Author: desk

  • বাবুগঞ্জে  ১৪ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার ও মালামাল চু-রি- সিসিটিভিতে ধ-রা দুই চো-র

    বাবুগঞ্জে ১৪ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার ও মালামাল চু-রি- সিসিটিভিতে ধ-রা দুই চো-র

    বরিশাল বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা>>

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন পশ্চিম রহমতপুর এলাকায় এক ভাড়াটিয়া বাসায় তালা ভেঙে স্বর্ণ ও রুপার অলংকারসহ প্রায় ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।

    ভুক্তভোগী তরুন চন্দ্র মন্ডল (৩৬), পিতা মৃত বিজন বিহারী মন্ডল, মাতা মলিনা রানী মন্ডল, স্থায়ী ঠিকানা ঝালকাঠি জেলার গাভা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জুতিয়া গ্রাম। বর্তমানে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে পশ্চিম রহমতপুর এলাকার নুর কমপ্লেক্স ভবনের ৪র্থ তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসি রহমতপুর বাজার শাখায় চাকরি করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে। ওই সময় ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রী নিজ নিজ কর্মস্থলে এবং শ্বাশুড়ি নাতিকে নিয়ে স্কুলে ছিলেন। দুপুরে বাসায় ফিরে শ্বাশুড়ি দেখতে পান, দরজার তালা ভাঙা এবং দরজা খোলা অবস্থায়। পরবর্তীতে তরুন চন্দ্র মন্ডল বাসায় ফিরে আলমারি খুলে দেখেন স্বর্ণ ও রুপার অলংকারসহ কাপড়চোপড় এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে এবং বহু মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে। চুরি যাওয়া মালামালের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

    ১০ আনা ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের লাল পলা

    এক ভরি ওজনের গলার হার এক ভরি ওজনের ২টি চেইন, ৫টি হাতের আংটি ,স্বর্ণের আয়স্তি, এক জোড়া বালা, কানের ঝুমকা, পাশা, দুল ও কান ফুল রুপার চেইন, বালা, নুপুরসহ অন্যান্য অলংকার সব মিলিয়ে চুরিকৃত মালামালের মোট বাজারমূল্য আনুমানিক ১৪,৩৭,০০০/- টাকা। চোরেরা তালা ও কড়া ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে চুরি করে এবং ভাঙা তালা ও কড়া একটি বেডরুমের বিছানার নিচে ফেলে যায়।

    সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে দুই চোর ঘটনার পর ভবনের চারপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুইজন অজ্ঞাতনামা চোর সকাল ১০টার দিকে ঘোরাঘুরির করে এবং কিছুক্ষণ পর ভবনে প্রবেশ করে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, তারাই চুরির সঙ্গে জড়িত, এবং ভবনের ঘেট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। ফুটেজে চোরদের স্পষ্ট চেহারা ধরা পড়েছে, যা পুলিশের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ভুক্তভোগী ঘটনার পর স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

    এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • পাইকগাছায় জমে উঠেছে মৌসুমী কাঁচা সুপারির হা-ট

    পাইকগাছায় জমে উঠেছে মৌসুমী কাঁচা সুপারির হা-ট

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
    খুলনার পাইকগাছায় গদাইপুর বাজারে কাঁচা সুপারি বেচা কেনার হাট জমে উঠেছে। এখন সুপারির ভরা মৌসুম চলছে। ফলে বাগান মালিক, খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা সুপারি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। উপজেলার গদাইপুর, আগড়ঘাটা, বাকা, নতুন বাজার, কপিলমুনিসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে সুপারি বিক্রি হচ্ছে। এ বছর সুপারির ফলন খুব বেশি ভাল হয়নি। ব্যবসাহীরা জানান, সুপারি পাকার শুরুতে দাম বেশী ছিলো, এখন দাম কিছুটা কমে গেছে।উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে,উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। গাছের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ৪শতটি। গাছ প্রতি ২ থেকে ৪ কাধি সুপারির ফলন ধরে। কোন কোন গাছে সর্বনিন্মে ৫০ থেকে ১৫০ আবার কোন কোন গাছে ৫শত থেকে ৬শত সুপারি ফলন হয়। লবণাক্ত এ উপজেলার ভূমির অবস্থান উচু ও বিলান, নিচু ও বিলান জমির পরিমাণ বেশী। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী,কপিলমুনি, রাড়ুলীতে সুপারি গাছের পরিমাণ বেশী। চাঁদখালী ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় সুপারি গাছ রয়েছে। বাকী ইউনিয়নগুলোতে গাছ নেই বললেই চলে।বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন হাটে সুপারি সরবরাহ করে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে পাইকারী সুপারি ক্রয় করে এলাকার বাইরে মোকাম গুলোতে বিক্রি করছে। তাছাড়া স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা সুপারি ক্রয় করে গুদামজাত করছে। যা পরে শুকিয়ে বা পানিতে মজিয়ে পরবর্তীতে বিক্রি করা হবে। গদাইপুর গ্রামের সুপারি বাগান মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর সুপারির ফলন খুব ভাল হয়নি তবে বাজার মূল্য ভাল। স্থানীয় সুপারি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর বাজারে সুপারির পরিমাণ কিছুটা কম। সুপারির দাম উঠানামা করেছে, প্রথমে ৭শত থেকে ৮ শত টাকা কুড়ি বিক্রি হলেও এখন ২৫০ থেকে ৩শত টাকা দরে কুড়ি বিক্রি হচ্ছে। সুপারির হিসাব অঞ্চল হিসাবে ভিন্ন। এ এলাকায় এক কুড়ি ৫৫গোন্ডা অর্থাৎ ২২০টি সুপারি। ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে পাইকারী সুপারি কিনে বড়দল, সোলাদানা, শান্তাসহ পাশ্ববর্তী হাট-বাজারের আড়ৎ গুলোতে সুপারি বিক্রয় করেন।সুপারি স্থানীয় সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। সুপারি ছাড়া পানের পূর্ণতার কথা ভাবা যায় না। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সুপারি ব্যবহার হয়। সুপারি কাঁচা, শুকনা, মজানো-ভিজা পান পাতা দিয়ে মুড়িয়ে খিলি বানিয়ে খাওয়া হয়।অনেকের আবার শুধু সুপারি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠির এক দশমাংশ সুপারি খান। শিশু, নারী ও পুরুষ সুপারি ব্যবহার করেন।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, সুপারি এ অঞ্চলের একটি অর্থকারী গুরুত্বপূর্ণ ফসল। তাছাড়া এ এলাকার সুপারির মানও ভালো। তবে লম্বা সুপারি গাছ গুলো মরে যাওয়ায় অথবা কেঁটে ফেলায় নতুন করে সুপারির বাগান তেমন একটা গড়ে উঠছে না। তাই কৃষি অফিস থেকে নতুন করে সুপারি বাগান তৈরীর জন্য বাগান মালিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • র‍্যাবের অভি-যানে বিপুল পরিমাণ মা-দকসহ আ-টক ১

    র‍্যাবের অভি-যানে বিপুল পরিমাণ মা-দকসহ আ-টক ১

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
    জানা গেছে,গত শুক্রবার (০৩ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার নতুন বাররশিয়া গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব সদস্যরা। এ সময় তারা ১১৭ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ৮৮ বোতল ফেন্সিডিল, একটি বার্মিজ চাকু ও মাদক বিক্রির নগদ ৯২ হাজার ৭৭০ টাকা উদ্ধার করে।
    আটককৃত ব্যক্তির নাম জিহাদ আলী(১৯)।তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার নামোচাকপাড়া গ্রামের আমান আলীর পুত্র। র‍্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত বিদেশি মদের মধ্যে রয়েছে-ROYAL STAG, SUPERIOR WHISKY, SIGRAM QUALITY (৩০ বোতল), SEAGRAM’S IMPERIAL BLUE SUPERIOR GRAIN WHISKY (৩০ বোতল), BLACK DOG CENTENNARY WHISKY (৩৪ বোতল) ও VAT 69 BLENDED SCOTCH WHISKY (২৭ বোতল)।
    র‍্যাব-৫ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংস্থাটি দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক ও অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ সফল অভিযান পরিচালিত হয়। উদ্ধারকৃত আলামত ও আটককৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।#

  • দোয়ারাবাজারে”অবৈ-ধ বালু উত্তোলন” মোবাইল কোর্টে দুইজনকে কা-রাদণ্ড” ২টি হ্যান্ড ট্রলিসহ বালু জ-ব্দ

