Author: desk

  • চারঘাটে আন্তর্জাতিক দু-র্যোগ প্রশমন দিবস অনুষ্ঠিত

    চারঘাটে আন্তর্জাতিক দু-র্যোগ প্রশমন দিবস অনুষ্ঠিত

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    “সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর চারঘাটেও দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উপলক্ষে র‍্যালী, অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার আয়োজনে সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালী বের হয়ে চারঘাটের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিচলিত না হয়ে কিভাবে আগুন নেভানো যায় সে বিষয়ে প্রত্যক্ষ ও অগ্নি নির্বাপক মহড়া প্রদর্শন করেন চারঘাটের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মহড়া শেষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ লতিফ এর সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, চারঘাট মডেল থানার (ওসি) মিজানুর রহমান, উপজেলা একাডেমি সুপার ভাইজার রাহেদুল ইসলাম, চারঘাট ফায়ার স্টেশনের ইনর্চাজ খায়রুল ইসলাম, চারঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক সনত কুমার দেবনাথ, চারঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • ময়মনসিংহে সমাজসেবার বাস্তবায়নে পাঁচ  ভিক্ষু-কের পুনর্বাসনে অটোরিকশা ও দোকান বিতরণ

    ময়মনসিংহে সমাজসেবার বাস্তবায়নে পাঁচ ভিক্ষু-কের পুনর্বাসনে অটোরিকশা ও দোকান বিতরণ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের আওতায় পাঁচ ভিক্ষকুকে দোকান ও অটোরিকশা প্রদান করা হয়েছে।

    সোমবার (১৩অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে এই কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার ৫জন ভিক্ষুকের হাতে পুনর্বাসনের এসব উপকরণ তুলে দেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

    উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় সুত্র জানিয়েছে – উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের সুহিলা গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র আলম মিয়া, শশি কান্তর পুত্র শ্যামল চন্দ্র ঘোষ পরানগঞ্জের ছাতিয়ানতলা গ্রামের জমিলা খাতুনকে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাসহ ঘাগড়া ইউনিয়নের সুহিলা গ্রামের সামেদ আলীর পুত্র আব্দুল খালেককে ৭০হাজার টাকা ব্যায়ে নতুন দোকান সহ ৫৮ আইটেম ও আলাল উদ্দিনের মেয়ে শাপলা আক্তারকে দোকান মেরামতসহ ৪৫ হাজার টাকার ৫৭ আইটেমের মনোহারী দোকানের মালামাল পন্যসহ মোট ৫ জনকে ৩ লক্ষ ৪০হাজার টাকা ব্যয়ে
    ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এসব উপকরণ তুলে দেওয়া হয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্সের সভাপতিত্বে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যেে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি আসলে কোনো সম্মানজনক নয়, সমাজে একে কেউ ভালো চোখে দেখে না। রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে না। তবে জীবনের টানাপড়েন ও নানা কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে এই পেশায় জড়িয়ে পড়ে। সচেতন উদ্যোগ ও সঠিক পদক্ষেপ নিলে তাদের সহজেই ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বের করে এনে সম্মানজনক কর্মসংস্থানে যুক্ত করা সম্ভব। এই পুনর্বাসন কার্যক্রম ভিক্ষুকদের আত্মনিভর্রশীল জীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

    দোকান পেয়ে মো. আব্দুল খালেক বলেন, বৃদ্ধ বয়সে এখন আর কাজ করতে পারি না। গত ৫-৬ বছর ধরে ভিক্ষা করতাম। এখন স্যারেরা একটা দোকান দিয়েছে। এখন আর ভিক্ষা করার কোনো ইচ্ছে নেই।’

    ঘাগড়া ইউনিয়নের আলাল উদ্দিনের মেয়ে শাপলা আক্তার- সে একজন প্রতিবন্ধী।শাপলার কাজ করার মতো শক্তি নেই। একবার বসলে উঠে দাড়াতেও পারে না,চলাফেরা করার মতো সামর্থ্য নেই শাপলার, যেকারণে তেমন ভিক্ষাও করতে পারেন না। দোকানটা তার জীবিকার উৎস হবে বলেন শাপলার মা নুর জাহান খাতুন।

    উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাকসুদা খাতুন জানান-সরকারের একটি লক্ষ্য হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় নিয়ে আসা। সদর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের এই অটোরিকশা ও দোকানঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব ভিক্ষুককে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

    এ সময় অন্যান্যদের মাঝে সহকারী কমিশনার ভূমি সৈয়দা তামান্না হুরায়রা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন,উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, কৃষি কর্মকর্তা জোবায়রা বেগম সাথীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

