মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
জেলার আটোয়ারী উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।এটি আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর নামক গ্রামে অবস্থিত বলে এর নামকরণ করা হয়েছে মির্জাপুর শাহী মসজিদ। ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দে (সম্ভাব্য) নির্মিত ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদের সাথে মির্জাপুর শাহী মসজিদের নির্মাণ শৈলীর সাদৃশ্য রয়েছে। এ থেকে ধারণা করা হয় ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে অবস্থিত মসজিদের সমসাময়িক কালে এ মির্জাপুর শাহী মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। দোস্ত মোহম্মদ নামে এক ব্যক্তি এটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন মর্মে জানা যায়। মসজিদের নির্মাণ সম্পর্কে পারস্য ভাষায় লিখিত মধ্যবর্তী দরজার উপরিভাগে একটি ফলক রয়েছে । ফলকের ভাষা ও লিপি অনুযায়ী ধারণা করা হয় মোঘল সম্রা্ট শাহ আলমের রাজত্বকালে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। মসজিদটির দেওয়ালের টেরাকোটা ফুল এবং লতাপাতার নক্সা খোদাই করা রয়েছে। মসজিদের সন্মুখভাগে আয়তাকার টেরাকোটার নক্সাসমুহের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – একটির সাথে অপরটির কোন মিল নেই, প্রত্যেকটি পৃথক পৃথক। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট, প্রস্থ ২৫ ফুট এবং এক সারিতে ০৩ (তিন) টি গম্বুজ আছে। মসজিদের নির্মাণ শৈলীর নিপুনতা ও দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য এখনও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।
কিভাবে যাওয়া যায়:রাজধানী ঢাকা হতে ডে/নাইট কোচ যোগে সরাসরি আটোয়ারী উপজেলা বাস ষ্ট্যান্ড। আটোয়ারী থেকে বাসযোগে মির্জাপুর ৬ কিলোমিটার। মির্জাপুর হতে পূর্বদিকে রিক্সা/ভ্যানযোগে ১কিলোমিটার মির্জাপুর শাহী মসজিদ। রাজধানী ঢাকা’র কমলাপুর রেল ষ্টেশন হতে সরাসরি পঞ্চগড় ষ্টেশন বা কিসমত (আটোয়ারী) রেল ষ্টেশন হয়ে বাস/রিক্সা/ভ্যানযোগে ১০/৬কিলোমিটার আটোয়ারী উপজেলা। আটোয়ারী থেকে বাসযোগে মির্জাপুর ৬ কিলোমিটার। মির্জাপুর হতে পূর্বদিকে রিক্সা/ভ্যানযোগে ১ কিলোমিটার মির্জাপুর শাহী মসজিদ।
Category: ইতিহাস ঐতিহ্য
-

মির্জাপুরের ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ
-

বৃষ্টির জন্য লোককাহিনী নির্ভর “ঝাপুটি” উৎসব পালন
মিলন মিয়া ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা গ্রামে বৃষ্টির জন্য লোককাহিনী নির্ভর “ঝাপুটি” ( গাছ, লতা , পাতা দিয়ে বিশেষ তৈরী মাটির পুকুর) উৎসব করেছে এলাকার মানুষ।
এসময় ঝাপুটি তে ব্যাঙ ছেড়ে গীত পরিবেশন করা হয়, কাজল ফোঁটা, আলপনা অংকন সহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গ্রামের মানুষ পালন করেছে ঝাপুটি আয়োজনের। তাদের বিশ্বাস এই ঝাপুটির মাধ্যমে বৃষ্টি আসবে, সুজলা সুফলা হবে ধরিত্রী।
কলা গাছের ছায়ামণ্ডপ করে তার মাঝে করা হয় গর্ত, গর্তের চারপাশ জঙ্গলের লতাপাতা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। মাটির হাঁড়ি বা ডুঙ্গিতে দেওয়া হয় কাজল আর চালের গুড়ার সাদা ফোঁটা। এই কাজল ফোঁটা হল আকাশের কালো মেঘের প্রতীক । যেখান থেকে পাতালে বৃষ্টি নামে। তার পর গর্তের পাশে রাখা হয় ডুঙ্গি বা হাঁড়ি। গর্তে পানি ঢেলে তাতে ছেড়ে দেয়া হয় ব্যাঙ। গাওয়া হয় গীত।
অনেককাল ধরেই বৃষ্টির জন্য জাতিভেদে নানা কৃষ্টি বিদ্যমান। ভরা শ্রাবণে যখন বৃষ্টির দেখা মেলা ভার , তখন দিনাজপুরে বেশ ঘটা করেই ব্যাঙের বিয়ে হয়েছে। কোথাও কোথাও মহান রবের দরবারে দুহাত তুলে ফরিয়াদ করেছে অনেক মানুষ। আবার জয়পুরহাটের হিন্দা গ্রামে ঝাপুটি অনুষ্ঠানেরও দেখা মিলল।
আমরাও আশা রাখি, মৃত্তিকা আবার সিক্ত হবে অঝোর ধারায়…..l
