Author: desk

  • দেশের স্বা-র্থে যে কোন মূল্যে জাতীয়তাবাদী পরিবারকে ঐ-ক্যবদ্ধ থাকতে হবে- সেলিমুজ্জামান সেলিম

    দেশের স্বা-র্থে যে কোন মূল্যে জাতীয়তাবাদী পরিবারকে ঐ-ক্যবদ্ধ থাকতে হবে- সেলিমুজ্জামান সেলিম

    কে এম সাইফুর রহমান নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    দেশের স্বার্থে যে কোন মূল্যে জাতীয়তাবাদী পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যে নেত্রী পালিয়ে যায় সে নেত্রী আর রাজনীতিতে ফিরে আসে না। বিনা ভোটের নির্বাচন আর এদেশের মাটিতে হবে না। ‘৭১- এর পরাজিত শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
    আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ। বিএনপি সবসময় সম্প্রীতির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত করতে হবে।
    বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় গণতন্ত্রকামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সব অপশক্তিকে পরাজিত করব এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি
    শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।

    শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে মুকসুদপুর পৌর সভার প্রভাকরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৌরসভার ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম এসব কথা বলেন।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছালাম খান, সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম রাজু, মুকসুদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার টুলটু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিন্টু, পৌরসভার সাবেক মেয়র সাজ্জাদ করিম মন্টু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমাম লিপু, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু।

    মুকসুদপুর পৌর বিএনপির ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. টুকু মোল্যার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শামচুল আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মুন্সী ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোরাদ মল্লিকের সঞ্চালনায় অন্যাদের মধ্যে বক্কতব্য রাখেন, সমাজসেবী সোহরাব হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর নেয়ামত আলী খান, সাবেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম আমির, সমাজসেবী হাজ্বী সুলতান মুন্সী, প্রধান শিক্ষক মোঃ রাকিবুল হাসান, মুকসুদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক সাহিদ আহম্মেদ টুটুল মল্লিক, সমাজসেবী মোঃ জামাল মুন্সী, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আশিক মুন্সী, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী মুন্সী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাকিবুর রহমান দীপুসহ অনেকে।

    এ সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভা শেষে পীরে কামেল হযরত লেহাজউদ্দীন (রঃ) এর মাজার জিয়ারত করেন।

  • আশুলিয়ায় ই-য়াবা ও গাঁ-জাসহ ৫জন মা-দক কার-বারিকে আ-টক করেছে যৌ-থ বা-হিনী

    আশুলিয়ায় ই-য়াবা ও গাঁ-জাসহ ৫জন মা-দক কার-বারিকে আ-টক করেছে যৌ-থ বা-হিনী

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় গাঁজাসহ ৫ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছেন যৌথ বাহিনী।

    জানা গেছে, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং) দিবাগত রাতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে ঢাকার আশুলিয়ার ঘোষবাগ ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে নারীসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক করেন।

    গত (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাত ১১টার দিকে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের একটি টহল দল নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনার সময় সন্দেহজনকভাবে চলাচলরত মোঃ জয় নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেন। তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত মোঃ শাহাজুদ্দিন ও তার মা রোমিজা খাতুনের নাম প্রকাশ করে। উল্লেখ্য রোমিজা খাতুন এলাকার একজন অন্যতম ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং মহিলা হবার কারণে সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দীর্ঘদিন ধরে সহজেই ধোকা দিয়ে আসছিলো।

    সকল তথ্য প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে জামগড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে আরেকটি টহল দল পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে শাহাজুদ্দি ও রোমিজা খাতুনের ঘোষবাগস্থ বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় শাহাজুদ্দি ও তার মাকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ১৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ঐ দিনই প্রায় ২০০ পিস ইয়াবা বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। স্থানীয় জনগণও দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ করে আসছিলেন।

    পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিন্তপুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সাব্বিরের নাম উঠে আসে। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সাব্বিরকে তার বাসার কাছ থেকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ৬ পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তার সহযোগী আলফাজকেও নিশ্চিন্তপুর থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়।

