Category: জাতীয়

  • গোপালগঞ্জের পরিস্থিতিতে সেনার আহ্বান জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার

    গোপালগঞ্জের পরিস্থিতিতে সেনার আহ্বান জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

    ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): গত ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে গোপালগঞ্জ জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আহ্বানকৃত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে এলাকার একদল উশৃংখল জনতা সংঘবদ্ধভাবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন। এছাড়াও, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    উক্ত রাজনৈতিক সংগঠনের সমাবেশ চলাকালীন মঞ্চে পুনরায় হামলা চালানো হয় এবং একই সাথে জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী হামলাকারীদের মাইকে বারংবার ঘোষনা দিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তারা সেনাবাহিনীর উপর বিপুল সংখ্যক ককটেল ও ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা করে এবং এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অতঃপর, সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, গোপালগঞ্জ এ আশ্রয় গ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গকে খুলনায় স্থানান্তর করা হয়। সর্বোপরি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পেশাদারিত্ব ও ধৈর্যের সাথে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং প্রশাসন কর্তৃক জারীকৃত কারফিউ চলমান রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব এবং প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল সকাল হতে চলমান এই রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলায়, গোপালগঞ্জ জেলার জনসাধারন অত্যন্ত ধৈর্য্যের সাথে নিজেদের নিবৃত্ত রেখে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছেন। গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধারণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • যশোরে অ-গ্নিকাণ্ডে ক্ষ-তিগ্রস্ত পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

    যশোরে অ-গ্নিকাণ্ডে ক্ষ-তিগ্রস্ত পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

    ঢাকা, ১৫ জুলাই ২০২৫ (মঙ্গলবার): গত ২২ মে ২০২৫ যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ডহরমশিয়াহাটি এলাকায় সংঘর্ষের জেরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক ১৪টি পরিবারের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ঘরবাড়ি মেরামত/পুনঃনির্মাণ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত ১২ জুলাই ২০২৫ তারিখে কাজ সম্পন্ন হয় এবং আজ ১৫ জুলাই জিওসি ৫৫ পদাতিক ডিভিশন এবং এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করেন।

    এই মানবিক উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং সেনাবাহিনী শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে।

