Category: জাতীয়

  • চাটমোহরে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি তুহিনের গণসংযোগ

    চাটমোহরে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি তুহিনের গণসংযোগ

    পাবনা প্রতিনিধিঃ

    পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। তিনি একাধিক পথসভায় বক্তব্য দেন এবং ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন।

    রবিবার (২৭ জুলাই) হাসান জাফির তুহিন চাটমোহর উপজেলার রেলবাজার এলাকার সাপ্তহের বড় হাট অমৃতকুন্ডা সহ পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। এরআগে গত শুক্রবার ও শনিবার তিনি ফৈলজানা, পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নসহ ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গণসংযোগ করেন। এসময় ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এ্যাড. আরিফা সুলতানা রুমা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আঃ রহিম কালু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল করিম তারেক, পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আরশেদ, বিএনপি নেতা ভিপি সেলিম রেজা, অধ্যক্ষ মাহমুদুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, লিখন বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ফুলচাঁদ হোসেন শামীম, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোন্তাজ আহমেদ, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক লিটন বিশ্বাসসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠণের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    তোফাজ্জল হোসেন বাবু, পাবনা।।

  • পুলিশ মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আইজিপি বাহারুল আলম

    পুলিশ মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আইজিপি বাহারুল আলম

    কে এম সাইফুর রহমান,
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    “সততা, পরিশ্রম আর স্বপ্ন জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করে”
    বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, বিপিএম বলেছেন, সততা, পরিশ্রম আর স্বপ্ন জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করে।

    আইজিপি আজ শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত সদস্যবৃন্দের কৃতি সন্তানদের ”বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২৩” প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) ও অতিরিক্ত দায়িত্বে (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) আবু নাছের মোঃ খালেদ, বিপিএম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এআইজি (এডুকেশন, স্পোর্টস অ্যান্ড কালচার) শামীমা পারভীন। কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস) শাহাজাদা মোঃ আসাদুজ্জামান এবং ডিএমপির কনস্টেবল মোঃ হযরত আলী। বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারী মোঃ নওরোজ ইসলাম যুবরাজ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্ব লাভকারী ইয়ানা আঞ্জুম বক্তব্য রাখেন।

    মেধাবী সন্তানদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, জীবন সবসময় সোজা পথে চলে না, কখনো সাফল্য, কখনো ব্যর্থতা এ দুই জীবনের প্রকৃত রূপ। ব্যর্থতা এলে তোমরা কখনো ভেঙে পড়বে না বরং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরো দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে চলবে। মনে রাখবে, তোমাদের অদম্য মেধা, আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন, পাহাড় সমান দৃঢ়তা একদিন পৌঁছে দিবে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে যেখানে দাঁড়িয়ে পুরো পৃথিবী তাকাবে অবাক বিস্ময়ে।

    তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের সন্তানেরা বড় হবে, তারা আরো কৃতিত্বপূর্ণ কাজ করবে। শুধু পড়াশোনায় নয়, তারা বাস্তব জীবনে কর্মক্ষেত্রেও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে। আমাদের দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে উঠবে।

    তিনি বলেন, আমি চাই এ শিশুরা, এ তরুণরা হোক আগামী দিনের আদর্শ দেশপ্রেমিক, মানবিক ও কর্মনিষ্ঠ নাগরিক। তারা হোক নৈতিক নেতৃত্বের প্রতীক, হোক সাহস ও সম্ভাবনার আলোকবর্তিকা।

    অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, আপনাদের সন্তানদের সাফল্যের পেছনে আপনাদের অবদান অনস্বীকার্য। দায়িত্বের প্রয়োজনে পরিবারের পুলিশ সদস্যটি অনেক সময় সন্তানদের জন্য যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না। তবুও আপনারা সন্তানদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন এটা সত্যিকারের এক বিরল বিপ্লব বলে আমি মনে করি। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পুলিশের এ মেধাবৃত্তি কর্মসূচি কেবল পুরস্কার নয়, এটি একটি দৃষ্টান্ত।

    তিনি বলেন, পুলিশে চাকরি করে আপনারা আপনাদের সন্তানগুলোকে যেভাবে যত্ন করেছেন, খেয়াল করেছেন, স্কুলে পাঠিয়েছেন এবং তারা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল লাভ করেছে, এটা আমাদের জন্য গর্বের।

    সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) ও অতিরিক্ত দায়িত্বে (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) আবু নাছের মোঃ খালেদ বিপিএম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের মেধাবী সন্তানদের আজকের এ স্বীকৃতির মূল উদ্দেশ্য হল তাদেরকে অনুপ্রেরণা দেওয়া, তারা যেন দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে।

    পরে প্রধান অতিথি মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে গত ২১ জুলাই রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৭৩৬ জন এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫৩ জনসহ মোট ৮৯৩ জন মেধাবৃত্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২৪৮ জন এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৫০ জনসহ মোট ২৯৮ জনকে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্যদের সংশ্লিষ্ট পুলিশ ইউনিটে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

  • ডি-ভোর্সের পরও হে-নস্তা, ব্যবস্থা নি-তে চিঠি অতিরিক্ত ডিআইজির

    ডি-ভোর্সের পরও হে-নস্তা, ব্যবস্থা নি-তে চিঠি অতিরিক্ত ডিআইজির

    রক্সি খান,
    নিজস্ব প্রতিবেদক:

    অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও ফাহিমা আক্তার।

    সাবেক স্ত্রীর যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর চিঠি দিয়েছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

    অভিযুক্ত নারীর নাম ফাহিমা আক্তার। তিনি তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

    চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন জাঁকজমকপূর্ণ জীবনাকাঙ্খা, জীবনযাত্রায় উভয়ের রুচি ও চাহিদার অমোচনীয় বৈপরীত্য, স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর প্রতি নিদারুন অসম্মানজনক আচরণ ও ইচ্ছাকৃত অযত্ন অবহেলা, তীর অবাধ্যতা, আত্মীয়- অনাত্মীয় নির্বিশেষে পরিচিতজনদের নিকট মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসার বিস্তার ঘটাতে থাকা প্রকাশ্য অশান্তি ও বিশ্রী কলহ এবং ক্রমাগত চাপের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রের প্রচলিত সকল আইন বিধিবিধান ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিসেবে ধর্মীয় আচার ও রীতিনীতি প্রতিপালনপূর্বক সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে সজ্ঞানে নিরাময় অযোগ্য কারণে দীর্ঘদিনের অসুস্থ ও অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কের অনিবার্য পরিণতি হিসেবে সরকারি বিবাহ তালাক ও নিবন্ধন (কাজী) অফিসে তালাক প্রদানে বাধ্য হই।

    অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চিঠিতে লেখেন, এরপরেও বিভিন্ন সময়ে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমার আত্মীয় স্বজন, সহকর্মী, জুনিয়র ও পরিচিতজনদের কাছে চরম অসত্য, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর তথ্য ও বক্তব্য নানাভাবে প্রচার করে আমাকে কর্মস্থলে ও সামাজিকভাবে নিগৃহীত করার লক্ষ্যে অপমানকর পরিস্থিতি তৈরির অপরাধমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। এবং দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংঘটিত একান্ত ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও গোপনীয় তথ্যের অনৈতিক ও বেআইনী ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায়শই ব্ল্যাকমেইল করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়, যা চরম অশান্তিজনক, বিরক্তিকর ও মর্মপীড়াদায়ক।

    তিনি বলেন, ডিভোর্স নোটিশ প্রাপ্তি হতে চূড়ান্ত নিবন্ধন পর্যন্ত ৩ মাস সময়কালে উক্ত বিষয়ে ডিভোর্স সংক্রান্তে বা অন্যবিধ কোনো আপত্তি বা অভিযোগ সে কোথাও দাখিল করেনি। আনুষ্ঠানিক বা পারিবারিকভাবে কোনো অভিযোগ বা নিষ্পত্তির উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা না নিয়ে থাকলেও, তার সীমাহীন অর্থলিপ্সার বিষয়টি বিহিত করা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিল না। কারণ চাকরির আয়ের বাইরে আমার অন্য কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল না ও নেই।

    প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন যে, আমি চাকরিজীবনে কখনো কোনোরূপ দুর্নীতি করিনি বা অবৈধ উৎস উদ্ভূত অর্থ বা সম্পদ সংগ্রহ করিনি, যা আমার পরিবারসহ পরিচিতজন সকলেই সম্যকভাবে অবহিত। ফলে আমার সীমিত জ্ঞাত ও বৈধ আয়ের মধ্যেই ক্যান্সার সারভাইভার মাতার ব্যয়বহুল চিকিৎসাসহ সকল পারিবারিক চাহিদা প্রতিনিয়ত মেটাতে হয়।

    অতিরিক্ত ডিআইজি চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, তার চরম বিরক্তিকর মানহানিকর অসত্য বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডে আমি ভীতসন্ত্রস্ত এবং মানহানি ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন করার তার অপপ্রয়াস আমাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিচ্ছে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার, বৈধভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ও পারিবারিক জীবন পুনর্গঠন করার আইনি ও মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র সমাজ ও ধর্ম আমাকে উপযুক্ত কারণেই অবারিতভাবে দিয়েছে মর্মে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

    এসব ঘটনা উল্লেখ করে বর্ণিত বিষয়সমূহের উপযুক্ত ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তকে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত রাখতে ও উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করার বদৌলতে ন্যায়বিচার প্রাপ্ত হয়ে সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপন করতে সহায্য প্রার্থনা করেন তিনি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফাহিমা আক্তারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

    এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফাহিমা আক্তারের বড় ছেলে জয় বলেন, বিচ্ছেদের পরে আব্বু মাসে মাসে টাকা দিত, যতটুক দরকার আব্বু ততটুকই টাকা দিত। কম দিত না কখনো কিন্তু আম্মুর তাতেও হত না। অতিরিক্ত টাকার জন্য প্রেসার দিত। আমাকে বলতো যে তোর বাপ তো টাকা দেয় না। কিন্তু যা যা লাগছে সবই দিত। আমাকে আব্বুর থেকে টাকা চাওয়ার অন্য প্রেশার দিতো। তো এটা নেয়া যায় না। এরকম মাসের পর মাস চলতে থাকতো।

    তিনি বলেন, ঐরকম টক্সিক এনভারমেন্টে আমি থাকতে পারতেছি না, ওটা নিতে পারতেছি না। এজন্য আমি আমার ইউনিভার্সিটির পাশে বাসা নিয়ে একা থাকি।

    মায়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জয় বলেন, আম্মুকে নিয়ে আমি আগেও বলছি ফোনে বলছি এবং ফেস টু ফেস বলছি একই কথাআর এখনো যেটা বলব সেটা হচ্ছে আম্মু যে ভুলগুলা করছে এবং করতেছে প্রথমত সেটা ভুল আর অনৈতিক। উনি যে ভুলগুলো করতেছো বা যার ইনফ্লুয়েন্সে তুমি চলতেছ উনিও যে কিন্তু ভালো তাও না। একে তো ভুল ইনফরমেশনে চলতেছ আর ভুল ওয়েতে ডিমান্ড করতেছো। এটাতো লজিক্যালি ইথিক্যালি কোনোভাবেই ঠিক না। আর তোমার এই উল্টাপাল্টা প্রেসারে আমার একাডেমিক লাইফে প্রবলেম হইতেছে পার্সোনাল লাইফে তো শুরু থেকেই প্রবলেম যাইতেছে আমার সাথে। আমি আগেও বুঝেছি এগুলা বন্ধ করো এগুলা করলে কিছুই হবে না তোমার লস আমারও লস। কিন্তু সিচুয়েশন।

    তিনি আরও বলেন, রিয়া জোয়ার্দার নামে একজনের সাথে আমার আম্মুর আগে যে কথা হয়, উনার সাথে যেরকম ভাবে কথাবার্তা বলতেছে আমার মনে হয় উনার ইনফ্লুয়েন্সেই আম্মু এরকম করতেছে। উনাদের মেইন কনসার্ন হচ্ছে আব্বুর থেকে টাকা বা প্রপার্টি কিভাবে আনা যায়। সেটা যেভাবেই হোক, ওনাদের এই একটাই গোল।

  • আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করি যেখানে বি-মানের ফি-টনেস থাকেনা – নাহিদ ইসলাম

    আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করি যেখানে বি-মানের ফি-টনেস থাকেনা – নাহিদ ইসলাম

    কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:
    বিচার, সংস্কার ও দেশ পূর্ণ গঠনের লক্ষ্যে এবং নতুন দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র সুনামগঞ্জে পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ২ ঘটিকায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায় শেষে ,সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করে শহরের প্রদান প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলফাত স্কয়ার উদ্দিন (ট্রাফিক পয়েন্ট) এসে সমাবেশে মিলিত হন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
    এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন
    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, উত্তরাঞ্চল কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম,দক্ষিণ অঞ্চল কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন , কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিনাঞ্চলের যুগ্ম আহব্বায়ক অনিক রায়, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাঠোয়ারী, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, এনসিপি’র জেলা সমন্বয়কারী দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
    সমাবেশে নাহিদ ইসলাম বলেন ৫ই আগস্ট গণভবনে গিয়েছিলাম, যে লক্ষে মার্চ টু ঢাকা করেছিলাম সেই লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা বিপ্লব ও গণঅভ্যূথানের মধ্যে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছিলাম, আমরা এখন গণতান্ত্রিকভাবে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি আরও বলেন আমরা ফিটনেস বিহীন রাষ্টে বসবাস করি , যে দেশে মানুষের ফিটনেস নেই, গাড়ির ফিটনেস নেই, বিমানের ফিটনেস নেই,রাষ্ট্রের ফিটনেস নেই, আমরা ফিটনেস বিহীন রাষ্ট্রের ফিটনেস ঠিক করতেই বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠন করেছি। আগামীতে এদেশকে সংস্কার করে একটি সুন্দর বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জনগনের সাথে কাজ করে যাবে। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন এবং আগামী নির্বাচনে এদেশের মানুষ জাতীয় নাগরিক পার্টিকে ক্ষমতা বসাবে বলে ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।##

  • জাতির উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের বার্তা

    জাতির উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের বার্তা

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতির উদ্দেশ্যে এক বার্তা দিয়েছেন যা নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো।

    ” শোকের সময়ে আমি সকল গণতন্ত্রপন্থী সহযোদ্ধাদের প্রতি শান্ত ও সংহত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

    বিভেদমূলক সংঘাত বা মব উচ্ছৃঙ্খলতা বন্ধ করার লক্ষ্যে সহনশীলতা ও আত্মসংযমের উপর ভিত্তি করে আমাদের একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

    নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের কিছু সদস্যদের নিয়ে জনতা ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্বেগজনক খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই সকল গোষ্ঠীকে অনুরোধ করবো— বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন একটি শোকাবহ মুহূর্তকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।

    এর পরিবর্তে জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সহানুভূতি ও একতা প্রদর্শনের দিকে আমাদের মনোযোগ দেয়া উচিত। আমাদের শক্তি ব্যয় হোক- নিখোঁজ প্রিয়জনদের খুঁজে বের করা, নিহতদের সঠিকভাবে হিসাব করা, আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং বিমান দুর্ঘটনার মূল কারণ নির্ধারণে কর্তৃপক্ষকে সুষ্ঠু তদন্তের সুযোগ করে দেওয়ার কাজে।

    প্রাণহানির শিকার নিরীহ ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারগুলোর পাশে আমাদের হৃদয়ের সকল অনুভূতি। বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং প্রতিটি সঙ্কটকে সংহতি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।”

  • উত্তরায় যু-দ্ধবিমান বি-ধ্বস্ত–উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনাকালে অ-নভিপ্রেত ঘটনায় সেনার বিজ্ঞপ্তি

    উত্তরায় যু-দ্ধবিমান বি-ধ্বস্ত–উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনাকালে অ-নভিপ্রেত ঘটনায় সেনার বিজ্ঞপ্তি

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

    ঢাকা, ২২ জুলাই ২০২৫ (মঙ্গলবার): গতকাল, ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ বেশকয়েকজন নিরীহ নাগরিক হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা চালানো হয়।

    উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে। সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় সময়মতো আহতদের সরিয়ে নেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে, প্রাণহানির ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। সেনাসদস্যগণ সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। উল্লেখ্য যে, এই উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত ১৪ জন সেনাসদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালীন, বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উৎসুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধার কাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে, একদল উৎসুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থেকে পেশাদারিত্ব ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস

    সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

    ঢাকা, ২০ জুলাই ২০২৫ (রবিবার): গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (২০ জুলাই ২০২৫) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ১ম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।

    পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা শুরুতেই স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদ, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদের, যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। এছাড়াও, তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে সকল আহত ও শহীদ সেনা সদস্যদের। একই সাথে তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ২০২৪ সালে জুলাই গণঅভ্যূত্থানে শহীদ ও আহত সকল ছাত্র জনতাকে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও, সৎ, নীতিবান, পেশাদার এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া, রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন স্তরে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সে সকল অফিসারদেরকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীন শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও দূর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে সেনা সদস্যগণ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব বেশ কিছু সময় ধরে পালন করে যাচ্ছেন। দেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ত্যাগের জন্য তিনি সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি এবং চীফ অব জেনারেল স্টাফ। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।

  • সেনাবাহিনীর লোগো সম্বলিত যানবাহন বহির্ভূত উৎসের – সেনার ভা-বমূর্তি ক্ষু-ণ্ন করার অ-পচেষ্টা

    সেনাবাহিনীর লোগো সম্বলিত যানবাহন বহির্ভূত উৎসের – সেনার ভা-বমূর্তি ক্ষু-ণ্ন করার অ-পচেষ্টা

    সম্প্রতি, সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট এ দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।

    বাস্তবতা হলো, সেনাবাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বহির্ভূত উৎস থেকে অস্থায়ীভাবে কিছু বেসরকারি গণপরিবহন ভাড়া নেওয়া হয়। অনেক সময় এসকল বাসে অস্থায়ীভাবে “Bangladesh Army” লেখা বা লোগো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কিছু গণপরিবহন সেনাবাহিনীর সাথে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সড়কে কিছুটা সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেনাবাহিনীর নাম বা লোগো রেখে দেয় যা একটি আইন বহির্ভূত কাজ।

    একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য শেয়ার না করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং পেশাদারিত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

  • রাজধানীর বসিলায় সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম

    রাজধানীর বসিলায় সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম

    ঢাকা, ১৮ জুলাই ২০২৫ (শুক্রবার): গতকাল রাজধানীর বসিলা হাই স্কুল প্রাঙ্গনে অসহায় ও দুস্থ ব্যক্তিদের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মেডিসিন, সার্জিক্যাল, চর্ম ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিম কর্তৃক প্রায় ৯ শতাধিক রোগীকে দিনব্যাপী চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়, যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু, নারী ও বৃদ্ধ।

    অসহায় মানুষের সেবায় তাদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত। জননিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকরী ভূমিকার পাশাপাশি এরূপ কল্যাণমূলক কার্যক্রমে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে।

  • হাসিনা নিজেই মুজিববাদের ক-বর দিয়েছেন – শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

    হাসিনা নিজেই মুজিববাদের ক-বর দিয়েছেন – শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

    নাজিম উদ্দিন রানা:

    বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, মুজিববাদের কবর দিতে হলে গোপালগঞ্জ যাওয়ার দরকার নেই। মুজিববাদের কবর মুজিববাদই দিয়েছে। ৭২, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ সালে এবং গত ১৭ বছর ধরে শেখ হাসিনা নিজেই মুজিববাদের কবর দিয়েছেন। আমাদের-আপনার আন্দোলনের মাধ্যমেই মুজিববাদের মৃত্যু হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, সকালবেলা যদি ইউএনওর গাড়ি, পুলিশের গাড়িও নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে, তাহলে পরবর্তী কর্মসূচি বা পদক্ষেপ কেমন হবে, তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবা উচিত। এই পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

    শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতন মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি” উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    এ্যানি চৌধুরী আরও বলেন, আওয়ামী লীগে সবাই হাসিনার সঙ্গে পালিয়ে যায়নি। অনেকেই অন্তত গোপালগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। গত এক বছর ধরে গোপালগঞ্জ সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। ৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। তাদের সাজোয়া যানে আগুন দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে, অস্ত্র হাতে মিছিল করেছে এবং প্রশাসনকে উপেক্ষা করেছে।

    অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ,বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার প্রমুখ।