    উদ্ধারকৃত মালামাল: মোট ৪৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩০০ গ্রাম গাঁজা, নগদ টাকা ১৪,১২০/- (ইয়াবা ব্যবসার লেনদেন),১০টি মোবাইল ফোন (মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত)।

    আটককৃত ব্যক্তিরা: ১। মোঃ জয় (৩০), ঘোষবাগ, আশুলিয়া,
    ২। মোঃ শাহাজুদ্দি (৪০), ঘোষবাগ, আশুলিয়া, ৩। রোমিজা খাতুন (৬০), ঘোষবাগ, আশুলিয়া,
    ৪। সাব্বির (১৮), নিশ্চিন্তপুর, আশুলিয়া, ৫। আলফাজ (২০), নিশ্চিন্তপুর, আশুলিয়া,

    আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী এবং জব্দকৃত মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য সামগ্রী আশুলিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান নিশ্চিত করেন। যৌথবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

  • কুড়িগ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ২০০ রোগী কে চিকিৎসা সেবা এবং বিনামূল্যে ওষু-ধ প্রদান

    কুড়িগ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ২০০ রোগী কে চিকিৎসা সেবা এবং বিনামূল্যে ওষু-ধ প্রদান

    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের ইস্কুলেরহাট আদর্শ বিদ্যানিকেতনে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদস্য, কুড়িগ্রাম ১ আসনের সাংসদ প্রার্থী ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ মোঃ ইউনুস আলীর উদ্যোগে শনিবার দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ মোঃ ইউনুস আলী সহ তিনজন চিকিৎসক প্রায় ২০০ জন অসুস্থ রোগী কে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। পাশাপাশি রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে আরো উপস্থিত ছিলেন নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল আলম সফি, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম (সরকার) সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

    ডাক্তার মো. ইউনুস আলী বলেন, আমারা সমাজের জন্য কিছু করতে চাই। ২০১৯সাল থেকে আজ পর্যন্ত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আমার সাথে আছে। আমি নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারিী উপজেলার মানুষদের বিএনপির ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরছি।

  • রাজশাহীর চারঘাটে আন্তর্জাতিক শা-ন্তি দিবস পালিত

    রাজশাহীর চারঘাটে আন্তর্জাতিক শা-ন্তি দিবস পালিত

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি, “এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করি, শান্তিময় বিশ্ব পড়ি” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে রাজশাহীর চারঘাটে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) ও ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ (ওয়াইপিএজি) এর আয়োজনে রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    চারঘাট উপজেলা পিএফজির সমন্নয়কারী সনি আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, চারঘাট মডেল থানার (ওসি) মিজানুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, পিএফজির বিভাগীয় সমন্নয়কারী শফিকুর রহমান, পদ্মা বড়াল থিয়েটারের সভাপতি এখলাক হোসেন লাভলু, উপজেলা সুজনের সভাপতি কামরুজ্জামান, চারঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার কর্মকার ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকরাম হোসেন।

    এ সময় পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ ও ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপের সদস্য, শাহাদাতুজ্জামান রিমন, মৌসুমী দাস, পিন্টু আলী, মকুল, আঁখি, বন্যাসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী ।

  • দুর্গোৎসবকে ঘিরে কেউ গু-জব বা উস-কানি ছড়া-লে ক-ঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হু-শিয়ারী ডিসি-এসপির

    দুর্গোৎসবকে ঘিরে কেউ গু-জব বা উস-কানি ছড়া-লে ক-ঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হু-শিয়ারী ডিসি-এসপির

    স্টাফ রিপোর্টারঃ
    আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে পূজামণ্ডপে কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন, জঙ্গিবাদ, মাদক ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধসহ সাইবার অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অপরিহার্য। হিন্দু ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে কেউ গুজব বা উসকানি ছড়ালে কিংবা পূজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

