Author: desk

  • বানারীপাড়ায় জুলাই শ-হীদদের কবর সংরক্ষণ ও বাঁধাইয়ের কাজ সম্পন্ন প্র-সংশায় ভাসছেন ইউএনও;

    বানারীপাড়ায় জুলাই শ-হীদদের কবর সংরক্ষণ ও বাঁধাইয়ের কাজ সম্পন্ন প্র-সংশায় ভাসছেন ইউএনও;

    সাব্বির হোসেন//
    বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো সরকারি নির্দেশনায় গণআন্দোলনের শহীদদের কবর সংরক্ষণ ও বাঁধাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ বায়েজিদুর রহমানে নেতৃত্বে এই কাজ সম্পন্ন হয়।

    ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-আন্দোলনে চারজন ছাত্র-জনতা শহীদ হন। তারা হলো বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী শহীদ তাহিদুল ইসলাম, দুজন গার্মেন্টস কর্মী রাকিব বেপারী,আল-আমীন রনি, ওয়ার্কশপ কর্মী হাফেজ জসীম উদ্দিন। তাদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ ও আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার এই কবর সংরক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।
    ইতিমধ্যে শহীদদের কবর বাঁধাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিচর্যার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি কবর স্থানে সংরক্ষিত তথ্য ফলকও স্থাপন করা হচ্ছে, যাতে দর্শনার্থীরা শহীদদের নাম, অবদান ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট জানতে পারেন।

    ইউএনও বায়েজিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও অধিকার রক্ষার সংগ্রামে জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানানো প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।তবে বাংলাদেশ সরকার জুলাই শহীদদের মর্যাদা রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে বেশকিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে তার মধ্যে কবর সংরক্ষণ অন্যতম।
    উল্লেখ্য,বরিশাল জেলার মধ্যে বানারীপাড়া উপজেলায় জুলাই ২০২৪ এ ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনের প্রকোপ সরকার ও প্রশাসনের টনক নাড়িয়েছ।

  • তুলসীঘাট ডিগ্রি কলেজের যতসব অ-নিয়ম দুর্নী-তির খ-ন্ড চিত্র

    তুলসীঘাট ডিগ্রি কলেজের যতসব অ-নিয়ম দুর্নী-তির খ-ন্ড চিত্র

    আমিরুল ইসলাম কবির,
    স্টাফ রিপোর্টারঃ

    তুলসীঘাট শামছুল হক হক ডিগ্রী কলেজের বিভিন্ন খাতের অর্থ ব্যক্তিগত একাউন্টে লেনদেনসহ
    অবৈধ নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় শোকজ।

    গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলসীঘাট শামছুল হক ডিগ্রী কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্ণীতিসহ অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হওয়ায় শোকজ। এসব বিষয়ে নিয়ে তদন্তে নামে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা শাখা (মাউশি)। বিগত ০৭/১১/২১ তারিখে সরেজমিন তদন্ত করে ২৬/০১/২২ তারিখে প্রতিবেদন পেশ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা শাখা। তদন্তে কলেজের বিভিন্ন খাত হতে আয়কৃত অর্থ তৎকালীন অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে লেনদেন, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দুইজন সহকারি অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম মন্ডল ও নূর নেহার ইয়াসমিন সরকার এবং কম্পিউটার প্রদর্শক মো. তৌফিকুল ইসলাম মন্ডলের নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত হয়।
    কলেজের আয়কৃত অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন হইতে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। বিগত ২৬/০১/২০২২ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাউশির দীর্ঘ সূত্রিতায় অবৈধ নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। গত ০৩/০৮/২০২৫ তারিখে মাউশি কর্তৃক কলেজের অধ্যক্ষের বরাবর শোকজ নোটিশ প্রেরণ করেন। কেন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০২১ এর ১৮(খ) ও ১৮(গ) মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে জবাব চেয়েছেন মাউশি। উক্ত ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অবৈধ নিয়োকৃত শিক্ষকদের এমপিও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
    ইতোপূর্বে তুলসীঘাট শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের কারিগরি শাখার বাংলা বিভাগের প্রভাষক এসএম শামীম সুলতান সুমনের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় বিগত ২৮/০১/২০২১ তারিখের এক প্রজ্ঞাপনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর উক্ত শিক্ষকের এমপিও আবেদন বাতিল করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ ও বর্তমান সভাপতির অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ায় উক্ত অবৈধ নিয়োগকৃত শিক্ষক এসএম শামীম সুলতান সুমনকে কলেজ থেকে মাসিক ভাতা দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সহিত জড়িত রাখছেন। অনতিবিলম্বে উক্ত অবৈধ নিয়োগকৃত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০২১ এর ১৮(খ) ও ১৮(গ) ধারা মোতাবেক এমপিও বাতিল করিয়া সরকারি অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরতসহ কাম্য যোগ্যতাহীন শিক্ষক এসএম শামীম সুলতান সুমনকে কলেজ হতে অব্যহতি প্রদান করিয়া কলেজটিকে ধ্বংসের হাত হইতে রক্ষা করা আশু প্রয়োজন।
    অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মন্ডল (সহকারি অধ্যাপক কম্পিউটার) তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এ রকম সাংবাদিক বহুবার এসেছে কিছুই করতে পারে নাই।
    তৌফিকুল ইসলাম (লাইব্রেরিয়ান) বলেন,আপনাদের তথ্য কে দিলো, তাকে খুন করে ফেলবো বলে হুমকি প্রদর্শন করেন।
    এসএম শামীম সুলতান সুমন কারিগরি শাখার প্রভাষক (বাংলা) বলেন,আমার তো,এমপিও হয়নি। আমার বিষয় নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে।
    এসব বিষয়ে অত্র কলেজের বর্তমান অধ্যাপক শফি আহম্মেদ সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি মাত্র ১ মাস হলো যোগদান করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষকরা কেউই আমাকে ফাইল দিচ্ছে না। ওই শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানাবো।।

  • ক্যামেরা ধরার কারণে সাংবাদিককে স-ন্ত্রাসী বললেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট

    ক্যামেরা ধরার কারণে সাংবাদিককে স-ন্ত্রাসী বললেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুর রহমান সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী বলে গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর আজকের এই ঘাটে কার্যক্রম থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
    জানা যায়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীর আওলিয়া ঘাটে মহালয়া উপলক্ষে শতাধিক যাত্রী বহনকারী নৌকা ডুবে যায়। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় ৭১ জনের মৃত্যু হয়। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নৌকাডুবির তিন বছর পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে ৬–৭ জন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যান।
    এ সময় করতোয়া নদীর ঘাটে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুর রহমান সাংবাদিকদের নদী পার হতে বাঁধা দেন। সেই সময়ে নদীতে তিন থেকে চারটি নৌকা চলাচল করছিল এবং নৌকায় মোটরসাইকেলও পারাপার হচ্ছিল। কিন্তু সাংবাদিকরা নৌকায় উঠতে চাইলে তিনি বাধা দিয়ে বলেন মোটরসাইকেল নেওয়া যাবে না। সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন—“যখন অন্যরা মোটরসাইকেল পার হচ্ছে, আমরা কেন নিউজের কাজে যেতে পারব না?” এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনি আল জাজিরার সাংবাদিক হন আর যেই সাংবাদিক হন, তাতে আমার যায় আসে না। যেতে পারবেন না।” তাঁর এমন আচরণের সাংবাদিকরা ক্যামরায় রেকর্ড করলেই কিছুক্ষণ পরেই তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে আরও অশালীনভাবে বলেন, “আপনারা সন্ত্রাসী।” শতাধিক লোকের সামনে সাংবাদিকদের এভাবে অপমানিত করার ঘটনায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

    এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি নূর হাসান বলেন, “আমরা মহালয়ার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দায়িত্বটা তো ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে বাধা প্রদান করেন। ঘাটে একবারে ফাঁকা ছিল এবং অন্যান্য ব্যক্তিদেরও যেতে দেখা যায় মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকা পারাপার হতে। ইউএনও নিজেও নৌকায় করে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘাট পারাপার হচ্ছিলেন। তাহলে সাংবাদিকদের যেতে বাধা কেন?”
    বাংলাভিশন টেলিভিশনের সাংবাদিক মোশারফ হোসেন বলেন, “ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের সাংবাদিক পরিচয় শুনে রেগে গিয়ে বলেন, ‘আল জাজিরা সাংবাদিক হন যে সাংবাদিক হন, যেতে পারবেন না।’ অন্যরা যেতে পারলে আমরা কেন যেতে পারবো না, এ কথা বলে তিনি আমাদের বলেন, ‘আপনারা তো সন্ত্রাসী।’ একাধিক সাংবাদিককে এভাবে সন্ত্রাসী বলে গালিগালাজ করতে পারেন না।”
    এদিকে, ঘটনার সময় বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সাংবাদিকরা তাকে বিষয়টি জানালেও তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। বরং সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, “কি পারেন করেন।”
    ঘটনা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী সাংবাদিকদের জানান, ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে আজকের এই ঘাটে কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

  • রংপুরে সাংবাদিক তু-লে নিয়ে মা-রধর রসিকের প্রধান নির্বাহী প্র-ত্যাহার ও দো-ষীদের গ্রে-প্তারে ২৪ ঘণ্টার আ-ল্টিমেটাম

    রংপুরে সাংবাদিক তু-লে নিয়ে মা-রধর রসিকের প্রধান নির্বাহী প্র-ত্যাহার ও দো-ষীদের গ্রে-প্তারে ২৪ ঘণ্টার আ-ল্টিমেটাম

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সিনিয়র সাংবাদিককে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে রংপুরে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও পেশাজীবী সাংবাদিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশের উপস্থিতে গেট বন্ধ করে রসিকের কর্মচারী আরেক দফা হামলা চালায় এবং সাংবাদিকদের হেনস্থা করে সিটি করপোরেশন থেকে বের করে দেয়। এ সময় আরও দুইজন আহত হন।

    আজ রোববার বেলা ১টা দিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে এ ঘটনা। দুপুর ১২টার দিকে একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের সিনিয়র রিপোর্টার লিয়াকত আলী বাদলকে কাচারী বাজার থেকে তুলে নিয়ে যায় রকি ও তাঁর লোকজন। ঘটনা জানাজানি হলে সিটি করপোরেশন ছুটে যান রংপুরের কর্মরত সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা।
    বক্তারা জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা। তারা অবিলম্বে প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতেমার প্রত্যাহার ও হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

    আগামী সোমবার সকাল ১১টায় মানববন্ধনসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সাংবাদিক নেতারা জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনের অবস্থান কর্মসূচির পালন করছেন।

    রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি । সিসি টিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের আইনে আওতায় আনা হবে । ইতিমধ্যে এক জনের নাম জানতে পেরেছি।

  • উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের আ-স্থা ফিরি-য়ে আনতে সময়মতো কাজ শেষ করা জরুরি-ডিসি মুফিদুল আলম

    উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের আ-স্থা ফিরি-য়ে আনতে সময়মতো কাজ শেষ করা জরুরি-ডিসি মুফিদুল আলম

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চ্যালেঞ্জগুলোর জেলা প্রশাসন ও সকল দপ্তরের সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত সম্পাদন করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) মুফিদুল আলম। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। দীর্ঘসূত্রিতা যেন না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সজাগ থাকতে হবে। উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সময়মতো কাজ শেষ করা জরুরি।

    রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ভবিষ্য পরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের প্রতি এমন নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

    তিনি আরো বলেন, সবশেষে আমরা আলোচনা করেছি যে কিভাবে আমরা দূর্গাপুজাটাকে একেবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি এবং নিরিবিচ্ছিন্নভাবে এবং শান্তিপূর্ণবাবে আমরা উজ্জাপন করতে পারি, সে বিষয়ে আমাদের কর্মচারীদের যার যার অবস্থান থেকে সহযোগীতা চেয়েছি। তাদেরকে সর্বোচ্ছ সতর্কতার সাথে পুজাটাকে নির্বিগ্নে পালনের জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

    সভায় সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত থেকে তাঁদের নিজ নিজ বিভাগের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

    ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি জানান, সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় নিয়ম বহির্ভূত হাইরাইজ বিল্ডিংগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রতিনিধি বলেন, সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করে সেখানে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের অধীন বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি জানান, ধোবাউড়া উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ গোয়াতলা স্টিল ব্রিজের সংস্কার কাজ উপজেলা রাজস্ব তহবিল থেকে চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং গাজীপুর থেকে স্টিলের ডেক স্লাব সংগ্রহ করে মেরামতের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

    সভায় জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম আরও বলেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে সকল দপ্তরের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় অপরিহার্য। জনগণের দোরগোড়ায় উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল ও আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

    সভায় সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,
    পুলিশ সুপারসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় জেলার চলমান প্রকল্প, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় ডিসি মুফিদুল আলম সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

  • ধ-র্ষণে অ-ন্তঃসত্ত্বা মাদরাসাছাত্রী, অ-ভিযুক্ত গ্রে-প্তার

    ধ-র্ষণে অ-ন্তঃসত্ত্বা মাদরাসাছাত্রী, অ-ভিযুক্ত গ্রে-প্তার

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
    তেঁতুলিয়ায় ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসাছাত্রী, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

    রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

    এর আগে গতকাল শনিবার রাতে ওই ভুক্তভোগী মাদরাসার ছাত্রীর নানি বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা করার পর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছোট থেকেই নানির বাড়িতে বসবাস করে। গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ওই মাদরাসার ছাত্রী তার নানির বাড়ির পাশে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ফ্রিজ থেকে মাংস আনতে গেলে জামাল উদ্দিন বাড়িতে লোকজন না থাকায় তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে ভুক্তভোগী অস্বীকৃতি জানালে জামাল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এর পর ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই মাদরাসাছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে।

    মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি জামাল উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তিনি তার স্ত্রী ও ভাইসহ আসামিদের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। গত ১৪ জুন সকালে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবার।

    এজাহারে জামাল উদ্দিন ছাড়াও আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জামাল উদ্দিনের ভাই ও স্ত্রী রয়েছেন।

    এদিকে মামলার বাদী ও ওই ছাত্রীর নানি জানান, ভুক্তভোগী আমার ননদের নাতনি। ছোটবেলা থেকে আমার ননদের কাছে বড় হয়েছে। কয়েক মাস আগে তার নানি মারা গেলে নাতনির দায়িত্ব আমি ও আমার পরিবার নিই। অভিযুক্ত জামাল প্রথম দিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে তালবাহানা করে। তাই বিচার না পেয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

  • বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের আ-মদানি র-প্তানিতে তথ্য দিতে গড়ি মসি 

    বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের আ-মদানি র-প্তানিতে তথ্য দিতে গড়ি মসি 

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরটিতে দীর্ঘ দীর্ঘ চার মাস পর ভারতীয় পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। পাশাপশি কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে ভারতীয় ভূমি ব্যবহার করতে না দেওয়ায় ভূট্রান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ ছিল প্রায় ছয় মাস।

    নেপালের সাথে রপ্তানির ক্ষেত্র অনেকটা ঠিকঠাক থাকলে ও ভারত এবং  নেপালের সাথে বাণিজ্য ঘাটতির প্রভাব পড়ে বন্ধটির অভ্যন্তরে। কয়েকজন শ্রমিক জানান, বন্দরটিতে তারা আগে প্রতিদিন আয় করতো  এক হাজার টাকার উপড়ে। তবে এখন তারা আয় করছেন তিনশত থেকে পাচঁশত টাকার মতো এই টাকা দিয়ে সংসার চলেনা ।এছাড়া ছেলে মেয় লোখাপড়া করে তাদের টাকা দিতে পারিনা। একজন শ্রমিক আপেক্ষ করে জানান, বলা যাবেনা এসব প্রচার হয়না। তাকে অনেক অনুরোধ করেও এ প্রতিনিধি ক্যামেরার সামনে তার বক্তব্য নিতে পারেনি।একজন  আমদানি ও রপ্তানিকারক জানান এখন আমদানি রপ্তানি শুরু হয়েছে আশা করি সমস্যা কেটে যাবে।

    দেশের সর্ব উত্তরের চুতর্থদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবন্ধায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চলছে নানা টালবাহানা। নানা অজুহাতে মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে বন্দরটির সার্বিক কার্যক্রমের বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন।

    গত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জিত রাজস্ব আদায়ের তথ্য পাওয়া গেলে  ও চলতি অর্থ বছর ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের পূর্নাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি।কাস্টমস কর্মকর্তারা মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিকট নানা রকম তথ্য গোপন করায় দেশের বৃহৎ বাংলাবান্ধাস্থল বন্দর নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ফলে জনসাধারনের কাছে বন্দরটির বিষয়ে নানা উদ্বেগ তৈরি করেছে।

