Category: কৃষি

  • পাইকগাছার তরমুজ রপ্তানি হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে

    পাইকগাছার তরমুজ রপ্তানি হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা ( খুলনা )।।
    খুলনার পাইকগাছার কৃষিতে সমৃদ্ধ গড়ইখালী ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে হাজার-হাজার বিঘার সবুজ ফসলের ক্ষেত দেখে মন জুড়িয়ে য়ায়। চারিদিকে শুধু সোনালী ধানসহ লোভনীয় তরমুজ,ঢেঁড়শ, উচ্ছে, মিষ্টি আলু পুঁইশাকসহ নানা ধরনের সবজি তুলতে কৃষক-কৃষানীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে রবি মৌসুমে বাইনবাড়ীয়া,হোগলারচক,আমিরপুর,কুমখালী, কানাখালী পাতড়াবুনিয়া ও পাশ্ববর্তী কয়রা উপজেলার চান্নিরচকসহ বিভিন্ন মাঠের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজি ও তরমুজ ট্রাক যোগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। একাধিক তরমুজ চাষির জানান, ক্ষরা ও শিলা বৃষ্টিতে বেশ কিছু চাষির তরমুজের উৎপাদন আশানুরুপ হয়নি। তবে অধিকাংশ চাষিরা লাভবান হয়েছে। বাইনবাড়ীয়ার তরমুজ চাষি সুভাষ মিস্ত্রী ও সুব্রত মিস্ত্রী এ প্রতিবেদককে জানান, জমির হারী, বীজ-সার,সেচ কীটনাশকসহ বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি তরমুজের ক্ষেত বিক্রি হয়েছে সর্বনিন্ম ২০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। কৃষকদের অভিমত প্রতি বছরে দো-ফসলী এ এলাকার মানুষ শ্রমঘন শিল্প বিশেষ করে ধানচাষসহ তরমুজ ও বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে এবং সর্বোপরী দেশের কৃষি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছেন।
    এ বিষয়ে গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম আব্দুস ছালাম কেরু মিষ্টি পানির স্বপক্ষে মতামত করে জানান,এলাকার কৃষি খাতকে মজবুত করতে ঘোষখালী বদ্ধ নদীর (শান্তার গোড়ায়) বাঁধ দিয়ে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করে রবি মৌসুমের ধান,তরমুজসহ সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহ যোগানো হচ্ছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা, খুলনা।

  • বিদেশী ফল মালবেরী চাষ করে সফলতা পেয়েছেন নওগাঁ’র সাপাহারে কৃষি উদ্যোক্তা সোহেলরানা

    বিদেশী ফল মালবেরী চাষ করে সফলতা পেয়েছেন নওগাঁ’র সাপাহারে কৃষি উদ্যোক্তা সোহেলরানা

    নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকায় বিদেশী জনপ্রিয় ফল মালবেরী উৎপাদনের উজ্জল সম্ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। ঠা ঠা বরেন্দ্র বলে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় সফল কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা তাঁর সমন্বিত বরেন্দ্র এগ্রো খামারে মালবেরী চাষ করে তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরন সৃষ্টি করেছেন। তাঁর এই সফলতা দেখতে প্রতিদিন আগ্রহ উদ্যোক্তাবৃন্দ তাঁর খামারে আসছেন এবং নিজেরাও মালবেরী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

    মালবেরী প্রধানত পাহাড়ী এবং শীত প্রধান দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। বিশেষ করে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান এসব দেশে মালবেরী চাষ হয়ে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কিছু কিছু এলাকায় মালবেরী চাষ হচ্ছে। সোহেল রানা তাঁর ধারাবাহিক অনুসন্ধানী উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখন থেকে চার বছর আগে তাঁর এগ্রো খামারে অন্যান্য অনেক ফলের সাথে প্রায় ৫০টি মালবেরী গাছের চারা রোপন করেন। থাইলান্ড থেকে সরাসরি এবং ঢাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মালবেরী চারা সংগ্রহ করেন। তিনি তাঁর এই খামারে ৮ প্রজাতির মালবেরী চারা রোপন করেন। রোপনের এক বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশী মালবেরী উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। চলতি বছর মুল সিজনে প্রতিটি গাছে গড়ে কমপক্ষে ১০ কেজি করে মোট ৫০০ কেজি মালবেরী উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে তিনি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে এ বছর মুল সিজনে ২ লক্ষ টাকার মালবেরী বিক্রি করবেন। এ ছাড়াও গাছ গুলোতে বছরে আরও একবার মালবেরী উৎপাদিত হবে। সেখান থেকেও আসবে অতিরিক্ত আয়। অথচ খরচ তেমন নাই বললেই চলে। ব্যবহার করেন কেবলমাত্র জৈবসার। রোগবালাই কিংবা পোকা মাকড়ের কোন আক্রমন নাই। নিরাপদেই চাষ করেন তিনি।

