বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিএমপি’র নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)।
বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জল নক্ষত্র অতিরিক্ত আইজিপি জনাব হাবিবুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সাংবাদিকরাই পুলিশের প্রকৃত বন্ধু। তবে যেসব সাংবাদিক পুলিশের দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তারা অনেকেই মনে করেন যে, পুলিশ তাদের শক্র, আসলে তা ঠিক নয় কিন্তু তাদের অবস্থান পুলিশের বিরুদ্ধে নয়। তারা পুলিশের পক্ষেই আজীবন কাজ করেছেন, তাই পুলিশও তাদের বন্ধু। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বা টিভি চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে অনেক সময় দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা চাই দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ এবং মাদকমুক্ত দেশ গড়তে। তিনি বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে জানান, পড়ালেখা শেষে আমি সাংবাদিকতার মাধ্যমেই কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। তাই সাংবাদিকতা আমার রক্তে মিশে আছে।
বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর গর্ব ও সাংবাদিকদের বন্ধু জনাব হাবিবুর রহমান (হাবিব) ১৯৯৮ সালের ২২ফেব্রুয়ারি ১৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পদে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, এরপর ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হোন, এর আগে তিনি পুলিশ সদর দফতরে উপ-মহাপরিদর্শক (প্রশাসন-ডিসিপ্লিন) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তার আগে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেসময় তিনি বিশেষ সম্মান অর্জন করাসহ সাধারণ মানুষের কাছে অতিপ্রিয় মানুষ হিসেবে অতুলনীয় ভালোবাসা পেয়েছেন। পদোন্নতিক্রমে পুলিশ সুপার থেকে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত সহকারী মহাপরিদর্শক (সংস্থাপন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাবিবুর রহমান। সেই সাথে ঢাকা জেলার সাভারের বেদেপল্লীর বেদেদের জীবন বদলে দেওয়া ও অনেক হিজড়াদের আলোর পথে আনাসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে তিনি মানুষে বিভিন্ন সেবামুলক কাজ করেছেন, এতে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। বেদেপল্লীসহ অনেক এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কম্পিউটার টেনিং সেন্টার, গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও বুটিক হাউসসহ নানা ধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুেলছেন তিনি এবং বাল্য বিবাহ রোধে বিশেষ ভুমিকা পালন করেছেন। হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পেছনে তাঁর বিশেষ ভুমিকা থাকায় তিনি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান ও ঢাকায় তাদের প্রথম প্রতিরোধ বিষয়ক ঘটনা নিয়ে তিনি “মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ” নামে একটি বই লিখেছেন।
অতিরিক্ত আইজিপি জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়, বেদে ও হিজড়াদের সামাজিক বৃত্তিতে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করেছেন। হিজড়া ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করেন এবং উত্তরণ ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, তিনি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ‘এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট’ নির্বাচিত হয়েছেন। হাবিবুর রহমান অনেক বড় মনের অধিকারী, সাহসী ও সৎ মানুষ। সততা ও সাহসী ভুমিকা রাখায় বেশিরভাগ মানুষ বলেন, তিনি পুলিশ বাহিনীর গর্ব। হাবিবুর রহমানের কাছে না গিয়েও তাকে অনেক মানুষ ভালোবাসেন, সম্মান করেন। বিশেষ করে পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক, লেখকসহ অনেকেই বলেন, হাবিবুর রহমান অনেক বড় মনের মানুষ। তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা, তিনি কোনো ভালো মানুষকে হয়রানি করা পছন্দ করেন না। জনগণের সেবা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন, এর কারণে ঢাকা বিভাগের প্রতিটি থানা এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড অনেকটা কমেছে, ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র চেয়ারম্যান ও জাতীয় দৈনিক চৌকস পত্রিকার প্রকাশক/সম্পাদক জনাব এস. এম নজরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত আইজিপি জনাব হাবিবুর রহমান অনেক ভালো মনের মানুষ, তিনি পুলিশ বাহিনীর গর্ব। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা হয়েও বিভিন্ন সামাজিক কাজ করায় আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই, সেই সাথে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা ও দৈনিক চৌকস পত্রিকা পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, সেই সাথে মানবিক সকল পুলিশ সদস্যদের প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
Category: জাতীয়
-

মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার নিয়োগ পাওয়ায় অতিরিক্ত আইজিপি’কে অভিনন্দন
-

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিন – হাসানাত
বি এম মনির হোসেনঃ-
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য,পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী) আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেছেন ১৫ আগষ্ট জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের রাজনীতিতে হত্যা, ক্যু ষড়যন্ত্রের সূচনা করেছে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি দোসরা। আর এদের প্রেতাত্বা জামাত বিএনপি জোট আজকে নির্বাচনকে এবং গণতন্ত্রকে ভয় পেযে়, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চেষ্টা করছে, সে আসা এদেশে স্বাধীনতাকামী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনগন কোন দিনও সফল হতে দিবেনা। ২৮ আগস্ট সোমবার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা মডেল ইউনিয়নের সরকারি
গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। গৈলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হালিমুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা ও এফবিসিআই’র পরিচালক সেরনিয়াবাত মঈন আবদুল্লাহ, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আসিক আব্দুল্লাহ,অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগৈলঝাড়া
উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, গৌরনদী
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরা নাহার মেরি,আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সালেহ লিটন সেরনিয়াবাত, আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম সরোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজর সাবেক অধ্যাপক এস এম হেমায়েত উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য পেয়ারা ফারুক বক্তিয়ার,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম তালুকদার,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন সরদার,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মলিনা রানী রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা গন,বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপুল দাশ, গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল হোসেন টিটু, গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জহিরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মমতাজ বেগম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান সেরনিয়াবাত (আজাদ),সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদ তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত ফয়জুল, উপজেলা ছাত্র লীগ সভাপতি মোঃ মিন্টু সেরনিয়াবাত, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন পাইক, ছাত্র লীগ নেতা মাহামুদুর রহমান সাগর সেরনিয়াবাত,
আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বি এম মনির হোসেন, বাকাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম পাইক সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী জসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি আরো বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান। -

যারা খুনিদের পক্ষে মানবতা দেখায় তাদেরও কঠিন জবাব দিতে হবে- শেখ সেলিম
স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি আমেরিকা ও কানাডাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে না তারা কোনভাবে মানবিক হতে পারেন না। তারা মানবিকতার কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে, যারা শিশু নারীকে হত্যা করে তারা খুনিদের পক্ষে মানবতা দেখায়। যারা খুনিদের পক্ষে মানবতা দেখায় তাদেরও কঠিন জবাব দিতে হবে। ১৫ আগষ্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো তখন তাদের মানবতা কোথায় ছিলো। তখন কেন খুনিদের স্বীকার করে নিলো।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ সেলিম আরো বলেন, এখনো বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। বঙ্গবন্ধুদুকে পাকিস্তানীরা মারতে পারেনি কিন্তু বাংলার মীরজাফরেরা তাকে মেরে ফেললো। এ অভিশাপ আমাদের অনেক দিন ভুগতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না। সে চেয়েছিল বাঙ্গালী জাতির মুক্তি, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকভাবে বাঙ্গালী জাতিকে বিশ্বে দরবারে উঁচু করা। স্বাধীনতার পর যখন অর্থনৈতিক কর্মসূচী দিলো তখন ষড়যন্ত্রকারীরা পাকিস্তানের পরাজিত শত্রুরা হত্যা করলো।
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, উৎফুল্ল হয়ে শ্লোগান দিলে হবে না, আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সব দিক থেকে কান সজাগ রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এরা একবার টেনে নামায়, এক সরকার পতন ঘটনায়, এর পিছনে কোন শত্রু আছে কিনা তাও দেখতে হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি নার্গিস রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, সহ সভাপতি সিকদার নূর মোহম্মদ দুলু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু বক্তব্য রাখেন।
পরে গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদের ইমাম মুফতি মো: হাফিজুর রহমানের ইমামতিতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারে শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। #
-

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুস্পমাল্য অর্পন করে গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দিল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী শেষ করে মন্ত্রী পরিষদ, সংসদ সদস্য, দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে দলীয় প্রধান হিসাবে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে মসজিদে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে বঙ্গবন্ধু ভবনে থেকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গণভবভন থেকে হেলিকপ্টারে করে বেলা ১১টা মিনিটে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোক দিবসে শোকের আবহ সৃষ্টি করতে মোড়ে মোড়ে কালো কাপড় দিয়ে বানানো হয়েছে তোরণ। বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। বাসা-বাড়ী, দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টাঙ্গানো হয়েছে কালো পতাকা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। #
-

