Category: জাতীয়

  • পুলিশের লু/ণ্ঠিত অ/স্ত্র উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা

    পুলিশের লু/ণ্ঠিত অ/স্ত্র উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা

    গত বছর গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের লুন্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রকৃত সন্ধানদাতাদের পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কারের পরিমাণ এলএমজি ৫ লাখ টাকা, এসএমজি দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল এক লাখ টাকা এবং পিস্তল ও শটগান ৫০ হাজার টাকা। প্রতি রাউন্ড গুলির জন্য পুরস্কার ৫০০ টাকা।

    এছাড়া লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রকৃত সন্ধানদাতাকে কাছের থানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সন্ধানদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।

  • দেশের সর্বোচ্চ পতাকা স্ট্যান্ডে উ-ড়লো লাল-সবুজের পতাকা

    দেশের সর্বোচ্চ পতাকা স্ট্যান্ডে উ-ড়লো লাল-সবুজের পতাকা

    মোহাম্মদ বাবুল হোসেন জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পতাকা স্ট্যান্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে উড়ানো হলো লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। দেশের সর্বউত্তরের সীমান্ত বাংলাবান্ধায় ১১৭ ফুট উচ্চতায় এখন নিয়মিত উড়বে স্বাধীনতার প্রতীক এই গৌরবের পতাকা।

    মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তে পতাকাস্ট্যান্ডটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী।

    জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে ৩০ ফুট বাই ১৮ ফুট আয়তনের বিশাল লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর ফলক উন্মোচন ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানের আগে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে একটি সুসজ্জিত শোভাযাত্রা বের করা হয়, যা পতাকা বহন করে উদ্বোধনস্থলে পৌঁছায়।

    এ সময় বিজিবির কাছে পতাকা উত্তোলনের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। অতিথি ও স্থানীয়রা জানান, এটি কেবল একটি পতাকাস্ট্যান্ড নয়, বরং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে উঠবে বাংলাবান্ধা সীমান্তে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি, ১৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহব্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন, জেলা জাগপার সহ সভাপতি শামসুজ্জামান বিপ্লব, গণঅধিকার পরিষদের আহব্বায়ক মাহফুজার রহমান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি সহ অনেকে।

    জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ এই ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা নতুন এক ইতিহাসের সাক্ষী হলাম। এই পতাকা আমাদের গৌরব ও অহংকারের প্রতীক।

    ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা এই গৌরবের পতাকা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করছি।

    এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আগামীর বাংলাদেশে এই স্বাধীন পতাকা সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবে। কেউ আধিপত্যবাদের দৃষ্টিতে তাকালে আমরা চব্বিশের মতো রক্ত দিয়েই তার জবাব দেব।

    জানা গেছে, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের বিপরীতে ভারতীয় প্রান্তে প্রায় ১০০ ফুট উচ্চতার একটি ফ্ল্যাগস্ট্যান্ডে ভারতীয় পতাকা উড়ানো হয়। তবে বাংলাদেশের প্রান্তে এতদিন বড় কোনো ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ছিল না। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৯ এপ্রিল এ পতাকাস্ট্যান্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

    দেশের সর্বোচ্চ ১১৭ ফুট উচ্চতার এই ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাবান্ধা এখন নতুন ইতিহাসের সাক্ষী। সীমান্তের আকাশে গর্বভরে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা—স্বাধীন বাংলাদেশের মর্যাদা ও শক্তির প্রতীক হয়ে।

  • ৪ নভেম্বর সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪৪ তম জন্মদিন

    ৪ নভেম্বর সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪৪ তম জন্মদিন

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)

    ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪৪ তম জন্ম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে সাহিত্যিক ইমদাদুল হকের জন্মস্থান পাইকগাছার গদাইপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নতুন বাজার চত্ত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাহিত্যিকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
    বিশ শতকের সূচনালগ্নে যন্ত্রণাজর্জর এই যুগ-প্রতিবেশে বাংলা সাহিত্য-ক্ষেত্রে মুক্তচিত্ত-দ্রোহী এক আধুনিক শিল্পী রুপে আবির্ভূত হন কাজী ইমদাদুল হক। তিনি ছিলেন সংস্কারমুক্ত, উদার মানবতাবাদী, মননশীল এবং যুক্তিবাদী শিল্পদৃষ্টিসম্পন্ন ঔপন্যাসিক। কুসংস্কারাচ্ছন্ন প্রথালালিত সামন্ত-মূল্যবোধে স্নিগ্ধ মুসলিম সমাজ-অঙ্গনে বাসন্তি হাওয়ার প্রত্যাশায় ইমদাদুল হক সাহিত্যক্ষেত্রে দ্রোহীসত্তা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তবু তিনি বিদ্রোহী নন, সমাজ ভাঙার ডাক নেই তার কর্মে-বরং মুসলিম সমাজের বিবিধ খণ্ডচিত্র আর গ্লানির অঙ্গন উপস্থাপন করেই তিনি তৃপ্ত থেকেছেন। মুসলমান সমাজের ক্ষয়িষ্ণু আর্দশ ও রীতিনীতির বিপরীতে স্বাধীনচেতা ও প্রগতিশীল শিক্ষিত মনের নব্যসমাজ প্রতিষ্ঠার বাসনাই তাঁর উপন্যাসে ঔপন্যাসিক প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যক্ত করার প্রয়াস পেয়েছেন। চুয়াল্লিশ বছরের কর্মচঞ্চল জীবনে ইমদাদুল হকের প্রধান কীর্তি আবদুল্লাহ্ উপন্যাস। একটিমাত্র উপন্যাস লিখে ইমদাদুল হক বাংলা সাহিত্যে রেখে গেছেন তার স্বতন্ত্র প্রতিভার স্বাক্ষর।
    কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক আসামের জরিপ বিভাগে চাকরি করতে করতেন এবং পরবর্তীতে খুলনার ফৌজদারি আদালতের মোক্তার নিযুক্ত হন।
    ১৯০০ সালে কাজী ইমদাদুল হক কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ সম্পন্ন করেন। ১৯১৪ সালে তিনি বিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯০৪ সালে কাজী ইমদাদুল হক কলকাতা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এর দুই বছর পর ১৯০৬ সালে আসামের শিলং বিভাগে শিক্ষাবিভাগের উচ্চমান সহকারী হিসেবে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে তিনি ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক হন। ১৯১১ সালে তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোলের অধ্যাপক হন। এরপর ১৯১৪ সালে ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষা সহকারী স্কুল পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন। ১৯১৭ সালে তাকে কলকাতা ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯২১ সালে তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের সুপারিন্টেনডেন্ট হন। আমৃত্যু তিনি এই পদে বহাল ছিলেন।
    ১৯০৪ সালে খুলনা শহরে মৌলভী আব্দুল মকসুদ সাহেবের জ্যেষ্ঠ কন্যা সামসন্নেসা খাতুনকে বিয়ে করেন। কাজী ইমদাদুল হকের চার পুত্র ও ২ কন্যা- কাজী আনারুল হক, কাজী সামছুল হক, কাজী আলাউল হক, কাজী নুরুল হক এবং কন্যা জেবুন্নেছা ও জিন্নাতুনন্নেছা।
    শিক্ষা বিভাগে বিভিন্ন কাজে অসামান্য দক্ষতা, গভীর দায়িত্ববোধ ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন ও ১৯২৬ সালে তাকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে। খ্যাতিমান সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক ১৯২৬ সালের ২০ মার্চ কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • শের- ই- বাংলার ১৫২ তম শুভ জন্মদিন উদযাপন

    শের- ই- বাংলার ১৫২ তম শুভ জন্মদিন উদযাপন

    সুমন খান:

    বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ও ঢাকায় বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতীয়তাবাদের অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হকের ১৫২ তম শুভ জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। জন্মদিন উপলক্ষে শের -ই- বাংলার ঢাকায় মাযার (সমাধী) প্রাঙ্গণে তার জীবন ও কর্মের ওপর এক প্রানবন্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শের- ই- বাংলা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান একে ফাইয়াজুল হক রাজু ‘র সভাপতিত্বে ও ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নূর নবীর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত
    আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব মারগুব মুরশিদ, সাবেক সচিব সিরাজুদ্দীন আহমেদ, শের- ই- বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড: এমডি আবদুল লতিফ প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তাগন নতুন প্রজন্মকে শের ই বাংলা একে ফজলুল হক এর মৌলিক চিন্তা, তার আদর্শ ধারণ করে একটি সুখী সমৃদ্ধ স্বাধীন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান।
    সভায় আরও বক্তব্য রাখেন
    শের ই বাংলা ফাউন্ডেশন এর অন্যতম সদস্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল ইসলাম, এডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের কিবরিয়া, মাজাহারুল ইসলাম রিপন প্রমুখ
    । আলোচনা সভার আগে তার সমাধীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।এদিকে শের-ই-বাংলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চাখারের কৃতি সন্তান মহান এ নেতার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে রোববার সকালে চাখার ফজলুল হক ইনস্টিটিউট ও ওয়াজেদ মেমোরিয়াল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তাঁর আত্মজীবনীর ওপর রচনা প্রতিযোগিতা,আলোচনাসভা ও দোয়া-মিলাদ এবং বাদ আসর বিভিন্ন মসজিদ ও এতিমখানায় তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

  • BGKC এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সাধারণ জ্ঞান ও ইসলামিক কুইজ প্রতিযোগিতা- ২০২৫

    BGKC এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সাধারণ জ্ঞান ও ইসলামিক কুইজ প্রতিযোগিতা- ২০২৫

    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সংগঠন ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার একমাত্র আয়োজক Bangladesh General Knowledge Club আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বীতিয় জাতীয় সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও ছোটদের সহজ ইসলামিক কুইজ প্রতিযোগিতা- ২০২৫। এবারের প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করবেন আমান সিমেন্ট,আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক,ইসলামী ব্যাংক ও একুশে টিভি। অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে থাকবে অংশগ্রহণমূলক সার্টিফিকেট। এবারে সর্বমোট পুরস্কার ৫৫০ টি থাকছে। অনলাইন পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ শনিবার ।

    পুরস্কার সমূহতে থাকছে বাছাই পর্ব উত্তীর্ণকারী প্রতি গ্রুপ থেকে ১২৫ জন করে মোট ৪ × ১২৫ = ৫০০ জনকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান।

    এরপর থাকছে ফাইনাল রাউন্ড ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান (অফলাইন) ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার। মাইলস্টোন কলেজ স্থায়ী ক্যাম্পাস ডিয়াবাড়ি উত্তরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।

    পুরস্কার সমূহে থাকছে চূড়ান্ত পর্বে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৫০ জনকে ক্রেস্ট সার্টিফিকেট ও অন্যান্য গিফট প্রদান করা হবে।

    গ্রুপ বিভাজনে থাকছে Group A ৩য়-৫ম শ্রেণি (ছোটদের সহজ ইসলামিক কুইজ)। Group B ৬ষ্ঠ – ৮ম শ্রেণি (সাধারণ জ্ঞান কুইজ)।Group C ৯ম – দ্বাদশ শ্রেণি (সাধারণ জ্ঞান কুইজ)। Group D দ্বাদশ শ্রেণির ঊর্ধ্বে (সাধারণ জ্ঞান কুইজ)।

    নিচের লিঙ্ক থেকে “১ম জাতীয় সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার” অনুষ্ঠানের স্বল্প সংখ্যক ছবি দেখা যাবে
    Link:https://drive.google.com/drive/folders/1wlkPrHnXfqJc0xTDdMulYAXj8WiYTB3q?usp=sharing

    প্রাথমিক বাছাইপর্ব অনলাইনে Atm Quiz app (android) এর মাধ্যমে হবে। সিলেবাস, পরীক্ষা পদ্ধতি, সময়, নমুনা প্রশ্নপত্র ইত্যাদি সবকিছু অ্যাপ থেকে জানা যাবে। নিচে অ্যাপের লিঙ্ক দিয়ে দেওয়া হলো।
    App Link: https://atmquiz.com/app

    নিচের লিঙ্ক থেকে অ্যাপ এ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি দেখা যাবে :-
    Link:https://drive.google.com/file/d/1Q7cMi5mRnZYxC7F66w_ItuX4LjnOr2Nm/view?usp=drivesdk

    পরীক্ষার ফি: ১০০ টাকা মাত্র। তবে app টি আপনার একজন বন্ধুর মাঝে রেফারেল কোডের মাধ্যমে শেয়ার করে প্রতি শেয়ারের জন্য ১০ টাকা ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। এভাবে শুধু ফ্রিতে পরীক্ষা নয় আগামী বছরের পরীক্ষার জন্যেও টাকা জমা রেখে দিতে পারেন। app থেকে competition – এ অংশগ্রহণের সময় যেকোনো বিকাশ নম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর,২০২৫ শুক্রবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ফি প্রদান করতে পারবেন।

    নিচের লিঙ্ক থেকে অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও পেমেন্ট সিস্টেম দেখা যাবে—–
    Link:https://drive.google.com/file/d/1u8tc0X_fNud7zVbpQKIlqXh57-YLwtSR/view?usp=drivesdk

    নিচের লিঙ্ক থেকে অধ্যক্ষ/ প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের নিকট পাঠানো প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি এবং ক্লাবের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দেখে নিতে পারবে।
    Link:https://drive.google.com/file/d/1eLX4s3lrWLqUkKQDmUAvcfOt4eOpNuFc/view?usp=sharing

    প্রাথমিক বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ফাইনাল রাউন্ডের জন্য মাইলস্টোন কলেজের লোকেশন নিচের লিংক থেকে দেখা যাবে
    Link: https://share.google/ea2sONivMbV2b7Jy5

    নিচে “Bangladesh General Knowledge Club” এর ফেসবুক লিংকে ক্লিক করুন:-

    https://www.facebook.com/reel/2749191562139069/?app=fbl

  • সেনাবাহিনী’র রিক্রুট ব্যাচ-২০২৫ এর  প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

    সেনাবাহিনী’র রিক্রুট ব্যাচ-২০২৫ এর প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট, আর্টিলারি রেজিমেন্ট এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের রিক্রুট ব্যাচ-২০২৫ এর সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

    ঢাকা, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ (মঙ্গলবার): আজ (১৪ অক্টোবর ২০২৫) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট, আর্টিলারি রেজিমেন্ট এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের রিক্রুট ব্যাচ-২০২৫ এর সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান যথাক্রমে রাজশাহী সেনানিবাসস্থ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার (বিআইআরসি) এবং চট্টগ্রামের হালিশহরস্থ আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুল (এসিএন্ডএস)-এ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানদ্বয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে যথাক্রমে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি, এসবিপি, ওএসপি, বিএএম, এনডিসি, পিএসসি এবং মেজর জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, বিএসপি, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।

    আজকের এই নান্দনিক ও চৌকষ প্যারেডের মাধ্যমে ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট, আর্টিলারি রেজিমেন্ট ও আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের সৈনিকবৃন্দ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নবীন সৈনিক হিসেবে যোগদান করলো। অনুষ্ঠানদ্বয়ে প্রধান অতিথিগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও দেশমাতৃকার সেবায় ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট, আর্টিলারি রেজিমেন্ট ও আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের অবদানের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য নবীন সৈনিকদের প্রতি আহবান জানান। সেইসাথে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে নবীন সৈনিকদের উদ্বুদ্ধ করেন।

    অনুষ্ঠানদ্বয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, জেসিও, অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী রিক্রুটগণের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।

  • জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আ-ইনগত কোন বাধা নেই –অ্যাটর্নি জেনারেল

    জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আ-ইনগত কোন বাধা নেই –অ্যাটর্নি জেনারেল

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা
    জুলাই সনদ জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস্তবায়িত হবে। এখানে আইনগত কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আসাদুজ্জামান। শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্কে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এম এ মজিদ, ঢাকাস্থ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মেহেদী হাসান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ বেগম পলি, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, সিনিয়র সাংবাদিক বিমল সাহা, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ, এমন রায়হান, মাহমুদ হাসান টিপু, আজাদ রহমান, ঝিনাইদহ টেলিভিশন ফোরামের শিপলু জামান, ঝিনাইদহ রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি এম এ কবির, মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক ফোরামের এমন রাসেল, মহেশপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সরোয়ার হোসেন, আব্দুর রহমান, কোটচাঁদপুরের খন্দকার আব্দুল্লাহ বাশার ও বাসস প্রতিনিধি শাহজাহান নবীন প্রমুখ ।

    অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রশাসনের যারা বড় ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন, সরকার তাদের অপরাধ বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিবেন। বর্তমান প্রশাসন দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সজাগ আছে। তারাই নির্বাচন সামনে রেখে নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখনই কোন ফ্যাসিস্ট দ্বারা নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করেন তখনই তারা রাষ্ট্রের কাঠামো বদলে দেয়। তারা প্রতিবাদ করেন, দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দেন। অনুষ্ঠান শেষে বিকালে ঝিনাইদহের পেশাজীবী, ব্যাবসায়ী ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে ” উন্নয়ন ভাবনা প্রেক্ষিত ঝিনাইদহ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে  শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারেক রহমান

    শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারেক রহমান

    শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিম্নে সম্পুর্ন তুলে ধরা হলো।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।

    আবহমানকাল ধরে দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রতিটি গোষ্ঠী-গোত্র-সম্প্রদায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে যার যার ধর্ম পালন করে আসছে, এটি বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য্য। শরতে বাংলাদেশের চারিদিকে কাশফুল ও শীতের আভাষ জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারের গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।

    একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি মনে করি, উৎসবের ভেতর দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ এবং ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানে দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সংশয়বাদী প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

    পবিত্র হাদিসেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে-
    “যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়”- এ ধরণের জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) তাঁর উম্মতদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন- “কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।”

    ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে এবং নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে, এটিই স্বাভাবিক রীতি। উৎপীড়ণ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সঙ্গত।
    শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের মতো কেউ যাতে কোনোরকম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো পরিস্থিতি কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো অপচেষ্টা করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক এবং সজাগ থাকার জন্য আমি দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানাই।

    দেশের হিন্দু সম্পদায়ের প্রতি আমার আহবান, আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারাদেশে উৎসব আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন।

    আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে- ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।

    সবশেষে আমি এই আনন্দময় দূর্গাপুজার উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায় এবং ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সকলকে আবারো আমার এবং আমাদের দল অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে শারদীয় দূর্গাপুজার শুভেচ্ছা জানাই।

    আমি এবারের শারদীয় দূর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।

  • খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সা-ম্প্রদায়িক স-হিংসতা সম্পর্কে সেনাবাহিনীর বি-বৃতি

    খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সা-ম্প্রদায়িক স-হিংসতা সম্পর্কে সেনাবাহিনীর বি-বৃতি

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।।

    ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (রবিবার): গত ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চালক মামুন হত্যাকে কেন্দ্র করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) মূল এবং অঙ্গসংগঠন সমূহ দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে তিন জন নিহত সহ বেশ কিছু এলাকাবাসী আহত হয়। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এর ঘটনার এক বছর পূর্তি হিসাবে এই বছর ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল এর আয়োজন করে এবং অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করে।

    গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগকে আমলে নিয়ে ইউপিডিএফ (মূল) এর দাবিকৃত সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেয়া হয়। ঘটনাটির সত্যতা বিচারে আইনি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। শয়ন শীলকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও ইউপিডিএফ এর অঙ্গসংগঠন পিসিপি এর নেতা উখ্যানু মারমা ‘জুম্ম ছাত্র জনতার’ ব্যানারে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদী মানববন্ধনের ডাক দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর আহ্বানে খাগড়াছড়িতে অর্ধবেলা হরতাল পালিত হয়। একই সময় দেশে বিদেশে অবস্থানরত ব্লগার এবং পার্বত্য অঞ্চলের কিছু দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ কর্তৃক অনলাইনে বাঙালিদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়।

    গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর কর্মী উখ্যানু মারমার নেতৃত্বে এবং সামাজিক মাধ্যমে দেশী ও প্রবাসী ব্লগারসহ পার্বত্য জেলার কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির উস্কানিমূলক প্রচারণার প্রভাবে সমগ্র খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধ চলাকালে এক পর্যায়ে ইউপিডিএফ এর প্ররোচনায় উশৃঙ্খল এলাকাবাসী টহলরত সেনাদলের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলশ্রুতিতে তিনজন সেনা সদস্য আহত হয়। সার্বিক পরিস্থিতি এবং উসকানির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য্য, সংযম ও মানবিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে।

    গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এবং অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা আবারো দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা চালায় এবং বিভিন্ন স্থানে বাঙালি সহ সাধারণ মানুষের উপর গুলি, ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ এবং রাস্তা অবরোধসহ নাশকতা করে সমগ্র খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায়। উক্ত দিন দুপুর নাগাদ সামগ্রিক বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙালির একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। অবস্থা বিচারে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাগড়াছড়ি ও গুইমারা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্য্যের সাথে সারা রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং একটি অবশ্যম্ভাবী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিহত করা সম্ভবপর হয়।

    খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর ইউপিডিএফ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ জনগণকে উস্কে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে গুইমারা-খাগড়াছড়ি রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। আজ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ইউপিডিএফ কর্মী এবং সন্ত্রাসীরা এলাকার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া তে লিপ্ত হয়। এই পর্যায়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর ০৩ জন অফিসারসহ ১০ জন সদস্য আহত হয়। একই সময় তারা রামগড় এলাকায় বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালীন আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার দিকে রামসু বাজারের পশ্চিম দিকে অবস্থিত উঁচু পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র দলের সদস্যরা ৪/৫ বার অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত পাহাড়ি, বাঙালি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে আনুমানিক ১০০-১৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে, ঘটনাস্থলে সংঘর্ষে লিপ্ত এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়। এমতাবস্থায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর টহল দল দ্রুত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করার লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় গমন করে। সেনাবাহিনীর তৎপরতায় উক্ত সশস্ত্র দলটি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।

    সমসাময়িক সময়ে রামসু বাজার এবং ঘরবাড়িতে ইউপিডিএফ (মূল) এর বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা অগ্নিসংযোগ করে এবং বাঙালিদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রামসু বাজার এবং গুইমারা এলাকায় অতিরিক্ত সেনাদল নিয়োগ করা হয় এবং বিকাল ৪.৩০ মিনিটের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    বিগত কয়েকদিনের ঘটনা পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠন সমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার মহিলা এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে। একই সাথে পার্বত্যাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের লক্ষ্যে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকালে বিজিবির কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক স্থাপিত চেকপোস্টে ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক পরিবহনকৃত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র যাত্রীবাহী বাস হতে জব্দ করা হয়।

    বিগত ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত খাগড়াছড়ি এবং গুইমারা এলাকায় বিভিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের বিষয়টি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে প্রতীয়মান হয়। এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রমাণাদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সংরক্ষিত আছে। বিগত কয়েকদিনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণকে সংযত আচরণ করার জন্য আহবান জানাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগীতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। সকল ধরণের অপপ্রচার, মিথ্যা প্রচারণা, উস্কানিমূলক কর্মকান্ড সত্ত্বেও সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য এই অংশের অখন্ডতা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • কুমিল্লাতে দীর্ঘ ১৬ বছর পর কুমিল্লা দঃজেলা বিএনপির সম্মেলন অ-নুষ্ঠিত

    কুমিল্লাতে দীর্ঘ ১৬ বছর পর কুমিল্লা দঃজেলা বিএনপির সম্মেলন অ-নুষ্ঠিত

    কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ তরিকুল ইসলাম তরুন,

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

    ২৭ সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ২৭ শে সেপ্টেম্বর শনিবার ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও উদ্দীপনাময় পরিবেশে এই কাউন্সিল সম্পন্ন হয়। এতে

    প্রধান অতিথি হিসেবে গণ্য আসন অলংকৃত করেন দলের সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উক্ত

    কাউন্সিলে প্রধান বক্তা হিসেবে দলীয় নীতিমালা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। কাউন্সিলের উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু। এছাড়াও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী।

    কাউন্সিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমিনুর রশিদ ইয়াসিন, কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম এবং কুমিল্লা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া।

    কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিপ্লবী আহবায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন ( শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, (বিএনপি)

    সভার সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ডিপি ওয়াসিম।

    কাউন্সিলে বক্তারা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সাংগঠনিকভাবে ও প্রস্তুত করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দঃ জেলা বিএনপির নব সহ সভাপতি আমিরুজ্জামান আমির,
    সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান ওয়াসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, সদস্য মোজাহিদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারি আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।