Author: desk

  • পিআর নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দা-বিতে ময়মনসিংহে ইসলামি আন্দোলনের বিক্ষো-ভ সমাবেশ

    পিআর নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দা-বিতে ময়মনসিংহে ইসলামি আন্দোলনের বিক্ষো-ভ সমাবেশ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ।

    জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ সাতটি ইসলামী দলের চলমান যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্বের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাদ জুম্মা উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহের উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
    ১২ অক্টোবর সব জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করবে দলটির নেতাকর্মীরা।

    বিক্ষোভ সমাবেশে জানানো হয়, জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, গণহত্যার বিচার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বাদ জুমা বিক্ষোভ-মিছিল করা হয়েছে। দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক এই এই কর্মসূচি চলবে।

    ইসলামি আন্দোলন ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সভাপতি,মুসল্লী পরিষদ বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর ময়মননসিংহ এবং ইসলামি আইন বাস্তবায়ন কমিটি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সদস্য সচিব ময়মনসিংহ-৪ আসনে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) এর মনোনয়ন প্রত্যাশী
    বিশিষ্ট চিকিৎসক, হাড় জোড়া রোগ বিশেষজ্ঞ ট্রমা ও স্পাইন সার্জন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, দেশের এতোগুলো রাজনৈতিক সংগঠন ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকম ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। কেমন যেনো স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলোর মতো এই সরকারও জনতার দাবীর প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন করছে। এই সরকার একমাত্র জনতার রক্তমাখা-জীবন উৎসর্গ করা অভিপ্রায়ে গঠিত। ফলে জনতার দাবীর প্রতি ক্রমাগত উপেক্ষা এই সরকারের নৈতিক ও আইনগত বৈধতাকে নষ্ট করবে।

    অভিলম্বে তিনি সরকারের কাছে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, ফ্যাসিবাদী ও তার দোসরদের বিচার এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবী জানান।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাক্তার নাসির উদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে
    বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ভালুকা আসন থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোস্তফা কামাল কাশেমী,ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা সভাপতি মাওলানা মামুনুর রশিদ সিদ্দিকী, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

    বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বড় মসজিদের সামনে থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

  • পিআরসহ ৫ দফা দা-বীতে ময়মনসিংহ নগরীতে জামায়াতের গণ-মিছিল

    পিআরসহ ৫ দফা দা-বীতে ময়মনসিংহ নগরীতে জামায়াতের গণ-মিছিল

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ময়মনসিংহ মহানগর শাখা।

    শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৪ ঘটিকায় ময়মনসিংহ নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে মিছিল পূর্ব সমাবেশে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্ কায়সার এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ময়মনসিংহ মহানগরীর আমীর ও ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল। তিনি বলেন, জুলাই সনদ এদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, ভালোবাসা ও প্রত্যাশার। আরেকটি স্বৈরাচারী সরকার যেন আবার চেপে বসতে না পারে সেজন্য জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে। সন্ত্রাস, দুর্নীতিমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য জামায়াতের এ আন্দোলন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
    কর্মসূচিতে দলের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এসময় এই মুহূর্তে দরকার পিআর আর সংস্কার, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন, দিতে হবে দিয়ে দাও, জামায়াত-শিবির জনতা, গড়ে তোলো একতা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ময়মনসিংহ জেলা শাখার আমীর আব্দুল করিম। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। অবাধ, সুষ্টু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

    সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চরপাড়া মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ, ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও ত্রিশাল সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী আসাদুজ্জামান সোহেল, সহ-সেক্রেটারি আনোয়ার হাসান সুজন, মাহবুবুল হাসান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেত্রকোনা-৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী আল হেলাল তালুকদার, শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ডাঃ আব্দুল আজিজ, হায়দার করিম, খন্দকার আবু হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারী প্রমুখ ।

  • গোপালগঞ্জে ‘ল’ কলেজে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আ-ত্মসাৎ-এর অভি-যোগ

    গোপালগঞ্জে ‘ল’ কলেজে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আ-ত্মসাৎ-এর অভি-যোগ

