Author: desk

  • নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসে ঘু-ষের রা-জত্ব

    নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসে ঘু-ষের রা-জত্ব

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ঝালকাঠির নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী আব্দুল লতিফ (অতিরিক্ত দায়িত্ব রেকর্ড কিপার) ঘুষ লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন—এমন প্রমাণ গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ষাটোর্ধ গ্রহীতা পকেট থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট বের করে দেন। আব্দুল লতিফ সরাসরি হাতে না নিয়ে ড্রয়ার খুলে দিলে গ্রহীতা টাকাটি সেখানে রেখে দেন। এভাবে ঘুষ নেওয়ার অভিনব কৌশল চালু করেছেন তিনি।

    সরেজমিনে জানা যায়, ওই বৃদ্ধ ব্যক্তি পর্চা তুলতে গিয়ে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালে নলছিটিতে যোগদানের পর থেকেই আব্দুল লতিফ অফিসে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। নানা অজুহাতে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি করে তিনি নিয়মিত ঘুষ গ্রহণ করে আসছেন। তার ঘুষ গ্রহণ এখন যেন নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে।

    ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, “অফিসে কোনো কাজই ঘুষ ছাড়া হয় না। আব্দুল লতিফ এমন এক ঘুষের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন, যেখানে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে।”

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি।

    জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ মজিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা কোনো অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

    অন্যদিকে, উপজেলার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমন হয়রানি ও ঘুষের রাজত্ব চালাতে না পারে।

  • কালকিনি ফারিয়ার কমিটি ঘোষণা।  সভাপতি-মিজান,সম্পাদক-শহীদুল, যুগ্ম -সম্পাদক -রতন দে।

    কালকিনি ফারিয়ার কমিটি ঘোষণা। সভাপতি-মিজান,সম্পাদক-শহীদুল, যুগ্ম -সম্পাদক -রতন দে।

    মোঃমিজানুরর রহমান ,কালকিনি, ডাসার প্রতিনিধিঃ মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভ এ্যাসোসিয়েশন, ফারিয়ার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, আজ ভুরঘাটা শ্বশুরবাড়ি রেস্টুরেন্ট এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়ার সভাপতি কালকিনি ফারিয়ার কমিটি ঘোষণা করেন এবং নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে সাংবাদিক মেঃমিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি,মিজানুর রহমান, রেজাউল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক-শহীদুল ইসলাম,যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক-রতন দে,সাংগঠনিক সম্পাদক – মামুন সহ ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
    কালকিনি ফারিয়ার নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভার সভাপতিত্ব করেন,মিজানুর রহমান-সভাপতি,কালকিনি ফারিয়া, সঞ্চালনা করেন, শহীদুল ইসলাম -সাধারণ সম্পাদক, কালকিনি ফারিয়া। উক্ত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, শফিক রহমান-সভাপতি,বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়া, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, দুর্জয় ফরাজী- সিনিয়র সহ-সভাপতি,বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়া, সহদেব মন্ডল-উপদেষ্টা,বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়া, আনিসুর রহমান-উপদেষ্টা,কালকিনি ফারিয়া, তরিকুল ইসলাম -সভাপতি,গোপালগঞ্জ জেলা ফারিয়া, আরিফ বেপারী-সভাপতি,গৌরনদী ফারিয়া, বজলুর রশিদ -সভাপতি, আগৈলঝারা ফারিয়া, ইমরান-উর-রহমান-সভাপতি,কোটালিপাড়া ফারিয়া, আরো উপস্থিত ছিলেন কালকিনি উপজেলার সকল ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ এ্যাসোসিয়শন ফারিয়ার সকল প্রতিনিধি গন।

  • সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের উ-দ্বোধন

    সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের উ-দ্বোধন

    মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা।

    গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সকালে কলেজ কক্ষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিতে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র প্রভাষক আলী জাফর ইজাজ,আবু সোলায়মান সরকার সাজা, মোঃ মশিউর রহমান সরকার, মোঃ দেলওয়ার হোসেন প্রামাণিক, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, শাফিউল হাসান, মমতাজ বেগম প্রমূখ। এর আগে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে পরিচয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। 