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও প্রকৃত ত্যাগী নেতা হওয়া সহজ নয়
সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) ঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও ত্যাগী নেতা হওয়া এতো সহজ নয়। বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হলে বেশি বেশি বই পড়তে হবে। ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন-১৫ আগস্ট মৃত্যু বার্ষিকী।
শক্রমুক্ত হোক দেশ ও স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রিয় মানুষগুলোর রক্তে কেনা অমূল্য ফসল লাল সবুজের বাংলার পতাকা। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। বাংলাদেশের স্থপ্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ ও দেশের জন্য মরতে পারি প্রয়োজনে মহারণ, তবুও শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশ, এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না কারণ,যা শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, তা এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষ জানেন, তা এখন ইতিহাস।
বিশেষ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে মানুষ ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝড়ছে পাহাড় পরিমাণ রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে বাংলার বুকে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন, যারা স্বাধীনতার জন্য হাসি মুখে জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আর যারা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যারা অপমান করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, বর্তমানে বাংলাদেশে নেতার অভাব নেই কিন্তু প্রকৃত ত্যাগী নেতা ও ভালো কর্মীর অভাব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই নেতা ও সাংবাদিক বনে গেছেন, তারা বেশিরভাগ ব্যক্তি যা পায় তাই খায়, তারা দলের কিছু শীর্ষ নেতা ও কিছু পুলিশ অফিসারের সাথে ছবি তুলে সেই ছবি দেখিয়ে ফায়দা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে বিভিন্ন ফায়দা নিতে যারা চেষ্টা করছে, সঠিকভাবে তাদেরকে শনাক্ত করাসহ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। সবখানে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ কারবার করছে কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধি-এতে জটিলতা সৃষ্টি করেছে তারা। কিছু প্রভাবশালীরা অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে কিছু শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে। তাদের মুখে বঙ্গবন্ধুর নাম মানায় না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক বা প্রকৃত কর্মী হওয়া সহজ বিষয় না। শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে তাদের বাংলার মাটিতে কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছেন জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার। বাংলাদেশের নাম লেখা হতো না, লাল সবুজের পতাকা উঁড়তো না, যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এই দেশ স্বাধীন না হইতো। ইতিহাস পড়–ন, দেশ ও জাতির সম্পর্কে সবকিছু জানুন, শেখ মুজিবুর রহমানের কেমন নীতি ছিলো, কেমন মানুষ ছিলেন তিনি। কোথায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে? ইতিহাস বলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক হিসেবে বলা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ করে ২৪তম বিসিএস ২০০৩ সালের ১২২ পাতায় কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইডের সুত্র: বাংলাদেশের মোট জমির পরিমাণ ৩কোটি ৬৬ লক্ষ ৭০ হাজার একর। বাংলাদেশে মাথাপিছু আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় ২৫ একর (২৫শতাংশ)। বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির কতভাগ লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত, তা আমরা অনেকেই জানিনা। তথ্যমতে প্রায় ৬৬ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করেন, কিন্তু আবাদী জমিতে বাড়ি ঘর ইটভাটা ও কল কারখানা হওয়ায় এখন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। এরপর ২০০২ সালে ৪র্থ কৃষি শুমারি হয় এরপর ২০২২ সালে। কৃষি জমি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য ২০০০ সাল পর্যন্ত মহাপরিকল্পনা নেয়া হয় কিন্তু দেশের রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ বা সেতু নির্মাণ করছে সরকার-এতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না, এতে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। তথ্যমতে কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিলো মাত্র ৭ কোটি, যা বর্তমান ২০২২-২৩ইং সালে প্রায় ১৮ কোটির মতো। মানুষের খাদ্য বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা সঠিকভাবে চলেছে। বর্তমানে উন্নয়নমুখী সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, এরইজন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার। ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। লিখতে গিয়ে থামতে মন চায় না, শেখ মুজিবুর রহমান তোমাকে আমরা ভুলিনি আর কোনদিন ভুলবো না। সারাদেশে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিকলীগ ও শ্রমিক সংগঠনসহ আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীসহ বাঙ্গালি জাতি জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট পালন করবেন, সবাইকে ধন্যবাদ। -

সুন্দরগঞ্জের পল্লীউন্নয়ন অফিসারকে প্রধানমন্ত্রী পদক দেয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া
মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা থেকেঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পদক প্রদান করায় অফিসার্স ক্লাবের সংবর্ধনা ।জানা গেছে, গেল মাসের ৩১ জুলাই সকাল ১১.৩০ মিনিটে ঢাকা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার আবুল কালাম আজাদকে মানবসম্পদ উন্নয়ন ক্যাটাগরীতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উপস্থিত থেকে “বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২৩” হাতে তুলে দেন।
এ উপলক্ষে বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সুন্দরগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবের পক্ষ হতে ওই অফিসারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ- আলম, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির, প্রাণী সম্পদ অফিসার ফজলুল করিম, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার ওয়ালিফ মণ্ডল, জনপ্রকৌশলী অফিসার খোকন রানা প্রমূখ। সুন্দরগঞ্জের মুখ উজ্জ্বল করে পদক প্রাপ্তিতে আবুল কালাম আজাদকে সবাই ধন্যবাদ জানান। -

