Author: desk

  • যশোরের শার্শার সীমান্তঞ্চলে ব-ন্যা পরিস্থিতি-এখনো ধেয়ে আসছে ইছা-মতী নদীর পানি

    যশোরের শার্শার সীমান্তঞ্চলে ব-ন্যা পরিস্থিতি-এখনো ধেয়ে আসছে ইছা-মতী নদীর পানি

    আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ নিম্নচাপ ও ভারতীয় ইছামতি নদীর জোয়ারের পানি অব্যাহত ভাবে প্রেবশ করায় যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর, বাইকোলা, ভবানীপুর, দাউদখালী ও গোগা বিলপাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার পানি বন্দী জীবন যাপন করছেন। মাট ঘাট ডুবে গেছে। অনেকের ঘর বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে অশান্তি। অনেকের উনুনে পানি ওঠার কারনে রান্না করতেও অসুবিধা হচ্ছে। গোল খাদ্যের অভাবে কচুরিপানা পানা খাওয়ানো হচ্ছে গবাদিপশুদের।

    রুদ্রপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তার বাড়ির চারপাশে মাজা পানি। কলার ভেলায় করে তিনি যাতায়াত করছেন। আবুল হোসেন জানিয়েছেন, তার পাড়ার ২৫/৩০ টি পরিবার গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা এখন নৌকায় যাতায়াত করছেন। মসজিদে যেতেও নৌকায় আসতে হচ্ছে।
    ঐ গ্রামের খোস্তো নামে এক ব্যাক্তি জানিয়েছেন, এমনিতেই বিল ফসলের ওপরে নির্ভরশীল এখানকার মানুষজন। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ স্লুইসগেট নির্মানের ফলে ইছামতী নদীর জোয়ারের পানিতে প্রতিবছর প্লাবিত হয় বিলের জমি। এসমস্যা ৫০ বছর ধরে চলছে। তার ওপর চলকি বছর অতি বৃষ্টির পানি ইছামতী নদীর পানি অব্যাহতভাবে প্রবেশ করায় বিল ছাপিয়ে পানি লোকের ঘর বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির আকার ধারণ করেছে। মানুষের কাজ নেই, অনেকের ঘরে খাবার নেই। দুরবস্থার মধ্য দিন কাটছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর।

    হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, তার বাড়ীর চারিপাশে পানি। ঘরের ভেতরেও পানি। ইট দিয়ে খাট উচু করে তার ওপর পরিবার নিয়ে বাস করছেন। ঘরে পানি ঢোকার কারণে রান্না করতে পারছে না। এদিকে ঘরে চাল নেই। ত্রানও কেউ দিচ্ছে না।
    কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেছি,শুস্ক মৌসুমে খাল সংস্কারসহ নতুন ভাবে স্লুইসগেট নির্মান ও পানি নিস্কাসনের দাবি জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখার প্রতুশ্রুতি দিয়েছেন।

  • সেনবাগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরমুক্তিযোদ্ধা শরিয়ত উল্ল্যাহ মিয়ার দা-ফন স-ম্পন্ন

    সেনবাগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরমুক্তিযোদ্ধা শরিয়ত উল্ল্যাহ মিয়ার দা-ফন স-ম্পন্ন

    রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)
    নোয়াখালীর সেনবাগে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ও সমাজসেবক শরিয়ত উল্লাহ মিয়ার( ৭৬) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ৯ জুলাই শনিবার ১১টায় মরহুমের নিজ বাড়ীর সামনে সেনবাগ উপজেলা কমিশনার (ভুমি)জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ হতে গার্ড অব ওনার প্রদান সহ সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে জানাজা সম্পন্ন করে তাকে কল্যান্দী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। এসময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ পুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন, সহ: প্রধান শিক্ষক আবু তাহের সেলিম, ৬নং কাবিল পুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ গন,পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা,গণমাধ্যম কর্মী সহ প্রায় সহস্রাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,বীরমুক্তিযোদ্ধা শরিয়ত উল্লাহ মিয়া ঐতিহ্যবাহী মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ বারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা হিসেবে দক্ষতা ও সুনামের সহিত ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।কল্যান্দী বাজার কমিটির সভাপতি, বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক সহ অসংখ্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি একজন সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • অ-সুস্থ বিএনপি নেতার শ-য্যপাশে মতিন

    অ-সুস্থ বিএনপি নেতার শ-য্যপাশে মতিন

    আলিফ হোসেন,
    রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী নওগাঁর মান্দা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন টুকু গুরুতর অসুস্থ হয়ে মান্দা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    এদিকে ৯ আগস্ট শনিবার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মান্দা উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও নওগাঁ-৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এম এ মতিন নেতাকর্মী নিয়ে মান্দা উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ বিএনপি নেতা টুকুর চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।এ সময় তিনি তার আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।#

  • সুজানগরে সংবাদ স-ম্মেলনে বিএনপি নেতা মজিবর খাঁসহ ৭ নেতাকর্মীর বহি-ষ্কারাদেশ প্র-ত্যাহারের দা-বি

    সুজানগরে সংবাদ স-ম্মেলনে বিএনপি নেতা মজিবর খাঁসহ ৭ নেতাকর্মীর বহি-ষ্কারাদেশ প্র-ত্যাহারের দা-বি

    এম এ আলিম রিপন.সুজানগরঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)সুজানগর পৌর শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবর রহমান খানসহ বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৭জন নেতা-কর্মীকে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার বেলা ১১টায় সুজানগরে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সুজানগর পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক(বহিস্কৃত) মোঃ মজিবর রহমান খান বলেন,আমি সুজানগর উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি, সুজানগর উপজেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকসহ দলটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি এবং সর্বশেষ সুজানগর পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলাম। এরই মধ্যে গত ৯ জুলাই একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুজানগর পৌরবাজারের নন্দিতা সিনেমা হল রোডে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। অথচ একটি মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট ও রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার হীন উদ্দেশ্যে ওই ঘটনার সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায় এবং থানায় একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি করে মজিবর রহমান খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে পুনর্বিবেচনা করে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার বিনীত অনুরোধ জানান।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো নেতৃত্বকে মুছে ফেলা যায় না। বিএনপি নেতা মজিবর রহমান খান রাজপথের লড়াকু সৈনিক। দুঃসময়ের পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী নেতা, শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত নিবেদিতপ্রাণ একজন জননেতা।
    আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং- সমাবেশে ছিলেন অগ্রভাগে। মজিবর রহমান খান একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা। তিনি দলের দুর্দিনে, আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিটি কর্মসূচি সফল করেছেন। দল থেকে তার বহিষ্কারাদেশ বলবৎ রাখলে দলটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। তাই তারা বিএনপি নেতা মজিবর রহমান খানসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৭ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
    সংবাদ সম্মেলনে সুজানগর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আব্দুল বাতেন, পৌর ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি(বহিস্কৃত) রুহুল খান, পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য বাবলু, উপজেলা পৌর যুবদল নেতা (বহিষ্কৃত) মোঃ মানিক খান ও মোঃ আব্দুল হালিম শেখ এবং সুজানগর নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ শাকিল খানসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।।

