Author: desk

  • কলেজ ছাত্রকে বলা-ৎকারের অ-ভিযোগ বিএনপি নেতার বিরু-দ্ধে থানায় মা-মলা সহযোগি গ্রে-প্তার

    কলেজ ছাত্রকে বলা-ৎকারের অ-ভিযোগ বিএনপি নেতার বিরু-দ্ধে থানায় মা-মলা সহযোগি গ্রে-প্তার

    কেএম সোয়েব জুয়েল।

    দুইজন সহযোগির মাধ্যমে কৌশলে এক কলেজ ছাত্রকে (১৭) ডেকে নিয়ে বিএনপি নেতা কর্তৃক বলাৎকারের অভিযোগে বুধবার (৮ অক্টোবর) থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাৎক্ষনিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামে।

    মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি মাসুদ সরদার ওরফে কিং মাসুদ খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসলেম সরদারের ছেলে।

    স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইতালী প্রবাসী মাসুদ সরদার ওরফে কিং মাসুদ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর নিজ এলাকায় আসেন। পরবর্তীতে তিনি (মাসুদ) ইতালী প্রবাসী বিএনপি নেতা দাবি করে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার ছবি সম্মিলিত ব্যানার ও পোস্টারের মাধ্যমে এলাকায় বিএনপির ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন।

    বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে পূর্ব সমরসিংহ গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে জানা গেছে-ভুক্তভোগী মাদারীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত কিং মাসুদ প্রথমে ফেসবুকে ম্যাসেজ দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে।

    পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর সহপাঠী কমলাপুর গ্রামের লোকমান সরদারের ছেলে ইমন সরদারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে সমরসিংহ বাজারে নিয়ে আসে। এরপর ইমন ভুক্তভোগীকে ভ্যানযোগে ইল্লা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায়।

    সেখান থেকে কিং মাসুদ ও ইমন ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রকে সাথে নিয়ে অপর অভিযুক্ত খাঞ্জাপুর গ্রামের সামসুল হক ফকিরের ছেলে নিলয় আহমেদের বসত ঘরে নিয়ে যায়।

    এজাহারে আরও জানা গেছে-নিলয় ও ইমন ঘরের বাহিরে চলে যাওয়ার পর কিং মাসুদ ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। পরবর্তীতে বিষয়টি কাউকে না জানোর জন্য প্রধান আসামি কিং মাসুদ ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে।

    এরপর ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র অসুস্থ হয়ে পরলে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত প্রধান আসামি মাসুদ সরদার ওরফে কিং মাসুদকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃত নিলয় আহমেদকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

  • সেনবাগে কিশোর গ্যা-ং বিরো-ধী অভি-যানে দেশীয় অ-স্ত্র সহ আ-টক -২

    সেনবাগে কিশোর গ্যা-ং বিরো-ধী অভি-যানে দেশীয় অ-স্ত্র সহ আ-টক -২

    রফিকুল ইসলাম সুমন
    (নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি)

    নোয়াখালীর সেনবাগ থানাধীন কাবিলপুর ইউনিয়নের দিলদার মার্কেটে এলাকায় কতিপয় কিশোর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মারামারিতে লিপ্ত হলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে সংবাদ দেয়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ স্থানীয় জনতার সহায়তায় দুইজন কিশোরকে আটক করে এবং তাদের ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়াল, দুইটি দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
    উক্ত ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তৎপরবর্তীতে উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহদাত হোসেন ( ১৮), পিতার নাম: মোঃ সাইফুল, মাতার নাম: নাসরীন আক্তার। মোঃ বাবলু (২০), পিতার নাম: মৃত আবুল কাশেম, মাতার নাম: শেফালী বেগম উভয় সাং-(পশ্চিম লালপুর (দই বেপারী বাড়ী) ৬নং কাবিলপুর ইউপি), থানা- সেনবাগ, জেলা –নোয়াখালী।
    তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

  • হ-ত্যা মা-মলায় নেতাকর্মীদের হয়-রানি ও চাঁ-দের বিরুদ্ধে অ-প্রচারের অভিযোগ 

    হ-ত্যা মা-মলায় নেতাকর্মীদের হয়-রানি ও চাঁ-দের বিরুদ্ধে অ-প্রচারের অভিযোগ 

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি বানিয়ে হয়রানি করা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় জামিনে থাকা আটজন আসামি সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তুলেছেন।

    তারা বলছেন, ঘটনার দিন আটজনের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। একমাত্র বিএনপি করার অপরাধেই তাদের হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। নিজ দলীয় নেতাকর্মী হওয়ার কারণে জেলা বিএনপির আহবায়ক সরল মনে বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে সুপারিশ করেছেন। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুপারিশ করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। 

    বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে চারঘাট থানা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আটজন আসামি সাংবাদিকদের সামনে তাদের এই অভিযোগ তুলে ধরেন। 

    সংবাদ সম্মেলনে মামলার ১৪ নম্বর আসামি রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজদার রহমান বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের সাথে দু একজন জড়িত থাকলেও সে ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে ২২ জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন মারা গেছে। বাকি ১৭ জনের মধ্যে ৮ জন স্থানীয় বিএনপির সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মী। শুধুমাত্র বিএনপি করার কারণে তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। মামলার বাদী ও ১৮ জন সাক্ষী সকলেই আ’লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। 

    তিনি বলেন, আমি ঘটনার দিন প্রধান শিক্ষক হিসাবে স্কুলেই অবস্থান করছিলাম। অথচ আমাকে, আমার স্কুলের সভাপতিকে, সভাপতির ছেলে ইমাদাদুলসহ যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের আসামি করা হয়েছে। যেহেতু ঘটনার সময় বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ তৎকালীন চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এজন্য পুরো ঘটনা তিনি অবগত ছিলেন। পাঁচ আগষ্টের পর আমরা গ্রামবাসী তার বাড়িতে গেলে অনুরোধের এক পর্যায়ে তিনি অসহায় নেতাকর্মীদের বাঁচাতে সুপারিশ করেছেন। এখানে টাকা লেনদেনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অথচ সেই আ’লীগের দোসররা আবু সাইদ চাঁদকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো শুরু করেছে।  

    মামলার আরেক আসামি ইমদাদুল ইসলাম বলেন, আমি ডাকরা কলেজের একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। ঘটনার দিন কলেজে থাকলেও আমাকে এবং আমার পিতাকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় জামিনে থাকলেও আ’লীগ সরকার থাকাকালীন সময় কলেজে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়নি। মিথ্যা মামলায় আমার সাজানো গোছানো সংসার ধ্বংস হয়ে গেছে। 

    সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল সালাম, হত্যাকান্ডের পর পুরো গ্রামের বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করা হয়েছে। জমির ফসল পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়েছে। দুঃখ দূর্দশার কথা শুনে এবং বিষয়টি অবগত থাকায় গ্রামবাসীর অনুরোধে আবু সাইদ চাঁদ ভাই সুপারিশ করেছেন। আসামিরা দীর্ঘ সময় আইন-আদালত করতে গিয়ে তিনবেলা খাবার জোটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিপুল অংকের টাকা আবু সাইদ চাঁদকে দিয়ে সুপারিশ করানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।

    উল্লেখ্য হত্যা মামলাটি বর্তমানে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে বিচারাধীন। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৪ অক্টোবর যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

    মোঃ মোজাম্মেল হক ।।

  • ‎ঝালকাঠির কমিউনিটি ক্লিনিকে একসঙ্গে সাত সাপ- আত-ঙ্কে স্বাস্থ্যকর্মীরা

    ‎ঝালকাঠির কমিউনিটি ক্লিনিকে একসঙ্গে সাত সাপ- আত-ঙ্কে স্বাস্থ্যকর্মীরা


    ‎ ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ‎ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের কারুয়াকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিকে একসঙ্গে সাতটি বিষাক্ত সাপ পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে।

    ‎বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালনের জন্য ক্লিনিকে প্রবেশ করেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মারজিয়া খানম। তিনি ক্লিনিকের ফ্লোরে সাপের নড়াচড়া দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয় কয়েকজন ছুটে আসেন। পরে স্থানীয় মিলনসহ কয়েকজন মিলে ফ্লোরের গর্ত থেকে ও বাথরুম থেকে মোট সাতটি সাপ ধরে মেরে ফেলেন, যার সবগুলোই ছিল বিষাক্ত।

    ‎স্থানীয়দের ধারণা, ক্লিনিকের ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ফাঁক-ফোঁকর ও গর্ত তৈরি হয়েছে। সেখানেই সাপের আবাসস্থল গড়ে উঠেছে।

    ‎কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মারজিয়া খানম বলেন, এত পুরনো ভবনে কাজ করতে ভয় লাগে। আজ সাতটা সাপ ধরা পড়েছে, কাল আরও হতে পারে। ভবনটি দ্রুত সংস্কার না করলে আমাদের দায়িত্ব পালন করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

    ‎স্থানীয়রা জানান, ভবনটি সংস্কার করে নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এ ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে।

  • প্রবাসীর ফলের বাগানের বেড়া ভেঙে প্রা-ণনাশের হুম-কি পঞ্চগড়ে

    প্রবাসীর ফলের বাগানের বেড়া ভেঙে প্রা-ণনাশের হুম-কি পঞ্চগড়ে

    বেড়া ভাঙার অভিযোগে থানায় অভিযোগ, কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় প্রবাসীর ফলের বাগানের বেড়া ভেঙে দিয়ে উল্টো মালিকপক্ষের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বড়শশী ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার প্রবাসী ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা নবীউল আলম সুজন এবং নাসির উল আলম সুমন তাদের পৈতৃক জমিতে সম্প্রতি কদবেলের বাগান গড়ে তোলেন। জমিতে গাছ লাগিয়ে বেড়া নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বেড়া লাগানোর পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক নাজমুন নাহারের নির্দেশে একই এলাকার লালু, শফিকুল, হুমায়ূন, শাহজাহান, দুলাল, মউর, মনির, মহিদুল, রুপা, শাহিনুর, খতিবর, রতনসহ প্রায় ৩০ জন লাঠিসোটা নিয়ে এসে বেড়াটি ভেঙে ফেলেন।

    এ সময় তারা জমি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আশরাফ আলীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বেধড়ক মারধর করেন। লাঠির আঘাতে তার হাতে গুরুতর জখম হয়। আশরাফ আলীর অভিযোগ, হামলাকারীরা তাকে হত্যার হুমকিও দেয় এবং বলেন, “আবার বেড়া দিলে তা ভেঙে ফেলবো।” পরে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন।

    ভুক্তভোগী আশরাফ আলী বলেন, “আমার মালিকের জমিতে কদবেলের বাগান করেছি। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত জমিতে আমরা চাষাবাদ শুরু করি ও বেড়া দিই। কিছু মানুষ ওই জমির উপর দিয়ে চলাফেরা করত, তাই হয়তো তারা ক্ষিপ্ত হয়েছে। কিন্তু এজন্য বাগানের বেড়া ভেঙে দেওয়া বা আমাকে মারধর করার অধিকার তাদের নেই। আমি এর বিচার চাই।”

    অন্যদিকে স্থানীয় মনির হোসেন বলেন, “আমরা নাজমুন নাহারের জমি চাষ করি। তবে সুমন ও সুজনের জমির উপর দিয়েই আমাদের চলাচলের পথ। আমাদের কয়েকটি ভ্যান আছে, ওই পথে না চললে ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে। মহাজন নাজমুন নাহার আমাদের রাস্তাটি খুলে দিতে বলেছেন, না হলে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন। আমরা বাধ্য হয়ে বেড়া ভেঙেছি, যদিও এটা ভুল ছিল।”

    বিতর্কিত জমির মালিক দাবিদার নাজমুন নাহার বলেন, “জমি ভাগবাটোয়ারা হয়নি, ওখানে আমারও অংশ আছে। তারা রাস্তা বন্ধ করে দিলে মানুষ চলবে কোথা দিয়ে? ভাগ হয়ে গেলে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আমি কোনো সংঘাতে যেতে চাই না।”

    বড়শশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, “আমরা মানবিক কারণে রাস্তাটি খুলে দিতে বলেছি। ওই জমির পশ্চিমে নদী ও বাঁশঝাড় আছে, বিকল্প পথ নেই। তাই আপাতত রাস্তাটি খোলা রাখতে বলা হয়েছে।”

    এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন বলেন, “একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা, হচ্ছে।”

  • মোরেলগঞ্জে শিশু ও কন্যা দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আ-লোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    মোরেলগঞ্জে শিশু ও কন্যা দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আ-লোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বিশেষ প্রতিনিধি:

    “আমি কন্যা শিশু, স্বপ্নপুরী স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উদযাপন করা হয়েছে শিশু ও কন্যা দিবস ২০২৫।

    আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলা প্রশাসন চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

    র‌্যালি শেষে উপজেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। সভার সঞ্চালনা করেন দলনেত্রী মরিয়ম আক্তার। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাবিবউল্লাহ। সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইখতিয়ার হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা গৌতম কুমার বিশ্বাস, উপজেলা জামাতে ইসলামীর আমির মাওলানা শাহাদাত হোসেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম শহিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “স্বপ্ন” এর প্রতিনিধি শারিয়া ইসলামসহ অনেকে।

    আলোচনায় বক্তারা কন্যা শিশুদের অধিকার, নিরাপত্তা এবং সমান সুযোগ নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সমাজে কন্যা শিশুর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান।

  • সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  নতুন (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব গ্র-হণ করলেন মাহবুবুর রহমান

    সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নতুন (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব গ্র-হণ করলেন মাহবুবুর রহমান

    হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার সাভারে (৮ অক্টোবর ২০২৫ইং) সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেছেন জনাব মাহবুবুর রহমান। এর আগে তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫ইং) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ পদায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার (মাঠ প্রশাসন) শিবানী সরকার।

    অপরদিকে, সাভারের সাবেক ইউএনও জনাব আবুবকর সরকারকে পরবর্তী পদায়নের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

    প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ নবনিযুক্ত ইউএনও মাহবুবুর রহমান সাভারে দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই সরকারি কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সেবা প্রদান, উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

    সাভারে তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাঝে ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সাভারবাসী তার কাছে আশাবাদী

  • কোটালীপাড়া সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক কমি-টি গঠন

    কোটালীপাড়া সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক কমি-টি গঠন

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    `বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ‘ — এই স্লোগানকে সামনে রেখে গোপালগেঞ্জের কোটালীপাড়ায় ‘কোটালীপাড়া সাংবাদিক ফোরাম’ -এর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

    বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে কোটালীপাড়া সাংবাদিক ফোরামের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েলকে আহ্বায়ক ও দৈনিক ভোরের আলো পত্রিকার কালাম তালুকদারকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কোটালীপাড়া সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও আহ্বায়ক কমিটিতে হৃদয় হাওলাদার, মায়াজ হাওলাদার ও সৈকত ফরাজী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    সভায় আগামী ৩ মাসের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার সিন্ধান্ত গৃহীত হয়।
    নবগঠিত কোটালীপাড়া সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বলেন, পারস্পরিক সম্পর্ক, পেশাগত উৎকর্ষ ও নিজ এলাকার মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে কোটালীপাড়ায় কর্মরত কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু হলো। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করতে সংগঠনটি সদা তৎপর থাকবে। সকল সাংবাদিকের উচিত ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে পেশাদারিত্ব ভূমিকা বজায় রাখা।

