Category: জাতীয়

  • রূপপুর পার-মাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের অনি-য়ম দুর্নী-তির কারণে বাড়ছে জটি-লতা

    রূপপুর পার-মাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের অনি-য়ম দুর্নী-তির কারণে বাড়ছে জটি-লতা

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ অনেক নাটকের জন্ম দিচ্ছে, এনপিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান এর পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করার ঘটনার আড়ালে রয়েছে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি।
    রবিবার (২৯ জুন ২০২৫ইং) সকালে জানা গেছে, একটি মহল দাবি করছেন যে, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আছেন অনেক দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য কর্মকর্তা। এর আগে এ বিষয়ে রূপপুরস্থ এনপিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছানের পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। “যোগ্য লোক চাই, অযোগ্য এমডিকে নয়, প্রতিষ্ঠানিক ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক ইঅঊঈ এর অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক, এনপিসিবিএল স্বাধীন হোক” এই স্লোগানকে সামনে রেখে এনপিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান এর পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
    এর আগে উল্লেখ্য. গত (৬ মে ২০২৫ইং)বিকেল ৫ ঘটিকায় ঈশ্বরদী উপজেলা গেট এলাকায় একটি অভিজাত রেস্টেুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চরম অদক্ষতা, প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরতন্ত্র, দুর্নীতি এবং অনিয়ম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আনা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষে এনপিসিবিএল এর সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ফাহিম শাহরিয়ার তুহিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এবং নিউক্লিয়ার পওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (ঘচঈইখ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছানের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম, চরম অযোগ্যতা, দুর্নীতি, প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ফ্যাসিবাদের অভিযোগে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। এই স্বৈরাচারি, অদক্ষ, অযোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে এনপিসিবিএল-এর সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ বরাবরই সোচ্চা ছিলো এবং এরই ধারাবাহিকতায় বিগত নয়দিন (২৮ এপ্রিল ২০২৫ইং থেকে ৬ মে ২০২৫ইং) পালন করেন।
    অভিযোগ রয়েছে, ডা. জাহেদুল হাছান বর্তমানে একাধিক অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ কুক্ষিগত করে রেখেছেন। একাধারে তিনি রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক এবং অপারেটিং অর্গানাইজেশন এনপিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান অর্থ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং স্টেশন ডিক্টেরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ একাই দখল করে রেখেছেন। যা একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অপারেটিং কোম্পানির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন। অফিস সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রায় এক দশক আগে এনপিসিবিএল গঠিত হলেও আজ অবধি কোনো সার্ভিস রুলস প্রকাশ করা হয়নি। ফলে নেই কোনো অর্গানোগ্রাম, দায়িত্বের সুস্পষ্ট নণ্টন, পদোন্নতি, বরং জেকে বসেছে একগুচ্ছ গ্রেড ও বেতন বৈষম্য এবং অন্যান্য ব্যাসিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এটি একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, উচ্চ সংবেদনাশীল ও কৌশলগত গুরুত্ববহ প্রকল্প হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এর নির্মাণ, কমিশনিং এবং অপারেশন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারিরা দফায় দফায় ড. জাহেদুল হাছানের কাছে সার্ভিস রুল প্রদান, প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বতন্ত্রতাসহ বিভিন্ন বৈষম্য নিয়ে আলোচনা করে আসছে। বিভিন্ন মানবিক ও যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ড. জাহেদুল হাছান তা বাস্তবায়নের লিখিত আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর থেকেই তিনি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অযৌক্তিক, অমানবিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আসছেন, তার অনেক নজির রয়েছে চলমান।
    এরপর ১৮জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতির ঘটনা। চাকরিচ্যুতরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়েগপ্রাপ্ত ছিলেন। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এই অব্যাহতির কথা জানানো হয়। অব্যাহতি দেয়া ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রত্যেককে গত শনিবার (১০ মে ২০২৫ইং) রাতে ই-মেইলসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়। রূপপুর প্রকল্পের সাইড ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস এ বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, গত শনিবার রাতে বিষয়টি সম্পর্কে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থরিটির প্রধানকে অবহিত করা হয়েছে। এর বেশি তার জানা নেই। আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাকরিচ্যুত কয়েকজন জানান, এনপিসিবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মোঃ জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত অব্যাহতিপত্র এই কোম্পানির ১৮জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। উক্ত বিষয়টি নিয়ে তারা ঢাকায় আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। আমাদের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) এর অনুসন্ধানী রিপোর্টের ধারাবাহিক পর্ব-১। ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অব্যাহতিপত্রে বলা হয়, এনপিসিবিএল কোম্পানিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এনপিসিবিএলের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক আরেকটি পত্রে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের রূপপুর প্রকল্প এলাকায় ও বিদেশিদের আবাসন গ্রিন সিটিতে প্রবেশ বন্ধে অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে পাবনার ঈশ্বদীর রূপপুর কোম্পানির প্রায় ১৫০০/ কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১৮ এপ্রিল আন্দোলন শুরু করেন। গত ৬ মে তারা ঈশ্বদী শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। এর পরদিন ৭ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে কোম্পানির অফিসে তারা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, বিদেশীরাও এ ঘটনায় ভয় পাচ্ছে কখন যেন বড় ধরণের সংঘর্ষ শুরু হয়। অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন যে, এতো বড় প্রকল্প অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বন্ধ হলে দেশের বড় ধরণের ক্ষতি হবে।##

  • দেশে ৫ আগষ্টের পরে যে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ- সেগুলো আগে থেকেই বন্ধ- কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

    দেশে ৫ আগষ্টের পরে যে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ- সেগুলো আগে থেকেই বন্ধ- কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

    হেলাল শেখঃ বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পরে যে সমস্ত তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এগুলো কারখানা আগে থেকেই বন্ধ ছিলো বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

    বুধবার (২৫ জুন ২০২৫ই) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড স্টাফ কলেজ মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এর উদ্যোগে সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর মালিক কারখানা চালু থাকায় ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে সেই টাকা শ্রমিকদের বেতন দেয় নাই কাজও করে নাই এসব কারখানার মালিকদের যদি ব্যাংক হিসেব নেওয়া হয় দুইশ’ থেকে তিনশ’ কোটি টাকার কমে না কারণ, টাকা নিয়েছে এখন ব্যাংক তাদের টাকা দেয় না।

    এজন্য তারা কারখানা চালাতে পারছে না, টাকা পয়সা নিয়ে বেশির ভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে একটা কোম্পানী এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি যারা তিনশ’ কোটি টাকা নিয়েছে ঋণ খেলাপি হয়েছে তার পরেও ব্যাংক টাকা দিয়েছে পলিটিক্স কালেকশনে ব্যবসা করলে এরকম হবে।

    তিনি বলেন, সব গার্মেন্টস তো বন্ধ হলে ১৭% এক্সপোর্ট হতো না এবং চিটাগাং পোট কুলাতে পারছে না যে গুলো বন্ধ হয়েছে সেগুলো সাব কনট্রাকে কাজ করাতো শ্রমিকদের দিয়ে তাই খুব ডিফিকাল্ট নেই, হ্যাঁ অনেক বেকারত্ব বেড়েছে তবে অনেকে আবার নতুন করে অন্য কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে এবং বেক্সিমকো যে বন্ধ হয়েছে সেসব কারখানার শ্রমিকরা চিটাগাংসহ অন্য জায়গায় কাজে যোগ দিয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া বা অন্য কেউ কিনে নিলে তাদেরকে ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করবে, কিন্তু এটা অনেক সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

    এসময় বাংলাদেশসহ বিশ্বের চব্বিশটি দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন বলে তিনি জানান।

  • এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্ব-ল হিসেবে দেখতে চাই না – সারজিস

    এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্ব-ল হিসেবে দেখতে চাই না – সারজিস

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচনের পূর্বে মৌলিক সংস্কারে ব্যাপারে আমাদের কোন ছাড় থাকবে না। খুনিদের বিচারের বিষয়েও আমাদের কোন আপোষ থাকবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র জুলাই মাসে দেয়ার ক্ষেত্রে কোন আপোষ থাকবে না।  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা দুর্বল সরকার হিসেবে দেখতে চাই না।  তারা যদি নিজেদের দুর্বল হিসেবে প্রকাশ করে তবে তা হবে অভ্যুত্থানের রক্তের সাথে সবচেয়ে বড়  প্রতারণা। 

    সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির হলরুমে জাতীয় যুব শক্তি পঞ্চগড় জেলা যুবশক্তির আয়োজনে জেলা সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

    সারজিস বলেন, প্রথম সারির ৭ টি দলের মধ্যে ৬ টি দল যখন একটি সংস্কারের প্রশ্নে একমত হয় তখন  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা ঐক্যমত কমিশনের কাছে যদি একটি দল বড় হয়ে যায় তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। আমরা প্রত্যাশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দায়বদ্ধতা ভুলে যাবে না। আমরা প্রত্যাশা করি একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের পূর্বে এই বাংলাদেশে জুলাই সনদ দেখতে পাবো। জুলাই ঘোষণাপত্র পাবো। মৌলিক ও নির্বাচনকালীন সংস্কার পাবো এবং দৃশ্যমান বিচার দেখতে পাবো। 

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক এড. তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক নেছার উদ্দীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক ওয়াসিস আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

    এসময় জেলা ও উপজেলার এনসিপি এবং যুবশক্তির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান

    বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান

    ঢাকা, ২২ জুন ২০২৫ (রবিবার): বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২-বি ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৫-এ ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ আজ বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন। উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২২-বি ব্যাচের ৪৪ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৫-এ ব্যাচের ০৮ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন। উল্লেখ্য, কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে ০৮ জন নারী এবং ০৪ জন বিদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন।

    সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। প্রধান অতিথি নবীন কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি নবীন কর্মকর্তাদের সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন। পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ মহান দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নবীন কর্মকর্তা ও তাদের অভিভাবকবৃন্দকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য প্রশিক্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও নৌসদস্যগণকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।

  • সারাদেশে মা-মলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮ “আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মা-মলা বা-ণিজ্য”

    সারাদেশে মা-মলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮ “আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মা-মলা বা-ণিজ্য”

    হেলাল শেখঃ সারাদেশে এখন ভয়াবহ মামলাজট। দেশে বর্তমানে মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টির মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়ের বেশি। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই বেড়েছে ৫৪ হাজার মামলা, এসব মামলার মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করেছে দালাল চক্র। গত বছর শেষে এ সংখ্যা ৪৫ লাখ ১৭ হাজার ২০১। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়েরের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মামলার জট বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা কম থাকায় নিষ্পত্তিও বাড়ছে না। তাই এখনই মহাপরিকল্পনা করে পাহাড়সম এ মামলার জট নিরসন করতে হবে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে মামলাজট নিরসনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তথ্যগুলো সংরক্ষিত।
    অন্যদিকে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল, ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে তারা। ভুয়া বাদী হয়ে মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে মামলা বাণিজ্য করছে মামলাবাজরা, গত ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাই অনেকেই মামলা বাণিজ্য করছে, ওরা জাতীয় মামলাবাজ। অপরাধীদের নাম প্রকাশসহ থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসছে। কোনকিছুতে সুবিদা না পেয়ে “সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস” নামে ফেসবুক ফেইক আইডিসহ একাধিক আইডি থেকে সম্মানিত থানার ওসি অফিসার, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল জানায়, এসব ফেইক আইডিসহ যেসকল আইডি থেকে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে যারা, তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় এনে কঠিন সাজা দিলে আর কেউ এমন সাহস করবে না। সূত্র জানায়, সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস ফেসবুক আইডি আশুলিয়া থেকে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার।
    রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন থানা ও পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্রগুলো পুরোপুরি ভাবে উদ্ধার কেন হচ্ছে না, সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশসহ ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আড়ালে কি ঘটনা ঘটছে তা জাতি জানতে চায়। কারা করছে হত্যাকাণ্ড আর কারা হলেন এসব মামলার আসামী, কারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন আর কারা আটক হলেন? এবং এসব মামলার বিষয়ে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে কারা?। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শরীফ মার্কেট এলাকার মোঃ ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার উপর হামলায় হত্যা চেষ্টা এবং হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছেন না তা জাতি জানতে চায়। আশুলিয়া থানার স্বারক নং ৫২৯০(৪)১ তারিখ: ২২/০৯/২০২৪ইং ধারাসহ অপরাধ এবং লুণ্ঠিত দ্রব্যাদি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/ ১১৪/৩৪ প্যানাল কোর্ট, ১৮৬০পরস্পর যোগসাজসে অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা করতঃ মারপিট ও গুলিবর্ষণ করিয়া হত্যা করাসহ হুকুম প্রদানের অপরাধ,আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলার ২০ নং আসামী মোঃ শরিফুল ইসলাম মোল্লা। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি, অভিযোগ ও হত্যা মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না তা জাতি জানতে চায়। অনেকেই জানায়, শরিফুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও (পিবিআই) পরিদর্শন করেছেন, মনে হয় পুলিশ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শরিফুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেফতার করছে না। অনেকেই বলেন, এই শরীফ মোল্লা তার মা ও বোনের জমির বিষয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে, সে এলাকার প্রভাবশালী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
    আশুলিয়া থানার (এ এসআই) নাজমুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগষ্টে হত্যা চেষ্টা ও হত্যা মামলার তদন্ত করতে গেলে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে একটি মহল। কিছু দালাল ও সুবিধাবাদী লোকজন তাদের মামলা বাণিজ্য করে মোটা অংকের অর্থ কামাচ্ছে, তারা দেশ ও জাতির শক্র, এদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান। জানা গেছে, ৫ আগষ্ট: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রথম আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা ভাংচুর শুরু করা হয়, এরপর দুইজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ প্রকাশ্যে ওভার ব্রীজের উপর ঝুঁলিয়ে রাখা হয়। যা ১৯৭১ সালেও এই এলাকায় ঘটেনি তা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটিয়েছে মানুষ হত্যাকারী ওরা কারা? সূত্র জানায়, ভাড়া করা সন্ত্রাসী যারা প্রথমে প্রেসক্লাব দখল করেছে তারাই দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে সেই লাশ ঝুঁলিয়ে রাখে ওভার ব্রীজের সাথে। তারাই ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে পুলিশের ভ্যানে থাকা ৬ লাশ পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টা করে, এমনকি থানায় ডুকে সরকারি অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গত ৯-১০ মাসেও পুরোপুরি ভাবে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যাকারিদের গ্রেফতার করতে পারেননি।
    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর করে আগুন দেওয়ার পর আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার বাইপাইল মার্কেটের উপর থেকে গুলিবর্ষণ করে, সেই সাথে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া’র নেতৃত্বে করিম সুপার মার্কেট থেকে ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাস বাহিনী ছাত্র-জনতার উপর নৃশংস হামলা ও গুলি করে, এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ভ্যানে রাখেন আর সেই লাশগুলো গুম করতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে হত্যাকারীরা এদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম মোল্লাসহ তার বাহিনীর লোকজন ছিলো। ওইদিন আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটে যায় নতুন ইতিহাস। সেই গণহত্যার ঘটনা আড়াল করতে এসব হত্যাকারীরা নতুন কৌশলে জানা অজানা ও অচেনা লোকজন দিয়ে শুরু করে নিহত ও আহতদের নিয়ে মামলা বাণিজ্য। এখন তদন্তে গিয়ে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল। এই মামলা বাণিজ্যের সাথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কিছু নেতা সরাসরি জড়িত, তাদের মধ্যে রয়েছে আশুলিয়া ইউনিয়নে আনারস মার্কায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রাজু গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, তার বাহিনীর সদস্য সায়েব আলী জলিল। আশুলিয়ার বাইপাইলে ১০ থেকে ১২জন ব্যক্তি।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর ও গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানো ঘটনাঃ দেশ টিভি ও যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন টিভিতে নিউজ প্রকাশ হয়েছে এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ- বেসরকারি হিসেবে এই এলাকায় শহীদের সংখ্যা ৫৩ হলেও গ্রেজেটে সবার নাম আসেনি এবং মামলায় এসেছে ভুল ঠিকানাও। কিভাবে ঠিকানা পাল্টে গেলো, কিভাবে আপন মামা বাবা হয়ে গেলেন? আর কিভাবে জীবিত স্বামীকে মৃত বানিয়ে হত্যা মামলা করা হলো? কিভাবে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ভুয়া বাদিরা একাধিক মামলায় নাম দিয়ে নির্দোষী মানুষদেরকে হয়রানি করেছে? এসব ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ এই চক্রের সবাই দেশ ও জাতির শক্র, এসব মামলায় মোটা অংকের অর্ধ যাচ্ছে ভুক্তভোগীদের পকেট থেকে। একাধিক মামলার আসামী সায়েব আলী জলিলরা ভুয়া বাদী হয়ে নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে, এবার “বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল”।
    জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫৩ জনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর সেই লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ, কয়েকজন সাবেক এমপি মন্ত্রী, পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ও মামলা দায়ের করাসহ আশুলিয়া থানায় অসংখ্যক মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর আশুলিয়া থানায় ৭১টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, ৪১টি হত্যা মামলা, ৮টি ডাকাতি মামলা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ব্যক্তিকে আটক করলেও অন্যদেরকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। উক্ত অপরাধের ধরণে বলা হয়েছে, এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে ১০ নং আসামিদের নির্দেশ পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাদের হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নিমুর্ল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠনের অপরাধ করে। (যাদেরকে আসামি করা হয়েছে), তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মাদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক আইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক অতিরিক্ত এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার (ওসি) এএফএম সায়েদ, (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কনস্টেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের সদস্যরাও আসামী হয়েছে এসব মামলায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৫৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অনেক হত্যা মামলা করা হয়, আশুলিয়া থানায় একটি মামলা নং ২৬। তারিখ: ২২/০৮/২০২৪ইং। ছাত্র-জনতা সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর ও লুট করা থেকে শুরু করে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর, ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে কিন্তু ভুয়া বাদী মামলাকারীরা মামলা বাণিজ্য করেছে। এসব মামলার আসামি কিছু পুলিশ সদস্য, এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছেন।
    এ ব্যাপারে অনেকেই ধারণা করছেন যে, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর দখল, আশুলিয়া থানা ভাংচুর ও সরকারি অস্ত্র লুট অগ্নিসংযোগকারীরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় অনেকেই অপপ্রচার চালায় ওমুকের গুলি লাগছে, ওমুকে আহত হয়েছেন, এসব লোকজনের গুলিবিদ্ধ কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি, তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে কোথায় কি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন? পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন শহীদ হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে, তাদের কাছে পুরো আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মানুষ জিম্মি। কিছু অপরাধী আছে যারা নিজের অপরাধ আড়াল করতে অপহরণ, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে, তারা আবার থানায় গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন তথ্য রয়েছে। আশুলিয়ার বাইপাইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে যারা এই গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের পরিবার সঠিক বিচার পাবেতো?। প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলো, কিছু অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হলেও যারা নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে তাদেরকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যেমন: তাদের মধ্যে সায়েব আলী ওরফে আব্দুল জলিল পৃথক ব্যক্তি নাকি সায়েব আলীই জলিল? আর সায়েব আলী জলিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে, এর আগে র‍্যাব-৪ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ জলিলকে গ্রেফতার করেন এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়, এরপর জামিনে এসে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে গত ১৩ মার্চ২০২৫ইং আদালতে অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে হত্যা মামলার ভুয়া বাদী আব্দুল জলিল এর বিরুদ্ধে দেশ টিভি’র ৫ মিনিট ৩ সেকেন্ডের নিউজ প্রকাশ হয় এবং এরপর যমুনা টিভি’র ৩৮ মিনিট ২ সেকেন্ডের বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার ভুয়া মামলার একটি সূত্রঃ সি, আর মামলা নং ১১৪৬/২০২৪ ধারাঃ ৩০২/১০৯/১১৪/১২০(খ)/৩৪ দণ্ডবিধি। আশুলিয়া থানার মামলা নং ১৫। তারিখ ০৮/০৯/২০২৪। এখানে মোঃ সাহেব আলী (৪৪) পিতা মোঃ আনজুর প্রামানিক, মাতা-মোছাঃ রাবেয়া খাতুন, সাং সাভার ফরিদপুর, পোঃ বওয়ারী পার, থানা ফরিদপুর, জেলা পাবনা। বর্তমান- খেজুরবাগান, থানা আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা। জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৩২৮১৩৮২৭৩৩। মোবাইল নং-০১৬৪১১৪৮৬০১। আশুলিয়া থানা পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, অপরাধীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এইসব প্রতারকদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জামগড়া এলাকার বাসিন্দা মাহি নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমি কোনো রাজনীতি করিনা, আমার কোনো পদ পদবী নেই, একটি মামলায় ২০ নং আসামী করেছে দালাল চক্র। এই মামলার বাদীকে মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেন না, অনেকেই বলছে এটা ভুয়া বাদী তাই ফোন রিসিভ করেন না। পিবিআই ও আশুলিয়া থানা পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করেছেন, তারা মানবিক পুলিশ তাই আমাকে বলেছেন যে, আপনার কোনো চিন্তা নাই, আমরা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনবো আর যারা দোষী না তাদেরকে হয়রানি করা হবে না।
    আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট শহীদ হন আশুলিয়ার সিটি ইউনিভাসিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসসি) প্রথম বর্ষের ছাত্র- সাজ্জাদ হোসেন সজল। সজলের মা মোছাঃ শাহিনা বেগম এর কাছে তার ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে সজলকে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি। সেই সাথে আমার ছেলেসহ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। উক্ত ব্যাপারে (পিবিআই), ডিবি, পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশুলিয়া থানায় ৫ আগষ্টের পর ৪-৫ জন ওসি রদবদল হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজন ওসি ক্লোজ, একজন হত্যা মামলার আসামী হলেও চট্রগ্রামে চাকরি করছে, চলমান ওসি মনিরুল হক ডাবলু ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ থেকে পুলিশে আসছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়, এরপর তার পরিবর্তে সোহরাব আল হোসাইন ওসি আশুলিয়া থানায় আসার দেড় মাসের মাথায় চলে যেতে হয়েছে। সচেতন মহলের দাবী-ভুয়া বাদীর মামলা বাতিল করাসহ অপপ্রচারকারী ও ভুয়া বাদী প্রতারক চক্রকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে যারা ছাত্র আন্দোলন করেছেন তারা এখন রাজনৈতিক নেতা হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে সমন্বয়ক থেকে পদত্যাগ করেছেন, অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন, দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিন হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, ছাত্র-জনতা প্রায় ৬ শতাধিক শহীদ বা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারা কি এই ক্ষতিপুরুণ পাবেন? যারা সাধারণ মানুষ মামলায় হয়রানি হয়েছেন এবং মোটা অংকের টাকা খরচ করেছেন, তাদের জন্য সরকার কি কোনো সহযোগিতা করবেন?। বর্তমানে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন না থাকায় (ওসি তদন্ত ভারপ্রাপ্ত) কামাল দায়িত্ব পালন করছেন, অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানায়।
    আশুলিয়া থানার সিনিয়র (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন,ওসি স্যার হঠাৎ চলে যাওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে, এখন আশুলিয়া থানায় যেকোনো অভিযোগ ও মামলার ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের আটকের পর আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। র‍্যাব জানায়, মানুষ হত্যাকারী অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশে মোট মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টি এর মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য হয়েছে, এখানে ভুয়া বাদির ভুয়া মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলের দাবী।##

  • বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় টিআরসি সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় টিআরসি সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

    চারঘাট প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর চারঘাটে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদায় ১৬৮তম টিআরসি ব্যাচের মনোজ্ঞ প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন) সকালে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ব্যারিস্টার মো. জিল্লুর রহমান।

    অনুষ্ঠানে তিনি কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ, কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী টিআরসিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

    প্রশিক্ষণে ৩৫৭ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে মো. সাব্বির হোসেন বেস্ট টিআরসি ও বিষয়ভিত্তিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে বেস্ট একাডেমিক হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়া বিষয় ভিত্তিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে বেস্ট ইন ফিল্ড এক্টিভিটিজ মো. রকি হাসান এবং বেস্ট শ্যুটার মো. নুরনবী মিয়া নির্বাচিত হন। এ সময় প্রধান অতিথি নবীন পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

    অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা এবং রাজশাহী বিভাগের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ রাজশাহী ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি টিআরসিদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।

  • সুজানগরে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা

    সুজানগরে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার হাটখালীতে সোমবার এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এবং পাবনা-২ সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল হালিম সাজ্জাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা-২ সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল হালিম সাজ্জাদ বলেন, আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ১৭টি বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার বিতাড়িত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমাদের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। অসংখ্য নেতাকর্মী মাসের পর মাস বছরের পর বছর জেলখানায় কাটিয়েছেন । সারা বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালো থাকতে পারে, বাংলাদেশ যেন ভালো থাকতে পারে সেই লক্ষ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা প্রণয়ন করেছেন উল্লেখ করে উপস্থিত জনসাধারণকে উদ্দেশ্যে করে আব্দুল হালিম সাজ্জাদ বলেন ৩১ দফা ১ থেকে ৩১ পর্যন্ত আপনারা যদি ভালোমতো পড়েন এবং উপলব্ধি করেন দেখবেন একটা দেশ পরিচালনার জন্য একটা জাতিকে পরিচালনার জন্য যে সমস্ত জিনিস দরকার প্রতিটি জিনিসই ৩১ দফার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। লন্ডন থেকে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত চিন্তা ভাবনা করার জন্য মতবিনিময়সভা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানানো হয় তার তীক্ষèবুদ্ধি এবং চিন্তা ভাবনা দিয়ে আজকের বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় বিএনপি নেতা বাতেন শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুজিবর রহমান খান, সুজানগর পৌর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল বাতেন, সুজানগর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক বাবু মোল্লা, বিএনপি নেতা পান্না চৌধুরী , উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মধু বিশ্বাস, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নবী মোল্লা , উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম,যুবদল নেতা ইউসুব আলী টোকন, পৌর যুবদলের সদস্য মানিক খান, যুবদল নেতা আরিফ বিশ্বাস, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক আলম মন্ডল, যুবদল নেতা শামীম, সুজানগর এন এ কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য বাবু, নুরুজ্জামান সিকদার লালু, কামরুল ইসলাম বাবুল হোসেন, সাইদ হোসেন,হেলাল হোসেন, শাহিন বিশ্বাস,লিটন, ডাঃ আব্দুল কাদের, ডাক্তার হাবিবুর রহমান, ও নায়েব আলীসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে স্থানীয় বিএনপির অফিস ঘর উদ্বোধন করেন নেতৃবৃন্দ।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিিিনিধ।।

  • রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

    রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকল্প একনেক সভায় উঠেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা স্থায়ী ক্যাম্পাস লাগবে এ ব্যাপারে কারোরই কোন দ্বিমত নেই। শুধু এখানে এসে দেখা যে জায়গাটা আসলে কেমন, কতটুকু উপযোগী।

    আজ (১৬ জুন) সোমবার দুপুরে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বহলবাড়ি এলাকার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন। এসময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানের জন্য একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ৫১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, বরাদ্দ ৫শ’ কোটি বেশি নাকি কম, কাজ শুরু হলে আরও পাওয়া যাবে কি যাবেনা তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে তিনি যেহেতু দাপ্তরিক ভাবেও পরিবেশ নিয়েই কাজ করছেন; তাই চলনবিল অধ্যুসিত বড়াল নদী এবং গোচারণ ভূমির ক্ষতি না করে পরিবেশ ঠিক রেখে ক্যাম্পাস নির্মানের উপর গুরুত্ব দেন।

    এর আগে এদিন ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ১০ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ এসে পৌছান। এসময় তাকে স্বাগত জানান রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর অডিটোরিয়ামে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর তিনি বাঘাবাড়ি ঘাট থেকে বড়াল নদী পাড়ি দিয়ে পৌছান তিন নদীর মোহনায় অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত নয়নাভিরাম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে।

    সেখানে পৌঁছালে উপদেষ্টাকে স্বাগত জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ জমি এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ঘুরে দেখেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। বৃক্ষরোপণ শেষে এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন।

    উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. কাইয়ুম আরা বেগম। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাদপুর সার্কেল, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

    এছাড়াও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস.এম. হাসান তালুকদারসহ উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের চিত্র একশো বছরে হারিয়ে যাচ্ছে : অস্তিত্ব সংক-টে উপকূলের রক্ষাকবচ বন

    বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের চিত্র একশো বছরে হারিয়ে যাচ্ছে : অস্তিত্ব সংক-টে উপকূলের রক্ষাকবচ বন

    এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে:দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরবিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাত সুন্দরবনে দখল, নদীভাঙন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ নানা কারণে সুন্দরবনের আয়তন কমতে কমতে এখন এক তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে সুন্দরবন একসময় হারিয়ে যাবে, হুমকিতে পড়বে বাংলাদেশ।
    ভূ-তত্ত্ববিদরা বলছেন, সুন্দরবনের আয়তন দিন দিন কমে যাচ্ছে। আয়তন কমে আসায় সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কমে আসছে গাছগালা, লতাগুল্ম ও প্রাণী।
    ২০২০ সালে বিশ্বব্যাংক তাদের এক প্রতিবেদনে সুন্দরবনের আয়তন কমে আসার কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুন্দরবন ও বনসংলগ্ন এলাকার মানুষের টিকে থাকার বিষয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়েছিল।
    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ১৯০৪-২৪ সালে সুন্দরবনের আয়তন ছিল ১১ হাজার ৯০৪ বর্গকিলোমিটার। ১৯৬৭ সালে তা কমে হয় ১১ হাজার ৬৬৩ বর্গকিলোমিটার। ২০২১ সালে আয়তন কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৫০৬ বর্গকিলোমিটারে। ২০১৫-১৬ সালে আয়তন ছিল ১১ হাজার ৫০৬ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ গত ১০০ বছরে সুন্দরবনের আয়তন ৪৫১ বর্গকিলোমিটার কমে গেছে।
    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলা অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. নুর আলম শেখ বলেন, “সুন্দরবনের ভেতরে মানুষ প্রতিনিয়ত দখল নিয়ে ঘরবাড়ি, হাট-বাজার তৈরি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীভাঙনের মধ্যে সুন্দরবন ছোট হয়ে আসছে। সুন্দরবন রক্ষায় সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে সুন্দরবনে মানুষের প্রবেশ ঠেকিয়ে বন রক্ষাকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।”
    প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে বাংলাদেশকে রক্ষা করছে সুন্দরবন। বাংলাদেশিদের রক্ষাকবচ এই বনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। তিনি অনলাইন সংবাদমাধ্যম কে ‌বলেছেন, “প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক সব দুর্যোগে আমাদের জন্য রক্ষাকবচ হয়ে ওঠে সুন্দরবন। এই বন উপকূলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার অনিবার্য অংশও। বন থেকে মধু, গোলপাতা, মাছ, কাঁকড়াসহ নানা কিছু আহরণ করেন পেশাজীবীরা। তাই সুন্দরবন সুরক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।”
    সুন্দরবনের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য নদী ও খাল রয়েছে। পানির মতো বিছানো এসব খাল-নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার। এসব নদী-খাল দিনে দুবার জোয়ারের পানিতে ভরে যায়, আবার দুবার ভাটায় পানি নেমে যায়। জোয়ার-ভাটার কারণে নদীর পাড় ভাঙে আবার গড়ে। তবে ১০০ বছরে দেখা গেছে, ভাঙনই বেশি। যা আজও ঠেকানো যায়নি।
    পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, “সুন্দরবনের জন্য বড় হুমকি জলবায়ু পরিবর্তন এবং কিছু মানুষের বনের ওপর নির্যাতন। একসময় বনের গাছপালা কাটা হতো, এখন সেসব নাই। তবে বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হচ্ছে। এই নির্যাতন অব্যাহত থাকলে একসময় সুন্দরবন থাকবে না।”
    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, “পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে এই বনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”##

    ##

  • ২ দিন বন্ধের পর খুলে দেয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি

    ২ দিন বন্ধের পর খুলে দেয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : 
    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি অডিটোরিয়ামে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ২ দিন পর আবার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিক ভাবে একজন দর্শনার্থীর হাতে প্রবেশ টোকনে তুলে দিয়ে এ ঘোষণা দেন।

    এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে কোন প্রকার হামলার ঘটনা ঘটেনি। সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে কাছারি বাড়ি। হামলা হয়েছে মূলত কাছারি বাড়ির পাশেই রবীন্দ্র অডিটোরিয়ামে। সেটাও কাছারি বাড়িকে টার্গেট করে নয় বরং প্রবেশ টোকেন নিয়ে একজন প্রবাসী দর্শনার্থীর সাথে কাছারি বাড়ির স্টাফদের ব্যাক্তিগত অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কোন মৌলবাদ বা কোন রাজনৈতিক কারনে এ ঘটনা ঘটেনি বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা। সেইসাথে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে আর কোন নিরাপত্তার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন তিনি।

    এদিন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সাথে কাছারি বাড়ি পরিদর্শন করেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, সহকারি কমিশনার মোঃ মুশফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন হিরু, উপজেলা জামায়াত আমির অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব কাজী শওকত প্রমুখ।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। খুব শিঘ্রই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হবে। তদন্ত রিপোর্ট রিপোর্ট দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এদিকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই হামলা ভাঙচুরের সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ৮ জুন একজন দর্শনার্থী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে গেলে পার্কিং ফি নিয়ে গেটের এক কর্মচারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই দর্শনার্থীকে অডিটোরিয়ামের ভিতরে আটকিয়ে মারধর করে এবং বাঠাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। সেই পিটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় ঐদিন রাতেই কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমানকে ১নং আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনার দুইদিন পরেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা থানা পুলিশ না নেয়ায় ঐ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা গত মঙ্গলবার (১০জুন) শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। পরে উত্তেজিত জনতা কাছারিবাড়িতে প্রবেশ করে অডিটোরিয়ামের দরজা, জানালা ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং শাহজাদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও দুপুরে পরিদর্শনে আসেন ১১ আর্টিলারি কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।