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব থানাপাড়া কবরস্থান সড়কে প্রতিষ্ঠিত শেখ ফজলুল করিম সেলিম “ল” কলেজের পূর্ণ সংস্কার সহ অবৈধ শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    জনস্বার্থে এ সংক্রান্তে গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আহম্মদ খান, আবুল কাশেম মিয়া, রফিক শেখ ও লিজন অধিকারী। এছাড়াও অভিযোগ পত্রে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মাননীয় আইন উপদেষ্টা, মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের নাম উল্লেখ রয়েছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শেখ ফজলুল করিম সেলিম “ল” কলেজের শুরুতে নাম ছিলো ন্যাশনাল “ল” কলেজ, গোপালগঞ্জ। উক্ত “ল” কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট বাবু রনজিৎ কুমার বাড়ৈ গামা। উক্ত কলেজের উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ আজগার আলী খান। “ল” কলেজের নিজস্ব কোন ক্যাম্পাস/ভবন না থাকায় পূর্ব থানাপাড়া কবরস্থানে অবস্থিত অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিজের বাসার নিচ তলায় আন্ডার গ্রাউন্ডে ব্যবহার অনুপযোগী ছোট্ট একটি কক্ষে অধ্যক্ষ মহোদয়ের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনুযায়ী তাহার অনুগত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ব্যতীত কতিপয় হিন্দু/মুসলমান অ্যাডভোকেটদের দ্বারা তিনি এল.এল.বি শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়াতেন। ক্লাস নেওয়া শিক্ষকগণ উক্ত “ল” কলেজের তালিকাভুক্ত শিক্ষক না হওয়ার কারণে তাদেরকে তিনি কোন প্রকার বেতন ভাতা বা সম্মানী দিতেন না এবং উক্ত কলেজের কোন আয়-ব্যয়ের হিসাব তিনি শিক্ষকদেরকে দেখান নাই বলে অভিযোগ রয়েছে। বিগত ২০২৪ সালের ২২ মার্চ উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ বাবু রনজিৎ কুমার বাড়ৈ গামা অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর পর থেকে অধ্যক্ষের স্ত্রী জুনিয়র অ্যাডভোকেট মমতা রানী কির্ত্তনীয়া উক্ত “ল” কলেজের কোন স্টাফ বা শিক্ষক না হওয়া সত্ত্বেও বাৎসরিক লক্ষ-লক্ষ টাকার লোভে অবৈধ ও বে-আইনীভাবে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করে ভুয়া সই/স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে উক্ত কলেজের বিভিন্ন কাগজপত্রে তা ব্যবহার করে অতি গোপনে ভুয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে উক্ত কলেজের পক্ষে প্রতি সেশনের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ভর্তি, ফরম- ফিলাপ ও ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার আনুষাঙ্গিক আর্থিক খরচ-খরচা বাবদ প্রতি বছর প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে আয় করে কলেজ উন্নয়নের পক্ষে বা অন্য কোন প্রয়োজনীয় খাতে তেমন কোন ব্যয় না করে চরম প্রতারণাও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়া তার স্বামীর মৃত্যুর পর হইতে এ পর্যন্ত এক বছর যাবত প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মূল অধ্যক্ষ তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কলেজের পক্ষে আয় কৃত ১৫/২০ কোটি টাকা ব্যক্তিগত স্বার্থে অন্যায় ও অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছেন। “ল” কলেজের দৈনন্দিন বা সাপ্তাহিক বা মাসিক বা বাৎসরিক হিসাব-নিকাশের কোন খাতা পত্র বা রেজিস্ট্রার নেই বা আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব সংরক্ষণ করেননি বা কার্যকরী পরিষদের কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রয়াত অধ্যক্ষ মহোদয় সাবেক এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের একান্ত বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে উক্ত “ল “কলেজের নাম পরিবর্তন করেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতা রানী কির্ত্তনীয়া “ল” কলেজের নামে অর্জিত বরাদ্দকৃত ও আয়কৃত কোটি টাকা অন্যায় অবৈধ বে-আইনিভাবে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানান। “ল” কলেজের স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতা রানী কির্ত্তনীয়া জাল- জালিয়াতি ও প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা অর্জন ও আত্মসাৎ এর পথ প্রদর্শক বা নাটের গুরু হিসেবে জালজালিয়াতির প্রশিক্ষক বা সম্রাট হিসেবে খ্যাত উক্ত কলেজের নিয়োগ বিহীন স্বঘোষিত অফিস সহকারী বা পিয়ন হিসেবে নিয়োজিত মিন্টু বর (৩২) এবং জাহিদ হোসেন সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে। এরা বিভিন্ন জেলা থেকে ঘুষ- দালালীর মাধ্যমে এল.এল.বি পড়ুয়া সহজ-সরল শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বছরে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা আদায় করা ও কলেজে ভুয়া শিক্ষার্থী দেখিয়ে চরম জালজালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আর এ কাজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত রয়েছেন, তাদের জোগসাজস ছাড়া এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে ধারণা অভিযোগকারীদের।

    বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট সংস্কারের সূত্র ধরে উক্ত শেখ ফজলুল করিম সেলিম “ল” কলেজের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ “ল” কলেজ রাখা সহ অবৈধ স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং নিয়োগ বিহীন অবৈধ অফিস সহকারী বা পিয়নদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ ফজলুল করিম সেলিম “ল” কলেজের স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতা রানী কির্ত্তনীয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই “ল” কলেজটি তারপর প্রয়াত স্বামী অনেক কষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেবা তার স্বামী কোন দুর্নীতি অনিয়মের সাথে জড়িত নন। তিনি কিভাবে উক্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়েছেন শেখ সংক্রান্তে জানতে চাইলে তিনি জানান তিনি রেজুলেশনের মাধ্যমে বৈধভাবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি যদি বৈধ না হবেন তাহলে কলেজের দাপ্তরিক কাজকর্ম তিনি কিভাবে করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ব্যাপারে অবহিত রয়েছেন। তবে তিনি এ দাবির স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। প্রসেসিং এ রয়েছে বলে জানান, একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদেরকে ম্যানেজের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বলেন, এ বিষয়ে আপাতত কোন নিউজ করার প্রয়োজন নেই। কাগজপত্র ঠিক হলে পরে আপনারা আমাদের পক্ষে নিউজ করে দিবেন আমরা আপনাদেরকে উপযুক্ত সম্মানি দিবো।

    এছাড়াও এ বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহকারী/ পিয়ন মিন্টু বর ও জাহিদ হোসেনের বক্তব্য নিতে আমাদের প্রতিনিধি উক্ত “ল” কলেজে একাধিকবার গিয়ে তাদেরকে না পাওয়ায় তাদের কারোরই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, “ল” কলেজের নামে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ড অতীতে দৃশ্যমান থাকলেও বর্তমানে সেখানে গিয়ে সেই সাইনবোর্ডটি আর দেখা যায়নি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন “ল” কলেজের নাম পরিবর্তন হয়েছে। আমরা নতুন সাইনবোর্ড তৈরি করতে দিয়েছি।

    উক্ত কলেজের উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ আজগার আলী খান সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তি প্রদান সহ “ল” কলেজটির কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • কোটালীপাড়ায় ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের সভাপতি ডেভিট অধিকারীর মু-ক্তির দা-বীতে সমাবেশ

    কোটালীপাড়ায় ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের সভাপতি ডেভিট অধিকারীর মু-ক্তির দা-বীতে সমাবেশ

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    রাজধানীর মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ গোপালগঞ্জ-মাদারীপুর আঞ্চলিক ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মি. ডেভিট অধিকারীর মুক্তির দাবীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ -মাদারীপুর আঞ্চলিক ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের উদ্যোগে কোটালীপাড়ার ওয়াপদাস্থ শান্তিকুটিরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাবেশে গোপালগঞ্জ- -মাদারীপুর আঞ্চলিক ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের সভাপতি গিলবার্ট বিনিময় সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের সহসভাপতি জেমস হেবল বাড়ৈ, চার্চের কাউন্সিলর সুব্রত হালদার, গিলবার্ট বাড়ৈ, কার্যনির্বাহী সদস্য মার্ক সিকদার, সেফার্ড বাড়ৈ, নারায়ন খানা চার্চের সম্পাদক এ্যান্ড্রিও হালদার, পূর্ব রামশীল চার্চের সম্পাদক ফ্র্যান্সেস হাজরা বক্তব্য রাখেন।

    বক্তারা বলেন, ডেভিট অধিকারী একজন নিরাপরাধ ও অরাজনৈতিক ব্যক্তি ওই মামলার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। মিথ্যাভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

    উল্লেখ্য গত বছরের ২ ডিসেম্বর ঢাকা জজ কোর্টের সামনে থেকে ডেভিট অধিকারীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মিরপুর থানায় দায়েরক্ত হত্যা মামলার তালিকাভূক্ত আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

  • বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’তে সংগ্রা-মের এক দীপ্ত শিখা শাহে আলম মিঞা

    বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’তে সংগ্রা-মের এক দীপ্ত শিখা শাহে আলম মিঞা

    নিউজ ডেস্ক।।

    মো.শাহ আলম মিঞা বিগত ১৭ বছরে বানারীপাড়া উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে দূর্দিনের ভরসার এক স্থল হয়ে ওঠেন। যার নিত্যসঙ্গী ছিলো কারাবাস। যিনি বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে একমাত্র আস্থার স্থল হিসেবে পরিচিত ছিলেন বিগত ১৭ বছর। মো.শাহ আলম মিঞা বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বানারীপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি। তার পিতার নাম হাবিবুর রহমান হাওলাদার ও মাতার নাম ছখিনা বেগম। তাদের কোল আলো করে ১৯৬৫ সালের ২৯ জানুয়ারী জন্মনেন শাহ আলম মিঞা। তার বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের তেতলার গোয়ালিয়া গ্রামে। মো.শাহ আলম মিঞা বিগত ৫ই আগষ্টের বিল্পবের পর একমাত্র পরিছন্ন নেতা হিসেবে জনগনের কাছে স্থান করে নিয়েছে। বানারীপাড়া জনগনের নির্ভরতা,নির্ভরশীলতা ও সহযোগীতার নাম এখন শাহ আলম মিঞা। তিনিই একমাত্র নেতা যিনি নির্লোভ নির্ভেজাল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। জীবন ,জৌলস অর্থ বিত্ত সকল কিছু নির্দিধায় বিলিয়ে দিয়েছেন বিএনপি’র নেতাকর্মী ও জনগনের মাঝে।

    রাজনীতির শুরুটা হয়েছিল বিএপি’র হাত ধরেই আজও রয়েছেন বিএনপি’তে । দলছুট সুবিধাভোগী নন তিনি, ১৯৯০ সালের সৈরাচার পতনে বানারীপাড়ায় বিএনপির পক্ষে জোড়াল ভুমিকা রেখে উপজেলাব্যাপী আলোচনায় চলে আসেন তিনি। ১৯৯১ সালে শাহ আলম মিঞা জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রেখে বিএনপি’র বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি। পরবর্তীতে ইউনিয়ন নির্বাচনে তিনি উদয়কাঠী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ও একই বছরে ওই ইউনিয়নের তিনি বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী সমন্বয়ক এর দ্বায়িত্ব পালন করেন এবং বিজয়ী হন।

    ২০০৩ সালে তিনি আবারও বিপুল ভোটের ব্যবধানে উদয়কাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ও জনগনের চাহিদা পূরনে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করেন। সততা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছিলেন জনগনের আস্থার প্রতীক। তার কাজের পরিধিতে ব্যপকতা ছিলো এত যে বানারীপাড়া রোল মডেল চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার কাজের পরিধিতে গ্রামীন অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মন কেড়ে নিয়েছিল সবার,এছাড়াও মন্দির মসজিদ মাদ্রাসা উন্নয়ন ও শিক্ষার প্রসার ঘটানো ছিলো চোখে পরার মত। সাধারন মানুষের কল্যানকর কাজ করা তার দৈনন্দিন জীবনের মৃূল চালিকা শক্তি হয়ে দাড়িয়েছিলো।

    এরই পেক্ষিতে ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে দলের আস্থার প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মনোনয়ন পেয়ে যান তিনি। হামলা মামলা ও নির্যাতনের ভয়কে উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন তিনি। সে সময় দিনের ভোট রাতে করে ভোট জালিয়াতির মধ্যে দিয়ে তাকে হারিয়ে দেয়া হয়।

    ২০১৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তার অবদানের কথা মাথায় রেখে তাকে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি পদে নিযুক্ত করেন ।

    পরবর্তিতে তিনি ২০১৭ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান উপ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন এবং একই কায়দায় তাকে হারানো হয়।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তার মেধা,প্রজ্ঞা,সততা ও জনপ্রিয়তা দেখে তাকে ২০২৩ বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে দ্বায়িত্ব প্রদান করেন ও ২০২৫ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বানারিপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নির্বাচিত হন।

    সোজাকথায় তাকে নিয়ে লিখতে গেলে শেষ হবার নয়। অবশেষে বলা যায় ২০০৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অসংখ্য ছোট বড় সভা মিটিং মিছিল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে অংশ গ্রহন করেন তিনি,এক কথায় বলা চলে সকালে বানারীপাড়া প্রোগ্রাম করে বিকেলে বরিশাল ও পরের দিন ঢাকার প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করেন তিনি। এক নয় একাধিকবার জেলও খেটেছেন শাহ আলম মিঞা। বিভিন্ন সময়ে বহুবার হামলা মামলার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি নিজ বাড়িতে খুবই কম সময় অতিবাহিত করতে পেরেছেন। তার এই রাজনৈতিক জীবনের পথ ছিল সংগ্রামের এক জ্বালাময়ী পথ,যার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল কন্টকময়। যেখানে ছিল সার্বক্ষনিক মামলা হামলা ও নির্যাতনের কালো ছায়া। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে গিয়ে বহুবারের কারাবাস তার মনোবল ভেঙে দিতে পারেনি এতটুকু বরং সত্যের পক্ষে আপসহীন অবস্থান তাকে জনতার প্রিয় রুপ দিয়েছে। পরিবার সমাজ রাজনীতির টানাপোড়ানে ও দূঃখ কষ্টের দিনে তিনি ছিলেন অবিচল। এত নিপীড়ন এত নির্যাতন বহু মামলা বহু হামলা সবকিছুর শৃঙ্খল ভেঙে দৃপ্ত সংকল্পে পথ হারাননি তিনি। আজ তার বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন সংগ্রামের এক দীপ্ত শিখা।