    একই দিনে জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

  • আন্তর্জাতিক দূ-র্যোগ প্রশমন দিবস পালিত 

    আন্তর্জাতিক দূ-র্যোগ প্রশমন দিবস পালিত 

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।। 

    ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালন করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

    সমন্বিত উদ্যোগ প্রতিরোধ করি দূর্যোগ”  এই শ্লোগান ধারণ করে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে সোমবার (১৩অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় নগরীর প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুল মাঠে আলোচনা ,ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ড বিষয়ক সচেতনা মূলক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে দুর্যোগে মোকাবিলা ও প্রস্তুতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন  ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

     এসময় তিনি-দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম পরিচালনা করা, যেমন বেড়ি বাঁধ নির্মাণ, নদী খনন, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং বনায়ন গড়া সহ  দুর্যোগের আগে প্রস্তুতি নিতে জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করা এবং সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলতে সকলের প্রতি আহবান জানান। 

    ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে 

     জেলা প্রশাসক আরও  জানান-ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। গত দুই দশকে দেশে ১৮৫টির বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপকূলীয় এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তিনি আরো বলেন- ‘আগাম পূর্বাভাস ও প্রস্তুতির কারণে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমে এসেছে। তবে দুর্যোগের ধরন ও প্রকৃতি প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। ভূমিকম্প, বজ্রপাত ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ এখন নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি এবং স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবী

    আসুন আমরা এ বিষয়ে সবাই সতেচন হই।

     অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সৈয়দা তামান্না হারায়রা,জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম, ফায়ার ব্রিগেড ময়মনসিংহ বিভাগীয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পূর্ণ চন্দ্র মুসুদ্দি,ফায়ার ব্রিগেড ময়মনসিংহ সদরের স্টেশন অফিসার জুলহাস উদ্দিন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন  কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা, ডিআইও -১ জসিম উদ্দিন,প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ চাঁন মিয়া,জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আলমগীর হোসেন ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষিকা,অভিভাবক  এবং শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

    উল্ল্যেখ-১৯৮৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১৩ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রস্তুতি জোরদার করাই দিবসটির উদ্দেশ্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।

  • রামগড়ে আন্তর্জাতিক দু-র্যোগ প্রশমন দিবস পালিত 

    রামগড়ে আন্তর্জাতিক দু-র্যোগ প্রশমন দিবস পালিত 

    এমদাদ খান রামগড় প্রতিনিধি 

    খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়- “ সমন্বিত উদ্যোগ প্রতিরোধ করি দুর্যোগ ” উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল র‍্যালী, আলোচনা সভা ও মহড়া প্রদর্শণ করা হয়।

    ১৩ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি র‍্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রামগড় পর্যটন পার্ক মাঠে শেষ হয়। র‍্যালীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম এর নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও রা,স,উ,বি এবং রা,বা, উ, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। র‍্যালী ও মহড়া শেষে উপজেলা পরিষদে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কাজী শামীম।

    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএমএ করিম, কৃষি কর্মকর্তা  সুমন মিয়া, রামগড় ফায়ার সার্ভিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা বিশান্তর বিকাশ বড়ুয়া , রামগড় থানার এসআই নুর উদ্দিন, বা,বা,উ,বি এর প্রধান শিক্ষক কাজী নাজমুল হুদা, রামগড় প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি বাহার উদ্দিন – যুগ্ম- সাধারন সম্পাদক রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা- সদস্য মাসুদ রানা। পরে অতিথি ও শিক্ষার্থীসহ ফায়ার স্টেশনের প্রতিনিধিগণ মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।

  • রামগড়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলছে ক-র্মবিরতি

    রামগড়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলছে ক-র্মবিরতি

    এমদাদ খান রামগড় প্রতিনিধি

    খাগড়াছড়ি’র রামগড়ে সারাদেশের ন্যায় এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ২০% এর দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, অপদস্ত ও রক্তাক্তের প্রতিবাদে তৃণমূল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ ১৩ অক্টোবর থেকে চলছে কর্মবিরতি ( ক্লাসবর্জন)। এরই অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি’র রামগড় উপজেলার বিভিন্ন  উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষকরা ক্লাসবর্জনের মধ্যেদিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।

