Author: desk

  • শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজা মণ্ডপে শফিউল আলমের শুভেচ্ছা, দুর্নীতি-দুঃশাসনহীন ন্যা-য়ভিত্তিক সমাজের অ-ঙ্গীকার

    শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজা মণ্ডপে শফিউল আলমের শুভেচ্ছা, দুর্নীতি-দুঃশাসনহীন ন্যা-য়ভিত্তিক সমাজের অ-ঙ্গীকার

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    চট্টগ্রাম-১১ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জনাব মোঃ শফিউল আলম শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নগরীর ইপিজেড থানাধীন বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন, শুভেচ্ছা বিনিময় ও গণসংযোগ করেছেন।

    এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ সাহেদ আলী, দারুস সালাম ওয়ার্ড সভাপতি মিজান খান, বন্দরটিলা দক্ষিণ ওয়ার্ড সভাপতি হাবিবুর রহমান, বন্দরটিলা উত্তর ওয়ার্ড সভাপতি মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, ওলামা ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা হারুন আর রশিদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইপিজেড থানা সভাপতি শহিদুল ইসলাম এবং ৩৯ নং উত্তর ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদসহ বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ ও কর্মী।

    শফিউল আলম নগরীর সি ইপিজেড শ্রী কৃষ্ণ মন্দির, বন্দরটিলা রেলবিট শান্তি সংঘ, দীপিকা সংঘ মহাজন ঘাটা, সনাতনী সংঘ খেজুর তলা সৎসঙ্গসহ একাধিক পূজা মণ্ডপে গিয়ে পূজার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। তিনি পূজার্থীদের উদ্দেশে বলেন—

    “বাংলাদেশ কোনো একক গোষ্ঠীর নয়, এ দেশ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের গৌরব, আমাদের শক্তি। দুর্নীতি, দুঃশাসন ও বৈষম্য এই ঐক্যকে কলুষিত করেছে। এখন সময় এসেছে ন্যায় ও নৈতিকতার ভিত্তিতে একটি নতুন সমাজ গড়ার।”

    তিনি দৃঢ় কণ্ঠে আরও বলেন—“আমরা চাই প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব হোক শান্তি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। বাংলাদেশে দুর্নীতি, লুটপাট ও বৈষম্যের রাজনীতি বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষের মুক্তি নেই। তাই দেশের প্রতিটি মানুষকে নিয়ে আমরা গড়ব দুঃশাসনহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা।”

    শফিউল আলম উল্লেখ করেন, জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই পারে দেশে সত্যিকারের শান্তি, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। পূজা মণ্ডপে উপস্থিত সাধারণ মানুষও তাঁর এ বক্তব্য ও অবস্থানকে স্বাগত জানান।

  • ময়মনসিংহে প্রস্তুত প্রতিমা বি-সর্জন ঘাট : নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নি-রাপত্তা,পুলিশ সুপারের প-রিদর্শন

    ময়মনসিংহে প্রস্তুত প্রতিমা বি-সর্জন ঘাট : নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নি-রাপত্তা,পুলিশ সুপারের প-রিদর্শন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    বিজয়া দশমীর পূজা শেষে দেবী দুর্গার বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বিসর্জন ঘাটগুলো। প্রতিমা বিসর্জনের দিন যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।

    বুধবার (১অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ কাচারী ঘাট প্রতিমা বিসর্জন ঘাট পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।

    জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের কাচারী ঘাট ছাড়াও আরও একাধিক ঘাটে হবে এবারের প্রতিমা বিসর্জন।

    অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি প্রতিটি ঘাটজুড়ে। আশা করি প্রতিমা বিসর্জনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন কেউ হবে না। সবাই সুষ্ঠভাবে প্রতিমা বিসর্জন করতে পারবেন।

    পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ঘাটে ও বোট নিয়ে পানিতে টহল দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী । সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পুরো ঘাট এলাকাজুড়ে অবস্থান করছেন। এছাড়াও নদীর ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও ডুবুরি দলের সদস্যরা উপস্থিত থাকবে।

    ঘাটের সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সুৃমনা আল মজিদ বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সকাল থেকে সব ঘাটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ সম্পন্ন করেছি। এছাড়া আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় কাজ করবে।

    এসময় পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম- ঘাট এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, বিসর্জন উপলক্ষে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। আমরা চাই ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হোক।

    পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বিসর্জন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন তিনি।

    এসময়- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ মোহাইমেনুর রশিদ, সদর সার্কেল মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর প্রশাসন আবু নাছের মোহাম্মদ জহির, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির নেতা মোঃ মাহবুব আলম, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, বর্জ্য কর্মকর্তা মোহাব্বত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • চারঘাটে সা-পের কাম-ড়ে জামায়াত নেতার মৃ-ত্যু

    চারঘাটে সা-পের কাম-ড়ে জামায়াত নেতার মৃ-ত্যু

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে সাপের কামড়ে স্কুল শিক্ষক ও জামায়াত নেতা মো. নাজমুল হকের (৫২) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (০১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    নাজমুল হক উপজেলার জাফরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি জাফরপুর গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে। নাজমুল হক উপজেলার জাফরপুর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হক বুধবার সকাল ৮টার দিকে নিজ জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। এ সময় বিষধর সাপে তাকে কামড়ে দেয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মৃত্যু হয়।

    এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাপের কামড়ের পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • সাংবাদিক মনির মু-ক্তির দাবিতে বেনাপোলে মান-ববন্ধন ও অ-বস্থান কর্মসূচি পালন

    সাংবাদিক মনির মু-ক্তির দাবিতে বেনাপোলে মান-ববন্ধন ও অ-বস্থান কর্মসূচি পালন

    আজিজুল ইসমাম,
    ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আটক হওয়া দৈনিক দিনকাল ও দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি’র নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বেনাপোলে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
    বেনাপোল প্রেসক্লাবের সভাপতি মহসিন মিলন’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোরশেদ আলম।
    এতে অংশ নেন শার্শা, নাভারন, বাগআঁচড়া ও বেনাপোলে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। ব্যানার হাতে তারা সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবি জানান এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বানসহ শার্শা থানায় অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলিমের অবিলম্বে অপসারণ দাবি করেন।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মনি দীর্ঘদিন ধরে সৎ ও নির্ভীকভাবে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তার লেখনি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। পেশাগত ভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যেই একটি সাজানো মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে। আর শার্শা থানার ওসি কোন তদন্ত ছাড়াই সাংবাদিক মনিকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিছেন। এসময় বক্তারা ওসির অপসারণের দাবি তুলেছেন।

  • শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে  শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারেক রহমান

    শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারেক রহমান

    শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিম্নে সম্পুর্ন তুলে ধরা হলো।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।

    আবহমানকাল ধরে দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রতিটি গোষ্ঠী-গোত্র-সম্প্রদায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে যার যার ধর্ম পালন করে আসছে, এটি বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য্য। শরতে বাংলাদেশের চারিদিকে কাশফুল ও শীতের আভাষ জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারের গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।

    একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি মনে করি, উৎসবের ভেতর দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ এবং ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানে দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সংশয়বাদী প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

    পবিত্র হাদিসেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে-
    “যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়”- এ ধরণের জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) তাঁর উম্মতদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন- “কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।”

    ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা এবং সম্মান রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে এবং নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে, এটিই স্বাভাবিক রীতি। উৎপীড়ণ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সঙ্গত।
    শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের মতো কেউ যাতে কোনোরকম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো পরিস্থিতি কিংবা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো অপচেষ্টা করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক এবং সজাগ থাকার জন্য আমি দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানাই।

    দেশের হিন্দু সম্পদায়ের প্রতি আমার আহবান, আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারাদেশে উৎসব আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন।

    আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে- ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।

    সবশেষে আমি এই আনন্দময় দূর্গাপুজার উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায় এবং ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সকলকে আবারো আমার এবং আমাদের দল অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে শারদীয় দূর্গাপুজার শুভেচ্ছা জানাই।

    আমি এবারের শারদীয় দূর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।

  • বরেন্দ্রর পাঁচ ইউপিতে ভূগ-র্ভস্থ পানির স্ত-রে পানি নেই

    বরেন্দ্রর পাঁচ ইউপিতে ভূগ-র্ভস্থ পানির স্ত-রে পানি নেই

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরসহ প্রচন্ড খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের (ইউপি) ভূগর্ভস্থ পানির স্তরে পানি পাওয়া যায়নি। ফলে পানি সংকটের কারণে গভীর নলকূপ বসানোও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। খাওয়ার পানির জন্য বাড়ি বাড়ি যে সাবমার্শিবল পাম্প বাসানো হচ্ছে, সেখান থেকে জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। অথচ এলাকা বিশেষে প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে মানুষকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
    পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) গত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইড্রোলজিক্যাল মডেলিংয়ের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির অবস্থা জরিপ করেছে। ওয়ারপোর একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫০টি জায়গায় প্রায় দেড় হাজার ফুট গভীর পর্যন্ত ‘বোরিং’ করে জরিপ চালিয়েছে। তারা ওই সব এলাকার কোথাও কোথাও পানি ধারক স্তরেরই (অ্যাকুইফার) সন্ধান পায়নি। এলাকাগুলো হচ্ছে রাজশাহীর তানোর উপজেলা পাচন্দর ইউনিয়ন, মন্ডুমালা পৌর এলাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নওগাঁর পোরশার ছাওড় ইউনিয়ন ও সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়ন। সাধারণত দেড় থেকে ২০০ ফুটের মধ্যে অ্যাকুইফার পাওয়া যায়। কিন্তু এই ইউনিয়নগুলোতে, বিশেষ কয়েকটি জায়গায় তা পাওয়া যায়নি। আশপাশে ছোট ছোট পকেট অ্যাকুইফার রয়েছে। যে এলাকায় পকেট অ্যাকুইফারেও পানি নেই, সেখানকার মানুষকে দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
    এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো সময় এই পকেট অ্যাকুইফার শেষ হয়ে যেতে পারে। জরিপ শেষে ওয়ারপো এই এলাকাগুলোকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করলে পানি নীতি অনুযায়ী এসব জায়গায় পানি ব্যবহার করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে প্রথম খাওয়ার পানি অগ্রাধিকার পাবে।
    জানা গেছে,বিগত ১৯৮৫-৮৬ সাল থেকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে সেচকাজ করছে। এর ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
    এদিকে পানি সংকটের বিষয়ে বিএমডিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাসেম বলেন, বিএমডিএর একটা নাম হয়ে গেছে যে তারা শুধু ভূগর্ভস্থ পানি তোলে। আসলে এখন পল্লী বিদ্যুৎ থেকে সংযোগ নিয়ে কৃষকেরা বাড়ি বাড়ি খাওয়ার পানির জন্য সাবমারশিবল পাম্প বসাচ্ছে, সেই পাম্প থেকে ধানখেতে পানি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালের জুন থেকে তাঁরা গভীর নলকূপ বসানো একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন। কম পানিতে লাভজনক ফসল করার জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছেন।

  • পাবনা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্র-ত্যাশী সাজ্জাদের বিভিন্ন পূজামন্ডপ প-রিদর্শন ও আ-র্থিক অনুদান প্রদান

    পাবনা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্র-ত্যাশী সাজ্জাদের বিভিন্ন পূজামন্ডপ প-রিদর্শন ও আ-র্থিক অনুদান প্রদান

    এম এ আলিম রিপন,সুজনগরঃ পাবনা-২ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক,সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল হালিম সাজ্জাদ। তিনি পাবনা-২ নির্বাচনী এলাকা সুজানগর ও বেড়া উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপে গিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পূজা উদযাপনের সার্বিক খেঁাজখবর নেন।এ সময় আব্দুল হালিম সাজ্জাদ তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি পূজামন্ডপ পরিচালনা কমিটির নিকট আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্য ও সম্প্রীতি ছাড়া উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই সবাই মিলে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে হবে। বিএনপির কাছে সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা হিন্দু-মুসলিম সমান চোখে দেখি। আমরা চাই প্রত্যেক নাগরিক নিরাপদে, আনন্দঘন পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করুক। শারদীয় দূর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে। তারা পূজামণ্ডপে এসে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করতে পারে জানিয়ে তিনি জানান এ জন্যসবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে কেউ কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে। হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু পূজা নয়, যেকোনো প্রয়োজনে আমি আপনাদের পাশে আছি। হিন্দু ভাই-বোনদের পাশে অতীতেও ছিলাম বর্তমানে আছি এবং আগামীতেও আপনাদের পাশে থাকব। পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এ সময় সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মজিবর রহমান খান, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মিয়া, পৌর বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দল বাতেন, হাটখালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান শিকদার লালু, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক বাবু, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নবী মোল্লা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আলম মন্ডল,যুবনেতা আনোয়ার হোসেন আনাই ও আরিফ বিশ্বাস এবং এন এ কলেজ শাখা ছাত্রদল নেতা শাকিল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • দোয়ারাবাজারে পূজা মণ্ডপ পরি-দর্শনে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মুশফেকুর রহমান

    দোয়ারাবাজারে পূজা মণ্ডপ পরি-দর্শনে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মুশফেকুর রহমান

    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সনাতনধর্মালম্বীদের সর্বোচ্ছ উৎসব
    শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ মুশফেকুর রহমান।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি দোয়ারাবাজারে সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ ও বিদ্যাজননী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলার বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি।

    ডিআইজি মুশফেকুর রহমান সনাতন ধর্মাবলম্বী ও মণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করেন। তিনি সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

    এর আগে ডিআইজি সিলেট তাকে স্বাগত জানান সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো.তোফায়েল আহমদ , এসপি (
    ছাতক-দোয়ারা) সার্কেল মো.আ: কাদের ও দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক।

    এসময় রেঞ্জ অফিস,জেলা পুলিশ এবং থানা পুলিশের কর্মকর্তারা ও দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালিব ভূইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ

    ,সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন মুন্সি, কোষাধ্যক্ষ সোহেল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক সুমন আহমদ,প্রচার সম্পাদক জহিরুল হক সানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • দোয়ারাবাজারে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর সন্ত্রা-সী হা-মলা, গু-রুতর আহ-ত

    দোয়ারাবাজারে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর সন্ত্রা-সী হা-মলা, গু-রুতর আহ-ত

    হারুন অর রশিদ।
    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ৫নং পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    আহত গৃহবধূর নাম জোসনা বেগম (৪৫)। তিনি ওমান প্রবাসী জমির হোসেনের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে এক সালিশে প্রবাসী জমির হোসেনের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওনা পরিশোধের রায় হয়। কিন্তু বিবাদী আব্দুল কালাম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করতে থাকেন।
    ঘটনার দিন দুপুরে টাকা চাইতে গেলে বাদানুবাদের একপর্যায়ে মিজানুর রহমান (২২) ও তার মা জোসনা বেগমের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত আমির বাদশা, আলীম উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, এনাম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, আব্দুল কালাম, সুমন মিয়াসহ আরও অন্তত ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা বেগমকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে এনে রামদা, দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
    এসময় গৃহবধূর বাম হাত, গলা ও পেটে গভীর রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা) এবং গলায় থাকা ১ ভরি স্বর্ণের চেইন (মূল্য প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগীর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়।
    পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত জোসনা বেগমকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে মিজানুর রহমান দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • নড়াইলে স-ম্প্রীতির এক অটুট বন্ধন মসজিদে চলছে নামাজ আর মন্দির চলছে শারদীয় দুর্গা পূজা

    নড়াইলে স-ম্প্রীতির এক অটুট বন্ধন মসজিদে চলছে নামাজ আর মন্দির চলছে শারদীয় দুর্গা পূজা

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
    নড়াইলে মসজিদে চলছে নামাজ আর মন্দির চলছে। শারদীয় দুর্গা পূজা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মসজিদে চলছে নামাজ আবার মন্দির চলছে পূজা এ যেন সম্প্রীতির এক অটুট বন্ধন। নড়াইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মহিষখোলা এলাকায় একপাশে মসজিদে চলছে নামাজ আদায়, অপরপাশে মন্দিরে চলছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা। এভাবে যার যার ধর্ম সে সে পালন করছে প্রায় ৪৫ বছর। এ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, জানা যায়, ১৯৮১ সালে নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা এলাকায় পুরাতন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আর এর কয়েকমাস পরে মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপটি তৈরি করা হয়। সেখান থেকেই এখানে শারদীয় দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ এলাকার মানুষের মাঝে নেই কোনো ভেদাভেদ। যার যার ধর্ম সে সে পালন করছেন।
    এ বছর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে এ বছরের পূজার আনুষ্ঠানিকতা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব বয়সের লোকজন ধর্মীয় আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। এ উৎসব চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর জেলায় ৫২৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় ২৩৯টি, লোহাগড়া উপজেলায় ১৪৪টি এবং কালিয়া উপজেলায় ১৪১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
    মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে পূজা দেখতে আসা দর্শনার্থী কলেজ ছাত্রী অনিতা বিশ্বাস বলেন, নড়াইলের মানুষ সব সময় একে অপরের ধর্মের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে থাকে এটিই তার বাস্তব উদাহরণ। সম্প্রীতির অটুট বন্ধন না থাকলে একই জায়গায় মসজিদে নামাজ আর মন্দিরে পূজা হতে পারে না। দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।
    মহিষখোলা পুরাতন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদের মুসল্লি রফিকুল ইসলাম বলেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করে। নামাজের সময় পূজার গান-বাজনাসহ আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ থাকে। নামাজ শেষ হলে আবার শুরু হয়। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কখনও কোনো সমস্যা হয়নি।
    নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক (অব:) নৃপেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, আমরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করি। মুসলমানরা একপাশে তাদের মসজিদে নামাজ আদায় করে, আর আমাদের পাশের মণ্ডপে পূজা-অর্চনা করে থাকি। কখনও কারও সঙ্গে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কখনও টু-শব্দ হয়নি, আশা করি বাকি জীবনে আর কখনও হবে না।
    নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভংকর সরকার টুপাল বলেন, আমরা ছোটোবেলা থেকে এখানে হিন্দু-মুসলিম সকলে আমরা একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। একই আঙিনায় এখানে একপাশে মসজিদ অন্য পাশে পূজার মন্ডপ। আমরা যার যার ধর্ম সে সে পালন করে থাকি। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করে থাকি। আমাদের মধ্যে সম্প্রীতির অটুট বন্ধন রয়েছে।
    তিনি আরও বলেন, প্রায় ৪৫ বছর ধরে আমরা এ মন্ডপে দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন পূজা করে আসছি। এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে কখনও মনোমালিন্যও হয়নি। যার যার ধর্ম সে সে পালন করছি। আশা করছি আগামীতেও কোনো সমস্যা হবে না। তারা আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে।
    নড়াইলের মহিষখোলা পুরাতন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা এনামুল হক বলেন, আমরা আমাদের ধর্ম পালন করি, তারা তাদের ধর্ম পালন করে এতে আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। আমাদের নামাজের সময় পূজার কার্যক্রম বন্ধ রাখে। নামাজ শেষ হলে তারা তাদের পূজা-অর্চনা, গানবাজনাসহ কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। এভাবেই বছরের পর বছর আমরা সবাই মিলেমিশে এখানে বসবাস করে আসছি। ইসলাম কখনও অন্যের ধর্মকে অবমূল্যায়ন করতে শেখায় না। সকল ধর্মকে সম্মান দেখায়। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।