Author: desk

  • পঞ্চগড়ে যৌ-থবাহিনীর অ-ভিযানে জা-ল টাকা সহ ১ জুয়ারী আ-টক

    পঞ্চগড়ে যৌ-থবাহিনীর অ-ভিযানে জা-ল টাকা সহ ১ জুয়ারী আ-টক

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
    বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের বলরামহাট কুমারপাড়া গ্রাম থেকে জুয়েল হোসেন (৪২) কে আটক করে ২৪ হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়। আটককৃত জুয়েল হোসেন বগুড়া সদর উপজেলার হরিগাড়ী ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র।

    জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ফরহাদ এর নেতৃত্বে ও বোদা থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করে তল্লাসী চালিয়ে জালটাকা সহ তাকে বোদা থানায় সোপর্দ করে।  

    এ বিষয়টি বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন জাল টাকাসহ আটককৃত ব্যক্তির নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • ইউপি সদস্যের দ-খলে সওজের কোটি টাকার স-ম্পত্তি

    ইউপি সদস্যের দ-খলে সওজের কোটি টাকার স-ম্পত্তি

    তরিকুল ইসলাম তরুন
    কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কোটি টাকার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ষোলনল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জালাল মেম্বারের বিরুদ্ধে। নোটিশ অগ্রাহ্য করে তিনি আবারও বাঁশের বেড়া দিয়ে জায়গাটি দখলে নিয়েছেন। গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার খাড়াতাইয়া ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তার উত্তর পাশের বালুর মাঠে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
    অভিযোগ রয়েছে, ইউপি সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে সওজের সরকারি সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল করে রেখেছেন।
    সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। সওজের জায়গা কারও কাছে ছাড় দেওয়া হবে না। নোটিশ দেওয়া হলেও কর্ণপাত না করায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, জায়গাটি যেহেতু সওজের, তাই তাদের বক্তব্য ও পদক্ষেপ প্রাধান্য পাবে। তারপরও খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এ বিষয়ে জালাল মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে দাবি করেন, জায়গাটি তাদের পারিবারিক মালিকানাধীন। পাশাপাশি সওজের নোটিশের জবাবও দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
    অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, জায়গাটি সম্পূর্ণ সওজের অধীন। এখানে খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাড়াতাইয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলা করে আসছিলেন। কিন্তু ইউপি সদস্যের বেড়া দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের খেলার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
    তাদের অভিযোগ, সরকারি জমি দখল করে ইউপি সদস্য রাষ্ট্রীয় অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণেরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
    স্থানীয়দের দাবি, জমিটি দ্রুত উচ্ছেদ করে সরকারি খেলার মাঠ হিসেবে উন্মুক্ত করা হোক, যাতে স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে খেলাধুলা করতে পারে।

  • শাল্লায় জায়গা সং-ক্রান্ত বি-রোধের জেড়ে প্র-তিপক্ষের হা-মলায় আহ-ত-২ থানায় মামলা দা-য়ের

    শাল্লায় জায়গা সং-ক্রান্ত বি-রোধের জেড়ে প্র-তিপক্ষের হা-মলায় আহ-ত-২ থানায় মামলা দা-য়ের

    ‎কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ :

    ‎সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানাধীন এলাকায়  জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে প্রতিবেশী  প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী  হামলায় একই পরিবারের নারী পুরুষসহ দুই জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে আহতদের মধ্যে একজন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ব্যাক্তির নাম তকদীর হোসেন দুলাল,সে শাল্লা গ্রামের বাসিন্দা মৃত রহমত আলীর ছেলে। অপর জন হলেন তকদীর হোসেন দুলালের স্ত্রী ইমরানা বেগম তাকে বিবাদীদের কবল হতে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসা  দেওয়া হয়।মামলা সূত্রে  জানা যায় ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫/৯/২০২৫ ইং রোজ শুক্রবার, সকাল সাড়ে ১১ টায়  তকদীর হোসেন দুলালের বাড়ীর আঙ্গীনায়। এ ঘটনায় গত ১২/৯/২০২৫ইং তারিখে শাল্লা থানায় হামলাকারী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আহত তকদীর হোসেন দুলাল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-শাল্লা থানা-০৩/৮০,তারিখ ১২/০৯/২০২৫ইং, ধারা:৩৪১/৩২৩/১৪৩/৪৪৭/৩২৫/৫০৬/৩০৭/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০,এ মামলা রুজু করা হয়। হামলাকারী আসামিরা হলেন ১। আঃ সালাম মিয়া (২৭), পিতা: মৃত লাল মিয়া, ২। পেশকার আলী (৫৫) পিতা মতৃ আহমদ আলী, ৩। হাজিলা বেগম (৫০), স্বামী: পেশকার আলী, ৪। মনিশা বেগম (২১), পিতা: পেশকার আলী, সর্ব সাং শাল্লা, ০৪ নং শাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়  বিবাদীগণের সাথে তকদীর হোসেন দুলালের দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ ছিল । উক্ত জায়গা সম্পত্তির বিরোধ থাকার কারণে বিবাদীগণ তকদীর হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করার চেষ্টায় সর্বদাই লিপ্ত ছিল বলে জানা যায়। উক্ত বিরোধের জেড়ে ঘটনার তারিখ ও সময়ে বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে  প্রাণে হত্যার চেষ্টায় উৎ পাতিয়া থাকে, যখনি তকদীর হোসেন তার বাড়ির পিছনের রাস্তা দিয়ে পুকুরে গোসল করিতে যাওয়ার সময় সকল বিবাদীরা তকদীর হোসেনকে একা পেয়ে  চতুঃদিক দিয়ে ঘেরাও করে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় তকদীর হোসেন গুরুতর আহত হন। হামলা কারীরা তকদীর হোসেনকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি ভাবে দেশিও অস্ত্র লোহার রড,রামদা,কাঠের রোইল দিয়ে আঘাত করে তার হাত ভেঙ্গে দেয় এবং শারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে তার স্ত্রী ইমরানা বেগম উদ্ধার করতে আসিলে তাকেও বেদরক মারপিট করে হামলাকারীরা। এসময় স্বামী স্ত্রী দুইজনেই আহত হন। তাদের চিৎকারে  আশপাশের লোকজন এসে তকদীর হোসেন ও ইমরানাকে আহত অবস্থায় পুলিশের সহায়তায় হামলাকারীদের কবল হইতে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা  সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তকদীর হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়া কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে আহত তকদীর হোসেন সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    ‎এ ব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে আসামীরা পলাতক রয়েছে, আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

  • সুজানগরের তঁাতিবন্দে বিএনপির কর্মী স-মাবেশ অনুষ্ঠিত

    সুজানগরের তঁাতিবন্দে বিএনপির কর্মী স-মাবেশ অনুষ্ঠিত

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র তৃণমুল পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো গতিশীল করার লক্ষ্যে পাবনার সুজানগর উপজেলার তঁাতিবন্দ ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।তঁাতিবন্দ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাকীবিল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও সুজানগর পৌর বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি বাবুল হোসেন সরদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, পাবনা দুই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আহমেদ আলী প্রামাণিক লাটু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পিন্টু, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আনিসুর রহমান খোকন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শহিদুর রহমান ও আব্দুল আলিম প্রমূখ।কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা হাবিব বলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হচ্ছে দলে প্রাণ। বিভিন্ন সময় দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল কিন্তু সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত থাকায় ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হয়েছে।তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে আমরা কথা বলতে পারি নাই। হত্যা গুম ও বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে আমাদের উপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এ সময় তিনি দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধানের শীষকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • ইয়্যুথ ভ-লান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন (রাবি) শিক্ষার্থী ও সুজানগরের কৃতি সন্তান দ্বীপ মাহবুব

    ইয়্যুথ ভ-লান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন (রাবি) শিক্ষার্থী ও সুজানগরের কৃতি সন্তান দ্বীপ মাহবুব

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতার ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড- ২০২৫’ এ ভূষিত হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইবিএ শিক্ষার্থী দ্বীপ মাহবুব।
    গত সোমবার রাজধানীর তেজগঁাওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
    দ্বীপ মাহবুব পাবনার সুজানগর উপজেলার তঁাতিবন্দ ইউনিয়নের কামারদুলিয়ার আব্দুল হাই শেখের ছোট ছেলে। গ্রামের তঁাতীবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তঁাতিবন্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হোন রাজশাহী শাহ মাখদুম কলেজের মানবিক শাখায়। সেখান থেকে জিপিএ ৫ নিয়ে সফলতার সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন।
    বর্তমানে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে (আইবিএ) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিবিএ অষ্টম ব্যাচে অধ্যায়নরত। দ্বীপ মাহবুব ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী লীগের গুলিতে একটি চোখ হারান। এ সময় একটি গুলি তার মস্তিষ্কে আঘাত হানে। দীর্ঘ ৫ মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলেও শরীরের একপাশ অবশ হয়ে যায়।
    ইয়ুথ ভলানটিয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে দ্বীপ মাহবুব বলেন, সকল শুকরিয়া মহান রাব্বুল আলামীনের প্রতি, যিনি আমাকে এতটা সম্মানিত করেছেন। চব্বিশের জুলাইয়ে দেশের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ, অন্য কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। কোটার যৌক্তিক সংস্কার ও আমার ভাইয়েদের খুনের বিচারের দাবিতে রাজপথে নামা, সবশেষ দেশের জন্য নিজের একটা অঙ্গ (চোখ) উৎসর্গ করার সৌভাগ্য হয়। আজকে আমি যে সম্মান পেয়েছি, সেটা জুলাইয়ে একটি বলিদানের প্রতিফলন হিসেবে দেখছি। ধন্যবাদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে আমার এ ক্ষুদ্র ত্যাগকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য।
    তিনি আরও বলেন, জুলাই পরবর্তীতে বিভিন্ন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আমাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সমস্যা নিয়েই আবারও পড়াশোনা এবং পূর্বের ন্যায় সকল কাজে অংশগ্রহণ করি। তারই অংশ হিসেবে বর্তমানে রাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে লড়ছি। এছাড়া ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশনের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেও কাজ করছি।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা) প্রতিনিধি।।

  • ঝিনাইদহে তু-চ্ছ ঘট-নাকে কেন্দ্র করে সংঘ-র্ষে আহ-ত ১৯

    ঝিনাইদহে তু-চ্ছ ঘট-নাকে কেন্দ্র করে সংঘ-র্ষে আহ-ত ১৯

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাওয়া পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, প্রবল বৃষ্টিতে কোদালিয়া গ্রামের শোয়েব আলীর পুকুর ভেসে যায়। ভেসে যাওয়ার মাছ শিকার করেন স্থানীয় টুকু মুন্সি গ্রুপের লোকজন। এ নিয়ে পুকুর মালিক শোয়েব ও তার লোকজনের সঙ্গে টুকু মুন্সির সমর্থকদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

    এদিকে ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার স্থানীয় বিএনপির নেতার জানাযার নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন পুকুরের মালিক শোয়েব। টুকু মুন্সি গ্রুপের লোকজন তার ওপরে হামলা চালায়। ওই ঘটনার জেরে বুধবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের নারী ও পুরুষ সহ অন্তত ১৯ জন আহত হন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দ্ইু দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে গ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • ফরিদপুরের সালথায় টিএমএসএস’র নতুন শাখা উ-দ্বোধন ও ঋ-ণ বিত-রণ শুরু

    ফরিদপুরের সালথায় টিএমএসএস’র নতুন শাখা উ-দ্বোধন ও ঋ-ণ বিত-রণ শুরু

    ।।এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।

    দেশের সমাজ পরিবর্তন ও নারী উন্নয়নের অগ্রদূত, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক অধ্যাপিকা ডক্টর হোসনে-আরা বেগম প্রতিষ্ঠিত শীর্ষ পর্যায়ের ও আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস’র অপারেশন-৮ বরিশাল ডোমেইনের আওতাধীন ফরিদপুর জেলার, ফরিদপুর জোন নিয়ন্ত্রিত, সালথা উপজেলায় টিএমএসএসের সালথা শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও নতুন সদস্যের মধ্যে ঋণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সালথার নতুন শাখাটি ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন চৌধুরী বাড়ি মসজিদের ইমাম মাওলানা এনামুল হাসান। সালথা শাখার, শাখা প্রধান মোঃ সাইফুল ইসলাম শাওন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালথা শাখাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ঋণ বিতরণ করেন টিএমএসএসের বরিশাল ডোমেইনের, ডোমেইন প্রধান সহকারী পরিচালক মোঃ গোলাম মোস্তফা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সালথা থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ রনি মিয়া, সোনালী ব্যাংক সালথা শাখার ম্যানেজার মোঃ মাহাবুবর রহমান ও সালথা বাজার কমিটির সেক্রেটারি মোঃ বাচ্চু মিয়া প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন টিএমএসএস একটি স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে সারা দেশ ব্যাপী প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভূমিহীন, দরিদ্রহীন ও সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের নানা সেবা মূলক কর্মসূচী অত্যন্ত সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সালথা উপজেলায় নতুন শাখা উদ্বোধনের ফলে এই এলাকায় টিএমএসএসের নানা সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবার পাশাপাশি সমাজ বঞ্চিত মানুষেরা সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবে। তিনি এ শাখা উদ্বোধন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। বিশেষ অতিথিগন টিএমএসএস কর্মকর্তাদের নতুন শাখার কর্ম এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্প চিহ্নিত করে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার আহবান জানান। এ এলাকায় টিএমএসএসের শাখা উদ্বোধন করার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে বলে তারা বিশ্বাস করেন। প্রধান অতিথি ডোমেইন প্রধান মোঃ গোলাম মোস্তফা সদস্যদের মধ্যে ঋণ বিতরণে সতর্কতা অবলম্বন করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি অপার সম্ভাবনাময় এ এলাকায় টিএমএসএসের কার্যক্রমে দ্রুত গতিশীলতা আনতে কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন। তিনি কর্মকর্তাদের সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা এ প্রতিষ্ঠানটি লাভের আশায় নহে সেবার মনোভাব নিয়েই সারা দেশে নানা সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তিনি কর্মকর্তাদের বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করে গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দেন। তিনি আরো বলেন তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা এ প্রতিষ্ঠানটিকে আরো গতিশীলতা ও বেগবান করতে আপনাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। নতুন শাখা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন টিএমএসএসের ফরিদপুর রিজিওনের, রিজিওন প্রধান মোঃ আহসান হাবিব ও সমাজ সেবক শিরিন মহর সুলতানা প্রমূখ। অন্যদের মধ্যে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, টিএমএসএসের নতুন শাখার কর্মকর্তা, হিসাবে কর্মকর্তা, এলাকার বহুগন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, নানা শ্রেণী পেশার মানুষ, টিএমএসএসের নবাগত সদস্য ও মিডিয়া কর্মী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। সালথা শাখাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টিএমএসএস এর ১০ জন নতুন সদস্যদের মধ্যে ২৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে শাখার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন টিএমএসএসের ফরিদপুর জোনের, জোন প্রধান মোঃ আবু বকর সিদ্দিক। উল্লেখ্য সালথা উপজেলার নতুন শাখাটি টিএমএসএসের ১০২৭-তম শাখা হিসাবে কার্যক্রম শুরু।