  • শীর্ষ সন্ত্রা-সী জলি-ল আদালত থেকে জা-মিনে এসে আবারও করছে বিভিন্ন অ-পরাধমূলক ক-র্মকাণ্ড

    শীর্ষ সন্ত্রা-সী জলি-ল আদালত থেকে জা-মিনে এসে আবারও করছে বিভিন্ন অ-পরাধমূলক ক-র্মকাণ্ড

    হেলাল শেখঃ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার উপর গুলি করে মানুষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে নিজে এসব মামলা থেকে কৌশলে বাঁচতে উল্টো ভুয়া বাদী সেজে অনেক সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করে সায়েব আলী জলিলসহ অনেকেই। কয়েকজন আটক হলেও অন্যদেরকে এখনো আটক করা হয়নি। এই সায়েব আলী জলিল শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্নার সহযোগী বলে পুলিশ জানায়।
    শনিবার (৯আগষ্ট ২০২৫ই) জানা যায়, সায়েব আলী জলিল অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামী। আশুলিয়ায় কে এই জলিল? মামলাবাজি, ফিটিংবাজি ও চুরি, ছিনতাই ও অস্ত্র মামলায় একাধিকবার পুলিশ ও র‍্যাব তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারা পাঠিয়েছেন, বর্তমানে এই জলিল কেরানীগঞ্জ কারাগারেই বন্দী রয়েছে। তার পরিবার তাকে জামিনের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে, এই জলিল আশুলিয়াবাসী সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগীরাসহ সচেতন মহল।
    জানা গেছে, মোঃ আঃ জলিল, পিতা: মোঃ আঃ খলিল, মাতা: মোসাঃ কুলসুম বিবি, তার বর্তমান ঠিকানাঃ চারাবাগ,ডাকঘরঃ আশুলিয়া, বাসাইদ, ৪ নং ওয়ার্ড, আশুলিয়া ঢাকা। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার পৌরসভা’র ৭নং ওয়ার্ড রঙ্গার চর দর্পগ্রামে জলিল এর গ্রামের বাড়ি। সে কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো বিএনপি, কখনো জামায়াত, কখনো আওয়ামীলীগ নেতা রাজু আহমেদ এর বাহিনীর লিডার, আরো অনেক পরিচয়ে বহুরূপী এই মোঃ আঃ জলিল তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে।
    সূত্র-আশুলিয়া থানার মামলা নং ১৫, তারিখ ০৮/০৯/২০২৪ইং এই মামলার ভুয়া বাদী মোঃ সায়েব আলী জলিল মামলাবাজ প্রতারক চক্র, এরকম অনেক মামলার ভুয়া বাদী সেজে তারা সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতিসহ হয়রানি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই সাহেব আলী জলিল ভুয়া বাদীর বিস্তারিত দেশ টিভি’র প্রায় ৫ মিনিটের সংবাদ ও যমুনা টিভি’র ৩৮ মিনিটের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, সেই সাথে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়ে “বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল”। জানা গেছে, এই সায়েব আলী জলিল এর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা, ৫ আগষ্টের আন্দোলনে গুলি করা ও হত্যাচেষ্টা এবং হত্যা মামলাসহ ৫-৬টি মামলা রয়েছে, মোঃ আঃ জলিল অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে গেলে ঢাকায় আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জলিল কারাগারে বন্দী আছেন।
    উক্ত জলিলকে আবারও আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে এনে একটু আদরযত্ন করলে তার কাছে ৫ আগষ্টের ছাত্র-জনতার হত্যার অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। তারা ৫ আগষ্টে গুলি করে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে হত্যা কেন করছে ? আর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আড়াল করতে সাংবাদিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভিন্নভাবে কেন হয়রানি করছে? তারা হত্যাচেষ্টা ও হত্যা মামলা এবং অস্ত্র মামলার আসামী, অনেকেই ধারণা করছেন যে, ৫ আগষ্ট থানার অস্ত্র লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাথে এই সায়েব আলী জলিল জড়িত থাকতে পারে। উক্ত ব্যাপারে সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষীদেরকে আটকের পর তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন মহল।

  • গাজীপুরে চাঁ-দাবাজি ব-ন্ধ ও সাংবাদিক হ-ত্যাকারীদের গ্রে-ফতার করতে হবে

    গাজীপুরে চাঁ-দাবাজি ব-ন্ধ ও সাংবাদিক হ-ত্যাকারীদের গ্রে-ফতার করতে হবে

    হেলাল শেখঃ ঢাকা-আরিচা ও গাজীপুর মাসড়কসহ বিভিন্ন স্পটে বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে যানবাহনসহ ফুটপাতে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি চলে-গাজীপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে পিটিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারসহ চাঁদাবাজদের চাঁদা নেয়া বন্ধ করতে হবে। আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলের অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় আশুলিয়ায় মানববন্ধন করেছেন বিএনপির পৃথক একটি পক্ষ। উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার সাভার আশুলিয়া, ধামরাই ও গাজীপুরের কাশিমপুর, রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন মহাসড়ক ও শাখা রাস্তার ফুটপাতে এবং ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিক্সাসহ ফিটনেসবিহীন বিভিন্ন যানবাহন থেকে নামে বে-নামে বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে একটি মহল কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার অভিযোগ। তদন্ত করলে কেঁচো খুঁজতে সাপের সন্ধান পাওয়া জেতে পারে বলে অনেকেই জানান। অথচ সরকার এসব সেক্টর থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। ব্যাটারি চার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ অপচয় করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
    শনিবার (৯ আগষ্ট ২০২৫ইং) জানা গেছে, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আগে যেখানে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতো একটি মহল সেখানেই এখন বিএপি’র নাম ভাঙিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ব্যবসা দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা জেলার সাভারের আমিনবাজার-আরিচা মহাসড়ক ও আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং আশলিয়ার বাইপাইল-টঙ্গী সড়কের জামগড়া, ছয়তলা, ইউসুফ মার্কেট ও নরসিংহপুর-কাশিমপুরসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে একাধিক লাইনম্যান প্রতিটি অটোরিক্মা থেকে ২০ টাকা করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করে। জানা যায়, এই চাঁদাবাজির সাথে এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার দালালরা কাজ করে। অনেকেই সড়কের দুইপাশে মার্কেটের সামনে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করছে, প্রতিদিন একটি দোকানের চকির চাঁদা ১০০ থেকে ২০০টাকা নেয়া হয়। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হয় যানবাহন থেকে এবং ফুটপাতসহ বিভিন্ন সরকারি জমি ও রাস্তা দখল করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁদাবাজি নিয়ে চাঁপাবাজি করছে একটি মহল আবার গত সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ইং তারিখে আশুলিয়ার বাইাইলে বিএনপির একটি পক্ষ মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মানররন্ধন করেছেন চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে।
    মহাসড়কসহ বিভিন্ন রোডে অবাধে চলছে অবৈধ অটোরিকসা গাড়ি-সিএনজি, মাহিন্দ্রা, তিন চাকা গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করা হয়। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় যানবাহন থেকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জানা গেছে, পুরাতন আশুলিয়া থেকে জিরাবো, নরসিংহপুর, সরকার মার্কেট, জামগড়ার ছয়তলা, ইউনিক, নবীনগর থেকে জিরানী পর্যন্ত সড়কে এবং নবীনগর থেকে পাটুরিয়া, আরিচা মহাসড়কে বাসগুলো থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। (সূচনা, দেশ মাটিসহ বিভিন্ন পরিবহণ সেক্টর থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়)। অন্যদিকে দেখা যায়, কার আগে কে যাবে আর স্টাফদের সাথে মারামারি লেগেই থাকে, অসাবধানতায় গাড়ি চালায় ১৪-১৭ বছরের কিশোর। ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি।সাভার ও নবীনগরের ফুটপাত হকারদের থেকে দখলমুক্ত করা হলেও বেশিরভাগ এলাকায় এখনও ফুটপাত দখল করে জমজমাটভাবে চলছে ব্যবসা বাণিজ্য। লাইসেন্সবিহীন যানবাহন থেকে কিছু দালাল ও হাইওয়ে কিছু পুলিশ সদস্য মোটা অংকের চাঁদাবাজি করে থাকে বলে অনেকেই জানায়। মহাসড়ক ও হাইওয়ে সড়কের পাশে ফুটপাত দখল করে গাড়ি পার্কিং দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করা সরকার নিষিদ্ধ করলেও কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কেন জাতি জানতে চায়। পুলিশ ও গাড়ির মালিক সমিতি কতর্ৃক চাঁদাবাজদেরকে প্রতিটি গাড়ি হতে ১০০০-২৫০০/ টাকা চাঁদা দিতে হয়। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একজন (টিআই) অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বিআরটিএ কতর্ৃপক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ সঠিক ভাবে করতে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিন্তু প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যানবাহনের ডকুমেন্ট হাল নাগাদ না করে অবৈধভাবে বিশৃঙ্খলার মধ্যে অবৈধ যানবাহন চলছে সড়কও মহাসড়কের সর্বত্র। ফলশ্রুতিতে জনগণ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আর সরকার সারাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিষটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনায় আনতে বিশেষভাবে সবিনয় বিনীত অনুরোধ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে। ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল করতে সক্ষম হলে বাংলাদেশের জনগণ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লোকের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা আসবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ অনেক বেশি আসবে। ফলশ্রুতিতে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসলে অর্থনৈতিক উন্নতি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং বেকার সমস্যা দূর করতে সক্ষম হবে সরকার। মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা খুঁজে পাবে এবং নিরাপদ সড়ক বিনিমার্ণে এক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। সেই সাথে সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি।
    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ ও বাইপাইল, ইউনিক, জামগড়ার ছয়তলা ও সরকার মার্কেটসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কথা থানা পুলিশের, শুধু নবীনগরসহ কিছু এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করলেও বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে, কোনো ভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য, হাইওয়ে পুলিশ ও আশুলিয়ার নরসিংহপুরে মোঃ সুমন ওরফে মাহিন্দ্রা সুমন, শ্রীপুরের বাবুলসহ কয়েকজন দালাল চাঁদাবাজ কতর্ৃক তিন চাকা গাড়ি- প্রতি একটি গাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে চাঁদা আদায় করছে, পুরাতন আশুলিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে মাসিক চাঁদা উঠায়, তা মোটা অংকের বলে অনেকেই জানায়। সেই সাথে রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা বিভিন্ন ফুটপাতে চাঁদা আদায় করে। কিছু ফুটপাতের দোকানদার ব্যবসার আড়ালে চাঁদা উঠায় এমন অভিযোগও রয়েছে। সূত্র জানায়, দেশের অন্যদিকে সিলেট সদরের আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক থেকে প্রতি বছরে প্রায় ২ কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা। এদিকে ভৈররের বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রতি বছর ১কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে চাঁদাবাজরা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা একদিকে যানবাহন থেকে চাঁদা নিয়ে থাকে, অন্যদিকে ফুটপাত থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিরপুর বিভিন্ন সড়ক ও বেঁড়িবাঁধ থেকেও ব্যাপক চাঁদাবাজি করা হয়। শুধু বেড়িবাঁধ থেকেই চাঁদা নিয়ে ক্ষ্যন্ত হয়নি তারা, কার্গো জাহাজ ভেড়ানোর জন্য তৈরি করেছে ল্যান্ড ষ্টেশনও। সেখানে মালবাহী ট্রাক লোড-আনলোডের ক্ষেত্রেও ইচ্ছেমতো চাঁদা নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কতর্ৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ল্যান্ড ষ্টেশন থাকলেও অদৃশ্য কারণে তৈরি ল্যান্ড ষ্টেশনই ব্যবহার করা হচ্ছে।
    ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল থেকে জিরানী বাজার পর্যন্ত এবং ভাদাইল, ইউনিক বাজার, শিমুলতলা, ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া চৌরাস্তা-ছয়তলা, নরসিংহপুর, জিরাবো, পুরাতন আশুলিয়া পর্যন্ত সড়কের রাস্তার দুইপাশে ফুটপাত দখল করে স্থাপনা তৈরি করে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে প্রভাবশালী মহল। সেই সাথে উক্ত এলাকায় গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। জানা যায়, বিভিন্ন ক্রাইম স্পট থেকে কিছু পুলিশকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা চাঁদা উঠিয়ে দেয় এড়িয়াভিত্তিক মার্কেটের মালিক পক্ষের লোকজন। সচেতন মহল ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সাভার, আশুলিয়ার সড়ক ও মহাসড়কে এবং তুরাগপাড়ের বেড়িবাঁধের রাস্তার উপরের দুপাশে বিভিন্ন দোকান, লেগুনা ষ্ট্যান্ড বসিয়েও চাঁদাবাজি করে আসছে প্রভাবশালী মহল। জানা যায়, বছরের পর বছর উল্লেখ্য এলাকার মানুষজনকেএকপ্রকার জিম্মি করেই অবৈধ কর্মকান্ড করে আসছে প্রভাবশালীরা। চাঁদাবাজ চক্রের সাথে কিছু রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছে বলেও অনেকেই জানান। রাজধানীর গাবতলী মাজার রোড হয়ে দারুসসালাম থানা রোড ও থানার সামনে দিয়ে ছোট সরু রাস্তা থেকে কিছু দূর গেলেই তুরাগ নদীর পাড় এলাকাটির নাম ছোটদিয়াবাড়ী । তুরাগ নদীর এ পাড়ের অংশ ছোট দিয়াবাড়ী, উপরের অংশ কাউন্দিয়া। এই পারের অংশের বাম দিকে গাবতলী আর ডান দিকে বেড়িবাঁধ রাস্তা। যা আশুলিয়া ও উত্তরার দিকে চলে গেছে। তুরাগের বাঁধঘেষা ছোট দিয়াবাড়ী মোড়টিকে পুঁজি করেই চক্রটি মূলত বিশাল চাঁদাবাজির ক্ষেত্র গড়ে তুলেছে। দেখা যায়, বাঁধ সংলগ্ন রাস্তাটি বেশ চওড়াই কিন্তু দুপাশে দখলের কারণে এটি ছোট হয়ে এসেছে। দুপাশের অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট বড় শত শত দোকান। দারুসসালাম রোড থেকে বাঁধে উঠার সংযোগ সড়কের দুপাশের রাস্তা দখল করে বাঁশের আড়ৎ দেওয়া হয়েছে। এককালীন লাখ টাকা, পরে ১৫-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানিরা বলেন, তারা জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন হাজি জহিরের কাছ থেকে। তারা বলেন, এককালীন হিসেবে প্রায় লাখ খানেকের মতো টাকা দিয়েছেন আর প্রতি মাসে ১০হাজারের মতো টাকা ভাড়া দেন। হাজী জহির এর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। নৌপরিবহন মন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলেন, একদল গেছে, আর একদল আসছে চাঁদাবাজিও বাড়ছে।
    মানিকগঞ্জ জেলা ডিবি ও ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের একাধিক সাব-ইন্সপেক্টর বলেন, এর আগে সড়কে গাড়িতে চাঁদাবাজির সময় কয়েকজনকে আটক করা হলেও আদালত থেকে তারা জামিনে এসে আবারও চাঁদাবাজি করছে। ঢাকা জেলার সাভার ট্রাফিক জোনের একজন অফিসার বলেন, আগের চেয়ে পরিবেশ অনেকটা ভালো, সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাভারে ফুটপাত দখলমুক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, অবৈধ গাড়ি রোডে বেশি চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হয়, তবে মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অটো রিক্সা, মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ তিন চাকা গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এখন থানা পুলিশ এ বিষয়ে দেখবেন। আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায় অভিযান চলমান রয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা রোড ও ঢাকা টাঙ্গাইল রোডে ছিনতাই এবং বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল। সামনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা উক্ত বিষয়টি আমলে না নিলে দলের বদনামসহ চরম ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সচেতন মহলের দাবী। এদিকে চাঁদাবাজি নিয়ে চাঁপাবাজির সাথে এসবের সাথে জরিতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করছেন বিএনপির একটি পক্ষ। তাহলে আসল চাঁদাবাজদের কেন আটক করা হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়।
    শনিবার (২৬ জুলাই ২০২৫ইং) আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান মাইকিং করে বলেন, আমি নতুন আসছি তারপরও অর্ধশতাধিক অপরাধীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, মাদক, জুয়া, দেহব্যবসা, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী খুনি অপরাধী যেইহোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করতে সবার সহযোগিতা চাই। তবে একজন মাদক কারবারি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামী আশুলিয়ার জামগড়া মনির মার্কেট এলাকার ওয়াহেদ মোল্লার ছেলে শরিফুল ইসলাম মোল্লাকে গত এক মাসেও ওসি আব্দুল হান্নান গ্রেফতার করতে পারেননি, সিনিয়র (এসআই) মাসুদ আল মামুনসহ কিছু (এসআই) কে তিনি নির্দেশ দিলেও তারা কোনো ভাবেই শরিফ মোল্লাকে গ্রেফতার করেননি, এরকম অনেক আসামিকে গ্রেফতার না করার কারণ কি তা জাতি জানতে চায়। ওসি সাহেব বলেন, তিনি ব্যবস্থা নিবেন। সেই সাথে উক্ত এলাকাগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রকৃত দোষীরা যেন কেউ আইনের ফাঁকফুঁকোর দিয়ে যেন বের হতে না পারে এর জন যা করা দরকার তাই করতে হবে এবং চাঁদাবাজরা যেন আর চাঁদাবাজি না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে বলে সচেতন মহলের দাবী।##

  • নতুন ভবনগুলো-বাসা বাড়িতে তিতাস গ্যাসের অবৈ-ধ সংযো-গে কো-টি টাকা রা-জস্ব হা-রাচ্ছে স-রকার

    নতুন ভবনগুলো-বাসা বাড়িতে তিতাস গ্যাসের অবৈ-ধ সংযো-গে কো-টি টাকা রা-জস্ব হা-রাচ্ছে স-রকার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় নতুন ভবনগুলোসহ বাসা বাড়িতে তিতাস গ্যাসের অবৈধ হাজার হাজার সংযোগ ও অতিরিক্ত চুলা ব্যবহার বন্ধ করতে ব্যর্থ কতর্ৃপক্ষ। লোক দেখানো অভিযানের নামে নাটক করে কিছু সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার অভিযোগ রযেছে, এর কারণে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ মোটা অংকের টাকার মালিক বুনে যাচ্ছে।
    শনিবার (৯ আগষ্ট ২০২৫ইং) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়ার মীরবাড়ির জামাই হাবিব ও ইয়ারপুর এলাকার সিরাজ ও জলিল, ইউসুফ মার্কেট গুমাইল ও গোরাট এলাকার কথিত মেম্বার মকবুলসহ অনেকেই অবৈধ ভাবে সরকারি তিতাস গ্যাস চুরি করে সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, সেই সাথে নিজেরাও অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করছে। এ ব্যাপারে গ্যাসের দালাল ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলে যে, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা নিয়ে গণমাধ্যমের কেন এতো মাধা ব্যথা? জাতি জানতে চায় গ্যাসের দালাল আর অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লেনদেনের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট।
    জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল এলাকায় ডাঃ কাজল এর ৬ তলা নতুন ভবনে ১টি চুলা বৈধ আর ৬৪টি চুলা অতিরিক্ত অবৈধ। এরকম অনেকেই সরকারি তিতাস গ্যাস চুরি করে ব্যবহার করছে। আশুলিয়ার কাঠগড়া সরকার বাড়ির ডিস ব্যবসায়ী ইলিম সরকার হত্যা মামলার আসামী কেমেলি’র বাড়িতে ১২টি চুলা অবৈধভাবে ব্যবহার করছে, জামগড়া মীর বাড়ির জামাই হাবিব ও জামগড়া মোল্লাবাড়ির নুরু মোল্লাসহ আশপাশের এলাকায় এরকম প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বৈধ চুলার চেয়েও অবৈধ চুলার সংখ্যা অনেক বেশি ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। এসব চোরদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বিভিন্ন উপর মহলের পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং ঠিকাদার ও গ্যাস অফিসের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার কথা বলেন।
    জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়ি ও হোটেলে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে অনেকেই। এর কারণে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা। তিতাস গ্যাসের কতর্ৃপক্ষ অভিযান চালালেও কোনো ভাবেই বন্ধ করতে পারছেন না অবৈধ সংযোগ ব্যবহার। যেসকল এলাকায় সরকারি গ্যাস রয়েছে সেখানেই অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য জমজমাট ভাবে করছে দালাল চক্র। অভিযোগ রয়েছে, বৈধ গ্যাহকদের চুলায় গ্যাস না থাকলেও অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের চুলায় গ্যাস থাকে সবসময় এর রহস্য কি জাতি জানতে চায়। যেমনঃ কিছু হোটেলে রান্না চলে প্রায় ১৪-১৬ ঘন্টা, এই সময়ে গ্যাসের চাপ অনেক বেশি কিন্তু বৈধ গ্রাহকের চুলায় গ্যাস থাকে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন এবং সরেজমিনে গিয়ে তার সত্যতা পাওয়া যায়। সেই সাথে তথ্য পাওয়া গেছে, একস্থানে ৭-১০ বার অভিযান করলেও আবারও সেখানে অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়-এ যেন চোর পুলিশের খেলা। একটি অভিযানে ৭০-৮০ জন লোক কাজ করেন, তাদের দুপুরের খাবার ও কামলার টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয় সরকারের, তাহলে একটি জায়গায় যদি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হয় সেখানে সরকারের লোকসান ছাড়া লাভের মুখ দেখা যায় না। অভিযোগ রয়েছে যে, লোক দেখানো অভিযান করা হয় এতে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে এবং মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে যেসকল অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীরা সংশ্লিষ্টদের টাকা দেয় তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় না। এরকম অনেক অনিয়ম দুর্নীতি করা হলেও এ ব্যাপারে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার খবর পাওয়া যায়নি।
    জানা গেছে, আশুলিয়ার ভাদাইল, ইউসুফ মার্কেট, জামগড়া, মোল্লাবাড়ি, মীরবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে দালাল চক্র। প্রতি মাসে ৪-৫টি অভিযানে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন কতর্ৃপক্ষ কিন্তু দিনব্যাপী অভিযান শেষে রাতে আবারও সেই অবৈধ সংযোগ দেওয়ার অনেক নজির ও সত্যতা পাওয়া গেছে। এ যেন চোর পুলিশের খেলা। বিশেষ করে সরকারের তহবিল থেকে প্রতিটি অভিযানে খরচ হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা, একই স্থানে ৮ থেকে ১০ বার অভিযান চালানোর নজির রয়েছে কিন্তু অভিযান করা হলেও গ্যাস চোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো মামলা করা হয়নি প্রায় দুই বছর। তবে মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতে কিছু জরিমানা করা হলেও কোনো ভাবেই অবৈধ সংযোগ বন্ধ হচ্ছে না, তাহলে সরকারের কত টাকা খরচ ও কত টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে তার কোনো হিসাব দেন না দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতিটি বাসা বাড়ি থেকে ৩০-৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে দালাল চক্র, হোটেল বা শিল্প-কারখানার সংযোগ হলে লক্ষাধিক টাকা নেয়া হয়, এইভাবেই একের পর এক সরকারি সম্পদ নষ্ট করে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের গ্যাসবাজি চলছে, এর কারণে আগের মতো ভয় পায় না চোরেরা, তাদের খুঁটির জোড় কোথায় তা জাতি জানতে চায়। আমাদের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) জানিয়েছেন একদিন অভিযান চালালে ৪০-৫০ জন কামলা ও পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ শতাধিক লোকজন নিয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয় সরকারের, মাসে ৪-৫টি অভিযান করা হলে এক বছরের হিসাব ৫০-৬০ লাখ টাকা খরচ হয়, জব্ধকৃত পাইপসহ মালামাল কত টাকা বিক্রি হয়? সঠিকভাবে কি বিল কালেকশন হয় কিনা তা জাতি জানতে চায়।
    তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের দাবি পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার পরিস্থিতি বা সক্ষমতা আপাতত নেই, তাই গ্রাহকদের আশায় ঝুলিয়ে না রেখে গ্যাস সংযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার জন্য সরকারি সিদ্ধান্তটি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে-কথাগুলো বলেছেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া, ইউসুফ মার্কেট, এদিকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকা, মীর বাড়ি, চিত্রশাইল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগের ছড়াছড়ি, হাজার হাজার অতিরিক্ত চুলা ব্যবহার করছে বেশিরভাগ বাসা বাড়ির মালিকরা। তথ্যমতে, এসব অবৈধ সংযোগ দাতা দালাল চক্র আবারও সক্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর এলাকার সিরাজ, হানিফ, আব্দুল জলিল, ফারুক, ইউসুফ মার্কেটের কথিত মেম্বার মকবুল ও জামগড়া মীর বাড়ির জামাই হাবিবসহ অনেকেই তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ থেকে অগ্নিকান্ডে নারী ও শিশুসহ গত কয়েক বছরে সাভার ও আশুলিয়ায় অনেক মানুষ আহত নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়। এদিকে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতলের দামও অতিরিক্ত বেড়েছে, ওষুধের দোকান, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল। অভিযোগ রয়েছে, বৈধ গ্রাহকদের চুলার গ্যাস টিপটিপ করে জ্বলে কিন্তু অবৈধ সংযোগের চুলায় সবসময় গ্যাস থাকার রহস্য কি জাতি জানতে চায়।বৈধ গ্রাহকদের কাছ থেকে বিল ঠিকই নেয়া হয় কিন্তু গ্যাস না থাকার কারণ কি?। বিশেষ করে সরকারের উক্ত সিদ্ধান্তে দুই শ্রেণীর গ্রাহক সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন, এদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো রাজধানী ঢাকাসহ সাভার আশুলিয়ায় ও বিভিন্ন উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ও শহরের বাসা বাড়ি ফ্ল্যাটের মালিকেরা। আরেকটি হলো বিভিন্ন আবাসন কোম্পানিগুলো। তাদের মধ্যে অনেকেই গ্রাহকদের গ্যাসের পাইপলাইনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আবাসন কোম্পানির অনেকেই বলেন, এখন গ্যাসের সংযোগ না পেলে তাদের প্লট, জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে না। তারা অনেকেই দাবি করেন যে, গ্যাস সংযোগ নতুন করে আর কেউ পাচ্ছেন না, এতে গ্রাহকরা বেশি বিপাকে পড়েছেন।
    ২০১৮ইং সালে এলএনজি আমদানি শুরুর পর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা গ্যাসের সংযোগ নতুন করে শুরু হওয়ার কথা নীতিনির্ধারণী মহলেও শুনা যাচ্ছিল। তখন ঢাকা ও সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অবৈধ সংযোগের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে দেয় দালাল চক্র সিন্ডিকেটগুলো। তারা গ্রাহকদের আশ্বাস দেয়, কিছুদিন পরে গ্যাসের নতুন বৈধ সংযোগ দেওয়া শুরু করলে এগুলোকে বৈধ করে দেবেন কিন্তু এখন এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পালায় এই গ্রাহকদের সংযোগও কাটা পড়েছে। গ্যাসের দালাল ও কন্ট্রাক্টাররা গ্রাহকদের টাকা আর ফেরত দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা গেছে, সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বেশ জোরেসোরেই মাঠে নামে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ। বিশেষ করে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে কিছুদিন আগে জ্বালানি বিভাগ উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়ে তা বাস্তবায়নের আদেশ দিয়েছিলো। সূত্র জানায়, ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়া এবং টাকা জমা দেওয়া গ্রাহকদের আবেদনও বাতিল করা হবে। তাদের অর্থ ফেরত দেবে সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানিগুলো। বিতরণ সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, নতুন সংযোগের জন্য ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়া এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়া গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখের মতো। গ্যাস ও খনিজ সম্পদ খাতের নেতৃত্ব প্রদানকারী সংস্থা পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, বৈধ অবৈধ নানা উপায়ে এই শ্রেণির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮লাখ হবে। দেশে সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আলোচনা করেছেন বলে জানান, গৃহস্থালিতে আর গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। যেসব গ্রাহক সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন এবং টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের নাম তথ্যভান্ডারে রয়েছে। আগামীতে এ বিষয়ে একটি সভা করে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করা হতে পারে।সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।দেশে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি।
    তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ এর আশুলিয়া জোনের প্রকৌশলী আবু ছালেহ মোঃ খাদেমুদ্দীন বলেন, আশুলিয়ায় তিতাস গ্যাসের বৈধ গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের বেশি। শিল্প গ্রাহক সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ মতো। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারী দালালদের বিরুদ্ধে এর আগে আশুলিয়া থানায় ৪৮টির মতো মামলা করা হয়েছে,বর্তমানে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারী ও দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এখন দুদুকের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন বলে তিনি জানান। আর কেউ অনিয়ম দুর্নীতি করলে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি দাবী করেন। আশুলিয়ায় কাঠগড়া কিছু এলাকায় অবৈধ সংযোগ নেই আর জামগড়া গফুর মন্ডল স্কুল রোডে এবং আশপাশের বাড়িতে অবৈধ সংযোগ দিয়ে দালাল চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, উক্ত বিষয়ে বক্তব্য চাইলে গ্যাস কর্মকর্তারা এড়িয়ে যেতে চায় আর কর্মকর্তা ও দালালরা বলে থাকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে গণমাধ্যমের কেন এতো মাথা ব্যথা? বিশেষ করে এইসব অসাধু কর্মকর্তা ও দালালদের খুঁটির জোড় কোথায় জাতি জানতে চায়, উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপর মহলের কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।
    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, আমি নতুন প্রায় এক মাসের মতো আশুলিয়া থানায় যোগদান করেছি, দেহব্যবসায়ী, মাদক কারবারি, জুয়ারি, কিশোর গ্যাং, চোর ডাকাত, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামিসহ প্রায় শতাধিক অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি। গ্যাসের কতগুলো মামলা হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে বলে তিনি জানান।##

  • গোদাগাড়ীর রাজবাড়িহাটে দু-গ্ধ ও গ-বাদি উন্ন-য়ন খা-মারে আওয়ামী সি-ন্ডিকেট এখনও ব-হালতবিয়াতে

    গোদাগাড়ীর রাজবাড়িহাটে দু-গ্ধ ও গ-বাদি উন্ন-য়ন খা-মারে আওয়ামী সি-ন্ডিকেট এখনও ব-হালতবিয়াতে

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর রাজবাড়িহাট আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে দাপটের সঙ্গে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে আওয়ামীপন্থি ঠিকাদার সিন্ডিকেট। দলটি প্রধান ফ্যসিট হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেলেও দেশের অন্যতম বৃহৎ এ পশু খামারটিতে খাদ্য সরবরাহের টেন্ডার এখনো নিয়ন্ত্রণ করছে এ প্রভাবশালী চক্রটি। গত পাঁচ অর্থবছরে এ সিন্ডিকেটটি কম দামের নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ করে হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত ১৫ কোটি টাকা।

    জানা গেছে গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ীতে দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারটি বরেন্দ্র অঞ্চলের গো-খামারিদের আশার আলো দেখালেও টেন্ডার সিন্ডিকেটের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে খামারটি। গরুর প্রসিদ্ধ জাত শাহীওয়াল সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কাজ করছে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ীতে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত খামারটি।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শাহীওয়াল জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন ছাড়াও পুষ্টিসমৃদ্ধ দুধ সরবরাহ, মাংসের ঘাটতি মেটাতে এঁড়ে বাছুর বিক্রি, উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ করছে এ খামার।

    রাজশাহীর এ খামারটি স্থাপিত হয় ১৯৬৮ সালে। তখন খামারটি এস্টাবলিস্টমেন্ট অব ডেইরি অ্যান্ড ক্যাটল ব্রিডিং ফার্ম নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭৭ সালে এর নামকরণ হয় নর্দার্ন ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট ফার্ম। ১৭৯ একর জমিতে এ খামার গড়ে ওঠে। ১৯৮৪ সালে ১৭৮টি গাভী নিয়ে রাজশাহী ডেইরি অ্যান্ড ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট ফার্ম নামে যাত্রা হয় এ খামারের।

    দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ খামারে বর্তমানে ৩৫৪টি গবাদিপশু রয়েছে। খামারে দৈনিক প্রায় ২২০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। গবাদিপশুর খাদ্যের জোগান আসে খামারের বিশাল এলাকাজুড়ে চাষ করা ঘাসে। দৈনিক ৯-১০ হাজার কেজি ঘাস সরবরাহ হয় খামারে। খামার থেকে দৈনিক এক টন গোবর উৎপাদন হয়। এর একটি বড় অংশ জৈবসার উৎপাদনে ব্যবহার করে খামার কর্তৃপক্ষ। সেই সার ব্যবহার হয় ঘাস চাষে। এছাড়া এ খামার থেকেই বায়োগ্যাস ও জৈবসার প্রস্তুতকারীদের গোবরের জোগান দেয়া হয়। খামারের হিসাবের বাইরে আরো ৪২টি প্রজনন ষাঁড় এআই ল্যাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ ল্যাব থেকে বছরে অন্তত সোয়া কোটি টাকার সিমেন উৎপাদন হয়। কিন্তু আওয়ামী টেন্ডার সিন্ডিকেটের কারণে কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে খামারটি।

    অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও খাদ্য সরবরাহের একটি প্যাকেজের চারটির মধ্যে তিন গ্রুপের কাজের অনুমোদন পেয়েছে আওয়ামীপন্থি সিন্ডিকেটটি। ৮ জুলাই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এবিএম খালেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনটি গ্রুপে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন না দেওয়ায় সরকারের ৯১ লাখ ৮১ হাজার ৪৭২ টাকা তছরুপ করা হয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তিন গ্রুপের মধ্যে দুটির অনুমোদন রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমন মন্ডলের বাবা রবিউল করিমের মালিকানাধীন মেসার্স করিম ট্রেডার্সকে দিয়েছে। মূলত গত এক যুগ থেকে ইমন বাবার পক্ষে করিম ট্রেডার্সের সব কর্মকাণ্ড দেখভাল করেন। ৫ আগস্টের পর তিনি আত্মগোপন করেছেন। এছাড়া আরেকটি গ্রুপে খাদ্য সরবরাহের অনুমোদন পেয়েছে সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের এপিএস হিলটন সাহার মালিকানাধীন এইচএন এন্টারপ্রাইজ।

    এদিকে টেন্ডার প্রক্রিয়ার নিয়মানুযায়ী, অনুমোদন পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সশরীরে উপস্থিত হয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গা ঢাকা দেন এইচএন এন্টারপ্রাইজের মালিক হিলটন সাহা। তবে তার পক্ষে নিয়ম ভেঙে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স করিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রবিউল করিম এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অন্যান্য ঠিকাদারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং অসন্তোষ বিরাজ করেছে।

    নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্যাকেজের দুই নম্বর গ্রুপে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কানাইডাঙা এলাকার মেসার্স করিম ট্রেডার্সকে আস্ত ছোলা ও রাইস ব্রানসহ অন্যান্য খাদ্য সরবরাহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। করিম ট্রেডার্স এ সরবরাহে এক কোটি ৩৬ লাখ ৬ হাজার ৪৪৯ টাকা দর প্রদান করে। অথচ টেন্ডারে অংশ নেওয়া সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে রাজশাহীর মেসার্স সদর অ্যান্ড ব্রাদার্স ৬৯ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৫ টাকা প্রদান করেছে। এছাড়া আরও দুটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেতাগা ট্রেডার্স ৭১ লাখ ১৬ হাজার ১৪৮ টাকা এবং এইচএন এন্টারপ্রাইজ ১ কোটি ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৪ টাকা দর প্রদান করে। ফলে সর্বোচ্চ দরদাতা করিম ট্রেডার্সকে খাদ্য সরবরাহের অনুমোদন দেওয়ায় ৬৬ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৪ টাকা তছরুপ করা হয়েছে। এর বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন খামারটির অসাধু কর্মকর্তারা।

    একইভাবে প্যাকেজের তিন নম্বর গ্রুপের আস্ত ভুট্টা এবং লাইম স্টোনসহ অন্য খাদ্য সরবরাহে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে করিম ট্রেডার্সকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ৮৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৩ টাকা দর প্রদান করে। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে মেসার্স বেতাগা ট্রেডার্স প্রদান করে ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮২ টাকা। আর মেসার্স সদর অ্যান্ড ব্রাদার্সের দর ছিল ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ১৮৮ টাকা। এক্ষেত্রেও সরকারের ২২ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৬ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

    এছাড়া প্যাকেজের ৪ নম্বর গ্রুপে হিলটন সাহার এইচএন এন্টারপ্রাইজকে ধানের শুকনো খড় এবং ডালের ভুসিসহ অন্য খাদ্য সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দর প্রদান করেছে ৭০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩৭ টাকা। অথচ সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স সদর অ্যান্ড ব্রাদার্স দর প্রদান করে ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৫ টাকা। এক্ষেত্রেও সরকারের তিন লাখ ৫ হাজার ৮২ টাকা তছরুপ করা হয়েছে।

    খামারটির সাবেক ঠিকাদার শামসুল খান বলেন, গত পাঁচ অর্থবছর থেকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে এইচএন এন্টারপ্রাইজ এবং করিম ট্রেডার্স দুগ্ধ খামারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেছে। কারণ প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের দাপটে আমরা ছিলাম অসহায়। এ কারণে দীর্ঘ সময় কাজ না পেয়ে খামারে ঠিকাদারি বন্ধ করে দিয়েছি।

    তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি খামারটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে নিম্নমানের কম দামি খাদ্য সরবরাহ করে গত কয়েকটি অর্থ বছরে অন্তত ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পতন হলেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ সিন্ডিকেটটিই জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে। বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে তাদের সরবরাহের অনুমোদন দিয়ে সরকারি অর্থ তছরুপ করা হয়েছে।

    অভিযোগ রয়েছে, এইচএন এন্টারপ্রাইজ এবং করিম ট্রেডার্স খামারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে একে অপরের সহযোগী। করিম ট্রেডার্স স্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এ কারণে এইচএন এন্টারপ্রাইজের মালিক হিলটন সাহা আত্মগোগনে থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষরের জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন করিম ট্রেডার্সের মালিক রবিউল করিম।

    তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, হিলটন সাহার পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আমার কোনো তৎপরতা নেই। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    সর্বোচ্চ দরদাতাকে খাদ্য সরবরাহের অনুমোদনের মাধ্যমে অর্থ তছরুপ এবং হিলটন সাহার অনুপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষরের তৎপরতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খামারের উপপরিচালক ড. মো. ইসমাইল হক। তিনি বলেন, ‘আমি টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সদস্য না। যারা এ কমিটির সদস্য তারা বলতে পারবেন। এছাড়া কোনো দলীয় সিন্ডিকেট খামারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে না। তাদের সঙ্গে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তিনজন কর্মকর্তা মূল্যায়ন কমিটির সদস্য। এ কমিটির অন্যতম সদস্য সহকারী পরিচালক ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘নিম্ন দারদাতাদের অনুমোদন না দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ এলাকার সচেতন মহল সরজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    মোঃ হায়দার আলী,
    রাজশাহী।

  • গোদাগাড়ীতে বরবটি চাষে কষকদের বাজিমাত। দুই ফসলী জমি তিন ফসলী জমিতে পরিনত

    গোদাগাড়ীতে বরবটি চাষে কষকদের বাজিমাত। দুই ফসলী জমি তিন ফসলী জমিতে পরিনত

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী: বাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বরেন্দ্র উন্নয়ন কতৃপক্ষের সেচসুবিধার উপর কঠোর বিধি নিষেধ দেয়ায় , গোদাগাড়ীতে নতুন করে বরবর্টির চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। রোপা আমন ধানের আবাদ কমেছে। প্রায় দু,মাস থেকে প্রতিদিন অব্যাহতভাবে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় লাগানো আমন ধানে ঠিকভাবে সার, কীটনাশক প্রয়োগ করতে না পারায় চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। এর সাথে যোগ হয়েছে ভেজাল সার ও কীটনাশক ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছে অনেক কৃষক।

    কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বিএমডিএ গভীর নলকুপের আওতায় বোরো ধান চাষ সীমিত করার নির্দেশ দেয়ায় গত বোরো ধানের আবাদ কমেছে অনেকগুন । নতুন ফসল হিসেবে বরবর্টি চাষ করেছেন বেশ কিছু কৃষক, এছাড়া, অনেক কৃষক ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ভুট্টা, টমেটো, বেগুন, ভিন্ডি, শাক, সবজি, ভুট্টা আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।

    এটি খাট জাতের বরবটি। সাধারণ বরবটি চাষ করতে হলে মাচা তৈরি করে চাষ করতে হয় কিন্তু এই বরবটি চাষ করতে কোন মাচা লাগে না। জমি বেড করে তৈরি করে বীজ বপন করতে হয়। বীজবপনের ৫৫ -৬০ দিনে ফুল চলে আসে। আর একটি বিষয় হল এই বরবটি সারা বছর চাষ করা যায়। অনেকে সাথী ফসল হিসেবে বরবটির বীজ ইতিমধ্যে বপন করেছে।

    উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকার বলেন, যে সকল জমিতে গম ও আলু, মশুর চাষ করার পর সাময়িক পতিত থাকে সে সকল জমিতে আমন / আউশ লাগানো মাঝের সময়ে এই বরবটি চাষ করে কৃষক বাড়তি আয় করতে পারে। ফলে দুই ফসিল জমি তিন ফসলে পরিনত হতে পারবে।

    উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের গোলাই গ্রামের কৃষকের জিয়ারুল ইসলাম, ১ বিঘা জমিতে বরবটি চাষ করেছেন এতে তার খরচ হয়েছে ১৩ হাজার টাকা টাকা । তিনি খরচ বাদে ৪২ হাজার টাকা আয় করেছেন।

    একই গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান ২৫ কাঠা জমিতে বরবটি চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৪ হাজার ৫শ টাকা । তিনি খরচ বাদে ৫৩ হাজার টাকা আয় করেছেন বলে জানা এ কৃষক। ধান বা অন্য ফসল করে কম সময়ে এত আয় করা সম্ভাব হতো না। আমাদেরকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকার মাঠ পর্যায়ে এসে বিভিন্ন পরামার্শ দিয়েছেন এতে করে খুব উপকার হয়েছে। একই ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মো: মূসা বরবটি চাষ করে ৩ হাজার ২শ টাকা খরচ করে ৮ হাজার ১শ টাকা আয় করেছেন বলে জানা গেছে।

    নতুন ফসল হিসেবে, গোদাগাড়ী উপজেলায় বরবটি চাষ করা হয়েছে ১০০ বিঘা জমিতে।
    গোদাগাড়ী উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু বরবটি চাষের জন্য উপযোগি। বর্তমানে জনপ্রিয় হচ্ছে এই বরবটি চাষ এবার উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ঈশ্বরীপর ব্লকে ৮০ বিঘা জমিতে বরবটি চাষ হয়েছে। আগামীতে এর চাষ আরও বাড়বে।

    গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছিল এবছর আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ২শ ৮০ হেক্টর জমিতে। সেই হিসাবে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুনের বেশি ভুট্টার আবাদ হয়েছিল। অন্যদিকে গত বছর বোরোর আবাদ হয়েছিল ১৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু গত মৌসুমে ১৪ হাজার ৮শ” ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল । প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবধ কম হয়েছিল।

    এ ছাড়া গত বছর ২২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে সরিষার অবাদ হলেও তামে হয়েছে ১৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল। গত বছর ১ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হলেও এবার হয়েছে ২ হাজার ৩৪২ হেক্টর জমিতে। পেঁয়াজ গত বছর এক হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হলেও এবার আবাদ কম হয়েছে।

    বিএমডিএ, গোদাগাড়ী অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলায় ভু-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচযন্ত্রে আশানুরুপ পানি/ডিসচার্জ পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারনে সেচযন্ত্র হতে চাহিদা মাফিক বোরো ধানে সেচ প্রদান করা সম্ভব হবে না। সেই প্রেক্ষিতে প্রতিটি সেচযন্ত্র এবং এলএলপি’র কমান্ড এরিয়ার আওতায় বোরো ধান চাষবাদ সীমীত করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে ধানের পরিবর্তে কম পানি প্রয়োজন হয় বরবটি, গম, সরিষা, চীনা, মষুর, খেসাড়ী, ছোলা, ভুট্টা, টমেটো, পেয়াজ, আলু শীতকালীন সাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ বলেন, বরবটি চাষ গোদাগাড়ীতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ফসলটি চাষ করার ফলে দু ফসলী জামি তিন ফসলী জমিতে পরিনত হচ্ছে স্বল্প সময়ে কুষক অন্য একটি ফসল ঘরে তুলে লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে বরবটি চাষ অনেক হারে বৃদ্ধি পাবে। গোদাগাড়ী উপজেলা বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় ভু-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি সংকটের কারনে এ অঞ্চলের কৃষকেরা পানি সাশ্রয়ী ফসল সবজি টমেটো ভুট্টা, গম, আলু, সরিষা, পেয়াজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করছে কৃষকদের আগ্রহী করা হচ্ছে।। ভুট্টা চাষ করতে ৪ টা সেচ লাগে কিন্তু বোরো ধান চাষে ১২ টা সেচ লাগে। ভুট্টার দাম ভালো পাচ্ছে কৃষকেরা। এতে করে কৃষকেরা ভুট্টার চাষ বেশী করছে। এছাড়াও ভু-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচযন্ত্রে আশানুরুপ পানি/ডিসচার্জ পাওয়া না যাওয়ায় বিএমডিএ বোরো ধানের আবাদ কমিয়ে কম পানি প্রয়োজন গম, সরিষা, চীনা, মশুর, খেসাড়ী, ছোলা, ভুট্টা, টমেটো, পেয়াজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করতে বলেছে। ফলে এ উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ কমেছে, বরবটি, সবজি, মৌসুমী ফসলের আবাধ বেড়েছে ভুট্টার।

    মোঃ হায়দার আলী,
    রাজশাহী।

  • নেছারাবাদে গাছ কা-টতে গিয়ে বিদ্যুৎতা-য়ীত হয়ে আব্দুর রহিম নামে এক ব্যাক্তির মৃ-ত্যু আহ-ত ১জন

    নেছারাবাদে গাছ কা-টতে গিয়ে বিদ্যুৎতা-য়ীত হয়ে আব্দুর রহিম নামে এক ব্যাক্তির মৃ-ত্যু আহ-ত ১জন

    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।।

    নেছারাবাদে সুপারি গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে বিদ্যুৎতায়ীত হয়ে আব্দুর রহিম নামে (৪৫)বছরের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। এবং তাকে বাচাতে গিয়ে জিসান নামে একটি ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    শনিবার বেলা ১১টার সময় স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে ঐ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুল আউয়াল ঐ ঘটনা জানতে পেরে অফিসে কল বিদ্যুৎতের লাইন বন্ধ করায়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত জিসান হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহিম এর সেজ ভাই আব্দুস ছত্তার বলেন, গাছটি গিয়ে তারের উপর পড়লে আগুন দরে যায়। তখন আব্দুর গাছটিকে টানদিয়ে নিচে নামাতে গেলে রহিম গাছের সাথে আটকে যায়। তখন জিসান ছাড়াতে গেলে সেও আটকে যায়। তখন আমি জিসান কে একটি শুকনা গামছা দিয়ে পেচিয়ে টান দিলে জিসানকে বাচানো সম্ভব হয়েছে। আর আব্দুর রহিম পাশে একটা ডোবা ছিলো সেখানে পড়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে একটা অটো গাড়ি করে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আব্দুর মারা যায় এবং ভাগিনা জিসান বেচে আছে কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

    ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির জানন, সুপারি গাছটা যদিও মরা ছিল কিন্তু কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সুপারি গাছটি ভেজা থাকায় বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে এবং বিদ্যুতায়ীত হয়ে আব্দুর রহিম মারা যান এবং তাকে বাঁচাতে আসা ভাগিনা জিসান নামের ছেলেটা সেও গুরুতরও আহত হয়েছে। যে তারটির উপর পড়েছে ঐ তারটি ছিল হাই ভোল্টেজের। যখন গাছটি কাটতে যায় তখন বিদ্যুৎ ছিল না কিন্তু হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

    নেছারাবাদ উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের অফিস কতৃপক্ষ জানান, বিদ্যুৎ লাইনের আশেপাশে যদি কোন গাছ কাটতে হয় আমাদের কাছে দরখাস্ত করবে এবং নির্দিষ্ট তারিখে আমাদের লোক গিয়ে দেখবে তারপরে তারা গাছ কাটবে এটাই নিয়ম। তারা যদি আমাদেরকে একটু জানিয়ে গাছটি কাটতো তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না।

    নেছারাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ বনি আমিন জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের অফিসার গিয়েছিল লাশ থানায় নিয়ে আশা হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

    ###

    নেছারাবাদে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

    নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি :

    গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় প্রকাশ্যে জবাই করে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন-কে হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সড়কের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

    মানববন্ধনে উপজেলার সকল সাংবাদিক সহ স্বরূপকাঠি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে একজন সাংবাদিককে জবাই করে হত্যার ঘটনা সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমের জন্য গভীর শঙ্কা। এটি শুধু একজন সাংবাদিককে হত্যা নয়, মুক্ত গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন আঘাত। তারা অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) সাড়ে আটটায় চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা।