Category: জাতীয়

  • স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

    স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

    আজ রোববার (২৬ মার্চ) ১২ টায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারে শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

    এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস সহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    অপরদিকে, এ দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২ টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে প্রথমে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন। এরপর পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর একে একে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগি সংগঠন, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সমাজিক, সাংস্কৃতিক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী সংগঠন, সরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদি।

    পরে রোববার সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে স্বাধীনতা দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে জাতীয় দিবসের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    এছাড়া, সকাল সাড়ে ৯টায় শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন স্বাধীনতা ও বিজয় স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল ১০ টায় কামাল ক্রিকেট ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। #

  • দেশকে সম্মান ও মর্যাদায় পৃথিবীতে অনন্য উচ্চতায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী-কৃষিমন্ত্রী

    দেশকে সম্মান ও মর্যাদায় পৃথিবীতে অনন্য উচ্চতায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী-কৃষিমন্ত্রী

    হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
    কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চোখ খুললেই দেশের সর্বত্র উন্নয়ন চোখে পড়ে। প্রত্যন্ত অ লের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, গ্রামের দুর্গম রাস্তাও সব পাকা হয়ে গেছে। সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সম্মান ও মর্যাদায় পৃথিবীতে অনন্য উচ্চতায় তুলেছেন। এই উন্নয়নের বাংলাদেশকে আজ সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে।

    তাই, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

    শনিবার(১৮মার্চ২৩)ইং বিকালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে মহিষমারা ইউনিয়ন ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে দক্ষ মানবসম্পদ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তরুণদেরকে খেলাধুলায় আরো উৎসাহিত করতে হবে ও সুস্থ বিনোদন তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

    এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী,সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান, মধুপুর পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রকিবুল হক ছানা, সাবেক মধুপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা: মীর ফরহাদুল আলম মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, মহিষমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মহির, আলোকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান সিদ্দিক, মির্জাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম ও সাংবাদিক হাফিজুর রহমান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন ।

    খেলায় মধুপুর-ধনবাড়ী সহ ময়মনসিংহ সহ আশ পাশ জেলার হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করেন।

  • আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাধীনাতা বিরোধীরা একত্রিত হচ্ছে-শেখ সেলিম এমপি

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাধীনাতা বিরোধীরা একত্রিত হচ্ছে-শেখ সেলিম এমপি

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাধীনাতা বিরোধীরা একত্রিত হচ্ছে। তাদেরকে মোকাবেলা করতে সকল নেতা-কর্মিকে একযোগে কাজ করতে হবে।

    একই অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ৬৪ জেলাতেই নলেজ পার্ক গড়ে তোলা হবে।

    আজ শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

    শেখ সেলিম আরো বলেন, সামনে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে রয়েছে ৮০ ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। স্বাধীনতা বিরোধীরা একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এদের মোকাবেলা করতে হবে।

    একই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি আরো বলেন, হলে বসে, বাড়ীতে বসে, গ্রামে থেকে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের শক্তি ও তারুণ্যের মেধাকে কাজে লাগিয়ে সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার ১ বিলিয়ন ডলারের উপরে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। আমাদের আইসিটি সেক্টরে নামী দামী মোবাইল কোম্পানীগুলো মোবাইল ফোন তৈরী করছে। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে সৃজণশীল মেধা দিয়ে এক একজন স্মার্ট যোদ্ধা হিসাবে নিজেকে তৈরী করবে।

    এর আগে ভারত সরকারের আর্থিক সহয়াতায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ‘জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের উদ্যোগে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে ১শ” ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নলেজ পার্ক নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেমিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি।

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি-র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন, খুলনার সহকারী হাই কমিশনার ইন্দর জিত সাগর, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক, জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারন সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মো: মোবারক হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। #

  • সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে জামাত বিএনপি – শিক্ষা মন্ত্রী

    সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে জামাত বিএনপি – শিক্ষা মন্ত্রী

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

    কুমিল্লার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন বিষ্টপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষা মন্ত্রী

    ডা: দিপু মনি বলেছেন, শিক্ষা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। ভিন্ন দেশের ছবি এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার দেশে কখনো ইসলামের ক্ষতি হবে না। ইসলামের দোহাই দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আপনাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।

