Author: desk

  • উজিরপুরে অতিথি পাখি উ-দ্ধার, পরে অ-বমুক্ত

    উজিরপুরে অতিথি পাখি উ-দ্ধার, পরে অ-বমুক্ত

    মোঃ জুনায়েদ খান সিয়াম উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন বিল এলাকায় খাবারের খোঁজে আশ্রয় নেওয়া পাখিকে ফাঁদে আটকেছিল একদল শিকারি। খাঁচায় ভরে পাখিগুলো বিক্রিই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

    ১৮ অক্টোবর শনিবার সকালে উপজেলার মশাং বাজার এলাকা থেকে ২১ টি দেশি প্রজাতির ও অতিথি পাখি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এসময় পাখি সহ ১ জনকে আটক করা হয়।এ সময় উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে বন প্রহরী বদিউজ্জামান হাওলাদার বাদল গ্রাম পুলিশ মোহাম্মদ সেলিম শেখ উপস্থিত ছিলেন।
    পাখি শিকারি ও বিক্রেতা সুশীল বিশ্বাস (৬৫)কে আটক করে উপজেলা সদরে নিয়ে আসেন।
    এরপরে বিভিন্ন আইনে জটিলতার কারণে পাখিগুলি অবমুক্ত করার জন্য বন কর্মকর্তা বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরতে থাকে। পরে গৌরনদী বন রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বিশ্বাসের ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজার সহায়তায় পাখিগুলি অবমুক্তর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ডের হাজি ব্রিক ফিল্ড চত্বরে উদ্ধার পাখিগুলো আকাশে অবমুক্ত করেন গৌরনদী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম, উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর মডেল থানার এস আই মোঃ আলমগীর হোসেন। সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    এসময় গৌরনদী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতেই রঙ-বেরংয়ের অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে উজবরপুরের বিলসহ স্থানীয় চরাঞ্চলগুলো। দেখা মেলে সাদা বক, বালিহাঁস, মাছরাঙ্গা, সারস, পানকৌরীসহ দেশি বিদেশি অসংখ্য পাখি।

    তিনি বলেন, দিগন্তজোড়া উন্মুক্ত হাওয়ায় পাখা মেলে বিল ও চরাঞ্চলের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত উড়াউড়ি করে। খাবারের খোঁজে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আশ্রয় নেয় স্থানগুলোতে। পাখি প্রকৃতির সম্পদ। যদি কেউ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্টের চেষ্টা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকৃতিতে স্বাধীনভাবে বিচরণ করা পাখির অধিকার। বাজারগুলোতে যেভাবে অসংখ্য পাখি জালে ও খাঁচায় বন্দি করে বিক্রি করা হয় তা শুধু বেআইনি নয়, নিষ্ঠুরও বটে!

    তিনি আরো জানান, উদ্ধার করা পাখিগুলো প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে নিরাপদ পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। সব নাগরিককে পাখি কেনাবেচা ও খাঁচায় পোষা থেকে বিরত থাকতে এবং এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় আটক ব্যাক্তিকে মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

  • টুরিস্ট পুলিশ এবং রা-উন্ড টেবিলের যৌথ উদ্যোগে ময়মনসিংহ জেলার জয়নাল আবেদীন পার্কে সাইকেল রেলি

    টুরিস্ট পুলিশ এবং রা-উন্ড টেবিলের যৌথ উদ্যোগে ময়মনসিংহ জেলার জয়নাল আবেদীন পার্কে সাইকেল রেলি

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    সকাল ৯ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার জয়নাল আবেদিন পার্কে টুরিস্ট পুলিশ ময়মনসিংহ রিজিয়ন ও রাউন্ড টেবিল বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এবং আরএফএল দুরন্ত সাইকেল এ-র সার্বিক সহযোগিতায় সাইক্লিস্টদের জন্য আলাদা লেন, পরিবেশ বাঁচাতে পরিবেশ দূষণ ও বায়ু দূষণ কমানোর স্লোগান নিয়ে এক মনোমুগ্ধকর সাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রেলির উদ্বোধন এবং পুরস্কার বিতরণ করেন জনাব মোঃ নাঈমুল হক পিপিএম পুলিশ সুপার টুরিস্ট পুলিশ ময়মনসিং রিজিয়ন।
    ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বাইকাররা বিভিন্ন রকমের সাইকেল স্টান্ট শো প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে জয়নাল আবেদিন পার্ক থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে জয়নাল আবেদিন পার্কে এসে রেলি সমাপ্তি করে। এ এই রেলির মূল উদ্দেশ্য ছিল বাইকারদের জন্য আলাদা সাইকেল লেন রাখা, পরিবেশ উন্নয়ন এবং বায়ু দূষণ প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ নাইমুল হক পিপিএম পুলিশ সুপার টুরিস্ট পুলিশ ময়মনসিংহ রিজিয়ন, জনাব মোঃ এজাজ আহমেদ রনি রাউন্ড টেবিল বাংলাদেশ, আরএফএল ও দুরন্ত সাইকেল লিমিটেডের পরিচালক সহ উক্ত সাইকেল রেলিতে অংশগ্রহণকারী ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

  • মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের ফ্রি সার্ভিস ক্যাম্প অ-নুষ্ঠিত

    মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের ফ্রি সার্ভিস ক্যাম্প অ-নুষ্ঠিত

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
    পঞ্চগড়ের ভজনপুরে মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের ফ্রি সার্ভিস ক্যাম্প ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভজনপুর ডিগ্রী কলেজ মাঠে দিনব্যাপী ফ্রি সার্ভিস ক্যাম্পে সকল পুরাতন ট্রাক্টর সার্ভিস করানো হয়। পাশাপাশি ট্রাক্টর মালিক ও ড্রাইভারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের রংপুর বিভাগের জোনাল ম্যানেজার মাহফুজার রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের রিজিওনাল ম্যানেজার এরশাদুল আলম, সার্ভিস হেড কাজী ইমরান, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার প্রিন্সিপাল আবু আল ইমরান, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

    ফ্রি ক্যাম্পে ট্রাক্টরের পার্টসের উপর ৮% এবং মোবিলের উপর ৩% ডিসকাউন্ট প্রদান করা হয়।

  • ভাতার কার্ড না পেয়ে টাকা ফেরত চাওয়ায় ভু-ক্তভোগীকে মা-রধরের ঘটনায় চেয়ারম্যান পাইলট শোক-জ

    ভাতার কার্ড না পেয়ে টাকা ফেরত চাওয়ায় ভু-ক্তভোগীকে মা-রধরের ঘটনায় চেয়ারম্যান পাইলট শোক-জ

    খলিলুর রহমান খলিল নিজস্ব প্রতিনিধ:
    মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা ফেরত চাওয়ায় রশিদুল কাজী নামের এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে ৫ নং সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটকে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত পাইলটকে শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা।

    এর আগে সয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উক্ত মারধরের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় রশিদুল কাজী গুরুতর অসুস্থ হলে বুধবার দুপুরে পরিবারের লোকজন তাকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করান। রশিদুল কাজী রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর সরকারপাড়া গ্রামের ইউনুস কাজীর ছেলে।

    জানা গেছে, রশিদুল কাজীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম প্রায় দেড় বছর আগে গর্ভবতী হলে সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য। সে সময় চেয়ারম্যান তার স্ত্রীর মাতৃত্বভাতা করে দেয়ার জন্য আট হাজার টাকা বিভিন্ন খরচের জন্য দিতে হবে বলে জানান। চেয়ারম্যানের কথামতো রশিদুল আট হাজার টাকা দেন। দীর্ঘ দিন সেই টাকা ফেরত দিতে টানবাহানা করলে গত মঙ্গলবার বিকালে রশিদুল সয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে টাকা ফেরত নেয়ার জন্য গেলে চেয়ারম্যান পাইলট রশিদুলকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বেধরকভাবে মারধর করেন। মারধরে রশিদুল অসুস্থ হলে চেয়ারম্যান স্থানীয় চিকিৎককে ডেকে এনে চিকিৎসা দিয়ে রশিদুলকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে গুরত্বর অসুস্থ হলে বুধবার দুপুরে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে রশিদুল ইসলাম হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের দুই নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    অভিযুক্ত সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের সাথে, মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা বলেন, সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত পাইলটকে শোকজ করা হয়েছে। দ্রুত সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • কুমিল্লায় লালন সাঁইয়ের ১৩৫ তম তি-রোধান দিবস পালন

    কুমিল্লায় লালন সাঁইয়ের ১৩৫ তম তি-রোধান দিবস পালন

    তরিকুল ইসলাম তরুন।।

    সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ১৭ ই অক্টোবর রাতে 

    লালন সাঁয়ের ১৩৫ তম তিরোধান দিবস পালন উপলক্ষে

    আলোচনা সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাহতাব সোহেল, মোঃ আল আমিন ও রোমানা রুমির উপস্থাপনায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার। 

    এসময়  আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন এডিসি সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু,সাপ্তাহিক অভিবাদনের সম্পাদক  সাংবাদিক আবুল হাসনাত বাবুল, টাউন হল কমিটির সদস্য সচিব সাজ্জাদুল কবির,

    অনুষ্ঠানে লালন দিবস স্বরনে গান পরিবেশন করেন শিল্পী সুমি হায়দার, রাসেল দেওয়ান,ফাহমিদা বাধঁন,বাউল মোহসীন, হারুন সরকার এছাড়া শিল্প কলা একাডেমির সংগীত বিভাগ ও নৃত্য বিভাগের শিল্পী গন। এসময় উপস্থিত বক্তারা লালন সাঁয়ের ১৩৫ তম তিরোধান দিবস ২০২৫ পালনে বলেন  মূল ধারা সংস্কৃতি ধরে রাখতে লালন স্মৃতি গান ও তার কালচার সংস্কৃতি জগতের মধ্যে বাচিয়ে রাখতে পরামর্শ দেন।

  • এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজ সে-রা সজিব

    এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজ সে-রা সজিব

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা ডিগ্রী কলেজ গভর্নিং বডির নবনির্বাচিত সদস্য,একটি মানবিক সংগঠন “স্বপ্ন সিরাজগঞ্জ” শাখার সাধারন সম্পাদক,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক সলঙ্গা থানা শাখার সাধারন সম্পাদক,বিভিন্ন মানব সেবামুলক কাজের সহযোগী,সলঙ্গা বাজার কদমতলার সুপরিচিত গ্রাম ডাক্তার কে.এম জাহিদুল ইসলাম ও মা শাহনাজ পারভীনের সুযোগ্য পুত্র ও মেধাবী ছাত্র কে.এম সজিবুল ইসলাম (সজিব) সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।সলঙ্গা ডিগ্রী কলেজ হতে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (গোল্ডেন প্লাস),সর্বোচ্চ ১২০০ নম্বর অর্জন করে কলেজ সেরা সেরা হওয়ায় সে অত্যন্ত খুশি।সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের চৌধুরী ঘুঘাট গ্রামের মেধাবী ছাত্র সজিব।ইতিপুর্বের প্রাথমিক সমাপনী,জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ- ৫ অর্জন করেছিল। তার এমন সাফল্যে তার পরিবার ও শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
    সজিবের এ অসামান্য কৃতিত্বের জন্য বাবা-মা,কলেজের শিক্ষকমন্ডলী সহ অন্যান্যদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে ভবিষ্যতে সে (বিসিএস ক্যাডার) প্রশাসনিক কর্মকর্তা হতে চায়।তাই সে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। তার এ সাফল্য আগামী প্রজন্মের জন্য হোক অনুপ্রেরণার উৎস।

  • সজিব বিসিএস ক্যা-ডার হতে চায়

    সজিব বিসিএস ক্যা-ডার হতে চায়

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা ডিগ্রী কলেজ গভর্নিং বডির নবনির্বাচিত সদস্য,একটি মানবিক সংগঠন “স্বপ্ন সিরাজগঞ্জ” শাখার সাধারন সম্পাদক,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক সলঙ্গা থানা শাখার সাধারন সম্পাদক,বিভিন্ন মানব সেবামুলক কাজের সহযোগী,সলঙ্গা বাজার কদমতলার সুপরিচিত গ্রাম ডাক্তার কে.এম জাহিদুল ইসলাম ও মা শাহনাজ পারভীনের সুযোগ্য পুত্র ও মেধাবী ছাত্র কে.এম সজিবুল ইসলাম (সজিব) সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।সলঙ্গা ডিগ্রী কলেজ হতে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (গোল্ডেন প্লাস),সর্বোচ্চ ১২০০ নম্বর অর্জন করে কলেজ সেরা সেরা হওয়ায় সে অত্যন্ত খুশি। তার এমন সাফল্যে তার পরিবার ও শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
    সজিবের এ অসামান্য কৃতিত্বের জন্য বাবা-মা,কলেজের শিক্ষকমন্ডলী সহ অন্যান্যদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে ভবিষ্যতে সে (বিসিএস ক্যাডার) প্রশাসনিক কর্মকর্তা হতে চায়।তাই সে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। তার এ সাফল্য আগামী প্রজন্মের জন্য হোক অনুপ্রেরণার উৎস।

  • নোয়াখালীর চরজব্বরে সুব্রত চন্দ্র দাস হ-ত্যা মা-মলার মূল আ-সামী গ্রে-ফতার

    নোয়াখালীর চরজব্বরে সুব্রত চন্দ্র দাস হ-ত্যা মা-মলার মূল আ-সামী গ্রে-ফতার

    রফিকুল ইসলাম সুমন।।
    নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।

    নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানাধীন পশ্চিম চরজুবলী এলাকায় সংঘটিত সুব্রত চন্দ্র দাস হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার মূল আসামীকে গ্রেফতার করেছে চরজব্বর থানা পুলিশ।উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ দুপুর অনুমান ০১:৪৫ ঘটিকার সময় চরজব্বর থানাধীন ০৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী এলাকায় জনৈক রাজ্জাক সওদাগরের ধানী জমির উত্তর পার্শ্বে পাকা রাস্তায় সুব্রত চন্দ্র দাস (৪৭), পিতা-চিরু রঞ্জন দাস, মাতা-প্রীতি রানী দাস এর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।
    এ ঘটনায় চরজব্বর থানায় মামলা নং- ০২, তারিখ-১৩/১০/২০২৫ ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়।

    মামলা রুজুর পর নোয়াখালী জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ
    আব্‌দুল্লাহ্‌-আল-ফারুক মহোদয়ের দিকনির্দেশনায়, জনাব মোহাম্মদ ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস), নোয়াখালী এঁর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে চরজব্বর থানা পুলিশের একাধিক টিম দ্রুত অভিযান শুরু করে। প্রাথমিক তদন্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী হিসেবে নূর মোহাম্মদ (৫৭), পিতা-মৃত আলী আহম্মদ, মাতা-রূপোষা বেগম, সাং- মধ্যম বাগ্যা, ৪নং ওয়ার্ড, ০৫নং চরজুবলী ইউনিয়ন, থানা- চরজব্বর, জেলা-নোয়াখালী-কে শনাক্ত করা হয়।

    পরবর্তীতে পুলিশের আভিযানিক দল গত ১৬ অক্টোবর ২০২৫ খ্রি. রাত অনুমান ২৩:০৫ ঘটিকায় নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা বাজার এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে। আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই রাতে পূর্ব শুল্ল্যুকিয়া এলাকার জনৈক জসিম ড্রাইভারের ঘর হতে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী নূর মোহাম্মদ স্বীকার করেন যে, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ দুপুরে নিজের মোটরসাইকেল যোগে ভাগিনা ফয়সাল (১০)-কে সঙ্গে নিয়ে গাছ কাটার শ্রমিকদের খাবার পৌঁছাতে যাওয়ার পথে ভিকটিম সুব্রত চন্দ্র দাস (৪৭) চর আমান উল্ল্যাহ তাহার স্ত্রী রিক্তা দাসকে আনার জন্য ভূইয়ার হাটে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে একটি সিএনজিকে ওভারটেক করার সময় সামনে থেকে আসা একটি দ্রুতগামী মোটর সাইকেল দেখতে পেয়ে হঠাৎ ব্রেক করার কারণে মোটরসাইকেল সহ সড়কে পড়ে যায়। এরপর দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ভিকটিম সুব্রত চন্দ্র দাসের উপর দিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা উক্ত নূর মোহাম্মদের মোটরসাইকেলটি চলে যায়। নূর মোহাম্মদের মোটরসাইকেলের বাম্পার ও স্ট্যান্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ভিকটিমের গলায় কেটে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। উল্লেখ্য যে উক্ত ঘটনায় আরো তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশের কাছে একই রকম ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।

    গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।উল্লেখ্য যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই কিংবা তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিকটিম সুব্রত চন্দ্র দাস (৪৭), এর মৃত্যুর ঘটনাটিকে “প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে কুপিয়ে হত্যা” হিসেবে প্রচার করা হয়, যা তদন্তের স্বার্থে বিভ্রান্তিকর ও অনভিপ্রেত। মিডিয়ায় প্রকাশিত যেকোন ধরনের অপতথ্য সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং যার দরুন জনমণে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

  • অপসাংবাদিকদের বিএমইউজে-তে কোনো স্থান নেই -শিবলী সাদিক খান

    অপসাংবাদিকদের বিএমইউজে-তে কোনো স্থান নেই -শিবলী সাদিক খান

    আরিফ রব্বানী।।
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (BMUJ) ঢাকা মহানগর কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড় একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি প্রধান আলোচক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান বলেন অপসাংবাদিকদের বিএমইউজে-তে কোনো স্থান নেই, হলুদ সাংবাদিকতা না করার উপর গুরুত্বআরোপ করে তিনি পেশাদারিত্বের বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রতিবেদন করার আহবান জানান।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব সোহেল আহম্মেদ, সভাপতি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে)) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সোহেল আহম্মেদ।

    বিএমইউজে সভাপতি আলহাজ্ব সোহেল আহমেদ সাংবাদিক সংগঠনের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান। ঢাকা মহানগর বিএমইউজে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মনিকে সভাপতি এবং শিমুল বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।

    বিশেষ অতিথি প্রধান আলোচক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান, অভিষেক অনুষ্ঠানে বলেন চাদাবাজি, অপসাংবাদিকতা যারা করে তাদের কারো আমাদের সংগঠনে কোনো স্থান হবে না। যাচাই-বাছাই করে যোগ্য ও প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদেরই এই সংগঠনের সদস্য ফরম পুরণ করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।”

    তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন সবসময় মাঠপর্যায়ের সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা. পেশাগত নিরাপত্তা ও ন্যায্য মর্যাদা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।”

    অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওাত করেন বিএমইউজে কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান বাবুল, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিমুল খান, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর বিএমইউজে কমিটি।

    এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএমইউজে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ আরেফিন তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পেশাদারিত্বের সম্মান রক্ষার আহবান জানান।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মনি, সভাপতি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা মহানগর কমিটি।

    ঢাকা মহানগর বিএমইউজে অভিষেক অনুষ্ঠানে শতাধিক সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক নেতারা বিভিন্ন ঘটনা হামলা মামলা নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে অভিলম্ভে সুরক্ষা আইন বাস্তবাগনের আহবান জানান।

  • ময়মনসিংহের অষ্টধারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের ৫ম শা-হাদাত বার্ষিকী পালিত

    ময়মনসিংহের অষ্টধারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের ৫ম শা-হাদাত বার্ষিকী পালিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহঃ
    ময়মনসিংহের অন্যতম কৃতি সন্তান, ময়মনসিংহ জেলা (দঃ)বিএপির সাবেক সফল সভাপতি, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য মরহুম এ কে এম মোশাররফ হোসেনের ৫ম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। উপলক্ষে সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

    এই উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জুমা
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নের অষ্টধার বাজার সংলগ্ন হৃদয় মোড়ে মৎস্যজীবী দলের ইউনিয়ন কার্যালয়ে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে সংগঠনটি।

    অষ্টধার ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের অষ্টধার ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের নেতা মোঃ লিটন মিয়ার সঞ্চালনায় উক্ত মাহফিলে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ময়মনসিংহ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মতিউর রহমান মতি, অষ্টধার ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মোঃ খলিলুর রহমান খেলো, অষ্টধার ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কাজী মোঃ নাজমুল হুদা, মোঃ আবু সাইদ, নাজিমুদ্দিন নাজিম সহ অষ্টধার ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মরহুমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা মরহুম এ কে এম মোশাররফ হোসেনের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান এবং এলাকার উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন। তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও আদর্শকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বক্তারা বলেন, এ কে এম মোশাররফ হোসেন ছিলেন একজন জনদরদী নেতা, যিনি তার রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাঁর শূন্যস্থান পূরণ হওয়া কঠিন।

    পরে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়, যেখানে মহান আল্লাহতালার দরবারে তাঁর জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করা হয়। পাশাপাশি দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি এবং দেশের চলমান সংকট থেকে মুক্তির জন্যও প্রার্থনা করা হয়। এই আয়োজন মরহুম নেতার প্রতি স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।