    এদিকে ময়মনসিংহে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ের কার্যক্রম চলছে। দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে মন্দিরগুলোতে এখন প্রতিমা তৈরি আর মন্ডপ তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজক সহ মৃৎশিল্পীরা, থাকছে নিরাপত্ত্বাবলয়। আসন্ন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা তৈরীর কারিগররা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। উৎসবকে ঘিরে জেলার ৭৮১ টি মন্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় মাটির প্রতিমা হয়ে উঠছে অপরূপা। একই সঙ্গে দুর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ করতে দিনরাত মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শক্ত মাটি নরম করে প্রতিমা তৈরির পর এখন রং তুলির আঁচড়ে মন্ডপে মন্ডপে চলছে কারিগড়দের ব্যস্ততা। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। উৎসব নির্ভিঘ্নে করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গেল বার শঙ্কা নিয়ে উৎসব করলেও এবার শঙ্কাহীন আনন্দ উদযাপনে সকল হিন্দু সংগঠন এক হয়ে পূজা করার আহবান আয়োজকদের।

    ময়মনসিংহ পূজা উদযাপন পরিষদ সুত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শাস্ত্রমতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দেবীর বোধন ও মহাপঞ্চমী এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্যে দিয়ে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী এবং ৩০ সেপ্টেম্বর মহা অষ্টমী অনুষ্ঠিত হবে। ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এ বছর দুর্গাদেবী গজে বা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে আগমন করবেন। আর দোলা বা পালকিতে চড়ে ফিরে যাবেন।

    জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহানগরে ৯০টি সদর উপজেলায়-৪০টি, ধোবাউরায়-৩৫টি,ফুলপুরে-৫৭টি,গৌরীপুরে-৫৫টি,
    গফরগাঁওযে-২০টি,ত্রিশালে-৬৮টি,ফুলবাড়িয়ায়-৬৪টি,মুক্তাগাছায়-১০৭ টা,ভালুকায়-৬৪টিসহ মোট ৭৮১ টি পূজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।

    জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়, পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একের পর এক সভা করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসাররাও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।অন্যদিকে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ প্রশাসন পূজার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে জেলার পূজা উদযাপন কমিটি ও বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সাথে বৈঠক করেছেন ।

    ময়মনসিংহ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জানান- জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্নের লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উৎসবের আমেজ বজায় রাখতে সেনাবাহিনীও মাঠে রয়েছে। সেই সঙ্গে পূজা চলাকালীন গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সজাগ অবস্থায় রয়েছে। তা ছাড়া তিনি পূর্র্বের ন্যায় শঙ্কাহীন উৎসব উদযাপনের আশা ব্যক্ত করেন। নিরাপত্তার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবকসহ ব্যবস্থা করেছেন সিসিটিভি ক্যামেরার। গত বছর দেশের পরিবর্তিত পরিস্থতির জন্য ময়মনসিংহে জাঁকজমকে কিছুটা কমতি থাকলেও এবার তার পরিপূর্নতা পাবে বলে আশাবাদী পূজা উদযাপন পরিষদ।

    পূজা উদযাপন পরিষদ, ময়মনসিংহের সাধারন সম্পাদক –জানান, শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে তাদের সব প্রস্তুতি শেষের দিকে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশে সাথে আলোচনা সভা শেষ হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজামন্ডপে আমাদেরও সেচ্ছাসেবক কর্মী দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আরো জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর ময়মনসিংহে পূজামন্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সরকারে পক্ষ থেকে প্রতিটা মন্ডপের জন্য চাল বরাদ্দ পেয়েছি। এ ছাড়া ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও হিন্দু কল্যান ট্র্যাষ্ট এর পক্ষ থেকে ৮৮টি মন্ডপের জন্য আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রনালয়ের বরাদ্ধ প্রদান করেছে ।সব মিলিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এ উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।তিনি বলেন আশা করছি কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পূজা শেষ করতে পারবো। এবারের পূজা উপলক্ষ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের কার্যকরী দৃশ্যমান পদক্ষেপে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা সন্তুষ্ট।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার প্রায় সব কটি পূজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রতিমায় চলছে শেষ মুহূর্তের রং তুলির আঁচড়। প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। দম ফেলার ফুরসত নেই এখন কারিগরদের। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডেকোরেটররা শুরু করেছে তোরণ নির্মাণ ও আলোকসজ্জার কাজ।

    কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যথাসময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই দুর্গা দেবীর আরাধনার জন্য মন্ডপ গুলো প্রস্তত করা হবে। প্রতিমা তৈরির কারিগররা বলেন, প্রতিবছরই তারা অধীর আগ্রহে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজের অপেক্ষায় থাকেন। এর মধ্যেই দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির প্রায় কাজ শেষের দিকে। এখনও কিছু প্রতিমায় রংয়ের বাকি কেবল। কারিগররা আরো জানান, তারা একেকজনে একাধিক প্রতিমা তৈরি করছেন। ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের প্রতিমা বিক্রি করে তারা লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। লাভ-লোকসান যাই হোক বংশগত পেশার প্রতি সম্মান জানিয়েই তারা আনন্দের সাথে প্রতিমা তৈরি করেন। প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে বিরতিহীনভাবে। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও পূজা উপলক্ষে একসাথে কয়েকটি মন্ডপের প্রতিমা তৈরীর কাজ পান এক একজন কারিগর। আগামী দু’একদিনের মধ্যেই জেলাব্যাপী পূজা মন্ডপ তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা তৈরির সব কাজ শেষ করে কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানান কারিগররা।

    অপরদিকে পূজার প্রস্তুতি দেখতে সরেজমিনে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখছেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম ও জেলা পুলিশ সুপার আখতার উল আলম।
    পূজা প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের এই উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ, পুরোহিত এবং ব্রহ্মচারীরা। তারা জানিয়েছেন, অতীতে পূজা চলাকালীন সময়ে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা মন্ডপ পরিদর্শন করলেও পূজার আগে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের এভাবে মাঠে নামা এবারই প্রথম।জেলা প্রশাসক পূজা মন্ডপে পরিদর্শন করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় মন্দির কর্তৃপক্ষ ও আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক প্রস্তুতির খোঁজ নিচ্ছেন।

    কালীবাড়ি এলাকায় অবস্থিত এক মন্দির কমিটির সভাপতি বলেন, এই জেলা প্রশাসক খুবই আন্তরিক ও ভালো মানুষ। আমরা খুবই উৎসাহিত যে উনি নিজে আমাদের মন্দিরে এসেছেন। আমার জানা মতে, এর আগে কোনো জেলা প্রশাসক পূজার প্রস্তুতি দেখতে আসেননি, শুধু পূজার সময় এসেছেন।

    দুর্গাবাড়ী রোড এলাকায় অবস্থিত এক মন্দিরে কর্মরত এক কারিগর বলেন, আমি কখনও দেখিনি একজন জেলা প্রশাসক প্রস্তুতি দেখতে সরাসরি এসেছেন। তিনি খুবই সিরিয়াস ছিলেন, বিশেষ করে নিরাপত্তা নিয়ে। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক পূজা মন্ডপে নারী-পুরুষ পূজার্থীদের আসন বিন্যাস, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, প্রতিমা নির্মাণের অগ্রগতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস করেন। তিনও জানান-পূজার সময় অনেকেই আসেন, কিন্তু প্রস্তুতি দেখতে জেলা প্রশাসকের আগমন এই প্রথম।

    পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম জানিয়েছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। উৎসবকে নির্ভিঘ্ন করতে অনেক দুর্গম এলাকায় কিছু ঝুঁকিপুর্ন মন্ডপের তালিকা আমরা পেয়েছি। সেগুলোতে স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা করবো। এছাড়াও মোবাইল প্রেট্রোলিংসহ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে থাকবে পুলিশের নিয়মিত টহল। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি ।তা ছাড়া পূজাকে ঘিরে জেলায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম জানান, ময়মনসিংহে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গা উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য ও সনাতন ধর্র্মের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে প্রস্ততিমূলক সভা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ বিভাগও নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটা মন্দিরেই পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশ কাজ করবে। সকলের প্রানবন্ত অংশগ্রহণে গত বছরের ন্যায় এবারও উৎসবমুখর এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।

  • ত্রিশালে ম-রা মুরগির মাং-স বি-ক্রি করার অ-পরাধ,২জনকে ২০ হাজার টাকা অ-র্থদণ্ড দিলেন এসিল্যান্ড

    ত্রিশালে ম-রা মুরগির মাং-স বি-ক্রি করার অ-পরাধ,২জনকে ২০ হাজার টাকা অ-র্থদণ্ড দিলেন এসিল্যান্ড

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাজারে মরা মুরগির মাংস বিক্রির সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড এর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    শনিবার (২০সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় ত্রিশাল বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারীর নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড মাহবুবুর রহমান।

    জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবৎ ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাজারে বাজারে মরা ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি করছে দুই ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে থানা থেকে পুলিশ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন বাজারে এসে মুরগির মাংস মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী বলে নিশ্চিত করেন। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিক্রেতা দুই বিক্রেতাকে বিশ হাজার অর্থদণ্ড দেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাজারে বিক্রির সময় তাদের নিকট নিকট উদ্ধারকৃত মরা মুরগির মাংস জব্দ করা হয়েছে। জব্দকরা মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ব্রয়লার মুরগির মাংস কেটে পাত্রে সাজিয়ে বিক্রি করছিলেন দুজন বিক্রেতা। এ সময় মাংস থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে ক্রেতাদের মনে সন্দেহ জাগে। এক পর্যায়ে হাটের লোকজন বিক্রেতা দুজনকে আটক করেন। এরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাজারে মরা মুরগির মাংস বিক্রি আসছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    হাটে আসা কয়েক ব্যক্তি বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় একশ্রেণির বিক্রেতা এসব মুরগির মাংস কেটে পাত্রে সাজিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছেন। কিন্তু মুরগিগুলো কখন কাটা হয়েছে বা আদৌ জীবিত মুরগি কাটা হয়েছে কি না, তা কেউ জানেন না।

    এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মাংস বিক্রেতার স্বীকারোক্তি পাওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী বলেন, ‘মরা মুরগি বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযুক্ত পোল্ট্রির বিরুদ্ধেও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং যিনি বা যারা মুরগিগুলো কিনে নিতেন তাদেরকেও বের করা হবে।’

  • রামগড় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সুবোধ ত্রিপুরার ৯ম মৃ-ত্যুবার্ষিকী পালিত

    রামগড় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সুবোধ ত্রিপুরার ৯ম মৃ-ত্যুবার্ষিকী পালিত

    রামগড় প্রতিনিধি

    রামগড় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম প্রবীন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(২০ সেপ্টেম্বর) রামগড় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রয়াত সাংবাদিক সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরা রামগড় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। শনিবার প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত স¥রণসভায় সভাপতিত্ব করেন রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ইত্তেফাকের খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি মো: নিজাম উদ্দিন লাভলু। এতে বক্তব্য রাখেন মহান মুক্তিযুদ্ধে এক নম্বর সেক্টরের সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরার সহযোদ্ধা রামগড় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সদস্য সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল কালাম, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনটিভি’র জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের মুহাম্মদ, রামগড় রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি মো: বাহার উদ্দিন, রামগড় প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি শুভাশীষ দাশ, সাধারণ সম্পাদক মো: নিজাম উদ্দিন, প্রয়াত সাংবাদিকের পুত্র বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা প্রমুখ। বক্তারা চারণ সাংবাদিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরার পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্মৃতি চারণ করেন। সভার শুরুতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে প্রয়াত সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাধ্যকজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

