Author: desk

  • মুন্সীগঞ্জ‌ে টঙ্গীবাড়ী‌তে  দিবারাত্রি মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

    মুন্সীগঞ্জ‌ে টঙ্গীবাড়ী‌তে দিবারাত্রি মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    ব্যাপক দর্শক সমাগমের মধ্য দিয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বায়হাল যুব সংঘ আয়োজিত
    দিবা-রান্নি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণী করা হয় ।
    আজ ১৮ জুলাই, ২০২২ খ্রিঃ, রোজঃ সোমবার
    বায়হাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে ।
    ফাইনাল খেলায় সাদ্দাম একাদশ বনাম ‌রিয়াদ একাদশ দুটি দল মোকাবেলা করে। রিয়াদ একাদশ ৩-১ গোলে সাদ্দাম একাদশ কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াদ একাদশ ।সেরা গোলদাতা নির্বাচিত হয় সাদ্দাম একাদশ‌ের মোঃ জিহান

    উক্ত খেলায় প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দ‌ক্ষিন আওয়ামী লী‌গের যুগ্ন সাধারন সন্পাদক হাজী মিরাজ হো‌সেন মৃধা

    ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বি‌শিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আক্ত‌ার হো‌সেন ,মোঃজা‌হিদুর রহমান ,মোঃঅপু ।
    আ‌রো উপস্হ‌িত ছি‌লেন ,মোঃম‌জিবুর হাওলাদার ,হা‌জি র‌ফিক, আওলাদ হো‌সেন মৃধা ,মোবারক হো‌সেন মৃধা ,মেম্বার আ‌মির হাওলাদার ,জয়নাল শেখ ।

    খেলা শেষে প্রধান অতিথি খেলোয়াড় দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যুব সমাজকে খেলাধূলার প্রতি আগ্রহী করে তাদেরকে রক্ষা করতে হবে। যুবসমাজকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র ক্রীড়া জগত।

    তাই বেশি বেশি করে খেলাধূলার আয়োজন করতে হবে। প্রায় এক থেকে দেড় হাজার দর্শকের সমাগম ঘটে প্রতিদিন এ দিবারাত্রি খেলা উপভোগ করার জন্য গ্রাম বাংলার এরকম একটা খেলা উপভোগ করতে পেরে দর্শকরা ধন্যবাদ জানান।

    আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যুবসমাজকে মাদক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে এবং এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুবসমাজের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাটেই এই আয়োজন করা হয় প্রতি বছর।
    দিবারাত্রি মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেন সাইফুল, জিহান, রাজিব, ইমরান।

    খেলা‌টি মি‌ডিয়া পাটনার হিসা‌বে দা‌য়িত্ব পালন ক‌রেন মুন্সীগঞ্জ জেলার সব খবর ও ধ‌লেশ্ব‌রি টি‌ভি।
    খেলা‌টি রেফ‌টির দা‌য়িত্ব পালন ক‌রেন মোঃসু‌হেল।

  • পটুয়াখালীর দুমকিতে ৩ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার ০১

    পটুয়াখালীর দুমকিতে ৩ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার ০১

    এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।

    পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের পায়রা সেতু টোল প্লাজা সংলগ্নে পুলিশের চেকপোস্ট করাকালীন ৩ কেজি গাঁজা সহ মুছা হাওলাদার (৪৫), নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

    রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২.৩০ মিনিটের সময় তাকে আটক করেছে পুলিশ।আটককৃত মুছা রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়-বাইশদা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড কাজী কান্দা গ্রামের বাসিন্দা মৃত হানিফ হাওলাদারের ছেলে।

    পুলিশ সুত্রে, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পটুয়াখালী,,ও সহকারী পুলিশ সুপার বাউফল সার্কেল এর নির্দেশনায় এবং দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম এর তদারকিতে দুমকি থানার এস,আই রাজিব, এ,এস,আই রমিজ, এ,এস,আই হালিম সংগীয় ফোর্স সহ লেবুখালী টোল প্লাজা সংলগ্নে চেকপোস্ট করা কালিন অদ্য (১৮/০৭/২০২২ ইং) তারিখ আনুমানিক রাত ১২.৩০ মিনিটের সময় আসামি মুছা হাওলাদার(৪৫), কে আটক করেন। এসময় আটককৃত মুছার নিকট হইতে ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

    এ বিষয়ে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম বলেন, আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

  • পাইকগাছায় কপিলমুনি ইউনিয়নে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গে দুই বিএনপির নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

    পাইকগাছায় কপিলমুনি ইউনিয়নে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গে দুই বিএনপির নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

    পাইকগাছা (খুলনা)প্রতিনিধি।।
    পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গে দুই বিএনপির নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা সভাপতি সম্পাদক। শনিবার এ নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম এনামুল হক নিশ্চিত করেছেন। কপিলমুনি ইউনিয়নের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোঃ অবু হানিফ ও সাগঠনিক সম্পাদক মো সুজায়েত হোসেনকে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে এ কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ সাদ্দাম হোসেনকে সরকার দলী লোক দিয়ে লাি ত করাই তাদের বিরুদ্ধে এ সিধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি চিকিৎসক আব্দুল মজিদ জানান।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি।

  • পাইকগাছায় বন্ধ হচ্ছেনা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ির বিকিকিনি: নকল সন্দেহে ৮০ হাজার রুপালী বিড়ি জব্দ

    পাইকগাছায় বন্ধ হচ্ছেনা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ির বিকিকিনি: নকল সন্দেহে ৮০ হাজার রুপালী বিড়ি জব্দ

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    প্রশাসনের উদাসীনতা ও অসতর্কতায় খুলনার পাইকগাছাসহ প্রত্যন্ত এলাকায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রস্তুতকৃত নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত স্বনামে-বে-নামের বিভিন্ন ব্রান্ডের বিড়ি। কোন কোন সময় বিক্রেতাদের দু’এক জন ধরা পড়লেও বরাবর এর সাথে জড়িত হোতারা থেকে যাচ্ছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সর্বশেষ শনিবার (১৬ জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার কপিলমুনি এলাকায় পেট্রোল পুলিশের হাতে ৮০ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত সন্দেহে রুপালী বিড়ি ও একটি নম্বরবিহীন প্লাটিনা মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়েছে।
    কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে খুলনা থেকে রাজস্ব কর্মকর্তা জিন্নাতুল ফেরদৌস’র নেতৃত্বে রাজস্ব কর্মকর্তারা জব্দকৃত বিড়ি ও মোটরসাইকেল তাদের হেফাজতে নিয়েছেন।
    এব্যাপারে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জি,এম এমদাদুল হক জানান, সকালে কপিলমুনি বাজার এলাকা থেকে উক্ত বিড়ি বোঝাই নম্বরবিহীন মোটর সাইকেলসহ এর চালক দেলোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। এসময় সে বৈধ কাগজ-পত্র আনতে চলে যায়। খবর পেয়ে দুপুরের পর জিন্নাতুল ফেরদৌস’র নেতৃত্বে খুলনা রাজস্ব কর্মকর্তারা রুপালী বিড়ির ৮০ হাজার শলাকা ও প্লাটিনা মোটর সাইকেলটি জব্দ করে নিজ হেফাজতে নিয়েছেন।
    এর আগে গত বছরের ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিদের্শে উপজেলা সেনেট্যারী ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা উদয় কুমার মন্ডল পৌরসদর থেকে ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত মনির বিড়িসহ যশোরের মনিরামপুর থানার চন্ডিপুর এলাকার মো: আলী হোসেন বিশ্বাসের ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেন। জব্দকৃত বিড়ির চালান নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে নিলে পাইকগাছার সোলাদানার বয়ার ঝাপার মৃত আ: সামাদ বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রউফ বিশ্বাস নিজেকে সাব ডিলার, সাতক্ষীরার আশাশুণীর ছোবান ঢালীর ছেলে রেজোওয়ান ইসলাম রনি ও সোলাদানার বয়ারঝাপা গ্রামের মো: আবুল কাশেম এর ছেলে মো: শরিফুল ইসলাম নিজেদের কোম্পানীর এসআর পরিচয়ে তাদের আমদানিকৃত সমুদয় বিড়ির প্যাকেটে ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল আসল বলে দাবি করে তাদের কোম্পানী সরকারকে যথাযথ রাজস্ব দেয় বলে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় জব্দকৃত বিড়ির চালান পরীক্ষিত ফলাফলের ভিত্তিতে আইনানুগ যেকোন ব্যবস্থা গ্রহনের শর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) এর মৌখিক নির্দেশে সাবডিলার উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বয়ারঝাপা গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রউফ বিশ্বাসের জিম্মায় রাখা হয়।
    এরপর ইউএনও’র নির্দেশে স্যানিটারী কর্মকর্তা উদয় কুমার মন্ডল মনির বিড়ির ৪টি নমুনা প্যাকেট পরীক্ষার জন্য দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে প্রেরণ করেন। যার পত্র নং-উপঃস্বাঃকমঃ/ স্যানি/ পাইক/ খুল/ ২০২১/৯০৮, তারিখ ২৬/১০/২১ইং। এর পরিপ্রেক্ষিতে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিঃ এর অরিজিনেশন, গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: খশরুজ্জামান স্বাক্ষরিত গত ৮ নভেম্বর পত্র নং ৫৩. ১৮. ৩৩০০. ০৩৮.১৬.১৩৪.২০২১-১৩৪ মাধ্যমে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মন্ডলকে জানানো হয় যে, তাদের কাছে পাঠানো মনির বিড়ির ৪ টি প্যাকেটে লাগানো ব্যান্ডরোলগুলো নকল।
    সর্বশেষ অরিজিনেশন, গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পাঠানো তথ্যর ভিত্তিতে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম গত ২৪ নভেম্বর ১৩৪৮ নং স্মারকে জব্দকৃত বিড়িগুলি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার অথবা উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের দফতরে ফেরৎ দেওয়ার জন্য জিম্মাদার আব্দুর রউফ বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন। এরপর অদ্যাবধি তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
    এব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্যকর্মকর্তা উদয় কুমার মন্ডল জানান, এ ঘটনায় তিনি ১৮৬০ এর ২৫৫ এবং ২৬০ ধারায় মনির বিড়ি কোম্পানীর মালিক যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর ঘিবা গ্রামের মো: জামসেদ আলীর ছেলে মো: মনিরুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ জনের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন।
    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ ট্যারিফ আইনে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ব্যবহৃত ব্যান্ডরোলের সরকার নির্দ্ধারিত মূল্য নির্দ্ধারণ করা হয়েছে, ৯ টাকা ০৯ পয়সা। অথচ বাজারে যত্রতত্র বিভিন্ন স্বনামে বেনামের ভুঁইফোড় বিভিন্ন কোম্পানীর নামে নিম্নমানের বিভিন্ন বিড়ি সরকার নির্ধারিত মূল্য’র চেয়ে নাম মাত্র মূল্যে বাজারজাত করা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রতি প্যাকেট ২৫ (শলাকা) বিড়ির দাম ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও নিন্ম মানের কম দামের বিড়ি ৮/১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যেখানে বিড়ির প্যাকেটে ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল গুলোর সরকারের কাছ থেকে খরিদকৃত টাকার চেয়েও কমদামে বাজারজাত করা হচ্ছে।
    এব্যাপারে কাস্টমসের পক্ষে সরকারি রাজস্ব সুরক্ষার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে পোষ্ট মাস্টার জেনারেলদেরকে অবৈধ কোম্পানীর কাছে সরকারের ব্যান্ডরোল বিক্রি না করতে অবহিত করেন।
    সর্বশেষ সরকারের রাজস্ব উসুলের পাশাপাশি বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর পক্ষে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সদয় ও যথাযথ আইনের প্রয়োগে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • ভেষজ গুণসম্পন্ন ডুমুর বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ

    ভেষজ গুণসম্পন্ন ডুমুর বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছ,খুলনা।।
    ডুমুর বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ।এক সময় বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশে পাওয়া গেলেও বর্তমানে এই উদ্ভিদটি বিপন্ন। ডুমুর ফল প্রায় সকলেরই চেনা। ডুমুর নরম ও মিষ্টিজাতীয় ফল। ফলের আবরণ ভাগ খুবই পাতলা এবং এর অভ্যন্তরে অনেক ছোট ছোট বীজ রয়েছে। এর ফল শুকনো ও পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়। ডুমুর উচ্চমানের ভেষজ গুণসম্পন্ন ফল। কাঁচা ডুমুর ফল অতি উন্নত সবজি।
    শুধু ডুমুর বা অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিলিয়ে ডুমুরভাজি অথবা এর ভর্তা ভীষণ উপাদেয় খাদ্য।
    বাংলাদেশে সচরাচর যে ডুমুর পাওয়া যায় তার ফল ছোট এবং খাওয়ার প্রায় অনুপযুক্ত।দেশে যেটি পাওয়া যায় সেটি গোলডুমুর নামে পরিচিত।এর আরেক নাম কাকডুমুর। ফল আকারে বেশ ছোট এবং খাওয়ার অযোগ্য। এগুলো মূলত পাখিরাই খেয়ে থাকে। বেশ কিছু অ লে এ ফল তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়।তবে ডুমুর খুবই উপকারী। মূলত জগডুমুর তরকারি করে খাওয়া হয়। ডুমুর হাটবাজারে কিনতে পাওয়া যায় খুব কম।এ ছাড়া ডুমুরের ফল সবজি হিসেবে এবং পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডুমুরগাছের পাতা শিং ও মাগুর মাছ পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা হয়।
    শহর-নগর সর্বত্র ডুমুর পাওয়া যায় না। গ্রামগঞ্জে যেখানে-সেখানে ডুমুর গাছ দেখতে পাওয়া যায়। ডুমুর গাছ কেউ লাগায় না। প্রাকৃতিকভাবে আপনাআপনি হয়।দেশে দুই ধরনের ডুমুর দেখা যায় – গোল ডুমুর বা কাকডুমুর ও যজ্ঞডুমুর বা জগডুমুর।কাকডুমুরের পাতা বড়, লম্বা ও খসখসে হয়। এই ডুমুরের পাতা শিরিশ কাগজের মত খসখসে।আর যজ্ঞডুমুরের পাতা ছোট ও গোল। এই ফলের আকার কাকডুমুর-এর চাইতে বড়; এটি একটি জনপ্রিয় মিষ্টি ও রসালো ফল। ডুমুরের আরো অনেক প্রজাতি রয়েছে। ডুমুর মোরাসিয়া গোত্রভূক্ত ৮৫০টিরও অধিক কাঠজাতীয় গাছের প্রজাতিবিশেষ।
    উষ্ণ জলবায়ু অ লে এ প্রজাতির গাছ জন্মে।আমাদের দেশের রাজশাহী অ ল, খুলনা, ফরিদপুর, পার্বত্য এলাকার খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি, সিলেটের মৌলভীবাজার ও টাঙ্গাইলে ডুমুর তুলনামূলক বেশি জন্মে। দেশের অন্যত্রও বিক্ষিপ্তভাবে ডুমুরের গাছ দেখা যায়। গ্রামের বন-বাদাড়ে এই গাছ অযতেœ-অবহেলায় এখানে সেখানে ব্যাপক সংখ্যায় গজিয়ে ওঠে। গাছ তুলনামূলকভাবে ছোট। এটি এশিয়ার অনেক অ লে এবং অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। পাখিরাই প্রধানত এই ডুমুর খেয়ে থাকে এবং পাখির বিষ্ঠার মাধ্যমে বীজের বিস্তার হয়ে থাকে। এর আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া। এর ফল গাছের কান্ডে থোকায় থোকায় হয়।
    ‘ডুমুরের ফুল’ না দেখলেও ডুমুর ফল সবাই দেখেছে। ডুমুরের ফুল দেখা যায় না।তাই ডুমুরের ফুল নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। ফলের ভিতরে ফুল হওয়া বৃক্ষের নাম ডুমুর। ফুলটি তাই দেখা যায় না। কিন্তু ফলের অন্তঃপুরে তার প্রকাশ ঘটে।
    ডুমুর খুবই উচ্চমানের ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। তাছাড়াও পাকা ডুমুর দিয়ে জ্যাম, জ্যালি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। পাকা ডুমুর শুকিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবারের উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা যায় । কার্বোহাইড্রেট, সুগার, ফ্যাট, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ডুমুর। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ডুমুরের অনেক ঔষধী গুণও রয়েছে । বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় স্মরণাতীতকাল থেকে ডুমুরের পাতা, কাঁচা ও পাকা ফল, নির্যাস, বাকল, মূল প্রভৃতি কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ডুমুরে খাদ্যশক্তি ৩৭ কিলোক্যালরি, ১২৬ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিনসহ ভিটামিন এ, বি, সি ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে। গুটিবসন্ত, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, কিডনি ও মূত্রসংক্রান্ত সমস্যা, স্নায়বিক দুর্বলতা, মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধি, সর্দি-কাশি, ফোড়া বা গ্রন্থস্ফীতি (টিউমার) ও স্ত্রীর হাড়ের গঠন মজবুত করা, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করাও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ডুমুরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
    মধ্যপ্রাচ্যে যে ডুমুর (আঞ্জির) পাওয়া যায় তার ফল বড় আকারের; এটি জনপ্রিয় ফল হিসেবে খাওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হয়ে থাকে আফগানিস্তান থেকে পর্তুগাল পর্যন্ত। হিন্দি, উর্দু, ফার্সি ও মারাঠি ভাষায় একে ‘আঞ্জির’ বলা হয়। এর আরবি নাম ‘ত্বীন’; এই গাছ ৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য। আঞ্জির হচ্ছে ডুমুর জাতীয় এক ধরনের ফল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত লাভজনকভাবে চাষ করা হচ্ছে । খুলনার পাইকগাছায় প্রচুর পরিমানে ডুমুর গাছ গন্মে।তবে অবহেলা অনাদরে কিছু গাছ বেচে যায় আর বাগান বলে গাছ কেটে ফেলা হয় গরুর খাদ্য হিসাবে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাইকগাছা কার্যালয়ের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো:জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডুমুরের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।তরকারি হিসাবে এলাকায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ এলাকার কৃষকদের উচ্চমানের ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ ডুমুর গাছ সংরক্ষণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

  • সুজানগরে গলায় ফাঁস দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    সুজানগরে গলায় ফাঁস দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    এম এ আলিম রিপনঃ পাবনার সুজানগরে মোছা. আমেনা খাতুন(১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে । আত্মহত্যাকারী মাদ্রাসা ছাত্রী আমেনা খাতুন উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের হটখালী গ্রামের মো.রণজিত শেখের মেয়ে ও স্থানীয় ভিটবিলা দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানায়, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সবার অজান্তে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী আমেনা খাতুন আত্মহত্যা করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুজানগর থানার ওসি(তদন্ত) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • কেশবপুরে পুকুরে পড়ে যাওয়া ফুটবল  তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    কেশবপুরে পুকুরে পড়ে যাওয়া ফুটবল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে ১৭জুলাই পৌর শহরের বায়সা এলাকার মিলন হোসেনের ছেলে আরবির হোসেন (৩) বাড়ির পাশে ফুটবল খেলছিল। খেলতে খেলতে ফুটবলটি বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। পুকুর থেকে ফুটবল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশুটির মৃত্যূ হয়। সন্ধ্যার দিকে বাড়ির লোক খোজাখুজির এক পর্যায়ে পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে। এসময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। শিশুটির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    মোঃ জাকির হোসেন
    কেশবপুর,যশোর

  • কেশবপুরে সরকারী খাল দখল করার অপরাধে  দুই জনকে ২০হাজার টাকা জরিমানা

    কেশবপুরে সরকারী খাল দখল করার অপরাধে দুই জনকে ২০হাজার টাকা জরিমানা

    কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে সুফলাকাটি ইউনিয়নে আড়–য়া গ্রামে আনোয়ার ফকির ওধিান বৈরাগী নামে দুই ব্যাক্তি সরকারী খাল দখল করে দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করছিল। ১৭জুলাই উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের ক্ষমতাবলে আরিফুজ্জামান আড়–য়া গ্রামে আনোয়ার ফকির ওধিান বৈরাগী নামে দুই ব্যাক্তি সরকারী খাল দখল করার অপরাধে দুই জনকে ২০হাজার টাকা জরিমানা করেন।

  • দখলমুক্ত করতে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই কৃষি বিভাগের নওগাঁর উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার এখন প্রভাবশালীদের দখলে

    দখলমুক্ত করতে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই কৃষি বিভাগের নওগাঁর উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার এখন প্রভাবশালীদের দখলে

    রওশন আরা শিলা, নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ
    দীর্ঘদিন সংস্কার না করা ও সঠিক নজরদারির অভাবে নওগাঁয় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের থাকার জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত ৯৮টি এসএএও কোয়ার্টার বেদখল হতে শুরু করেছে। আনুমানিক ষাটের দশকে নির্মিত এসব কোয়ার্টার দীর্ঘদিন অযতেœ ফেলে রাখায় তা স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে নিচ্ছে। মূল্যবান জমিগুলো দখলে নিয়ে সেখানে নতুন করে দোকানপাট ও বসতবাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। সুদ ব্যবসা, জুয়া, মাদক ব্যবসা ও মাদকসেবনসহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে এসব কোয়ার্টারে। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি দেখেও দেখছেন না কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। এতে সরকারের কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ বেহাত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
    জানা গেছে, আনুমানিক ষাটের দশকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের আমলে বীজ সংরক্ষণ ও বিপননের জন্য সীড স্টোর হিসেবে এই কোয়ার্টারগুলো নির্মান করা হয়েছিল। ১৯৮২ সালে কয়েকটি বিভাগের সমন্বয়ে বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সৃষ্টি হয়। সেই সময় সারাদেশে খাদ্যশষ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষক পর্যায়ে প্রযুক্তিগত সহযোগীতা দিতে সীড স্টোরগুলো সংস্কারের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের থাকার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। যার নাম দেয়া হয়েছে এসএএও কোয়ার্টার।
    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালের জেলার ১১টি উপজেলার ৯৯টি ইউনিয়নে অবস্থিত ৯৯টি এসএএও কোয়ার্টার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কর্তৃক সংস্কারের মাধ্যমে বসবাস উপযোগী করে ১৯৮জন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে কয়েক বছর আগে মান্দা উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের এসএএও কোয়র্টার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। অবশিষ্ট ৯৮টি কোয়ার্টারের মধ্যে বর্তমানে জেলার সদর উপজেলায় ১৫টি, রাণীনগরে ৮টি, আত্রাইয়ে ৮টি, বদলগাছীতে ৮টি, মহাদেবপুরে ১০টি, পতœীতলায় ১০টি, ধামইরহাটে ৭টি, সাপাহারে ৫টি, পোরশায় ৫টি, মান্দায় ১৪টি ও নিয়ামতপুরে ৮টি রয়েছে। জেলায় ৯৮টি এসএএও কোয়ার্টার থাকলেও এর মধ্যে বসবাসের উপযোগী ৩টি উপজেলার ৭টি এসএএও কোয়ার্টার রয়েছে।
    সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলার ৯৮টি এসএএও কোয়ার্টারের মধ্যে যেগুলো মূল বাজার সংলগ্ন মূল্যবান সম্পত্তি তার অধিকাংশই প্রভাবশালীরা দখলে নিয়েছে। অনেক কোয়ার্টার দখল করে ভবনের তালা ভেঙে নিজেদের তালা লাগিয়ে টানানো হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের সাইনবোর্ড। অনেক জায়গায় পরিত্যক্ত কোয়ার্টার ভেঙে চারিদিকে দেয়াল তুলে নিজের সম্পত্তি বলে দখল করা হয়েছে। বিভিন্ন এসএএও কোয়ার্টারের মূল্যবান সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে সেখানে দোকান ঘর নির্মান করা হয়েছে। সেখান থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করেন প্রভাবশালীরা। দোকানগুলো ভাড়া নিতে জামানত হিসেবে নেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা থাকার সুবাদে বেশ কিছু কোয়ার্টার দখলে নিয়েছে বখাটেরা। ঝুঁকিপূর্ণ কোয়ার্টার দখলে নিয়ে কোথাও আবার নিয়মিত বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। কোয়ার্টারে আধুনিক ওয়াফাই সুবিধা, টিভি, চেয়ার, টেবিলসহ অসংখ্য আসবাবপত্র দিয়ে সেখানে রাতভর আড্ডাবাজি, নিয়মিত মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা ও সুদ ব্যবসা করা হয়। কোয়ার্টারে আড্ডারত বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসীরা। এসব কোয়ার্টারের সামনে দিয়ে যাবার পথে যৌন হয়রানি ও ইভটিজিং এর স্বীখার হতে হয় অনেককেই। কিছু কিছু কোয়ার্টারগুলোতে বখাটেদের টর্চার সেলও তৈরী রয়েছে। এসএএও কোয়ার্টারের কক্ষে মাদক সেবন, জুয়াসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ করা হয় প্রতিনিয়নত। কোয়ার্টারের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় মাদকসেবীদের আলামত। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে তাদের সখ্যতা থাকায় ইউনিয়নে কর্মরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ভয়ে তাদের কিছু বলতেও পারেন না। ইউপি চেয়ারম্যানসহ কৃষি বিভাগকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও জায়গাগুলো দখলমুক্ত করতে পারছে না উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
    নওগাঁ শহরের গোস্তহাটির মোড়ে এসএএও কোয়ার্টারের সম্পত্তিতে মুদি দোকান নির্মান করেছেন নাইম হোসেন। তিনি বলেন, এখানে পৌর মেয়র কিছু জমি দখলে নিয়ে তার বহুতল ভবনে যাবার রাস্তা তৈরী করেছেন। ইজি বাইক চালকরা তাদের সংগঠনের একটি অফিস করেছে। কোয়ার্টারের মূল ভবন পুরোটাই বাংলাদেশ প্রাক্তন সেনা সংস্থ্যার সাইনবোর্ড টানিয়ে দখল করে রেখেছে। তাই ভাবলাম আমিও একটা দোকান করি।
    নওগাঁ শহরের গোস্তহাটির মোড়ে এসএএও কোয়ার্টারের মূল ভবন দখলকারী বাংলাদেশ প্রাক্তন সেনা সংস্থ্যা নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি অবঃ সার্জেন্ট ইনতাজুল হক মোল্লা বলেন, আমাদের সংগঠনের স্থায়ী কোন কার্যালয় না থাকায় প্রায় ১০ বছর আগে ভবন দখলে নিয়ে এখানে অস্থায়ীভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আগে সংগঠনের খরচ চালাতে কিছু দোকানপাট এখানে ভাড়া দিতাম। এখন আর দেয়া হয় না। বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগ বাদী হলে একাধিকবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কখনো এই ভবনটি ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলা হলে আমরা দখল ছেড়ে দিয়ে চলে যাবো।
    শহরের গোস্তহাটির মোড়ে এসএএও কোয়ার্টারের সম্পত্তিতে দোকানঘর নির্মাণ করে আসবাবপত্র রেখেছেন নওগাঁ পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি। তিনি বলেন, আমার বাড়ির সামনের কোয়ার্টারের জমিতে যেসব দোকানঘর রয়েছে তা আমার নয়। আপনারা এসব খবর আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস থেকে নিয়ে এসেছেন। আর কোন খবর পান না? আপনি কিসের সাংবাদিক? এবিষয়ে কিছু জানতে হলে আমার সাথে দেখা করেন।
    সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহীনুর রহমান বলেন, চন্ডিপুর ইউনিয়ন এসএএও কোয়ার্টার একেবারেই বোর্ড বাজার সংলগ্ন। তাই এই জমির বর্তমান মূল্য অনেক বেশি। শামসুর রহমান বাচ্চু, সুমনসহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা এই কোয়ার্টার ভেঙে ৭টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। প্রত্যেক দোকানঘর থেকে অগ্রীম জামানত বাবদ ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক ভাড়া আদায় করা হয়।
    চন্ডিপুর ইউনিয়ন এসএএও কোয়ার্টার দখল করে ৭টি দোকানঘর নির্মাণকারী সুমন হোসেন বলেন, দাদাদের আমলে জমিটি সীড স্টোর তৈরী করতে দান করা হয়েছিল। তবে ওই সময় আমাদের ২ জন দাদা বাদী হয়েছিলেন। জমিটি খতিয়ানমূলে আমার বাবার নামে থাকায় এখন আমরা ভাইয়েরা মালিক। তাই এটা দখল করে ভেঙে কিছু দোকানপাট তৈরী করে ভাড়া দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ চাইলেও আমরা এই জমির দখল ছাড়বো না।
    সদর উপজেলার কির্তীপুর ইউনিয়নে কর্মরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র বলেন, ৩ বছর আগে থেকে আমাদের কোয়ার্টার বখাটেরা দখল করে রেখেছে। সেখানে টিভি, ওয়াইফাই সংযোগ, একাধিক চেয়ার টেবিল রেখে রাতভর আড্ডাবাজি, নিয়মিত সুদ ব্যবসা, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা করে তারা। বখাটেদের উৎপাতে আশেপাশের বাড়িগুলোতে থাকা মা-বোনেরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে। ৩ বছর আগে তৎকালীন উপজেলা কৃষি অফিসারসহ সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল মালেক বরাবর অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি। রাজনৈতিক ছত্রছায়া থাকায় ওই বখাটেদের সামনাসামনি কিছু বলার সাহস আমরা পাই না। জায়াগাটা মূল বাজার সংলগ্ন হওয়ায় বখাটেরা সেটি কোনভাবেই ছাড়তে চাচ্ছে না।
    জেলার একাধিক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তরা জানান, প্রতি বছর বেহাত-বেদখল সংক্রান্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। যেগুলো দখল হয়ে আছে তার বেশিরভাগ গুলোই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে থাকা প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে রেখেছেন। তাদেরকে উচ্ছেদ করলে আবারো তারা কিছুদিন পর পর কোয়ার্টার দখলে নেয়। সরকারী এই মূল্যবান সম্পত্তি রক্ষার্থে বহুবার সীমানা প্রাচীর নির্মানের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাড়া মিলেনি।
    নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) একেএম মনজুরে মাওলা সাংবাদিককে বলেন, বসবাস অনুপযোগী হওয়ায় আমাদের এসএএও কোয়ার্টারগুলোতে এখন আর থাকা যায় না। যতই দিন যাচ্ছে কোয়ার্টারের জমির মূল্য বাড়ছে। এসব জমির উপর নজর পড়ছে প্রভাবশালীদের। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তখন সেই দলের নেতারা জমিগুলো হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো আমাদেরকেই মামলা-হামলার স্বীকার হতে হয়।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উইং) শামছুল হক বলেন, সারাদেশে বেদখল হওয়া এবং দখলমুক্ত এতো বেশি সংখ্যক এসএএও কোয়ার্টারের সীমানা প্রাচীর রাজস্ব থেকে নির্মাণ করা সম্ভব নয়। কৃষি বিভাগের এই সম্পদ রক্ষার স্বার্থে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।#

    রওশন আরা পারভীন শিলা
    নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।

  • সরকারি চাকরীর দাবীতে আমরণ অনশনকৃত ঢাবি ছাত্র  গুরুতর অসুস্থ

    সরকারি চাকরীর দাবীতে আমরণ অনশনকৃত ঢাবি ছাত্র গুরুতর অসুস্থ

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    সরকারি চাকরীর দাবীতে আবারো আমরণ অনশণ শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র শাহীন আলম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রোববার দুপুরে অনশনস্থলে গিয়ে দেখা যায় শাহীন আলম প্রখর রৌদ্রে অচেতন হয়ে পড়ে আছে। হাত নেড়ে জানান তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার দাবী পুরণ না হলে তিনি এখানেই মৃত্যুবরণ করবেন। রোববার সকালে ঝিনাইদহ শহরের প্রেরণা একাত্তর এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স বিভাগের ছাত্র শাহীন আলম। তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, ২০১৫-২০১৬ সেশনে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স শেষ করেছেন। দেশে বিদেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে অনলইনে কম্পিউটর প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তার মোট শিক্ষার্থী এখন ২৩৯ জন। সে তার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইনফরমেশন অফিসার, কমিউনিকেশন, টিচার ও ট্রোইনারের সরকারি চাকরীর দাবি করেন। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত মৃত্যু হলেও সে অনশন কর্মসূচি ভঙ্গ করবে না। শাহীন জানান, গত ০৯ মে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চাকরীর দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছিল। এ খবর শুনে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম দুইজন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে চাকরীর আশ্বাস দেন। শাহিনকে দুইদিন ঝিনাইদহ সার্কিট হাউসে রেখে ২৫ টাকা হারে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও ৫ হাজার টাকার চুক্তিতে শিক্ষকতার চাকরীর প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখান করেন বাড়ি ফিরে যান। ওই সময় সাংবাদিকদের কাছে তিনি আবারো আমরণ অনশন কর্মসুচী করবেন বলে জানান। ৬৬ দিন পর তিনি আবারও একই দাবিতে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রতিবন্ধি শাহীন আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুল কাদেরের ছেলে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।