Author: desk

  • দেশ বিরো-ধী চ-ক্র এখনও সক্রিয় এবং নানা কু-টচালে নিয়োজিত রয়েছে- সেলিম রেজা হাবিব

    দেশ বিরো-ধী চ-ক্র এখনও সক্রিয় এবং নানা কু-টচালে নিয়োজিত রয়েছে- সেলিম রেজা হাবিব

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর: বিএনপির তৃণমুল পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো গতিশীল করার লক্ষ্যে সুজানগর পৌর এবং ভায়না ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সুজানগর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুল মোনায়েমের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা হারুন মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, পাবনা দুই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবাহান।অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আহমেদ আলী প্রামাণিক লাটু, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ নাদের হোসেন, ভায়না ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল করিম ও কামরুজ্জামান সান্টু সহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা হাবিব বলেন, গণতন্ত্র আর স্বাধীনতা রক্ষার কঠিন শপথে বলিয়ান হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের একাতবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। দেশ বিরোধী চক্র এখনও সক্রিয় এবং নানা কুটচালে নিয়োজিত রয়েছে।বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে শৃঙ্খলা ও ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন আরো বলেন,বিএনপি এদেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে মামলা হামলা, গুম-খুন উপেক্ষা করে বিএনপি মানুষের ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার যে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে তার সফল পরিসমাপ্তি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান। সুতরাং বিএনপিকে আর কোনো আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • আমরা চাঁ-দাবাজি ও টে-ন্ডারবাজি করি না,একবার ক্ষ-মতায় বসান প্রমাণ করবো-মাওলানা এমরুল

    আমরা চাঁ-দাবাজি ও টে-ন্ডারবাজি করি না,একবার ক্ষ-মতায় বসান প্রমাণ করবো-মাওলানা এমরুল

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের আমির ও ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী কামরুল আহসান এমরুল বলেছেন-রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আমাদের হাতে আসলে জনগণ ও রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে।
    তিনি বলেন, ‘জামায়াতের লোকেরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে না। জামায়াতের লোকেরা স্বজনপ্রীতি করে না, রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে না। জামায়াতের প্রত্যেকটি লোক আলাদা আলাদা ব্যবসা ও চাকরি করে। উপার্জিত অর্থ থেকে আমরা একটা অংশ দলকে দিয়ে থাকি। আমরা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করি না। জনগণ পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশকে যদি জামায়াতের হাতে তুলে দেয়, তারা দেখবে কেমন বাংলাদেশ হয়-তা আমরা ইনশাআল্লাহ দেখাবো।

    শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনভর তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহ সদর-৪ আসন এলাকার পরাণগঞ্জ ইউনিয়নের পরানগঞ্জ বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গণসংযোগ কালে ভোটারদের সাথে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন।

    এসময় তার সাথে ছিলেন মহানগর জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি আব্দুল বারী, গাঙ্গিনাপার সাংগঠনিক থানার আমীর এমদাদুল ইসলাম সহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ এলাকাবাসী।

    এসময় জামায়াতের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু করে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছি। বেকার সমস্যার সমাধান করেছি। বাংলাদেশে যে রেমিট্যান্স আসে, তার একটা বড় অংশ আমাদের উদ্যোগের কারণে, আমাদের চেষ্টার কারণে আসে।তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় না গিয়েও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে প্রমাণ করেছি। আমরা সেই পরীক্ষায় ইতোমধ্যে সফল হয়েছি। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান কামরুল আহসান এমরুল।

    ময়মনসিংহ সদর উপজেলার জনগণকে সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা একটি সমৃদ্ধ নগরী চাই। আমরা একটি মানবিক নগরী চাই। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত নগরী চাই। নগরীকে গড়ে তুলতে দলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

    কামরুল আহসান এমরুল আশা প্রকাশ করেন, ময়মনসিংহ সদরে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণ সদরের অভিভাবক হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে গ্রহণ করবে। শুধু ময়মনসিংহ সদর এলাকা নয় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সকল নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বকে জনগণ গ্রহণ করবে।

    তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার যাওয়ার তিনদিন আগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল। তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, আর আল্লাহ তায়ালা এই জাতির মাধ্যমে তাদেরকে দেশছাড়া করেছেন। তারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করছে। কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে অবশ্যই একটি দল থাকতে হবে, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান জানাবে। ভালো কাজের আদেশ দেবে ও অসৎ কাজে বাধা দেবে। আর এরাই সফলকাম হবে।’

  • গোদাগাড়ীর সাংবাদিকদের সাথে ইউএনওর ম-তবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    গোদাগাড়ীর সাংবাদিকদের সাথে ইউএনওর ম-তবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের সাথে গোদাগাড়ীর সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২০ সেপ্টেম্বর, শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসে এ মতবিনিময় সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইনকিলাবের গোদাগাড়ী উপজেলা সংবাদদাতা, সিনিয়র সাংবাদিক কলামিস্ট মোঃ হায়দার আলী, দৈনিক দিনকালের সাংবাদিক সেলিম সানোয়ার পলাশ, আলোকিত সকালের সাংবাদিক সারোয়ার সবুজ, নতুন প্রভাতের সাংবাদিক আহসান হাবীব, দৈনিক সোনালী সংবাদের সাংবাদিক জামিল আহমেদ প্রমূখ। স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রথম শ্রেণীর গোদাগাড়ী পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, নানা ধরনের প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুন্দরভাবে উত্তর দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকেরা সমাজের দর্পন। সংবাদপত্রকে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অনিবার্য এক উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সাংবাদিকদের জাতীর বিবেকও বলা হয়। সাংবাদিকগণ হচ্ছেন জাতির জাগ্রত বিবেক। আর সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাই সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে। সংবাদপত্রের যাত্রা যথেষ্ট প্রচীন হলেও বিংশ শতাব্দিতে সংবাদপত্র বিভিন্ন দেশীয় আন্তজাতিক পরিমন্ডলে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ন ভূমিকা পালন করেছিল, বর্তমানেও করছে, ভবিষ্যৎও করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ওয়াটার গেট কেলেংকারী সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকতার গভীর তাৎপর্যপূর্ন নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছিল। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে সচেতেনতা সৃষ্টি, খেলাধুলায় অংশ নিয়ে গোদাগাড়ীবাসী মাদকমুক্ত হবেন,
    গোদাগাড়ীর উন্নয়নে সাংবাদিকসহ সকল পেশার মানুষকে নিয়ে কাজ করতে চাই। উপজেলাকে মডেল উপজেলা করতে চাই। বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০ হাজার দুস্থদের মাঝে ভিজিটি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। ৯ টি ইউনিয়নে একটি করে মিনি পার্ক, কৃষকদের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে সেভজোন নির্মান করা হবে, ৯ টি ইউনিয়নে আদিবাসীদের জন্য আদিবাসী কুঞ্জ নির্মান করা হবে। আগামী মঙ্গলবার গোদাগাড়ী পৌরসভার এসএসসি পরীক্ষায় ৬৭ জন জিপিএ -৫ প্রাপ্ত প্রত্যেককে ১৫শ টাকার প্রাইজবন্ড, ৫শ টাকার বই, ২ করে গাছ প্রদান করা হবে। পৌরসভার মাষ্টার প্লান করে উন্নয়ন প্রকল্পগুলি হাতে নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা জন্য স্কুল, মাদ্রাসা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্ত:স্কুল বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে। গোদাগাড়ীর দুটি হাসপাতালে সাপে কাঁটা রোগিদের সুচিকিৎসার জন্য এন্টিভেনম প্রদান করা হয়েছে। সাংবাদিকেদর প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ আরও বলেন, গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, ডাক্তারগণ সময়মত উপস্থিত না হওয়া, রোগিদের সুচিকিৎসা সেবা বঞ্চিত করা, আশেপাশের পরিবেশ নোংরা, ডাক্তার কর্মচারীরা কোয়ার্টার না থাকা, ওই মাদকের আখড়ায় পরিণত করা সবগুলি দ্রুত সমাধানের ব্যপারে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে আরও বলেন, এখানে ২৪ জন নার্স আছেন তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। প্রয়োজনে ইসিজি মেশিনসহ গুরুত্বপূর্ণ মেশিনের ব্যবস্থা করা হবে। আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দক্ষ টেকনিশিয়ানের ব্যবস্থা করা হবে। যেন রোগিরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে
    গোদাগাড়ী ২ টি পৌরসভা ও উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ৯৯ ক্লাব তৈরী করা হয়েছে এবং প্রতিটি ক্লাবে খেলাধুলার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে খেলাধূলা চলছে। এ খেলায় ব্যাপক জনসমাগম হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন, উচ্চতর দক্ষতা সম্পূর্ণ সেলাই প্রশিক্ষণ চলছে। এখানে প্রথম ব্যাচে ৩৫ জন প্রশিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছেন। কিছুদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু হবে। মাষ্টার ট্রেনার শাহানাজ খাতুন খুবই দক্ষ, খুব ভালভাবে শিখাচ্ছেন। শিক্ষাগ্রহন শেষে সবাইকে সনদপত্র প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের পায়জামা, টি শার্ট, প্যান্ট, জামা প্রভূতি তৈরী করতে সক্ষম হবেন। একটি মিনি গার্মেন্টস তৈরী করার সামগ্রী প্রদান করা হবে বলে জানাই এ কর্মকর্তা।

    আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা শিক্ষার জন্য দুটি স্কুল ছিল সেগুলিকে আবার চালু করার আশ্বাস দেন। চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য একটি স্পিডবোট এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের রেগি, গরীব, দুঃস্থ মানুষ বিনামূল্যে যাতায়াতের সুবিধা পাবেন।

    এ ছাড়া তিনি গোদাগাড়ী বাসী কে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করেন , জনদূ্র্ভোগ সৃষ্টি করে এমন যেকোন কাজের তথ্য উপজেলা প্রশাসনকে সরাসরি অবহিত করার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন।
    প্রয়োজনে ০১৭৬১৪৯১২২১ (ইউএনও গোদাগাড়ী অফিসিয়াল নম্বরে তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর অনুরোধ করেছেন। ইতোমধ্যে চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে স্কুল সংলগ্ন মাঠে পাশ থেকে মাটি উত্তোলনের তথ্য উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহন করে মাটি ভরাট করা হয়েছে বলে জানান।

    উপজেলাট সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমের একান্ত সহযোগিতা চেয়েছেন এ কর্মকর্তা।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতা হ-ত্যা মা-মলায় সাবেক ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন গ্রে-ফতার

    আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতা হ-ত্যা মা-মলায় সাবেক ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় আফজাল হোসেন (৫৮) নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান। তাকে সকালেই আদালতে পাঠানো হয়।

    গ্রেফতারকৃত আফজাল হোসেন সাবেক মেম্বার আশুলিয়ার জিরাবোর কুন্ডলবাগ এলাকার মৃত আলহাজ্ব জমির আলীর ছেলে। তিনি গত ২০২৪ইং ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন।

    পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে ছাত্র-জনতার ওপর অমানবিক হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের লোকজন। এঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতা নিহত হন, আহত হন প্রায় দুই শতাধিক। গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতন হলে পরবর্তীতে মামলা দায়ের করেন নিহত ও আহতের পরিবার। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আফজাল হোসেনকে গতকাল সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতের স্বজনের দায়ের করা মামলায় আফজাল হোসেন নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান অপরাধী যেইহোক তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।

  • জনগণের ঐ-ক্যবদ্ধতা বিএনপি’র মূল শ-ক্তি-আশুলিয়ায় মোহাম্মদ আইয়ুব খান

    জনগণের ঐ-ক্যবদ্ধতা বিএনপি’র মূল শ-ক্তি-আশুলিয়ায় মোহাম্মদ আইয়ুব খান

    হেলাল শেখঃ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুখী ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করেন ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আইয়ুব খান। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, বাংলার জনগণের ঐক্যবদ্ধতা বিএনপির মূল শক্তি, এই শক্তি আগামীতে সুন্দর ও সুখী বাংলাদেশ গড়তে সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে।

    শুক্রবার ( ১৯/০৯/২০২৫ ইং) বিকেলে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গাজীবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই মন্তব্য করেন আইয়ুব খান।

    এ সময় মোহাম্মদ আইয়ুব খান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১দফার বার্তা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।

    শিমুলিয়া ইউনিউন বিএনপি ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ-সভাপতি শবদের আলি খানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান আরিফ, ঢাকা জেলার যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়ার যুগ্ন সম্পাদক মেহফুজুল আলম সাগর, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক ইশতিয়াক এনাম ভূইয়া তানিম, আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোঃ শওকত হোসেন, শিমুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ সামছুদ্দোহা খান এরশাদ, আশুলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিন ব্যাপারী, ধামসোনা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহবায়ক লিটন আহমেদসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • ধ/র্ষণের শিকা/র শিশুর বাবার সঙ্গে দু/র্ব্যবহার পঞ্চগড়ের চিকিৎসকের কু/রুচিপূর্ণ ভাষা

    ধ/র্ষণের শিকা/র শিশুর বাবার সঙ্গে দু/র্ব্যবহার পঞ্চগড়ের চিকিৎসকের কু/রুচিপূর্ণ ভাষা

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি;

    পঞ্চগড়ের চিকিৎসকের কুরুচিপূর্ণ ভাষা ভিডিও ভাইরাল
    পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমের একটি বিতর্কিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক শিশুর বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে তিনি কুরুচিপূর্ণ, অপমানজনক, কটূক্তিমূলক ও হুমকিসূচক ভাষায় কথা বলছেন।

    ভিডিওতে চিকিৎসকের মুখে শোনা যায়, এই ব্যাটা থানা যায় পরে রহিবো। বুঝিন নাই। কাগজ খান নিয়ে থানা যায় পরে রহিস। কি বালটা করবি করিস। হাসপাতালটা তোমরা চিড়িয়াখানা পাইছো। চিড়িয়াখানার মতো ভর্তি হবা। বেলেট কিনে নিয়ে যায় বাল কামাবা। মান-সম্মান তোমাদের কিছু নাই রে। একবারে নাক ফাটায় দিবো। থতমা উড়াই দেবো। নিজে মারামারি করার চিকিৎসাও করো। মুই মাইরা দিবা পারো। একদম থতমা উল্টায় দিম।

    এই ভিডিও প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে। শত শত মানুষ ভিডিওটি শেয়ার করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকে বলেন, এ ধরনের অমানবিক আচরণের জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। শাহজাহান সোহেল নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

    রফিকুল ইসলাম মন্তব্য করেন, ইনি তো ডাক্তার নামে পঞ্চগড় জেলার একটা বেয়াদব মানুষ। আমার সাথেও খারাপ ব্যবহার করেছে। আমার মা হাসপাতালে সারারাত ভর্তি ছিল, কিন্তু সকালে রোগী দেখার সময় তিনি আমার মাকে চিকিৎসা দেননি। আমি বলতেই উনি চড়াও হয়ে বলেন, ‘আপনার মা তো পালাতক রুগি, রাতে নাকি পালিয়েছে’। এরপর তিনি নোংরা ভাষায় কথা বলেন ও মাস্তানির মতো আচরণ করেন।

    ডা. মোজাম্মেল হক নাহিদ লিখেছেন, মেডিকেল সাইন্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ‘কাউন্সেলিং’। রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে ভালো আচরণ করে ৭০-৭৫ শতাংশ রোগী ম্যানেজ করা সম্ভব। একজন বিসিএস সিনিয়র চিকিৎসক হয়ে এমন ভাষায় কথা বলা অনুচিত। এরকম কিছু ডাক্তারের জন্য গোটা চিকিৎসক সমাজকে অপমান সহ্য করতে হয়। সংশোধন হোন, সম্মান এমনি আসবে।
    এ বিষয়ে সিভিল সার্জন পঞ্চগড় সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি ভিডিও দেখেই তাকে শোকজ করেছি পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • দীর্ঘ ৫০ বছরের দুঃ/খ লা/ঘব হতে চলেছে শার্শার দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের, উপকৃত হবে ৫০ হাজার পরিবার

    দীর্ঘ ৫০ বছরের দুঃ/খ লা/ঘব হতে চলেছে শার্শার দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের, উপকৃত হবে ৫০ হাজার পরিবার

    আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ যশোরের শার্শা উপজেলার প্রস্তাবিত মাখলার খাল সংস্কার প্রকল্প বাস্তবে রুপ দিতে চলেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় ইছামতী নদীর জোয়ারের পানিতে শার্শা উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ৫২ টি বিল বরাবরই নিমজ্জিত থাকে। প্লাবিত হয় হাজার হাজার বিঘা আমন ফসলের জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজারো পরিবার। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এবছরও ভারত থেকে আসা জোয়ারের পানি ইছামতী নদীর দু’কুল ছাপিয়ে রুদ্রপুর দাউদখালী খাল দিয়ে মাখলা বিলে প্রবেশ করে হাজার হাজার বিঘা ফসলের জমি ভাষিয়ে দেয়। এতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে লোকসমাজ পত্রিকায় ছবিসহ বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশ হলে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এলাকা পরিদর্শন করেন। এবং এর সমাধানের আশ্বাস দেন। পানি প্রবেশের পথ রুদ্রপুর দাউদখালী খালমুখে হওয়ার কারনে কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামকে খালের নকশা প্রনয়ন পুর্বক খাল সংস্কার ও কার্যকর স্লুইসগেট নির্মানের প্রস্তাবনা পেশ করার আহবান জানানো হয়। কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেন এবিষয়ে লোক সমাজকে বলেন, নকশা তৈরী করে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি বাস্তয়ন হবে। তিনি বলেন এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজিব হাসান যাবতীয় সহযোগিতা করছেন। তিনি আরও বলেন, মাখলা খাল পুণঃ সংস্কারসহ রুদ্রপুর দাউদখালী খালমুখে উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন স্লুইসগেট নির্মান এবং সাহেবের খালমুখ থেকে নতুন খাল খনন করে কলারোয়া উপজেলার সোনাই নদীর সাথে সংযোগ স্থাপনের নকশা এরই মধ্য জমা দেয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলো ভারতীয় পানি ইছামতী নদী দিয়ে আর শার্শার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেনা। উপরন্তু শার্শা উপজেলার উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলের বর্ষার পানি মাখলা খাল দিয়ে সোনাই নদীতে প্রবাহিত হয়ে সুন্দরবন অঞ্চলে প্রবেশ করবে। ফলে শার্শা উপজেলার বিলগুলি আর প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তখন আমন, ইরি ও তরকারি চাষ আগের মতই সম্ভব হবে। এতে করে উপজেলার ৫০ হাজারেরও অধিক চাষি উপকৃত হবেন। এতে করে দীর্ঘ ৫০ বছরের দুঃখের অবসান ঘটবে। শার্শা উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলের সকল চাষিদের ভাগ্যেরও পরিবর্তন হবে ।

  • গোদাগাড়ীতে একটি স্কুল মাঠের গ-র্ত নিয়ে কার স্বার্থে অ-পপ্রচার

    গোদাগাড়ীতে একটি স্কুল মাঠের গ-র্ত নিয়ে কার স্বার্থে অ-পপ্রচার

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আষাড়িয়াদহ
    কানাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে খেলার মাঠ থেকে মাটি খুড়ে গর্ত করায় বিদ্যালয়ের দুটি ভবন ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ভবনের পাশে খনন করা গর্তে পানি জমেছে। কিন্তু গর্তটি আজকে ভরাট করার পরে কার স্বার্থে, কেন এত অপপ্রচার ?

    ভাল কাজ করলে মানুষ, কিছু মানুষ বাঁকা চোখে দেখবে এটা স্বাভাবিক। তাই বলে কি ভাল বন্ধ করে জনগনকে সেবা বঞ্চিত করবেন। দশের চক্রে ভগমান মানকে ভুত হয়ে যায়।

    বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। ‘বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, ‘নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।’
    তেমনটি ঘটেছে চর আষাড়িয়াদহ কাঁনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি গর্ত করে মাটি উত্তোলন করে কয়েক ফুট দূরে ছাত্রছাত্রী এলাকার শিশুদের একটি মিনি পার্ক তৈরী করার জন্য অন্য একটি গর্তে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই স্কুল কতৃপক্ষ, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারী কর্মকর্তা এবং এলাকাবাসীর সাথে বসে মতামতে ভিক্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে কাজটি করা হয়।

    বন্যা ও বৃষ্টি কমে গেলে ওই গর্তটি পুনরায় মাটি ও বালু ভরাট করা হবে। প্রচুর বৃষ্টির কারণে খালটি পানিতে ভর্তি হয়ে যায়। জরুরী ভিক্তিতে আজকে খালটি ভরাট করা হযেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ভোলা। তিনি আরও জানান, কোন ভালকাজ সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করতে গেলে প্রতিবন্ধকতা আসবেই। দুটি স্কুল কমিটির সদস্য, শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, সরকারী কর্মকর্তা, এলাকার সুধিজনদের মিনি শিশু পার্কের ব্যপারে সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে মাটি না পাওয়ায় এবং পরবর্তীতে দ্রুত ভরাট করে দেয়া শর্তে ওই স্থান থেকে মাটি উত্তোলন করে পার্কের গর্ত ভারাট করা হয়। পার্কে জন্য আমাকে সকল মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে কার্যক্রম দূতগতিতে চলছে। আমি আজকেই স্কুলে ওই গর্ত ভরাট করেদিয়েছি।
    কিছু মহল আমাকে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিকট খারাপ করতে, উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করতে ইমন, কবিরসহ কয়েকজন ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন যাদের ভালকাজ দেখলে গায়ে জ্বর আসে।

    চর আষাড়িয়াদহ কাঁনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসগর আলী জানান, সকলের সাথে আলোচনা করে মাটি উত্তোলন করে মাটি নিয়ে পার্কের কাজে ব্যবহার করা হয় এবং আজকে স্কুলের ওই গর্তটি ভরাট করা হয়েছে, কোন প্রকার সমস্যা হয় নি। সবাইকে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করচ্ছি। সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস একই মন্তব্য করেন। চর আষাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, এলাকায় ভাল কাজ করা কষ্টকর। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ, ইউনিয়ন পরিষদ, এলাকার সুধিজন নিয়ে মতামতের ভিক্তিতে আমরা মিনি পার্ক করছি, পার্কের সকল মালামাল চরে চলে গেছে, কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।বন্যা ও বৃষ্টির কারনে মাটি না পাওয়ায় ওই স্থানে গর্তটি করা হয়েছিল সেটি আজকে ভরা করা হয়েছে। এলাকার শিশু-কিশোরদের মাদক থেকে দূরে থাকতে বিভিন্ন লেখাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে, বিনোদনের জন্য পার্ক করা হচ্ছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা করতে চাই। চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে তাড়াতাড়ি পৌছানোর জন্য স্পিডবোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনামূল্যে রোগি, গর্ভবতী মা, দুস্থদের সেবা দেয়া হবে যা উদ্বোধন পর্য়ায়ে রয়েছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • আদালতে মি-থ্যা মাম-লা দিয়ে দরিদ্র পান বিক্রেতার পরিবারকে হ-য়রানীর অ-ভিযোগ

    আদালতে মি-থ্যা মাম-লা দিয়ে দরিদ্র পান বিক্রেতার পরিবারকে হ-য়রানীর অ-ভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাবনার সুজানগরের এক দরিদ্র ও নরিহি পরবিাররে বিরুদ্ধে রংপুর ও বগুড়া আদালতে পৃথক দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জানাযায়, গত ২০২৩ সালে রংপুর আদালতে সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নরে ফকিৎপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওহাব সেখ এবং তার ছেলে হৃদয় শেখকে (২৩) গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী বানিয়ে রংপুর আদালতে আলমগীর হোসনে নামক এক ব্যক্তিকে বাদি সাজিয়ে ২০২৩ সালে এবং পরে ২০২৪ সালে বগুড়া আদালতে বেলাল হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে দিয়ে হৃদয় শেখের নামে পৃথক আরেকটি হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করান প্রতারক ও দালাল হিসেবে পরচিতি শাহরয়িার কবির নামের এক ব্যক্তি। রংপুর আদালতে দায়েরকৃত মামলার নং-১৪৩/২৩ এবং বগুড়া আদালতে দায়েরকৃত মামলা নং- ৫১৭/সি/২০২৪। প্রতারক শাহরিয়ার কবিরের বাড়ী গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ফকিৎপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওহাব শেখ স্থানীয় সাতবাড়ীয়া বাজারের একজন ক্ষুদ্র পান বিক্রেতা এবং তার ছেলে হৃদয় শেখ ২০২৩ সালে সে সময় সাতবাড়িয়া কলেজের এইচ এসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। এরমধ্যে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহীনীতে সৈনিক পদে লোকবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে দরিদ্র পরিবার হওয়ায় আব্দুল ওহাব শেখ তার ছেলেকে বগুড়া পাঠান সেনাবাহীনীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এ সময় শাহরিয়ার কবির নামে ওই দালাল ও প্রতারকের খপ্পরে পড়েন হৃদয় শেখ। এ সময় হৃদয় শেখকে শতভাগ চাকুরির নিশ্চয়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে পরবর্তীতে সাদা স্ট্যাম্প ও ব্যাংকের ৪টি ব্ল্যাংক চেকের পাতা রেখে দেন এবং চাকরি না হলে সেগুলো ফেরত প্রদানের কথা বলেন। কিন্তু সে সময় চাকুরী না হলে ওই চেকের পাতা ও স্ট্যাম্প ফেরত চান হৃদয় শেখ ও তার পিতা। কিন্তু তা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন শাহরিয়ার কবির। এরমধ্যে ঢাকাতে নিজ যোগ্যতায় ফায়ার সার্ভিসে চাকুরী হয় হৃদয় শেখের। এরপর বিষয়টি ওই দালাল ও প্রতারক শাহরিয়ার কবির জানতে পেরে মোটা অংকের টাকা দাবি করে হৃদয় শেখের দরিদ্র পিতা পান বিক্রেতা আব্দুল ওহাব শেখের কাছে, তা না হলে মামলা দায়েরের হুমকি দেন । পরবর্তীতে টাকা না দিলে ওই প্রতারক রংপুর আদালতে আলমগীর হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে বাদী বানিয়ে হৃদয় শেখ ও তার পিতা আবুল ওহাব শেখের কাছে ৮ লক্ষ টাকা পাওনা দাবি করে এবং বেলাল হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে বাদী বানিয়ে রিদয় শেখের কাছে বগুড়া আদালতে ২২ লাখ টাকা ব্যবসায়ীক পাওনা দাবি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছেত জানান, ২০২৩ সালে হৃদয় শেখ তার কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। এবং তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল না হওয়ায় কলেজের পক্ষ থেকে ফ্রি বেতনে পড়াশনা করাতেন। এ বিষয়ে পাবনার সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ আলিম রিপন জানান, একটি দরিদ্র পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক,আমার জানামতে রিদয় এ উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের দরিদ্র একজন পান বিক্রেতার সন্ধান। এদিকে হৃদয় শেখ ও তার পিতা আব্দুল ওহাব শেখের মতো দরিদ্র একটি পরিবারের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক আদালতের কাছে সঠিক বিচার প্রার্থনার পাশাপাশি এ ঘটনার অন্তরালে থাকা ওই দালাল ও প্রতারক শাহরিয়ার কবিরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