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মঙ্গা থাকে না
খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতদিন সরকারে ছিল রংপুরের মানুষ মঙ্গা দেখেনি। খাদ্যের অভাব দেখা দেয়নি। দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়নি।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুর জেলা স্কুল মাঠে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কোনো মঙ্গা দেখেনি রংপুরের মানুষ। আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে ও নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে, হত্যা, ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল বিএনপি। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছিল। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে এসে রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমি ঘুরেছি। দেখেছি মানুষের কষ্ট। আজ আমরা মানুষের কষ্ট দূর করতে সক্ষম হয়েছি, এখন আর মানুষ না খেয়ে থাকে না, পড়তে হয় না ছেড়া বস্ত্র। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশে মঙ্গা শুরু হয়।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, রংপুর-২ তারাগঞ্জ বদরগঞ্জের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একে এম শাহাদাত হোসেন।
-

বিএনপিকে এক ইঞ্চিও ছাড়া দেয়ার সুযোগ নেই, যেখানেই তারা সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে-সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জিয়াউ রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমানের হাতে বন্ধবন্ধুর রক্ত, খালেদা জিয়ার হাতে শেখ হাসিনার রক্ত আর তারেক জিয়ার হাতে আইভি রহমানের রক্ত। একজন মা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে, আর তারই ছেলে বিরোধী দলীয় নেতাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। কত নিষ্ঠুরতম মা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জিটি স্কুল মাঠে দুই দিনব্যাপী উপজেলা সাহিত্য মেলার উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আরো বলেন, খালেদা জিয়ার সাথে তার ছোট ছেলে কোকো রমহানের কথা হবার পর ৪ মিনিটের মাথায় মারা গেলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সান্তনা দিতে গেলেন কিন্তু তিনি দরজা খুললেন না। এই হলো তাদের আচারণ। এখন তারা সারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের এক ইঞ্চিও ছাড়া দেয়ার সুযোগ নেই। যেখানেই তারা সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিল্প সাহিত্য দিয়ে এদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। যেদিন ভাষার উপর আক্রমণ হলো, সেদিনই সাংস্কৃতিক আন্দোলন শুরু হলো। ১৯৪৭ সালে ভারত-পকিস্তান ভাগ হবার পর বঙ্গবন্ধু আশংকা প্রকাশ করেছিলেন ভারত বিভক্তির পর আমাদের উর্দুতে কথা বলতে হবে এমন কথা ছিল না। বাংলাতে কথা বলা যাবে না এমন পাকিস্তান হবার জন্য বলা হয়নি।
এর আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জিটি স্কুল মাঠে দুই দিনব্যাপী উপজেলা সাহিত্য মেলার উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। পরে তিনি স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের মনোনীত প্রতিনিধি মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমীর মহা-পরিচালক জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রধান বক্তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন । গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুববুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের ,পৌর মেয়র তোজাম্মেল হক টুটুল, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান অসীম কুমার বিশ্বাস সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
আজ বৃহস্পতিবার মেলার প্রথম দিনে লেখকদের নাম নিবন্ধন , টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওপর প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা সভা, কবিতা, ছড়া, কথাসাহিত্য, নাটক, প্রবন্ধ-গবেষণা প্রভৃতি রচনার কলা-কৌশল এবং পদ্ধতিগত দিক নিয়ে লেখক কর্মশালা, সাহিত্য পাঠ/সাহিত্য আড্ডা, সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার মেলার সমাপনী দিনে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাহিত্য মেলায় প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা সভা, সাহিত্য আড্ডা, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন আয়োজন থাকছে। পাশাপাশি মেলার দু’দিন বই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। #
-

গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন পালিত
স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে জেলা আওয়ামী লীড় কায্যালয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে কেক কাটা হয়। পরে একে অপরকে কেক খাইয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করা হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো: নূরুল ইসলাম আব্বাস, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহসিন উদ্দিন সিকদার উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অপরদিকে, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কায্যালয়ে কেক কেটে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন পালন করে নেতাকর্মীরা। এসময় একে অপরকে কেক খাইয়ে দেন তারা। এ অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: বাবুল শেখ, সহসভাপতি ইলিয়াছ হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। #
-

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে নবনিযুক্ত নৌবাহিনীর প্রধান ও নৌবাহিনী পরিবার কল্যাণ সংঘের প্রেসিডেন্টের শ্রদ্ধা
স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও নৌবাহিনী পরিবার কল্যাণ সংঘের প্রেসিডেন্ট নাদিয়া সুলতানা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল এম নাজমুল হাসান। এসময় নৌবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এরপর বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিবার কল্যাণ সংঘের প্রেসিডেন্ট নাদিয়া সুলতানা ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নৌ প্রধান বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারন সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: ইলিয়াস হোসেন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, বিএনএফডব্লিউএ খুলনা শাখার চেয়ারম্যান এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।টুঙ্গিপাড়া সফর শেষে নৌপ্রধান খুলনা নৌ অঞ্চল আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে সর্বস্তরের নৌসদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান এবং খুলনা নৌ অঞ্চলে কর্মরত অফিসারদের সাথে মতবিনিময় করেন। #