  • কুমিল্লাতে ভূমি অফিসের নথিপত্র জা-লিয়াতি, বি-চারহীনতায় বে-পরোয়া চ-ক্র

    কুমিল্লাতে ভূমি অফিসের নথিপত্র জা-লিয়াতি, বি-চারহীনতায় বে-পরোয়া চ-ক্র

    তরিকুল ইসলাম তরুণ,

    কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিসের খতিয়ান বহির সূচিপত্র জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে।

    জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
    শুধু তাই নয়, বিচারহীনতার সুযোগে চক্রটি এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং বিরোধীয় ভুমিটি গ্রাস করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
    এ ঘটনায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা
    কোম্পানি গঞ্জ বাস স্টেশনের ১ কিঃমিঃ পশ্চিমে কুলুবাড়ি মৌজার ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগের (বর্তমানে বিএস ১০২০) ৯০ শতক জমির মধ্যে ৪৮ শতক জমি ফারুক
    আহমেদ খোকনসহ ৩ জনের কাছে বিক্রি করেন,
    মোবারক আলী সরকারের বড় মেয়ে মিসেস সেজেদা খানম
    একইসাথে, ৪৬৭ ও ৪৭০ দাগের (বর্তমানে ১০২০) বাকি ৪২ শতক ভুমি মোবারক আলী সরকারের স্ত্রী মনজুমা খানমের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়।
    যার খতিয়ান নম্বর ৪৪৪, ডিপি ৩৪৭।
    অভিযোগ উঠেছে, ৪৮ শতক জমি বাদদিয়ে বর্তমানে ৪২ শতক জমির ওপর কুনজর দেয় ফারুক আহমেদ খোকন গংরা।
    তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা ভুমি অফিসের মাধ্যমে বি-এস খতিয়ান বহির সূচিপত্র পরিবর্তন করে। জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ৪২ শতক জমির ৪৪৪ নম্বর খতিয়ানের (ডিপি ৩৪৭) ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগ পরিবর্তন করে ৪৬৭ ও ৪৭০ দাগে ৪৫৬/২০২২-২০২৩ নম্বর জমা খারিজ করে নেয়।
    বিষয়টি জানাজানি হলে মোবারক আলী সরকারের মেয়ে পাপিয়া সরকার ভুয়া মাঠপর্চা সৃজন করে ৪৫৬/২০২২-২০২৩ জমা খারিজ বাতিলের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন।
    আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও, কানুনগো এবং সার্ভেয়ারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
    দীর্ঘ তদন্ত শেষে জমা খারিজটি ভুয়া মাঠপর্চার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।

    এ নিয়ে একাধিক শুনানি শেষে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাকিব হাসান খান গত ২৪
    জুলাই, ৯৫ নং কুলুবাড়ি মৌজার দাগসূচিতে বি-এস ৫০১ নম্বর খতিয়ানের ১০২০ হাল দাগের বিপরীতে সাবেক ৪৬৬ ও ৪৭০ বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সাথে কাগজপত্র জালিয়াতি করে নেওয়া ৪৫৬/২০২২-২০২৩ নম্বর জমা খারিজটি বাতিল করেন।
    এ সময় অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ খোকন তার জালিয়াতির স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকাও নেন।প্রশাসনিক তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে ওই চক্রটি জাল মাঠপর্চা ব্যবহার করে করা ৪৫৬/২০২২-২০২৩ জমা খারিজ বহাল রাখার জন্য কুমিল্লার আদালতে মামলা করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করছে।
    স্থানীয়দের অভিযোগ, বিরোধীয় ভুমিটি গ্রাস করতে চক্রটি নানাভাবে ফন্দি-ফিকির চালাচ্ছে।
    প্রশাসনিক তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
    এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক আহম্মেদ জানান বিষয় টি আমাদের পারিবারিক, আমি আমার দলিল অনুযায়ী আছি,।
    তার স্বজন দের সাথে কথা বললে ভুমি নিয়ে তার কোন সৎ উত্তর দেয়নি।
    মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাকিব হাসান খান বলেন, কাগজপত্র জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর সে স্বীকার করে ফারুক আহমে খোকন মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় তাকে ক্ষমা করা হয়ে ছিল।

  • ক্ষেতলালে নি-খোঁজের পর শিশু শিক্ষার্থীর ব-স্তাবন্দি লা-শ উ-দ্ধার, দুই নারী আ-টক

    ক্ষেতলালে নি-খোঁজের পর শিশু শিক্ষার্থীর ব-স্তাবন্দি লা-শ উ-দ্ধার, দুই নারী আ-টক

    স্টাফ রিপোর্টার:- নিরেন দাস

    জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর তাসনিয়া (১০) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় প্রতিবেশী একরামুল হকের স্ত্রীসহ দু’নারীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার বরতারা ইউনিয়নের শালবন গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামী করে ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তাসনিয়ার বাবা এরশাদ৷

    মুহূর্তে গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত একরামুলের বাড়িটি ঘিরে রাখে। পরে লাশ ও আটক ব্যক্তিদের উদ্ধারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উত্তেজিত জনতাকে দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিয়ে তারা লাশ ও আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন৷

    নিহত তাসনিয়া ওই গ্রামের এরশাদ হোসেনের মেয়ে ও স্থানীয় বটতলী বাজারের সানরাইজ মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে।

    আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বরতারা ইউনিয়নের শালবন গ্রামের পশ্চিমপাড়ার একরামুল হকের স্ত্রী হাবিবা আক্তার কুমকুম( ৩০) (২৫) ও একই এলাকার রাজ্জাকের স্ত্রী আজুয়ারা (৬০) খোকন (২৫) নািম (২৪)

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধা ৬টা ২০ মিনিটে বসতবাড়ীর সামনে খেলাধুলা করাকালীন সময়ে বাড়ীতে না আসিয়া নিখোঁজ হয় শিশু শিক্ষার্থী তাসনিয়া। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। তিনদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুল ইসলামের বাড়ী থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা খোঁজতে থাকেন। পরে ওই বাড়ীর গোয়ালঘরে তল্লাশির সময় একটি বস্তার ভেতর শিশুটির মরদেহ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার সময় কৌশলে পালিয়ে যায় একরামুল হক। তবে স্থানীয়রা একরামুল হকের স্ত্রী হাবিবাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সেখান থেকে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে একরামুলের স্ত্রীর তথ্যমতে অপর এক প্রতিবেশী এক নারীকেও আটক করে পুলিশ।

    এদিকে, মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আজ ভোরে বিক্ষুব্ধ জনতা খুনি একরামুলের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন৷

    এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এঘটনায় দু’জন নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

  • দেশ বিরো-ধী চ-ক্র এখনও সক্রিয় এবং নানা কু-টচালে নিয়োজিত রয়েছে- সেলিম রেজা হাবিব

    দেশ বিরো-ধী চ-ক্র এখনও সক্রিয় এবং নানা কু-টচালে নিয়োজিত রয়েছে- সেলিম রেজা হাবিব

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর: বিএনপির তৃণমুল পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো গতিশীল করার লক্ষ্যে সুজানগর পৌর এবং ভায়না ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সুজানগর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুল মোনায়েমের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা হারুন মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, পাবনা দুই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবাহান।অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আহমেদ আলী প্রামাণিক লাটু, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ নাদের হোসেন, ভায়না ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল করিম ও কামরুজ্জামান সান্টু সহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা হাবিব বলেন, গণতন্ত্র আর স্বাধীনতা রক্ষার কঠিন শপথে বলিয়ান হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের একাতবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। দেশ বিরোধী চক্র এখনও সক্রিয় এবং নানা কুটচালে নিয়োজিত রয়েছে।বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে শৃঙ্খলা ও ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন আরো বলেন,বিএনপি এদেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে মামলা হামলা, গুম-খুন উপেক্ষা করে বিএনপি মানুষের ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার যে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে তার সফল পরিসমাপ্তি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান। সুতরাং বিএনপিকে আর কোনো আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।