    ১৬ ই মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বিএনপি জামায়াতের দুর্বৃত্ত শাসন জাতি আর দেখতে চায় না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর দেশবাসীর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। বিএনপি জামায়াতের আমলে দেশ সবক্ষেত্রে পিছিয়েছে। আমরা তরুন প্রজন্মকে নিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমরা দ্রুত এ দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ মাসেই স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এদেশের মানুষ। একটা পরাধীন প্রদেশে থেকে একটা স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমরা এখন যে সমস্ত পথে হাঁটছি সে পথ বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছিলেন। তিনি আমাদেরকে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। আমরা সেই পথে এ দেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করছি। এদেশের মানুষ আর হাওয়া ভবন এবং খোয়াব ভবন দেখতে চায় না। আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ।
    অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম রুহুল আমিন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড জামাল নাসের, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল সহ এলাকার গন মান্য ব্যাক্তি বর্গ।অতিথি বৃন্দ

    অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রাক্তন ৫ জন শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান করেন।

  • পঞ্চগড়ের ঘটনা ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটর করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

    পঞ্চগড়ের ঘটনা ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটর করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

    মো: বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, যারা বিশৃংখলা তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাদের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। এই ঘটনায় যারা যুক্ত ছিলো বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। তারা ব্যবহার করেছে অন্য ব্যানার। এটি মনিটর করা হয়েছে ঢাকা এবং লন্ডন থেকে।
    রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ে সদরের আহমদনগর এবং বোদা উপজেলার শালশিরি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২, ৩ ও ৪ মার্চ যেভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে সেটি অত্যন্ত জঘন্য। এই হামলার আগে থেকেই উস্কানী ছড়ানো হচ্ছিলো- বাঁশেরকেল্লা, কাদিয়ানী বিরোধী ঐক্য পরিষদ, বিএনপির সাবেক এমপি রুমিন ফারহানা এবং হারুন অর রশিদের পেইজ থেকেও আগে থেকেই উস্কানী ছড়ানো হয়েছে।
    তিনি বলেন, এরা আহমদিয়াদের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতেও হামলা করেছে। ডিসি অফিস, এসপি অফিস এবং থানায় হামলার চেষ্টা করেছে। র‍্যাবের গাড়ী জ্বালিয়ে দিয়েছে, ট্রাফিক অফিসে আগুন দিয়েছে এবং শহরের দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করা হয়েছিলো, ঠিক একই কায়দায় আহমদিয়াদের জলসাকে কেন্দ্র করে হামলা করা হয়েছে।
    তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা এবং লন্ডন থেকে মনিটর করে পঞ্চগড়ে গণ্ডগোল লাগিয়ে সারাদেশে গণ্ডগোল লাগানোর একটা উদ্দেশ্য তাদের ছিলো। আমরা পুলিশ-প্রশাসনকে বলেছি যে বা যারাই এটার সঙ্গে যুক্ত থাকুকনা কেন; কোন দল বা কোন রং সেটা না দেখে ব্যবস্থা নিতে। সে মতেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তা, পঞ্চগড় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
    উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

    মো. বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়।

  • ময়মনসিংহে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    ময়মনসিংহে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ
    বাংলার উন্নয়নের কারিগর সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন-আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছেন, ১৯৮১ সালে যেদিন বাংলাদেশে ফিরেছিলেন সেদিনও তিনি জানতেন না কোথায় থাকবেন, কিভাবে চলবেন তা চিন্তা করেন নি। তিনি বলেন, শুধু একটা জিনিষ চিন্তা করেছি এই দেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই এদেশের মানুষের ভাগ্য গড়ে তাদের দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে। গৃহহীণ মানুষকে ঘর দিতে হবে, তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

    আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংস করেছে বলে মিথ্যাচার ছড়ানোর জন্য বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিথ্যা বলা, দুর্নীতি ও লুটপাট করা তাদের অভ্যাস।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি শুনি, বিএনপির কোন এক নেতা আছে সারাদিন মাইক লাগিয়ে বসে থাকেন। বাংলাদেশটাকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি।”
    তিনি ময়মনসিংহবাসীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ময়মনসিংহে এক যোগে ১০৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কি বাংলাদেশ ধ্বংসের নমূনা?

    এরআগে সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক যোগে ১০৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এরমধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এসব উন্নয়ন প্রকল্পকে স্বাধীনতার মাসে ময়মনসিংহবাসীর জন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে একটি মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় এবং একটি প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় করা হবে বলেও জানান।

    আজকের উদ্বোধন হওয়া ৭৩টি প্রকল্প এবং ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা ১০৩টি প্রকল্প কি ধ্বংসের নমুনা না তাদের কাজের ময়মনসিংহবাসীর কাছে সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। মিথ্যা বলাটাই তাদের পেশা’ এমন অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাত এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। আর তার ছেলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। যেখানে তারেক ও এবং কোকোর দুর্নীতি আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বেরিয়েছে। এখন দেশ থেকে ভেগে (পলাতক) আছে আর তাঁর সরকারের করে দেয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে দূরে বসে রাজনীতিও করে। তাঁর সরকারের দেওয়া বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ‘তাঁরা কিছুই করেন নাই’ বলে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, আসলে লুটপাট, চুরি, দুর্নীতি এটাই তাদের স্বভাব। লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই এবং বাংলাদেশকে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতি চ্যাম্পিয়ন করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেয় তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন তাঁর সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা কমিয়ে ফেলে, স্বাক্ষরতার হার কমিয়ে ফেলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তাঁর সরকার ১৬শ’ মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট করেছিল। স্বাক্ষরতার হারকে ৬৫ ভাগে উন্নীত করেছিল যা পরবর্তী বিএনপি জামাত সরকার না বােিড়েয় উল্টো কমিয়ে ফেলে। আজকে সেখান থেকে তাঁর সরকার দেশকে টেনে তুলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং স্বাক্ষরতার হারও ৭৫ দশমিক ২ ভাগে উন্নীত করেছে।

    বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাসে চুরি ও দুর্নীতি এবং স্বাক্ষরতার হার কমানোর পেছনে বিএনপি নেতৃত্বের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী।
    তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিল ম্যাট্রিক পাশ, খালেদা জিয়া ম্যাট্রিক ফেল, আর তাদের ছেলে কয়েক স্কুল থেকে বহিস্কৃত হয়ে কোন এক অখ্যাত জায়গা থেকে একটি সার্টিফিকেট জোগাড় করেছে বলে শোনা যায়। কিন্তু কি পাশ করেছে তা কেউ বলতে পাওে না। তবে, বোমা মারা, গ্রেনেড হামলা, লুটপাট, মানি লন্ডারিং, টাকা চুরি, দুর্নীতি, এতিমের অর্থ আত্মসাতে তারা সিদ্ধহস্ত। সেজন্য বাংলাদেশের মানুষ লেখাপড়া শিখে উন্নত হবে এটা তারা চায় না।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক ও আবদুর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল- আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও মির্জা আজম, আহমদ হোসেন, অসিম কুমার উকিল, বিপ্লব বড়ুয়া, মারফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

    এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মফিদুল হক খান দুলাল, সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু।সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম। যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী, ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিতউর রহমান শান্ত।

    সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বরের পর এদিন আবারো ময়মনসিংহ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর আগমন উপলক্ষে গোটা ময়মনসিংহ বিভাগে যেন সাজ সাজ রব পড়ে যায়। উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় নতুন বিভাগীয় এ শহরটি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মোড়গুলোকে সাজানো হয় নানা রঙের সাজে। তোরণ নির্মাণের পাশাপাশি ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা শহর। সকাল থেকে জনসভা স্থল সার্কিট হাউজ মাঠ অভিমুখে জনতার ঢল নামে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনসভা স্থলটি জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই স্বাধীনতা লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে কোনমতে ব্যর্থ হতে দেয়া যায়না। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের যারা তথাকথিত বিরোধী দল আছে, তারা মিথ্যা বলে এই স্বাধীনতার সুফল ব্যর্থ করতে চায়। তারা তা পারবে না ইনশাল্লাহ। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২১০০ সাল নাগাদ এই ভুখন্ডকে আরো উন্নত করবো। সেই ওয়াদা দিয়ে গেলাম। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের জন্য আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে ওঠবে। আমাদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট, আমাদের কৃষি হবে স্মার্ট, আমাদের স্বাস্থ্য হবে স্মার্ট, তৃণমূল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের উন্নত জীবন হবে। প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ শহরের নাগরিক সুবিধা পাবে।

    ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিএনপি-জামাত সরকারের সময়কার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদি তৎপরতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত সরকারের থাকার সময় তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। ময়মনসিংহে চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলা হলো এবং অনেক মানুষ তাতে মৃত্যুবরণ করে। প্রতিনিয়ত সারাদেশে বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, লুটপাট-এটাই ছিল ঐ বিএনপি-জামাত জোটের কাজ। সে সময় গফরগাঁওয়ে একজন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি দখল করে রাতারাতি পুকুর কেটে চারদিকে কলাগাছের চারাও পুঁতে দেয়। তিনি সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে একটি চুলা ও পাকের ঘর থাকার চিহ্ন দেখতে পান। ঐটা না থাকলে সেটা যে বসত বাড়ি ছিল, তা বোঝার কোন উপায় ছিল না। তিনি বলেন, ওরা মানুষের সম্পত্তি দখল করে আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে যাদের ঘর নাই, বাড়ি নাই মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই, রাস্তার পাশে পড়ে থাকে তাদেরকে ঘর-বাড়ি বানিয়ে জীবন-জীবকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ইনশাল্লাহ, শেখ মুজিবের বাংলায় আর একটি মানুষও আর ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না। তাঁর সরকার ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর করে দিয়েছে, আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে আরো ৪০ লাখ মানুষকে ঘর করে দেবে। ইতোমধ্যে বিএনপি সরকারের রেখে যাওয়া ৪১ শতাংশ দারিদ্রের হারকে তাঁর সরকার ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছে।

    জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ক্ষমতায় বসে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল (বিএনপি) গঠন করে। সেই দলতো কেবল সন্ত্রাস, লুটপাট, মানুষ হত্যা আর অত্যাচার-নির্যাতন করতে পারে। ওদের ক্ষমতায় থাকার মানেই হচ্ছে মানুষের ওপর নির্যাতন করা, শোষণ ও বঞ্চনা করা। আর আওয়ামী লীগ মানুষকে উপহার দেয় উন্নয়ন।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে মানুষকে আমরা বিনে পয়সায় করোনার টিকা দিয়েছি। তা এখনও দিয়ে যাচ্ছি। ময়মনসিংহ চমৎকার একটি বিভাগ, যেখানে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষি-খাদ্য উৎপাদন সবকিছুতেই এগিয়ে যাবে। আমরা ময়মনসিংহ বিভাগ করেছি। যদি করোনা না হত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ না থাকত তাহলে হলে এই বিভাগের কার্যক্রম আরও উন্নত হত। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর নিজের সব অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় এনেছেন উল্লেখ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলমান বিশ্বমন্দার প্রেক্ষাপটে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তাঁর আহবান পুণর্ব্যক্ত করেন।

    তিনি বলেন, আমরা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছি। মানুষ এখন দেশে শান্তিতে বসবাস করছে। এখন আমাদের ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে এবং বর্তমানে দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। এক কোটি মানুষকে আমরা মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারার সুযোগ করে দিয়েছি। প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছি। আবার যাদের একেবারে সামর্থ্য নেই তাদের বিনামূল্যে চাল দেওয়া হচ্ছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সেখানে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। বিনা জামানতে যুব সমাজকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তারা অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিতে পারে। নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।

  • ২৬ মার্চ রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ হচ্ছে না-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

    ২৬ মার্চ রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ হচ্ছে না-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : ২৬ মার্চ রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ হচ্ছে না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ কম মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, আগে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশে বৈধ কোন আইন ছিল না। ইতিমধ্যে একটি আইন পাশ হয়েছে এবং জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তালিকা প্রনয়ণ কমিটি নীতিমালা তৈরীর কাজ করে যাচ্ছে, তবে মার্চ মাসে তালিকা প্রকাশিত হবে না, একুট বিলম্বে প্রকাশিত হবে।

    আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    মন্ত্রী আরো বলেন, এ সরকারের মেয়াদে তালিকা প্রকাশ করা হবে, তবে কমিটির সভাপতি নির্ধারিত তারিখ জানাতে পারবেন। কবে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ হবে তার সঠিক সময় জানাতে পারবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান। আমাদের পক্ষ থেকে তাগিদ আছে, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত তম সময়ে তালিকা প্রকাশ করার। এ তালিকায় উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় রাজাকারদের নাম থাকবে, আর এই সরকারের মেয়াদেই সেই তালিকা প্রকাশ হবে ইনশাল্লাহ।

    এর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ কম মোজ্জাম্মেল হক। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এসময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারন সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজমসহ দলীয় নেতাকর্মী তার সাথে ছিলেন। #

  • আওয়ামী লীগ নেতাদের শপথ পড়ালেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

    আওয়ামী লীগ নেতাদের শপথ পড়ালেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দদের শপথ পড়িয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

    আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) বেলা ১১ টায় নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শপথ পড়ান তিনি।

    শপথে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে একজন সাহসী সৈনিক হিসেবে আমৃত্যু কাজ করবো। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি সেই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে নিজের জীবনকে বিসর্জন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবো। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি আদেশ নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালনের জন্য প্রস্তুত থাকবো। হে আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আমাকে এই শপথ রক্ষা এবং পালনের শক্তি দিন।

    এর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

    এসময় নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও নাটোর ৪ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, সহ-সভাপতি ও সাবেক ক্রিয়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি রত্না চৌধুরী,নাটোর সদরের পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, সহ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • “পাবর্ত্য এলাকার তিনদিকে সীমান্ত রয়েছে, সেখানে সন্ত্রাসী দমনে কাজ করছে সরকার”

    “পাবর্ত্য এলাকার তিনদিকে সীমান্ত রয়েছে, সেখানে সন্ত্রাসী দমনে কাজ করছে সরকার”

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীক্ষণ কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লহ এমপি বলেছেন, পাবর্ত্য এলাকার তিনদিকে সীমান্ত রয়েছে। ফলে সেখানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। যা দমনে কাজ করছে সরকার।

    আর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি বলেছেন, ২৬টি উপজেলা নিয়ে পার্বত্য অঞ্চল গঠিত। আর প্রত্যেকটি অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

    আজ বুধবার (০৮ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা এসব কথা বলেন।

    পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীক্ষণ কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন সন্ত্রাসঅ গ্রুপ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষ হলে তা সরকারের উপর দোষারোপ চাপাতে চায়। এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। সেখানে এমন কোন পরিস্থিতির সৃস্টি হয়নি যে সেটা দেশ ও আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, সরকার চেষ্ঠা করছে শান্তিশৃংখলা রক্ষার জন্য।

    এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি আরো বলেন, দীর্ঘ সময়ের সংঘর্ষের পর শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পরে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা, ভালবাসা, সম্প্রতি আছে, তেমনি জনগনের জানমাল রক্ষার সন্ত্রাসী ও জঙ্গি নিয়ন্ত্রন করার জন্যও তৎপর রয়েছেন তিনি। সরকার বদ্ধপরিকর পাবর্ত্য অঞ্চলকে একটি সম্পদশালী করার জন্য যা যা করার দরকার সেটাই করেছে।

    এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীক্ষণ কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এমপির নেতৃত্বে এবং আলাদাভাবে বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

    এ সময় পাবর্ত্য জনসংহতি কমিটির সভাপতি সন্তু লারমা সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #

  • মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন আগৈলঝাড়ায় সবুজ আকনের মাতার জানাজা সম্পন্ন

    মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন আগৈলঝাড়ায় সবুজ আকনের মাতার জানাজা সম্পন্ন

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক মোঃ সবুজ আকনের মাতা আছিরন বেগম (৯০) বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে শনিবার রাত সাড়ে এগারোটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন, (ইন্নালিল্লাহি………রাজেউন)।
    মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি নাতনীসহ অগনিত শুভাকাঙ্খি রেখে গেছেন। ০৫ মার্চ শনিবার সকাল এগারোটায় মরহুমার নিজ বাড়ি গৈলা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মরহুমার জানাজায় উপস্থিত থেকে শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে মরহুমার রুহের মাগফরাত কামনা করেছেন মন্ত্রী মর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক, জাতির পিতার ভাগ্নে, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ লিটন সেরনিয়াবাত,গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন, আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম সরোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ সাইদুল সরদার, গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল হোসেন টিটু তালুকদার সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দসহ দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীরা।