কে এম শহিদুল্লাহ,
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মহনপুর ইউনিয়নের নতুন পৈন্দা গ্রামে এক সন্ত্রাসীকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়া সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুঠপাট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ই অক্টোবর শুক্রবার রাত ১০ টায়। এঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর থানায় হামলাকারীদের নামে ভুক্তভোগী গোপেশ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ভূক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সুনামগঞ্জ শহরের আলোচিত হত্যা মামলার আসামি সালমান দীর্ঘ বছর কারাগারে থেকে জেল কেটে জামিনে মুক্তি লাভ করে কয়েক বছর আগে। সন্ত্রাসী সালমানের ভয়ে এলাকার লোকজন মুখ খুলতে সাহস পায়না? গত ১সপ্তাহ আগে একই এলাকার বাসিন্দা সৌরভ দাসের কাছে অহেতুক ৫ হাজার টাকা চাদাঁ দাবী করে সালমান, টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধর করে শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জকম করে এবং টাকা না দিলে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় সন্ত্রাসী সালমান। চাদাঁর টাকা না পেয়ে ঘটনার দিন বিকেলে সৌরভ দাসের বাড়িতে এসে গালিগালাজ শুরু করে সালমান ও তার সঙ্গীরা। রাত ১০ টার দিকে সালমান সহ ২০/২৫ মিলে পৈন্দা গ্রামে অতর্কিত ভাবে ৫ টি হিন্দু পরিবারের বাড়িঘরে হামলা চালায়। তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে, ঘরের ভিতরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ ৯৫ হাজার টাকা ৩ ভড়ি স্বর্ন, অলংকার লুঠকরে। শুধু তাই নয় সৌরভের চাচাতো ভাই গোপেশ চন্দ্র দাসের অটো রাইস মিলের তালা ভেঙ্গে ২৪ বস্তা চাউল লুঠকরে নিয়ে যায়। পরে ৯৯৯- এ বার বার ফোন করা হলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় গোপেশ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০/২৫ জন অজ্ঞাতনামার নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হামলাকারীরা হল একই গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলামের ছেলে সালমান ইসলাম (৩৫), মৃত: সুন্দর আলীর পুত্র ফয়জুল হক, নুরুল হকের ছেলে জিল্লুর, তার সহোদর তফাজ্জুল হক , লিমন , মিলন, মান্না, মৃত: আব্দুস সামাদের পুত্র নুরুল হক । এই ৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন গোপেশ চন্দ্র দাস। আরও জানা যায় ৫ টি হিন্দু পরিবারে বাড়িঘর ভাংচুর করে সালমান ও তার স্বজনরা। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতা ভূগছেন অসহায় হিন্দু ৫ টি পরিবারের লোকজনেরা। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।###
Author: desk
-
৫ হাজার টাকা চা-দাঁ না দেওয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হা-মলা ও লু-ঠপাট থানায় মা-মলা দায়ের
-
রামগড়ে খুচরা সার ব্যবসায়ীদের মান-ববন্ধন অনুষ্ঠিত
এমদাদ খান রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
২০০৯ সালের সারডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে খাগড়াছড়ি,র রামগড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উপজেলা শাখা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রামগড় প্রেস ক্লাব ভবন প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার প্রায় ১০০ জন খুচরা সার বিক্রেতা ও কৃষক অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে সংগঠনের নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে কৃষি সচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষি উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশজুড়ে লাইসেন্সধারী খুচরা সার বিক্রেতাদের সনদ স্থগিত করা হবে এবং ‘খুচরা সার বিক্রেতা’ নামে কোনো মহলকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দীর্ঘদিন ধরে দেশে সেবাদানকারী প্রায় ৪৪ হাজার খুচরা বিক্রেতা জীবিকার সংকটে পড়বে এবং ৫ কোটি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তারা আরো বলেন, আমরাই কৃষকের সবচেয়ে কাছাকাছি থেকে সার সরবরাহ করি, দরকারে বাকিতেও দেই, কৃষকদের নানা পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করি। নতুন নীতিমালায় আমাদের বাদ দিলে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
বক্তারা দাবি জানান, ২০০৯ সালের বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় দীর্ঘদিন ধরে খুচরা পর্যায়ে সার বিক্রির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সেই নীতিমালা বহাল থাকলে কৃষক সহজে সার পাবে, আর বিক্রেতারাও ন্যায্যভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। বক্তাদের মতে, কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় ২০০৯ সনের নীতিমালা বহাল রাখা এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো আবুল কাশেম , মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুচরা সার ব্যাবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাবেক আহব্বায়ক মোশাররফ হোসেন।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখে রামগড় উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো: হানিফ, সদস্য বেলাল হোসেন, কৃষকদের পক্ষে ওমর ফারুক প্রমুখ।এবিষয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ শামীম বলেন স্মারকলিপিটি পেয়েছি, বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।
-
দু-র্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক কামরুজ্জামানকে জ-বাই করার হু-মকি, থানায় জি-ডি
রিপোর্ট : ইমাম বিমান
ঝালকাঠির জেলার নলছিটি উপজেলাধীন নাচনমহল ইউনিয়নের ডেবরা খালে পাইলিং স্থাপন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক কামরুজ্জামান সুইটকে জবাই করে হত্যার হুমকি দিয়েছে ডেবরা গ্রামের মোসলেম হাওলাদারের পুত্র নাঈম হোসেন (৩৫)।
আইনী আশ্রয় পেতে সুইট ঝালকাঠি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং- ৯০১, তারিখ-২০-১০-২০২৫খ্রি.) দায়ের করেছেন। কামরুজ্জামান সুইট জাতীয় দৈনিক খবরেরকাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল, দৈনিক দূরযাত্রা ও দৈনিক খবর ডটকম’র নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন।
সাংবাদিক কামরুজ্জামানের সাধারণ ডায়রী সূত্রে জানাযায় , নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের ডেবরা গ্রামের মোসলেম হাওলাদারের পুত্র নাঈম হোসেন(৩৫) ও নাইমের মা নিলুফা বেগম(৫০) ওই এলাকার প্রেসিডেন্ট বাড়ির খলিল হাওলাদারের ঘরের সামনের খাল পাড়ের ৫০০ফুট পাইলিং এর কাজ করে। উক্ত কাজের অনিয়ম হওয়ায় ভিডিওসহ দৈনিক খবর ডটকম পোর্টালে গত ১৬ অক্টোবর নিউজ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার (২০অক্টোবর) ১০টা ৩৬মিনিটে প্রতিবেদকের ব্যবহৃত ০১৯৩৬-১১২৭০৭ নম্বরে ০১৩০৪-৮৫৭৩৫০ থেকে ফোন করে নাইম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন সুইট তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে নাঈম ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ জবাই করে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এসময় হুমকির ভাষ্য মোবাইল ফোনের লাউড স্পিকারে দিলে পাশে থাকা বাবুল মিনা, সাইফুল ইসলাম বাবু কতা গুলো শুনতে পায়। এ ঘটনায় সাংবাদিক সুইট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয় ঝালকাঠি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে হুমকি দাতাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
এ বিষয় ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-
রামগড়ে ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠন করতে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশিত ৩১ দফার বাস্তবায়ন এবং খাগড়াছড়ি আসনের এমপি প্রার্থী ওয়াদুদ ভূইয়াকে বিজয়ী করতে “ভোট ফর ধানের শীষ , ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া ” ক্যাম্পেইন করে চলছে বিএনপি ,যুবদল ,ছাত্রদল ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, দলীয় নেতাকর্মীরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে গ্রামে গঞ্জে পাড়া মহল্লা,হাট বাজার সর্বত্র ধানের শীষের ভোট দিতে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।এতে জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলছে।
সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত মোর্শেদ মিঠু বলেন, নির্বাচনের প্রাক প্রচারনার জন্য চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিগুলো কেন্দ্র ভিত্তিক দ্বায়িত্ব প্রাপ্তদের মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন এবং নিজেরাও প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। রামগড় পৌর বিএনপির সভাপতি বাহার উদ্দিন বলেন,আমাদের দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ধানের শীষের প্রার্থী
জননন্দিত নেতা পাহাড়ের উন্নয়নের রুপকার ওয়াদুদ ভূইয়াকে বিজয়ী করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। বিএনপির পক্ষে জনমত গঠন করতে দলের প্রত্যেকটি কমিটিকে ওয়ার্ড ভিত্তিক কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারন মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং ধানের শীষে ভোট দিতে উৎসাহ যোগাচ্ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির রামগড় উপজেলা ও পৌর কমিটি অনুমোদনের পর থেকেই সাংগঠনিক গতিশীলতা ফিরে আসে। নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। অনেকেই নতুন নেতৃত্বকে সময়োপযোগী হিসেবে মন্তব্যও করেন।কমিটি গঠনের পর থেকে প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পেশাজীবি সংগঠন,ব্যবসায়ী,বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।এছাড়াও জনদূর্ভোগ লাগব করতে রাস্তা মেরামত ,জলাশয় পরিস্কার ,গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানসহ জনবান্ধব সামাজিক কাজ অব্যাহত রেখেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।সাধারণ সম্পাদক শেফায়েত উল্যাহ বলেন,রামগড়ে ওয়াদুদ ভুইয়ার পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। একই চিত্র সমগ্র খাগড়াছড়িতে। নির্বাচনী প্রাক প্রচারণা ভোটারদের মাঝে দারুণ সাড়া জাগিয়েছে।
-
থানচিতে বিএনকেএস এনজিও আয়োজনে শিশু অধিকার সপ্তাহ পা-লিত
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:মথি ত্রিপুরা।
বান্দরবানের থানচিতে “শিশুরা নিরাপদ, আমাদের শপথ” শিরোনামের বিএনকেএস আয়োজনে শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে মিনি স্টেডিয়ামের শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে বিএনকেএস আয়োজনে, একশন এ্যাইড বাংলাদেশ অর্থায়নে, নাটিকা, মেয়েদের ফুটবল প্রতিযোগিতা, মোরগ লড়াই, হাঁড়ি ভাঙা খেলাধুলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, থানচি থানা এস আই মোঃ রুহুল আমিন, বিএনকেএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার উবা রেখাইন, থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, বিএনকেএস এনজিও ফোকাল পার্সন ও প্যারামেডিক উবাথোয়াই মারমা, থানচি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যোহন ত্রিপুরা, বিএনকেএস এনজিও মংক্য ওয়াং মারমা প্রমুখ।
ফুটবল প্রতিযোগিতায় নাফাখুম নারী দলকে হারিয়ে তমা তঙ্গী নারী দল বিজয় অর্জন করে। অন্যান্য খেলায় যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।
-
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় ক-বরস্থান র-ক্ষা করার দা-বীতে পথসভা
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:মো:মনসুর আলী
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া ছালেহিয়া মাদ্রাসা দোমোরকি কবরস্থান সংলগ্ন উত্তরে ঘনি মহেশপুর নাডোবা কবরস্থান খেকো জবর দখলের চেষ্টা কারি ভুমি দস্যুদয় ও সহযোগী ষড়যন্ত্রকারীদের কবল হতে কবরস্থান রক্ষা করার দাবিতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রুহিয়া থানার উত্তরা বাজারে নাডোবা কবরস্থান কমিটির সভাপতি মো: খাদেমুল ইসলাম খাদুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, কবরস্থান কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: হাসান আলী, সহ সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুর রহমান, মো: মজিবর রহমান সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: বাবুল হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো: ফারুক, কোষাধক্ষ মো: হামিদুর রহমান হান্নান, সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, রুহিয়া থানার নাডোবা কবরস্থানের জমি ভূয়া দলিল দেখিয়ে মুসলমানদের শেষ ঠিকানাটি জবর দখল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুহিয়া সালেহিয়া দারুসূন্নাত ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোজাহারুল ইসলাম, তার ভাই মহিরুল ইসলামসহ কয়েকজন ভূমিদ্যসুগণ।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের কবরস্থান দখল করার চেষ্টা করে আবার নিরিহ ৩০ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
তারা বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি করি ভূমিদ্যসুদের হাত থেকে আমাদের কবরস্থান রক্ষা করার ব্যবস্থা করুন। বক্তারা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আবেদন করে বলেন, মামলাবাজ ও ভূমিদ্যসূদের মিথ্যা মামলায় আমাদের সাধারণ মানুষকে হয়রানি করলে আমরা এসপি অফিসে গিয়ে অভিযোগ করতে বাধ্য হব।
-
চারঘাটে বীর মুক্তিযোদ্ধার ই-ন্তেকাল-রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দা-ফন
চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর চারঘাটের অনুপমপুর তোজির মোড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী ইন্তেকাল করেছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোর ৪ টার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন।
চারঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাহাতুল করিম মিজানের উপস্থিতে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামের নির্দেশে এএসআই তাপসের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এ সময় চারঘাট উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা নামাজ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অনুপমপুর কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী স্ত্রী, ছেলে, মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
মোঃ মোজাম্মেল হক
চারঘাট, রাজশাহী -
নলছিটির মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে চালু হলো পা-বলিক লাইব্রেরি
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রার্থীদের উন্নত পরিবেশে পড়াশোনার সুযোগ এবং এলাকাবাসীর জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র হিসেবে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পাবলিক লাইব্রেরি।
ঝালকাঠির সন্তান এবং বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কবি জীবনানন্দ দাশের নামে প্রতিষ্ঠিত এ লাইব্রেরিটি সোমবার বিকেলে উদ্বোধন করেন নলছিটি উপজেলার ইউএনও জনাব লাভলী ইয়াসমিন।
উদ্বোধন শেষে ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত ‘জাতি গঠনে লাইব্রেরির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লাভলী ইয়াসমিন বলেন, যে জাতি জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে তারাই উন্নত এবং সমৃদ্ধ। জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে লাইব্রেরির বিকল্প নেই। তরুণ সমাজ বইমুখো হলে দেশের সামাজিক সমস্যাগুলো অনেক কমে আসবে এবং একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠবে।
লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করায় এসময় তিনি ইউনিয়নের প্রশাসক এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন মোল্যাসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এবং এই লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আল আমিন মোল্যা বলেন, মোল্লারহাট ইউনিয়নে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি কলেজ রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ভালো পরিবেশ নেই। এছাড়া চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করতেও অনেকে পড়াশোনার পরিবেশ পান না। এসব বিষয় মাথায় রেখেই ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দের একটি অংশ থেকে এ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
প্রশাসক আরও জানান, লাইব্রেরিতে বাংলা সাহিত্য এবং বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় হাজারখানেক বইয়ের সমাহার ঘটানো হয়েছে। লাইব্রেরিতে এসে এসব বই পড়া যাবে, কিন্তু বাইরো নিয়ে যাওয়া যাবে না। তবে বাইরে থেকে বই নিয়ে এসে এখানে বসে পড়া যাবে। একসাথে দশজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে পারবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সালেহ মো: ইফাদ ইশতিয়াক, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জনাব হাবিবুর রহমান, ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রশাসক এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: অহিদুল ইসলাম, কুলকাঠি ইউনিয়নের প্রশাসক এবং পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
-
থানায় আগত কেউ যেন সেবা ব-ঞ্চিত না হন, সেটা নি-শ্চিত করতে হবে-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন), ক্রা” ই” ম এন্ড অবস্ এর চলতি দায়িত্ব মোঃ আবদুললাহ্ আল মামুন বলেছেন-থানা হলো জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্রস্থল,পুলিশ হচ্ছে জনগণের বন্ধু, পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। আমরা জেলাবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। থানায় আগত একজন ব্যক্তিও যেন সেবা বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন-প্রতিটি থানা হবে সাধারন মানুষের জন্য পুলিশের সার্ভিস সেন্টার। সেবা প্রার্থীরা যেন সহজে, নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং প্রার্থিত সেবা গ্রহণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে থানায় কর্মরত বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে থানায় উপস্থিত হলে তাকে ফুলের শুভেচ্ছায় স্বাগত জানিয়ে বরণ করেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান। তারপর পরিদর্শন প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হয়ে থানার সমস্ত অফিসার ফোর্স এর উপস্থিতিতে সশস্ত্র সালাম গ্রহণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
এসময় সাধারণ মানুষরা যাতে থানায় এসে তাৎক্ষণিক সঠিক সেবা পায় সে বিষয়ে সকল অফিসার ও ফোর্স গণকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন- থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সদস্যেদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি থানায় কর্মরত সকল সদস্যদের সমস্যা, অসুবিধার কথা শুনেন এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রেজিস্টার সমূহের সংরক্ষণ, মালখানা ও হাজতখানার অবস্থা,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, মামলার অগ্রগতি ও সেবার মান সহ বিভিন্ন রেজিস্টারপত্র পর্যালোচনা করেন এবং করণীয় সংক্রান্তে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি থানাকে সেবামুখী ও জনআস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে থানায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে মানুষ যেন সহজেই পুলিশের সেবা পায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।
এসময় বিপন্ন মানুষের অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শুনে আন্তরিকতার সঙ্গে আইনি সেবা দেওয়ার আহবান জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, মাদক ও সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে করার পাশাপাশি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অপরাধ দমনে সক্ষমতা অর্জন করে থানায় সেবার মান বাড়ানোর আহবান জানান।
পরে থানার বার্ষিক পরিদর্শন সমাপ্ত করে, থানার সকল অফিসার ফোর্সদের খোঁজ-খবর নেন এবং সকল অফিসার ফোর্সদের সাথে দুপুরের খাবার খান।
-
কাচা ইট বিক্রির নামে এক ব্যবসায়ীর কোটি টাকা আ-ত্মসাত করেছে তিন ইটভাটার মালিক
এস মশিউর রহমান,
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
কাচা ইট ক্রয়ের নামে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্রতারনা করেছে তিন ইট ভাটার মালিক। ফলে মামুন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী এখন পথে বসেছে। তাদের কাছে টাকা চাইলে উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযাগ করেন শহরের রাজনগর এলাকার পাইপাস সড়কের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মামুন মিয়া।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি একজন ইট ব্যবসায়ী। বিভিন্ন ইটভাটা থেকে কাচা ইট ক্রয় করে থাকি। ২০১৯ সালে চুনারুঘাট উপজেলর অনিক বিক্সস থেকে ২৮ হাজার টাকা কাচা ইট ক্রয় করি। কিন্তু ইট প্রদানের সময় আসলে ভাটার মালিক কাউছারুল গনি বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা শুরু করেন। এছাড়া তাডর ভাই ফয়জুল গনির মালিকানাধীন ইটভাটা অন্যন্যা ব্রিকস থেকে ২০১৮ সালে ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫০ টাকার ইট ক্রয় করি কিন্তু ইট দেয়ার সময় আসলে তিনিও দেয় দিচ্ছি বলে সময় জ্ঞাপন করেন। এছাড়া নছরতপুর সড়কের মুন ব্রিকস এর মালিক এবাদুর রহমান শাহাজাহান এর নিকট থেকে ২০১৮ সালে ১৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা কাচা ইট ক্রয় করে টাকা পরিশোধ করি কিন্তু ইট দেয়ার সময় তিনি সময় জ্ঞাপন করে কিন্তু আমাকে ইট বুজিয়ে দেন না। আমি এ বিষয়ে তাদের নিকট আমার পাওনা টাকা চাইলে তারা উল্টো আমাকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্ধি করে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন। এতে করে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
তিনি অভিযোগ করেন তিন ব্যক্তির নিকট তার ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের প্রদক্ষেণ গ্রহন করতে পারছেন না।
এ জন্য তিনি সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।