Author: desk

  • ভালুকায় মহাসড়কের পাশে অ-বৈধ স্থাপনা ও দোকান উচ্ছে-দ অ-ভিযান

    ভালুকায় মহাসড়কের পাশে অ-বৈধ স্থাপনা ও দোকান উচ্ছে-দ অ-ভিযান

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    যানজট, দুর্ঘটনা ও জনভোগান্তি কমিয়ে নিরাপদ সড়ক উপহার দেওয়ার লক্ষে ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা ও ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।

    সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভরাডোবা এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

    উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন দোকানপাট ও স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ দোকান সড়কের পাশ দখল করে রাখায় যানজট এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছিল বলে জানা গেছে।

    ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন,ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে এই রুটে। সড়কের পাশে অবৈধ দোকান থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে যানজট, দুর্ঘটনা ও জনভোগান্তি তৈরি হচ্ছিল। এসব সমস্যা সমাধান করতেই আমরা এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। এই কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলবে।

    অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের ময়মনসিংহ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোফাকখারুল ইসলাম, স্থানীয় থানা পুলিশের সদস্যসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

  • বরগুনার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের নে-তৃত্বে মতবি-নিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বরগুনার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের নে-তৃত্বে মতবি-নিময় সভা অনুষ্ঠিত

    মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধি।।
    বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তন সভা কক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর- আস্থা প্রকল্পের সহযোগিতায়, নাগরিক প্লাটফর্মের আয়োজনে, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।২২শে সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের আহবায়ক চিত্তরঞ্জন শীল সভাপতিত্বে । সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমন্বয়কারী মো: খলিলুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: মনিরুজ্জামান সোহাগ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রেসক্লাব সভাপতি এ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মো: সালেহ। সভাটি সঞ্চালনা করেন নাগরিক প্লাটফর্মের সিনিয়র সদস্য মনির হোসেন কামাল। সভায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক প্লাটফর্ম সদস্য ও যুব ফোরামের সদস্যবৃন্দ। সভায় বক্তারা আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নাগরিক প্লাটফর্ম সদস্য ও যুব ফোরামের সদস্যবৃন্দ একত্রে কাজ করার জন্য আহবান ব্যক্ত করেন। এছাড়া সভায় প্রশ্ন- উত্তর পর্বের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদান করার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

    মংচিন থান
    বরগুনা প্রতিনিধি

  • মুরাদনগরে লা-ইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এ-জেন্সিকে ১০ হাজার টাকা জ-রিমানা

    মুরাদনগরে লা-ইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এ-জেন্সিকে ১০ হাজার টাকা জ-রিমানা

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন,

    কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে লাইসেন্স না থাকায় আরিফ এয়ার ট্রাভেলস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে মোবাইল কোর্ট। সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    অভিযানের খবর পেয়ে বাজারের অন্যান্য ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকরা দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করে অন্যত্র চলে যায়।

    বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২১ এবং বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ গ্রহণ ছাড়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধন সনদ নবায়ন ছাড়া ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। কিন্তু পর্যাপ্ত তদারকি না থাকায় নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম অমান্য করে অবৈধভাবে এসব ব্যবসা চালাচ্ছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, অভিযোগ রয়েছে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে একাধিক ট্রাভেল এজেন্সি দীর্ঘদিন ধরে সিভিল অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে। সেই প্রেক্ষিতে আরিফ এয়ার ট্রাভেলসকে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। দ্রুত লাইসেন্স গ্রহণপূর্বক ব্যবসা চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত ট্রাভেল এজেন্সির কার্যক্রম শুধু সরকারি রাজস্বকে ক্ষতি করছে না, ভ্রমণকারীদের জন্যও ঝুঁকি তৈরি করছে। প্রতারণা, ভিসা জালিয়াতি এবং অকার্যকর সেবা এই ব্যবসার মূল সমস্যা। অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি এবং ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

  • মোরেলগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫: শান্তিপূর্ণ উদ-যাপনে প্র-শাসনের ক-ঠোর নি-র্দেশনা

    মোরেলগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫: শান্তিপূর্ণ উদ-যাপনে প্র-শাসনের ক-ঠোর নি-র্দেশনা

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:

    আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ হাবিবুল্লাহ’র সভাপতিত্বে এ সভা হয়।

    সভায় নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতীশ সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মতলবুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল জাবের, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সেতারা আলো, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় পূজা মন্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা, প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবকদের ছবিসহ পরিচয়পত্র ব্যবহার, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও বিকল্প জেনারেটর প্রস্তুত রাখা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল নম্বর টাঙানোসহ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া নামাজ ও আজানের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখা, ধর্মীয় গান ছাড়া অন্য কোনো গান উচ্চস্বরে না বাজানো, লটারি-জুয়া-মাদক নিষিদ্ধকরণ এবং অগ্নি-নিরাপত্তায় ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।

    এ বছর মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ৭৩টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্ডপে সরকারি সহায়তায় ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট ৩৬.৫ টন চাল হিসেবে বিতরণ করা হবে।

    জেলা বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন প্রতিটি মন্দিরে নিরাপত্তা জোরদারে সিসি ক্যামেরা বসানোর ঘোষণা দেন। পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সুভাশচন্দ্র হালদার ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।

    সভায় বক্তারা বলেন, দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে মোরেলগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা হবে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন।

  • সুজানগরে আ-ধুনিক প্র-যুক্তিতে পেঁয়াজ সংর-ক্ষণে কৃষ-কদের প্র-শিক্ষণ

    সুজানগরে আ-ধুনিক প্র-যুক্তিতে পেঁয়াজ সংর-ক্ষণে কৃষ-কদের প্র-শিক্ষণ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা এবং পেঁয়াজের উৎপাদন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়নে পাবনার সুজানগরে কৃষকদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশের পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকায় পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রতিকূল প্রভাব প্রশমনে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভিযোজন প্রকল্প’ এর আওতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ অতিরিক্তি পরিচালক(ডিএই)বগুড়া অঞ্চল।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক নুরে আলম ও রাফিউল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান। প্রকল্প বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন পেঁয়াজ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মাহফুজুর রহমান।এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলার ৬০ জন কৃষক অংশগ্রহন করেন।

    প্রকল্প পরিচালক ড. মাহফুজুর রহমান জানান , বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও, উপযুক্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে একদিকে যেমন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকে না এবং কৃষকরাও তাদের ন্যায্য দাম পান না। তিনি এয়ার ফ্লো মেশিনকে এই সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে উল্লেখ করেন। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব, যা দেশের পেঁয়াজ আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনবে এবং ভবিষ্যতে পেঁয়াজ রপ্তানির সুযোগ তৈরি করবে। ড. মাহফুজুর রহমান আরও জানান যে এই প্রকল্পের অধীনে সুজানগরসহ দেশের ১৬টি জেলার ১০৭টি উপজেলায় ৩,৭০০টি এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কৃষকদের সরাসরি মেশিন না দিয়ে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৭,০০০ টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো কোম্পানির মেশিন কিনতে পারেন। তিনি আশ -প্রকাশ করেন, এই প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের কৃষক ও ভোক্তাদের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি হবে।
    এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া বিশেষ করে এয়ার ফ্লো মেশিন নামক একটি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন দেশীয় ১৩টি কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি এয়ার ফ্লো মেশিনগুলো প্রদর্শন করে এবং এগুলোর কার্যকারিতা তুলে ধরে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন দেশীয় ১৩টি কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি এয়ার ফ্লো মেশিনগুলো প্রদর্শন করে এবং এগুলোর কার্যকারিতা তুলে ধরে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • র‌্যাব-১২ এর অ-ভিযানে ৭৫ গ্রাম হে-রোইনসহ ১ জন নারী মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    র‌্যাব-১২ এর অ-ভিযানে ৭৫ গ্রাম হে-রোইনসহ ১ জন নারী মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

    র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে সলংগা থানা এলাকা হতে ৭৫ গ্রাম হেরোইনসহ ১ জন নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় অদ্য ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ রাত ০০:১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১২’র সদর কোম্পানির একটি চৌকষ আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার সলংগা থানাধীন রামারচর রয়্যাল রূপালী হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট এর সামনে রাজশাহী হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৭৫ গ্রাম হেরোইনসহ ০১ জন নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তার সাথে থাকা হেরোইন ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০১টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২১০/- টাকা জব্দ করা হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামি ০১। মোছাঃ লুনা বেগম(৩৫), পিতা- মোঃ পিয়ারুল ইসলাম, সাং-মুড়ালীপুর, থানা- দামকুড়া, জেলা- রাজশাহী।

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য হেরোইন বাসে বহন করে নিজ হেফাজতে রেখে ঢাকা শহর ও তার আশপাশ এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন- মাদকমুক্ত, বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

  • শিক্ষা বাণি-জ্যের গো-পন চুক্তি ফাঁ-স, ঝিনাইদহে নি-ষিদ্ধ গাইড বইয়ের র-মরমা ব্য-বসা

