Author: desk

  • জনবল সং-কটে গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট  হাসপাতালটি যেন নিজেই রো-গী

    জনবল সং-কটে গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি যেন নিজেই রো-গী

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতালটি জরাজীর্ণ অবস্থা। সেবা নিতে আসা রোগিদের ভোগান্তির শেষ নেই। সব ঔষুধ কিনতে হয় বাইর থেকে। পরীক্ষা – নিরীক্ষার জন্য যেতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিকে।
    ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের খুশি করতে ডাক্তারগণ হাসপাতালের সরবরাহকৃত তালিকার ওষুধ না লিখে গ্রুপ পরিবর্তন করে ভিজিট করা নিন্মমানের কম্পানীদের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ করে রোগির আত্নীয় স্বজন।

    চিকিৎসক, সুইপার, কর্মচারী অ্যামবুলেন্স, ড্রাইভার নেই হাসপাতালটিতে। অব্যবস্থাপনা, নানা প্রকার সমস্যায় জর্জিত হয়ে হাসপাতালটি যেন নিজই যেন অসুস্থ্য। আউটডোরে প্রতিদিন ৬ শতাধিক রোগি দেখতে, ব্যবস্থাপত্র করতে হিমসিম খাচ্ছে কর্মরত ডাক্তার, সেবিকাগন।

    রোগির চাপে বরাদ্দকৃত ঔষধ বছরের প্রথম দিকে শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ। ফলে প্রয়োজনীয় ঔষুধপত্র, স্লাইনসহ সব উপকরণ ফার্মেসী থেকে কিনতে হচ্ছে।

    জনগনের সুচিকিৎসার জন্য ১৯৯৪ সালে উপজেলা সদরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৯৯ ইং সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি শুরু থেকেই চলে আছে অবহেলা ও অবস্থাপনায়। ফলে গোদাগাড়ী উপজেলার সাড়ে ৩ লাখ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আলাতুলি, ক্লাবঘাট, জালিয়াপাড়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে একরকম বঞ্চিত হয়ে আসছে।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালে ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবে। কিন্তু কাগজ কলমে ৫ জন কর্মরত থাকলেও তারা কেউ কোয়াটারে না থেকে চাঁপাই নবাবগজ্ঞ ও রাজশাহী শহর হতে এসে অফিস টাইম ডিউটি করে চলে যায়। ফলে কোয়ার্টার গুলি বছরের পর বছর ফাঁকা থাকায় ভুতড়ে অবস্থা বিরাজ করছে। আশে পাশের পরিবেশ বনেজঙ্গলে ভরপুর, শিয়াল, কুকুর, বিড়াল, সাপে, পশু, পাখির আবাসস্থলে পরিনত হয়েছে।
    সুইপার না থাকায় অজুহাতে দু ওয়ার্ড, বাথরুম, টয়লেট, আশে পাশের পরিবেশ খুবই নোংরা, দুর্গন্ধ, ডাবের খোসা, কাগজ,বাদাম পলিথিন ব্যাগ, কলার চুকাসহ নানা অপদ্রব ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে এগুলি ডেঙ্গুমশা মাছির উৎপাদন ক্ষেত্র।
    রোগি চিকিৎসা সেবী ভাল না পেলেও বিভিন্ন কোম্পানির ঔষুধ প্রতিনিধি লম্বা লাইনে সিরিয়্যাল দিয়ে বসে আছেন একজনের অন্য জন ঠিকই প্রবেশ করছেন এবং উপহার সামগ্রী, স্যাম্পেল ঠিকই প্রদান করছেন। তাদের ঔষিধ লিখছে কি না সেটা যাচাই বাছাই করছেন ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন হাসপাতালে ভর্তি পরীক্ষা ।

    কেউ কেউ কাজের অজুহাত দেখিয়ে অফিস ফাঁকি দিয়ে রাজশাহী শহরে বসেই বেতন ভাতা তুলে খাচ্ছেন। যে ডাক্তারটি সব সময় প্রয়োজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সেই ডাক্তারের পদটিই বছরের পর বছর ফাঁকা আছে হাসপাতালে ফলে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে ফিরতে হয় রোগীদের।

    নিয়ম অনুযায়ী জরুরী বিভাগে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডিউটি পালনের নিয়ম থাকলেও কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থেকে কমিউনিটি মেডিকেল চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিষ্ট দিয়ে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা চলে। আর কোন রোগী আসলে হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহ না থাকার অজুহাতে কোন ধরনের ঔষধ সাপ্লাই রোগীদের প্রদান না করে বাইরে হতে কিনতে বাধ্য করায় রোগীদের। এমনকি সুঁই-সুতাও পর্যন্ত কিনতে হয় রোগীদের।

    গোদাগাড়ী পৌরশহরের বাসিন্দা জেসমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার ছেলের পা হাসুয়াতে কেটে গেলে দ্রুত চিকিৎসা পাবার জন্য এই হাসপাতালে আসি। এসে দেখি কোন চিকিৎসক নেই একজন ফার্মাসিষ্ট দিয়ে জরুরী বিভাগ চলছে। সেখানে চিকিৎসা শুরু হলে বলেন সুঁই-সুতা নেই বলে সেটিও ফার্মেসী হতে কিনে আনতে বলে।

    গোদাগাড়ী মেডিকেল মোড়ের বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াস আলি বলেন, এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা খুব বাজে কোন চিকিৎসা পাওয়া যাই না বললে ভূল হবে না। এখানকার ডাক্তারেরা ভাল মত চিকিৎসা প্রদান করে না। ডাক্তারের বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষার নামে আশে পাশের ক্লিনিকগুলোতে এসে চিকিৎসা নেওয়া ও টেস্ট করাতে বাধ্য করেন।

    হাসপাতালের গাইনি বিভাগটি চালু থাকলেও সেখানে কোন রোগী এসে চিকিৎসা পায় না। কোন রেগীর বাচ্চা হতে আসলে জটিল অবস্থা আছে বলে বাইরের ক্লিনিক গুলোতে যেতে বাধ্য করে। সেখানে তাদের কমিশন বাণিজ্য আছে বলে জানা যায় গেছে। হাসপাতালের কয়েকজন সিনিয়র স্টার্ফ নার্স দীর্ঘদিন এই হাসপাতালে কর্মরত আছেন তারা জ্বালাই অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন। সে কোন রোগীর সেবা না করে
    তাদের সাতে খারাপ আচারন করেন। রোগীর স্বাজনদের ভয় দেখিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেয়।

    হাসাপাতলটির ডেন্টাল ইউনিট থাকলেও কোন সেবা পায় না স্থানীয়রা। এক্সে-রে ইসিজি প্যাথলোজির ইউনিট থাকলেও কোন সেবা পায় না লোকজন। সব কিছুই বাইরে হতে করতে হয়। সকল যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন হতে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষেরও কোন নজর নেই। পরীক্ষা নীরিক্ষা একমাত্র ইউনিট প্যাথলোজি বিভাগটি কোন রকম চালু থাকলেও সেখানের টেকনোলজিষ্ট আকতারুন্নাহার বেলী আড়াই মাস হতে মাতৃত্বকালীয় ছুটিতে আছে বলে জানা যায়। ফলে কোন সেবা পাইনা রোগীরা।

    অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের অপরিচ্ছন্নতা থাকায় রোগীদের বেডের নিচে ময়লার স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, আমাদের এখানে ৫ জন সুইপার কথা থাকলেও মাত্র একজন আছে ফলে এই অসুবিধা পূর্ব হতেই চলে আসছে। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী খাবার সরবরাহ ঠিক মত পায় না রোগীরা। আর এ্যাম্বুলেন্সটি বিশ বছর আগের হওয়াই ঠিকমত চলে না এ্যাম্বুলেন্সটি খুব ঘন ঘনই নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে।

    গোদাগাড়ী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: মো: তৌহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, এ হাসপাতালের প্রধান সমস্যা জনবল সংকট। এ বিষয়ে একাধিকবার উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানিয়ে কোন লাভ হয় নি। আগামীতে নতুন নিয়োগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ১৯৯৮ ইং সালের বন্যায় পানিতে ডুবে এক্সসে মেশিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোঃ আবুল হায়াত মহোদয় পৌরসভা থেকে একজন সুইপার নিয়োগ দিয়েছিলেন সেটাও বর্তমান ইউএনও প্রত্যাহার করেছেন। বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ করে কোন লাভ হয় নি।

    মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, মুঞ্জুরীকৃত পদ গুলির মধ্যে ২১ পদে কোন লোক নেই। শূন্যপদ গুলি হচ্ছে সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ ১ জন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ১ জন, মেডিক্যাল অফিসার (পঃপঃ) ১জন, প্রধান সহকারী ১ জন, পরিসংখ্যান সহকারী ১ জন, ক্যাশিয়ার ১ জন, ষ্টোর কিপার ১ জন, ড্রাইভার ১ জন, এমএলএসএস ১ জন, ওয়ার্ডবয় ২ পদের ১টি পদ, আয় ৩ টি পদের ২ টি, মালি ১ টি, কুক/মশালচী ২ টি পদ লোক নেই, গার্ড ২ পদের মধ্যে ১ টি, সুইপার ৫ টি পদের মধ্যে ৫ টি পদই শূন্য রয়েছে। এ হাসপাতাল টি বড় অবাক করা কান্ড হচ্ছে পদ না থাকলেও ২৫ জন সিনিয়র ষ্টাফ নার্স কর্মরত রয়েছে। এ যেন বাঁশের চেয়ে কমচি বড়, শার্টের চেয়ে গেঞ্জি বড় হবার মত অবস্থা।

    সার্বিক বিষয়ে গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দায়িত্বে নিয়োজিত মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ জানান, জনবল না থাকায় আমরা খুব সমস্যায় আছি, মানুষ এসে খুব ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যে কোন সময় মারধোরের স্বীকার হওয়ার আশাঙ্কা করা হচ্ছ। ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও ৯ আগষ্ট শনিবার ৩৩ জন রোগিতে ইনডোর থেকে রিলিজ করা হয়েছে। আউট ডোরে ৫ শতাধিক রোগিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। প্রতিদিন এখানে ৬ শতাধিক রোগি আসেন চিকিৎসা সেবা নিতে। ডাক্তার, কর্মচারী, সুইপার না থাকায় আমাদের বিপদে পড়তে হয়। অনেক সময় রোগির আত্নীয় স্বজন আমাদের উপর ক্ষোভ করেন। আমি স্থানীয় বলে কোনভাবে বুঝিয়ে কিছুটা রক্ষা পাচ্ছি।

    উপজেলার মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর জ্বর, প্রেসার, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। মেডিসিন, স্লাইন, নিডিল,সুঁই সুতো সব কিছু কিনতে হচ্ছে। সব চেয়ে কষ্টকর হচ্ছে টয়লেট, ওয়ার্ডের ভিতরের পরিবেশ খুবই নোংরা, দুগন্ধ সৃষ্টি, নাকে রুমাল দিয়ে থাকতে হয়েছে। একদিন পর রিলিজ নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।

    গোদাগাড়ী মেডিকেল এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, শ্বাস কষ্ট, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ঔষিধ পত্র কিনতে হচ্ছে, ভিতরের পরিবেশ খুব নোংরা,
    টিকে থাকা কষ্টকর।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ হাসপাতাল প্রসঙ্গে বলেন, মানবিক কারণে পৌরসভা থেকে সুইপার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকে দিয়ে পরিস্কার, পরিচ্ছন্নের কাজ না করিয়ে কাউন্টারে রশিদ লিখার কাজ করাচ্ছিলেন, এর প্রমান পেয়ে সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মেডিক্যালে আউট সোর্সসিং এর লাখ লাখ টাকা আসে সে টাকা যায় কোথায়। সে টাকা দিয়ে সুপার, কর্মচারী রেখে পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ করতে পারেন। হাসপাতালের কি সমস্যা, করলে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করা যায় এ ব্যপারে তাদের মাসিক সভায় কোন পরামর্শ নেই। আমাকে জিঙ্গেস করে সাপে কাটা রোগির জন্য এন্টিভেনমের ব্যবস্থা করে দিতে হয়। একটি দাম ১৯ শ টাকা, একটি রোগির জন্য ১০ টি প্রয়োজন হয়। দাম পড়ে ১৯ হাজার টাকা।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার সচিব ও সহকারী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান মুকুল বলেন, আমাদের পৌরসভার সুইপার তাদেরকে মানবিক কারণে দেয়া হয়েছিল কিন্তু সুইপারের কাজ না করিয়ে কাউন্টারে রশিদ কাটার কাজ করাই সুইপার প্রত্যাহার করা হয়েছে। মেডিক্যালে ডাক্তারগন সময়মত উপস্থিত হন না। মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালের পরিবেশ খুবই নোংরা, অস্বাস্থ্যকর।