    সোহেলরানার এই এগ্রো খামারের সফলতার কাহিনী লোকের মুখে মুখে। তার উপর বিদেশী ফল মালবেরী চাষ ও লাভের কথা শুনে প্রতিদিন প্রচুর আগ্রহী লোকজন দেখতে তার খামারে ভীড় করছেন। নিজেরাও মালবেরী চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিচ্ছেন সোহেল রানার কাছ থেকে।

    মালবেরী চাষের অপরা সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন এই ফল উচ্চমানের পুষ্টিগুন সম্পন্ন। বিশেষ করে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মালবেরী খুবই উপকারী। সাপাহারের সোহেল রানার মত যদি কেউ মালবেরী চাষে এগিয়ে আসেন কৃষি বিভাগ সবরকমের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।#

    রওশন আরা শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।।

  • গোপালগঞ্জে ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধান, দিশেহারা কৃষক

    গোপালগঞ্জে ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধান, দিশেহারা কৃষক

    স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে বোরো ধানে দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগ। এতে জমির ধান নস্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উফসি-২৮ জাতের ধানে এর প্রকোপ বেশি। রোগের প্রভাবে ধান চিটা হওয়ায় অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। সেই সাথে ধান নষ্ট হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় করা হচ্ছে। তবে কৃষকের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করতে না পারলেও, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

    সদর উপজেলার বোড়াশী গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বোরো মৌসুমে এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। তবে চাল সরু ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় কৃষকেরা হাইব্রীড জাতের পাশাপাশি উফসি-২৮ জাতের বোরো ধানের আবাদ করেন কৃষকেরা। কিন্তু জেলার বিভিন্ন ধানের ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়ায় ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। যেসব জমিতে উফসি-২৮ জাতের ধান রোপন করা হয়েছে সেখানে ধানের শীষ আসার সাথে সাথে তা পুড়ে গিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে ইঁদুর গাছের গোড়া কেটে দেয়ায় নষ্ট হচ্ছে ধান গাছ। এতে ক্ষতি মুখে পড়েছেন জেলার কয়েক হাজার কৃষক। ধার দেনা করে বোরো ধানের আবাদ করেছেন কৃষকেরা। ধান নষ্ট হওয়ায় ধার দেনা শোধ করবেন কিভাবে সেই চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। ধান নষ্ট হওয়ায় সারা বছর খাদ্যের যোগান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানাগেছে, এ বছর জেলায় প্রায় ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৫৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর, উফসি জাতের ২২ হাজার ২’শ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। এ বছর প্রায় ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ধান নষ্ট হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে কৃষি বিভাগ।

    বোড়াশী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো: ফোরকান মোল্যা জানান, এ বছর তিনি সোয়া তিন বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে হাইব্রিডের পাশাপাশি উফসি-২৮ জাতের ধান রোপন করেন। কিন্তু এসব গাছে ব্লাস্ট রোগ হওযায় ধান চিটা হয়ে গেছে। সেই সাথে ভাল জমিতে ইঁদুর গোড়া কেটে দেয়ায় ধান গাছ নষ্ট হচ্ছে গেছে। ফলে তিনি অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

    একই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রেজাউল করিম দাঁড়িয়া বলেন, যে সব জমিতে ২৮ জাতের বোরো ধান রোপন করা হয়েছে যে সব ধানের গাছে শীষ আসার পর ধান ফুলে উঠলে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব জমি থেকে এক ছাটাকও ধান ঘরে তোলা যাবে না। কিন্তু ধান গাছ রোগে আক্রান্ত হলেও কৃষি কর্মকর্তারা কোন ধরনের পরামর্শ দেয়নি। ফলে ক্ষতির পরিমান বেশি হয়েছে।

    ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো: নূর আলম মোল্যা বলেন, আমরা যে ডিলারের কাছ থেকে ধান বীজ কিনেছি তারা কিছুই জানায়নি বীজ ভাল না খারাপ। বীজ খারাপ হওয়ায় ধান ফোলার পর রোগে আক্রান্ত হয়ে তা নষ্ট হয়ে চিটা হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে কোন উপকার করতে পারবে না। এখন সরকার যদি কোন সাহায্য সহযোগীতা না করে তাহলে আমাদের পথে বসতে হবে।

    টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোহাব্বত আলী বলেন, এ বছর ২ বিঘা জমিতে বোরো-২৮ জাতের ধান রোপন করেছি। ধানের শীষ আসার সাথে সাথে তা পুড়ে গিয়ে চিটা হয়ে গেছে। এবছর একটা ধানও ঘরে তুলতে পারবো না। সারা বছর কি খেয়ে বাঁচবো সেই চিন্তায় আছি।

    এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ: কাদের সরদার বলেন, এ বছর জেলায় ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। বেশিভাগ হাইব্রিড ধানের আবাদ হলেও উফসি জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। বোরো-২৮ জাতের ধান গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এ জাতের গাছ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেসব জমিতে ব্লাস্ট রোগ হচ্ছে সেসব জমির ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। ব্লাস্ট রোগ হবার সাথে সাথে আমরা কৃষকদের ছত্রাকনাশক ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছি এবং উঠান বৈঠক করা হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমান নিরুপণ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরী করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে সরকারের উচ্চমহলে পাঠানো হবে। এরপর সরকার কোন প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে। #

  • পাইকগাছায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

    পাইকগাছায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।। অনুকুল আবহাওয়ায় পাইকগাছায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমের গুটিতে দুলছে আমচাষীর স্বপ্ন। আম গাছের মুকুলের ডগায় ডগায় দোল খাচ্ছে আমের গুটি। দিন দিন বড় হচ্ছে আমের গুটি। আশা-হতাশায় আমের গুটিতে দোল খাচ্ছে আম চাষীর স্বপ্ন। নানা জাতের আম, স্বাধ এবং রংবেরঙের আমের রং লেগেছে চাষীর মনে। সোনালী এই স্বপ্ন পূরণে চাষীরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। বৈশাখের তান্ডব,ঝড়বৃষ্টি ও শীলাবৃষ্টি আমের শত্রু। চাষীর মনে রয়েছে শঙ্কা। প্রকৃতির সাথে মিতালী করে চাষীরা সোনালী স্বপ্ন বুকে ধারণ করে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা।
    পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভা ছাড়া বাকি ইউয়িনগুলোতে ছড়ানো ছিটানো সীমিত আমের গাছ রয়েছে। এ বছর আম বাগান থেকে ৫ হাজার ৮ শত মেট্রিকটন আমের ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
    এলাকায় স্থানীয় জাতের পাশাপাশি আম রূপালী, হিম সাগর, গোপাল ভোগ, বোম্বাই লতা, মল্লিকা, ল্যাংড়া, ফজলি সহ বিভিন্ন জাতের আম বাগানের সংখ্যা বেশি। তবে এ এলাকার গদাইপুরের বোম্বাই লতার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। আমের মুকুল থেকে যে পরিমান গুটি ধরেছে তাতে প্রচুর ফলনও হয়েছে। গদাইপুর গ্রামের আম চাষী মোবারক ঢালী জানান, গাছে মুকুল আসার আগে বাগান পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল আসার পরে ও আগে ছয় বার ছত্রাক নাশক স্প্রে করেছেন।আমের ভালো ফলন পাবেন বলে তিনি আশা করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর অনুকূল আবহাওয়ায় আম গাছে প্রচুর পরিমাণ গুটি ধরেছে। প্রকৃতিক বিপর্যায়ের উপর কারও কোন হাত থাকে না। তবে বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে পাইকগাছার আম চাষীরা ভালো ফলন পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

  • তানোরের কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যর  নায্যমূল্য পাচ্ছেন না

    তানোরের কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যর নায্যমূল্য পাচ্ছেন না