  • দেশে ১০ মাসে ৩৫৫৪ খু-ন, ৪১০৫ ধ-র্ষণ ও ৮১৯ জনকে অ-পহরণ জনমনে আত-ঙ্ক

    দেশে ১০ মাসে ৩৫৫৪ খু-ন, ৪১০৫ ধ-র্ষণ ও ৮১৯ জনকে অ-পহরণ জনমনে আত-ঙ্ক

    সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)ঃ দেশে ১০ মাসে ৩৫৫৪ জন খুন, ৪১০৫ নারী ও শিশু ধর্ষণ ও ৮১৯ জনকে অপহরণ করাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে, এই পরিস্থিতিতে জনগণের নিরাপত্তা কোথায়? তা জাতি জানতে চায়। এসব ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আশুলিয়া থানায় ১০ মাস ৫ ওসি ক্লোজ বা বদলির ঘটনা ঘটেছ।
    মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ২০২৫ইং) তারিখে সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৫৫৪টি খুন, ১২হাজার ৭২৬জন নারী ও শিশু নির্যাতন, ৪ হাজার ১০৫ জন ধর্ষণ, ৮১৯জনকে অপহরণ এবং ৯৭টি দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে এক হাজার ৭৩০টি চোরাচালান, এক হাজার ৫২৬টি দস্যুতা, ৬১০টি ডাকাতি, ৩৮হাজার ১৭৬টি মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধ এবং ৭৩১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১০ মাসে মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৫টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে ৮৯৮টি দ্রুত বিচার মামলা। পুলিশ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে দেশে অপরাধ প্রবণতার এ তথ্য প্রকাশ করে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে বলেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, “গত ১০ মাসে বড় ধরণের অপরাধের প্রবণতা স্থিতিশীল রয়েছে”। এই বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছর দেশে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে-বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরে জনমনে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে।
    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ইং সালের জুন মাস পর্যন্ত সরকারি অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছর বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে-এমন দাবি সঠিক নয়। পুলিশ সদর দপ্তর যে তথ্য দিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে ১ হাজার ৯৩৩টি খুন। ২ হাজার ৭৪৪টি ধর্ষণ, ৫১৭টি অপহরণ, ৩৬৭টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০২৪ সালে সারা বছরে ৪ হাজার ১১৪টি খুন, ৪৩৯৪টি ধর্ষণ, ৬৪২টি অপহরণ এবং ৪৯০টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিলো। প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “পরিসংখ্যানে বড় ধরনের অপরাধ দ্রুত বাড়ার কোনো লক্ষণ নেই। বাস্তবে বেশিরভাগ গুরুতর অপরাধের হার কমেছে বা একই পর্যায়ে রয়েছে। তবে কিছু নির্দিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে সামান্য বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।” প্রেস উইং নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও বিশ্বাস রাখতে হবে। কারণ, অপরাধের হার মোটামুটি স্থিতিশীল, যাতে বোঝা যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।” কিন্তু ঢাকায় ভাঙরি ব্যবসায়ীক পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যাসহ একাধিক হত্যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা সারা বিশ্বব্যাপী এখন আলোচিত।
    সূত্রে জানা গেছে, একটি মহল আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে। ঢাকার আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেবসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীসহ হত্যাকারী অপরাধীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। সূত্র জানায়, ঢাকার আশুলিয়ায় মামলা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কারণে ১০ মাসে ৫ জন ওসি ক্লোজ বা বদলির ঘটনার পর এবার আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান নবনিযুক্ত হয়েই তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চলমান রেখেছেন।
    দেশে বর্তমানে মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টির মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়ের বেশি। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই বেড়েছে ৫৪ হাজার মামলা, এসব মামলার মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য করেছে দালাল চক্র। গত বছর শেষে এ সংখ্যা ৪৫ লাখ ১৭ হাজার ২০১। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলা নিষ্পত্তির তুলনায় দায়েরের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মামলার জট বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা কম থাকায় নিষ্পত্তিও বাড়ছে না। তাই এখনই মহাপরিকল্পনা করে পাহাড়সম এ মামলার জট নিরসন করতে হবে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে মামলাজট নিরসনে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তথ্যগুলো সংরক্ষিত।
    অন্যদিকে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল, ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে তারা। ভুয়া বাদী হয়ে মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে মামলা বাণিজ্য করছে মামলাবাজরা, গত ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাই অনেকেই মামলা বাণিজ্য করছে, ওরা জাতীয় মামলাবাজ। অপরাধীদের নাম প্রকাশসহ থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসছে। কোনকিছুতে সুবিদা না পেয়ে “সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস” নামে ফেসবুক ফেইক আইডিসহ একাধিক আইডি থেকে সম্মানিত থানার ওসি অফিসার, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল জানায়, এসব ফেইক আইডিসহ যেসকল আইডি থেকে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে যারা, তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় এনে কঠিন সাজা দিলে আর কেউ এমন সাহস করবে না। সূত্র জানায়, সৈরাচারমুক্ত সুবিদাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস ফেসবুক আইডি আশুলিয়া থেকে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার।
    রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন থানা ও পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্রগুলো পুরোপুরি ভাবে উদ্ধার কেন হচ্ছে না, সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশসহ ছাত্র-জনতা হত্যাকারীরাও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আড়ালে কি ঘটনা ঘটছে তা জাতি জানতে চায়। কারা করছে হত্যাকাণ্ড আর কারা হলেন এসব মামলার আসামী, কারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন আর কারা আটক হলেন? এবং এসব মামলার বিষয়ে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে কারা?। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শরীফ মার্কেট এলাকার মোঃ ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার উপর হামলায় হত্যা চেষ্টা এবং হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করছেন না তা জাতি জানতে চায়। আশুলিয়া থানার স্বারক নং ৫২৯০(৪)১ তারিখ: ২২/০৯/২০২৪ইং ধারাসহ অপরাধ এবং লুণ্ঠিত দ্রব্যাদি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩০২/ ১১৪/৩৪ প্যানাল কোর্ট, ১৮৬০পরস্পর যোগসাজসে অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দাঙ্গা হাঙ্গামা করতঃ মারপিট ও গুলিবর্ষণ করিয়া হত্যা করাসহ হুকুম প্রদানের অপরাধ,আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলার ২০ নং আসামী মোঃ শরিফুল ইসলাম মোল্লা। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি, অভিযোগ ও হত্যা মামলা থাকলেও পুলিশ কেন তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না তা জাতি জানতে চায়। অনেকেই জানায়, শরিফুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও (পিবিআই) পরিদর্শন করেছেন, মনে হয় পুলিশ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শরিফুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেফতার করছে না। অনেকেই বলেন, এই শরীফ মোল্লা তার মা ও বোনের জমির বিষয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে, সে এলাকার প্রভাবশালী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
    আশুলিয়া থানার (এ এসআই) নাজমুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগষ্টে হত্যা চেষ্টা ও হত্যা মামলার তদন্ত করতে গেলে পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে একটি মহল। কিছু দালাল ও সুবিধাবাদী লোকজন তাদের মামলা বাণিজ্য করে মোটা অংকের অর্থ কামাচ্ছে, তারা দেশ ও জাতির শক্র, এদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান। জানা গেছে, ৫ আগষ্ট: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রথম আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা ভাংচুর শুরু করা হয়, এরপর দুইজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ প্রকাশ্যে ওভার ব্রীজের উপর ঝুঁলিয়ে রাখা হয়। যা ১৯৭১ সালেও এই এলাকায় ঘটেনি তা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটিয়েছে মানুষ হত্যাকারী ওরা কারা? সূত্র জানায়, ভাড়া করা সন্ত্রাসী যারা প্রথমে প্রেসক্লাব দখল করেছে তারাই দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে সেই লাশ ঝুঁলিয়ে রাখে ওভার ব্রীজের সাথে। তারাই ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে পুলিশের ভ্যানে থাকা ৬ লাশ পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টা করে, এমনকি থানায় ডুকে সরকারি অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গত ৯-১০ মাসেও পুরোপুরি ভাবে লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যাকারিদের গ্রেফতার করতে পারেননি।
    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর করে আগুন দেওয়ার পর আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার বাইপাইল মার্কেটের উপর থেকে গুলিবর্ষণ করে, সেই সাথে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া’র নেতৃত্বে করিম সুপার মার্কেট থেকে ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাস বাহিনী ছাত্র-জনতার উপর নৃশংস হামলা ও গুলি করে, এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ভ্যানে রাখেন আর সেই লাশগুলো গুম করতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে হত্যাকারীরা এদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম মোল্লাসহ তার বাহিনীর লোকজন ছিলো। ওইদিন আশুলিয়ার বাইপাইলে ঘটে যায় নতুন ইতিহাস। সেই গণহত্যার ঘটনা আড়াল করতে এসব হত্যাকারীরা নতুন কৌশলে জানা অজানা ও অচেনা লোকজন দিয়ে শুরু করে নিহত ও আহতদের নিয়ে মামলা বাণিজ্য। এখন তদন্তে গিয়ে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল। এই মামলা বাণিজ্যের সাথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কিছু নেতা সরাসরি জড়িত, তাদের মধ্যে রয়েছে আশুলিয়া ইউনিয়নে আনারস মার্কায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রাজু গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, তার বাহিনীর সদস্য সায়েব আলী জলিল। আশুলিয়ার বাইপাইলে ১০ থেকে ১২জন ব্যক্তি।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর ও গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর ৬ লাশ পোড়ানো ঘটনাঃ দেশ টিভি ও যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন টিভিতে নিউজ প্রকাশ হয়েছে এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ- বেসরকারি হিসেবে এই এলাকায় শহীদের সংখ্যা ৫৩ হলেও গ্রেজেটে সবার নাম আসেনি এবং মামলায় এসেছে ভুল ঠিকানাও। কিভাবে ঠিকানা পাল্টে গেলো, কিভাবে আপন মামা বাবা হয়ে গেলেন? আর কিভাবে জীবিত স্বামীকে মৃত বানিয়ে হত্যা মামলা করা হলো? কিভাবে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ভুয়া বাদিরা একাধিক মামলায় নাম দিয়ে নির্দোষী মানুষদেরকে হয়রানি করেছে? এসব ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ এই চক্রের সবাই দেশ ও জাতির শক্র, এসব মামলায় মোটা অংকের অর্ধ যাচ্ছে ভুক্তভোগীদের পকেট থেকে। একাধিক মামলার আসামী সায়েব আলী জলিলরা ভুয়া বাদী হয়ে নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে, এবার “বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল”।
    জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫৩ জনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর সেই লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ, কয়েকজন সাবেক এমপি মন্ত্রী, পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ও মামলা দায়ের করাসহ আশুলিয়া থানায় অসংখ্যক মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর আশুলিয়া থানায় ৭১টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, ৪১টি হত্যা মামলা, ৮টি ডাকাতি মামলা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ব্যক্তিকে আটক করলেও অন্যদেরকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। উক্ত অপরাধের ধরণে বলা হয়েছে, এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে ১০ নং আসামিদের নির্দেশ পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাদের হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নিমুর্ল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠনের অপরাধ করে। (যাদেরকে আসামি করা হয়েছে), তারা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মাদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক আইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক অতিরিক্ত এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার (ওসি) এএফএম সায়েদ, (ওসি তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কনস্টেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের সদস্যরাও আসামী হয়েছে এসব মামলায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৫৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নং আসামীসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অনেক হত্যা মামলা করা হয়, আশুলিয়া থানায় একটি মামলা নং ২৬। তারিখ: ২২/০৮/২০২৪ইং। ছাত্র-জনতা সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ইং আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর ও লুট করা থেকে শুরু করে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর, ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে কিন্তু ভুয়া বাদী মামলাকারীরা মামলা বাণিজ্য করেছে। এসব মামলার আসামি কিছু পুলিশ সদস্য, এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছেন।
    এ ব্যাপারে অনেকেই ধারণা করছেন যে, আশুলিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর দখল, আশুলিয়া থানা ভাংচুর ও সরকারি অস্ত্র লুট অগ্নিসংযোগকারীরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় অনেকেই অপপ্রচার চালায় ওমুকের গুলি লাগছে, ওমুকে আহত হয়েছেন, এসব লোকজনের গুলিবিদ্ধ কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি, তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে কোথায় কি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন? পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন শহীদ হওয়া ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। সূত্র জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে, তাদের কাছে পুরো আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার মানুষ জিম্মি। কিছু অপরাধী আছে যারা নিজের অপরাধ আড়াল করতে অপহরণ, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে, তারা আবার থানায় গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন তথ্য রয়েছে। আশুলিয়ার বাইপাইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে যারা এই গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই শহীদদের পরিবার সঠিক বিচার পাবেতো?। প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলো, কিছু অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হলেও যারা নির্দোষী মানুষকে হয়রানি করছে তাদেরকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। যেমন: তাদের মধ্যে সায়েব আলী ওরফে আব্দুল জলিল পৃথক ব্যক্তি নাকি সায়েব আলীই জলিল? আর সায়েব আলী জলিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে, এর আগে র‍্যাব-৪ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ জলিলকে গ্রেফতার করেন এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়, এরপর জামিনে এসে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে গত ১৩ মার্চ২০২৫ইং আদালতে অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আব্দুল জলিলকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে হত্যা মামলার ভুয়া বাদী আব্দুল জলিল এর বিরুদ্ধে দেশ টিভি’র ৫ মিনিট ৩ সেকেন্ডের নিউজ প্রকাশ হয় এবং এরপর যমুনা টিভি’র ৩৮ মিনিট ২ সেকেন্ডের বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার ভুয়া মামলার একটি সূত্রঃ সি, আর মামলা নং ১১৪৬/২০২৪ ধারাঃ ৩০২/১০৯/১১৪/১২০(খ)/৩৪ দণ্ডবিধি। আশুলিয়া থানার মামলা নং ১৫। তারিখ ০৮/০৯/২০২৪। এখানে মোঃ সাহেব আলী (৪৪) পিতা মোঃ আনজুর প্রামানিক, মাতা-মোছাঃ রাবেয়া খাতুন, সাং সাভার ফরিদপুর, পোঃ বওয়ারী পার, থানা ফরিদপুর, জেলা পাবনা। বর্তমান- খেজুরবাগান, থানা আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা। জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৩২৮১৩৮২৭৩৩। মোবাইল নং-০১৬৪১১৪৮৬০১। আশুলিয়া থানা পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, অপরাধীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এইসব প্রতারকদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জামগড়া এলাকার বাসিন্দা মাহি নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমি কোনো রাজনীতি করিনা, আমার কোনো পদ পদবী নেই, একটি মামলায় ২০ নং আসামী করেছে দালাল চক্র। এই মামলার বাদীকে মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেন না, অনেকেই বলছে এটা ভুয়া বাদী তাই ফোন রিসিভ করেন না। পিবিআই ও আশুলিয়া থানা পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করেছেন, তারা মানবিক পুলিশ তাই আমাকে বলেছেন যে, আপনার কোনো চিন্তা নাই, আমরা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনবো আর যারা দোষী না তাদেরকে হয়রানি করা হবে না।
    আশুলিয়ার বাইপাইলে গত ৫ আগস্ট শহীদ হন আশুলিয়ার সিটি ইউনিভাসিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসসি) প্রথম বর্ষের ছাত্র- সাজ্জাদ হোসেন সজল। সজলের মা মোছাঃ শাহিনা বেগম এর কাছে তার ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে সজলকে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি। সেই সাথে আমার ছেলেসহ যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। উক্ত ব্যাপারে (পিবিআই), ডিবি, পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশুলিয়া থানায় ৫ আগষ্টের পর ৪-৫ জন ওসি রদবদল হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজন ওসি ক্লোজ, একজন হত্যা মামলার আসামী হলেও চট্রগ্রামে চাকরি করছে, চলমান ওসি মনিরুল হক ডাবলু ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ থেকে পুলিশে আসছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়, এরপর তার পরিবর্তে সোহরাব আল হোসাইন ওসি আশুলিয়া থানায় আসার দেড় মাসের মাথায় চলে যেতে হয়েছে। সচেতন মহলের দাবী-ভুয়া বাদীর মামলা বাতিল করাসহ অপপ্রচারকারী ও ভুয়া বাদী প্রতারক চক্রকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে যারা ছাত্র আন্দোলন করেছেন তারা এখন রাজনৈতিক নেতা হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে সমন্বয়ক থেকে পদত্যাগ করেছেন, অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন, দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিন হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, ছাত্র-জনতা প্রায় ৬ শতাধিক শহীদ বা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারা কি এই ক্ষতিপুরুণ পাবেন? যারা সাধারণ মানুষ মামলায় হয়রানি হয়েছেন এবং মোটা অংকের টাকা খরচ করেছেন, তাদের জন্য সরকার কি কোনো সহযোগিতা করবেন?। বর্তমানে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন না থাকায় (ওসি তদন্ত ভারপ্রাপ্ত) কামাল দায়িত্ব পালন করছেন, অপরাধী সে যেইহোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানায়।
    বাংলাদেশে মোট মামলার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ১৬৮টি এর মধ্যে আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি মামলা বাণিজ্য হয়েছে, এখানে ভুয়া বাদির ভুয়া মামলায় সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলের দাবী। এবার দেখা যাবে আশুলিা থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নান সাহেব কতদিন এই আশুলিয়া থানায় দায়িত্ব পালন করতে পারেন, আশুলিয়াবাসী তার কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন। সারা দেশের ওসিদের নিয়ে কারো কানো মাথা ব্যথা নেই অথচ শুধু আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে নিয়ে কেন এতো নাটক হচ্ছে? একটি মহল বর্তমান সরকারের বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে, তদন্ত করে দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা দরকার।##

  • দেশকে অস্থি-তিশীল করতে চাইলে আ.লীগের মতো বিতা-ড়িত করা হবে-ভিপি নূর

    দেশকে অস্থি-তিশীল করতে চাইলে আ.লীগের মতো বিতা-ড়িত করা হবে-ভিপি নূর

    মহিউদ্দীন চৌধুরী,পটিয়া চট্টগ্রাম।।
    চট্টগ্রামের পটিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল হক নূর বলেছেন, “যারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের পরিণতিও হবে আওয়ামী লীগের মতো—জনগণের রায়ে তারা বিতাড়িত হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “পটিয়া ও আশপাশের উপজেলার যেসব ব্যাংকারকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

    শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এমদাদুল হাসান। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এডভোকেট আরিফুল হক তায়েফ।

    সভাপতির বক্তব্যে ডা. এমদাদুল বলেন, “সকল স্বৈরাচারী শক্তিকে রুখে দিয়ে এই দেশকে জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ সেই সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে লড়বে।”

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আমরা আগের যুগের ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’-এর কথা শুনেছি, কিন্তু গতকালের ঘটনাগুলো সেই যুগকেও হার মানিয়েছে। অতীতে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসন দেখেছি, বর্তমানে দেখছি চাঁদাবাজদের রাজত্ব। গণঅধিকার পরিষদের কেউ চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজিতে জড়িত নয়। আমরা মৃত্যুকে ভয় করি না, অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবসময় সামনে থাকি।”

    তারা বলেন, “দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েক হাজার ব্যাংক কর্মীকে কোনো পূর্বনোটিশ ছাড়া চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়। তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে এবং যারা এই অমানবিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

    তারা আরও বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজনে কাপনের কাপড় পরে রাস্তায় নামতে হবে। আমাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও এই সনদ বাস্তবায়ন করতেই হবে।”

    বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভিপি নূরের নেতৃত্বে ৩০০ আসনে ‘ট্রাক’ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে দেশের মাটি থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে।”

    সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা আবু তাহের, আবু হানিফ, জসিম উদ্দিন আকাশ, কামরুন নাহার ডলি, আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মিজান উদ্দিন আকাশ, লোকমান হোসেন, জুলাই বিপ্লবের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু তোহা, যুব অধিকার পরিষদের নেতা সৈয়দ প্লাবন, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আকতারুজ্জামান সম্রাট, পটিয়া উপজেলা আহ্বায়ক ডা. বি. কে. দত্ত, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আরাফাত (নবাব), ছাত্র অধিকার পরিষদের গোলাম সোবহান, মো. আকরাম হোসেন, মেহেদী হাসান সাকি, রায়হান আহমেদসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া এডহক কমিটির পক্ষ থেকে  আসিফ মাহমুদ কে ফুলেল শুভেচ্ছা

    কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া এডহক কমিটির পক্ষ থেকে আসিফ মাহমুদ কে ফুলেল শুভেচ্ছা

    তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,
    কুমিল্লা জেলা বারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া এডহক কমিটির পক্ষ থেকে ক্রীড়া মন্ত্রনালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় দায়িত্ব প্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিব মাহমুদ সজীব কে ফুলেল শুভেচছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া, সাংবাদিক খালেদ সাইফুল্লাহ ও তাজওয়ার ওহী। উপদেষ্টা কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার খোজ খবর নেন।

  • ফেনী জেলায় ব-ন্যা পরিস্থিতির অব-নতি; মোকা-বেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

    ফেনী জেলায় ব-ন্যা পরিস্থিতির অব-নতি; মোকা-বেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

    ফেনী জেলায় টানা ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ফেনী জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত ০৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক, ফেনী এর তত্ত্বাবধানে বন্যা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সেনাবাহিনীর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। এ প্রেক্ষিতে গত বছরের (২০২৪) ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতার আলোকে সর্বোচ্চ সহায়তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রস্তুতি কার্যক্রম গ্রহণ শুরু হয়েছে। পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার সেনা ক্যাম্প সমূহে ইতোমধ্যে ট্রাইশার্ক বোট, ওবিএম ইঞ্জিন এবং লাইফ জ্যাকেট মোতায়েন করা হয়েছে, যা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও জরুরী পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে সেনাবাহিনীর একটি চিকিৎসক দল জেলা সিভিল সার্জন এর সাথে সমন্বয় সভা করেছে। প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফেনী বন্যা মনিটরিং সেল হেল্পলাইন নম্বর ০১৮৯৮৪৪৪৫০০ এবং ০১৩৩৬৫৮৬৬৯৩ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

    দুর্যোগকালীন মুহূর্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • ডিসি-এসপি, সাংবাদিক ও গোয়েন্দাদের হুঁশিয়ারি দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত

    ডিসি-এসপি, সাংবাদিক ও গোয়েন্দাদের হুঁশিয়ারি দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত

    নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “ডিসি-এসপিরা চাপে পড়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে এখন ভালো ব্যবহার করছেন। কিন্তু হাসিনার পতন না হলে তারাই গণভবনে প্রমোশনের লাইনে দাঁড়াত।”

    রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে জুলাই পথযাত্রা শেষে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা সাংবাদিকদেরও নজরে রাখছি। জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে যাদের ভূমিকা ছিল, আমরা তা ভুলে যাইনি। বসুন্ধরার সাংবাদিকরা আবারো স্বৈরাচারকে বৈধতা দিতে মাঠে নেমেছে। তারা আরেকটি ১/১১ ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে।”

    তিনি আরও বলেন, “তরুণ সমাজ আর দালালি করতে চায় না। বাবারা যখন ব্যর্থ হয়েছেন, তখন সন্তানেরা রাস্তায় নেমেছে। যারা সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তারা আসলে জেন-জির বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমাদের কোনো লুটপাটের ব্যাংক নেই। আছে মানুষের ভালোবাসা, আর সেটির জন্য আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।”

    প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বলেন, “১৬ বছরের ডিসি-এসপিরা কী পরিণতি ভোগ করেছে তা ভুলে যাবেন না। স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নিলে বাংলাদেশে আর আপনাদের ঠাঁই হবে না। আপনারা এনসিপি বা আওয়ামীপন্থী হন না কেন, জনগণের পক্ষে থাকতে হবে।”

    রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তারা বিদেশি ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হলেও দেশের ভেতরে বসে রাজনৈতিক দল খোলার খেলায় মেতে থাকে। আমরা তাদেরও নজরে রাখছি।”

    হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা ক্ষমতার জন্য আন্দোলন করছি না। বিচার ও সংস্কার ছাড়া ভোটের নামে প্রহসন চললে আমাদের বুকের ওপর দিয়েই গুলি চালাতে হবে। আমরা নির্বাচন চাই, কিন্তু সেটা জুলাই ঘোষণাপত্র ও সংস্কারের ভিত্তিতে।”

    এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • বান্দরবানে কেএনএফ সশ-স্ত্র সন্ত্রা-সী গোষ্ঠীর বিরু-দ্ধে সেনাবাহিনীর সফল অভি-যান

    বান্দরবানে কেএনএফ সশ-স্ত্র সন্ত্রা-সী গোষ্ঠীর বিরু-দ্ধে সেনাবাহিনীর সফল অভি-যান

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ।।

    ঢাকা, ০৩ জুলাই ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): আজ আনুমানিক ভোর ৫ টায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পলিপাংসা-মুলফিপাড়া এলাকায় ‘কেএনএফ’ এর সশস্ত্র দলের বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান এলাকায় তল্লাশি চলাকালে সেনা সদস্যরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেএনএফ সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষে মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে, সেনা টহল দল ঘটনাস্থলে ইউনিফর্ম পরিহিত দুইজন সশস্ত্র কেএনএফ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের নাম পুটিং/ডলি যিনি কেএনএফ-এর নেতৃত্ব পর্যায়ের মেজর পদবির সশস্ত্র সদস্য ছিলেন। নিহত আরেকজন কেএনএফ এর সশস্ত্র শাখার সদস্য ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে ৩টি সাবমেশিনগান (SMG), ১টি রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, অস্ত্রের ম্যাগাজিন, কেএনএফ-এর ব্যবহৃত ইউনিফর্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

    বিগত বছরগুলোতে কেএনএফ-এর সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের জন্যে বম জনগোষ্ঠীর অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সেনাবাহিনীর অব্যাহত সফল অভিযানের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়; যার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১২৬টি পরিবার তাদের নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও পূনর্বাসনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে।

    পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর এবং ভবিষ্যতেও সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যহত থাকবে।

  • তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সুজানগর পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা

    তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সুজানগর পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা

    এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃত্ততা বৃদ্ধির লক্ষে সুজানগর পৌর বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর পৌর বিএনপি’র কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সুজানগর পৌর বিএনপি’র সভাপতি কামাল হোসেন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপি নেতা তোরাব আলী, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ, হাবিবুর রহমান রব, আব্দুল মজিদ শেখ, ইদ্রিস আলী, ,রশিদ, ফারুক শেখ মুক্তার শেখ, হযরত আলী, লিটন খান, লতিফ মন্ডল, আব্দুল হাই, খন্দকার বাবু, বন্দের মোল্লা, জিয়া মোল্লা, মোকছেদ, রহমান শেখ, বাবু খান, সোহেল শেখ, হাসেম শেখ,হাকিম, যুবদল নেতা রেজা বিশ্বাস ও ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান প্রমূখ। মতবিনিময় সভায় সুজানগর পৌর ও ওয়ার্ড বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।সভায় সুজানগর পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, দেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে এ দেশের সাধারণ মানুষ। তারাই ঠিক করবে বাংলাদেশ কোন পথে চলবে। আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর ধরে মানুষের ওপরে যে কর্তৃত্ব চাপিয়ে দিয়েছে, বিএনপি তা বিশ্বাস করে না। বিএনপি জনগণের মতামত নিয়েই একটি মানবিক ও ন্যায়ের সমাজ গড়তে চায়।এ সময় তারা আরো বলেন, পাবনা ২ আসনের আমাদের নেতা কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের নেতৃত্বে এবং তিনি যে নির্দেশনা দেবেন তা বাস্তবায়নে পৌর বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে ইনশাল্লাহ ।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর (পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নিরাপ-ত্তা নিশ্চিত করতে হবে

    সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নিরাপ-ত্তা নিশ্চিত করতে হবে