    দোয়ারাবাজারে”অবৈ-ধ বালু উত্তোলন” মোবাইল কোর্টে দুইজনকে কা-রাদণ্ড” ২টি হ্যান্ড ট্রলিসহ বালু জ-ব্দ

    হারুন অর রশিদ।
    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চিলাই নদী থেকে ইজারা বিহীন অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে দুই যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরূপ রতন সিংহ।

    শনিবার (৪ অক্টোবর ২০২৫) সকালে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত এ মোবাইল কোর্ট অভিযান দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বালিচড়া গ্রামে বাংলাবাজার– বোগলাবাজার সড়কের পাশে চিলাই নদীর ভোলাখালী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত হয়। অভিযানে বোগলাবাজার ইউনিয়নের বালিছড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র মিলন মিয়া (২৭) ও লাল মিয়ার পুত্র ফালান মিয়া(২৫)কে ৬ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে এবং ২টি হ্যান্ড ট্রলি বালু বুঝাইসহ জব্দ করা হয়েছে।

    অভিযানে দোয়ারাবাজার থানার এসআই কৌশিক উপস্থিত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ বলেন, দোয়ারাবাজার উপজেলার ইজারাবহির্ভুত চিলাই নদীর বালিচড়া এলাকা হতে ২ জনের প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, বালিচড়া গ্রাম সংলগ্ন ভোলাখালী ব্রীজ তলদেশ হতে অবৈধভাবে বালুউত্তোলনের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • পাইকগাছায় চিংড়ী রোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অ-নুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় চিংড়ী রোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অ-নুষ্ঠিত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ।।

    খুলনার পাইকগাছায় চিংড়ী রোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার সকালে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, লোনাপানি কেন্দ্র, পাইকগাছা, খুলনার অডিটোরিয়ামে চিংড়ী রোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ও ইউনাইটেড স্টেটস্ ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এর যৌথ অর্থায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত চিংড়ীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উক্ত কর্মশালা আয়োজিত হয়। প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমন্ত্রিত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার (চিংড়ি চাষি, উদ্যোক্তা, টেকনিশিয়ান, ম্যানেজার, একুয়া ড্রাগস কোম্পানির প্রতিনিধি, গবেষক, বিজ্ঞানী) এর উদ্দেশ্য কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোনাপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. মো. লতিফুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আবু সাবাহ, সহকারী অধ্যাপক, ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ ও সফল চিংড়ী চাষী।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাকুয়াটিক এনিমেল হেলথ গ্রুপ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন জনাব শাওন আহম্মেদ, প্রভাষক, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন লোনাপানি কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মোঃ গোলাম মোস্তাফা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আহসান হাবিব (সেকশন ম্যানেজার, সিপি বাংলাদেশ), জিএম মিজানুর রহমান (সাংবাদিক), কমলেশ বিশ্বাস, (সিনিয়র টেকনিশিয়ান, শ্রিম্প কালচার, ইয়ন গ্রুপ), ইবরার হোসেন (টেকনিশিয়ান, সেতারা ফিস এন্ড শ্রিম্প ফার্ম), সাফুজ্জামান সাগর (পরিচালক, ব্লু-বে বাগদা ও গলদা ফার্মিং), হেলাল উদ্দিন খান (ম্যানেজার, রয়েল গ্রুপ), তারক সানা (চিংড়ী চাষী) সহ আরো অনেকে । কর্মশালায় চিংড়ী চাষীদের বাস্তব ভিত্তিক উপলব্ধি প্রকাশ, চিংড়ীর প্রধান রোগসমূহের বর্তমান অবস্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশলের উপর অতিথিবৃন্দ আলোচনা করেন।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • পাইকগাছায়  অ-নির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন

    পাইকগাছায় অ-নির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ।।

    বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাইকগাছায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে এসোসিয়েশন এর আওতাধীন কর্মচারীরা। ১ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। সরকারি ছুটি শেষে ৪ অক্টোবর শনিবার ও অব্যাহত রয়েছে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক / সমমান সংযুক্ত করে ১৪ তম গ্রেড প্রদান ও ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদান সহ ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ইপিআই এবং টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে এসোসিয়েশন এর পাইকগাছা উপজেলা শাখা এ অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি পালন করছে। কর্মবিরতি পালনের সময় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশন এর উপজেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সহ সভাপতি আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক তুষার সরকার, এম আজিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, রীতা সরদার, বেবী সরদার, তরুলতা, কল্পনা বালা, নমিতা গাইন, প্রজিত রায়, সাইফুল ইসলাম, আল আমিন রেজা, রোকেয়া আক্তার, মুসলিমা খাতুন, লাইলী খাতুন ও ঝর্ণা সিকদার সহ সকল স্বাস্থ্য সহকারী।