  • নোয়াখালীতে স-ম্পত্তির ভা-গের জন্য মায়ের লাশ ২০ ঘন্টা আট-কে রাখলো সন্তান

    নোয়াখালীতে স-ম্পত্তির ভা-গের জন্য মায়ের লাশ ২০ ঘন্টা আট-কে রাখলো সন্তান

    রফিকুল ইসলাম সুমন,
    (নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১২ শতক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মায়ের মরদেহ দাফনের আগে ২০ ঘণ্টা আটকে রাখলেন সন্তান।
    বৃহস্পতিবার ( ৯ অক্টোবর) উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর গ্রামের এনু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় মারা যায় ওই নারী। মৃত নারীর নাম আমেনা বেগম (৬৫)। তিনি একই গ্রামের মৃত মাওলানা সেলামত উল্ল্যাহর স্ত্রী।

    স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট ছেলে সাইফুল্লাহকে মৃত্যুর আগে উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তির কিছু জায়গা বেশি হাতিয়ে নেয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় মেয়ের স্বামীর বাড়িতে মারা যান আমেনা বেগম। পরে সেখান থেকে মরদেহ দাফনের জন্য স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। একপর্যায়ে বড় ছেলেকে বঞ্চিত করে সম্পত্তি ছোট ছেলেকে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার নিয়ে নজিব উল্ল্যাহ ও তার ভাই সাইফুল্লার মধ্যে সম্পত্তির ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে মায়ের মরদেহ সামনে রেখে দুই ভাই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম। সেখানে তার নির্দেশনায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টায় স্বামীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
    জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক সমঝোতায় মায়ের মরদেহ দাফনে তারা সম্মত হয়। মায়ের দাফন শেষে স্থানীয় লোকজন বৈঠক করে তাদের পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেবে।

  • ময়মনসিংহে কর্মচারী-কর্ম-কর্তাদের নামাজের জন্য পাঞ্জেগানা মসজিদ উদ্বোধন করলেন ডিসি মুফিদুল আলম

    ময়মনসিংহে কর্মচারী-কর্ম-কর্তাদের নামাজের জন্য পাঞ্জেগানা মসজিদ উদ্বোধন করলেন ডিসি মুফিদুল আলম

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    নামাজ হলো মুসলমানদের প্রতিদিনের এক অবশ্যকরণীয় ধর্মীয় কাজ। ইসলামের বিশুদ্ধ ঈমান আকীদার পর নামাজই সবচেয়ে বড় ফরজ ইবাদত।
    কুরআন ও হাদিসে নির্দেশিত: কুরআন ও হাদিস উভয় গ্রন্থেই নামাজের গুরুত্ব ও নিয়মাবলী বর্ণিত আছে।
    নামাজ মুসলিমদের জন্য একটি অবশ্যকরণীয় কাজ, এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ নামাজ আদায় না করা কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ হিসেবে গণ্য হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেনো সেই কবিরা গুনাহ বা বড় পাপের অংশীদার হতে না হয় সেই লক্ষে নিয়মিত নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে
    ময়মনসিংহ জেলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয়েছে পাঞ্জেগানা মসজিদ। যেখানে জেলা কালেক্টরেটে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা নামাজের স্থানের অভাবে নিয়মিত সময় মত নামাজ আদায় করতে পারছিলেন না। বিষয়টি আমলে নিয়ে
    জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামাজ আদায়ের দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে অবশেষে সমাধান করলেন জেলা মুফিদুল আলম । জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুফিদুল আলম তার উদ্যোগে এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের ভবনের দোতলায় নির্মিত হলো এক মনোরম ও শান্ত পরিবেশসমৃদ্ধ পাঞ্জেগানা মসজিদ। বৃহস্পতিবার (৯অক্টোবর) এই মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

    দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসন ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নামাজ আদায়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে দোতলার সরু বারান্দায় নামাজ আদায় করে আসছিলেন। একসঙ্গে অনেকে নামাজ পড়তে না পারায় অসুবিধা ও অস্বস্তির সৃষ্টি হতো। বিষয়টি নজরে আসার পর জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম দ্রুত উদ্যোগ নেন এবং স্বল্প সময়ে দোতলার ফাঁকা অংশে একটি পূর্ণাঙ্গ পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। পরিচ্ছন্ন টাইলস করা মেঝে, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, নিরাপদ ছাউনি এবং নামাজের সারি চিহ্নিত নকশা-সব মিলিয়ে এটি এখন এক প্রশান্তিময় ইবাদতের স্থান। প্রশাসনিক ব্যস্ততার ফাঁকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন নির্ভয়ে, একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

    জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম উদ্বোধনের সময় বলেন,“আমরা প্রতিদিন জনগণের সেবায় কাজ করি। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টিই হলো সেই কাজের মূল উদ্দেশ্য। তাই অফিসে কর্মব্যস্ততার মাঝেও যেন সবাই সময়মতো নামাজ আদায় করতে পারেন, সেই সুযোগ সৃষ্টি করাই এই পাঞ্জেগানা মসজিদ স্থাপনের মূল লক্ষ্য।”

    তিনি আরও বলেন,“এটি শুধু নামাজ পড়ার জায়গা নয়-এটি হবে আত্মশুদ্ধির স্থান, সহকর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার একটি মাধ্যম।”

    অফিসের কর্মচারীরা জানান, এ উদ্যোগে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। কেউ কেউ বলেন, আগে যেখানেই নামাজ পড়তে অসুবিধা হতো, এখন সেখানে একটি পরিচ্ছন্ন, প্রশান্ত ও নিরাপদ জায়গায় নামাজ আদায় করা যাবে-এটি সত্যিই একটি মানবিক ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
    উল্লেখ্য, ডিসি মুফিদুল আলম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জেলা প্রশাসনে শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা, জনসেবা এবং অফিস পরিবেশ উন্নয়নে একাধিক ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণ তার মানবিক ও ধর্মপ্রাণ দৃষ্টিভঙ্গিরই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

    মসজিদটি এখন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের একটি অনন্য সংযোজন, যা শুধু নামাজের স্থান নয়-বরং নৈতিকতা, ঐক্য ও প্রশান্তির প্রতীক হয়ে থাকবে প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর জীবনে।

  • গোপালগঞ্জে এক শিক্ষকের বিরু-দ্ধে অসুস্থতার ভুয়া অজুহাতে ইতালিতে অবস্থানের অ-ভিযোগ

    গোপালগঞ্জে এক শিক্ষকের বিরু-দ্ধে অসুস্থতার ভুয়া অজুহাতে ইতালিতে অবস্থানের অ-ভিযোগ

    কে এম সাইফুর রহমান,
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    অসুস্থতার ভুয়া অজুহাতে বছরের উল্লেখযোগ্য সময় সুদুর ইউরোপীয় দেশ ইতালিতে স্বামী ও সন্তানের সাথে সময় কাটান গোপালগঞ্জের ১৩৫ নং রঘুনাথপুর পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনীষা বিশ্বাস।

    সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তার ত্রিশ দিনের ছুটি শেষ হলেও তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে কাজে যোগদান করেননি। এতে বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পাঠদানে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা উত্তরা বিশ্বাস। তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষিকা মনীষা বিশ্বাস গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ থেকে অসুস্থতার কথা বলে উপপরিচালকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে ইতালি চলে যান। তবে তিনি তার অসুস্থতার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণপত্র দাখিল করেননি। ত্রিশ দিন ছুটি শেষ হলেও তিনি ফিরে আসেননি। তিনি ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই কাজে যোগদান করেন। ওই সময় তিনি মোট ২৪৯ দিন ছুটি ভোগ করেন। তিনি ছুটি না বাড়িয়ে বিদেশে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে রহস্যজনক উপায়ে ছুটি মঞ্জুর করিয়ে নিতে সক্ষম হন। এরপর তিনি ২০২৫ সালের জুলাই মাসের ৩১ তারিখে কাজে যোগদান করেন। সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত কাজ করে আবার ৯ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে ফের এক মাসের ছুটি মঞ্জুর করিয়ে ইতালি চলে যান। অদ্যাবধি তিনি কাজে যোগদান করেননি। ওই শিক্ষক কাজে যোগদান না করায় আমি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে হিমশিম খাচ্ছি।

    এ ব্যাপারে জানার জন্য ওই সহকারী শিক্ষক মনীষা বিশ্বাসের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ছুটি বৃদ্ধির আবেদন করেছি ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে। আমার ছুটি মঞ্জুর হয়ে যাবে। আমি প্রকৃতই অসুস্থ। তবে বাংলাদেশে শিক্ষকদের অসুস্থতাজনিত কারনে ছুটি নিতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র বা অন্যকোনো প্রমানাদির প্রয়োজন পড়ে না। তবে আমার কাছে সব প্রমানাদি আছে। বাংলাদেশী কর্মকর্তারা দেখতে চাইলে তাদের দেখাবো।” সাংবাদিকরা এসব কাগজাদি দিয়ে কি করবে? বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন।

    গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ জোৎস্না খাতুনকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি বলেন, একজন শিক্ষক মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে পাঠদান বিঘ্নিত হয়। এটাই স্বাভাবিক। তবে তিনি অসুস্থতার স্বপক্ষে কোনো কাগজাদি ছুটির আবেদনের সাথে সংযুক্ত না করে কি করে ছুটি পান বা কিভাবে বিদেশে বসেই মর্জি মাফিক ছুটি বৃদ্ধি করতে পারেন তা বোধগম্য নয়। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যাপারে আমি উদ্যোগি হবো।

  • রাজশাহী অঞ্চলে ফসলি জমি হ্রাস খাদ্য ঘা-টতির আ-শঙ্কা

    রাজশাহী অঞ্চলে ফসলি জমি হ্রাস খাদ্য ঘা-টতির আ-শঙ্কা

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের
    অর্থনীতি প্রায় সম্পুর্ণ কৃষি নির্ভর। তবে নির্বিচারে ফসলি জমি নষ্টের কারণে খাদ্য উদ্বৃত্ত বরেন্দ্র অঞ্চলে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাবশালী ভুমিগ্রাসী চক্রের কৌশলের কাছে পরাস্থ হয়ে কৃষি জমির মালিকেরা অনেকটা বাধ্য হয়ে তাদের আবাদি
    জমিতে পুকুর খনন করতে দিচ্ছে।এছাড়াও কল-কারখানা ও বাড়িঘর নির্মানে নস্ট হচ্ছে একেরর পর একর তিন ফসলী জমি। প্রভাবশালীরা প্রথমে বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মধ্যে অল্প জমি বাছাই করে সেখানে কৌশলে পুকুর করা শুরু করে। এর পর ওই পুকুরের কারণে পাশের
    জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন ওই সব জমির মালিকেরা ফসল উৎপাদনে লোকশানে পড়ে।এতে তারা তাদের আবাদি জমি
    প্রভাবশালী ওই পুকুর খননকারীকে লীজ দিয়ে দিতে বাধ্য হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুকুর খননকারী বলেন, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকসহ সকলকে ম্যানেজ করতে বিঘাপ্রতি ৩০ হাজার টাকা খরচ করলেই অনায়াসে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা যায়। তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (ইউপি) জুড়ানপুর, রাতৈল, হাড়দহ,বেড়লপাড়া,তানোর পৌর এলাকার মাসিন্দা,কামারগাঁ ইউপির হাতিশাইল, শ্রীখন্ডা, নেজামপুর প্রভৃতি এলাকায় বিএমডিএ’র গভীর নলকুপের স্কীমভুক্ত শত শত একর ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। অথচ এসব জমি এখানো কৃষি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তারা সরকারকে কৃষি জমির খাজনা পরিশোধ করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। কারণ পৌর এলাকায় পুকুরের বার্ষিক খাজনা ৫০ টাকা শতক, পৌরসভার বাইরে ৪০ টাকা শতক এবং কৃষি ও পতিত জমি ২ টাকা শতক। সেই হিসেবে ৩৩ শতক বা এক বিঘা আয়তনের একটি পুকুরের
    খাজনা বছরে এক হাজার ৩২০ টাকা।কিন্ত্ত
    কৃষি জমি দেখিয়ে এক বিঘা আয়তনের পুকুরে তারা খাজনা দিচ্ছে দু’টাকা শতক হিসেবে মাত্র ৬৪ টাকা। অর্থাৎ প্রতি শতকে ৩৮ টাকা করে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে ফসলি জমিতে এসব পুকুর খনন করায় বিএমডিএর অনেক গভীর নলকুপ অকেজো হয়ে পড়েছে।
    জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্লাইস্টোসিন যুগের উচ্চভূমিকে বরেন্দ্রভূমি বলা হয়। পদ্মা, মহানন্দা, পুনর্ভবা, আত্রাই, বারনই ও করতোয়া নদীর অববাহিকায় এই উচ্চভূমির সৃষ্টি, যা বারিন্দ নামেও একসময় পরিচিত ছিল। এই উচ্চভূমি প্রাচীন গৌড় রাজ্যের অংশ ও এককালে রাজধানীও ছিল। রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পশ্চিমাংশের ৯ হাজার ৩২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বরেন্দ্রভূমি। প্রাচীন এই ভূমির আরেকটি অংশ পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, যা রাঢ় অঞ্চল নামে পরিচিত। এককালে মৌসুমী বৃষ্টিই ছিল এই ভূমির কৃষকের ফসল উৎপাদনের একমাত্র অবলম্বন। কালের পরিক্রমায় তপ্ত-উত্তপ্ত বরেন্দ্রভূমি এখন দেশের অন্যতম শস্যভাণ্ডার। সারা বছরই ধানসহ নানা ধরনের ফসল ফলছে এই ভূমিতে। তবে, ইদানিংকালে আশঙ্কাজনকভাবে কমছে এখানকার ফসলি জমি। কৃষিবিদরা যদিও বলছেন, কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণ ছাড়াও কৃষকরা এখন লাভজনক কৃষিপণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে। ধানের জমি উজাড় করে তৈরি হচ্ছে আমসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। তিন ফসলি জমি কেটে খনন করা হচ্ছে পুকুর। এভাবে গত চার দশকে বরেন্দ্রভূমির প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ২৮০ হেক্টর ফসলি জমি কমে গেছে। ফলে বছর বছর কমছে ধানের উৎপাদন।
    রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অঞ্চলের তথ্যানুযায়ী, শুধু বরেন্দ্রভূমির রাজশাহী অঞ্চলের চার জেলা-রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে গত এক দশকে ৯০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি কমেছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের ধানের জমিতে গড়ে উঠছে বসতভিটা, ইটভাট, ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা, সবজিখেত, পুকুর ও আমসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। যে কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। কৃষকরা বলছেন ফসলি জমি রক্ষায় আইন থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
    এদিকে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্পের সাম্প্রতিক এক জরিপের তথ্যানুযায়ী অপরিকল্পিত আবাসন, শিল্প-কারখানা, সড়ক নির্মাণসহ নানা স্থাপনা নির্মাণের কারণে বরেন্দ্রভূমিতে প্রতিদিন কমছে ২২০ হেক্টর করে কৃষিজমি। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ মাত্র ১৪ শতাংশ। এভাবে কৃষিজমি কমতে থাকলে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জমির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। এর আগে ১৯৭২ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল এক একর ৩৫ শতাংশ করে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা অববাহিকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তিন দশক ধরে চলছে নদীভাঙন। এ ভাঙনে উদ্বাস্ত হয়ে প্রতিবছরই বহু মানুষ বরেন্দ্রভূমির ফসলি জমিতে গিয়ে বসতি গড়ছে। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল থেকে প্রতিবছরই শত শত উদ্বাস্তু মানুষের অভিবাসন ঘটছে বরেন্দ্রভূমিতে। এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা ও গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা, নাচোল, নেজামপুর, গোমস্তাপুর, নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর এলাকায় গত কয়েক বছরে শত শত ভাঙন কবলিত মানুষরা গিয়ে বাড়িঘর বসতভিটা করেছে। এসব কারণেও বছর বছর কমছে ফসলি জমি। আশঙ্কাজনকভাবে ফসলি জমি উজাড় হওয়া প্রসঙ্গে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, কৃষিজমি ধ্বংস করে বসতি গড়ে ওঠা ছাড়াও পুকুর খনন ও ইটভাটা গড়ে তোলা হচ্ছে। কৃষিজমি রক্ষায় আইন রয়েছে। তবে এই প্রবণতা বন্ধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। কৃষিজমির শ্রেণিও বদল করা হয়েছে, যা বেআইনি কাজ। বরেন্দ্র অঞ্চলে জমি উজাড়ের কারণে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে।#

  • সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক ইংরেজি শিক্ষক ডঃ শওকাত আলীর মৃ-ত্যু

    সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক ইংরেজি শিক্ষক ডঃ শওকাত আলীর মৃ-ত্যু

    এম,এ আলিম রিপন সুজানগর : পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক ইংরেজি শিক্ষক, জেলার সুজানগর পৌর শহরের ভবানীপুর পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা ডঃ মোহাম্মদ শওকাত আলী বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরার বাসায় অসুস্থতা জনিত কারণে আনুমানিক সকাল দশটার দিকে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী ও তিন কন্যা সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। ইংরেজি বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করা ডঃ শওকাত স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সাল থেকে পরবর্তী কয়েক বছর পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, পরে তিনি পাকিস্তানে চলে যান। তার স্ত্রী পাকিস্তানের জনপ্রিয় একজন সংগীতশিল্পী। বর্তমানে তার স্ত্রী এবং দুই কন্যা পাকিস্তানে এবং এক কন্যা অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করছেন । ২০০৫ সালে ডক্টর শওকত আলী শিকড়ের টানে বাংলাদেশের চলে আসলেও তার স্ত্রী ও মেয়েরা থেকে যায় পাকিস্তানে। এবং মাঝের মধ্যে তিনি পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য পাকিস্তানে যেতেন। তার ভাগ্নে মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পরিবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকার উত্তরায় জানাজা শেষে সেখানকার স্থানীয় কবর স্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। প্রসঙ্গত , ডক্টর শওকাত আলী মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ দুলালের আপন চাচাতো ভাই। তার নামেই প্রতিষ্ঠিত হয় সুজানগর শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।