Author: desk

  • রংপুরে দো-ষীদের গ্রে-প্তারের দা-বিতে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘে-রাও করে সাংবাদিকদের বিক্ষো-ভ

    রংপুরে দো-ষীদের গ্রে-প্তারের দা-বিতে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘে-রাও করে সাংবাদিকদের বিক্ষো-ভ

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    সংবাদ প্রকাশের জেরে রংপুরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন সাংবাদিকেরা। একই সঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের হেনস্তা করার জন্য রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

    এ সময় সাংবাদিক নেতারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন। আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করে এই আলটিমেটাম দেন তাঁরা। পরে বেলা দেড়টার দিকে বিক্ষোভ শেষে পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

    বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের অটোরিকশা লাইসেন্স-বাণিজ্যে পাঁচ কোটি টাকার দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিক বাদল হামলার শিকার হয়েছেন। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর লাইসেন্স বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি চক্র গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) নগরীর কাচারি কোর্ট মসজিদের সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে বাদলকে তুলে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। তারা তাঁকে হত্যাচেষ্টাও চালায় এবং সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীর কক্ষে আটকে রেখে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ দেয়। এ হামলায় ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে রকি নামের এক যুবকের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অংশ নেয়।
    অপহরণ, মারধর ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গত রোববার রাতে সাংবাদিক বাদল বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।

    পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি রতন মিয়াকে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাপলা চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার ছয় নম্বর আসামি রকিবুল হাসান সাগরকে গ্রেপ্তার করে।

    সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল অভিযোগ করেন, পুলিশ মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করছে না। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার না করলে হয়তো আমাকে অন্য কোথাও নিয়ে হত্যা করা হতো। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ শুধু পাঁচ ও ছয় নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আমি চাই, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’

    সাংবাদিক নেতারা জানান, হামলাকারীরা উল্টো থানায় গিয়ে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এজাহারভুক্ত আসামিরা সিটি করপোরেশনে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে, ফেসবুকে লাইভ করছে এবং মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের নামে বিষোদগার করছে ও হুমকি দিচ্ছে। এতে সাংবাদিক সমাজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

    রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজে) সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামী তিন দিনের মধ্যে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। যদি মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
    রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার তিন দিন পরও আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে।’

    রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, ‘লিয়াকত আলী বাদল উত্তরবঙ্গের নির্ভীক ও সাহসী সাংবাদিক। ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি একটি রিপোর্ট করেছিলেন। তাঁকে সন্ত্রাসী কায়দায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়েছে, সেই অফিসের কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা। কিন্তু যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।’

    পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘সাংবাদিক যদি সংবাদ পরিবেশনের কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হন, তাহলে জনগণ কীভাবে খবর পাবে? এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হয়েছে। আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য যারাই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

    পুলিশ কমিশনার অটোরিকশার লাইসেন্স দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেখানে ৫ হাজার অটোরিকশার ধারণক্ষমতা, সেখানে ৫০ হাজার অটোরিকশা চলে। লিয়াকত আলী বাদল যে সংবাদটি করেছেন, তিনি তো আমার কথাই বলেছেন। এর পেছনে যদি কোনো আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে, তাহলে সেই অফিস কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল সংবাদটি প্রকাশের পর অনুসন্ধান করা। তাহলে এত দূর পর্যন্ত ঘটনা আসত না।’

    রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে), রংপুর প্রেসক্লাব, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রংপুর, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রংপুর, রংপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।

  • ময়মনসিংহে মা-দকের বিরু-দ্ধে জ-নসচেতনতা বৃ-দ্ধির লক্ষ্যে গ-ণশুনানি

    ময়মনসিংহে মা-দকের বিরু-দ্ধে জ-নসচেতনতা বৃ-দ্ধির লক্ষ্যে গ-ণশুনানি

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহে মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি,মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক সহযোগিতা নিশ্চিত করণ,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে মাদক প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে এক গণশুনানি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর নতুন বাজারস্থ গার্ডেন সিটি ট্রিপল টি কনফারেন্স হলে
    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ. এফ. এম. এহতেশামুল হক।

    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফরুল্লাহ কাজল এর সভাপতিত্বে গণশুনানি অনুষ্ঠানে
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ আবুল কালাম আজাদ। তিনি ও অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বাস্তবধর্মী দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এএফএম এহতেশামুল হক মাদক নির্মুলে বিভিন্ন
    দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন একই সাথে
    তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং মাদকবিরোধী কার্যক্রমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসন ও জনগণের পারস্পরিক সমন্বয় জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।

    গণশুনানিতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ও জনসম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

    অনুষ্ঠানে জামালপুর, নেত্রকোণা এবং ময়মনসিংহ জেলাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, ব্যবসায়ী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, মাদক নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টেকহোল্ডার, লাইসেন্সধারী প্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।

    গণশুনানিতে অংশগ্রহণকারীরা মাদক নিয়ন্ত্রণে করণীয়, সামাজিক সচেতনতা, লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা এবং বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মতামত ও প্রস্তাব তুলে ধরেন। আলোচনায় অতিথিরা মাদক নির্মূলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

  • ‎রংপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ঘে-রাও, রংপুর-৩ আসনের পুনর্বি-ন্যাসে প্র-তিবাদ

    ‎রংপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ঘে-রাও, রংপুর-৩ আসনের পুনর্বি-ন্যাসে প্র-তিবাদ


    খলিলুর রহমান খলিল, ‎নিজস্ব প্রতিনিধি:

    ‎আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনের সীট বিন্যাস নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনগণ। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংসদীয় আসন রক্ষা কমিটি রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের ফটকে ঘেরাও বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে। তারা বিনা গণশুনানি ও পরামর্শ ছাড়াই আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তের কঠোর প্রতিবাদ জানান।

    ‎বুধবার দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের সামনে শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন, যাতে স্পষ্টভাবে তাদের চাওয়া প্রকাশ পায়। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রংপুর-৩ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত সিটি করপোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডকে রংপুর-১ আসনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, যা স্থানীয়দের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলবে।বক্তারা বলেন, রংপুর-৩ আসনের বর্তমান ভোটাররা অনিশ্চয়তায় পড়বে। জনগণের মতামত বা গণশুনানি না নিয়েই এই পরিবর্তন করা হয়েছে।এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে নাগরিকদের দূর্ভোগ রোধ করতে হবে। সমাবেশে আন্দোলনকারীরা পুনরায় ৯ নং ওয়ার্ডকে রংপুর-৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানান।

    ‎বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কো-চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। তিনি বলেন, নাগরিকদের মতামত না নিয়ে এমন আসন পুনর্বিন্যাস করা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। রংপুর-৩ আসনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। তাদের ভোটার অধিকার ও সাংসদ নির্বাচনের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এই ৯ নং ওয়ার্ডকে পুনরায় রংপুর-৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। আমরা এই পুনর্বিন্যাসের ফলে ভোটের অধিকার হারাবো না, এমন আশ্বাস চাই। প্রশাসন যদি জনগণের কথা না শোনে, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। স্থানীয়রা মনে করছেন, ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা রংপুর-৩ আসনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। এই সংযুক্তি তাদের ভোটাধিকারে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে সমাবেশে দাবি করা হয়, প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক, যাতে জনগণকে দূর্ভোগে পড়তে না হয়।

    ‎বিক্ষোভ ও সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়। আন্দোলনকারীরা জানান, যদি এই আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে সংশোধন না হয়, তারা আরও বৃহৎ কর্মসূচি এবং ধারাবাহিক আন্দোলনে নামবেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত এই ধরনের সিদ্ধান্তে যদি জনগণের মতামত না নেয়া হয়, তাহলে তা স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল মনে করছেন, রংপুর-৩ আসনের ভোটারদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণশুনানি ছাড়াই নেওয়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াবে। তাই জনগণ আশা করছে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

  • তারাগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আনসার সদস্যদের ব্রিফিং প্যা-রেড অ-নুষ্ঠিত

    তারাগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আনসার সদস্যদের ব্রিফিং প্যা-রেড অ-নুষ্ঠিত

    খলিলুর রহমান খলিল , নিজস্ব প্রতিনিধি:

    রংপুরের তারাগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পিসি, এপিসি, আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উক্ত ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা, তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম.এ ফারুক, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা নাহিদা রহমান, উপজেলা প্রশিক্ষক শফিউর রহমান সহ আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • কুমিল্লায় সড়ক দূ-র্ঘটনায় প্রবাসীর  দ্বিখ-ণ্ডিত, লা-শ উ-দ্ধার, 

    কুমিল্লায় সড়ক দূ-র্ঘটনায় প্রবাসীর দ্বিখ-ণ্ডিত, লা-শ উ-দ্ধার, 

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা জেলা দঃ,

    বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর  সকালে কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে মোটর সাইকেল আরোহীকে অজ্ঞাত এক গাড়ি চাপা দিয়ে দেহ দ্বিখণ্ডিত করায় ঘটনাস্থলে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

     নিহত  প্রবাসী যুবক কামরুল হাসান রানা (২৫) ডুবাই থেকে দেশে ফিরেছে, কিছু দিনের মধ্যে ইউরোপের  ফিজিতে যাওয়ার জন্য ভিশা এসেছিল।

    নিহতের চাচাত ভাই মাসুম ভূইয়া  জানান জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন এর উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ কামাল হাসান রানা (২৫) কয়েক মাস পূর্বে ডুবাই থেকে বাংলাদেশে এসেছে। তিনি দেশে এসে কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্ব রোড কুমিল্লা হাইওয়ে ইন হোটেলে চাকুরী নেয়। 

    ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল যোগে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় কুমিল্লা – সিলেট মহাসড়কের পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে সকাল ৭ টায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় তার দেহ দ্বিখণ্ডিত করে পালিয়ে যায়। এদিকে ঘটনাস্থলে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তিনি হোটেলে চাকুরির পাশাপাশি ফিজি যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট জমা দেন এবং ভিসা এসেছিল কিছুদিনের মধ্যেই চলে যাওয়ার কথা ছিল। তার ফিজি যাওয়া আর হল না। এদিকে ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার পুলিশ লাশ ও মোটর সাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

    ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি মোঃ ইকবাল বাহার বলেন  সকাল ৭ টায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় তার দেহ দ্বিখণ্ডিত হয়ে মারা যায়।দুর্ঘটনা কবলিত মোটর সাইকেল ও লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়ার চলমান আর ঘাতক অজ্ঞাত গাড়িটি সনাক্তের চেষ্টা অব্যহৃত রয়েছে।

  • অটোয়ারী মাহি ফিলিং স্টেশন থেকে  চো-রাই বা-ইক উ-দ্ধার

    অটোয়ারী মাহি ফিলিং স্টেশন থেকে চো-রাই বা-ইক উ-দ্ধার

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় জেলার অটোয়ারী উপজেলার মাহি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিনের কাছ থেকেই তাঁর অফিস কক্ষে পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে (বুধবার) ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাজাজ ডিসকোভার ১২৫ সিসি বাইকটি উদ্ধার করে এ সময় ডিবি পুলিশের এস আই আবু সাঈদ সহ অন্যান্য ডিবির সদস্যরা অংশ নেয়। আসামী আল আমিন উপস্থিত ছিলেন অপর দুই আসামী ফিরোজ ইসলাম ও মেহেদী হাসান। মামলার বিবরনে প্রকাশ (মঙ্গলবার) ১২ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ গভীর রাতে উল্লিখিত আসামীরা পঞ্চগড় সদর উপজেলার উত্তর জালাসী পাড়া এলাকার সফিকুলের বাড়ি থেকে চুরি করে বাইকটি । মামলার বাদী মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন অনেক খোঁজাখুঁজির পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি নিশ্চিত হয়ে পঞ্চগড় সদর আমলী আদালত ১ মামলা দায়ের করি মামলা নং ৭৩৫/২৫ । পুলিশ জানিয়েছে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসামী আল আমিন কোন কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে গত কিছুদিন ধরে পঞ্চগড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ডাকাতি বৃদ্ধির ঘটনায় সাধারণ মানুষ সংকিত।

  • পঞ্চগড়ে টা-ইফয়েড টি-কাদান নিয়ে ক-র্মশালা

    পঞ্চগড়ে টা-ইফয়েড টি-কাদান নিয়ে ক-র্মশালা

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
    পঞ্চগড়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন- ২০২৫ উপলক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে কনসালটেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস।
    তথ্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল শীলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ। ভার্চুয়ালি যুক্ত হন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক ডালিয়া ইয়াসমিন।
    প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, দুষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে টাইফয়েড রোগের জীবাণু ছড়ায় এবং সঠিক সময় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। এজন্য টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এই টিকা সম্পর্কে সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীসহ সকলের নিকট পৌঁছে দিতে উপস্থিত সকলের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি টিকা সম্পর্কে অপতথ্য প্রচার ও গুজব প্রসঙ্গে বলেন, টিকা নিয়ে অনেক অপতথ্য প্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। এসব অপতথ্য প্রচার ও গুজব প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ কর্মসূচি সফল করতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
    এর আগে, জেলা তথ্য অফিসার উজ্জ্বল শীল পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
    সিভিল সার্জন বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি। মাসব্যাপী হলেও মূলত ২০ কর্মদিবস চলবে এই কর্মসূচি। এর মধ্যে ১০ কার্যদিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ৮ কার্যদিবস কমিউনিটিতে এ কার্যক্রম চলবে। কর্মসূচির আওতায় নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী তিন লাখ ৬২ হাজার ১৭৭ জন শিশুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে জেলার এক হাজার ৮৪৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ জনকে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত এক লাখ ১৪ হাজার ৯২৭ জনকে এক হাজার ৬২টি কেন্দ্রে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।
    তিনি এ কর্মসূচি সফল করতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

  • স-ন্ত্রাস, ছি-নতাই ও মা-দক দ-মন: ইপিজেড থানার শ-ক্তিশালী পদক্ষেপে নাগরিকদের স-ম্পৃক্ততা

    স-ন্ত্রাস, ছি-নতাই ও মা-দক দ-মন: ইপিজেড থানার শ-ক্তিশালী পদক্ষেপে নাগরিকদের স-ম্পৃক্ততা

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার উদ্যোগে এবং ওয়ার্ড সিটিজেনস্ ফোরাম কমিটির সমন্বয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় নাগরিক নেতৃবৃন্দ এবং ইপিজেড থানার পুলিশ সদস্যরা।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আমিরুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর বিভাগ), চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ জাহাংগীর, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর বিভাগ) এবং জনাব মাহমুদুল হাসান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন)।

    নাগরিক প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন জনাব রোকন উদ্দিন মাহমুদ খলিল, সভাপতি, সিটিজেনস ফোরাম সমন্বয় কমিটি, ইপিজেড থানা, জনাব মোঃ মজিবুল হক বকুল, সাধারণ সম্পাদক, এবং জনাব মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া, অফিসার ইনচার্জ, ইপিজেড থানা।

    সভায় আলোচিত বিষয়ের মধ্যে ছিল আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সন্ত্রাস ও ছিনতাই প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, এবং স্থানীয় জনগণকে নিরাপত্তা সেবা প্রদান। নাগরিকরা সরাসরি তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন, যা পুলিশ ও সিটিজেনস ফোরাম কমিটির সমন্বিত উদ্যোগে দ্রুত সমাধান করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।

    সভাটি অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিন হালিশহর উচ্চ বিদ্যালয়, ইপিজেড, চট্টগ্রাম-এ, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বিকাল ৪টায়, এবং এটি সরাসরি ইপিজেড থানার আয়োজনে বাস্তবায়িত হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা একযোগে নাগরিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অপরাধ মোকাবেলায় সহযোগিতা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

    পুলিশ প্রশাসন ও নাগরিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এই সভা চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, দ্রুত সেবা প্রদানে দক্ষতা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সভায় নাগরিকদের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় সমস্যা দ্রুত সমাধানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যা আগামী দিনে শহরের নিরাপত্তা ও সামাজিক শান্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

  • পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু খানের বিরু-দ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু খানের বিরু-দ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    আল আমিন মোল্লা।
    পটুয়াখালী প্রতিনিধি।

    দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাবেক পৌর শ্রমিক দল।

    মঙ্গলবার ২৩- সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড পুরাতন ফায়ার সার্ভিস রোডে পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি শামীম খন্দকার এর নিজ কার্যালয় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি শামীম খন্দকার এর আয়োজনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন , পৌর শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জলিল আকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পৌর শ্রমিক দলের যুব বিষয়ক সম্পাদক সান্টু মৃধা, পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি লতিফ ব্যাপারি সহ শ্রমিক দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পৌর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়ে পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ডে শ্রমিক দলের অস্থায়ী কার্যালয় উদ্ভোধন করা হয়েছে। সেখানে জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে না জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিগত দিনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে উঠাবসা করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বহু মানুষকে শ্রমিক দলের নেতা বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনর মাধ্যমে বাবু খানের অনৈতিক কর্মকান্ড ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা বিএনপি ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় যদি তার এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকে তবে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা সহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে জানান।

  • এবার শা-ন্তিপূর্ণ ও আ-নন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে: ময়মনসিংহে অতিঃ পুলিশ সুপার

    এবার শা-ন্তিপূর্ণ ও আ-নন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে: ময়মনসিংহে অতিঃ পুলিশ সুপার

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব উপলক্ষে ময়মনসিংহে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন ময়মনসিংহ নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পুজা মন্ডপগুলোতে ঘুরে-ফিরে খোজ খবর নিচ্ছেন। দেখছেন শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি, জিজ্ঞেস করছেন সমস্যার কথা।

    মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর
    জুবলীঘাট রঘুনাথ মন্দির, বড় কালীবাড়ী মন্দিরসহ শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন। এসময় তার সাথে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শিবিরুল ইসলামসহ মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় তিনি সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। এবার শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ, পুলিশ মোটরসাইকেল টহলে থাকবে এবং প্রত্যেকটি পূজামন্ডপ সিসি ক্যামেরা আওতায় থাকবে বলে জানান।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা ঘিরে কেউ গুজব বা অপপ্রচার চালালে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানি দিলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে পূজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও ছাড় দেওয়া হবে না।

    তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন, জঙ্গিবাদ দমন, মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অপরিহার্য।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনের জন্য জেলা পুলিশ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। সব সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

    পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন সকল পূজামন্ডপ এর কমিটির লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং সকল মন্দিরের সিসি ক্যামেরা গুলো ঠিকমত আছে কি-না সেটার খোজ-খবর নেন ও পূজা তৈরীর কারিগরদের সাথে কথা বলে তাদের কোন সমস্যা আছে কি না- সে বিষয়েও খোঁজ খবর নেন এবং যে কোন বিষয়ে আইনি সহায়তা দিবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।