    বাংলাবান্ধাস্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার [এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অপরাগতা জানান। তবে এসময় তিনি বলেন দাঁড়ান আমি আমার কর্মকর্তাকে ডেকে দিচ্ছি তিনি আপনাকে  দিবেন। এরপর ডেকে আনা রাজস্ব কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম তার রুমে নিয়ে গিয়ে বলেন এসি স্যার বক্তব্য দিলোনা ‘ আমি তা কিভাবে দেই। 

    এরপর অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা চাইলে তিনি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে ডেকে এনে তাকে শুধু মাত্র মৌখিক ভাবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার নির্দেশনা দেন।এরপর তার কাছে  গত অর্থ বছর ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের পূর্নাঙ্গ তথ্য পাওয়া গেলেও চলতি অর্থ বছরের পূর্নাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা যায় গত অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সে বছরে আদায় হয়েছে ১৬৬ কোটি টাকা। 

    সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জানান চলতি অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা পাওয়া যায়নি। তবে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত দাঁিড়য়েছে ৫৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।এদিকে বন্দরটিতে অবকাঠামো উন্নয়নে তেমন কোন কার্যকরি উদ্যোগ নেই। একশ্রেণির ব্যবসায়ি আর কর্মকতাদের নানা কারসাজির কারণে পিছিয়ে আছে বন্দরটি।

    সূত্র জানায়, ভারত শুধুমাত্র পাথর দিচেছ বাংলাদেশকে। তবে মাঝে মাঝে আদা সহ দুই/একটি পণ্য আসতো বাংলাদেশে তাও ঠিকমত আসেনা বললেই চলে। তবে নেপালে রপ্তানি ঠিকঠাক রয়েছে । নেপালে রপ্তানি হচ্ছে প্রাণের জুস, আলু, বিস্কিট , কাপড়ের ঝুঠ [কটন) সয়াবিন মিল [ভ’ষি) সহ বেশ কয়েকটি আইটেম। আগে নেপাল থেকে মসুর ডাল আমদানি হতো। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান গত ছয় মাসে একটি মাত্র মসুর ডালের চালন এসেছে। গত মে ২০২৫ সালের ৪ তারিখে ভারত পাথর রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এছাড়া ভারত তাদের ভূমি ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ায় নেপাল বাংলাদেশে প্রায় ছয় মাস পাথর পাথর দিতে পারেনি।

    বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার এন্ড ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন বাংলাবান্ধাস্থলবন্দরে আমাদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলছে। কিছুদিন আগে ভারতীয় পাথর  আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে আবার ভারতীয় পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। এখন ভারত ও ভূটান থেকে স্বাভাবিক ভাবে  আমদানি হচ্ছে।  সাধারনত রপ্তানির মধ্যে ভারত নেপালে  পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। কিছুদিন পূর্বে নেপালের উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে কয়েকদিন নেপালে কয়েকদিন নেপালে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। থেকে তা আবার শুরু হয়েছে। এখন আমদানি এবং রপ্তানি উভয় কার্যক্রম বেশ ভালো ভাবেই চলছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের তুলনায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে আমদানি কিছুটা কমলেও আশার কথা হচ্ছে এবছর রপ্তানি বেশ কিছুটা বেড়েছে। যদি আমদানী রপ্তানি এভাবেই চলতে থাকে তবে আশা করছি বন্দরের কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক হবে ও প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এবং শ্রমিকরা উপকৃত হবে। সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

    এদিকে বন্দরের ইমিগ্রেশন সুবিধা মুখ থুবরে পড়েছে। আগে যেখানে প্রতিদিন ভারতে পাঁচশোর উপড়ে মানুষ যাতায়াত করতো। এখন তা নেই ‘ইমিগ্রেশন ওসি কেফায়েতুল ওয়ারেজ বলেন এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলা নিষেধ করা হয়েছে। তবে তিনি বলেন শুধুমাত্র চিকিৎসা ও স্টুডেন্ট ভিসাধারীরা ভারতে যেতে পারছে। তবে ৫০ /৬০ জনের উপড়ে যায়না।

  • মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদীতে নৌকা বাইচ প্রতি-যোগীতা অ-নুষ্ঠিত

    মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদীতে নৌকা বাইচ প্রতি-যোগীতা অ-নুষ্ঠিত

    আরিফুর রহমান, মাদারীপুর:-
    মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল আড়িয়াল খাঁ নদীর চরবাজিতপুরে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়েছে। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে হাজার হাজার দর্শক ভীড় করেন নদী পাড়ে। তাদের মুর্হুমূহ করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে নদী পাড় এলাকা।

    শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটা থেকে আড়িয়াল খাঁ নদীর হবিগঞ্জ ব্রীজ থেকে চরবাজিতপুর শাহজালালের হাট পর্যন্ত বিকাল সারে ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে কুইজের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা।

    বাইচে অশং নেয়া প্রতিটি নৌকার আকর্ষণীয় নাম, রঙ আর মাঝি-মাল্লার দৃষ্টি নন্দন পোশাক ছিল আলাদা। চেনা সুরের গানের তালে মাঝি-মাল্লার চলে বৈঠার স্পন্দন।

    মিনি সুইজারল্যান্ড রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্ক এর সৌজন্যে ও মো. জাহিদ খানের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় মাদারীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকা অংশ নেয়। বাইচে উপস্থিত থেকে ধুরাইল ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহসিন খান তার বক্তব্যে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান। তবে পৃষ্টপোষকতা পেলে আরও বড় পরিসরে এই নৌকা বাইচের আয়োজন আগামীতে করতে চান।

    সর্বমোট ৮টি বাচারী নৌকা অংশগ্রহনকারী নৌকার মধ্যে ৪টি নৌকাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ,ঘোড়া, স্বপন বয়রা, (৬নং নৌকা) ২য় পুরস্কার পেয়েছেন ৪৩” টিভি বাদশা মাতুব্বর (১নং নৌকা)
    তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ২জন, ১টি করে ১০সিএফটি ফ্রীজ, রব মাতুব্বর (৪নং নৌকা)/ রিয়াদুল খান (৭নং নৌকা) পরবর্তী ৪জনকে সান্তনা পুরস্কার হিসেবে ৩জনকে ৩২” একটি করে টিভি এবং একজনকে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।
    মাদারীপুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্হানীয় গন্যমান্যদের সহযোগিতায় নৌকাবাইচ পরিচালনা করেন,ধুরাইল ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মো.বাদশা মাতুব্বর।
    সার্বিক সহযোগিতা করেন, ধুরাইল ইউনিয়নের সমাজ সেবক ওবায়দুর রহমান মাতুব্বর প্রমুখ।

  • কালকিনিতে বিএনপির পরিবারকে মি-থ্যা মা-মলা দিয়ে হয়-রানির অ‌-ভি‌যো‌গে প্র-তিবাদ ও মা-নববন্ধন

    কালকিনিতে বিএনপির পরিবারকে মি-থ্যা মা-মলা দিয়ে হয়-রানির অ‌-ভি‌যো‌গে প্র-তিবাদ ও মা-নববন্ধন

    মোঃমিজানুর রহমান, কালকিনি -ডাসার(মাদারীপুর) প্রতিনিধি /

    মাদারীপুরের কালকিনিতে বিএনপির পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধ করেন ভুক্তভোগী প‌রিবার ও এলাকাবাসী। রবিবার (২১ সেপ্টম্বর) সকালে উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপি এবং ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে কয়ারিয়া ময়দান বাজারে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে বিএনপি নেতাকর্মীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আবার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আমরা এই মিথ্যা মামলা ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সাথে সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী আহত মোঃ কামাল সরদার-যুবদল নেতা, মোঃ সুজন শিকদার-ছাত্রদল নেতা, মোঃ সবুজ সরদার-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কয়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপি এবং উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও অন‌্যান‌্যরা।

  • মোরেলগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হা-মলায় বড় ভাই গুরু-তর আ-হত, হাসপাতালে ভ-র্তি

    মোরেলগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হা-মলায় বড় ভাই গুরু-তর আ-হত, হাসপাতালে ভ-র্তি

    বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি:দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর সরলিয়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধ ও তিন লাখ টাকা চাঁদার দাবিকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বড় ভাই। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    জানা গেছে, মৃত আলহাজ্ব হাবিবুর রহমানের ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম নান্না, বড় ভাই জাহাংগীর হোসেনের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ দাবিকে কেন্দ্র করে নান্না ও তার সাথে থাকা ৩-৪ জন সহযোগী মিলে জাহাংগীর হোসেন, তার স্ত্রী ও কন্যার ওপর হামলা চালায়। এতে তারা তিনজনই গুরুতর আহত হন।

    ভুক্তভোগী জাহাংগীর হোসেন অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তার স্ত্রী ও কন্যার তাদের স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।

    এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#