Category: জাতীয়

  • সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

    সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

    ঢাকা, ৭ জুন ২০২৫ (শনিবার): পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আজ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সামরিক রোগীদের এবং জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগীদের খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি তাদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    পরবর্তীতে সেনাপ্রধান মোতায়েনরত সেনাসদস্যদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ঢাকাস্থ বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে দায়িত্ব পালনরত সেনাসদস্যদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময় করেন। সেনাসদস্যগণ সেনাপ্রধানকে পাশে পেয়ে অনুপ্রাণিত এবং অত্যন্ত আনন্দিত হন। তিনি তাদের সাথে প্রীতিভোজেও অংশগ্রহণ করেন।

    অপরাহ্নে সেনা ভবনে আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, তাদের পরিবারবর্গ, দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কূটনীতিকগণ সেনাপ্রধানের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

  • ইরানি দম্পতির ছিন-তাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করল সেনা

    ইরানি দম্পতির ছিন-তাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করল সেনা

    খলিলুর রহমান খলিল নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
    বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত বিদেশি পর্যটকদের দেখা পেলে একটু বেশি আনন্দিত হয়, ছবি বা সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । তবে রংপুরের তারাগঞ্জে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এই চিরচেনা ভাবমূর্তিকে এক লজ্জাজনক প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে । নিজের অজান্তে ভুল পথে চলতে গিয়ে এক ইরানি দম্পতি স্থানীয় কয়েকজন অসাধু ব্যক্তির হাতে নিগৃহীত হন—যেখানে অতিথি আপ্যায়নের বদলে তাঁরা হন ছিনতাই ও মারধরের শিকার।

    ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনিরামপুর রামপুরা গ্রামে। ইরানি নাগরিক হোসেইন সেলিম রেজা (৬৪) ও তাঁর স্ত্রী ইয়াজদানজো ইয়াসমিন (৫৭) ভাড়াকৃত একটি সাদা প্রাইভেটকার চালিয়ে গুগল ম্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্রমণ করছিলেন। পথভ্রান্ত হয়ে তাঁরা ওই প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চান।

    ভাষাগত দুর্বোধ্যতার সুযোগ নিয়ে গ্রামের কিছু লোভী ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই দম্পতিকে মারধর করে তাঁদের কাছে থাকা ডলার, মোবাইল, হাতঘড়ি ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয় তারা।

    তবে সময়মতো বিষয়টি পৌঁছে যায় তারাগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে। ক্যাম্প কমান্ডার মেজর সানিয়াত চৌধুরী সৃজনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ইরানি দম্পতিকে উদ্ধার করে।

    পরবর্তীতে সেনা সদস্যদের সহায়তায় অভিযুক্ত চারজন—রশিদুল ইসলাম (৪২), মেরাজুল ইসলাম (৩৮), মনোয়ারা বেগম (৩৫), রাবেয়া বেগম (৪৫)—কে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ডলার, মোবাইল, হাতঘড়ি ও পাসপোর্টও উদ্ধার করা হয়েছে।

    তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

  • সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার

    সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারি এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের নামে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে একটি মহল। এই মহল ও চক্রটির সাথে জড়িতরা দেশ ও জাতির শক্র, তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষের মোবাইলের অডিও, ভিডিও সহ ছবি ব্যবহার করে গুরুতর অপরাধ অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে।

    অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে একটি মহল দেশ ও জাতির মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে কোনো নেতা বা মেম্বার চেয়ারম্যান, এমপি মন্ত্রীর সাথে ছবি দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যেমনঃ “সৈরাচার বিরোধী স্বাধীন মানুষ” একটি আইডি তৈরি করে আঙ্গুল দিয়ে লিখছেন যে, সাংবাদিক লিখতে পারেননি সাম্বাদিক লিখে পুরো গণমাধ্যম কর্মী সাংবাদিক জাতির বিবেককে অপমান করছে। যে, ব্যক্তি ফেসবুক আইডির নাম “সৈরাচার বিরোধী স্বাধীন মানুষ” লিখেছেন খুব ভালো কথা কিন্তু মানুষ কি তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা পাচ্ছেন ? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছে, জামায়াতে ইসলাম আওয়ামী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করছে। ১৯৭১ইং থেকে ২০২৫ইং পর্যন্ত প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখেছে জাতি। চলমান রাজনীতির প্রতিহিংসায় সাধারণ মানুষ হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন, এমনকি পুলিশ ও সাংবাদিক সরকারের বার্তা ও নির্দেশ মেনে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই হামলা মামলার শিকার হয়েছেন, অনেকেই হত্যার শিকার হয়েছেন কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবার কোনো বিচার পাবেনতো? কোনো লাভ হবে না। পুলিশ অফিসার ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ মানবাধিকার কর্মীদের অভিমত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেফতার করলেই তখন সেই পুলিশ সদস্যকে খারাপ বলা হয় আর সাংবাদিক কারো পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচার প্রচারণায় সংবাদ প্রকাশ করলেই সেই সাংবাদিক ভালো না, দালাল বা দোসর হয়, দেশে রাজনীতি করার অধিকার সবার কারণ বাধলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে যে দল যখন সুযোগ পায় তখনই সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন এটা কেমন রাজনীতি? দুর্নীতিবাজদের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা, রাজনৈতিক সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে, সেই সাথে অনেক সাংবাদিকের উপর হামলা মামলা করছে একটি মহল, এমনকি গুজব ও অপপ্রচার চালায় সুবিধাবাদীরা। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি শব্দ অনেক সুন্দর তার মান মর্যাদা অনেক বেশি তাই রাজনীতি যেন হয় সেবামূলক, সেই সাথে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা হলে তা মেনে নিবে না জাতি। তিনি আরো বলেন, “সাংবাদিকদের অসম্মান করার অধিকার কারো নেই” যারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন বিভিন্ন মিডিয়ায় তাদের কোনো ভয় নাই। কোনো প্রকৃত সাংবাদিক কারো বিরুদ্ধে বদনাম বা অপপ্রচার করে না, সাংবাদিক কোনো দলের দোসর হয় না, প্রকৃত সাংবাদিকরা কোনো হামলা মামলার ভয় করেন না।

     বিশেষ করে যারা মানুষের ভালো কিছু করা দেখতে পারে না, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে, মানুষের বদনাম করার জন্য হুজব ছড়ায় তাদেরকে শনাক্ত করে আটক করার পর আইনের আওতায় আনার দাবী জানান সচেতন মহল। কলম সৈনিকরা কখনো কারো মিথ্যা সংবাদ লিখে প্রকাশ করেন না। যারা কলম হাতে নিয়ে মিথ্যা কোনকিছু লিখে তা অপপ্রচার করে তারা দেশ ও জাতির শক্র, আল্লাহ তাদের কঠিন শাস্তি দিবেন। অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক বলে অভিমত প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা। পুলিশ বা সাংবাদিকরা বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬৪ দিন ভালো কাজ করে আর ১দিন যদি একটা ছোট ভুল করেন তখন তাদেরকে গালি দিয়ে বলা হয় সাংবাদিকরা খারাপ। অনেকেই নিজেদের বড় মনে করেন, নিজেদের স্বার্থের জন্য শক্রতা সৃষ্টি করেন আর একজন অন্যজনের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন এটা ঠিক নয়, এটা প্রতিহিংসা। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মধ্যে আনন্দ আছে। আমাদের লেখার মধ্যে বা দায়িত্ব পালনে ভুল হতে পারে এরজন্য হামলা, মামলার শিকার হতে হবে কেন? যারা কাজ করেন তাদের কাজে ভুল হয়, শয়তানের কিন্তু ভুল হয় না।

    দেশের বেশিরভাগ সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়া দরকার। বিশেষ করে “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক দেশ ও জাতির বিবেক, ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন,বিশেষ সম্মান অর্জন করার জন্য কিন্তু সম্মান অর্জন না হয়ে আরও বদনাম হয় কেন?। শুধুমাত্র মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ বেদনা, দুর্ঘটনাসহ সকল বিষয়ে জাতির কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিকরা কাজ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে, এখন একটি মহল সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের ছবি ব্যবহার করে গুজব ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, এসব অপপ্রচার যারা করছে তারা কোনো দলের নয়, এটা তাদের স্বার্থের জন্য প্রতিহিংসামূলক ষড়যন্ত্র। অনেকসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বর্তমান সরকারের সংশিষ্টদের নামে এবং সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে, যারা এসব করছে তাদেরকে শনাক্ত করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই। সেই সাথে ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যারা গুলি করেছে, তারা নব্য বিএনপি সেজেছে এবং ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখের ঘটনার সময় আহত নিহত বা শহীদদের আত্মীয় সেজে ভুয়া বাদী হয়ে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে মোটা অংকের বাণিজ্য করছে। এই ভুয়া বাদীসহ জড়িত অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে, পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এখনো অনেক মামলার ভুয়া বাদী ও দেশ ও জাতিকে নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে, জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

    সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেও কারো মন জয় করতে পারেন না। ছোট একটি ভুল করলে সাংবাদিককে খারাপ বলা হয় এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলা করা হয়, এমনকি হত্যার শিকার হতে হয় সাংবাদিককে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে বলা হয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করবেন কিন্তু তার উল্টো দেখা যায়, পুলিশ সাংবাদিক কি কখনো বন্ধু হতে পেরেছেন? কেউ কি খবর নিয়েছেন যে, সাংবাদিকরা কেমন আছেন? কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না?। সাংবাদিকরাই আজকাল মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জনগণের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা, এর বিনিময়ে কি পাচ্ছেন? নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক সাংবাদিক, হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন অনেকেই, যার কোনো হিসাব নেই। পুলিশের অস্ত্র ও পোষাক দেখে অপরাধীরা ভয় পেয়ে থাকে কিন্তু সাংবাদিকের উপর হামলা করতে কেউ ভয় করে না।  

    বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৮কোটি জনগণ, সেই তুলনায় আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যারা মানুষের কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবি এই ৩টি শব্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলো “কলম সৈনিক অর্থাৎ সাংবাদিক”। বিশেষ করে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি’র বেশিরভাগ শব্দ আছে যা সাংবাদিকদের জন্য জানা অতি জরুরি-যেমনঃ সংবাদের উৎসহের মত সংবাদের উপাদান কি? মানুষ এবং প্রকৃতি, মানুষের আশা-আকাঙ্খা, আনন্দ, বেদনা, সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনাই সংবাদের মূল প্রতিপাদ্য। এর সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ই সংবাদের উপাদান। যেমনঃ কুকুর যদি মানুষকে কামড়ায় তা কোনো সংবাদ নয়, আর মানুষ যদি কুকুরের মতো কিছু করে বা অপ্রত্যাশিত আর কিছু অপকর্ম করলে তা সংবাদ হয়। নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটনা, অন্যায় অবিচার, যা মানুষের অধিকারকে হরণ করে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানবাধিকার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সাংবাদিকদের তথ্য জানার অধিকার আছে, তবে কারো সাথে বিবাদ বা শক্রতা করে সাংবাদিকতায় সাফল্য আসতে পারে না। তবে কেউ গায়ে পড়ে লাগলে তাকে ছাড় দেয়া যায় না। সাংবাদিকরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, এতে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করা সহজ হবে বলে অনেকেরই অভিমত। সাংবাদিক নেতারা অনেকেই জানান, সাংবাদিক শব্দ ছোট হলেও এটি একটি মহান পেশা। সাংবাদিকতা অনেক সম্মানজনক, তবে প্রকৃত সাংবাদিক হতে হলে অবশ্যই সাংবাদিককে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি পড়তে হবে, সেই সাথে সর্বশেষ সংশোধনীসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বইসহ বেশি বেশি বই পড়তে হবে। অনেকেই জানেন না যে, ১/ সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক। ২/ সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক। ৩/ সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক। ৪/ সাংবাদিক মানে জাতির দর্পণ। ৫/সাংবাদিক মানে জাতির সেবক। ৬/সাংবাদিক মানে শিক্ষিত জাতি। ৭/সাংবাদিক মানে স্বাধীনভাবে কাজ করা। ৮/সাংবাদিক মানে সম্মানিত জাতি। ৯/ সাংবাদিক মানে তদন্তকারী। ১০/ সাংবাদিক মানে আইন বিষয়ে জানা। ১১/ সাংবাদিক মানে সিস্টেম পরিবর্তন করা। ১২/ সাংবাদিক মানে সকল বিষয়ে জানা। সম্পাদকীয় বা উপ-সম্পাদকীয় লেখা আর সংবাদ লেখা এক রকম নয়। উপ-সম্পাদকীয় লেখা অনেক কঠিন, আর উপ-সম্পাদকীয় সবাই পড়তে পারেন না এর অনেক কারণ রয়েছে। 

     তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে আঙ্গল দিয়ে দুই লাইন লিখে পোস্ট করলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না, বর্তমানে ফেসবুক লেখক ও সাংবাদিকরা কিছু নেতাদের ফেসবুক নেতায় পরিণত করেছে যা জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলেও সাংবাদিকরা কিন্তু কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলি করে হত্যা ও মানুষের লাশ পোড়ানো মামলায় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, কিছু বিএনপি’র নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে ফায়দা নিচ্ছে একটি চক্র। কিছু পুলিশ সদস্যও আসামী হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। শুধু জামায়াতে ইসলামের কেউ মামলার আসামী হয়নি এবং তাদের কেউ গ্রেফতার হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢাকার আশুলিয়ায় সায়েব আলী ও আব্দুল জলিলসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী বিএনপি সেজে ভুয়া বাদী হয়ে একাধিক মামলা করে অনেক মানুষকে হয়রানি করার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যদিকে বিএনপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছেন, আর আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পলাতক রয়েছেন, সবমিলে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাদের পরিবারের কেউ দেশে নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে চেয়ে আছেন পুরো ১৮ কোটি জনগণ। যতদিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি একরকম খারাপ ও জটিলতা বাড়ছে। অনেকেরই অভিমত যে, দেশের পুলিশ ও সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির জন্য কি করছেন, তাদেরকে বুঝতে হবে এক দুইজন ভুল করলে তাদের দায় অন্যরা নিবে কেন জাতি জানতে চায়। তবে যে পেশার মানুষ হোকনা কেন তাদেরকে নিয়ে গুজব বা অপপ্রচার চালানো বড় ধরণের অপরাধ, দেশের আইনেও সাজা পাবে এবং আল্লাহর কাছেও জবাব দিতে হবে, মিথ্যাচার করলে তাদের জিহবা সামনে থেকে টেনে পেরেক মারা হতে পারে, দুনিয়ার আদালত জামিন দেন কিন্তু পাপী হলে আল্লাহর আদালতে শেষ বিচার হবে।

  • ভারতে সাইফ আলী খান’র ওপর হামলায় অভিযুক্ত বিজয় দাশ নলছিটির শেহজাদ

    ভারতে সাইফ আলী খান’র ওপর হামলায় অভিযুক্ত বিজয় দাশ নলছিটির শেহজাদ

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ভারতের জনপ্রিয় নায়ক সাইফ আলী খানের ওপর হামলায় অভিযুক্ত মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা মোঃ রুহুল আমিন ফকির তিনি একসময় খুলনা মিলে চাকরি করতেন। তিন ছেলের মধ্যে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ (বিজয় দাশ) দ্বিতীয়  ছেলে। শেহজাদ নলছিটি থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। মোটরসাইকেল ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার পরে তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গেও তাঁর কোনো যোগাযোগ ছিল না। 

    শেহজাদ এর ছোটো ভাই মোঃ সালমান ফকির (১৬) জানান তার মেজো ভাই শেহজাদ মোটরসাইকেল ড্রাইভার রফিকুল হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পরে ভারতে পালিয়ে যায়। দেশে থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়। তবে সে ভারতে পালিয়ে যাবার পরে তার সাথে পরিবারের কোনো যোগাযোগ আছে কি না সে জানেন না বলে জানান।

    তার প্রতিবেশি মোসাঃ রহিমা আক্তার (সম্পর্কে চাচি) তিনি বলেন।  তার চলাফেরা একরোখা ধরনের ছিলো। কোন কাজ করলে কি হবে সেটা নিয়ে ভাবতো না। যে কারনে বহুবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে।

    প্রতিবেশী মোঃ রিন্টু হাওলাদার জানান খুব কম বয়সে বিয়ে করছিলো যা পরবর্তীতে বিচ্ছেদে গড়ায়। তবে আমার জানামতে সে সংসারে কোনো সন্তান ছিলো না।

    এলাকার একাদিক মানুষ (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)  তারা প্রতিবেদককে জানান। চুরি,ছিনতাই,চাঁদাবাজি, হত্যাসহ একাদিক মামলা রয়েছে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ এর বিরুদ্ধে। তিনি পড়ালেখা ও করেননি কোনো প্রতিষ্ঠানে। একাদিকবার বিভিন্ন এলাকায় জনতার হাতে গনপিটুনির স্বীকার হয়েছেন তিনি তবুও শোধরায়নি তার স্বভাব চরিত্র। একাধিক বিয়ের কথা জানান এলাকাবাসি তবে বর্তমানে কোনো স্ত্রী নেই বলেও জানান তারা।

    শরিফুল ইসলাম শেহজাদের বাবা রুহুল আমিন ফকির বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে শেহজাদের কোনো যোগাযোগ নেই। শুনেছি সে ভারতে আটক হয়েছে। সে কবে, কিভাবে ভারত গেছে তা আমাদের জানা নেই। খারাপ কাজ করলে, সে শাস্তি পাবে, এটাই কামনা করছি।

    মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ২০১৭ সালে নলছিটির মোল্লারহাট স্টিল ব্রিজের কাছে ভাড়ায় মোটরসাইকেলের চালক রফিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় রাজাবাড়িয়া গ্রামের মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আসামি করা হয়। এ ঘটনার পরে তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। এলাকায় থাকাকালে তিনি ছিনতাই, চুরি ও মারামারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো কোনো বার্তা আসেনি। তবে শেহজাদের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় এবং ঢাকায় হত্যা মামলা রয়েছে। সে ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ আছে।

    ফটো ক্যাপশনঃ ভারতের জনপ্রিয় নায়ক সাইফ আলী খান এর উপর হামলায় আটক বিজয় দাশ নলছিটির শরিফুল ইসলাম শেহজাদ।

  • তরুন প্রজন্মকে লেখাপড়ার দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে-  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

    তরুন প্রজন্মকে লেখাপড়ার দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

    লিটন মাহমুদ,
    মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তরুন প্রজন্ম এখন অনেক বেশি প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত এবং অনেক বেশি তারা জানে। কিন্তু এই জানাটার কখনো শেষ নাই। এ কারণে তরুণ প্রজন্মকে লেখাপড়ার দিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

    তিনি শুক্রবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার একটি অভিজাত রিসোর্টে ঢাকা কলেজের রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।

    এ সময় তিনি ঢাকা কলেজের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, আমি ঢাকা কলেজে প্রাগৈতিহাসিক যুগে লেখাপড়া করেছি। ১৯৬৩-৬৫ ব্যাচের পড়াশোনাকালিন ঢাকা কলেজের অনেক বন্ধুদের আজকে এখানে পেয়েছি। তখনকার সময় আর এখনকার সময় অনেক পার্থক্য। চিন্তা,ভাবনা, প্রযুক্তি এবং জেনারেশনে বিরাট পার্থক্য।

    তিনি বলেন ঢাকা কলেজের ছাত্র হিসেবে আমি গর্বিত। সেই কলেজ থেকে অনেক কিছু শিখেছি,দেখেছি। ঢাকা কলেজ থেকেই ছাত্র রাজনীতির ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে ছাত্র জীবনে। সব মিলিয়ে ঢাকা কলেজের জীবন আনন্দময় ছিলো বলে জানান তিনি।

    অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি রিইউনিয়ন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আহসান এইচ মনসুর।

  • আলোচিত সেই ক্যাডেট এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত 

    আলোচিত সেই ক্যাডেট এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত 

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটের বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদাতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) 

    সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৪০ তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ব্যাচের ৪৮০ জনকে পাসিং আউট দেওয়া হয়। এর আগে অনিবার্য কারণে দুই দফায় তাঁদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছিল। একই ব্যাচের ৩১২ জনকে বিভিন্ন অভিযোগে প্রথমে শোকজ ও পরে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

    সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এ ছাড়া তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল করিম প্যারেড কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। 

    প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বেস্ট একাডেমিক হিসেবে ক্যাডেট (এসআই) বদিউজ্জামান, বেস্ট ইন ফিল্ড এক্টিভিটিজ শিক্ষানবিশ ক্যাডেট (এসআই) নজরুল ইসলাম, বেস্ট শ্যুটার ও বেস্ট সুইমার হিসেবে শিক্ষানবিশ ক্যাডেট (এসআই) নয়ন কুমার ঢালী এবং সর্ব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় শিক্ষানবিশ ক্যাডেট (এসআই) মোঃ আরিফুল ইসলামকে বেস্ট ক্যাডেট পদক প্রদান করা হয়।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক শিক্ষানবিশ ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিবর্তিত সমাজের সারধী হিসাবে বদলে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় জনসেবায় আপনারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। পুলিশের উপপরিদর্শক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পদ, কারণ ৯০ ভাগ ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত আপনারা করে থাকেন। অপরাধ দমন, জনগণের সম্পত্তির নিরাপত্তা প্রদান ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশের প্রধান দায়িত্ব। পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে একটি দল নিরপেক্ষ সংস্থায় উন্নয়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। পুলিশের মনোবল পুনরুদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। 

    পুলিশ একাডেমি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর একাডেমিতে ৮২৩ জন ক্যাডেট এসআইয়ের এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শুরুর পরই নানা অভিযোগে ডিসচার্জ হন ২২ জন। গেল বছরের ৪ নভেম্বর ৮০১ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দুই দফা প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের সময় নির্ধারণ হলের অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়। এর মধ্যে নাস্তা না খেয়ে হইচই, ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলার অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন, ১৮ নভেম্বর ৩ জন এবং সর্বশেষ ১ জানুয়ারি ৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ৩২১ শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (এসআই) চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে গত দাবিতে ৫ ও ৬ জানুয়ারি সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর একই দাবিতে তারা গত সোমবার বিকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশন বসেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে সচিবালয়ের সামনে থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পানি ঢেলে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনশনরত শিক্ষানবিশ এসআইরা।  এদিকে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে গতকাল বুধবার সকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে আশংকা মুক্ত হলেন ২২জন নারী সহ ৪৮০জন শিক্ষানবিশ ক্যাডেট এস আই।।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী।

  • আপনারা রাজনীতি করেন আমাদের কোন আপত্তি নাই, কিন্তু আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোন ছাড় নাই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    আপনারা রাজনীতি করেন আমাদের কোন আপত্তি নাই, কিন্তু আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোন ছাড় নাই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    লিটন মাহমুদ,
    মুন্সীগঞ্জ মুন্সীগঞ্জ

    আপনারা রাজনীতি করেন আমাদের কোন আপত্তি নাই, কিন্তু আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোন ছাড় নাই।
    মুন্সীগঞ্জে কৃষিজ যন্ত্রপাতি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে
    কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একথা বলেন।
    তিনি আরো বলেন, আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী যে-ই হোক আমার ভাই হলেও কোন ছাড় হবে না।
    এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনারা তেল মারা বন্ধ করুন, ভবিষ্যতে কে আসবে তারা এমপি হোক বা যা হোক যখন হবে তখন দেখা যাবে। আপনারা কঠোর হোন। এখন সবাই শৃঙ্খলার ভীতর থাকেন। জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুর মাঠে রবিবার বিকালে কৃষকদের মাঝে ৩০ টি পাওয়ার টিলার ও ৩০ টি সেলো পানির পাম্প বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    ঢাকা ব্যাংক পিএলসি’র অর্থায়নে সিরাজদিখান উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
    মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার ঢাকা ব্যাংকের ফাউন্ডার ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম হায়াতুজ্জান খান, ব্যাংকের পরিচালক আলতাফ হোসেন সরকার।
    এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার, বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুস ধীরণ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহসহ আরো অনেকে।

  • তরুনদের উপার্জিত  বিপ্লবের চেতনা সরকার ও বিএনপি ধারণ করতে পারেনি-ড.মাহমুদুর রহমান

    তরুনদের উপার্জিত বিপ্লবের চেতনা সরকার ও বিএনপি ধারণ করতে পারেনি-ড.মাহমুদুর রহমান

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন-বিগত সময়ে আলেমদের উপর সবচেয়ে বেশী অত্যাচার করা হয়েছে, কিন্তু কোন মিডিয়ায় প্রকাশ তা হয়নি।তরুনদের মাধ্যমেই অসাধারণ বিপ্লব সাধিত হয়েছ।
    একটা বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি। সেই বিপ্লবের চেতনা সরকার ও বিএনপি ধারণ করতে পারেনি। সরকারের উচিৎ ছিল ক্ষমতায় বসার পর দেশে শুদ্ধি একটা অভিযান করা। তা না করে হঠাৎ পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে দিয়েছেন। তা বাড়ানোর আগে পরামর্শের প্রয়োজন ছিল। যেখানে গরীবের কষ্ট হবে না সে জায়গায় ভ্যাট বাড়ানো উচিৎ ছিল।

    তিনি বলেন, ওষুধের ওপর কেন ভ্যাট বাড়ালেন, কারণ বিপ্লবের চেতনা ধারণ করতে পারেন নাই। এগুলো হল এ সরকারের দুর্বলতা।

    শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে সংগঠন আস-সিরাজ আয়োজিত ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ জুলাই বিপ্লবোত্তর আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে যারা শহীদ হয়েছিলেন আমরা অনেকেই মনে করেছিলাম আন্দোলন বিফলে গেছে। কিন্তু না সেই আন্দোলনের বিজয় ২০২৪ সালে এসেছে, তাদের বিপ্লব সফল হয়েছে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাধ্যমে। সেই আদর্শ ধারণ করে ১১ বছর পর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ভারতের সাম্রাজ্যবাদের পতন হয়েছে।

    শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি দেশ। কারণ যারা তাকে ফ্যাসিবাদ হতে সহায়তা করেছিল তারা এখন আওয়ামী লীগের বদলে অন্য দলের ওপর সওয়ার হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমাদের বিভাজনের রাজনীতিকে কবর দিতে হবে। তার উত্থান হতে দেয়া যাবে না। সেই জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোন বিদেশি শক্তিকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কুক্ষিগত করতে দেয়া হবে না।

    আস সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আশরাফ মাহাদী, ড. আতিক মুজাহিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

    অনুষ্ঠানে শহীদ ১৫ জন পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করা হয়। পরে জাগরণী সংগীত অনুষ্ঠিত হয়।

  • দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

    দোয়ারাবাজারে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:: দোয়ারাবাজারে সিলেট সেনানিবাসের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের পশ্চিম মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেড় শতাধিক মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন,মেজর আল জাবির আসিব,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু, সিনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার সেলিম রেজা, দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক,
    এসআই আতিয়ার রহমান,সার্জেন্ট আলমগীর, কর্পোরাল মামুন, ল্যান্স কর্পোরাল রেজাউল, সৈনিক বরকত উল্লাহ, সৈনিক বাঁধন, সৈনিক আমির, সদর ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ভুট্রো, ইউপি সদস্য হাজেরা বেগম, সাংবাদিক মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, হারুন অর রশিদ, আলা উদ্দিন, বজলুর রহমান, শাহজাহান আকন্দ, এনামুল কবীর মুন্না, মাসুদ রানা প্রমুখ।

  • গৃহবধূ থেকে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া

    গৃহবধূ থেকে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জীবন্ত কিংবদন্তি নেতৃত্ব সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব গৃহবধু থেকে তৃণমুলের রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও দেশের আমজনতা, দলের তৃণমুল নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই।

    জানা গেছে, সাধারণ গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আপোসহীন নেত্রীতে পরিণত হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দুইবারের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দেশ ছাড়ার জন্য চাপ থাকলেও দেশ ছাড়েননি তিনি।
    এদিকে এরপর বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। জেলও খাটতে হয়েছে তাকে। কিন্তু আপোস করেননি। কারাগারে থাকাবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিল বিএনপি নেতারা। তবুও তিনি নতিস্বীকার করেননি। আওয়ামী লীগ আমলে তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন জানানো হলেও তাতে সরকার সাড়া দেয়নি। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে মুক্তি দেন। মুক্তি পাওয়ার পর পরিবার ও তার দল বিএনপি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে।
    জানা গেছে, ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে যখন হত্যা করা হয় তখন বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন নিতান্তই একজন গৃহবধূ। দুই সন্তানকে নিয়ে তখন ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থান করছিলেন খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তখন বিপর্যস্ত এবং দিশেহারা। জিয়াউর রহমানের পরে দলের হাল কে ধরবেন সেটি নিয়ে নানা আলোচনা চলতে থাকে।
    এদিকে ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি খালেদা জিয়া বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন। বছর খানেক যেতে না যেতেই নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় প্রশংসা অর্জন করেন। পরের বছর মার্চে তিনি দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদোন্নতি পান। এক মাস পর ১ এপ্রিল তিনি দলের বর্ধিত সভায় প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অসুস্থ হলে তিনি ১৯৮৪ সালের ১২ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন এবং একই বছরের ১০ মে চেয়ারপার্সন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে ১ সেপ্টেম্বর দলের চতুর্থ কাউন্সিলে দ্বিতীয়বার, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তৃতীয়বার এবং ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের দশম কাউন্সিলে চতুর্থবারের মতো বিএনপির চেয়ারপার্সন হন।
    এদিকে বিএনপির দায়িত্ব নেওয়ার পরই নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়েন খালেদা জিয়া। দল ঐক্যবদ্ধ রেখে এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে কোনো রকম সমঝোতা না করেই আপোসহীন আন্দোলন করে গেছেন। ফলে এরশাদের পতন ত্বরান্বিত হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া ‘এরশাদ হটাও’ এক দফার আন্দোলন শুরু করেন। একটানা নিরলস ও আপোসহীন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিএনপি। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার ও ২০০১ সালে জোটগতভাবে নির্বাচন করে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।
    অন্যদিক বেগম খালেদা জিয়া দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থায় (সার্ক) দুবার চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনের ইতিহাসে খালেদা জিয়ার একটি অনন্য রেকর্ড হচ্ছে- পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে ২৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটিতেই তিনিই জয়ী হয়েছেন।

    সেনাসমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াকে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর তিনি আইনি লড়াই করে সব কটি মামলায় জামিন নিয়ে মুক্তি পান। কারাগারে থাকাকালে তাকে বিদেশে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি যেতে অস্বীকার করেন।

    আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হন। তার অভিযোগ, বলপ্রয়োগে তাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি ওই বাড়িটিতে ২৮ বছর ছিলেন। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার সেনানিবাসের বাড়িটি তার নামে বরাদ্দ দিয়েছিলেন।

    বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা হয়েছিল। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাজা হয়েছিল। গত ৬ আগস্ট সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা মওকুফ করা হয়। একই সঙ্গে গত ২৭ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তিনি খালাস পান।

    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি চলছে। সাজা মওকুফের পরও কেন আপিলের উদ্যোগ এমন প্রশ্নে তার আইনজীবীরা বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি এসব মামলা আইনিভাবে মোকাবিলা করে খালাস পেতে চান।

    এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে পরের বছর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্টের আদেশে মুক্তি পান। দেশের রাজনীতির ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া একমাত্র নেতা যিনি কখানো কোনো চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে আপোষহীন থেকে আপোষহীন নেতার স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।