Author: desk

  • ময়মনসিংহে পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচ দাবীতে জামায়াতের বিক্ষো-ভ মিছিল ও সমা-বেশ

    ময়মনসিংহে পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচ দাবীতে জামায়াতের বিক্ষো-ভ মিছিল ও সমা-বেশ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ময়মনসিংহ মহানগরী।

    শুক্রবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ ঘটিকায় ময়মনসিংহ নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
    তিনি বলেন, জুলাই সনদ এদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা ও প্রত্যাশার। আরেকটি স্বৈরাচারী সরকার যেন আবার চেপে বসতে না পারে সেজন্য জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে। সন্ত্রাস, দুর্নীতিমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য জামায়াতের এ আন্দোলন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
    কর্মসূচিতে দলের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এসময় এই মুহূর্তে দরকার পিআর আর সংস্কার, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন, দিতে হবে দিয়ে দাও, জামায়াত-শিবির জনতা, গড়ে তোলো একতা স্লোগান দিতে দেখা যায়

    মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্ কায়সার এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ময়মনসিংহ মহানগরীর আমীর ও ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল।

    সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। অবাধ, সুষ্টু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তিনি আগামী নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ আসনে সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণকে ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিতে নগরবাসীকে আহবান জানান।

    সমাবেশ শেষ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউনহল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় পাঁচ দফা দাবির স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজপথ।

    উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া, ময়মনসিংহ অঞ্চল টিম সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল করিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও ত্রিশাল সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী আসাদুজ্জামান সোহেল, সহ-সেক্রেটারি আনোয়ার হাসান সুজন, মাহবুবুল হাসান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেত্রকোনা-৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী আল হেলাল তালুকদার, শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ডাঃ আব্দুল আজিজ, হায়দার করিম, খন্দকার আবু হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারী প্রমুখ ।

  • গোপালগঞ্জে এম এইচ খান মঞ্জুর গ-ণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট বি-তরণ

    গোপালগঞ্জে এম এইচ খান মঞ্জুর গ-ণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট বি-তরণ

    কে এম সাইফুর রহমান নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে
    গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান এম এইচ খান মঞ্জু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে দলীয় মনোয়ন পেতে সর্বত্র জনসংযোগ ও সাধারণ জনগণ ও ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে চলেছেন।

    শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বড়বাজার ও বটতলা বাজারে, মোহাম্মদপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করার সময় বলেন, কোন অসাধু ব্যক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দলের নাম ভাঙিয়ে অথবা আমার নাম ব্যবহার করে, গোপালগঞ্জ-২ সংসদীয় এলাকায় কোন সালিশ বাণিজ্য অথবা অপকর্মের সাথে লিপ্ত থাকে তাহলে তাকে আইনের হাতে তুলে দিন অথবা আমাকে জানান। আমি তাকে আইনের হাতে তুলে দেবো। তিনি আরও বলেন, বিএনপি বহু দলীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাসী সুশাসনের পক্ষের একটি রাজনৈতিক দল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী দলের নেতাকর্মীরা দলের জনপ্রিয়তা অক্ষুন্ন রাখতে ত্যাগ ও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন যার সুফল অচিরেই মিলবে।

    এছাড়াও তিনি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে আটক জেলা বিএনপি নেতা মাহাবুব আলী সোহেলকে দেখতে যান। পরে তিনি সোহেলের বাসভবনে গিয়ে সোহেলের মা ও স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি সোহেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক ও মিথ্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের অবগত ও সকল প্রকার সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

    এ সময় জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এস এম সুমন, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবীর, পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খান ঝান্টু, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরের সভাপতি রমেন্দ্রনাথ সরকার, সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান টুটুল, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো: লিটন মিয়া, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মাসুদ শেখ সহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • শাজাহানপুরের চোপিনগর ইউপি নির্বাচনে জামায়াত মনো-নীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আ.ন.ম ইয়াহিয়া

    শাজাহানপুরের চোপিনগর ইউপি নির্বাচনে জামায়াত মনো-নীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আ.ন.ম ইয়াহিয়া

    মিজানুর রহমান মিলন,
    শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :

    বগুড়ার শাজাহানপুরে চোপিনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বিহিগ্রাম এ.ডি.ইউ সেন্ট্রাল ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ.ন.ম ইয়াহিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার(১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বিহিগ্রাম এ.ডি.ইউ সেন্ট্রাল ফাযিল মাদ্রাসার মিলনায়তনে কর্মী সমাবেশে জেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল্লাহিল বাকী আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করেন।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে এমপি প্রার্থী ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, উপজেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহমান, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম, আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ প্রামাণিক, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হাফেজ মোকলেছুর রহমান মুকুল, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি তারেকুল ইসলাম তারেক, উপজেলা বায়তুলমাল সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মোমিন, উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি প্রভাষক মাওলানা কাওসার আলী, চোপিনগর ইউনিয়ন আমীর ডাঃ সালেকুর রহমানসহ উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য, ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

    এছাড়া গত ২৫ আগস্ট উপজেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন আড়িয়া ইউনিয়নে উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহমান, মাঝিড়া ইউনিয়নে মাওলানা আব্দুস সালাম, খরনা ইউনিয়নে আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ প্রামাণিক, গোহাইল ইউনিয়নে মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আশেকপুর ইউনিয়নে মাওলানা আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মাদলা ইউনিয়নে অধ্যাপক গাজীউর রহমান, খোট্রাপাড়া ইউনিয়নে অধ্যাপক শাইদুল ইসলাম, আমরুল ইউনিয়নে আশরাফুল মান্নান সামাউন।

  • গৌরনদীকে বা-ল্যবিবাহ ও মাদ-কমুক্ত করতে তরুন সমাজের শপথ

    গৌরনদীকে বা-ল্যবিবাহ ও মাদ-কমুক্ত করতে তরুন সমাজের শপথ

    কে এম সোয়েব জুয়েল,
    ‎‎গৌরনদী প্রতিনিধি।
    বরিশালের গৌরনদীতে “বাল্যবিবাহ ও মাদক প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা ও সচেতনতা” শীর্ষক সেমিনার ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে গৌরনদী ডিবেটিং সোসাইটি (জিডিএস)। সার্বিক সহযোগিতা করে উপজেলা প্রশাসন ও গৌরনদী পৌরসভা।
    ‎‎অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌরনদী ডিবেটিং সোসাইটির প্রধান পরিচালক মোঃ বাপ্পি শিকদার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরী। ‎বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহতা জারাব সালেহীন, গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহবায়ক ও পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান, গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল হালদার, পৌর জামায়াত ইসলামের আমির মো. হাফিজুর রহমান এবং মাহিলারা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জিনাত জাহান খান, গৌরনদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ অলিউল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি গোলাম মোর্শেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন পালরদী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রাজা রাম সাহা। ‎সেমিনারে বাল্যবিবাহ ও মাদকের ভয়াবহতা এবং তা প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, সমাজ পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি তরুণরাই। তাদের সচেতনতা ও সাহসী অবস্থান বাল্যবিবাহ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ‎সেমিনার উপলক্ষে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় গৌরনদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মাহিলারা ডিগ্রি কলেজ। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ‎অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় তরুণদের সক্রিয় উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং সবাই বাল্যবিবাহ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। বাল্যবিয়ে ও মাদক প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ডিবেটিং সোসাইটির বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন। প্রধান অতিথি ইউএনও রিফাত আরা মৌরি।

  • কুমিল্লার মাঠে মোহামেডান স্পোটিং কে ৪-১ গোলে হারালো  বসুন্ধরা কিংস -গ্রুপ চ্যালেঞ্জ কাপ 

