিয়াসের ভূমিকা পালন না করতেন, তিনি যদি ঐক্য সৃষ্টি করতে না পারতেন, ওই দুঃশাসন, ওই ক্রান্তিলগ্ন থেকে এদেশ সেসময় রক্ষা হতো না। তার দেখানো পথেই জাতি দুঃশাসন ও ক্রান্তিলগ্ন থেকে মুক্তি পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়া এ দেশ পরিচালনা করেছেন। দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

  • আজ ৪ নভেম্বর সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪৩ তম জন্মদিন

    আজ ৪ নভেম্বর সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪৩ তম জন্মদিন

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।
    আজ ৪ নভেম্বর সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪৩ তম জন্ম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে সাহিত্যিক ইমদাদুল হকের জন্মস্থান পাইকগাছায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে সোমবার সকালে উপজেলার নতুন বাজার চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সাহিত্যিকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভাও পুরুষ্কার বিতরন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
    বিশ শতকের সূচনালগ্নে যন্ত্রণাজর্জর এই যুগ-প্রতিবেশে বাংলা সাহিত্য-ক্ষেত্রে মুক্তচিত্ত-দ্রোহী এক আধুনিক শিল্পী রুপে আবির্ভূত হন কাজী ইমদাদুল হক। তিনি ছিলেন সংস্কারমুক্ত, উদার মানবতাবাদী, মননশীল এবং যুক্তিবাদী শিল্পদৃষ্টিসম্পন্ন ঔপন্যাসিক। কুসংস্কারাচ্ছন্ন প্রথালালিত সামন্ত-মূল্যবোধে স্নিগ্ধ মুসলিম সমাজ-অঙ্গনে বাসন্তি হাওয়ার প্রত্যাশায় ইমদাদুল হক সাহিত্যক্ষেত্রে দ্রোহীসত্তা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তবু তিনি বিদ্রোহী নন, সমাজ ভাঙার ডাক নেই তার কর্মে-বরং মুসলিম সমাজের বিবিধ খণ্ডচিত্র আর গ্লানির অঙ্গন উপস্থাপন করেই তিনি তৃপ্ত থেকেছেন। মুসলমান সমাজের ক্ষয়িষ্ণু আর্দশ ও রীতিনীতির বিপরীতে স্বাধীনচেতা ও প্রগতিশীল শিক্ষিত মনের নব্যসমাজ প্রতিষ্ঠার বাসনাই তাঁর উপন্যাসে ঔপন্যাসিক প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যক্ত করার প্রয়াস পেয়েছেন।চুয়াল্লিশ বছরের কর্মচঞ্চল জীবনে ইমদাদুল হকের প্রধান কীর্তি আবদুল্লাহ্ (১৯৩৩) উপন্যাস। একটিমাত্র উপন্যাস লিখে ইমদাদুল হক বাংলা সাহিত্যে রেখে গেছেন তার স্বতন্ত্র প্রতিভার স্বাক্ষর।
    কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক আসামের জরিপ বিভাগে চাকরি করতে করতেন এবং পরবর্তীতে খুলনার ফৌজদারি আদালতের মোক্তার নিযুক্ত হন।
    ১৯০৪ সালে খুলনা শহরে মৌলভী আব্দুল মকসুদ সাহেবের জ্যেষ্ঠ কন্যা সামসন্নেসা খাতুনকে বিয়ে করেন। কাজী ইমদাদুল হকের চার পুত্র ও ২ কন্যা- কাজী আনারুল হক, কাজী সামছুল হক, কাজী আলাউল হক, কাজী নুরুল হক এবং কন্যা জেবুন্নেছা ও লতিফুন্নেছা।
    ১৯০০ সালে কাজী ইমদাদুল হক কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ সম্পন্ন করেন। ১৯১৪ সালে তিনি বিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯০৪ সালে কাজী ইমদাদুল হক কলকাতা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এর দুই বছর পর ১৯০৬ সালে আসামের শিলং বিভাগে শিক্ষাবিভাগের উচ্চমান সহকারী হিসেবে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে তিনি ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক হন। ১৯১১ সালে তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোলের অধ্যাপক হন। এরপর ১৯১৪ সালে ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষা সহকারী স্কুল পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন। ১৯১৭ সালে তাকে কলকাতা ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯২১ সালে তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের সুপারিন্টেনডেন্ট হন। আমৃত্যু তিনি এই পদে বহাল ছিলেন।
    শিক্ষা বিভাগে বিভিন্ন কাজে অসামান্য দক্ষতা, গভীর দায়িত্ববোধ ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন ও ১৯২৬ সালে তাকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে। খ্যাতিমান সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৯২৬ সালের ২০ মার্চ কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা (খুলনা)।