    হেলাল শেখঃ দেশের গণমাধম-সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পত্রিকা ছাপাতে লাগে প্লেট ও কাগজসহ বিভিন্ন মালামাল, এসবের দাম বৃদ্ধির কারণে সংবাদপত্র ছাপানো ও চালানো কঠিন। সেই সাথে প্রকৃত সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা করাও অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। এর জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই, যেখানে সেখানে সাংবাদিক হামলার শিকার হচ্ছেন এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। মানবাধিকার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ জেনেও কেন মানুষ প্রায় সবখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন? সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলা করা হচ্ছে কেন। ২০২৪ইং ৫ আগষ্ট গণহত্যা মামলার ভুয়া বাদি কতর্ৃক সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করছে একটি মহল।
    সাভার আশুলিয়ায় অনেক সাংবাদিকের নামে মামলা করায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব মামলার ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ অনেকেই আছে। এক দুইজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও তারা জামিনে এসে আবারও সেই অপকর্ম করে। তারা কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো বিএনপি, কখনো অন্য পরিচয়ে প্রতারণা করে মানুষকে হয়রানি করছে, এসব ঘটনার বিষয়ে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন: এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি সাহেব ও মহামান্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। বিশেষ করে ২০২৪ইং জুলাই ও ৫ আগষ্ট পর্যন্ত মানুষের রূপরেখা ছিলো একরকম আর বর্তমান সময় ও পরিস্থিতি ভিন্ন রকম,তবে সব পুলিশ খারাপ নয়, এক দুইজন খারাপ-বাকীটা ইতিহাস। খুবই দুঃখজনক যে, সাংবাদিক শিক্ষার্থীদের পক্ষে গত ৪ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখ সংবাদ প্রকাশ করেছেন তার বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। “সাংবাদিকরাতো কোনো চোর ডাকাত নয়” তাদের উপর কেন এই নৃশংস হামলা ও মামলা করা হয় তা জাতি জানতে চায়, পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকের ভূমিকা কি?।
    দেশের বিভিন্ন থানার কিছু পুলিশের স্বার্থে আঘাত লাগলে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। কিছু পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজি ও ফিটিংবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে আর সেই বিষয়ে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করলেই সমস্যা, সেজন্য ষড়যন্ত্র করে মামলা দেয়া হয়। সাংবাদিককে আটকের পর তার কাছে থাকা কলম ক্যামেরাসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে থাকে কিছু পুলিশ অফিসার। এরপরও যদি প্রকৃত সাংবাদিক আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়, তাকে আবার সাজা দেওয়ার জন্য মিথ্যা সাক্ষী তৈরি করে আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার কৌশল করা হয়, ভুয়া বাদি বা ভুয়া মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করে পুলিশ। তবে সব সাংবাদিক বা সব পুলিশ খারাপ নয়। মানবিক পুলিশ সদস্য ও প্রকৃত সাংবাদিক আছেন বলেই সাধারণ মানুষ এখনো আইন আদালতের প্রতি সম্মান করেন। বিশেষ করে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে বিভিন্ন হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হন।
    প্রকৃত সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে কাজ করেন। সাংবাদিক কতো প্রকার? তার হিসাব নাই। তবে ১ থেকে ১৮ প্রকার সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে, ১। সাইনবোর্ড সাংবাদিক, ২। আইডি কার্ড সাংবাদিক,৩। ভুয়া সাংবাদিক, ৪। প্রেসক্লাব সাংবাদিক, ৫। বহুমাত্রিক সাংবাদিক, ৬। কথাসাহিত্যিক সাংবাদিক, ৭। দলীয় সাংবাদিক, ৮। ভবিষ্যতদ্রষ্টা সাংবাদিক, ৯। মৌসুমী সাংবাদিক, ১০। শখের সাংবাদিক, ১১। অপসাংবাদিক, ১২। স্বার্থপর সাংবাদিক, ১৩। বঞ্চিত সাংবাদিক, ১৪। লাঞ্ছিত সাংবাদিক, ১৫। কাঙ্খিত সাংবাদিক, ১৬। সেলফি সাংবাদিক, ১৭। প্রকৃত সাংবাদিক। ১৮। মূলধারার সাংবাদিক। আর প্রকৃত সাংবাদিকরা প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির সেবা করে যাচ্ছেন। তবে সেই ত্যাগী সাংবাদিকরা কি পাচ্ছেন? কেন সাংবাদিকতায় আসছেন বেকার মানুষগুলো? সত্যি কথা বললে বা সংবাদ প্রকাশ করলে সেই সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা ও তাদের উপর নৃশংস হামলা করা হয়, এমনকি সাংবাদিক কোনো রাজনৈতিক নেতার সাথে ছবি তুললে সেই ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার করা হয়, কিছু মানুষ নামের অমানুষ কুলাঙ্গাররা এসব করে থাকে, এসব খুবই খারাপ। সাংবাদিকরা কোনো চোর ডাকাত নয়, বা বড় দুর্নীতিবাজ নয় যে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে সাজা দিতে হবে, ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কে কেমন সাংবাদিকতা করেছেন আর এখন কেমন সাংবাদিক তা ভাবনার বিষয়।
    সূত্র জানায়, সারাদেশেই নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সুষ্টি করছে কিছু পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক। এক থেকে ১৮ প্রকার সাংবাদিক কিন্তু কিছু পুলিশ সদস্যের নাম্বার নাই বা দিলাম। সেই সাথে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা, আশুলিয়া থানা, মিরপুর থানা, যাত্রাবাড়ি থানা, বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানাসহ সারাদেশে প্রায় অনেক থানায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক, সেই অর্থে সাংবাদিকদেরকে কেন অপহেলা করাসহ অপমানিত করা হয়? কেন হয়রানি করা হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে?। অর্থ ও স্বার্থের জন্য মানুষ যদি অমানুষের পরিচয় দেন এটা খুবই লজ্জাজনক। সাংবাদিকদের পেশা যেন মানুষের সেবা করাই তাদের একমাত্র ধর্ম। যারা কাজ করেন তাদের ভুল হতেই পারে কিন্তু ছোট একটা ভুল করলে সাংবাদিকের উপর বড় ধরণের হামলা, মামলা করা হয় কেন?। থানায় ডেকে নিয়ে বা রাস্তা থেকে ধরে নিয়েই বিভিন্ন মামলা দেয়া হয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। আশুলিয়ায় সায়েব আলী জলিল গংদের ভুয়া বাদী সেজে মিথ্যা ও ভুয়া মামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিক নেতারা। বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন পুলিশ বাহিনী এটা যেমন সত্য তেমনি সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এটাও বাস্তব। সরকার পুলিশকে বেতন ভাতা দিলেও তারা চাঁদাবাজি, ফিটিংবাজি করেন কেন?, সাংবাদিকরা পাচ্ছেন না সরকারি কোনো সম্মানি ভাতা, অনেক প্রতিষ্ঠান সাংবাদিককে ঠিকমতো বেতনও দেন না। ভালো কাজ করলে বলা হয় এটা তাদের দায়িত্ব, সামান্যতম ভুল করলে তাদেরকে বড় গালাগালি দেওয়া হয়। সব পুলিশ খারাপ না, কিছু পুলিশ সদস্য খারাপ তাই পুলিশের বদনাম হয়। মানবিক পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিক ঘর থেকে বাহিরে বের হলে বা ডিউটিতে গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অনেক চিন্তায় থাকেন যে, নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারবে কিনা? অনেক সময় তাদের লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে হয়। সবকিছু মিলে সংবাদপত্র ছালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, পত্রিকায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালালে সেই সাংবাদিককে দাদাল বলে কিছু মানুষ নামের কুলাঙ্গাররা। প্রকৃত সাংবাদিকতা করা কঠিন হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচার হয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, এটাও সমস্যা।
    দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র‍্যাব বাহিনী যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুনী, ধর্ষণকারী, অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতার করেন এবং ভিকটিম উদ্ধার করাসহ অনেক কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন এর জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে কিছু লোকজন অভিমত প্রকাশ করেন যে, পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট হলেও সেই অর্থে তুলনামূলক ভাবে সেবার মান বাড়ছে না। সূত্রমতে, ঢাকা বিভাগের সকল থানায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে,এতে যেমন প্রশংসা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের। তবে কিছু থানা পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে পুলিশ বাহিনীর বদনামও হচ্ছে কিন্তু এই দায় নিবে না মানবিক পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ধুলাবালির সাথে থেকে প্রতিদিন অনেক কষ্টের মধ্যে ডিউটি করেন, তাদের সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের থানায় পুলিশের তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও মফস্বল এলাকা থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় আসার জন্য পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে থাকেন। এর অনেক কারণও রয়েছে। মফস্বল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নানারকম সমস্যা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। পুলিশের থাকা খাওয়ার সমস্যা। অনেক সময় জরুরি কাজে গাড়ি না পাওয়াসহ নানারকম সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যেদের অনেক কষ্ট করে ডিউটি করতে হয়, তাদের অনেকেই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এমন অনেক তথ্য রয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, অনেক ইউনিটে চাহিদার চেয়ে অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে দৈনন্দিন কাজ চালানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীতে। বেশিরভাগ ইউনিটি ও থানার নিজস্ব কোনো ভবন নেই, আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। অনেক সময় জরুরি অভিযান পরিচালনার জন্য গাড়ি পাওয়া যায় না। দুঃখজনক বিষয়ঃ সাধারণ মানুষ অনেকেই বলেন, ডাকঢোল পিটিয়ে রং বে-রঙের বেলুন উড়িয়ে পুলিশ বাহিনীতে নতুন নতুন ইউনিটির যাত্রা শুরু হয় কিন্তু সেবার মান বাড়েনি।
    আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, দেশে মানবাধিকার কর্মী বা সাংবাদিকের অভাব নেই কিন্তু কেউ তারা ঐক্যবদ্ধ না থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। রাজধানী ছাড়াও যেমনঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। এই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও তদন্ত ওসিসহ ৪০ জনের মত অফিসার রয়েছেন। দেখা যায়, বেশিরভাগ পুলিশ অফিসারগণ ভাড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। আশুলিয়ায় সাংবাদিক সংগঠনগুলোরও নিজস্ব জায়গা নেই। ১৬-১৭ বছর আগের পুলিশ আর বর্তমান সময়ের পুলিশ একরকম নয়। সরকার যেমন পুলিশের বেতন বৃদ্ধি করেছে, তেমনি পুলিশের কষ্টও বাড়ছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য জানান, পুলিশ সদস্য ভালো কাজ করলে পাবলিক বলে এটা পুলিশের দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ সদস্য ছোট কোনো ভুল করলে তাদেরকে অনেক সময় বড় ধরণের শাস্তি দেয়া হয়, এমন কি চাকরি চলে যায়। বাংলাদেশের “প্রশাসনিক কাঠামো” ৬টি থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ৮টি বিভাগ ও ৬৪ জেলা করা হয়েছে। ৬৪ জেলায় ৮৬,৬০৮টি গ্রাম। ১৯৭১ সালে মাত্র ৭কোটি জনগণ ছিলো, যা বর্তমানে প্রায় ১৮কোটির মত জনগণ হয়েছে। মানুষ বাড়ছে, ঘর বাড়ি বাড়ছে, ইটভাটা বাড়ছে, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট বাড়ছে, পুলিশ সদস্যও বাড়ছে, কিন্তু সেই অর্থে কি সেবার মান বাড়ছে?। দেখা যাক ২০২৫ইং সাল কেমন যায়। সামনে আগামী জাতীয় সংসদ জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় পুরো জাতি। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যা হয়নি তা ঘটেছে ২০২৪ইং ৫ আগষ্টে পুলিশকে হত্যা করে ওভার ব্রীজে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছিলো, সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে, ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। সিসিটিভি ভিডিও ও মোবাইল নাম্বার ট্যাকিংসহ কার মোবাইল নাম্বারে কি কথা হয়েছে? এসব তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের সাজা নিশ্চিত করা এবং যারা দোষী নয় তাদেরকে মামলা থেকে নাম বাদ দিয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করা দরকার। সবার দাবী প্রকৃত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আটকের পর আইনের আওতায় আনা হোক। আর সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তা নাহলে দেশ ও জাতির সমস্যা আরো জটিলতা বাড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।##