    কুমিল্লার মাঠে মোহামেডান স্পোটিং কে ৪-১ গোলে হারালো  বসুন্ধরা কিংস -গ্রুপ চ্যালেঞ্জ কাপ 

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন, 

    ঘরোয়া মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট বসুন্ধরা গ্রুপ চ্যালেঞ্জ কাপে মোহামেন স্পোর্টিংকে ৪-১গোলের বড় ব্যবধানে হারালো বসুন্ধরা কিংস। শুক্রবার কুমিল্লা  স্টেডিয়ামে উত্তেজনাকর ম্যাচ উপভোগ করে দর্শকরা। 

    মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত না থাকায় শুরু হতে দেরি হয় ১১ মিনিট। খেলা শুরুর পর মাত্র ১৩ মিনিটের মধ্যেই দেখা মেলে দুটি পেনাল্টির। দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তো দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর মোহামেডানকে সমতায় ফেরান মোজাফ্ফর মোজাফ্ফরভ। এরপর রাফায়েল আগুস্তো ও ইমানুয়েল সানডের লক্ষ্যভেদের পর দোরিয়েলতনের দ্বিতীয় গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় বসুন্ধরা কিংসের।

    ৬২তম মিনিটে বড় ধাক্কাটা খায় কিংস। মোহামেডানের মিনহাজুর আবেদিন রাকিবকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন মিডফিল্ডার সোহেল।

    ৭২ মিনিটে কর্নার থেকে তৈরি হওয়া সুযোগে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন রাফায়েল আগুস্তো, এগিয়ে যায় কিংস।

    ৭৫ মিনিটে দোরিয়েলতনের কাটব্যাক থেকে গোল করে সাবেক ক্লাব মোহামেডানের বিপক্ষে ব্যবধান বাড়ান এমানুয়েল সানডে। শেষদিকে ৮৬ মিনিটে মোহামেডান ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে চতুরতার সঙ্গে গোল করে ব্যবধান ৪-১ করেন দোরিয়েলতন।

    এরপরই মোহামেডান সমর্থকরা গ্যালারি থেকে মাঠে ফ্লেয়ারসহ নানা কিছু ছুঁড়তে থাকেন। তাতে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হলে ফের শুরু হয় খেলা, কিন্তু মোহামেডান পারেনি ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো ইঙ্গিত দিতে। হারের হতাশা নিয়ে নতুন মৌসুম শুরু হলো আলফাজ আহমেদের দলের।শেষ পর্যন্ত ৪- ১ গোলের পরাজয় স্বীকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

  • পাঁচ বছরের শিশুকে ধ-র্ষণ চেষ্টার অ-ভিযোগ, মা-মলা তুলে নিতে হু-মকি

    পাঁচ বছরের শিশুকে ধ-র্ষণ চেষ্টার অ-ভিযোগ, মা-মলা তুলে নিতে হু-মকি

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    পঞ্চগড়ের চকলেট ও খেলনার আশ্বাসে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলা হওয়ায় হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

    গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    মামলার এজাহার সূত্র ও পরিবারটি অভিযোগ থেকে জানা যায়, শিশুটি এখনও ভয়ে আঁতকে উঠছে। খেলনা ও চকলেট দেয়ার কথা বলে মুসলিম পরিবারের ওই শিশুটিকে বাড়ির পাশের এক হলুদ ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে প্রতিবেশী কণিক রায় নামে এক সনাতন ধর্মের যুবক। শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় কান্নাকাটি করলে- পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে যায়। এ সময় কণিক রায় পালিয়ে গেলে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে বাড়িতেই চিকিৎসা করান। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে পরদিন দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার করেন।

     

    এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলেও শিশুটি এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয় বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

    এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই যুবককে আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা করেছে শিশুটির বাবা। তবে মামলার পর থেকেই সমঝোতার জন্য ক্রমাগত হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

    শিশুটির বাবা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমি মামলা করেছি বলে স্থানীয় নেতাদের দ্বারা সমঝোতার জন্য আমাকে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। আমি বলে দিয়েছি, আমি কখনোই সমঝোতায় যাবো না। আমার অবুঝ মেয়েকে ডেকে নিয়ে যে এমন পাশবিক নির্যাতন করেছে আমি ন্যায়বিচার চাই।’

    এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখানে অন্য কোনো ইস্যু নেই। অভিযুক্ত তরুণ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

  • আজ ধন্য বাসিল মরো পবিত্র গীর্জার শুভ উদ্বোধন

    আজ ধন্য বাসিল মরো পবিত্র গীর্জার শুভ উদ্বোধন

    বান্দরবান (থানচি) প্রতিনিধি: মথি ত্রিপুরা।

    বান্দরবান পার্বত্য জেলা থানচি উপজেলা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের হালিরাম পাড়ায় ধন্য বাসিল মরো গীর্জা শুভ উদ্ভোধন করা হয়েছে।
    শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে থানচি উপজেলা ০৪ নং বলিপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড অবস্থিত, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের হালিরাম পাড়ায় ধন্য বাসিল মরো গীর্জা শুভ উদ্ভোধন করা হয়।
    পবিত্র গীর্জার টি শুভ উদ্ভোধন করেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চবিশপ লরেন্স শুব্রত হাওলাদার সিএসসি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস প্রভেন্সিয়াল সেক্রেড হার্ট যীজাস প্রোভিন্স বাংলাদেশ ফাদার সুশান্ত আন্তনী গমেজ সিএসসি, নিবেদীতা কুমারী মারিয়া ধর্ম পল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার শিতল হিউবার্ট রোজারিও সিএসসি, শান্তি রাজ ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার নিকোলাস নকক্রেক সিএসসি, ফাদার সমীর পিটার রোজারিও সিএসসি, ফাদার বিকাশ জেমস রিবেরু সিএসসি, ফাদার সুমন রোজারিও সিএসসি প্রমুখ।
    হলি ক্রশ মিশন সেন্টার ইউএসএ ও হলি ক্রশ ফাদার সেক্রেড হার্ট যিজাস প্রোভিন্স বাংলাদেশ অর্থায়নে, নিবেদিতা কুমারী মারিয়া ধর্মপল্লীর সার্বিক সহযোগীতায় ও হালিরাম পাড়াবাসীদের সক্রিয়ভাবে কঠোর পরিশ্রমের অংশগ্রহণের ধন্য বাসিল মরো গীর্জাটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
    আর্শীবাদ ও ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক পিতর ত্রিপুরা মেম্বার বলেন, বিগত ৩রা মার্চ ২০২৫ তারিখে গীর্জা টি ভিক্তি স্থাপন করা হয়। ভিক্তি প্রস্থর শুভ সূচনা করেন, প্রভিন্স ডেভেলপমেন্ট অফিস, ফাদার বিনয় সেবাস্তিয়ান গমেজ সিএসসি। সঠিক ব্যবস্থাপনার ও সবার সক্রিয় সহযোগিতায় মাত্র সাড়ে ৬ মাস নির্মাণের গীর্জা টি দ্রুত কাজ শেষ করতে সক্ষম হয়।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, থানচি উপজেলা ০৪ নং বলিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা, থানচি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক যোহন ত্রিপুরা, ক্যচু পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মনিরাম রাফায়েল ত্রিপুরা ও সিস্টারবৃন্দ। এছাড়া এলাকার খ্রিস্ট ভক্তরা আনুমানিক প্রায় ৬৫০ জন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

  • কুমিল্লার মুসলিম সম্প্রদায়ের ৩৬৮ বছরের ঐতিহাসিক শাহ সুজা মসজিদ মোগল সম্রাজ্যের সা-ক্ষী

    কুমিল্লার মুসলিম সম্প্রদায়ের ৩৬৮ বছরের ঐতিহাসিক শাহ সুজা মসজিদ মোগল সম্রাজ্যের সা-ক্ষী

    কুমিল্লা দঃ জেলা প্রতিনিধি, তরিকুল ইসলাম তরুন, 

    কুমিল্লার ৩৬৮ বছরের পুরাতন মুসলিম সম্প্রদায়ের স্মৃতি আজো মোঘল সাম্রাজ্যের স্বাপিত্বের কথা মনে করিয়ে দেয় তরুন প্রজম্মকে। সেই মোঘল স্মৃতি দাঁড়িয়ে আছে কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলিতে  ঐতিহাসিক শাহ সুজা মসজিদ। মঘল আমলের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে এই পুরাতন মসজিদ টি।

    কালের সাক্ষী এই মসজিদটি বড় ধরনের তেমন  পরিবর্তন না হলেও যুগে যুগে সম্প্রাসারন হয়েছে, 

    মুসল্লী বেড়েছে, কুমিল্লা শহরের মোগলটুলি এলাকায় আরো মসজিদ রয়েছে অনেক কিন্তু তারপরও মুসল্লীদের প্রথম পছন্দ শাহ সুজা মসজিদই।এই  মসজিদের মুসল্লীদের  ধারণক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে বহু আগে। শুক্রবার জুম্মার দিনে মসজিদের বাহিরে চলে আসে মুসল্লীদের নামাজের  কাতার, এটি ঐতিহাসিক  কুমিল্লার ঐতিহ্যের ছাপ বা স্মৃতি হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। 

    কুমিল্লা শহরের মুগলটুলি এলাকায় অবস্থিত এই ঐতিহাসিক শাহ সুজা মসজিদ স্থাপিত। ঐতিহাসিক ইতিহাস গবেষক দের মতে জানা যায় ১৬৫৮ সালে বাংলার সুবেদার শাহ সুজা তার ত্রিপুরা বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।

    সাড়ে তিনশো বছরেরও অধিক  বছর আগে নির্মিত মসজিদটি উত্তর দক্ষিনে লম্বা। 

    আয়তাকার মসজিদটি বাইরের মাপে দৈর্ঘ্য ১৭.৬৮ মি., প্রস্থ ৮.৫৩ মি. ও প্রাচীরগুলি ১.৭৫ মি. পুরু । মসজিদের চার কোণে ৪টি অষ্টকোণাকার বুরুজ রয়েছে ।

     এগুলি কার্নিসের বেশ উপরে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষে রয়েছে ছোট গম্বুজ । 

    মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে । প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এতে অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে । প্রবেশপথগুলির উভয় পার্শ্বে ও উপরে প্যানেল নকশা অলঙ্কৃত করা হয়েছে।  কিবলা প্রাচীরে রয়েছে ৩টি মিহরাব, কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক আকর্ষণীয় । 

    এটি ফুল, লতা পাতা ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত । দুটি পার্শ্ব খিলান দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তরভাগ তিন ভাগে বিভক্ত । 

    মধ্যের অংশটি বাইরের দিকে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা উদ্গত করে নির্মিত। এই অংশের চার কোণে ৪টি সরু মিনার কার্নিসের উপরে উঠেছে । গম্বুজগুলির শীর্ষদেশ পদ্মনকশা ও কলস চূড়া দ্বারা শোভিত সেই আগ থেকে ।মসজিদের কার্নিসের নীচের অংশ মারলোন নকশায় অলংকৃত । বিভিন্ন সময়ে মসজিদটির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে । একটি শিলালিপির পাঠ অনুযায়ী ১৮৮২ সালে হাজী ইমামউদ্দিন ৭.৩২ মি. প্রস্থের সমতল ছাদ বিশিষ্টবারান্দাটি নির্মাণ করেন। 

    পরবর্তীকালে মসজিদটি আরও সম্প্রসারিত ও দুপার্শ্বে মিনার নির্মাণ করা হযয়েছে । এব্যপারে বিএনপি নেতা ও সমাজ সেবক মাহবুবুল আলম চপল জানান মসজিদ টি তৈরি ৩৬৮ বছর পূর্বে কিন্তু কালের পরিবর্তনে অনেক বার সৌন্দর্য বর্ধনে স্থানীয় দের আর্থিক সহযোগিতায় উভয় দিকে  সম্প্রসারন করা হয় এবং সাথে মাদ্রাসা, পানির ঝর্ণা, অযুখানা নির্মান করা হয়। প্রধান ফটক কারুকার্য শোভিত করে তৈরি করা হয়। আমরা ছোট বেলা এই মসজিদেই বাবা সাথে নামাজ পড়তে যেতাম,তখন এখনকার মতো ঘনঘন মসজিদ ছিল না।

    এছাড়াও সমাজ সেবক মোখলেছুর রহমান, ও নাছির উদ্দীন বলেন শাহ সুজা মসজিদ মোগলটুলী,পুরাতন চৌধুরী পাড়া,গাংচরের  ঐতিহ্যের প্রতিক,

    আমরা এই মসজিদে নামাজ পড়ি,এই মসজিদের ইতিহাস ব্যাপক,পিলারে খচিত আছে ৩৬৮ বছরের স্থাপিত্বের নানান ঐতিহাসিক স্থাপিত্বের কথা।

  • কুমিল্লাতে ভূমি অফিসের নথিপত্র জা-লিয়াতি, বি-চারহীনতায় বে-পরোয়া চ-ক্র

    কুমিল্লাতে ভূমি অফিসের নথিপত্র জা-লিয়াতি, বি-চারহীনতায় বে-পরোয়া চ-ক্র

    তরিকুল ইসলাম তরুণ,

    কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিসের খতিয়ান বহির সূচিপত্র জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে।

    জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
    শুধু তাই নয়, বিচারহীনতার সুযোগে চক্রটি এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং বিরোধীয় ভুমিটি গ্রাস করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
    এ ঘটনায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা
    কোম্পানি গঞ্জ বাস স্টেশনের ১ কিঃমিঃ পশ্চিমে কুলুবাড়ি মৌজার ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগের (বর্তমানে বিএস ১০২০) ৯০ শতক জমির মধ্যে ৪৮ শতক জমি ফারুক
    আহমেদ খোকনসহ ৩ জনের কাছে বিক্রি করেন,
    মোবারক আলী সরকারের বড় মেয়ে মিসেস সেজেদা খানম
    একইসাথে, ৪৬৭ ও ৪৭০ দাগের (বর্তমানে ১০২০) বাকি ৪২ শতক ভুমি মোবারক আলী সরকারের স্ত্রী মনজুমা খানমের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়।
    যার খতিয়ান নম্বর ৪৪৪, ডিপি ৩৪৭।
    অভিযোগ উঠেছে, ৪৮ শতক জমি বাদদিয়ে বর্তমানে ৪২ শতক জমির ওপর কুনজর দেয় ফারুক আহমেদ খোকন গংরা।
    তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা ভুমি অফিসের মাধ্যমে বি-এস খতিয়ান বহির সূচিপত্র পরিবর্তন করে। জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ৪২ শতক জমির ৪৪৪ নম্বর খতিয়ানের (ডিপি ৩৪৭) ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগ পরিবর্তন করে ৪৬৭ ও ৪৭০ দাগে ৪৫৬/২০২২-২০২৩ নম্বর জমা খারিজ করে নেয়।
    বিষয়টি জানাজানি হলে মোবারক আলী সরকারের মেয়ে পাপিয়া সরকার ভুয়া মাঠপর্চা সৃজন করে ৪৫৬/২০২২-২০২৩ জমা খারিজ বাতিলের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন।
    আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও, কানুনগো এবং সার্ভেয়ারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
    দীর্ঘ তদন্ত শেষে জমা খারিজটি ভুয়া মাঠপর্চার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।

    এ নিয়ে একাধিক শুনানি শেষে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাকিব হাসান খান গত ২৪
    জুলাই, ৯৫ নং কুলুবাড়ি মৌজার দাগসূচিতে বি-এস ৫০১ নম্বর খতিয়ানের ১০২০ হাল দাগের বিপরীতে সাবেক ৪৬৬ ও ৪৭০ বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সাথে কাগজপত্র জালিয়াতি করে নেওয়া ৪৫৬/২০২২-২০২৩ নম্বর জমা খারিজটি বাতিল করেন।
    এ সময় অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ খোকন তার জালিয়াতির স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকাও নেন।প্রশাসনিক তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে ওই চক্রটি জাল মাঠপর্চা ব্যবহার করে করা ৪৫৬/২০২২-২০২৩ জমা খারিজ বহাল রাখার জন্য কুমিল্লার আদালতে মামলা করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করছে।
    স্থানীয়দের অভিযোগ, বিরোধীয় ভুমিটি গ্রাস করতে চক্রটি নানাভাবে ফন্দি-ফিকির চালাচ্ছে।
    প্রশাসনিক তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
    এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ খোকনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার স্বজন দের সাথে কথা বললে ভুমি নিয়ে তার কোন সৎ উত্তর দেয়নি।
    মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাকিব হাসান খান বলেন, কাগজপত্র জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর সে স্বীকার করে ফারুক আহমে খোকন মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় তাকে ক্ষমা করা হয়ে ছিল।

  • উপকূলে জলবায়ু ন্যা-য় রূপান্তরের ডাক পটুয়াখালীতে জারি গানে পরিবেশ আ-ন্দোলন

    উপকূলে জলবায়ু ন্যা-য় রূপান্তরের ডাক পটুয়াখালীতে জারি গানে পরিবেশ আ-ন্দোলন

    বিশেষ প্রতিনিধি:

    উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে গ্লোবাল উইক অব ক্লাইমেট অ্যাকশন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ভিন্নধর্মী সাংস্কৃতিক আয়োজন “প্রকৃতির ডাক: জারি গানে ন্যায় রূপান্তর”।
    শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গ্রীন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি আয়োজনে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় প্রোগ্রামটি বাস্তবায়নের সহযোগিতা করছে ধুমকেতু ইয়ুথ ফাউন্ডেশন।

    জলবায়ু কার্যক্রমের বৈশ্বিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে জারি গানের মাধ্যমে উপকূলের মানুষের দুর্দশা, লবণাক্ত পানির যন্ত্রণা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহতা ফুটিয়ে তোলা হয়। একইসঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তিতে দ্রুত রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা এবং টেকসই উন্নয়নের দাবি তুলে ধরা হয় গানের কথায়।

    অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী, পরিবেশকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। তারা জানান, জারি গানের মতো লোকজ শিল্পমাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো জটিল ইস্যু সহজভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

    এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুকতারা মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহফুজা ইসলাম, গ্রীন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর খাইরুল ইসলাম মুন্না.

    গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর খাইরুল ইসলাম মুন্না বলেন উপকূলীয় মানুষের টিকে থাকার জন্য ফসিল ফুয়েল নির্ভর শক্তির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর জরুরি। তারা প্রতিশ্রুতি দেন, তরুণদের সম্পৃক্ত করে এ ধরনের কর্মসূচি নিয়মিত আয়োজন করা হবে, যাতে উপকূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু ন্যায়ের দাবি আরও জোরদার হয়।

    আয়োজক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপকূলের মানুষের জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখতে ফসিল ফুয়েল পরিহার করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো জরুরি। তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করে ভবিষ্যতেও এ ধরনের সাংস্কৃতিক আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে বলে জানানো হয়।