Category: জাতীয়

  • জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হওয়া এতো সহজ নয়

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হওয়া এতো সহজ নয়

    হেলাল শেখঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও ত্যাগী নেতা হওয়া এতো সহজ নয়। বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হলে বেশি বেশি বই পড়তে হবে। ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন এবং ১৫ আগস্ট মৃত্যু বার্ষিকী তা অনেকেই জানেন না। বর্তমানে কিছু অনুপ্রবেশকারী, তাদের মুখে নৌকা, অন্তরে ধানের শীষ। নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
    শক্রমুক্ত হোক দেশ ও স্বাধীনতা সে আমার-স্বজন হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন, স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রিয় মানুষগুলোর রক্তে কেনা অমূল্য ফসল লাল সবুজের বাংলার পতাকা। একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা। বাংলাদেশের স্থপ্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ ও দেশের জন্য মরতে পারি প্রয়োজনে মহারণ, তবুও শক্রমুক্ত হোক বাংলাদেশ, এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না কারণ,যা শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, তা এখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষ জানেন, তা এখন ইতিহাস।
    বিশেষ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পতাকা বুকে নিয়ে মানুষ ঐক্যে সেদিন গোটা দেশ, একটি কথা একটি আশা শক্রমুক্ত হবে বাংলাদেশ। লাখো মায়ের আহাজারি, স্বাধীনতা তোমার লাগি ঝড়ছে পাহাড় পরিমাণ রক্ত, কত অশ্রুবারি হয়েছে বাংলার বুকে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়লো যারা নতুন দেশ, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের রক্তে আজ এই বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা কাজ করেছেন, যারা স্বাধীনতার জন্য হাসি মুখে জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, যারা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর করে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যারা অপমান করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, বর্তমানে বাংলাদেশে নেতার অভাব নেই কিন্তু প্রকৃত ত্যাগী নেতা ও ভালো কর্মীর খুবই অভাব।
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই নেতা ও সাংবাদিক বনে গেছেন, তারা বেশিরভাগ ব্যক্তি যা পায় তাই খায়, তারা দলের কিছু শীর্ষ নেতা ও কিছু পুলিশ অফিসারের সাথে ছবি তুলে সেই ছবি দেখিয়ে ফায়দা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে বিভিন্ন ফায়দা নিতে যারা চেষ্টা করছে, সঠিকভাবে তাদেরকে শনাক্ত করাসহ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। সিন্ডিকেট করে যারা কোটি কোটি টাকার অবৈধ কারবার করছে কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধি-এতে জটিলতা সৃষ্টি করেছে তারা। কিছু প্রভাবশালীরা অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে কিছু শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে। তাদের মুখে বঙ্গবন্ধুর নাম মানায় না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক বা প্রকৃত কর্মী হওয়া সহজ বিষয় না। শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে তাদের বাংলার মাটিতে কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
    মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতীয় দিবসগুলো পালন করে আসছেন জাতি। সবাইকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা দরকার। বাংলাদেশের নাম লেখা হতো না, লাল সবুজের পতাকা উঁড়তো না, যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এই দেশ স্বাধীন না হইতো। ইতিহাস পড়ুন, দেশ ও জাতির সম্পর্কে সবকিছু জানুন, শেখ মুজিবুর রহমানের কেমন নীতি ছিলো, কেমন মানুষ ছিলেন তিনি। কোথায় প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে? ইতিহাস বলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক হিসেবে বলা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
    বিশেষ করে ২৪তম বিসিএস ২০০৩ সালের ১২২ পাতায় কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইডের সুত্র: বাংলাদেশের মোট জমির পরিমাণ ৩কোটি ৬৬ লক্ষ ৭০ হাজার একর। বাংলাদেশে মাথাপিছু আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় ২৫ একর (২৫শতাংশ)। বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির কতভাগ লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত, তা আমরা অনেকেই জানিনা। তথ্যমতে প্রায় ৬৬ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করেন, কিন্তু আবাদী জমিতে বাড়ি ঘর ইটভাটা ও কল কারখানা হওয়ায় এখন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। এরপর ২০০২ সালে ৪র্থ কৃষি শুমারি হয় এরপর ২০২২ সালে। কৃষি জমি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য ২০০০ সাল পর্যন্ত মহাপরিকল্পনা নেয়া হয় কিন্তু দেশের রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ বা সেতু নির্মাণ করছে সরকার-এতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না, এতে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। তথ্যমতে কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিলো মাত্র ৭ কোটি, যা বর্তমান ২০২২-২৩ইং সালে প্রায় ১৮ কোটির মতো। মানুষের খাদ্য বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা সঠিকভাবে চলেছে। বর্তমানে উন্নয়নমুখী সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, এরইজন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার। ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। লিখতে গিয়ে থামতে মন চায় না, শেখ মুজিবুর রহমান তোমাকে আমরা ভুলিনি আর কোনদিন ভুলবো না।

  • কুমিল্লার ময়নামতিতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে নিহত সমাধিতে কুটনৈতিক দের পরিদর্শন

    কুমিল্লার ময়নামতিতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে নিহত সমাধিতে কুটনৈতিক দের পরিদর্শন

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

    দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে বিদেশি সৈনিক নিহত দের স্বরনে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ওয়ারসেমিস্ট্রিতে শনিবার সকালে বিদেশি রাষ্ট্র দূতরা পরিদর্শনে আসেন এসময়

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
    কমান্ডারের পক্ষে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে সাতটি দেশের হাইকমিশনার ও ডেপুটি হাইকমিশনারগণ হলিক্রসে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। প্রার্থনা অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার, প্রতিনিধি ও তাদের সঙ্গে আসা স্বজনরা ময়নামতি ওয়ারসিমেট্রিতে শায়িত যোদ্ধাদের সমাধি ঘুরে দেখেন।

    উল্লেখ্য, কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরে সবুজের সমারোহ সুউচ্চ জায়গা জুড়ে অবস্থিত ময়নামতি ওয়ারসিমেট্রি বা কমনওয়েলথ রণসমাধি ক্ষেত্র। এখানে ১৩ দেশের ৭৩৭জন যোদ্ধার মধ্যে ব্রিটেনের ৩৫০জন, কানাডার ১২জন, নিউজিল্যান্ডের ৪জন, দক্ষিণ আফ্রিকার ১জন, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬জন, ভারতের ১৭২জন, বার্মার ১জন, দক্ষিণ রোডেশিয়ার ৩জন, বেলজিয়ামের ১জন, পোল্যান্ডের ১জন, জাপানের ২৪জন এবং বেসামরিক ১জনকে সমাহিত করা হয়।

    ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত সৈনিকদের মধ্যে মুসলিম ধর্মের ১৭২জন, বৌদ্ধ ধর্মের ২৪জন, হিন্দু ধর্মের ২জন এবং বাকিরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। লন্ডন ভিত্তিক কমনওয়েলথ গ্রেভস কমিশন নামে একটি সংস্থা ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রির সার্বিক তদারকির দায়িত্বে রয়েছে।

  • আইকনিক কক্সবাজার রেল ষ্টেশন উদ্ভোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    আইকনিক কক্সবাজার রেল ষ্টেশন উদ্ভোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    কে এম নুর মোহাম্মদ
    কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

    দুপুর ১২.৫৮ মিনিটে পর্যটন নগরীতে দোহাজারী-চট্টগ্রাম রেললাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা চান্দেরপাড়া এলাকায় নির্মিত আইকনিক রেল স্টেশনের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে রেল পরিবহনে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করলেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। স্বাগত বক্তব্য রাখলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

    দোহাজারী-চট্টগ্রামে রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারাদেশের সঙ্গে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় এলো পর্যটন নগরী। রেললাইন নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত কক্সবাজারের মানুষ। ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে রেল চলাচল।

    এই প্রকল্পে সিঙ্গেল লাইন মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণের কথা ছিলো। কিন্তু ট্রান্স এশীয় রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত হতে ব্রডগেজ রেলপথ লাগবে। তাই প্রকল্প সংশোধন করা হয় ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল।

    কক্সবাজারে আইকনিক স্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি নির্মাণ ও সংস্কার করা দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ এবং রামু রেলস্টেশন।

    এই রেললাইনের আওতায় ৩৯টি বড় আকারের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২২৩টি ছোট সেতু ও কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণির ৯৬টি লেভেলক্রসিং নির্মাণ করা হয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য আলাদা করে আন্ডারপাস করা হয়েছে।

    সম্পুর্ণ ধংশ স্তুপ করা দেশকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। কিন্তু ঘাতক পাকিস্তানীর দোসররা তা শেষ করতে দেয়নি।

    গত ১৫ বছরে আমরা জাতির জনকের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

    সাধারণ মানুষরা চান আগামীতে আবারও নৌকা মার্কায় দেশ চালাক।

  • আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ হাসিনা, সদস্য সচিব কাদের

    আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ হাসিনা, সদস্য সচিব কাদের

    নিজস্ব প্রতিবেদক। দেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে থাকছেন দলের সভাপতি নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    আজ রাত সাড়ে ৯টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ওবায়দুল কাদের।

    তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে অগ্নিসংযোগ বা নাশকাতার জবাবে আমাদের নেতাকর্মীরা সারা দেশে আরও সক্রিয়ভাবে জনগণের জানমালের রক্ষায় পাহারা দিতে হবে এবং নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পায়তারার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ১৪টির মতো উপকমিটি হয়েছে নির্বাচন উপলক্ষে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পরই কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে। ফরম ৫০ হাজার টাকা। অনলাইনেও বিক্রি করা হবে।

    সবশেষে বলেছেন, নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বা সমমনা অন্যান্যদের নিয়ে শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়।

  • দায়িত্ব নিলেন ঢাবির নতুন উপাচার্য

    দায়িত্ব নিলেন ঢাবির নতুন উপাচার্য

    আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

    শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্য কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

    দায়িত্বগ্রহণের সময় সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন অনুষদের অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

    পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

    উল্লেখ্য গত ১৫ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে ড. মাকসুদ কামালকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

  • ৪ নভেম্বর সু- সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪২তম জন্মদিন; বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ

    ৪ নভেম্বর সু- সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪২তম জন্মদিন; বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা।।
    আজ ৪ নভেম্বর সু- সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪২তম জন্মদিন।
    বহুমুখী সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন কাজী ইমদাদুল হক। তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, কবি, প্রবন্ধকার, উপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। বিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে যেসকল বাঙ্গালী মুসলমান মননশীল গদ্য লেখক বিশিষ্টতা অর্জন করেন তাদের মধ্যে অন্যতম কাজী ইমদাদুল হক। শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসর তৎকালীন মুসলমান সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাতিক্রমধর্মী প্রতিভার অধিকারী হয়ে সাহিত্য অঙ্গণে আবির্ভূত হন।
    স্বল্প সংখ্যক গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভে সক্ষম হন। তাঁর অন্য কিছু রচনা থাকলেও একটি মাত্র অসমাপ্ত উপন্যাস আব্দুল্লাহ রচনা করে তিনি যে কৃতিত্বের নির্দেশনা রেখে গেছেন, তাতেই তিনি বাংলা সাহিত্যে চির স্মরণীয়। আব্দুল্লাহ উপন্যাসে যে বিষয়বস্তু উপস্থাপনা করা হয়েছে তাতে বিংশ শতাব্দির গোড়ার দিকে বাঙালী মুসলমান সমাজে যে অবস্থা ছিল তার একটি নিখুঁত চিত্র বিধৃত হয়েছে। আজ
    ৪ নভেম্বর ২০২৩ সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪২তম জন্মদিন। সাহিত্যিক ইমদাদুল হকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জন্ম স্থান পাইকগাছায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাহিত্যিকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা, পদক ও পুরস্কার বিতরণ সহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন এর সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতীয় সংসদ সদস্য মো: আক্তারুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি থাকবেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবভল মন্টু, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম,ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়ানহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সমকালীন বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড.নজরুল ইসলাম এবং শিক্ষাবিদ সাহিত্যিক অধ্যাপক সুরঞ্জন রায়কে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পদক প্রদান করা হবে বলে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান জানিয়েছেন।
    বিশ শতকের সূচনালগ্নে যন্ত্রণাজর্জর এই যুগ-প্রতিবেশে বাংলা সাহিত্য- মুক্তচিত্ত-দ্রোহী এক আধুনিক শিল্পী রুপে আবির্ভূত হন কাজী ইমদাদুল হক। তিনি ছিলেন সংস্কারমুক্ত, উদার মানবতাবাদী, মননশীল এবং যুক্তিবাদী শিল্পদৃষ্টিসম্পন্ন ঔপন্যাসিক। কুসংস্কারাচ্ছন্ন প্রথালালিত সামন্ত-মূল্যবোধে স্নিগ্ধ মুসলিম সমাজ-অঙ্গণে বাসন্তী হাওয়ার প্রত্যাশায় ইমদাদুল হক সাহিত্যক্ষেত্রে দ্রোহীসত্তা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তবু তিনি বিদ্রোহী নন, সমাজ ভাঙ্গার ডাক নেই তার কর্মে-বরং মুসলিম সমাজের বিবিধ খন্ডচিত্র আর গ্লানির অঙ্গন উপস্থাপন করেই তিনি তৃপ্ত থেকেছেন। মুসলমান সমাজের সয়িষ্ণু আর্দশ ও রীতিনীতির বিপরীতে স্বাধীনচেতা ও প্রগতিশীল শিতি মনের নব্যসমাজ প্রতিষ্ঠার বাসনাই তাঁর উপন্যাসে ঔপন্যাসিক প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যক্ত করার প্রয়াস পেয়েছেন। চুয়াল্লিশ বছরের কর্মচ ল জীবনে ইমদাদুল হকের প্রধান কীর্তি আবদুল্লাহ্ (১৯৩৩) উপন্যাস। একটিমাত্র উপন্যাস লিখে ইমদাদুল হক বাংলা সাহিত্যে রেখে গেছেন তার স্বতন্ত্র প্রতিভার স্বাক্ষর।
    ১৮৮২ সালে ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে কথা সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ কাজী ইমদাদুল হক জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা কাজী আতাউল হক। কাজী ইমদাদুল হক ছিলেন পিতার একমাত্র সন্তান। কাজী ইমদাদুল হকের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় গ্রামের স্কুলে ও পারিবারিক পরিবেশে। জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ছিল তাঁর পিতার বন্ধুত্ব। প্রফুল্য চন্দ্র রায়ের উৎসাহ ও পরামর্শে কাজী ইমদাদুল হকের পিতা তাকে ১৮৯০ সালে খুলনা জেলা স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি করেন। ১৮৯৬ সালে খুলনা জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রার্স পাশ করেন। ১৮৯৮ সালে কলকাতা মাদ্রাসা থেকে এফএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন তিনি পদার্থ বিদ্যা ও রসায়ন শাস্ত্রে অনার্স নিয়ে ডিগ্রী ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু পরীক্ষার আগে অসুস্থতার কারণে অনার্স পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিষয়ে এমএ ক্লাসে ভর্তি হন।
    কাজী ইমদাদুল হকের কতিপয় পাঠ্য পুস্তক ও রচনাগুলি হল কবিতা আঁখিজল ১৯৯০, আব্দুল্লাহ ১৯৩৩, প্রবন্ধ-মোসলেম জগতের বিজ্ঞান চর্চা ১৯০৪, প্রবন্ধমালা প্রথম খ- ১৯১৮, প্রবন্ধমালা দ্বিতীয় খ- ১৯১৬ শিশু সাহিত্য নবী কাহিনী, কামারের কান্ড ১৯১৯, পার্থ পুস্তক ভূগোল শিক্ষা প্রনালী, প্রথম ও ২য় ভাগ ১৯১০, সরল সাহিত্য।
    তিনি শিক্ষক নামে মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তিনি ছিলেন সুপরিচিত বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির অন্যতম স্থপতি এবং সমিতির মুখপত্র বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকার পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
    কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক আসামের জরিপ বিভাগে চাকরি করতে করতেন এবং পরবর্তীতে খুলনার ফৌজদারি আদালতের মোক্তার নিযুক্ত হন।
    ১৯০৪ সালে খুলনা শহরে মৌলভী আব্দুল মকসুদ সাহেবের জ্যেষ্ঠ কন্যা সামসন্নেসা খাতুনকে বিয়ে করেন। কাজী ইমদাদুল হকের চার পুত্র ও ২ কন্যা- কাজী আনারুল হক, কাজী সামছুল হক, কাজী আলাউল হক, কাজী নুরুল হক এবং কন্যা জেবুন্নেছা ও লতিফুন্নেছা।
    ১৯০০ সালে কাজী ইমদাদুল হক কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ সম্পন্ন করেন। ১৯১৪ সালে তিনি বিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯০৪ সালে কাজী ইমদাদুল হক কলকাতা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এর দুই বছর পর ১৯০৬ সালে আসামের শিলং বিভাগে শিাবিভাগের উচ্চমান সহকারী হিসেবে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে তিনি ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক হন। ১৯১১ সালে তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোলের অধ্যাপক হন। এরপর ১৯১৪ সালে ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষা সহকারী স্কুল পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন। ১৯১৭ সালে তাকে কলকাতা ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯২১ সালে তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের সুপারিন্টেনডেন্ট হন। আমৃত্যু তিনি এই পদে বহাল ছিলেন।শিক্ষা বিভাগে বিভিন্ন কাজে অসামান্য দক্ষতা, গভীর দায়িত্ববোধ ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন ও ১৯২৬ সালে তাকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে।
    কাজী ইমদাদুল হক কখনো সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন না। সারা বছর কোন না কোন অসুখ-বিসুখ লেগে থাকতো। ১৯২৬ সালে তিনি কিডনী রোগে আবারও আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় চিকিৎসায় কোন প্রতিকার না হলে হেকিমী চিকিৎসার জন্য দিল্লির উদ্দেশ্যে কলকাতা গমন করেন। কলকাতায় অবস্থান করাকালীন ১৯২৬ সালের ২০মার্চ ৪৪ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। বিংশ শতাব্দীর বরেণ্য সু- সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হককে গোবরা কবরস্থানে তার মাতার কবরের পাশে দাফন করা হয়।

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় জনসভা ১৩ নভেম্বর

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় জনসভা ১৩ নভেম্বর

    এস এম সাইফুল ইসলাম কবির:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা সফর আরও দু’দিন পিছিয়ে ১৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই দিন সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভা সফল করতে গত মাস থেকেই প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে নগরীর প্রধান সড়কে নির্মাণ হচ্ছে তোরণ।

    আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন জানান, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণে ১১ নভেম্বরের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

    আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় আসার কথা ছিলো ৯ নভেম্বর। পরবর্তীতে দু’দিন তারিখ পিছিয়ে ১১ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। গতকাল আরও দু’দিন পিছিয়ে ১৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হলো।

    এর আগে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ব্যক্তিগত সফরে খুলনায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করেন এবং নিজের চাচা বাড়িতে (বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান।

  • প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে : শেখ হেলাল উদ্দিন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে : শেখ হেলাল উদ্দিন

    এস এম সাইফুল ইসলাম কবির: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, বিএনপি হরতাল অবরোধের নামে দেশব্যাপী নাশকতা করছে। ওরা চায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অদম্য অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে। ওদের এই ষড়যন্ত্রকে কোন অবস্থাতেই পাত্তা দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, বিএনপি দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। ওদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে বানচাল করতে ওদের যত ষড়যন্ত্র। ১১ নভেম্বর সার্কিট হাউসের জনসভার মধ্যদিয়ে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।

    তিনি আরো বলেন, যাদের জন্মই সেনানিবাসে তারা কিভাবে গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের কদর বুঝবে। সেকারনেই ওরা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করছে। আমাদের সকলকে ছোটখাটো ভুলত্রুটিকে ভুলে গিয়ে এক হয়ে শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের জন্য বাংলার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হলে সার্কিট হাউসের জনসভা সফল করতে হবে। মনে রাখতে হবে-শেখ হাসিনা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে সেজন্যে আমাদের একবার হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আর সেজন্যেই ১১ নভেম্বরে সার্কিট হাউসের জনসভায় জনসমুদ্রে পরিণত করে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, মো. মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, অধ্যা. রুনু ইকবার বিথার, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, নূরীনা রহমান বিউটি, কাউন্সিলর রফিউদ্দিন আহমেদ রফিক, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, ফেরদৌস হোসেন লাবু সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

    সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, মোঃ জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. আইয়ুব আলী, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, ফেরদৌস আলম চাঁন ফরাজী, চৌধুরী মিনাহাজ উজ জামান সজল, এ্যাড. রজব আলী সরদার। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, শাসসুজ্জামান মিয়া স্বপন, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সুলতানা রহমান শিল্পী, রনজিত কুমার ঘোষ, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মিয়া, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, মঈনুল ইসলাম নাসির, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, মুন্সি সেলিম হোসেন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, মো. শিহাব উদ্দিন, পারভীন ইলিয়াস, নুরিনা রহমান বিউটি, করবি, বিথি, মোস্তারি চিশতি, নিপা, নাসরিন ইসলাম, কাউন্সিলর এস এম রফিউদ্দিন আহমেদ, এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, এ্যাড. এনামুল হক, এ্যাড. কে এম ইকবাল হোসেন, এ্যাড. এম এম সাজ্জাদ আলী, মাহমুদ হাসান তাজু, রেজওয়ানা প্রধান, রেখা খানম, রোকেয়া রহমান, কহিনুর বেগম, সবনাম মুস্তারী, মাসুদা খানম পাখি, ফেরদৌসি আলম রিতা, শিরিনা হান্নান, শিউলি আক্তার, বিউটি বেগম, ফেরদৌসি সাথী, খাদিজা কবির তুলি, শামীম আরা পপি, কামরুন নাহার কাজল, এ্যাড. শাম্মী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

    সভায় সার্কিট হাউজের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। #ছবি সংযুক্ত আছে।

    এস এম সাইফুল ইসলাম কবির।

  • আন্তর্জাতিক যোগাযোগে নতুন অধ্যায় মোংলা -খুলনা  রেলপথসহ ৩ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা-মোদি

    আন্তর্জাতিক যোগাযোগে নতুন অধ্যায় মোংলা -খুলনা রেলপথসহ ৩ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা-মোদি

    এস এম সাইফুল ইসলাম কবির:বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদি। প্রকল্পগুলো হচ্ছে-আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ, খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট। পণ্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী করতে খুলনা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পর্যন্ত নির্মিত রেলপথ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
    এর মধ্য দিয়ে মোংলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগাযোগে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় মোংলা বন্দর থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। খুলনা-মোংলা রেলপথ উদ্বোধনের পর এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আরও বাড়বে। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান এবং বিকাশ ঘটবে সুন্দরবনের পর্যটনশিল্পেরও। বাড়বে সরকারি রাজস্ব। রেলপথে পণ্য পরিবহনে কমবে খরচ।

    ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে যে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে সেটা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে খুলনা-মোংলা রেললাইন চালুর মধ্য দিয়ে। প্রাণ পাবে মোংলা ইপিজেড। নতুন নতুন শিল্পোদ্যোক্তরা আসবে এ অঞ্চলে।

    খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, খুলনার সঙ্গে মোংলা বন্দরের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় এ বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাবে। এতে প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটান রেলপথ দিয়ে সহজেই মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। আগে সড়ক ও নদীপথে এ বন্দরের পণ্য পরিবহন হতো। তখন খরচ বেশি হতো। এখন রেলপথে পণ্য পরিবহনে খরচ অনেক কমে যাবে। যার প্রভাব পড়বে পণ্য মূল্যের ওপর।

    এদিকে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুলনা-মোংলা রেললাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করা এবং মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথে আরামদায়ক ভ্রমণের সুব্যবস্থা করা হয়েছে।

    খুলনা-মোংলা রেলপথের মাধ্যমে রেলওয়ের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার আশা দেখছেন তারা।

    বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ জামান বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল খুলনা-মোংলা রেলপথ। সে দাবি পূরণ হয়েছে। এই রেলপথের মাধ্যমে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

    মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, যে কোনো বন্দরের জন্য মাল্টিমডাল যোগাযোগ তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এত দিন আমরা নদীপথে পণ্য পরিবহন করতে পেরেছি। পদ্মা সেতু হওয়ার পর সড়কপথে পরিবহন করা হচ্ছে। এবার রেলপথে পণ্য পরিবহন করা হবে। এই রেললাইনের ফলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে স্বল্প খরচে বিশেষ করে কনটেইনার পরিবহন করা যাবে। এতে করে বন্দরের ব্যবহারও বাড়বে। গার্মেন্টস পণ্য আমদানি ও রপ্তানি সহজতর হবে। এছাড়া বিদেশি প্রকোটল ব্যবহার করে খুলনা-মোংলা রেললাইন দিয়ে নেপাল-ভুটানে পণ্য পরিবহন করতে পারবো। উত্তরাঞ্চলের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে শিল্পায়ন গতিশীলতা পাবে। বাড়বে বন্দরের রাজস্ব।

    ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহন সহজ করতে ২০১০ সালে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পটি তিন বছরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৩ বছর। মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে প্রকল্পের ব্যয়ও। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় এক হাজার ৭২১ কোটি টাকা থাকলেও কয়েক দফায় বেড়ে বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২৬০ কোটি টাকার বেশি। ভারত সরকারের ঋণসহায়তায় কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো ও ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার।

    প্রকল্পের আওতায় রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটারের রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৯০ কিলোমিটার রেলপথ। রেলপথটিতে রয়েছে নয়টি প্লাটফর্ম। ১০৭টি ছোট সেতু ও নয়টি আন্ডারপাসও নির্মাণ করা হয়েছে ওই প্রকল্পের আওতায়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলনা-মোংলা রেল চালু হওয়ার ফলে ভারত, নেপাল ও ভুটান বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হলো বাংলাদেশের সঙ্গে। এতে আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর।

    এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর ও খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হলো। জানা যায়, ট্রেনে ভারতের আগরতলা থেকে কলকাতা পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার, যা পাড়ি দিতে সময় লাগে ৩১ থেকে ৩৬ ঘণ্টা। বর্তমানে আগরতলা থেকে আখাউড়া হয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কলকাতা যাতায়াতে দূরত্ব ও সময় উভয়ই কমবে। কলকাতা যেতে মাত্র ১০ ঘণ্টা সময় লাগবে।

    অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ট্রেনে যে কোনো পণ্য আগরতলা হয়ে ভারতের যে কোনো রাজ্যে পৌঁছানো যাবে। একইভাবে ভারতের পণ্যবাহী ট্রেন আগরতলা হয়ে আখাউড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সহজ হবে। আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে প্রথমবারের মতো কাস্টম-ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতাও শুরু হয়েছে।#ছবি সংযুক্ত আছে।

    এস এম সাইফুল ইসলাম কবির
    বাগেরহাট সংবাদদাতা:

  • আগৈলঝাড়ায় ১৬৬ মন্ডপে ৫১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি

    আগৈলঝাড়ায় ১৬৬ মন্ডপে ৫১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শারদীয় উৎসবে ১৬৬টি পুজা মন্ডপে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা প্রদান করলেন জাতির পিতার ভাগ্নে, স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের অন্যতম সদস্য, মন্ত্রী মর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহবায়ক, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ -এমপি। ১৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে উপজেলার শহীদ সুকান্ত আবদুল্লাহ হল রুমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ প্রতি পুজা মন্ডপের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের হাতে সরকারী অনুদানের ১৯ হাজার টাকা ও তার নিজস্ব তহবিলের অনুদানের ১২ হাজার টাকাসহ মোট ৩১হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি অবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন- ২০০১ সালের কথা আপনাদের অবশ্যই মনে আছে? আমরা প্রতিহিংসা পরায়ন না বলেই খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে কারাদন্ডের পরেও মানবতার মা শেখ হাসিনা তাকে বাসায় বসে চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছেন। অথচ এই জামাত-বিএনপি জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তাদের অত্যাচার নির্যাতনের কারণে এই আগৈলঝাড়ার ৫০ হাজার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের জীবন বাঁচানোর জন্য রামশীল গ্রামে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। আমি নিজের জন্য ভোট চাই না। তবে আপনারা প্রতিজ্ঞা করেন আর যেনকোন সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে।এ সময় মন্ত্রী বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বেশী পুজা আগৈলঝাড়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রশাসনের প্রতি মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানসহ পুজায় আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কমিটি করে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে সমাজ সেবা অফিসার সুশান্ত বালার সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ সভায় অন্যান্যদেরে মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ, আগৈলঝাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, একুশের পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাসগুপ্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ লিটন সেরনিয়াবাত, আগৈলঝাড়া পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, দূর্গা পুজায় সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ৮৩ মেট্টিক টন জিআর চাল বরাদ্দ হিসেবে প্রতি মন্ডপে ৫শ কেজি করে চাল উপ-বরাদ্দ প্রদানের সাথে মন্ত্রী মহোদয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে ১২ হাজার টাকাসহ মন্ডপ প্রতি ৩১ হাজার টাকা করে মোট ১৬৬টি মন্ডপে ৫১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন। আগৈলঝাড়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলম চাঁদ বলেন, উপজেলায় ৩৫টি অধিক ঝুঁকিপূণ মন্ডপ, ৫৪টি ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপ এবং ৩৫টি সাধারণ মন্ডপ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ডপের প্রকারভেদে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পুজা থেকে প্রতীমা বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তা গ্রহন ছাড়াও পুজার পরেও তিন দিন পর্যন্ত আনসার বাহিনীর সদস্যরা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। অনুষ্ঠানে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন, আগৈলঝাড়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলম চাঁদ, আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তপন বোস,
    দৈনিক বাংলাদেশের আলো ও দৈনিক হিরন্ময় পত্রিকার প্রতিনিধি বি এম মনির হোসেন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, জনপ্রতিনিধি,আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ১৬৬মন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগন উপস্থিত ছিলেন।