    স্পেশালিষ্ট (গাইনী এন্ড অবস) ডা: উম্মে হাবিবা হকের সাথে একাধিক বার মোবাইল করে রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    প্রধান সহকারী মোঃ অয়ন আযম, বলেন, আমরা চিকিৎসক সংকটে ভূগছি । মাত্র চারজন ডাক্তার আছে কোন সুইপার নেই, কুক নেই। ঔষধ সরবরাহ ঠিকমত নেই আমাদের নিজস্ব কোন বরাদ্দ নেই সির্ভিল সার্জন অফিস হতে বরাদ্দকৃত ঔষধ দিয়ে কোনরকম চালানো হয়। ওটির মেশিন, মালামাল পুঠিয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই ওটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। তিনি আরও জানান, এবছর ৩ মার্চ উপজেলার রাজাবাড়িতে অ্যামবুলেন্সটি মারাত্বক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং ড্রাইভার জাফর ইকবাল মারা যান। অ্যামবুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। এখনও পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

    রাজশাহী জেলার সিভিল সর্জন ডা. এস.আই. এম. রাজিউল করিম এ প্রসঙ্গে বলেন, বছরের শুরুতে ওষুধের কিছুটা ঘাতটি থাকতে পারে। এ হাসপাতালের ওটির মেশিনপত্র, মালামাল পুঠিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেছে কি না আমার জানা নেই। সুপার নেই। অ্যামবুলেন্স দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষের লিখা হয়েছে আসলেই প্রদান করা হবে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • ঝিনাইদহ  মা-দকের এক অঘো-ষিত রাজধানী

    ঝিনাইদহ মা-দকের এক অঘো-ষিত রাজধানী

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ভারত থেকে চোরাইপথে ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা ও কোকেন ঢুকছে প্রতিনিয়ত। শুধু শহর নয়, এখন গ্রাম-গঞ্জের চায়ের দোকান, হাট-বাজার এমনকি স্কুল-কলেজের আশপাশেও পৌঁছে গেছে এসব নেশাদ্রব্য। ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এখানে মাদক প্রবাহ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ঝিনাইদহ জেলা যেন মাদকের এক অঘোষিত রাজধানীতে পরিণত হয়েছে।

    ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের সড়ক পথ ব্যবহার করে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক প্রবেশ করছে। মাদক কারবারিরা অভিনব কৌশলে মাদক পাচার করছে। কখনো খাদ্যে সামগ্রীর বস্তার ভেতরে, কখনো শাক-সবজির চালানে, আবার কখনো মোটরসাইকেলের বিশেষ গোপন চেম্বারে।জেলা পুলিশের তথ্যমতে, গত এক বছরে মাদক সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি। তবে শাস্তি পেয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন। জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় অন্তত চার শতাধিক মাদকের স্পট রয়েছে। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ স্পটই বেশি।

    বিকেল থেকে ওই সকল স্পটে মাদকসেবীদের মোটরসাইকেল মিছিল শুরু হয়। জমজমাট মাদকের আসর চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হাত বাড়ালেই এখন পাওয়া যায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, দেশি-বিদেশি মদ ও চোলাই মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।
    সম্প্রতি এ সকল মাদক সহজলভ্য হওয়ায় কিশোর থেকে শুরু করে মধ্যবয়সীরা তা গ্রহণ করছে। এমনকি বেশি টাকা খরচ করলে হোম ডেলিভারি পাওয়া যায় মাদকের।

    জেলাজুড়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে মাদক সরবরাহকারী চক্রের সদস্যরা। মাঝে মধ্যে খুচরা কারবারিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও রাঘব বোয়ালরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
    সূত্র জানায়, জেলা শহরের চাকলাপাড়া, মহিষাকুণ্ডু, আরাপপুর, পবহাটি, ষাটবাড়িয়া, উদয়পুর, ভুটিয়ারগাতী, হামদহ, ব্যাপারীপাড়া, কাঞ্চনপুর, পাগলাকানাই, আদর্শপাড়া, মর্ডাণ মোড়, বাইপাস মোড়, আলহেরাপাড়াসহ অন্তত ৩০টির বেশি স্পটে প্রকাশ্যে চলছে মাদক বেচাকেনা। জেলা শহরের পাশাপাশি সদর উপজেলাসহ পুরো জেলায় বেড়েই চলেছে মাদকের স্পট। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে চলছে মাদকের কারবার। তারা চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারে।