    জানা যায়, দেশের ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। তারা সরকারি বেতন স্কেলে মূল বেতনের পাশাপাশি মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। আর উৎসব ভাতা পান মূল বেতনের অর্ধেক। শতাংশ হিসেবে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত দাবিতে তারা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাড়া ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে আদেশ জারি করে অর্থ বিভাগ। তবে শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে মাঠে রয়েছেন।

    এদিকে – রামগড় উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র শিক্ষক বাহার উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের দাবী দাওয়া পুরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসবর্জনসহ সকল কার্যক্রম এবং কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

  • মুন্সীগঞ্জে সদর থানা কমিটিতে আসছে নতুন চমক

    মুন্সীগঞ্জে সদর থানা কমিটিতে আসছে নতুন চমক

    লিটন মাহমুদ।।
    নিজস্ব প্রতিনিধি

    ১৫ই অক্টোবরে বাংলাদেশ জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার কাউন্সিলর পর পরই মুন্সিগঞ্জ জেলা আওতাধীন সদর থানা কমিটির নতুন চমক আসছে।

    এই নিয়ে বাংলাদেশ জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের মুন্সীগঞ্জ জেলা আওতাধীন সদর থানা কমিটি নিয়ে শহর তথা জেলা জুড়ে আলোচনা চলছে।
    কে হবে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

  • চারঘাটে স্কুল ছাত্রের আ-ত্মহত্যা

    চারঘাটে স্কুল ছাত্রের আ-ত্মহত্যা

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে মায়ের ওপর অভিমান করে ফাঁসিতে ঝুলে বখতিয়ার (১২) নামের এক স্কুল ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। বখতিয়ার উপজেলার মোক্তারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। রোববার (১২ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার মোক্তারপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকাল ৫ টার দিকে নিহত বখতিয়ার মোক্তারপুর মধ্যপাড়ায় তাঁর বড় বোন দিপ্তির বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ নিয়ে তাঁর মা দিলারা বেগম বখতিয়ারকে বকাঝকা করেন। এর পর কোন কিছু না বলে বখতিয়ার মোক্তারপুর মন্ডলপাড়া মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে বাড়িতে এসে নিজ ঘরে অবস্থান করছিল। এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য তার বাবা শরিফুল ইসলাম ডাকতে গেলে দেখে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। বাবা বার বার ডাকাডাকিতে ছেলের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে বখতিয়ারের দেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের সহযোগীতা বখতিয়ারকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ছেলের এমন মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মা দিলারা বেগমসহ পরিবারের কেউ। বার বার মা মুর্ছা যাচ্ছেন মা।

    বোন দিপ্তি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, কে জানতো আমার বাড়ীতে এই যাওয়ায় আমার ভাইয়ের শেষ যাওয়া। মায়ের ওপর রাগ করে ভাইটি আমার চির বিদায় নিলো। কাকে ভাই বলে ডাকবো।

    বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, কে জানতো মায়ের বকুনি সহ্য করতে না পেরে আমার কলিজা এভাবে সবাইকে কাদিয়ে চলে যাবে।

    চারঘাট মডেল থানার (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী ।।

  • বাগআঁচড়া প্রাইমারি স্কুলের পিছনে ময়লার ভাগাড়, দুর্গ-ন্ধে স্বাস্থ্য ঝু-কিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী

    বাগআঁচড়া প্রাইমারি স্কুলের পিছনে ময়লার ভাগাড়, দুর্গ-ন্ধে স্বাস্থ্য ঝু-কিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী

    আজিজুল ইসলামঃ যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে ময়লার স্তুপ গড়ে তোলা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ও আবর্জনা ফেলার কারণে তা ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। ময়লা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারিদিকে। স্থানীয় লোকজন সহ শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্য রয়েছেন। প্রায় ৫ শতাধিক শিশু বাগআঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। স্কুলের একেবারে পিছনেই গড়ে তোলা হয়েছে ময়লার ভাগাড়। প্রতিদিন বাজার ঝাড়ু দিয়ে এখানেই ময়লা ফেলা হয়। এছাড়াও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয় এখানে। দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলার কারণে এলাকায় পরিবেশ দুষন হচ্ছে।
    বাগআঁচড়া উজ্জ্বল পাড়ার শতাধিক পরিবার ও বিদ্যালয়ের ৫ শ শিক্ষার্থী সম্পুর্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় চেয়ারম্যানরা ময়লার ভাগাড় স্থানান্তরের কোনো উদ্যোগ নেন নি। ফলে তী্র দুর্গন্ধের মাঝেও শতাধিক পরিবার অনিচ্ছা সত্বেও সেখানে বসবাস করে আসছেন।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রায় দুইযুগ ধরে এখানে আবর্জনা ফেলা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি কেউ ভাবেনি। ভাগাড়ের পাশ দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ নাক টিপে ধরে চলাচল করলেও কেউ কখনো কোথাও অভিযোগ করেননি। বাজারে নির্দিষ্ট কোনো ময়লা ফেলার জায়গা না থাকায় ঝাড়ুদার ও স্থানীয়রা এখানেই নিয়মিত ময়লা ফেলে থাকেন।
    সোমবার দুপুরে বাগআঁচড়া প্রশাসক ও শার্শা উপজেলা পি আই ও জনাব শাহরিয়ার মাহমুদ রনজু এবং বাগআঁচড়া ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাঁন হাসান আরিফ সহ এলাকা বাসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রশাসক শাহরিয়ার মাহমুদ ময়লার ভাগাড় পরিস্কার সহ এর স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন।

  • নদীমাতৃক বাংলার এক ভুলে যাওয়া ঐ-তিহ্যর নাম শাপলা শালুক

    নদীমাতৃক বাংলার এক ভুলে যাওয়া ঐ-তিহ্যর নাম শাপলা শালুক

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন, বাংলাদেশের একসময় বাংলার বিল-হাওর ভরে থাকত এমন এক খাবারে যা ছিল ভাতের বিকল্প?
    যা শুধু খাবার নয়, ছিল গ্রামীণ জীবনের আনন্দ, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি র অংশ?
    হ্যাঁ, সেই ভুলে যাওয়া নামটি হলো— শালুক।

    বাংলাদেশের নদীমাতৃক অঞ্চলের এই ঐতিহ্যবাহী খাদ্য একসময় ছিল গ্রামের মানুষের নিত্যসঙ্গী। নিচু অঞ্চলের দোআঁশ ও কাদামাটিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া শালুকের চারটি প্রধান জাত পাওয়া যেত। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মাধবপুর, বৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নরসিংদীর হাওর ও খালচর অঞ্চলজুড়ে ছিল এই শালুকের প্রাচুর্য— যেন আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত।

    ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক মাস এলেই দেখা যেত বিলে উৎসবের আমেজ। কৃষক ও দামাল ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার ফাঁকে দলে দলে যেত শালুক তুলতে। হাসি-আড্ডায় মুখর হতো চারদিক। তখন শালুক, শাপলা, বেট, উঠা—এসব ছিল গ্রামের ঘরে ঘরে নতুন খাবারের স্বাদ।

    শালুকেরও ছিল নানা জাত— গাইয়্যা, সিন্ধু, রামউঠা সবচেয়ে জনপ্রিয়, আর কিছু প্রজাতি শালুকের মতো দেখতে হওয়ায় তাদের বলা হতো উডা, যেগুলো থেকে হতো শাপলা।

    প্রতিটি শালুকের ওজন প্রায় ৪০–৭০ গ্রাম। এটি সেদ্ধ করে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেত। পুষ্টিগুণে ভরপুর শালুক হজমে সাহায্য করত— গ্রামের মানুষ ভালোবেসে বলত, “শালুক খেলে পেটও খুশি, মনও খুশি।”

    কিন্তু এখন?
    বর্ষার পানি কমে গেছে, বিল শুকিয়ে গেছে, আর সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে শালুকের দিনগুলোও।

    তবুও সব শেষ হয়নি।
    কুমিল্লার মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে আজও কিছু মানুষ এই হারানো ঐতিহ্যটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। প্রায় বিশ বছর ধরে শালুকের ব্যবসা করছেন আবুল কাসেম, নারায়ণ, দীপ্ত সাহা, আবু মুছা ও সফিকসহ অনেকে।

    তারা সিলেটের সুনামগঞ্জ ও মাধবপুর হাট থেকে বারো মাস শালুক সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। পাইকারি দরে কেজি প্রতি ৫০–৮০ টাকা, খুচরায় ১৫০–২০০ টাকা। দীপ্ত সাহা বলেন, “প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ কেজি শালুক বিক্রি হয়। এই ব্যবসাতেই আমাদের সংসার চলে, আর মনে হয় যেন একটা ঐতিহ্যকেও বাঁচিয়ে রাখছি।”

    আজকের প্রজন্ম হয়তো শালুকের নামও শোনেনি,
    কিন্তু এই মানুষগুলো প্রমাণ করছে—
    যে ঐতিহ্যকে ভালোবাসা যায়, তাকে সময়ের স্রোতও মুছে ফেলতে পারে না।

  • টুঙ্গিপাড়ায় নিজের ক্রয়কৃত জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে এক মসজিদের ইমামের সংবাদ সম্মেলন

    টুঙ্গিপাড়ায় নিজের ক্রয়কৃত জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে এক মসজিদের ইমামের সংবাদ সম্মেলন

    কে এম সাইফুর রহমান।।

    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজের ক্রয়কৃত জমি দখলমুক্ত ও ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক মসজিদের ইমাম।

    সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫) বেল ১১টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার দাউদকান্দি পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা ও শ্রীরামকান্দি উত্তরপাড়ার শেখ জহির উদ্দিন জামে মসজিদের ইমাম মোঃ আজিজুল হক মোল্লা।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ আজিজুল হক মোল্লা জানান, তিনি দাউদকান্দি পশ্চিমপাড়া এলাকার নজরুল হক মোল্লার ছেলে। ২০০৫ সালে
    গওহরডাঙ্গা মৌজার ১৪৫ নং খতিয়ান ও ৬১৫ নং দাগে ছুরাত আলী শেখ, হাফেজ আলী, আরব আলী ও তাদের মা খাতুন বিবির কাছ থেকে তিনি পৌনে পাঁচ শতাংশ জমি বায়না চুক্তির মাধ্যমে ক্রয় করেন। চুক্তির পর বিক্রেতারা জমিটি তার দখলে দেন।

    এরপর তিনি উক্ত জমিতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন এবং বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছপালা রোপণ করেন। কিছুদিন পর যখন তিনি জমির রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করতে চান, তখন বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দলিল দিতে টালবাহানা শুরু করেন।

    তিনি আরও বলেন, তারা আমার কাছ থেকে জমি বিক্রি করার পরও বিভিন্ন সময় আমাকে হয়রানি করতে শুরু করে এবং ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য একাধিক মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে তাদের হয়রানিতে আমি বাধ্য হয়ে কিছুদিনের জন্য জায়গাটি ছেড়ে চলে আসি।

    পরে সরকার ঘোষণা দেয় যাদের বায়না চুক্তি আছে, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করতে পারবেন, নতুবা তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
    এই ঘোষণার পর আজিজুল হক আদালতে আবেদন করেন। আদালত তার মামলা গ্রহণ করেন।

    কিন্তু এরই মধ্যে বিক্রেতাদের চাচাতো ভাই ইয়াদ আলী একই জমি নিয়ে তার বিপক্ষে মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পরে আজিজুল হক আপিল করলে ২০১০ সালে আদালত তার পক্ষে রায় দেন।

    কিন্তু সেখানে থেমে না থেকে, ইয়াদ আলী আবার হাইকোর্টে আপিল করেন, যা ২০১৫ সালে খারিজ হয়ে যায়।
    আজিজুল হকের দাবি, আদালতের একাধিক রায়ে তার মালিকানা প্রমাণিত হলেও ওই পক্ষ গোপনে বাটওয়ারা মামলা করে জমিটি নিজেদের নামে নামজারি করে নেয়।

    এরপর গওহরডাঙ্গা গ্রামের ইমরান শেখ ও ইয়াদ আলী মিলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতায় ক্যাডার বাহিনী গঠন করে তার জমি জবরদখল করে নেয়। তারা জোরপূর্বক ওই জমিতে বাউন্ডারি নির্মাণ করে তাকে প্রবেশে বাঁধা দেয় বলে অভিযোগ করেন আজিজুল হক।

    সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
    আমি একজন গরিব মানুষ, মসজিদের ইমাম হিসেবে আল্লাহর ঘরে নামাজ পড়াই। আমার কোনো জনবল বা রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আদালতের রায় আমার পক্ষে হলেও আমি আমার জমিতে যেতে পারছি না। যারা ক্ষমতার জোরে আমার জমি দখল করেছে, তারা এখন উল্টো আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

    তিনি আরও জানান, বর্তমানে তিনি মামলার রায়ের কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না পাওয়ায় তিনি চরম হতাশায় ভুগছেন।

    আজিজুল হক মোল্লা বর্তমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন,
    যাতে আমি আমার বৈধভাবে ক্রয়কৃত জমি ফেরত পাই। আমি কোনো বেআইনি দাবি করছি না। কোর্টের রায় আমার পক্ষে আছে, তারপরও আমি দখল পাচ্ছি না। আমি চাই সরকার আমাকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করুক।

    সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান, তার জমি যাতে দ্রুত উদ্ধার করে দখল ফেরত দেওয়া হয় এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।