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমাদের জন্য দেশ গড়ার এক নতুন সুযোগ তৈরি করেছে-আইজিপি 

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমাদের জন্য দেশ গড়ার এক নতুন সুযোগ তৈরি করেছে-আইজিপি 

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;

    প্রথমবারের মত নিজ জেলা পঞ্চগড়ে অদ্য ২৫-১০-২০২৪খ্রিঃ রোজ শুক্রবার দুপুর ১২.০০ ঘটিকায় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ মোঃ ময়নুল ইসলাম, এনডিসি পঞ্চগড় সার্কিট হাউজ এ পৌছালে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পঞ্চগড় জেলার সুযোগ্য পুলিশ  সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী।

     ফুলেল শুভেচ্ছা শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল মহোদয়কে Gard of Honour প্রদান করেন। Gard of Honour শেষে উপস্থিত অফিসারদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন।

    বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় মাননীয় আইজিপি মহোদয় প্রধান অতিথি হিসেবে পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে পঞ্চগড় জেলা পুলিশের অফিসার ও ফোর্সদের সমন্বয়ে বিশেষ কল্যাণ সভায় যোগদান করেন। 

    বিশেষ কল্যাণ সভায় মাননীয় আইজিপি জেলা পুলিশের অফিসার ও ফোর্সদের বিভিন্ন সমস্যার কথা ধৈর্যের সাথে শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।

    বিশেষ কল্যাণ সভায় আইজিপি তাঁর বক্তব্যে পুলিশি কার্যক্রম আরও বেগবান করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।

    আইজিপি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমাদের জন্য দেশ গড়ার এক নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি; নতুন সমাজ বিনির্মাণের সুযোগ পেয়েছি। তিনি বলেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশ পুলিশকেও গড়ে তুলতে চাই। আমরা নিজেরা অন্যায় করবো না; অন্যকেও অন্যায় করার সুযোগ দিবো না।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি টিম। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তুলতে হবে।

     

    পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রধান বলেন, জনগণের সাথে পেশাদার আচরণ করতে হবে। তাদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

    আইজিপি ফোর্সের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, কল্যাণের পাশাপাশি ফোর্সের শৃঙ্খলা কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে।

    আইজিপি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। আইজিপি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। 

    কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মাননীয় আইজিপি মহোদয় সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।

    কল্যাণ সভা শেষে মাননীয় আইজিপি বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় পঞ্চগড় সদর সার্কেল অফিস কাম বাসভবন এর শুভ উদ্বোধন করেন। সার্কেল অফিসের উদ্বোধন শেষে সার্কেল অফিস চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, রংপুর আমিনুল ইসলাম, কমিশনার, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, জনাব মোঃ মজিদ আলী, পুলিশ সুপার, পঞ্চগড় মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, পুলিশ সুপার, ঠাকুরগাঁও শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসাশন ও অর্থ), পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত এস.এম. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিরুল্লা, সহকারী পুলিশ সুপার (দেবীগঞ্জ সার্কেল) মোছাঃ রুনা লায়লা, সকল থানার অফিসার ইনচার্জসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ।

  • আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

    আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করিয়া বিগত ১৫ বৎসরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎসম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সকল প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইয়াছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হইয়াছে।

    এতে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করিয়া শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করিয়াছে, আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করিয়াছে এবং যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রহিয়াছে যে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিনিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে; সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল।

    এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল সংগঠনটির দেয়া ৫ দফার একটি ছিল ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দাবি ঘোষণার একদিনের মাথায় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলো।

  • রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমীতে অনিবার্য কারনে এএসপিদের কুচকাওয়াজ স্থগিত

    রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমীতে অনিবার্য কারনে এএসপিদের কুচকাওয়াজ স্থগিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর সারদায় ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষ মুহূর্তে এসে স্থগিত করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই রাজশাহীতে পৌঁছান অর্ন্তবতীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তবে শেষ পর্যন্ত কুচকাওয়াজ হয়নি। এ বিষয়ে কোনো কথাও বলেননি উপদেষ্টা।

    রোববার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন উপদেষ্টা। ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি বাজারদর ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। এএসপিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিতের বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে বলেন, ‘ওটা ক্লিয়ার করা হইছে। অনিবার্য কারনে স্থগিত করা হয়েছে। ভাল থাকেন। এই বলেই ব্রিফিং শেষ করে চলে যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলামসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
    বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এএসপিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণসহ কয়েকটি সফরসূচি নিয়ে রাজশাহী এসেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। গতকাল শনিবার রাতেই তিনি পুলিশ একাডেমি পৌঁছান এবং সেখানে রাত্রিযাপন করেন। হঠাৎ রাতেই রোববার সকালের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করার কথা জানানো হয়। ‘অনিবার্য কারণবশত’ কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। অনিবার্য কারণ কী তা স্পষ্ট করা হয়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নও এড়িয়ে গেলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

    সাধারণত বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তারা সারদায় পুলিশ একাডেমিতে এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়। এরপর তাঁরা মাঠপর্যায়ে কাজের সুযোগ পান।
    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৪০ তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ব্যাচে অন্তত ৬২ জন ছাত্রলীগ নেতা নিয়োগ পান বলে অভিযোগ উঠেছে।
    তাঁদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অতিথি হতে পুলিশ একাডেমির পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। গতকাল শনিবার রাতে সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।

    আমন্ত্রণপত্রের ছবিতে লাল ক্রস এঁকে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘দাওয়াতটা স্বজ্ঞানে প্রত্যাখ্যান করছি! কারণ, এক. এই ৬২ জন এএসপি হাসিনার আমলে নির্বাচিত হইছে। আর কত চুলচেরা বিশ্রেষণ করে বিসিএস (পুলিশ)এ নিয়োগ হতো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্যক্তি আমার জায়গা থেকে তাই উক্ত প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার পক্ষপাতী নই। তাদের ব্যাপারে তদন্ত হয়েছে কি না!’
    তিনি লেখেন, ‘কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগের দোসরদের এএসপি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাইদের মৃত্যুর মিছিল এখনো চলছেই। এমতাবস্থায় এই দোসরদের নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া মানে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা। তাই আমি উক্ত অনুষ্ঠানের একজন আমন্ত্রিত অতিথি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে এই অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করলাম।

    আমন্ত্রণপত্র বিতরণের পরও রাতেই কুচকাওয়াজ স্থগিতের বিষয়টি জানতে পেরে ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি লেখেন, ‘প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করেছে পুলিশ একাডেমি সারদা। গত কিছুদিন ধরে চলা অনুষ্ঠান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গতকাল থেকেই রাজশাহীতে থাকার পরও মাত্র জানালো ক্যান্সেল করা হয়েছে। কিছু বুঝলেন? আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের আমরা কখনো গ্রহণ করবো না। তদন্ত হোক পরে যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ পাক।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • যারা নিরীহ ব্যক্তির নামে  কেস করবে তাদের বিরুদ্ধে  অ্যাকশন নেওয়া হবে- রাজশাহীতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    যারা নিরীহ ব্যক্তির নামে কেস করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে- রাজশাহীতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের এখন পর্যন্ত ১৮৭ জন যোগদান করেনি। তারা আর পুলিশ বাহিনীর সদস্য না। আমি ধরে নিচ্ছি তারা সন্ত্রাসী। তাদের দেখা গেলে সাথে সাথে অ্যারেস্ট করা হবে।

    ক্রিমিনালের ক্ষেত্রে যে ধরনের আইন, তাদের ক্ষেত্রেও একই আইন প্রয়োগ করা হবে। ৫ আগস্টের পর পুলিশে যে একটা অবস্থা ছিল। ওই অবস্থান থেকে অনেকটাই উত্তোরণ হয়েছে। ইমপ্রুভ তো করছি। আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে বিজিবির দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। এটা আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হবে। কিন্তু আমাদের আরও হয় তো সময় দিতে হবে। সক্ষমতার কোনো ব্যাপার নেই। আগে আমাদের পুলিশ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম দিত। অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জন দিত। আপনারা বলছেন পুলিশ বাণিজ্য করার জন্য দিয়েছে। এখন কিন্তু এই নামগুলো পাবলিকে দিচ্ছে। ১০-১৫ জনের যদি নাম দেয় আর কতগুলো দিয়ে দেয় অজ্ঞাত।

    জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগ কিন্তু গত ১৫ বছর যাবত হচ্ছে। এটার ক্ষেত্রে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। কিছু সংখ্যক মেরিটে গেছে। এর বাইরে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সমন্বিত ডিসিশন আসতে হবে।

    তিনি বলেন, আমরা রিসেন্টলি একটা ইনস্ট্রাকশন দিয়েছি- এই রকম যারা কেস করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নেওয়া হবে। এগুলো না হলে তারা কিন্তু কিছু কিছু নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করছে। অনেক নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করছে। আপানারা এটাও জানেন তারা (মামলাকারীরা) থ্রেট করে এই তুমি যদি টাকা না দাও তোমার নাম দিয়ে দেব। এটা কিন্তু হচ্ছে আপনারা (সাংবাদিক) রিপোর্ট করেছেন। এজন্যে কিছু কিছু সমস্যা হচ্ছে।

    কৃষির সারের ক্ষেত্রে বিরাট ধরনের দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমরা দুই-একজনকে অলরেডি কাস্টডিতে নিয়ে নিয়েছি। ভারতের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে। আমরা এই চুক্তিটা অবশ্যই ফলো করব।

    এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস শাখা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহরাব হোসেন ভূঁইয়াসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • নড়াইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে করা মানহানি মামলা খারিজ

    নড়াইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে করা মানহানি মামলা খারিজ

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে করা মানহানি মামলা খারিজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আশিক বিল্লাহ নামে ব্যক্তির দায়ের করা মানহানির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান এ আদেশ দেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আইনজীবী ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
    মামলায় বাদী দাবি করেছিলেন, ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকায় বিএনপির এক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেন। পরে তা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। ঘটনার দুই দিন পর অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে সেই সংবাদ পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হন মামলার বাদী আশিক বিল্লাহ ও সাক্ষীরা। এতে তাদের এক কোটি টাকার মানহানি হয়।
    পরে এ ঘটনায় আশিক বিল্লাহ বাদী হয়ে একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর নড়াইল সদর আমলি আদালতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামে মানহানি মামলার আবেদন করেন। আদালত এটি আমলে নিয়ে নড়াইল সদর থানা-পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশ ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে গয়েশ্বরকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে দীর্ঘদিন ধরে মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আজ মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত।
    মামলার আইনজীবী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে নড়াইলে খালেদা জিয়ার নামে দুইটি এবং তারেক জিয়ার নামে করা একটি মামলা খারিজ হয়েছিল।