    পরে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন প্রভাষক কৃষ্ণা রানী সরকার ও আব্দুর রউফ।

  • পটিয়য় বিএনপি কর্মী মোঃ কাশেম সড়ক দূ-র্ঘটনায় আ-হত হওয়ায় তাঁকে দেখতে ছুটে যান পলাশ ধর

    পটিয়য় বিএনপি কর্মী মোঃ কাশেম সড়ক দূ-র্ঘটনায় আ-হত হওয়ায় তাঁকে দেখতে ছুটে যান পলাশ ধর

    পটিয়া প্রতিনিধি।। পটিয়া উপজেলা মেহেরাটি গ্রামের বিএনপি কর্মী মোঃ কাশেম সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হওয়ায় তাঁকে দেখতে ছুটে যান তরুণ সমাজসেবক পিস পএিকার বার্তা সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরামের আজীবন সদস্য
    শ্রী পলাশ ধর। এসময় সাথে ছিলেন শেখ আহমদ,মেহের আলী,ফাহিম,পারভেজসহ অন্যারা। এসময় পলাশ ধর বলেন,বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
    এমন কোনো দিন নেই সড়কে প্রাণ ঝরছে না। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা আলোচনা, সমালোচনা, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ, সভা-সমাবেশ হলেও তাতে বাস্তবধর্মী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রত্যেক বছর সড়ক দুর্ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হলে ও দুর্ঘটনা রোধে সরকারি কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেই। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় পারিবারিক, সামজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীবন ও সম্পদের। একটি দুর্ঘটনায় সারা জীবনের গ্লানি বয়ে বেড়ায় ভুক্তভোগী পরিবার। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরন করছে। স্বজন হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা। এসময় তিনি বিএনপি নেতা মোঃ কাশেমের পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
    চিকিৎসা বাবদ কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন, যা এই অসহায় পরিবারটির পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।
    কোনো সহৃদয় ব্যক্তি যদি কাসেমের চিকিৎসায় সাহায্য সহযোগিতা করতে চান, তবে তার পারিবারিক দেওয়া নিম্নোক্ত নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য আহবান জানান।

    বিকাশ নাম্বার:রহিমা বেগম
    বিকাশ ও নগদ নাম্বার – 01810991492

  • ভালুকায় গ্রামীন কাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে ম-তবিনিময় সভা

    ভালুকায় গ্রামীন কাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে ম-তবিনিময় সভা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়নে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন চলতি বছরের কাজের বিষয়ে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-কাবিখা) এবং গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ (টি.আর) ১ম,২য় এবং ৩য় পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকগণের সাথে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ও সার্বিক কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা ভালুকা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর
    সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতি ও সম্পাদকগণ।

    ইউনিয়ন পরিষদ সচিব স্বপন সাহার সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে শতভাগ কাজ করতে হবে। এই প্রকল্পে টাকা জনগনের। জনগনের টাকায়, জনগনের জন্য চলাচলের ও নাগরকি সুবিধার জন্য এ সকল কাজ করা হচ্ছে। যদি কোন প্রকল্পের বরাদ্দের টাকার কম কাজ করা হয় তাহলে যত টুকু কাজ করা হবে ততটুকু বিল পরিশোধ করা হবে। প্রকল্পের সভাপতি বা সম্পাদকের কাছে কোন ব্যক্তি চাঁদা দাবী করলে চাঁদা দিবেন না। আপনারা তাৎক্ষনিক ভাবে প্রশাসনকে জানাবেন। প্রয়োজনে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে প্রকল্পের টাকা ফেরৎ পাঠানো হবে।

    তিনি আরো জানান-গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা, উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি এবং চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সুপারিশ প্রদানসহ ভবিষ্যতের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে উন্নয়ন কর্মকান্ডকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়াই প্রশাসনের লক্ষ ও উদ্দেশ্য

    এছাড়াও সভায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ও অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা, অগ্রগতি পর্যালোচনা, এবং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়। সভায় বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, এবং অংশীজনরা অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত পোষণ করেন।

  • আল্লাহ ও নবীকে নিয়ে ক-টুক্তিতে পঞ্চগড়ে  মু-সল্লিদের ক্ষো-ভ

    আল্লাহ ও নবীকে নিয়ে ক-টুক্তিতে পঞ্চগড়ে মু-সল্লিদের ক্ষো-ভ

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভিডিওতে তিনি দাবি করেছেন, “আসমানে গিয়ে আল্লাহর দিদার পেয়েছেন, ফেরেস্তা ও হুরদের সাথে কথোপকথন করেছেন এবং হুরদের সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলেছেন। এমনকি নবী মুহাম্মদ (সা.) স্বয়ং এসে তাকে সালাম দিয়ে ও পরিচয় দিয়ে গেছেন এবং আগাম জান্নাতের আশ্বাস দিয়েছেন।”

    ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই মুসল্লি ও ইসলামী সংগঠনগুলোর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেকেই তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন।

    পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান বলেন, “আমাকেও তিনি একই গল্প শুনিয়েছেন।”
    কারাতে প্রশিক্ষক সোয়েব আলী সবুজ জানান, “আমি একবার তার অফিসে গেলে তিনি আমাকেও এমন গল্প শোনান।”

    তরুণ সমাজকর্মী মানিক উদ্দীন তার ফেসবুকে লিখেছেন, “সে একজন মানসিক রোগী। তার জায়গা পঞ্চগড়ে না, তাকে পাবনাতে পাঠাতে হবে।”

    ডা. রেজওয়ান রেজা মন্তব্য করেছেন, “হয় তিনি একজন ভন্ড প্রতারক, না হলে চরম বিকারগ্রস্ত মানসিক রোগী। আল্লাহ আমাদের এ ধরণের প্রতারক থেকে হেফাজত করুন।”

    নুরে মদিনা ক্বেরাতুল কুরআন মডেল মাদরাসার শিক্ষক এইচ এম লিয়াকত আলী বলেন, “মুসা (আ.) আল্লাহর নুর দেখেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। অথচ এই কর্মকর্তা দাবি করছেন তিনি আল্লাহকে দেখেছেন এবং নবী (সা.) এসে তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর কিছু হতে পারে না। এতে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমরা তার গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাই।”

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান ২০২০ সালে রাজশাহী থেকে বোদা উপজেলায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। শাস্তিমূলক বদলি হলেও তিনি দাবি করেন, আল্লাহর নির্দেশে তিনি পঞ্চগড়ে এসেছেন। এরপর থেকেই নানা ধরনের অদ্ভুত দাবি ও বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। পরবর্তীতে তিনি দেবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

    গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপে এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “আল্লাহ ও নবী মুহাম্মদ (সা.) কে আমি দেখেছি এবং কথা বলেছি। আল্লাহ আমাকে বলেছেন—‘তুই চিন্তা করিস না, আমি তোর পাশে আছি।’ এমনকি এক রমজানে আসরের নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি আসমান থেকে নবীজি (সা.) নেমে এসে আমাকে সালাম দিয়ে পরিচয় দেন। আমি আবেগে কেঁদে ফেলেছিলাম। আসমান থেকে ইশারা আসায় আমি দাঁড়ি রেখেছি।”

    এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পঞ্চগড়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

  • চট্টগ্রামে নি-ষিদ্ধ সংগঠনের গো-পন মিছিল ভে-স্তে গেল:সাতজন ধরা, না-শকতার মাম-লায় কা-রাগারে

    চট্টগ্রামে নি-ষিদ্ধ সংগঠনের গো-পন মিছিল ভে-স্তে গেল:সাতজন ধরা, না-শকতার মাম-লায় কা-রাগারে

    শহিদুল ইসলাম,

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন বড়পুল মোড় এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত এক সংগঠনের হঠাৎ করা গোপন মশাল মিছিল ভেস্তে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অভিযানে সাতজনকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন।

    পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আসিফ মাহমুদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে লাঠি, মশাল ও ইট-পাটকেল হাতে আকস্মিক মিছিল শুরু করে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালায় এবং সাতজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে বাকিরা অন্ধকারে পালিয়ে যায়।

    আটকৃতরা হলেন—১.মোঃ ইব্রাহীম খলিল তুষার (২৪),২.আসিফ মাহবুব (২৪),৩.নয়ন শীল (২৩),৪.মোঃ সাগর (২৫),৫.জাহিদুল ইসলাম (২২),৬.মাসুদ হাওলাদার (৩০),৭.মইন উদ্দিন (৩০)

    অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে আগুনে পোড়া পাঁচটি বাঁশের মশাল, ১১টি ইটের টুকরা, একটি ভিভো ও একটি রেডমি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।

    ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, “আটকরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তারা সরকারবিরোধী নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।”

    ঘটনার প্রেক্ষিতে বন্দর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা (নং-১২, তারিখ-১৬/০৯/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে। আটক সাতজনকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পাশাপাশি পুলিশ তাদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে।

    পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়া অন্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। একইসাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

  • নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ-পরাজিতা

    নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ-পরাজিতা

    বরগুনা প্রতিনিধি :

    বরগুনার বেতাগীতে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অপরাজিতা নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় তরুনরা।

    মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেতাগী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে মাসিককালীন যত্ন, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো সহজভাবে উঠে আসে।

    নারীর পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সেনোরা এর সহযোগিতায় গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এ উদ্যোগ নেয়।

    অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বেতাগী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শাহিন। এসময় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মহাসিন খান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম হাওলাদার, গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির মো. ইমরান হোসেন, খাইরুল ইসলাম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

    গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মো. খাইরুল ইসলাম মুন্না বলেন, মানব সভ্যতার বিকাশে নারী-পুরুষ উভয়ের অবদান সমান। সমাজে চলার পথে তারা একে অপরের পরিপূরক। অথচ আজও নারীরা নানা কারণে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে মাসিককালীন সময়ে সামাজিক সংকোচ ও জড়তার কারণে তাদের পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানতে পারা ও সচেতনতার অভাব এই সময়ে নারীর জীবনে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। 

    তাই আমাদের লক্ষ্য কিশোরী ও অসহায় নারীদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান করাসহ মাসিককালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

    তিনি আরও বলেন, নারীরা সমাজের অর্ধেক। অথচ পিরিয়ড নিয়ে এখনো কুসংস্কার ও সংকোচ বিদ্যমান, যা তাদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের পাশে দাঁড়ানো। অপরাজিতা উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা নারীদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে চাই। যাতে তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারে। এই উদ্যোগ শুধু স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণেই সীমাবদ্ধ নয় বরং নারীদের মানসিক বাধা দূর করে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং সমাজে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার এক অনন্য প্রয়াস।

  • বরগুনার তালতলীতে ডে-ঙ্গু ও চিক-নগুনিয়া প্র-তিরোধে ব্র্যাকের ৪ দিনব্যাপী ক্লি-নিং ক্যাম্পেইন শুরু

    বরগুনার তালতলীতে ডে-ঙ্গু ও চিক-নগুনিয়া প্র-তিরোধে ব্র্যাকের ৪ দিনব্যাপী ক্লি-নিং ক্যাম্পেইন শুরু

    মংচিন থান তালতলী(বরগুনা) প্রতিনিধি।।
    ‘নিজ নিজ পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন, ডেঙ্গুমুক্ত থাকুন’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বরগুনার তালতলী উপজেলায় ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে চার দিনব্যাপী ক্লিনিং ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ব্র্যাক।

    মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইন চলবে আগামী চারদিন। এ সময়ে তালতলী শহরের অলিগলি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ, হাসপাতাল, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও জনবহুল এলাকায় ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়। পাশাপাশি প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা ও পুরোনো টায়ারের মতো স্থায়ী পানির পাত্র পরিষ্কার করে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা হয়।

    ক্যাম্পেইনে সহযোগিতা করছে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

    অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবুল ইসলাম, ফার্মাসিস্ট জুয়েল রানা, ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচির মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রাজিব ঢালী ও সুশান্ত মন্ডল, ফিল্ড অফিসার মো. আসাদুজ্জামান রাসেল প্রমুখ। সার্বিকভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রোগ্রাম অফিসার অনাদি মণ্ডল।

    স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের উদ্যোগ
    সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়ার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    মংচিন থান
    তালতলী প্রতিনিধি

  • আশুলিয়ায় মা-দকের নে-শায় জীবন ঝুঁ-কিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা

    আশুলিয়ায় মা-দকের নে-শায় জীবন ঝুঁ-কিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা


    হেলাল শেখঃ ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় যেখানে কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে পাড়ি জমিয়েছেন এই শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায়। মাদক কারবারিসহ সকল ধরনের অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা আশুলিয়ায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক।

    দেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় মাদকের সয়লাব দেখে বিস্মিত সচেতন মহল। কোনো ভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না মাদক কারবারিদের। মাঝে মধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ২/৪ জন গ্রেপ্তার হলেও বেশিরভাগ মাদক কারবারি প্রকাশ্যেই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

    এলাকার প্রতিটা অলিতে-গলিতেই মিলছে মাদক। মাদকের এই ভয়াল থাবায় নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ। তবে মাদক নিয়ন্ত্রণে মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযান চোখে পড়লেও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের অভিযান যেন আমাবস্যার চাঁদের মতো।

    এদিকে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার মাদক কারবারিরা জামিনে এসে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যারা খুচরা মাদক কারবারি ছিলো, তারাই হয়ে যাচ্ছে মাদকের ডিলার। তাদের নতুন করে ব্যবসার ধরণ দেখে মনে হয় তারা যেন জেলখানা থেকে মাদক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে ফিরে এসেছে।

    আশুলিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতি এলাকা ধামসোনা ইউনিয়ন আর এই ইউনিয়নের সবচেয়ে ঘনবসতি ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড। আর গাজিরচট বুড়ির বাজার, বগাবাড়ী আমতলা, বগাবাড়ী বাজার, বাইপাইল নামাবাজার, বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড, দক্ষিণ বাইপাইল, বসুন্ধরা টেক, চাড়ালপাড়া, নামাপাড়া, বেলালনগর নামাপাড়া সহ অন্তত ৩০-৪০ টি চিহ্নিত মাদকের স্পট রয়েছে। সেই সাথে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর, ছয়তলা, জামগড়া রূপায়ন আবাসন-এর মাঠ। যেখানে অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করা হয়। নিশ্চিতপুর তালতলা, নরসিংহপুরের বুড়িপাড়া, জামগড়া, গোরাট, সরকার মার্কেট, ঘোষবাগের বাঁশতলা, ধনাঈদ ইউসুফ মার্কেট এলাকার সিগাম গার্মেন্টস এর পিছনে, বাগবাড়ী পাকা রাস্তার মাথা, মাদ্রাসা রোড গলি, বাগবাড়ি বটতলার মোড়, নিশ্চিন্তপুরের দেওয়ায়ন পাম্পের পিছনে খোলা মাঠসহ অন্তত ২০-৩০টি মাদকের স্পট রয়েছে। যেখানে প্রকাশ্যে মাদক সেবন সহ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।

    এছাড়াও পাথালিয়া ইউনিয়নের নিরিবিলি, খেজুরটেক, কালারটেকসহ অন্তত ২০-৩০ টি স্পটে মাদকের প্রকাশ্য কারবার চলে। শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসূতি, মাজার রোড, রাঙ্গামাটি, আমতলা এলাকার ২০-৩০ টি স্পটে চলে মাদকের রমরমা কারবার। আশুলিয়া ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড এলাকা, শুটিংবাড়ী, বস্তি এলাকা, রাজু আহমেদ এর এলাকা ও চাড়াবাগসহ অন্তত ৩০/৪০ টি মাদকের চিহ্নিত মাদকের স্পট রয়েছে। যে সকল স্পটে হরহামেশাই মিলছে মাদক।

    মাদক সেবনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশুলিয়ার অলিগলিতে সকল ধরনের মাদকদ্রব্যই পাওয়া যায়। যদি একটু বেশি পরিমানের মাদক দরকার হয় তাহলে, যারা মাদক বিক্রয় করে তাদের মোবাইলে কল দিলে নির্দিষ্ট জায়গা মতো দিয়ে যায়। আবার দুই এক পুরিয়া হলে তাদের জায়গা মতো গিয়ে নিয়ে আসতে হয়।

    পুলিশ-প্রশাসনের বিষয়ে জানতে চাইলে? তারা বলেন, তাদের নজর ফাঁকি দিয়েই চলতে হয়। তবে বেশিরবাগ সময় পুলিশের ইনফরমারা মাদক কারবারিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুলিশের অবস্থানের কথা আগে থেকে জানিয়ে দেয়। এভাবেই চলছে মাদক কারবার।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক বিক্রেতা বলেন, অভিনব কায়দায় নতুন নতুন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই মাদক গুলো আমরা নিয়ে আসি। যেমন চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থেকে ইয়াবা এবং হেরোইন আসে। তেমনি বেনাপোল দিনাজপুর হিলি থেকে হেরোইন ও ফেনসিডিল আসে। তবে আমাদের এদিকে রাজশাহী থেকে ফেনসিডিল বেশি আসে।

    কি কি ধরণের কৌশলে আনা হয়? জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য বিভিন্ন কৌশলে আনা হয়। যেমন আমের ক্যারেটে, গ্যাসের বোতলে, বিলাসবহুল গাড়িতে, যাত্রীবাহী বাসে। এই মাদকগুলো যেখানে থেকে পাঠায় তারা আমাদের জানিয়ে দেয়, তারা কিভাবে বা কার মাধ্যমে পাঠাচ্ছে। পরে আমরা সেই তথ্যমত গিয়ে সংগ্রহ করি। অনেক সময় আমরা কিছু সংকেত বা ইশারাও ব্যবহার করি।

    সমাজে মাদকের এমন ভয়াল থাবার বিষয়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর মুহাম্মদ ইসলাম উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, মাদক সামাজিক একটা ব্যাধীতে রুপ নিয়েছে। এর ভয়াবহতা চরম আকার ধারন করেছে। এতে আমরা আসলে বিচলিত, মাদকের এই ভয়াল থাবায় কিশোর, যুবকসহ সকল বয়সের মানুষই জড়িয়ে পড়ছে। মাদক থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে আমাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। যেমন- পরিবার, স্কুল, মসজিদ ও সামাজিক পর্যায়ে মাদকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা। নিজেদের সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মিশে- এসব খেয়াল রাখা, তাদের সাথে ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুবসমাজকে যুক্ত করা এবং ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা। সেই সাথে সমাজে মাদক সেবন বা বিক্রির খবর পেলে সাহসের সাথে প্রতিবাদ করা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো।

    এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার পরিদর্শক নুসরাত জাহানের নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেননি।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করতে প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান অব্যহত আছে এবং ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করেছি।

    এসময় তিনি গণমাধ্যম কর্মিসহ সমাজের সকল সচেতন মহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন, এর আগে মাইকিং করে বলেছেন, অপরাধীর জায়গা জেলখানায়, অপরাধী যেইহোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।