    এম এ আরিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • ময়মনসিংহে ৫ দফা দাবিতে নেজামে ইসলাম পার্টির বিক্ষো-ভ

    ময়মনসিংহে ৫ দফা দাবিতে নেজামে ইসলাম পার্টির বিক্ষো-ভ

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, মৌলিক সংস্কার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ময়মনসিংহ শাখা।

    শুক্রবার (১৯সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ময়মনসিংহ বড় মসজিদের সামনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ময়মনসিংহের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

    উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন নেজামী ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠন সচিব অধ্যক্ষ আবু তাহের খান। প্রধান বক্তার বক্তব্যে জুলাই শহীদদের সাথে প্রতারণা করলে বাংলাদেশে আরেকটি গণ বিপ্লব ঘটবে জানিয়ে
    বলেন, শত শত শহীদের রক্তস্নাত বিরানব্বই ভাগ মুসলিম অধ্যূষিত বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে তামাশা করলে আরেকটি গণ বিপ্লব সংঘটিত হবে। জুলাই এরং শাপলার সৈনিকেরা ঘরে ফিরে যায়নি। একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ না করে আমাদের এই বিপ্লবের মিশন শেষ হবে না।

    এসময় বক্তাগন অনতিবিলম্বে ঘোষিত পাঁচ দফা দাবী বাস্তবায়নের চুড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে জুলাই শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানোর আহবান জানান। বাংলাদেশে আনারও ফ্যাসীবাদ কে পুনর্বাসিত করার চক্রান্ত রুখে দিতে সকল কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে উদাত্ত আহ্বান জানান।

    নেজামে ইসলাম পার্টি ময়মনসিংহ আমীরহাফেজ মাওলানা আজিজুল হক এর সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতী শরীফুর রহমান এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর আমীর ড. হাফেজ মাওলানা উমর ফারুক, মহানগর সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সাইফুল মালেক সহ জেলা ও মহানগরীর নেতৃবৃন্দ।

    সমাবেশে বক্তারা আরো বলে, শত শত শহিদের রক্তস্নাত বিরানব্বই ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে তামাশা করলে আরেকটি গণবিপ্লব সংঘটিত হবে। জুলাই এবং শাপলার সৈনিকরা ঘরে ফিরে যায়নি। একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ না করে আমাদের এই বিপ্লবের মিশন শেষ হবে না।

    সমাবেশে বক্তারা-১। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি।
    ২। মৌলিকসংস্কার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন। ৩। আওয়ামী ফ্যাসীবাদ ও তার দোসরদের বিচার, কার্যক্রম নিষিদ্ধ।
    ৪। শাপলার গনহত্যা, পিলখানা ও জুলাই হত্যাযজ্ঞের দ্রুত বিচার, এবং ৫। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগসহ এই ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন প্রধান অতিথি।