    শিক্ষা বাণি-জ্যের গো-পন চুক্তি ফাঁ-স, ঝিনাইদহে নি-ষিদ্ধ গাইড বইয়ের র-মরমা ব্য-বসা

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    শিক্ষা আর নৈতিকতা এখন যেন সুদূর অতীতের গল্প! ঝিনাইদহের স্কুল-কলেজগুলোতে চলছে শিক্ষার নামে ভয়ংকর এক বাণিজ্য। নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এক গোপন আঁতাত গড়ে তুলেছেন একদল অসাধু প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ। এর শিকার হচ্ছে নিরীহ শিক্ষার্থীরা, যাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঝিনাইদহের বাজারগুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে লেকচার, ব্যতিক্রম, পাঞ্জেরী, আর অ্যাডভান্সের মতো নামীদামি প্রকাশনীগুলোর গাইড বই। শুধু বইয়ের দোকান নয়, ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে অনলাইন মার্কেটপ্লেস—সবখানেই চলছে এই অবৈধ পণ্যের কেনাবেচা।অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঝিনাইদহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাথা গুনে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা করে চুক্তি করছেন এই গাইড মাফিয়াদের সঙ্গে। ফলে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীদের এই গাইড বইগুলো কিনতে হচ্ছে, যা তাদের সৃজনশীলতা ও মেধার বিকাশকে পুরোপুরি থামিয়ে দিচ্ছে।
    টাকার খেলা ও সিন্ডিকেটের জাল
    এই অবৈধ ব্যবসার মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে কয়েকটি নাম। উদয়ন লাইব্রেরির মালিক রাকিবুল ইসলাম রণি একাই ১২টি নিষিদ্ধ গাইড কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
    অভিযোগ আছে, তিনি ২০২৬ সালের জন্য শতাধিক কোচিং সেন্টারের সঙ্গে ১ থেকে ২ কোটি টাকার গাইড বই বিক্রির চুক্তি করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য জেলার ৬টি উপজেলার ৪২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রকাশনা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ডোনেশন নিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক চুক্তির পরিমাণ রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো:
    * ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজ: লেকচার কোম্পানির প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা।
    * হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
    * কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি একাই লেকচার কোম্পানির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন!
    অভিভাবকদের ক্ষোভ, প্রশাসনের নীরবতা ভুক্তভোগী অভিভাবকরা বলছেন, “বই না কিনলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ক্লাসেই ঢুকতে দেওয়া হয় না!” এক অভিভাবক আক্ষেপ করে জানান, তাঁর ছেলেকে দশম শ্রেণীতে নিষিদ্ধ গাইড ও টেস্ট পেপার কিনতে ৮ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে।এই অবৈধ বাণিজ্যের বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান এটিকে সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
    শিক্ষা ও আইসিটির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.বি.এম. খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেছেন, তথ্য-প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং দ্রুতই এই নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এই শিক্ষাবাণিজ্যের জাল কি সত্যিই ছিন্ন করা সম্ভব? নাকি কিছু প্রধান শিক্ষক ও অসাধু প্রকাশকদের যোগসাজশে আগামী দিনেও এভাবে শিক্ষার্থীদের মেধা ও অর্থ দুটোই নষ্ট হতে থাকবে?

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উচ্চতর সেলাই প্রশি-ক্ষণ পুরো-দমে চলছে – প্র-শিক্ষণ শেষে হবেন স্বাব-লম্বী, উদ্যোক্তা

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উচ্চতর সেলাই প্রশি-ক্ষণ পুরো-দমে চলছে – প্র-শিক্ষণ শেষে হবেন স্বাব-লম্বী, উদ্যোক্তা

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুরোদমে চলছে সেলাই প্রশিক্ষনের কাজ। উপজেলা পরিষদের পুরাতন অডিটারিয়ামে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে উচ্চতর এ সেলাই প্রশিক্ষকের কার্যক্রম চলে প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।
    এ প্রশিক্ষণে প্রথম ব্যাচে অংশ গ্রহন করছেন ৩৫ জন গরীব, দুস্থ্য, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, স্বচ্ছল অবস্থাশালী পরিবারের বেকার নারী, পুরুষ, যুবক, যুবতীরা।
    প্রশিক্ষণ শেষে তাদের চোখে, মুখে স্বপ্ন একটি মিনি গার্মেন্টস এর মালিক হওয়া, উদ্যোক্তা হওয়া, নিজের পরিবারের কাজগুলি করা, আশেপাশের মানুষের কাজ করে কিছু ইনকাম করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা, সুখে শান্তিতে বসবাস করা।

    উচ্চতর সেলাই প্রশিক্ষন আবেদন ফি ভর্তি ফি ২০০ টাকা, কোর্স ফি মাসিক বেতন ২০০০ টাকা। বিভিন্ন এনজিও, সংস্থা, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শেষে একটি সেলাই মেশিন প্রদান করে কিংবা প্রশিক্ষণ শেষে ১০/১২ হাজার টাকা অনুদান দিয়েও লোক পায় না সেখানে এ উচ্চতর প্রশিক্ষণে তিন মাসে ৬ হাজার ২শ টাকা ব্যয় করে প্রশিক্ষণ গ্রহন করছেন। সত্যি এটা উচ্চতর প্রশিক্ষন তাই কয়েকজন প্রশিক্ষাথী নিজে বেকার মানুষকে টাকার বিনিময়ে কাজ শিখায়, সেলাইয়ের কাজ জানেন তারাও এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহন করছেন।
    কেবল মাত্র যারা প্রকৃত অর্থে কাজ শিখতে আগ্রহী ও উদ্যোক্তা হতে ইচ্ছুক তাদেরকেই আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছিল।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ জানান, উচ্চতর দক্ষতা সম্পূর্ণ সেলাই প্রশিক্ষণ চলছে। এখানে প্রথম ব্যাচে ৩৫ জন প্রশিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছেন। কিছুদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু হবে। মাষ্টার ট্রেনার শাহানারা বিশ্বাস শাহিনুর খুবই দক্ষ, খুব সহজে ভালভাবে শিখাচ্ছেন। তিনি এলাকার মেয়ে। আমি মাঝে মধ্যে সেখানে যায় তাদের কাজগুলি দেখি, খুব ভাল লাগে। প্রশিক্ষণ শেষে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের পায়জামা, কামিজ, টি শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, প্রভূতি তৈরী করতে সক্ষম হবেন। তিন মাস প্রশিক্ষণ শেষে সবাইকে একটি সনদপত্র, কিছু টিলস দেয়া হবে যেন তারা বাড়ীতে গিয়ে নিজে প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেন।

    পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। নিজে কিছু করার জন্য আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এজন্য সেলাই প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপর্ণ। সেলাই প্রশিক্ষণ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার মাধ্যমে নারীরা সমাজে নিজেদের একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে। সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীরা নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং নিজেদের জন্য একটি স্থায়ী আয়ের পথ তৈরি করতে পারে। এধরনের নিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। যা দেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখছে। বেকার যুবক ও নারীদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    মাষ্টার ট্রেনার শাহানারা বিশ্বাস শাহিনুর বলেন, যারা কাজ শিখছেন তারা খুব আন্তরিক, মনোযোগসহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহন করছেন। সেলাই প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে অনেকভাবে উপকারী আসতে পারে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিজস্ব দক্ষতা ব্যবহার করে একদিকে যেমন আয় করতে পারেন অন্যদিকে তেমনী দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন। কেন না অন লাইন মার্কেটিং করে বিদেশে তৈরীপুন্য রপ্তানী করতে পারবেন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে সেলাই ও ড্রেস মেকিং এর মতো ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজ রয়েছে যেমন বাড়িতে দর্জির কাজ, দোকানে পোশাক তৈরি করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়। কম বিনিয়োগ সেলাই মেশিন কিনে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করা সম্ভব যা পরিবারের আয়ের উৎস হতে পারে।

    তিনি আরও বলেন সেলাই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নতুন ডিজাইন তৈরি এবং পোশাকের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা বাড়ানো যায়। আধুনিক বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজের এবং পরিবারের পোশাক তৈরির সাথে সাথে নিজকে উপস্থাপন করা যায়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী দক্ষতা।
    নিজের মেধা, দক্ষতা কলা-কৌশল কাজে লাগিয়ে যুগোপযোগী, সৃজনশীলতা, রুচিশীল, চাহিদা সম্পন্ন, উন্নত মানসম্পূর্ন্ন পোশাক তৈরী করা যায়।

    দক্ষ সেলাই জানলে ভবিষ্যতে নিজস্ব বুটিকস বা ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উদ্যোগ শুরু করার পথ খুলে যেতে পারে। আধুনিক বিশ্বে ফ্যাশান ও পোশাকের চাহিদা সবসময় থাকে তাই সেলাই চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে ইনসাল্লাহ।

    তিনি আরও জানান, প্রতিবন্ধী, গরীর, দুস্থ্য, অসাহায় অনেক মেধাবী রয়েছে। ভাল কাজ জানেন যদি কোন অবস্থাশালী, প্রবাসী, কোন সংস্থা তাদের কয়েকটি সেলাই মেশিনের ব্যবস্থা করে দেন। পরিবার গুলির সদস্যগণ দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারেন।

    প্রশিক্ষনার্থী মেহেরুন্নেসা বলেন, আমি কাজ জানি, আমি ৬৫ জনকে কাজ শিখিয়েছি তার পরেও প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি। আরও বেশী শেখার জন্য। শিক্ষার শেষ নেই।

    গৃহবধূ ও প্রশিক্ষনার্থী মোসাঃ জোহরুন নেসা বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যই কাজ শিখতে এসেছি। আমাদের মাষ্টার ট্রেনার শাহানারা বিশ্বাস শাহিনুর ম্যাডাম খুব ভাল মনের মানুষ, আমি সেলাইয়ের কোন কিছু জানতাম না। এখনও একমাস হয় নি অনেক কিছু শিখেছি। ম্যাডাম আমাদেরকে একটি কাজ ৫/৭ বার পর্যন্ত হাতে কলমে, সহজ উপায়ে শিখিয়ে দেন। আমরা বুঝতে না পারলে ম্যাডামের নিকট ছুটে যায়। কেউ ডাকলে ম্যাডামও চলে এসে একধিকবার করে বুঝিয়ে দেন, কোন বিরক্ত বোধ করেন না। একই মন্তব্য করেন প্রশিক্ষার্থী, প্রতিবন্ধী নেত্রী ঝর্ণা।

    বিধবা সুরভী বলেন, দেড় বছর আগে স্বামী মারা গেছেন, দুইটি ছেলে নিয়ে কষ্ট করে সংসার চালাই। বড় ছেলে ১০ বছর ছোট ছেলেটি ১৮ মাসের। ২ ছেলেকে শাশুড়ীর নিকট রেখে এসে সেলাই প্রশিক্ষন অংশ গ্রহন করি। মন টিকে না, তাদের কথা সব সময় মনে পড়ে। সংসার চালাতে হিমসিম খাই। প্রশিক্ষন শেষে কিছু ইনকাম করতে পারবো ইসসাল্লাহ। চেষ্টা করছি, ম্যাডামকে বার বার বিরাক্ত করি। কিন্তু ম্যাডাম বিরক্তবোধ করেন না আন্তরিকতার সাথে সহজ পদ্ধতিতে শিখিয়ে দেন। সংসারে সচ্ছলতা ফিরে

  • শিবচরে গ-লাকাটা লা-শ, চু-রির পর হ-ত্যার নেপথ্যে রহস্য

    শিবচরে গ-লাকাটা লা-শ, চু-রির পর হ-ত্যার নেপথ্যে রহস্য

    আরিফুর রহমান, মাদারীপুর :

    মাদারীপুরের শিবচরে নিজ ঘর থেকে রেনু বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চর কাঁচিকাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।

    নিহত রেনু বেগম ওই গ্রামের মৃত সাদেক হাওলাদারের স্ত্রী।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও রেনু বেগমের কোনো সাড়া না পেয়ে তার মেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই তারা দেখতে পান—রেনু বেগম নিথর দেহ নিয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় থানায়।

    খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।

    স্থানীয়দের দাবি, চুরির উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করেছে। ঘরের ভেতর মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। এক মাস আগেও ওই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল বলে প্রতিবেশীরা জানান।

    শিবচর থানার ওসি মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে কী আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    এলাকাবাসীর ধারণা, এটি কেবল সাধারণ চুরি নয়—এর পেছনে অন্য কোনো রহস্যও থাকতে পারে।

    আরিফুর রহমান, মাদারীপুর।

  • বাকাসস বরিশাল জেলা কমিটি গ/ঠন সভাপতি মাহফুজুর রহমান ও সম্পাদক মতিউর রহমান

    বাকাসস বরিশাল জেলা কমিটি গ/ঠন সভাপতি মাহফুজুর রহমান ও সম্পাদক মতিউর রহমান

    সাব্বির হোসেন।।
    বাকাসস বরিশাল জেলায় ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ “কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস)” বরিশাল এর কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে মোঃ মাহফুজুর রহমান সভাপতি এবং কে. এম মতিউর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক আলম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন এবং অর্থ সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের সিকদার নির্বাচিত হয়। নবনির্বাচিত কমিটিকে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) জনাব মোঃ ওবায়দুল হুদা নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। এছাড়া বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বায়েজিদুর রহমান এবং বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ ইকবাল হাসান এসময় উপস্থিত থেকে নর্বনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য, জনাব কে, এম মতিউর রহমান গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ কেন্দ্রীয় কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব পদে নির্বাচিত হয়।
    এদিকে বানারীপাড়া উপজেলা উপজেলার সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নব গঠিত কমিটিকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।