  • কোটালীপাড়ায় ছাত্রদল নেতাসহ ২ মাদ-কসেবী আ-টক, ৩ মাসের কা-রাদণ্ড

    কোটালীপাড়ায় ছাত্রদল নেতাসহ ২ মাদ-কসেবী আ-টক, ৩ মাসের কা-রাদণ্ড

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রদল নেতা রিফাত হাওলাদারসহ দুই মাদকসেবনকারীকে আটক করে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
    মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার টুটাপাড়া গ্রামে গোপালগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে রিফাত জামান হাওলাদার (২৮) ও নাদিম মাহমুদ (১৯) নামে দুই মাদকসেবীকে ১ পিস করে ইয়াবাসহ আটক করা হয়।
    আটককৃত রিফাত জামান হাওলাদার উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের টুটাপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য। আটককৃত অপর ব্যক্তি নাদিম মাহমুদ কোটালীপাড়া পৌরসভার ডহরপাড়া গ্রামের ইলিয়াস শেখের ছেলে।
    ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই মাদকসেবীকে দুইশত টাকা করে জরিমানা এবং তিন (০৩) মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুম বিল্লাহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা মাদক সেবনের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে তারা মাদক বিক্রি করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো: আবির হাওলাদার বলেন, রিফাত হাওলাদার উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ঠিক আছে। তবে সে নিষ্ক্রিয় সদস্য। অনেকদিন ধরে আমাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অনুপস্থিত।

    কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাসুম বিল্লাহ জানান, কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও থানা পুলিশ নিয়মিতভাবে মাদক নির্মূলে কাজ করছে। মাদকদ্রব্য যুব সমাজসহ সকলের ব্যাপক ক্ষতি করে।

  • সেনাবাহিনীর সহায়তায় কেএনএফ-এর অ-ত্যাচারে পা-লিয়ে যাওয়া বম পরিবার ফিরল নিজ গ্রামে

    সেনাবাহিনীর সহায়তায় কেএনএফ-এর অ-ত্যাচারে পা-লিয়ে যাওয়া বম পরিবার ফিরল নিজ গ্রামে

    বান্দরবান (থানচি) প্রতিনিধি : মথি ত্রিপুরা।

    বান্দরবানে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড এর অধীনস্থ ১৬ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সহায়তায় দীর্ঘ ৩ বছর ৫ মাস পর থানচি উপজেলা সীমান্তে থানচি ইউনিয়নের প্রাতা পাড়ায় আরও ৫ জন সদস্যসহ ১টি বম পরিবার নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।
    গত ০৬ মে ২০২২ তারিখে পরিবারটি নিজ পাড়া ছেড়ে মিজোরামে গমন করে। দীর্ঘ ৩ বছর ৫ মাস পর গত ০১ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে রাঙ্গামাটি হয়ে বান্দবানে আসে এবং সেখানেই অবস্থান করে। ৬ দিন পর আজ ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখ ( মঙ্গলবার) বিকেল ১৬২০ ঘটিকায় বাকলাই পাড়া আর্মি ক্যাম্পে এসে পৌছায়। পরিবারটির সকলের জন্য সেনাবাহিনীর বাকলাই পাড়া সেনা ক্যাম্প হতে প্রস্তুতকৃত সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও ফিরে আসা পরিবারকে চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও শুকনা রসদ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী প্রদান করা হয়।

    জানা যায়, নিজ গ্রামে বসতবাড়িতে ফিরে লাল মুন খুপ বম (৫৫ বছর) বলেন, “২০২২ সালের মাঝামাঝি হতে পাড়ায় সন্ত্রাস দলের সদস্য কতৃক অত্যাচার এবং নিপিড়নে ক্রমানয়ে পাড়া হতে অনেক পরিবার জীবন রক্ষার্থে পলায়ন করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিজ পাড়াতে একটি একটি করে পরিবার পাড়ায় ফিরে আসছে জানতে পেরে আমরাও ফিরে আসি। নিজ ঘরে ফিরতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
    সাবজোন কমান্ডার, বাকলাই পাড়া সাবজোন, ১৬ ইষ্ট বেংগল জানান, ” বম জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা ব্যবস্থা , চিকিৎসা সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সচেষ্ট ছিল, আছে এবং থাকবে।” এছারাও তিনি পাড়ার শিশুকিশোরদের নিয়মিত স্কুলে যাওয়া এবং পড়াশুনার বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেন।