Category: জাতীয়

  • বিএনপি জামায়েত জোট দেশে অরাজকতা সৃস্টি করছে-ফারুক খান এমপি

    বিএনপি জামায়েত জোট দেশে অরাজকতা সৃস্টি করছে-ফারুক খান এমপি

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : বিএনপি জামায়েত জোট দেশে অরাজকতা নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাস ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারেনি। তারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অব্যাহত চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি।

    আজ শনিবার (১১ ফেব্রুযারি) কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপি-জামায়েতর নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ফারুক খান এমপি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই চান গণতান্ত্রিকভাবে দেশে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও অবাধ এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক। জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন হবে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীকে এক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ করেন।

    কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোক্তার হেসেন, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ায়ামী লীগের সদস্য এম এ খায়ের মিয়া, কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী খোকন বক্তব্য রাখেন।

  • আজ পরোপকারী শংকর প্রসাদ চন্দ’র দ্বীতিয় মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ পরোপকারী শংকর প্রসাদ চন্দ’র দ্বীতিয় মৃত্যুবার্ষিকী

    বানারিপাড়া প্রতিবেদক।।
    আজ বিশিষ্ট সমাজ সেবক পরোপকারী দানশীল শংকর প্রসাদ চন্দ’র দ্বীতিয় মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০২১ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে হৃদ রোগ জনিত কারনে মৃত্যু বরন করেন। পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১০ই ফেব্রুয়ারী তাকে বানারীপাড়া তার নিজ পারিবারিক শ্বশানে দাহ্ করা হয়। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী ও দুই কন্য, এক পুত্র সন্তান সহ এক কন্যার পতি, দুই নাতনী ও তার ছোট দুই ভাইকে রেখে যান।

    উল্লেখ্য তিনি ছেলেবেলা থেকেই অনেক সংগ্রামের মধ্যেই জীবন কাটিয়েছেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই বাঙালি সংস্কৃতিতে বড় হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজে গান গাইতেন ও গান শুনতে পছন্দ করতেন। তিনি একাধারে বিশিষ্ট সমাজ সেবক, পরোপকারী ও দানশীল ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধি।

    তিনি ব্রিটিশ ভারত, পূর্বপাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হয়ে কাজ করেছেন। এছাড়াও পূর্ব পাকিস্তানের সময় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ই আগস্ট কালো পতাকা তুলে জেল খেটেছিলেন। এছাড়াও স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কাজ করেছেন। দেশ স্বাধীন হবার পর আশির দশকে এরশাদের উপজেলা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ১নং মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন,যা ওই সময়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের চেয়ে বেশি ভোট ছিলো। পাচঁ বছর মেম্বার পদে সুনামের সহিত দ্বায়িত্ব করে পরবর্তীতে পাচঁ বছর দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে সুনামের সহিত দ্বায়িত্ব পালন করে গেছেন।এছাড়াও তিনি সমাজ সেবায় বড় অবদান রেখে গেছেন তিনি হিন্দুদের জাতীভেদ রোধে বেশ কঠোর হয়ে কাজ করে গেছেন। যার ফলশ্রুতিত তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন বানারীপাড়া উপজেলার মাছরং গ্রামের সার্বজনীন মন্দির ও তিনি ছিলেন বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় সার্বজনীন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। যা হিন্দুদের সকলের জন্য অর্থাৎ হিন্দুদের জাতীভেদ ব্যতীত সার্বজনীন। এছাড়াও সমাজে তিনি সর্বদা হিন্দু ,মুসলিম ও অন্যান্য জাতীদের সম্পর্ক , সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। এছাড়াও তার কাছে কেহ সাহায্য নিতে আসলে তিনি আমৃত্যু কাউকে খালি হাতে ফেরাতেন না। এমনকি তিনি নিজে কষ্ট করেও অপরকে দান করতেন। তিনি সর্বদা অন্যের উপকারে ব্যস্ত থাকতেন। সমাজে তিনি পরোপকারী , দানশীল ও সমাজ সেবক বলে চিহ্নিত রয়ে গেছেন। আজও মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সহিত মনে যায়গা দিয়ে রেখেছেন। তার বিয়োগে আজও মানুষ আফসোস করে বেড়ায়।

    আজ তার দ্বীতিয় মৃত্যুবার্ষিকী। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার আত্মার শান্তি কামনার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা কামনা করেছেন তার স্ত্রী অঞ্জু চন্দ, বড় মেয়ে সোমা চন্দ,ছোট মেয়ে শর্মি চন্দ, নাতী কার্তিক দাস,নাতনী রাকা দাস,তার পুত্রবধু মিষ্টি চন্দ,নাতনী ভূমি দাস,বড় কন্যার পতি অ্যাডভোকেট ফনি ভূষন দাস, তার ভাই নারায়ন চন্দ,জহর চন্দ ও তার ছেলে পার্থ চন্দ।

  • মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হওয়ার পূর্বেই ইকোনমিতে গেমচেঞ্জার

    মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হওয়ার পূর্বেই ইকোনমিতে গেমচেঞ্জার

    কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হওয়ার কথা ২০২৬ সালে কিন্তু এরই মধ্যে বিগত ২ বছরে এ বন্দরে ভিড়েছে ১১২টি পণ্যবাহী জাহাজ। এছাড়াও এই ১১২ টি জাহাজ থেকে মোট ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

    প্রাথমিকভাবে এখানে শুধু একটি কয়লা জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শুরুর পর এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক বন্দর স্থাপনের সম্ভাবনা দেখে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

    ২০২০ সালের মার্চে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের অনুমোদন দেয়।

    এই চ্যানেলের গভীরতা বেশি হওয়ায় বিশ্বের যেকোনো বাণিজ্যিক বড় জাহাজ এই বন্দরে নোঙর করতে পারবে এবং লোড-আনলোড করার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে।

    তাই বাংলাদেশের ইকোনমিতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর’কে এক সময় গেমচেঞ্জার হিসাবে দেখা যাবে।

  • শহীদ যায়ান চৌধুরী স্মৃতি টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন

    শহীদ যায়ান চৌধুরী স্মৃতি টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন

    কে এম সাইফুর রহমান, ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ

    শহীদ যায়ান চৌধুরী স্মৃতি টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট -২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শহীদ যায়ান চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বনানীর শহীদ যায়ান চৌধুরী স্মৃতি মাঠে (বনানীর সাবেক খেলার মাঠ) এ টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম।

    মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন বাবুল, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান মফিজ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের নেতা এস.এম.রবিউল ইসলাম সোহেল।

    সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমাদ পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাব্বির আহমেদ, বাছাড় ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল কান্তি বাছাড়।

    শহীদ যায়ান চৌধুরী স্মৃতি টি -১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইমাদ পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেড, বাছাড় ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও প্রবাসী পল্লী গ্রুপ।

    এসময় সাবেক ছাত্রনেতা ফারহান আলম, গাজী তুষার আহমেদ বাঘা ও শ্রমিক নেতা ইকবাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা হবে – প্রধানমন্ত্রী

    স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা হবে – প্রধানমন্ত্রী

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট প্রশাসনের পাশাপাশি স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা হবে।

    রোববার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

    পুলিশের কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মুলে বাংলাদেশ পুলিশের অব্যাহত সাফল্য শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।করোনাকালীন সময়ে যখন আপনজনও পাশে ছিল না, সে সময় পুলিশ সদস্যরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার বিতরণ করেছেন। পুলিশের ৯৯৯ সেবা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর ফলে মানুষ সহজেই বিপদ আপদে পুলিশকে পাশে পাচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তুি রক্ষা মিশনে পুলিশের পুরুষ সদস্যদের পাশাপাশি নারীরাও সুনামের সাথে কাজ করছে।

    নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জনগণের সমস্যাকে একান্ত আন্তরিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। জনগণের মনে পুলিশ সম্পর্কে যেন অমূলক ভীতি না থাকে, সেজন্য জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি।

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের নির্ভীক পুলিশ সদস্যরা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিরও রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। একাডেমির দেশপ্রেমিক ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ হন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস পুলিশের নবীন কর্মকর্তারাও তাদের পূর্বসূরিদের ন্যায় দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও অসীম সাহসিকতার সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবেন।’

    আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের তিন মেয়াদে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এ দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও জনমানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ সেবা প্রাপ্তি সহজতর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, বৈদেশিক নীতি ও সম্পর্ক, গ্রামীণ ও নগর অবকাঠামো, ব্যবসা বাণিজ্য, সামাজিক নিরাপত্তা-প্রতিটি সেক্টরেই আজ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ এর মাধ্যমে মহাকাশেও আমাদের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে।’

    এর আগে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে পুলিশ একাডেমির হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি ১২ জন নারী সহ ৯৭ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অভিবাদন গ্রহণ এবং প্যারেড পরিদর্শনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী কর্মকর্তাদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদার পিন্সিপাল আবু হাসান মুহম্মদ তারিকসহ বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী।

  • নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদন্নোতি পেত না – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদন্নোতি পেত না – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকে : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। তদের (বিএনপি) নেতা জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদন্নোতি পেত না। তাহলে খালেদার নৌকার ওপর এত রাগ কেন?

    রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। এই রাজশাহীর কী অবস্থা ছিল? আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন। সেই ২০০১ সালের কথা চিন্তা করেন। তখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায়। প্রতিদিন এখানে খুন-হত্যা-জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-নারী ধর্ষণের রাজত্ব ছিল। এই রাজশাহীতে ফাহিমা-মহিমা-রাজুফার ওপর কীভাবে পাশবিক নির্যাতন করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। একটা বাচ্চা মেয়েকে গ্যাং রেপ করা হলো, কারণ তাদের বাবা-মা নৌকায় ভোট দিয়েছিল। নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। দেশ স্বাধীন না হলে তদের নেতা জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদন্নোতি পেত না। তাহলে খালেদার নৌকার ওপর এত রাগ কেন? তিনি বলেন, এটা তারা ভুলে যায়। আজ খাদ্যে নিশ্চয়তা পাচ্ছে, পরনের কাপড় পাচ্ছে, মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি বাড়ির কাছে, যাতে মা-বোন হেঁটে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারে। বিনা পয়সায় ৩০ প্রকার ওষুধ দেয়া হচ্ছে। রাজশাহীতে পানির অভাব। এই পানির অভাব দূর করতে রাজশাহীতে ওয়াসা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

    জনসভায় ভাষণের আগে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৬টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এর আগে রাজশাহীর সারদায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শন করেন। একই সময়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে পদক বিতরণ করে তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

    দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন মাদ্রাসা মাঠে। এরই মধ্যে কানায় কানায় ভরে উঠেছে মাদ্রাসা মাঠ।

    ভোর থেকেই দলে দলে যোগ দিতে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন স্লোগান ও ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নেতাকর্মীরা জনসভায় যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ নৌকার প্রতীক নিয়ে এসেছেন। রং-বেরংয়ের টিশার্ট ক্যাপে রাজশাহীর রাস্তা হয়ে ওঠেছে রঙিন ও জাঁকজমকপূর্ণ।
    জনসভায় এসে আখের রসে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে নেতাকর্মীরা নৌকায় ভোট চেয়ে ওয়াদা করালেন
    ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ’
    ক্রান্তিকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছে পুলিশ সংগীত-নৃত্যে জনসভার মাঠে ও বাইরে আনন্দের জোয়ার
    তিন ঘন্টা আগেই প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠ পরিপূর্ণ কড়া নিরাপত্তা আর তল্লাশীর মধ্য দিয়ে সরব হচ্ছে সভাস্থল রঙ্গিন পোষাকে জনসভায় আসছে নেতাকর্মীরা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয়েছে।
    প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চল, কৃষি ও আইটি বিশ্ববিদ্যালয় চান রাজশাহীবাসী বিএনপির সঙ্গে আমরা খেলে জিততে চাই :তথ্যমন্ত্রী

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • প্রধানমন্ত্রী রোববার রাজশাহীতে ১ হাজার ৩শ ১৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন

    প্রধানমন্ত্রী রোববার রাজশাহীতে ১ হাজার ৩শ ১৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৯ জানুয়ারি রোববার রাজশাহীতে দিনব্যাপী সফরে প্রায় ১ হাজার ৩শ’ ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
    এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আনুমানিক ৩শ’ ৭৬কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আরো ৬টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
    সরকারি সুত্র জানায়, বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো হলো: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।
    রাজশাহী সিটি করপোরেশন প্রায় ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর সিএন্ডবি ক্রসিংয়ে ম্যুরালটি নির্মাণ করেছে।
    এছাড়া সিটি করপোরেশন আরো যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সেগুলো হচ্ছে; শেখ রাসেল শিশু পার্ক, মোহনপুর রেল ক্রসিংয়ের ওপর ফ্লাইওভার, চার লেনের সড়ক এবং ভাদ্রা রেল ক্রসিং থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য একটি পৃথক লেনসহ রোড ডিভাইডার, চার লেনের সড়ক এবং রোড ডিভাইডার। বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে সিটির হাট পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন এবং সড়ক প্রশস্তকরণ, কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী ক্রসিং এবং কার্পেটিং সড়কের উন্নয়ন, হাই-টেক পার্ক হয়ে রেন্টুর খারির আড়ত থেকে ধলুর মোড় পর্যন্ত নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ এবং কার্পেটিং। কোর্ট থেকে শাহারতলী ক্লাব পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ।
    রাজশাহী নগরীর সিএন্ডবি ক্রসিং সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে বড় ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে।
    আরসিসি ‘রাজশাহী সিটিতে সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক’ ২ হাজার ৯শ’ ৯৩ কোটি টাকার প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রায় ৫ কোটি ২লক্ষ টাকা ব্যয়ে দেশের বৃহত্তম ম্যুরাল নির্মাণ করেছে।
    ম্যুরালটির উচ্চতা ৫৮ফুট এবং ম্যুরালের মূল অংশে ৫০ফুট উচ্চতা এবং ৪০ফুট চওড়া বঙ্গবন্ধুর ছবি রয়েছে।
    সীমানা প্রাচীরের উভয় পাশে ৭শ’ ফুট জায়গায় টেরাকোটার কাজ করা হয়েছিল। গ্যালারি এবং ল্যান্ডস্কেপিং সুপার গ্রানাইট দিয়ে সুসজ্জিত।
    ম্যুরালে নাইট ভিশনসহ সুসজ্জিত বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে।
    রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ম্যুরালটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ তাঁর জীবন, কর্ম এবং দেশের স্বাধীনতায় প্রশংসনীয় অবদান ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করে।
    মানুষের বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষে রাজশাহী নগরীতে শেখ রাসেল শিশু পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে।
    আরসিসির উদ্যোগে ছোট বনগ্রাম এলাকায় ২.১৪ একর জমির উপর পার্কটি নির্মাণকরা হয়, যার আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৪ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা।
    সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রায় ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পুঠিয়া থেকে বাগমারা পর্যন্ত একটি মহাসড়ক নির্মাণ করেছে।
    রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) প্রায় ১০ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রধান কার্যালয়ের ষষ্ঠ তলা থেকে দশম তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করেছে।
    প্রায় ২০ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তর ভবন নির্মাণ করেছে।
    লক্ষ্মীপুর এলাকায় প্রায় ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।
    মোহনপুর উপজেলায় ২২ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
    প্রায় ২২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকায় রাজশাহী শিশু হাসপাতালও নির্মাণ করা হয়েছে।
    এছাড়া ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
    ১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে একটি বহুতল সমাজসেবা ভবন নির্মিত হয়েছে।
    রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে প্রায় ৫ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ছয় তলার ওপর দুই তলা বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
    চারঘাট উপজেলায় ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
    রাজশাহী সিভিল সার্জনের অফিস নির্মাণ করা হয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে।
    বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মার ভাঙ্গন থেকে বাম তীর রক্ষায় ৬৯৪ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গ্রামীণ সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৩ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুটি সড়ক নির্মাণ করছে।
    রাজশাহী পিটিআইতে প্রায় ৮ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।
    রাজশাহী মহানগরীতে প্রায় ২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন।
    অন্যদিকে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন প্রকল্পগুলো হচ্ছে; ২৪ কোটি টাকায় তথ্য কমপ্লেক্স ভবন, ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা আঞ্চলিক জন প্রশাসন অফিস ভবন, ৬২ কোটি টাকায় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বালক উচ্চ বিদ্যালয়। ১৬২ কোটি টাকায় বিকেএসপি’র আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ করা।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শন আগমন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শন আগমন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

    মোঃ হামিদার রহমান নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামালের দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় আগমন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। তিস্তা ব্যারেজ চত্বরকে ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে। চারদিকে সাজসাজ রব, পুরো ব্যারেজ এলাকা সেজে উঠেছে বিভিন্ন রঙ্গিন ব্যানার, ফেস্টুন ও আলোকসজ্জা দিয়ে। এর সবকিছুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামালের আগমনকে ঘিরে। তাকে বরণ করে নিতেই এত আয়োজন। এছাড়াও তার আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন র্র্যাব-১৩।

    মঙ্গলবার (২৪শে জানুয়ারি) সকাল দশটায় দেশের উত্তরাঞ্চল ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ এলাকার হতদরিদ্র, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজে আসবেন। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

    রাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন (র্র্যাব- ১৩) সূত্রে জানা গেছে, এ উপলক্ষে সমগ্র তিস্তা ব্যারেজ এলাকা নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, যাতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো তিস্তা বারেজ এলাকা।

    এ ব্যাপারে র্র্যাব-১৩ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মেজর মোঃ মইদুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় সফর ও আগমন উপলক্ষে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ এলাকাকে নতুন রূপে সাজানোর চেষ্টা করেছি। এছাড়া তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে । যাতে কোনো ধরনের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে। সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

  • উপ-নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে নাচোলে পথসভা

    উপ-নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে নাচোলে পথসভা

    মোঃ মনিরুল ইসলাম,নাচোল,
    চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ রোববার সকাল ১০ টার দিকে নাচোল ডাকবাংলো চত্বরে উপজেলা ও পৌর যুবলীগের উদ্যোগে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

    এতে সভাপতিত্ব করেন
    উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন আর রশিদ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্নসাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম সৈকত জোরদার, সংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাদশা, সহসম্পাদক রাজু আহম্মেদ, কামরুল হাসান লিংকন, নাচোল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ খান ঝালু, মহিলা লীগের সভানেত্রী জান্নাতুন নাঈম মুন্নি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মসিউর রহমান বাবু, পৌর যুবলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, কেউ যদি টাকা বিতরণ করে, তাদের ধরে পুলিশে দিবেন যুবলীগের ভাইয়েরা। কেউ টাকা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২আসনের মানুষের চরিত্র যেন নষ্ট করতে না পারে।
    আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও কিছু নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্র চলাচ্ছে। তাই সকলকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
    এই নির্বাচনে কাউকে কালো টাকা সাদা করতে দেয়া হবে। সকলকে একসাথে হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

    বক্তব্য শেষে পৌর এলাকায় বাজারে, দোকানে, দোকানে সাধারণ ভোটারদের নিকট ভোট চান প্রধান অতিথি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

  • টাঙ্গাইলে ভাসানীর ৫১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

    টাঙ্গাইলে ভাসানীর ৫১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

    হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
    টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৫১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।

    এ উপলক্ষে রবিবার(২২ জানুয়ারী২৩)ইং সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে ভাসানী পরিষদ ও ন্যাপ ভাসানীর পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় ন্যাপ ভাসানী ও খোদাই খেদমতগারের সভাপতি হাসরত খান ভাসানী, ভাসানী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য-সচিব আজাদ খান ভাসানীসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৪-৬ এপ্রিল পাকিস্থানি হানাদার আর তাদের এদেশীয় দোসররা মিলে টাঙ্গাইলের সন্তোষ এবং বিন্যাফৈরে মওলানা ভাসানীর বসতবাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১৫-১৬ এপ্রিল তিনি ধলেশ্বরী-যমুনা হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতে বসেই তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।

    ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারী তিনি ভারত সরকারের একটি জিপে করে মেঘালয় হয়ে বাংলাদেশের হালুয়াঘাট সীমান্তে পৌঁছান।