  • ৮০ বছর থেকে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বি-খ্যাত গোদাগাড়ীর পানিহার লাইব্রেরি

    ৮০ বছর থেকে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বি-খ্যাত গোদাগাড়ীর পানিহার লাইব্রেরি

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ আলবার্ট আইনস্টাইন এর মতে, “লাইব্রেরির অবস্থান জানা ঠিক পাঠশালার ঠিকানা জানা মতো”
    লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার শুধু বইয়ের ভাণ্ডার নয়—এটি জ্ঞান, কল্পনা এবং স্বপ্নের এক অনন্ত জগৎ। এখানে প্রতিটি বইয়ের পাতায় লুকিয়ে থাকে নতুন এক অভিজ্ঞতা, নতুন এক শিক্ষা। এসব কথাগুলির মূল্যয়ন করে
    রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল অজপাড়াগাঁ পনিহার গ্রামে এনায়েত উল্লাহ পন্ডিত গড়ে তোলেন লাইব্রেরির যার নাম ঐতিহাসিক বিখ্যাত পানিহার লাইব্রেরি। এখানে যে কেউ এসে পাঠাগারের গ্রন্থবলির বৈচিত্র্য ও বিপুল সংখ্যা দর্শন করে বিস্মিত হবেন। কতটা ঐকান্তিক আগ্রহ এবং সাধনা থাকলে এইরূপ একটি বিরাট সংখ্যার একত্র সমন্বয় করা যায়, সে শুধু কল্পনার বিষয়।” আমরা গর্বিত জাতি, গর্ব করার মতো এখনো অনেক কিছু আছে।

    শেখ এনায়েত উল্লাহর জন্ম এই পানিহারেই‌। গ্রামটিতে যাতায়াতের জন্য আগে কোন পাঁকা সড়ক ছিল না‌। এনায়েত উল্লাহ প্রতিদিন হেঁটে যেতেন ১৩ কিলোমিটার দূরের স্কুলে। এভাবেই প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে পড়াশোনা করতে যান অবিভক্ত বাংলার নবাব বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। তিনি যখন মাইনোর (এখনকার অষ্টম শ্রেণি) পাস করেন, তখন মারা যান বাবা। এনায়েতের স্কুলজীবনও এখানেই শেষ‌‌। কিন্তু বই পাগল এনায়েতের পড়ার ঝোঁক ছাড়ে না।

    তিনি বই কিনতেন আর আলমারিতে সাজিয়ে রাখতেন। তখন গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত মানুষও তাঁর বাড়িতে গিয়ে বই পড়া শুরু করলেন। তা দেখেই আশেপাশের কিছু মানুষকে নিয়ে এনায়েত উল্লাহ প্রতিষ্ঠা করলেন পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি। তখনো পানিহারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। গ্রাম থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ছিল বাসস্ট্যান্ড। আর ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল রেলস্টেশন‌। তবুও দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই লাইব্রেরীতে আসতেন।

    রাজশাহী থেকে বিখ্যাত ‘পানিহার লাইব্রেরী দেখতে গিয়েছিলাম গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী এক বন্ধুর সাথে। গোদাগাড়ী যাবার পথে বসন্তপুর মোড়, রাজশাহী মহানগরী থেকে ১৭ কিঃ মিঃ, সেখান থেকে ৭/৮ কিঃমিঃ গ্রোগ্রাম ইউনিয়ন হয়ে পানিহার গ্রাম। সেখানে জরাজীর্ণ ভগ্ন লাইব্রেরী দেখে কষ্টই হয়েছিল, এক সময়কার বিখ্যাত মনীষী ও গুণীজনের পদভারে আলোকিত সেই বিখ্যাত লাইব্রেরী দেখে।

    গোদাগাড়ী উপজেলার বরেন্দ্রভূমির এক সময়কার সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকার পল্লীর এক নিভৃত গ্রাম পানিহার। এই গ্রামের শিক্ষানুরাগী এনায়েত উল্লাহ পন্ডিত তাঁর বাড়ির সামনে ২ শতক জমির উপর মাটির ঘর ও টিনের চালা নির্মিত দুটি ঘরে এই ঐতিহ্যবাহী লাইব্রেরীটি ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।
    এই লাইব্রেরীতে বর্তমানে ত্রিশ হাজেরের মত নামী দামী দেশ বিদেশের বহু লেখকের বই রয়েছে। সাময়িকী পত্রিকা, উপন্যাস, কবিতা, বাংলা অনুবাদ,কাব্য ও কবিতা, বিশ্বকোষ, নাটক, জীবনী, রহস্য উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, ডিকেটটিভ, অর্থনীতি, উদ্ভিদ ও প্রাণী বিজ্ঞান বই ইত্যাদি।
    গোদাগাড়ীর সাঁওতাল জনপদে জন্ম নেওয়া সাঁওতাল সংগ্রামী নেতা এনায়েত মাষ্টারের পরম বন্ধু শিক্ষানুরাগী সারগাম ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে সংসদ সদস্য এল,এম,এ নির্বাচিত হলে এ লাইব্রেরীটি আরও সমৃদ্ধ হয়।

    তৎকালীন মন্ত্রী প্রভাস লাহিড়ী, ধীরেন দত্ত, আইনুদ্দীন চৌধুরী,পল্লী কবি জসিম উদ্দীন,কবি বন্দে আলী মিয়া সহ অনেক দেশ বিদেশের কবি,সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ,গবেষক এই লাইব্রেরীতে এসেছেন এবং মুগ্ধ হয়েছেন। জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদি তে এ লাইব্রেরির কথা সুন্দরভাবে তুলে ধরেণ সুন্দর উপস্থাপনার অধিকারী হানিফ সংকেত। ৫০ হাজার টাকা অনুদানও হয়েছ।
    চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাচোলের রানী খ্যাত তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ইলা মিত্র এই গ্রামে লুকিয়ে থাকা অবস্হায় এই লাইব্রেরীতে যেতেন ও সময় কাটাতেন বলে কথিত রয়েছে।

    ১৯৭৫ সালে এনায়েত মাষ্টারের মৃত্যুর পর হতে ধীরে ধীরে এর অবকাঠামো দূর্বল হয়ে পড়ে, মাটির দেওয়াল খসে পড়ে, চালার টিনগুলো ফুটো ও মরিচাধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে লাইব্রেরীটি এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়।

    পরবর্তী সরকারী ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় ও চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় লাইব্রেরীটির ছাঁদওয়ালা পাঁকাঘর নির্মাণ করে দেন। ফলে বহুকালের পুরাতন গুরুত্বপূর্ণ বই সংরক্ষনের ব্যবস্থাকরনের ফলে লাইব্রেরীটি আবারো তার পুরাতন ঐতিহ্য ফিরে পায় ঐতিহ্য আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী জানান। আসুন আমরা এই লাইব্রেরীটিকে রক্ষা করি ও জ্ঞান অর্জনে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সহায়তা করি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই গ্রামীণ লাইব্রেরিটি একসময় ছিল শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এখানে এসে জ্ঞানের আলো ছড়াতেন। ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ—বই পড়া, আলোচনা, পাঠচক্র, প্রাণবন্ত উপস্থিতি।

    কিন্তু আজ এই লাইব্রেরিটি তার প্রাণ হারিয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, এটি এখন প্রায় সারাবছর বন্ধই থাকে—শুধু কোনো গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এলে সাময়িকভাবে খোলা হয়, এরপর আবার তালা ঝোলে। ধুলো পড়ে, বই অযত্নে থাকে, কোন কার্যক্রম হয় না।

    কাশিমালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শওকত আলী জানান, একটি লাইব্রেরি শুধু ভবন নয়—এটি জ্ঞান, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও চিন্তার বিকাশের স্থান। পানিহার লাইব্রেরীতে দেশ বিদেশের অনেক বিখ্যাত লোকজন এসেছেন, বিবিসি, টেলিভিশন, স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকা, ইত্যাদিতে প্রচার করা হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করি যেন লাইব্রেরীটিকে আধুনিক ডেকরেশন করে জাঁকজমকপূর্ণভাবে সচল ও কার্যকর করতে। এককই মন্তব্য করেন দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান।

    লাইব্রেরীতে বইয়ের সংখ্যা এখন ৭ হাজার ৩১৫টি। এর বেশির ভাগই কলকাতা থেকে সংগ্রহ করেছিলেন শেখ এনায়েত উল্লাহ। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় নিবন্ধিত গ্রন্থাগার ৩১টি। সর্বোচ্চ ৩২ হাজার ৫৪৪টি বই আছে রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারে। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বই আছে গোদাগাড়ীর নিভৃত পল্লির সেই লাইব্রেরীতে।

    প্রতিষ্ঠাতা শেখ এনায়েত উল্লাহর জীবন প্রদীপ থেমেছে অনেক আগেই‌। কিন্তু আজও নিভৃত পল্লির জ্ঞানের আলোর প্রদীপ হয়ে আছে তাঁর প্রতিষ্ঠা করা লাইব্রেরি‌। ১৯৭৫ সালের ৯ এপ্রিল পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি গিয়ে পরিদর্শন বইয়ে এ কথা লিখেছিলেন কবি বন্দে আলী মিয়া‌‌।

    ১৯৮৯ সালেও জাইদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি লাইব্রেরিতে গিয়ে পরিদর্শন বইয়ে লিখেছেন, “দীর্ঘ পাঁচ মাইল পথ পায়ে হেঁটে পানিহারে আসার সময় নিজের প্রতিই ভীষণ ক্ষুব্ধ হচ্ছিলাম। আমার বলতে এখন লজ্জা নেই, আসার সময় বারংবার মনে হচ্ছিল যেখানে আলো নেই, সভ্যতার বাইরে যারা বাস করে, সেখানে আবার লাইব্রেরি! অথচ এসে আমার চক্ষু চড়কগাছ! সত্যিই এ এক অগাধ জ্ঞানের সমুদ্রই বটে। যার কূল আমি হয়তোবা কোন দিনই পাব কি না, সন্দেহ।”

    নতুন তিনটি ঘরে সারি সারি পুরনো দিনের আলমারিতে রাখা আছে সাহিত্য, কবিতা, বিজ্ঞান, শিশুসাহিত্য, অভিধান, ভ্রমণ, নাটক, ইংরেজি সাহিত্য, ধর্মগ্রন্থ, ইতিহাস, জীবনী, রম্যরচনা, উপন্যাস-রহস্য উপন্যাসের বই গুলো। বই ছাড়াও আছে শনিবারের চিঠি, মাসিক মোহাম্মদী, ভারতবর্ষ, সাপ্তাহিক নতুন দিন-এর মতো পুরনো পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী। দেয়ালে দেয়ালে টাঙানো বিখ্যাত মনীষীদের ছবি। যত্ন করে রাখা হয়েছে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠাতা স্কুলশিক্ষক এনায়েত উল্লাহর ছবিও।

    এখন একটি কমিটির মাধ্যমে লাইব্রেরীটি পরিচালিত হয়। গত শুক্রবার বিকালে লাইব্রেরিতেই পাওয়া গেল লাইব্রেরিয়ান মোয়াজ্জেম হোসেনকে। তিনি জানালেন, আগে গ্রামের মানুষের বিনোদনের মাধ্যমই ছিল বই। এখন যুগ পাল্টেছে‌। সবাই মোবাইলে ব্যস্ত! তাও কিছু শিক্ষার্থী লাইব্রেরিতে আসেন। আর আসেন গবেষকেরা। পুরনো বইপত্র থেকে খুঁজে নেন নানা তথ্য। আগামী প্রজন্ম শুধু লাইব্রেরির নাম শুনবে, কিন্তু তার প্রাণবন্ত রূপ আর কখনও দেখতে পাবে না।

    মোঃ হালদার আলী
    রাজশাহী।

  • সাভারে হ-ত্যা চেষ্টা ও গ-ণহত্যা মাম-লা বা-ণিজ্যে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ হয়রানির শি-কার

    সাভারে হ-ত্যা চেষ্টা ও গ-ণহত্যা মাম-লা বা-ণিজ্যে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ হয়রানির শি-কার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার আশুলিয়ায় হত্যা চেষ্টা ও গণহত্যা মামলা বাণিজ্যে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ চরমভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। মামলা বাণিজ্যে নাম উঠে এসেছে সায়েব আলী, আঃ জলিল ও রবিউল, রফিকসহ কয়েক জনের। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী, এমনকি সাংবাদিকদেরকেও মামলায় জড়িয়ে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং হয়রানি করছে।

    অভিযোগ, ফেসবুকের ভুয়া আইডি ‘সৈরাচারমুক্ত সুবিধাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস’ ব্যবহার করেও এই সিন্ডিকেট চাপ সৃষ্টি করছে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষকে।

    গণহত্যার প্রকৃত খুনিরা বিদেশে পালিয়ে গেলেও মামলায় অনেক নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মহোদয় বিষয়গুলো জানলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন তা জাতি জানতে চায়।

    ঘটনার প্রেক্ষাপটঃ ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আশুলিয়ার বাইপাইলে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে, দুই পুলিশ সদস্যকে ধরে এনে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয় ওভার ব্রীজে।

    ছাত্র জনতার ৬টি লাশ গুম করতে গিয়ে পুলিশের ভ্যানে থাকা লাশ আগুনে পোড়ানো হয়। এই ঘটনা ঘিরেই শুরু হয় মামলা ও গ্রেফতারের ধারা।

    বিতর্কিত দিকঃ গণহত্যার মতো সংবেদনশীল মামলাকে ব্যবসায় পরিণত করার অভিযোগ জনমনে ক্ষোভ তৈরি করেছে।

    প্রকৃত খুনিরা বাইরে থাকলেও মামলাবাজরা সাধারণ মানুষকে ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠছে। মামলা বাণিজ্য আরও কারা করছে তদন্ত চলছে বলে দাবী করেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।

  • দেবীগঞ্জে ভাউলাগঞ্জ মাদরাসার অধ্যক্ষ ও তার ছেলের বিরু-দ্ধে লু-টপাটের অভি-যোগ

    দেবীগঞ্জে ভাউলাগঞ্জ মাদরাসার অধ্যক্ষ ও তার ছেলের বিরু-দ্ধে লু-টপাটের অভি-যোগ

    মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় ভূয়া কাগজ ব্যবহার করে ছেলেকে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বানিয়েছেন। বাবা আর ছেলে মিলে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, এমপিও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদরাসার নাম ভাউলাগঞ্জ দারুসসালাম নেছারিয়া আলিম মাদরাসা। মাদরাসাটি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ বাজারে। অভিযুক্ত ওই অধ্যক্ষের নাম মাওলানা আজিবুর রহমান। তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ওলামা দলের দেবীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি।
    এছাড়া নিয়োগে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে এনটিআরসি নিবন্ধন ছাড়া ১০ জন শিক্ষক ও নানা অনিয়ম করে ৫ জন কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ব্যাক্তি।
    অভিযোগ থেকে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ দারুসসালাম নেছারিয়া আলিম মাদরাসায় গত জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের পর পূর্বের তারিখ দেখিয়ে এনটিআরসি নিবন্ধন ছাড়া বিভিন্ন পদে প্রায় ১০ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ আজিবুর রহমান ও তার ছেলে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মাহমুদ হাসান মাসুদ। এছাড়া মাসুদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজে ক্রটি রয়েছে। তার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ভূয়া। তিনি ভুয়া সনদ তৈরির মূল কারিগর এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদরাসার মুল ভবনের নকশা পরিবর্তন করে শ্রেণী কক্ষের জানালা বন্ধ করে সড়কের উপরে দোকান নির্মাণ করেছেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মাদরাসার স্বার্থবিরোধী।
    অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বাবা ছেলে মিলে তারা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা শুরু করেছেন। অনিয়ম করে ৫ জন কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে সরকারি বিধিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী উপায়ে। এছাড়াও বর্তমানে আরো ৫ জন শিক্ষকের এমপিও অনুমোদনের জন্য পূর্বের নিয়োগ দেখিয়ে কাগজপত্র প্রেরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। যেখানে সরকারি সময়সীমা ছিল চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই কর্মকান্ড পুরোপুরি বেআইনি ও শিক্ষানীতি বিরোধী।
    অনিয়মমূলক কর্মকান্ডে দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সক্রিয় সহযোগিতা করছেন। যার ফলে এসব বেআইনি কাজ রোধ করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে

    অভিযোগে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মাদরাসার শিক্ষা পরিবেশ রক্ষা, সরকারি বিধিমালা বাস্তবায়ন এবং দুর্নীতি দমন করার লক্ষ্যে, মাদরাসার সভাপতির ভুয়া সনদপত্র যাচাই ও ব্যবস্থা গ্রহণ, এনটিআরসি ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিষয়ে তদন্ত, অবৈধ ভাবে দোকান নির্মাণ ও মাদরাসার অবকাঠামো পরিবর্তনের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

    অভিযোগকারী মামুন মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ছেলেকে সভাপতি বানিয়েছেন অধ্যক্ষ বাবা। তাদের অনিয়মের শেষ নেই। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। সঠিক তদন্ত চাই। এই ঐতিহ্যবাহী মাদরাসার সুনাম কেউ ক্ষুন্ন করুক সেটা আমরা চাই না। নিয়োগ বাণিজ্য ও বাবা ছেলের দুর্নীতির বিচার চাই। যাতে আর কেউ এসব করার সাহস না পায়।
    এবিষয়ে জানতে ভাউলাগঞ্জ দারুসসালাম নেছারিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আজিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলের বিষয়ে আপনার আপত্তি কথায়। আমিতো আপনার সব কথার উত্তর দিতে পারবোনা। একটা তদন্ত হচ্ছে সেটা হোক। ঠিক আছে ভাল থাকবেন।
    সম্প্রতি এই অভিযোগের তদন্তে মাদরাসাটি পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব পেয়ে তদন্তে গিয়েছিলাম। তাদের কাছে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা অফিসার জড়িতের যে অভিযোগ করা হয়েছে তাও দেখা হচ্ছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • দুর্গাপূজার নি-রাপত্তা ও সু-ষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে ইউএনও

    দুর্গাপূজার নি-রাপত্তা ও সু-ষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে ইউএনও

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মবসিংহের সদর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

    পুর্জার প্রতিমা তৈরীকাল থেকে শুরু করে বিজয়াদশমী বিসর্জন পর্যন্ত তিনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের খোজ নেন এবং কোথায় কি সমস্যা আছে তা পর্যবেক্ষণ করে সমাধান করেন।

    প্রতিটি মন্ডপে সরেজমিন খোঁজখবর নিয়ে তিনি দেখেন নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি আছে কিনা, দায়িত্ব পালনে অবহেলা হচ্ছে কি না, অথবা জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা। তার দায়িত্বশীল উদ্যোগে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

    অনেকে তাকে উপজেলার পূজা মন্ডলের প্রকৃত অভিভাবক” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
    ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূজা মণ্ডপ সফরসঙ্গী হিসেবে এই তদারকিতে তার সঙ্গে ছিলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা,দাপুনিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, ভাবখালী ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস,কুষ্টিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, চরনিলক্ষিয়া ইউনিয়নের প্রশাসক উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারিক আজিজসহ রাজনৈতিক সামাজিক বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজনকে উপজেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দকৃত চাউল অন্যান্য সহযোগিতা সঠিক সময়ে দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের কোন প্রকার সমস্যা না হয়।

    শারদীয় দুর্গোৎসবকে শান্তিপুর্ণ ও উৎসবমুখর ভাবে সফল করতে জেলা প্রশাসক স্যারের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক সব সময় মনিটরীং করা হয়েছে যাতে সদর উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা দুষ্কৃতিকারীরা কোন প্রকার সমস্যা না করতে পারে সেই দিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।

    উপজেলার ৪০টি পূজা মন্ডপে ইউএনও স্যার নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। যেকোনো প্রয়োজনে তিনি নিজেই ছুটে গেছেন ঘটনাস্থলে।

    স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান-এবার দুর্গাপূজায় প্রতিবছরের তুলনায় খোজ খবর নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা, জেলা-উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দ পুলিশ প্রশাসনের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন ও তদারকির কারণে কোন প্রকার সমস্যার জনিত কারণ ছাড়াই এবারের পূজা উদযাপন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মলম্বী লোকজন তাদের ধর্মীয় উৎসব শান্তিতে উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করতে পারে সেই দিকে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দের প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৪০টি পূজা উদযাপন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য আমি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।