  • ঝিনাইদহে জমি অ-ধিগ্রহণ কর্মকর্তার বিরু-দ্ধে গা-লিগালাজ ও হুম-কির অভি-যোগ জমির মালিকদের

    ঝিনাইদহে জমি অ-ধিগ্রহণ কর্মকর্তার বিরু-দ্ধে গা-লিগালাজ ও হুম-কির অভি-যোগ জমির মালিকদের

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজে নিয়োজিত জমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিকরা। অধিগ্রহণের টাকা চেয়ে আবেদনকারী কয়েকজন জমির মালিককে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার অফিসে ঢুকতে নিষেধ করেছেন। এ ঘটনায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিকরা।লিখিত অভিযোগে দাবী করা হয়, ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। জারি করা হয়েছে ৮ ধারার প্রজ্ঞাপন। ৮ ধারা নোটিশ জারির পর অধিগ্রহণের তালিকাভুক্ত জমির মালিকরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অধিগ্রহণ শাখায় টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদন শুরু করেন।

    অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের কাছে টাকা প্রাপ্তির আবেদন করেন। আবেদন জমা দিয়ে ভুক্তভোগীরা ওই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি জমির মালিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগে দাবী করেছেন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাত জমির মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন-’টাকা কি চাইলেই পাওয়া যায়, দেশটা কি মগের মুল্লুক?’ এ কথা বলে ওই কর্মকর্তা জমির মালিকদের তার অফিস থেকে বের করে দেন।পরে ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়ালের সঙ্গে দেখা করে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। ওই সময় জেলা প্রশাসক জমির মালিকদের আবারও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের অফিসে যেতে বলেন। জেলা প্রশাসকের কথা মতো ভুক্তভোগীরা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার অফিসে গেলে কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাত জমির মালিকদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় খারাপ ব্যাবহার করেন করেন।

    প্রতিকার না পেয়ে জমির মালিকরা খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আহম্মেদ সাদাতের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অসদাচরণের লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগপত্রে কালীগঞ্জ উপজেলার মৃত রফিউদ্দিনের ছেলে ফরিদউদ্দীন, সাজিদুল ইসলাম, সদর উপজেলার খয়েরতলা গ্রামের আক্কাস আলী ও মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে লুৎফর রহমান সাক্ষর করেন।এদিকে ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্পে দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতিতে চলছে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ। গত মাসে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কিছুটা নিরসন হলেও অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের টাকা প্রাপ্তির আবেদনকে ঘিরে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতের আপত্তিকর আচরণ ও হুমকি ধামকির ঘটনায় নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে।অভিযোগকারী মোঃ ফরিদ উদ্দীন জানান, তারা খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাতকে অপসারণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি তার ড্রাইভারের মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণের জন্য নানা ভাবে জমির মালিকদের চাপে রাখার চেষ্টা করছেন।

    বিষয়টি নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহম্মেদ সাদাত জানান, অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কোন জমির মালিকের সঙ্গে তিনি কোন খারাপ আচরণ করেননি।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল বলেন, এমন অভিযোগ আমার কাছে দেওয়া হয়নি। যখন শুনলাম তখন তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তিনি বলেন বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যেহেতু লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে কি নির্দেশনা আসে সেটা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৪৫০ টি খা-স পুকুরের রিট বা-তিল

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৪৫০ টি খা-স পুকুরের রিট বা-তিল

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৩৫০ টি খাস পুকুর শক্তিশালী সিন্ডিকেট জালিয়াতি করে রিটের মাধ্যমে বছরের পর বছর ভোগদখল করে আসছিল। রিট বাতিল হওয়ায় পুকুর সিন্ডিকেটের মাথায় বাজ পড়েছে। পুকুর গুলি এখন ইজারা প্রদানে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা না থাকায় ইজারা দিয়ে শত কোটি টাকার রাজস্ব পেতে যাচ্ছে সরকার যার প্রভাব পড়বে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে।

    ভূয়া চালান, জাল দলিল সৃজন করে পুকুর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ওইসব দলিল উপস্থাপন করে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তাৎক্ষণিভাবে দলিলের বৈধতা ও সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেন না।

    রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করেন। সারা বছরে এসব রিটের আর কোনো খোঁজখবর থাকে না। কিন্তু ওই সবপুকুর ইজারার জন্য তালিকা প্রকাশ করে শেষ মূহূত্বে রিটের কারেনে আর ইজারা দিতে পারেন না।
    এপুকুর পুকুর চুরির ব্যপারটি গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বুঝতে পেরে পুকুর জালিয়াতিরঙ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন। গত ২৫/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের সভাপতিত্বে গোদাগাড়ী উপজেলা জরমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান নেয়া হয়। ১০৪৪৬/২০২৩ নং রিট বাতিল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। মাধবপুর রাংগামাটি মৎসজীবিসমবায় সমিতি লি. গোদাগাড়ী, নিয়ম বহির্ভূতভাবে নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্ত হয়েছে এবং সমিতির কাগজপত্র ব্যবহার করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের সুপ্রিম কোটে রিট হয়েছে। এ সংক্রান্ত কোন তথ্য বা অভিযোগ ইতিপূর্বে সমিতি কর্তৃপক্ষ দ্বারা উপজেলা সমবায় অফিসারকে অবহিত না করায় উত্ত সমিতির বিরুদ্ধে নিবন্ধন বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জানান, রিট পিটিশন বাতিল হওয়ার কারণে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পেতে যাচ্ছে। ৩ বছর থেকে প্রায় ৪৫০ টির অধিক ছোট বড় পুকুর ইজারা দিতে না পারায় বিশাল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত ছিল সরকার। রিট পিটিশন বাতিল হওয়ায় পুকুরগুলি ইজারা দিতে কোন প্রকার বাধা নেই। কিছু দিনের প্রায় ৩ হাজার পুকুর ১ বছরের জন্য খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হবে। বিগত দিনে ভূয়া চালান ধরা পড়ায় ৫৫ টি পুকুরের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। এখন উপজেলা ভূমি অফিসের নাজিরের মাধ্যমে টাকা আদায় করে সাথে সাথে ব্যাংকে জমা দেয়া হচ্ছে এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই। কিছু দিনের প্রায় ৩ হাজার পুকুর ১ বছরের জন্য খাস কালেশনের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হবে। এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাবেন। বিগত দিনে ভূয়া চালান ধরা পড়ায় ৫৫ টি পুকুরের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। এখন উপজেলা ভূমি অফিসের নাজিরের মাধ্যমে টাকা আদায় করে সাথে সাথে ব্যাংকে জমা দেয়া হচ্ছে এতে জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই।

    উপজেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির
    সদসাচিব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শামসুল ইসলাম জানান, রিট বাতিল হওয়ায় এটা সরকারের বিশাল বিজয়। পুকুরগুলি রিট করে একটি সিন্ডিকেট বছরের পর বছর লিজ প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিনালিজে পুকুর ভোগ করেছেন।

    গোদাগড়ী উপজেলা ভূমি অফিসের সায়রাত সহকারী মোসাঃ জুলেখা খাতুন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের ভূয়া চালান, জাল দলিল পুকুর সিন্ডিকেট বিরুদ্ধে কঠোর মনভাব এবং রিট বাতিলের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করা হয়।
    প্রায় ৪ শতাধিক খাস পুকুরের রিট বাতিল হওয়ায় এখন পুকুরগুলি বিধিমোতাবেক ইজারা দেয়া হলে মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় হবে। ভূয়া চালান, একই চালানে দুই বা ততোধিক পুকুরের বিপরীতে ব্যবহার করা হওয়ায় ৫৫ টি পুকুরের লিজ বাতিল করা হয়েছে। সাড়ে ৪ শ পুকুর লিজ দিয়ে রাজস্ব আয় হবে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

    সুপ্রিম কোর্ট অফ বাংলাদেশের
    অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল বারী জানান,
    এটি প্রত্যয়িত করা হচ্ছে যে আবেদনকারী পূর্বে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের কাছে তাৎক্ষণিক রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা ০৬.০৪.২০২৩ তারিখের বিবাদী নং ৫ কর্তৃক জারি করা আপত্তিকর স্মারক নং ০৫.৪৩.৮১৩৪.০০০.১১.০০৪.২৩-১৩৪ (৫০) কে চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা হয়েছিল, যেখানে বিবাদী নং ৫ কর্তৃক জারি করা হয়েছিল, যা ১৪৩০ থেকে ১৪৩২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত কার্যকরভাবে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০০৯ (সংশোধন-২০১২) (সংযোজনী-খ) অনুসারে ৩ বছরের জন্য জলমহাল ইজারা দেওয়ার দাবি করেছিল, যতদূর পর্যন্ত এটি প্রশ্নবিদ্ধ পুকুরগুলির সাথে সম্পর্কিত, সিরিয়াল নং ৬, ৪০, ৪৭, ৫০, ৫৭, ৭৫, ৮২, ৯৮, ১৩৩, ১৩৬, ১৫৫, ১৬৩, ১৬৪, ১৮৩, ১৯৪, ২০৫, ২৩৩, ২৩৬, ২৬৮, ২৭০, ২৭১, ২৯০, ৩১১, ৩৬০, ৩৬৪, ৩৭৩, ৩৭৪, ৪০৩, ৪০৪, ৪২৪, ৪৪১, ৪৪২, ৪৪৪, ৪৫০, ৪৫৮, ৪৮৮, ৪৯১, ৫০৫ এবং ৫১১ এবং ২৭.০৮.২০২৩ তারিখে মাননীয় আদালতের লর্ডশিপ জনাব বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী এবং জনাব বিচারপতি মোঃ আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির পর, আপত্তিকর স্মারক নং – এর রুল এবং স্থগিতাদেশ জারি করে সন্তুষ্ট হন। ০৫.৪৩.৮১৩৪.০০০.১১.০০৪.২৩-১৩৪ (৫০) তারিখ ০৬.০৪.২০২৩ (সংযোজন-খ এবং ১দ) তারিখ থেকে ৬(ছয়) মাসের জন্য আবেদনকারীর সাথে সম্পর্কিত।
    এরপর আমি বিবাদী নং ৫-আবেদনকারীর পক্ষে স্বাক্ষর করে ২৭.০৮.২০২৩ তারিখের স্থগিতাদেশের আদেশ বাতিলের জন্য একটি আবেদন দাখিল করি এবং ১৫.০৯.২০২৫ তারিখে বিষয়টি আদেশের জন্য ৭০ নং আইটেম হিসাবে দৈনিক কারণ তালিকাতে আসে। এই শুনানির পর, তাদের লর্ডশিপ বিচারপতি মোঃ মজিবুর রাহিনান মিয়া এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত এই মাননীয় আদালতের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২৭.০৮.২০২৩ তারিখে প্রদত্ত স্থগিতাদেশের আদেশ বাতিল করতে সন্তুষ্ট হন। ফলে খাসপুকুর, জলমহালের ব্যপারে সরকারের বড় বিজয় সিন্ডিকেটের পরাজয়।

    পুকুর খাসপুকুর-দিঘি, বিল-জলাশয় ইজারার প্রক্রিয়া শেষের পথে। তবে প্রতিবছর বাংলা সন শুরুর আগে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি আদালতে ছোটাছুটি শুরু করেন। টাকা-পয়সা ঢেলে আদালতের একটা কাগজ নিয়ে ছুটে যান উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়ে। উদ্দেশ্য যে কোনো উপায়ে খাস পুকুরের ইজারা ঠেকানো। এই প্রক্রিয়ায় খাসপুকুর ইজারা না হওয়ায় বছরে শতকোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।

    ভূয়া চালানের কপি, জাল দলিল সৃজন ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে উচ্চ আদালত থেকে কোনোভাবে একটা অন্তর্বর্তী আদেশ এনে যুগের পর যুগ ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় শত শত সরকারি খাস পুকুর-দিঘি ও জলাশয়ের ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এভাবেই বছরের পর বছর অবৈধভাবে ভোগ দখল করা হচ্ছে পুকুর, দিঘি, জলাশয়। এতে সরকারের শত কোটি টাকার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়েছে সরকার অবৈধভাবে ভোগ দখলে এলাকায় গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা। ভূমি বিভাগের কর্মচারীরাও সিন্ডিকেটের ভেতরে রয়েছেন।

    রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ভূমি রাজস্ব বিভাগের সূত্রে জানা যায়, নিলাম ডেকেও রাজশাহীর কয়েক হাজার খাস পুকুর জলাশয় শেষ মুহূর্তে ইজারা দেওয়া যায় না। কারণ জাল দলিল সৃজন করে পুকুর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ওইসব দলিল উপস্থাপন করে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তাৎক্ষণিভাবে দলিলের বৈধতা ও সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেন না। রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করেন। সারা বছরে এসব রিটের আর কোনো খোঁজখবর থাকে না। সরকারি ভূমি বিভাগও এসব রিট নিষ্পত্তির বিষয়ে মনোযোগী ছিল না। ফলে শুধু একটা অন্তর্বর্তী আদেশ নিয়ে রিটকারী বছরের পর বছর ধরে সরকারি পুকুর-দিঘি, জলাশয় দখলে রেখে ভোগ করছেন। রিট বাতিল হওয়ার ফলে পুকুর সিন্ডিকেটদের মাথায় হাত পড়েছে।

    জেলার গোদাগাড়ীতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সরকারি খাসপুকুর। এর আয়তন মোট ২ হাজার ৫৮০ একর। গোদাগাড়ীতে ২০ একর আয়তনের কম খাস পুকুরের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৫৭টি। অন্যদিকে ২০ একরের বেশি আয়তনের খাসপুকুর দিঘি জলাশয় রয়েছে শতাধিক। আদালতের অন্তর্বর্তী আদেশের ফলে প্রায় অর্ধেক খাস পুকুর ইজারা দিতে পারেন না উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার।

    সূত্র জানায়, গোদাগাড়ীতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে খাস পুকুর ইজারায় কারসাজি করে আসছে। ইজারা নিতে এলাকায় এলাকায় তৈরি করা হয়েছে শতাধিক ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি। এসব কাগুজে সমিতিতে নেই প্রকৃত কোনো মৎস্যজীবী। মৎস্যজীবীরা পুকুর সিন্ডিকেটের কাছ থেকে চড়া দামে পুকুর কিনে মাছ চাষ করেন। কৌশলে খাস পুকুর দখলে নিয়ে গোদাগাড়ীতে ক্ষমতাসীন কয়েকজন নেতা গত কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    অভিযোগ রয়েছে, এতদবন শত শত খাস পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় এসব পুকুরের পানি ব্যবহার থেকে বঞ্চিত বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। প্রভাবশালীরা এসব পুকুরের পানি জমিতে কৃষকের সেচ দিতে দেয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দখলদাররা কৃষকের কাছে এসব পুকুরের পানি বিক্রিও করে থাকেন। অথচ সরকারি এসব পুকুরের পানি ব্যবহার উন্মুক্ত থাকার কথা। এলাকার মানুষ গৃহস্থালি ও পশুপালনে আগে এসব পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারতেন। বেদখল থাকায় এখন এলাকাবাসী পুকুরগুলোতে নামতে পারেন না। এ রিট বাতিলের ফলে পুকুর গুলি থেকে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পেতে যাচ্ছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • আসন্ন শীত মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পাইকগাছার জে-লে পল্লীতে প্র-স্তুতি চলছে

    আসন্ন শীত মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পাইকগাছার জে-লে পল্লীতে প্র-স্তুতি চলছে

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা )।।

    আসন্ন শীত মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য পাইকগাছার জেলে পল্লীগুলোতে এখন ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। নতুন ট্রলার তৈরি এবং পুরাতন ট্রলার মেরামত, জাল বুনা ও জাল শুকানোর কাজের ধুম পড়ে গেছে। জেলে পল্লীর নারী-পুরুষ ও শ্রমিকরা সুন্দরবনের দুবলার চরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গোছাতে কর্মব্যস্ত দিন কাঁটাচ্ছে। মহাজনের চড়াসুদে দাদনে টাকা নিয়ে জীবিকার তাগিতে আশা-হতাশায় সাগর যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা।
    পাইকগাছা উপজেলার বোয়ালিয়া, হিতামপুর, মাহমুদকাটী, নোয়াকাটি, কপিলমুনি, কাটিপাড়া, রাড়লী, শাহাপাড়া, বাঁকাসহ বিভিন্ন গ্রামের জেলে পল্লী থেকে প্রায় ২৫০টি ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সব কাজে বাড়ীর ছোট বড় সবাই সহযোগীতা করছে। নতুন ট্রালার তৈরি, পুরাতন ট্রলারগুলো সংস্কার, জালবুনা, লোহার নোঙ্গর/গ্রাফি, ট্রলারের রং করা, জালে গাবকুটে রস লাগানো ছাড়াও সমুদ্রে যাওয়ার বিভিন্ন কাজ কর্ম নিয়ে জেলে পল্লীর নারী-পুরুষরা ব্যস্ত দিন কাঁটাচ্ছে।
    উপজেলার বোয়ালিয়া মালোপাড়া সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মালোপাড়ায় ৩টি নতুন ট্রলার তৈরী করার কাজ চলছে ও ৩০ টি পুরাতন ট্রলার মেরামতের কাজ চলছে। মিস্ত্রীরা দিন রাত ট্রলার তৈরী কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ট্রলার তৈরী নিয়ে মালোপাড়ায় তৈরি হয়েছে উৎসব মূখর পরিবেশ। মালোপাড়ার সজ্ঞয় বিশ্বাস নতুন ট্রলার তৈরী করছেন, তিনি জানান, নতুন ট্রলার তৈরী করতে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। তাছাড়া সুবোল বিশ্বাস, সিতেরাম বিশ্বাস, তাপস বিশ্বাস, দয়াল মন্ডল তাদের পুরাতন ট্রলারগুলি মেরামত করছে। কপোতাক্ষ নদের তীরে বোয়ালিয়া ব্রীজের দুই পাশে ট্রলার তৈরী ও মেরামতের কাজ চলছে। বোয়ালিয়া মালোপাড়ার বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানায়, সমুদ্রে মাছ ধরতে য়েতে ১টি ট্রলার তৈরি করছে। মহাজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েছে, সাগরে মাছ ধরে তা বিক্রি করে টাকা শোধ করবে বলে তিনি জানান।
    ট্রালার তৈরি করতে বিভিন্নস্থান থেকে ৪-৫ জন মিস্ত্রী আনতে হয়। মিস্ত্রীদের থাকা খাওয়া বাদে প্রতিটি নতুন ট্রলার তৈরী বাবদ মজুরী ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। ৬০ ফুট লম্বা ১৭ ফুট চওড়া একটি ট্রলার তৈরি করতে প্রায় ৫শত সেফটি কাঠ লাগছে। প্রতি সেফটি খৈ বাবলা ও চম্বল কাঠ ৬শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা দরে ক্রয় করেছে। পুরাতন ট্রলার মেরামত করতে ২০-৮০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ট্রালার তৈরি পর ইঞ্জিন বসাতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। প্রতিটি ট্রলারে জাল ধরার জন্য ২টি করে নোঙ্গর প্রয়োজন হয়। লোহার তৈরী নোঙ্গর তৈরী করতে খরচ পড়ছে প্রায় ২৮ হাজার টাকা। প্রতিটি মাছ ধরার জাল তৈরি করতে তাদের খরচ হচ্ছে ৯০ হাজার থেকে ১লাখ টাকা। সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রতি ট্রলারে ২টি জাল প্রয়োজন হয়। প্রতি ট্রলারে জাল ধরার জন্য ৮/১০ জন কর্মচারীর প্রয়োজন হয়। তাদের থাকা-খাওয়া বাদে প্রতি মাসে ১৫/২০ হাজার টাকা বেতন দিতে হয়। সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ট্রলার প্রতি ৫/৬ মাসে সব কিছু মিলে খরচ পড়ে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা।
    মালোপাড়ার সিতেনাথ বিশ্বাস জানান, শীত মৌসুমে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। ৫ থেকে ৬ মাসের জন্য দুবলার চরে অস্থায়ী জেলে পল্লীতে বাসা বেধে থাকা ও মাছ শুকানোর আড়ত তৈরী করতে হয়। এর জন্য অনেক টাকার দরকার পড়ে। সব টাকা নিজের না থাকায় এলাকার বিভিন্ন মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা দাদন নিতে হয়। ৫ থেকে ৬ মাসের জন্য তারা দাদন নিলেও ১ বছরের হিসাবে টাকা দিতে হয়। প্রতি ১ লাখ টাকায় মহাজনদের প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা সুদ দিতে হয়। জেলেপাড়ার অজয় বিশ্বাস জানান, সরকার আমাদের ব্যাংকের মাধ্যমে লোনের ব্যবস্থা করত তাহলে মাছ ধরে উপার্জিত টাকা ঘরে ফিরে আনতে পারতাম। তা না হলে মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া চড়া সুদের টাকা শোধ করার পর উপার্জিত টাকা ঘরে ফিরে আসে না। তাই জেলে পরিবাররা সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছে, শীত মৌসুমে মাছ ধরতে যাওয়া সময় জেলেদেরকে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে তারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পাবে।
    বোয়ালিয়া জেলে পল্লীর জেলেরা দূর্গা পূজার পর উপজেলার সকল ট্রলার এক সঙ্গে রওনা দিবে। জেলেরা বিভিন্ন মহাজনের অধীনে থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। মহাজনরা জেলেদের পাস পারমিট করে রাখে। তারা মংলা হয়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে গিয়ে বাসা বেঁধে অবস্থান নিবে। জীবিকার জন্য প্রতি বছর সুমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বনদস্যু ও জলদস্যুদের সাথে জেলেদের জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে ভয়ংকর, বিক্ষুদ্ধ উত্তাল ঢেউয়ের সংগে যুদ্ধ করে জেলেদের জাল ফেলে মাছ ধরতে হয়। এতো বিপদের সংগে লড়াই করে তাদের জীবিকা অর্জন করতে হয়। জেলে পল্লী মানুষের আয়ের প্রধান উৎস্য সমুদ্রে মাছ ধরা। তবে এটা যেন তাদের নেশা ও পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই জেলে পল্লীর নারী-পুরুষ সবাই মিলে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র তৈরী ও গোছাতে দিন রাত কাজ করছে। এই নিয়ে জেলে পল্লীগুলোতে সাগর যাত্রার মহাকর্মযজ্ঞর প্রস্তুতি চলছে।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।