Author: desk

  • শোক আর শ্রদ্ধা সংসদের ডেপুটি স্পিকার এড,ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

    শোক আর শ্রদ্ধা সংসদের ডেপুটি স্পিকার এড,ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

    রংপুর থেকে বিভাগীয় প্রতিনিধি আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন। —

    দেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার(সাঘাটা-ফুলছড়ি)গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
    শুক্রবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে (নিউইয়র্ক সময় বিকেল ৪টা) যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
    ডেপুটি স্পিকার দীর্ঘ নয় মাস দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঐ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুর সময় তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা ও একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
    ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী সংলগ্ন গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
    ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করলে তার বিরোধিতার আন্দোলনে নেমে প্রথম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ফজলে রাব্বী মিয়া। তখন তিনি কেবল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
    ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।
    ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।
    ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
    ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
    এর আগে, ২০২০ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদ্য প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মারা যান।
    প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
    সাফল্য সাহিত্য সংস্কৃতি পরিবার বাংলাদেশ সহ সকল মহল থেকে শোকবার্তা জানিয়েছেন ।

  • ঝিনাইগাতীর গজনী পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নেই, বিপাকে ইজারাদার

    ঝিনাইগাতীর গজনী পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নেই, বিপাকে ইজারাদার

    মোঃ তারিফুল আলম তমাল
    শেরপুর,জেলা,প্রতিনিধিঃ

    শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নেই । ফলে অবকাশ কেন্দ্রে আগত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানান জটিলতার পাশাপাশি চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে অবকাশ কেন্দ্রের ইজারাদারকে।জানা গেছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খনিজ ও বনজ সম্পদে ভরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়। এ গারো পাহাড়ের সৌন্দর্যকে ঘিরে ১৯৯৩ সালে তৎকালীন প্রাকৃতিক প্রেমি জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান মজুমদার প্রায় ৫০ একর পাহাড়ি জমির উপর গড়ে তুলেন একটি পিকনিক স্পর্ট। মৌজার নামানুসারে এর নামকরন করা হয় গজনী অবকাশ কেন্দ্র। কেন্দ্রটি গড়ে তোলার পর থেকে দর্শনার্থীদের ঢলনামে এ অবকাশ কেন্দ্রে। সারাদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের ভীড়ে মুখরিত হয়ে উঠে গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্রটি। আগত দর্শনার্থীদের কাছ টোল আদায়ের লক্ষে,উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে রাস্তার পাশে একটি টোল আদায় ঘর নির্মাণ করা হয়। এ ঘরে বসে গত প্রায় ২ যুগ ধরে ভ্রমনপিপাষুদের কাছ থেকে টোল আদায় করে আসছিলো উপজেলা প্রশাসন। জানা গেছে, চার দিক থেকে রাস্তা- ঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সামনের টোল আদায় ঘরটি অকার্যকর হয়ে পরে। এছাড়া গত কয়েকবছর ধরে অবকাশ কেন্দ্রটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, এ অবকাশ কেন্দ্র থেকে প্রতিবছর সরকারের ঘরে আসছে অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব। কিন্তু অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ প্রথে আজো নির্মিত হয়নি টোল আদায় ঘর। ফলে ইজারাদারের লোকদের টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানা জটিলা, বিড়ম্বনা ও ভোগান্তিতে পড়ছে হচ্ছে।গজনী অবকাশ কেন্দ্রের ইজারাদার মোঃ ফরিদ আহম্মেদ বলেন,গজনী অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পরেছে। অন্যথায় লোকসানে পড়তে হবে তাদের। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • আইন শৃংখলা উন্নয়নে  জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবে- ময়মনসিংহে ওসি কামাল।।

    আইন শৃংখলা উন্নয়নে জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবে- ময়মনসিংহে ওসি কামাল।।

    ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, শুধু অভিযান চালিয়ে, মামলা দিয়ে ও গ্রেপ্তার করে এলাকা থেকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ বড়-বড় অপরাধগুলো নির্মূল করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সর্বস্তরের জনসাধারণের সম্মিলিত উদ্যোগ। আইন শৃংখলার উন্নয়নে পুলিশের পাশাপাশি এলাকার জনসাধারণকে এগিয়ে আসারো আহবান তিনি।

    শনিবার (২৩জুলাই)রাত ১০.০০ টায়
    চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এলাকার সাবেক এবং বর্তমান কাউন্সিলর এবং বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গের সাথে এক মত বিনিময় সভায় ওসি কামাল এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, জনতার সহযোগিতা ছাড়া উন্নয়নের পথের এ তিনটি বাধা দূর করা সম্ভব নয়। ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর এক অবাক বিস্ময়। এ উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, কিছু কিছু অমানুষ এ উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা আমাদের মাদক দিয়ে, সন্ত্রাস দিয়ে, জঙ্গি দিয়ে ফাঁসিয়ে দিতে চাইছে। তারা চায় না এ দেশের উন্নয়ন হোক। তিনি বলেন, ‘জনগণের সহায়তায় পুলিশ ইতিমধ্যে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, বর্তমানে আমাদের টার্গেট মাদক নির্মূল করা। মাদকের কারণে খুন,রাহাজানী বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই আমরা মাদক,খুন,হত্যাসহ সকল প্রকার অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হতে চাই। এ জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য চাই। কেননা জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া পৃথিবীতে কোনো দেশের পুলিশ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যে সব তথ্য পাই তার ৯৯ ভাগ তথ্য দেয় জনগণ। এ জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। ওসি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন টেকসই শান্তি। আর টেকসই শান্তি আসে টেকসই নিরাপত্তা থেকে। পুলিশ জনগণকে টেকসই নিরাপত্তা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। ‘জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া সমাজ থেকে মাদক, খুন,জঙ্গি সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব নয়। পাশের ঘরে আগুন লাগলে আমাদেরও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। আমরা যদি একজন ব্যক্তিকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে সরিয়ে আনতে পারি, তবে সেটা হবে সত্যিকারের দেশপ্রেমের কাজ। এসময় তিনি জানান- কোতুয়ালী মডেল থানা এলাকার প্রতিটি পুলিশ ফাঁড়ি, বিট পুলিশিং কার্যালয় হবে মানুষের সেবার কেন্দ্র । একজন মানুষ নিরুপায় হয়েই থানায় যায়। এসব সেবা কার্যালয়ে এসে হাসিমুখে মানুষ যেন কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় তিনি সেই প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন। এসময় চড়পাড়া এলাকার সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

    জানা যায়, পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ,একজন ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ অফিসার। প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশ জনগণের বন্ধু । তিনি এই বাক্যটির উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তিনি অন্যতম একজন আদর্শ পুলিশ অফিসার যিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন। পুলিশ জনতার, জনতা পুলিশের এই শ্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। কোতোয়ালীবাসীর সকল শ্রেণির মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। অধিকাংশ মানুষই তাকে গরিবের বন্ধু হিসাবে জানেন। তিনি তাঁর সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও তার বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি অবদান রেখেছেন। পুলিশে যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন । তার সুনিপুণ দক্ষতার মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্তের ফলে দোষীরা খুব দ্রুতই আইনের আওতায় চলে এসেছে এবং তাদের শাস্তিও হয়েছে। এলাকার মানুষ জন বলেন- তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার হিসাবে পরিচিত। চড়পাড়া এলাকাবাসী বলেন, তিনি আমাদের বন্ধু তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আমাদের এলাকা মাদক, চাদাঁবাজ, দখলবাজ, ইভটিজার, জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মুক্ত। আ,লীগের এক নেতা বলেন, তাঁর মতো একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠী আওয়াজ তোলা পুলিশ অফিসার পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য।

    ওসি কামাল এসময় সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন- সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আবির হত্যাকারীদের দ্রুতই বিচারের আওতায় আনা হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি ময়মনসিংহে আর না ঘটে।

    তিনি বলেন-ময়মনসিংহ একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপ্রিয় জেলা। এই জেলায় কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন-কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে ধর্ম অবমাননা, কটুক্তি, মন্তব্য করে ও সমাজের শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ করে তাহলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আবেগের বশবতী হয়ে অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানলে ও শান্তি বিনষ্ট করলে তার জন্য দেশে প্রচলিত আইন আছে। আইন অবমাননাকারীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।

  • ডেপুটি স্পীকার এর মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতার শোক

    ডেপুটি স্পীকার এর মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতার শোক

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
    বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া এঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি।

    দীর্ঘ নয় মাস দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার স্হানীয় সময় বিকাল ৪ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন ডেপুটি স্পীকার ( ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

    শনিবার (২৩জুলাই)বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের
    মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতার সহকারী একান্ত সচিব মামুন হাসান প্রেরিত এক শোক বিবৃতিতে
    বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ফজলে রাব্বী মিয়া ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষ্যে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে কাজ করেন প্রয়াত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়া রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং একাধিকবার তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন।

    বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন,মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সংসদীয় গণতন্ত্রে ডেপুটি স্পীকারের অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গণে অপূরনীয় ক্ষতি হলো যা সহসা পূরণ হওয়ার নয়।

    বিরোধীদলীয় নেতা মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    উল্লেখ্য,ফজলে রাব্বি মিয়া বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের হুইপ, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং দ্বিতীয় মেয়াদে জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেন।

    অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া মৃত্যুকালে তিন কন্যা ও নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

  • মরিচবুনিয়ায় আলহাজ্ব আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভূতুড়ে ম্যানিজিং কমিটির অভিযোগ।

    মরিচবুনিয়ায় আলহাজ্ব আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভূতুড়ে ম্যানিজিং কমিটির অভিযোগ।

    পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ

    নীতিমালা উপেক্ষা করে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ বাজারঘোনা আলহাজ্ব আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানিজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠছে। চলছে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান,অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের কাছ থেকে উঠানো হচ্ছে বিদ্যুৎ বিলের টাকা,জন প্রতি নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা করে। গত (০২-০৯-২০১৮ ইং) সাল থেকে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন শিক্ষক জব্বার মাস্টার, জব্বার মাস্টার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার পর অত্র নিম্ন মধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নেয়া হচ্ছে মাসিক বেতন ও নানান প্রকার মাসিক ও বার্ষিক ফি।

    একাধিক অভিবাবক বলেন,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন আর্থিক দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে এ কমিটি করা হয়েছে । উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক মন্নান সিকদার জানান, বিদ্যালয়ে ছাত্রদের পানি খাবার জন্য একটি টিউবওয়েল ব্যবস্থা করেন শিক্ষা অফিস কিন্তু সেখানেও টিউবওয়েল স্থাপনার জন্য কোমলমতি শিশুদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছিল জন প্রতি চাঁদা এবং দিতে হচ্ছে প্রতি মাসের বিদ্যুৎবিল । অপরদিকে উক্ত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালীন সময়ে দেখা যায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীদের চলছে পাঠদান। কিভাবে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রী আসলো এমন প্রশ্নে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উত্তর রহস্য জনক, তার দাবি অত্র প্রতিষ্ঠানকে বাচাঁতে উপর মহলে আলোচনা করে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা এবং ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকগনকে না জানিয়ে করা হয়েছে নাটকীয় ভাবে একটি ম্যনিজিং কমিটি। ভূতুড়ে ভাবে তৈরি করা এ কমিটিকে কেন্দ্র করে অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় সাধারন এবং বিদ্যালয়ের জমিদাতা প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে চলছে ব্যপক উত্তেজনা ও সমালোচনা। ম্যানিজিং কমিটি নিয়ে উক্ত কমিটির সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জব্বার মাস্টার বলেন, সময় সল্পতার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে মনিরুজ্জামান টিটু মৃধাকে অত্র বিদ্যালয়ের এডহাক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে এতে আমাদের শিক্ষা নীতিমালার সকল শর্ত মেনে করা হয়েছে বলে তিনি জানান,তবে কমিটি নির্বাচনের কোন প্রকার নথি পত্র দেখাতে পারেননি উক্ত কমিটির সদস্য সচিব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: জব্বার মাষ্টার ।শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎবিল নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যে বিল আসে তা সকল ছাত্র-ছাত্রী দেয় না তবে কিছু শিক্ষার্থী দিলেও বাকিরা তা দেন না বলে প্রতিবেদককে তিনি জানান। অপরদিকে গোপনীয় ভাবে এডহাক কমিটি করা হয়েছে বলে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উক্ত কমিটির সদস্য মাওলানা আবুল হোসেন বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কথায় আমার ভোটার কার্ড দিয়েছিলাম তিনি তা দিয়ে গোপনে যে কমিটি করবেন তা আমার জানা নেই, তবে সার্বিক বিষয়ে পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে মুঠোফোনে উক্ত বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন। খোঁজ নিয়ে দেখাযায় অত্র বিদ্যালয়ে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের ভর্তি করলেও তারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছেন ” হাজীখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ” থেকে এবং নিয়মিত হাজিরা খাতায় তাদের রোল কল করা হচ্ছে “” দক্ষিণ বাজারঘোনা আলহাজ্ব আসমত আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। রাতের আধাঁরে তৈরী করা এডহাক কমিটির বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের আশে পাশের স্থানীয় জনতা এবং অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মো: মোশারফ হোসেন সিকদারের বড় ছেলে আলহাজ্ব মো: জাকির সিকদার বলেন,অত্র বিদ্যালয়ের পূর্বের কমিটির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগে কোর্টে মামলা থাকা অবস্থায় কিভাবে আবার হঠাৎ করেই কাউকে কিছু না বলে নতুন কমিটি গঠন করেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জব্বার মাষ্টার এটা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই না তাছাড়া বর্তমান সরকারের অধিনে যেখানে সকল শিশুসহ শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া বাধ্যতা মূলক করতে সরকার নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহন করছেন প্রতিনিয়ত, সেখানে কিভাবে অত্র বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের কাছ থেকে বিদ্যৎবিল নিচ্ছেন অত্র বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ,আমরা এর দ্রুতসময়ে সঠিক তদন্ত করে বিচার ও প্রতিকার দাবি করছি । অত্র বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আতিকুর রহমানের পিতা অভিবাবক হানিফ সরদার বলেন, রাতের আধাঁরে কমিটি গঠন করে প্রধান শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়ে এক নায়তন্ত্র কায়েম করতে এবং তার সকল খারাপ কর্মযগ্য নিরবিগ্ন ভাবে চালাতে পারবেন বলে রাতের আধারেঁ অবৈধ ভাবে এডহাক কমিটি গঠন করেছে, আমরা আত্র বিদ্যালযের সকল ছাত্র ছাত্রীদের মঙ্গলের জন্য উক্ত কমিটি দ্রুত সময়ে বিলুপ্ত দেখতে চাই তাছাড়া তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা ও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর ছাত্র ভর্তি বিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানাই।

  • দুবাইতে বিএমএসএফ’র ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    দুবাইতে বিএমএসএফ’র ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

    দুবাই,শুক্রবার, ২২ জুলাই,২০২২: সংযুক্ত আরব আমিরাতের বানিজ্যিক নগরী দুবাই ব্লু চেলসিয়া হোটেল বলরুমে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ)১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
    দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার আরব আমিরাত প্রতিনিধি ইয়াসির আরাফাত খোকন এবং প্রতিদিন বাংলাদেশের আমিরাত প্রতিনিধি মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় প্রথমেই কোরআন তেলওয়াত করেন বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-দফতর সম্পাদক মামুন মাহিম।
    বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি আরব আমিরাতের সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি আরব আমিরাতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাই টিভি আরব আমিরাত প্রতিনিধি, প্রতিদিন বাংলাদেশের সম্পাদক এম শামসুর রহমান সোহেল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সমিতি দুবাইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাই টিভি আরব আমিরাতের সভাপতি, প্রতিদিন বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন আল আবিরের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব সুনিক।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি আরব আমিরাতের উপদেষ্টা, স্বাধীনদেশ টিভির সিইও মাহবুব হাসান হৃদয়,এস এ টিভির আরব আমিরাত প্রতিনিধি সিরাজুল হক, মাই টিভি দর্শক ফোরাম আরব আমিরাতের সহ-সভাপতি জনতা ব্যাংক দুবাইয়ের কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন, ফার্স্ট আবুধাবি ব্যাংক (এফএবি)’র কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন, এলিগ্যান্ট সার্ভিস (বিজনেস সেটআপ এবং আইন পরামর্শ সংস্থা)’র স্বত্বাধিকারী এস এম এফ শাহিদ, রয়েল আর্কেন রিয়েল স্টেট’র ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন।
    শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিটি নিউজ এর সম্পাদক গোলাম সরোয়ার। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি আরব আমিরাতের প্রচার সম্পাদক সাগর দেবনাথ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, সদস্য ওসমান সরোয়ার, সদস্য মোঃ ফারুক,সদস্য এরশাদ।
    অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তানজিল হোসেন, মোঃ জিহাদ হোসেন, মোঃ আল আমিন, মোঃ এনামুল সহ আরও অনেকে।
    প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তারা সরকার কর্তৃক অবিলম্বে সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন সহ ১৪দফা দাবী বাস্তবায়ন করার আহবান জানান। তাহলেই সংবাদ কর্মীরা দেশ ও জাতীর কল্যাণে কাজ করতে উৎসাহ পাবে বলে মতপ্রকাশ করেন।
    সভায় বক্তারা মফস্বল সাংবাদিকদের কল্যাণে তথা দাবী আদায়ে সব সময় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার এবং অন্যায় ভাবে নির্যাতিত হওয়া সংবাদকর্মীদের পাশে থাকার আহবান জানান।
    অনুষ্ঠান শেষে বিএমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর ও কেন্দ্রীয় সভাপতি, সোহেল আহমেদ সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান সহ সকল গণমাধ্যম কর্মীদের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

  • বেতার মহাপরিচলকের মৃত্যুতে মধুমালা রেডিও ক্লাবের শোক

    বেতার মহাপরিচলকের মৃত্যুতে মধুমালা রেডিও ক্লাবের শোক

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

    বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান এর মৃত্যুতে মধুমালা রেডিও ক্লাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শোক প্রকাশ করেছেন। মধুমালা রেডিও ক্লাব সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বেতার শ্রোতা ক্লাবের সদস্য মোঃ শাহাদাত হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিরর মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক জনাব আহম্মদ কামরুজ্জামান এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। ক্লাব সভাপতি শোক প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামান আধুনিক বেতার এবং ডিজিটাল প্রচার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে বেতার শ্রোতারা এক জনপ্রিয় ব্যক্তিকে হরালো।
    উল্লেখ্য, জনাব আহম্মদ কামরুজ্জমান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুলাই শুক্রবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন।

    বার্তা প্রেরক: মোঃ শাহাদাত হোসেন।।

  • চাটখিলে হাসপাতাল কেবিনে রোগী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা

    চাটখিলে হাসপাতাল কেবিনে রোগী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

    চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সেজে কেবিনে ঢুকে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে চাটখিল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চাটখিল উপজেলা কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তাহামিনা আক্তার বাদী হয়ে দায়েরকৃত এজাহারে অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনিকে আসামি করা হয়েছে।হাসপাতালের কেবিনে ঢুকে রুবিকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় পুরো চাটখিলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তার তাহমিনা আক্তারের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, সানজিদা আক্তার ( ২৪) নামের গৃহবধূ জ্বর জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ শে জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২য় তলার ১ নং কেবিনে ভর্তি হয়। ২০ শে জুলাই দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে মঞ্জুরুল হায়দার জনি পিতা মৃত শাহাদত উল্লাহ ঠিকান সুন্দরপুর ( হারিছ ভবন ৬ষ্ঠ তলা), থানা চাটখিল নোয়াখালী, সানজিদার কেবিনে প্রবেশ করে। এ সময় সানজিদার কেবিনে থাকা তার আত্মীয়দের লুঙ্গি ও গামছা ক্রয় করার অজুহাতে দোকানে পাঠিয়ে দেয় জনি। কেবিনের দরজা বন্ধ করে সানজিদার শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে হাত দিয়ে তাকে যৌন হয়রানী করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। সানজিদার ডাক চিৎকারে হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও কর্তব্যরতরা ছুটে আসলে জনি পালিয়ে যায়।

    এ রিপোর্ট লেখার সময় শুক্রবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। চাটখিল থানার মামলা নং ১৩। ওসি গিয়াসউদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত জনিকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।

    এদিকে কেবিনে ঢুকে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মোস্তাক আহমেদ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাহমিনা আক্তার কে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডাঃ শহিদুল ইসলাম নয়নকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। চার কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিটির এক সদস্য নয়া বঙ্গবাজার কে জানান শনিবার সকাল ৯’টায় কমিটির বৈঠক হবে।

    উল্লেখ্য মঞ্জুরুল হায়দার জনি চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিপ্লোমা ডাক্তার মনিরুল হায়দারের ছোট ভাই। তাছাড়া হাসপাতালে সামনেই রয়েছে হায়দার মেডিকেল নামে তাদের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে মনিরুল হায়দার মনির তার ডিউটি বাদ দিয়ে হায়দার মেডিকেলে বসেই বেশী সময় ব্যয় করেন। এখানে বসেই তিনি ওষুধ বেচাকেনা করে থাকেন। এছাড়া তিনি যেসব প্রেসক্রিপশন দেন এগুলোর ওষুধ তার দোকান থেকে ক্রয় করার জন্য রোগীদের উপদেশ দিয়ে থাকেন।

  • নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে নারীর নগ্ন ভিডিও ধারণ, ডিবি পুলিশের হাতে আটক ১

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে নারীর নগ্ন ভিডিও ধারণ, ডিবি পুলিশের হাতে আটক ১

    রফিকুল ইসলাম সুমন( নোয়াখালী)

    নোয়াখালীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, গোপনে নগ্ন ভিডিও ধারণ, তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার আদায়সহ একাধিক নারী অপহরণ মামলার আসামি মোরশেদ আলম রুবেল (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার আটিয়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    আটক রুবেল সোনাইমুড়ী উপজেলার আটিয়াবাড়ি এলাকার মৃত. আব্দুল মান্নানের ছেলে।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুবেলের সঙ্গে ৫ মাস আগে মোবাইলে এক নারীর পরিচয় হয়। পরিচয় একসময় প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। সে সম্পর্কের সূত্র ধরে সুকৌশলে ওই নারীকে চৌমুহনী থ্রি-স্টার হোটেলে এনে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় এবং গোপনে তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রুবেল। পরবর্তীতে রুবেল তার ধারণ করা ভিডিও ওই নারীর মুঠোফোনে পাঠায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় সে নারী থেকে নগদ ৮৫ হাজার টাকা, এক জোড়া কানের দুল ও একটি স্বর্ণের চেইন আদায় করে এবং আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।

    ভুক্তভোগী ওই নারী এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা শাখাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আটকের সময় রুবেলের কাছ থেকে স্বর্ণের ১ জোড়া কানের দুল, ১টি চেইন ও নগ্ন ভিডিও ধারণে ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • বানারীপাড়ায় র‌্যাব-৮ এর অভিযানে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধার

    বানারীপাড়ায় র‌্যাব-৮ এর অভিযানে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধার

    বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥

    বরিশাল র‌্যাব-৮’র বিশেষ অভিযানে বানারীপাড়ায় ১৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও সাড়ে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়ার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ওরফে ল্যাংটা সোহেলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব- ৮। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় বরিশাল র‌্যাব-৮’র কম্পানি কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গির আলমের নেতৃত্বে এক দল র‌্যাব সদস্যরা বানারীপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপোতা গ্রামে ল্যাংটা সোহেলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ওরফে ল্যাংটা সোহেল (৩৫),তার সহযোগী শাহাদাত হোসেন (২৭) ও হারুন হাওলাদার (৩৩) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । অভিযানেকালে ১৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও সাড়ে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় রাতে বরিশাল র‌্যাব-৮’র ডিএডি আ.মতিন বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।

    উল্লেখ্য শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ল্যাংটা সোহেল দীর্ঘদিন যাবৎ বানারীপাড়া ও পার্শ্ববর্তী উপজেলায় মাদক ব্যাবসা করে আসছে।
    ইতিপুর্বে সোহেল বিভিন্ন সময় র‌্যাব ও পুলিশের হাতে অবৈধ অস্ত্র ,ফেন্সিডিল,ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হলে কিছুদিন হাজতবাস করে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেড়িয়ে এসে সে পুনরায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে।

    এদিকে এলাকাবাসী সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।