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে ক্রটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা ও মধ্যস্বত্ত্বভোগী সিন্ডিকেট চক্রের কারণে বাম্পার ফলনের সুফল পাচ্ছেন না। আওয়ামী লীগ সরকারের দেয়া কৃষি ভুর্তুকিতে বিপুল উৎসাহ নিয়ে কৃষকেরা
    মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজস্ব পুঁজি বিনিয়োগ করে প্রতিনিয়ত উৎপাদন
    বৃদ্ধি করছে। অথচ ক্রুটিপুর্ণ বাজার ব্যবস্থার কারণে উৎপাদিত পণ্যর নায্যেমূল্য পাচ্ছেন না কৃষক। ফড়িয়া মধ্যস্বত্ত্বভোগী সিন্ডিকেট চক্রের কারণে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না থাকায় কৃষকের চোখের সামনেই মাঠের মধ্যেই উৎপাদিত
    ফসল পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, নইলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসলের এই বেহাল দশায় তাদের নির্বাক হয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকছে না। ক্রটিপূর্ণ
    বাজার ব্যবস্থা, প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের
    অভাব এবং স্থানীয় কাঁচা বাজারের প্রতি সরকারের তেমন কোনো দৃষ্টি না থাকায়
    কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের নায্যেমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের কৃষক মইফুল ইসলাম ও রাব্বানী বলেন, প্রতিবছর হিমাগার মালিক ও ফড়িয়া সিন্ডিকেটের কারনে আলুচাষিরা নায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা সরকারিভাবে আলু কেনার দাবি করেছেন।
    স্থানীয় কৃষিবিদদের অভিমত, ফড়িয়া মধ্যস্বত্ত্বভোগী সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য কৃষকেরা জিম্মি বাজার ব্যবস্থায় উৎপাদকরা কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। সিংহভাগ সময় কৃষি পণ্যর বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া সিন্ডিকেট চক্র। ফলে রোদে পুড়ে
    বৃষ্টিতে ভিঁজে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষক ফসল উৎপাদন করলেও তার
    নায্যমূল্যে পাচ্ছে না। পার্শ্ববর্তীসহ বিভিন্ন দেশে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য নিদ্রিষ্ট পাইকারি বাজার থাকলেও আমাদের এখানে কোন পাইকারি বাজার নেই। আবার কৃষক কম দামে পণ্য বিক্রি করলেও তার সুফল পাচ্ছে না ভোক্তারা। মাঠ থেকে আড়ত পর্যন্ত কয়েক স্তরে হাত বদল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে পণ্যর দাম। সেই মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া চক্রের বেঁধে দেয়া দামেই ক্রেতাদের তা কিনে খেতে হচ্ছে।
    জানা গেছে, গত বছর আলুর ভালো দাম পাওয়ায় এবছর আলুর বাম্পার
    ফলন হয়েছে। কিন্ত্ত মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে বাজারে আলুর দাম আশংকাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। গত বছর যেখানে জমিতে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবার ভরা মৌসুমে সেই আলুর দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ১১ টাকা। অথচ এক কেজি আলুর উৎপাদন খরচ গড়ে সাড়ে ১০ টাকা। এতে যে উৎসাহ নিয়ে কৃষক আলু চাষ করেছিল, বাম্পার ফলনের সঙ্গে দাম পড়ে যাওয়ায় তাদের উৎসাহ ও মূখের হাসি উবে গেছে। একই অবস্থা ছিল টমোটোর ক্ষেত্রে। প্রতি কেজি টমেটোর উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ১০ টাকা অথচ বাজারে বিক্রি হয়েছে ৫ থেকে ৮ টাকায়। নায্যেমুল্য না পাওয়ায় অনেকেই জমিতে সার ও গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন। একই অবস্থা হয়েছে বাঁধা কপির ক্ষেত্রেও দাম না পেয়ে কৃষকরা ক্ষেতের ফসল গবাদিপশু
    দিয়ে খাইয়ে দিয়েছে।ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যর
    নায্যমূল্য না পেয়ে চরম হতাশ। এলাকার কৃষকেরা উপজেলায় কৃষি বাজার, কৃষি পক্রিয়াজাতকরণসহ কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে অনুরাধ জানিয়েছেন। এবিষয়ে সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন,
    অপ্রিয় হলেও সত্য কৃষি প্রধান এই এলাকার কৃষকরা অধিকাংশ সময়
    তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যর নায্যমূল্যে থেকে বঞ্চিত হয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছে,আগামীতে সুষ্ঠু বাজার ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা তৈরী
    হলে কৃষকদের এই অসুবিধা আর থাকবে না। তিনি আরো বলেন, কেউ কৃষিপণ্য পক্রিয়াজাতকরণ বা কৃষিভিত্তিক
    শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে চাইলে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে
    সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। #

  • শার্শার বেলতলায় আঁচার তৈরীর আম উঠতে শুরু করেছে

    শার্শার বেলতলায় আঁচার তৈরীর আম উঠতে শুরু করেছে

    আজিজুল ইসলাম : দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের আমের রাজধানী খ‍্যাত বেলতলা আম বাজারে গুটি আম বেচাকেনা শুরু হয়েছে। আমের আঁচার তৈরী ও টক ডাউলের জন্য গুটি আমি কিনতে পাইকারদের পাশাপাশি খুচরা ক্রেতারাও ভীড় জমাচ্ছেন আম বাজারে।
    এখানে প্রতি মণ আমের গুটি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

    বিক্রেতারা জানিয়েছেন , ঢাকা রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরে টক ডাইল,ও আচার খাবার কাজে ব‍্যাবহার করা হচ্ছে এই আম। সীমান্ত নগরী বাগআঁচড়ার পাশেই অবস্থিত বেলতলা বাজারে। যেটি যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার উভয় অংশে অবস্থিত।

    বেলতলা বাজারে আম বিক্রি করতে আসা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই অঞ্চলে আমের ফলন আগাম হয়েছে, যার কারণে দ্রুত আম বড় হয়েছে। এছাড়াও দেশে করোনা ভাইরাস না থাকায় চাহিদা বেশি ও ভালো দামে আম বিক্রি হচ্ছে।

    মেসার্স বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডার এর প্রোপাইটার মোঃ আব্দুস সাত্তার বলেন, এবছর আমের দাম ভালো এবং চাহিদাও বেশি আছে, আশা করছি এবছর ব্যবসা ভালো হবে।

    আম ব‍্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ লুকমান হোসেন জানান, বাজারে প্রতিটি আড়ৎ এ (গুটি) আম বেচাকেনা শুরু হয়েছে। পবিত্র রোজার পরপরই পাকা আম বেচাকেনা শুরু হবে। পাশাপাশি এখানে আম বিক্রি করতে আসা বেপারী, এবং বাহির থেকে আম কিনতে আসা ব্যাপারীদের সব ধরনের সুবিধা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

  • তরমুজের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

    তরমুজের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

    ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    “রাজাপুরে ১শ’ ২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ, বিঘা প্রতি ২লক্ষাধিক টাকা বিক্রির আশা”

    ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীর চর এলাকাজুড়ে প্রায় ১শ’ ২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। চর এলাকার কৃষকরা তরমুজ বিক্রি করতে শুরু করেছে। তারা দামও পাচ্ছেন ভালো।

    তরমুজ চাষি নুরুল হক, জলিল মোল্লা, মনির মোল্লা, কাঞ্চন মোল্লা সেফাতেসহ একাধিক কৃষক জানান, প্রায় তিনমাস আগে উপজেলার পূর্ব প্রান্তে বিষখালি নদীর চর এলাকাজুড়ে ২০ জন কৃষক মিলে ১শ’ ২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়।

    এবছর আদৌ বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তারপরেও সেচ পাম্মের দ্বারা পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবছর প্রতি বিঘা জমিতে শ্রমিক, ঔষধ ও সেচ খরচসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে যে ফলন হয়েছে তাতে ১লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ২লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করা যাবে বলে তারা আশা করছেন।

    তরমুজ চাষি নুরুল হক আরো জানান, তরমুজ বিক্রির সময় হওয়ায় রাজাপুর সদরের হাট বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসাযীদের সবাইকে খেত থেকে তরমুজ কিনে নিতে বললেও তারা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে যায়নি। তারা কৃষকদের জিম্মি করে খুব সস্তায় তরমুজ কেনার আশায় বসে ছিলেন। কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় কয়েকজন কৃষক মিলে গাড়ি ভাড়াকরে তরমুজ ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন। ঢাকায় প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। প্রতিটি তরমুজ ৪ থেকে ৮ কেজি ওজন রয়েছে। কোন কোন তরমুজে এর চেয়ে বেশি ওজনও হচ্ছে। এতে কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন। এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভালো দাম না দিলে কৃষকরা এলাকায় তরমুজ বিক্রি করবেন না বলে তিনি জানান।

    এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন, আবহাওয়া ভাল থাকলে এ বছর উপজেলায় মোট ৩৫ হেক্টর জমিতে ১ হাজার থেকে ১১শ, ৫০ টন তরমুজ উৎপাদিত হবে।

  • পাইকগাছায় সজিনার বাম্পার ফলন

    পাইকগাছায় সজিনার বাম্পার ফলন

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    পাইকগাছায় সজিনার ব্যাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর সর্বোচ্চ সজিনার ফলন হয়েছে। সজিনায় উচ্চ মূল্য পাওয়ায় চাষীরা খুশি। শুরুতে বাজারে সজিনার কেজি দ্ইুশত টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকে একশত থেকে একশত বিশ টাকা দরে পাইকারি ক্রয় করছে। মূল্যবেশি পাওয়ায় কৃষকরা সজিনার ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজনে গাছ যতœ ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষগুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী।
    কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায ৩৫ হেক্টর জমিতে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার সজিনা গাছ আছে। প্রতি হেক্টরে ফলন ৪ থেকে সাড়ে ৪ টন। দেশে ২টি জাত আছে, একটি হালো সজিনা ও আর একটি নজিনা। ভারত থেকে হাইব্রিড সজিনার জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজিনা গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস। গত বছর উপজেলায় ২১ হাজার সজিনার ডাল রোপন করা হয়েছে।
    সজিনা গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজিনার পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুনও আছে। তাই সজিনা গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। সজিনার পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধীগুন তো আছেই। সজিনার পাতায় যে পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা অনেক পুষ্টিকর খাবারেও নেই। যেমন, ডিমের চেয়ে বেশী আমিষ, দুধের চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, কমলার চেয়ে বেশী ভিটামিন সি, কলার চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, গাজরের চেয়ে বেশী ভিটামিন এ আছে।
    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর সজিনার সর্বোচ্চ ফলন হয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রতি বাড়ীতে কমবেশি সজিনা গাছ আছে। সজিনা পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনা ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।।

  • বিচিত্র্য গাছ খৈ ফল বা জিলাপি ফল

    বিচিত্র্য গাছ খৈ ফল বা জিলাপি ফল

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা,খুলনা।।
    খৈ বা জিলাপি ফল গাছ। আমাদের দেশে এমন অনেক বিচিত্র ফল রয়েছে। যা আমরা অনেকেই চিনি না বা তার খোঁজ খবর রাখি না। এ রকম একটি বিচিত্র ফলের নাম হচ্ছে খৈ ফল। পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশে যে ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় এসব ফলের কিছু কিছু আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে। ফিলিপাইনে এ গাছ প্রধানত ফলের জন্য আবাদ করা হয়। আমাদের দেশে এই ফল এমনিতেই হয়ে থাকে। তবে অনেকেই শখ করে বাড়ির চার দিকে বেড়া হিসাবে বা রাস্তার পাশে এ ফলের গাছ লাগিয়ে থাকলেও এখন আর গাছটি আগের মতো চোখে পড়ে না। এই রহস্যময় পৃথিবীতে বহু রকমের ফল রয়েছে। এসব ফলের মধ্যে অনেক ফল রয়েছে যেগুলো বিচিত্রময়। এই ফল দেখতে অনেকটা জিলাপির মতো বলে একে জিলাপি ফল বলা হয়। কেউ কেউ আবার একে বলেন, খৈ ফল, আবার অ ল ভেদে অনেকেই একে খইয়ের বাবলা বা দখিনী বাবুলও বলে থাকে। এর উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম পিথেসেলোবিয়ামে ডুলসি, গ্রিক পিথেসেলোবিয়ামের অর্থ বানরের ফল, আর লাতিন ডুলসি মানে মিষ্টি।
    খৈ বা জিলাপি ফল গাছের কান্ডে ও শাখা-প্রশাখা লম্বা, এলোমেলো, বাকল ধূসর এবং তীক্ষè কাঁটাযুক্ত। এর পাতা সবুজ এবং পাতা জোড়ায় জোড়ায় সংযুক্ত থাকে। এ গাছের দেহ সুন্দর পেঁচানো। গাছ কেটে ফেললেও এর গোড়া থেকে দ্রুত নতুন ডাল গজিয়ে যায়। চারটি উপপত্র পাতার গোঁড়ায় কাটা থাকে। পুরনো পাতা ঝরে দ্রুত নতুন পাতা গজায়। পাতা দেখতে অনেকটা কা নের পাতার মতো। খৈ ফলের বীজ থেকে সহজে চারা হয়। তবে নতুন গাছ সৃষ্টির জন্য এর শাখা কলমও ব্যবহার করা যায়।এ গাছের ফুল আকৃতিতে বেশ ছোট। এর ফুল ফাগ্লুনে ফোটে এবং চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এই ফল পাকে। এই ফল দু’টি খোসার মধ্যে শাঁস ও বীজ গোলাকারভাবে মালার মতো সাজানো থাকে। এর প্রতিটি ফলে বীজদানা থাকে আট থেকে দশটি। এই ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে কিন্তু পাকলে এর খোসা টকটকে লাল হয়ে ফেটে যায়। ভেতরের সাদা শাঁস বেশি পাকলে অনেক সময় তাতে লালচে দাগ পড়ে। এর বীজ দেখতে শিমের বীজের মতো এবং বীজের রং অনেকটা কালো। এর শাঁস পুরু, নরম, মিষ্টি ও কসযুক্ত। ফল দেখতে জিলাপির মতো পেঁচানো। গ্রামের শিশুরা গ্রীষ্মকালে এ ফল সংগ্রহ করে থাকে। এর ফল মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়। তাই ছেলে- মেয়েদের কাছে প্রিয় ফল। তবে বাণিজ্যিকভাবে এ ফল বিক্রি হয় না।
    কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এই ফলটি খুলনার উপকূল এলাকা পাইকগাছা থেকে গাছটি হারিয়ে যেতে বসেছে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই ফলটি এখন আর চেনে না। গত কয়েক দশক ধরে ইটভাটার মালিকেরা ভাটার জ্বালানি হিসেবে গাছটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া উপকূল এলাকায় নৌকা তৈরির কাঠ হিসাবে ব্যাপক চাহিদা খাকায় গাছ কাটা হচ্ছে। কিন্ত গাছ লাগানো হয় না। ফলে দিন দিন এ গাছগুলো এসব এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে এই খৈ ফল গাছ এমনিতেই হয়ে থাকে। তবে অনেকেই শখ করে বাড়ির চার দিকে, রাস্তার পাশে বেড়া হিসাবে এ ফলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। যশোর, খুলনা, বরিশাল, পুটয়াখালী ও ভোলায় যথেষ্ট পরিমাণ খৈ বা জিলাপি ফলের গাছ দেখা যায়।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।।

  • পুঠিয়ায় প্রদর্শনী ভুট্রার ক্ষেত পরিদর্শন করেন কৃষি সচিব

    পুঠিয়ায় প্রদর্শনী ভুট্রার ক্ষেত পরিদর্শন করেন কৃষি সচিব

    পুঠিয়া (রাজশাহী)৷ প্রতিনিধিঃ পুঠিয়ায় প্রদর্শনী ভুট্রার ক্ষেত পরিদর্শন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

    শনিবার দুপুরে উপজেলার বানেশ^র ইউনিয়নের শিবপুরহাট বিহারীপাড়ার ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব অর্থায়নে ও পুঠিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কৃষক আঃ তারিক এর ৩৩ শতক জমিতে কাবেরী-৬৩।জাতের ভুট্রা প্রদর্শনী ক্ষেতে সচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত হন।

    এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ, রাজশাহী কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের।উপপরিচালক মোজদার হোসেন, রাজশাহী কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের
    জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা উম্মে ছালমা, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী।

    অফিসার নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ পিএএ, উপজেলা কৃষি অফিসার হুসনা ইয়াছমিন ও উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।

    এসময় সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ফসলে কীটনাশক ব্যবহার না করে ফসল।ফলানোর পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয় অন্যদিকে জমির উর্ব্বরতা দিন দিন কমে যায়। এছাড়াও তিনি কৃষকদের
    আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসল চাষের উপর জোর দেন।#

    মাজেদুর রহমান( মাজদার)
    পুঠিয়া রাজশাহী