    সুজনের জেলা কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু বলেন, ‘মাদকের থাবা থেকে ঝিনাইদহকে বাঁচাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সামাজিক প্রতিরোধ ও কঠোর আইনি প্রয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। নইলে তরুণ প্রজন্মের বড় একটা অংশ নেশার অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। যার ক্ষতি শুধু এই জেলার নয়, গোটা দেশে এর প্রভাব পড়বে।’জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘মাদকসেবীদের মধ্যে এখন কিশোর ও তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

    এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘নিয়মিত অভিযানের পরেও মাদক কারবারিদের মূল সিন্ডিকেট আমরা ভাঙতে পারছি না। প্রশাসনের একার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘মাদক নির্মূলে পরিবার, সমাজ ও স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • বানারীপাড়ায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে বিডি ক্লিনের পরিচ্ছন্ন অ-ভিযান প-রিচালনা

    বানারীপাড়ায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে বিডি ক্লিনের পরিচ্ছন্ন অ-ভিযান প-রিচালনা

    বানারীপাড়া প্রতিনিধি।।
    ”পরিচ্ছন্নতা মানসিকতায় তারুণ্যের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্ন হোক” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের উদ্যোগে বানারীপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় চত্বরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

    সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে ওই অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বানারীপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফসানা আরেফিন।এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রনেতা সাব্বির হোসেন,সাংবাদিক মাসুদ হাওলাদার,বিডি ক্লিনের বরিশাল বিভাগীয় এডমিন প্রতিনিধি জায়েদ ইরফান সহ স্বেচ্ছাসেবীরা। পরে বিডি ক্লিনের সদস্যদের পরিচ্ছন্নতার শপথ বাক্য পাঠ করান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফসানা আরেফিন।

    পরে সংগঠনটির সদস্যরা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় চত্ত্বরের চারপাশের বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলেন। সেই সাথে স্থানীয়দের আশেপাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।

    জায়েদ ইরফান বলেন,”আমরা নিজে থেকে স্বেচ্ছায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। আমরা সবাই নিজের আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে একদিন সারাদেশ পরিস্কার হয়ে যাবে।

  • আশুলিয়ায় বিশেষ অ-ভিযানে বৈ-ষম্যবিরোধী হ-ত্যা মাম-লার চার আ-সামিসহ ১৯ জনকে গ্রে-ফতার

    আশুলিয়ায় বিশেষ অ-ভিযানে বৈ-ষম্যবিরোধী হ-ত্যা মাম-লার চার আ-সামিসহ ১৯ জনকে গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় বিশেষ অভিযানে বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার চার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ১৯ জনকে গ্রেফতার থানা করেছে পুলিশ।

    সোমবার (১১ আগস্ট ২০২৫ইং) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান।

    পুলিশ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া ও চিত্রশাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো- আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকার সালাম মৃধার ছেলে বাহাদুর মৃধা (৪২), একই এলাকার কাশেম খানের ছেলে নূর মোহাম্মদ (৩৪), আশুলিয়ার কোন্ডলবাগ এলাকার হাজী কেরামত মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান (৪৪) ও আশুলিয়ার ধলপুর এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইউনুস আলী ইমন (৩৭)। তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সক্রিয় নেতাকর্মী এবং মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।

    এছাড়া অন্যান্য মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ নাসিম (২২), মোঃ মাহফুজুর রহমান (৩০) মোঃ বাদল হোসেন (৩০) মোঃ আব্দুর রহিম (৩৫), মোঃ রায়হান (২৫), মোঃ সিহাদ (২০), মোঃ আল আমিন (২১), মোঃ রাজু আহমেদ (৩৫), মোঃ স্বপন (৩২), মোঃ নবাব (৩৩), সিরাজুল ইসলাম (৪২), মোঃ আজাদুল ইসলাম (৩০), মোরসালিন (২০), মোঃ সোহেল (৪১), ও মোঃ সোহাগ পেদা (২৬)।

    পুলিশ জানায়, গত রবিবার দিনগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার চিত্রশাইল, কোন্ডলবাগ ও ধলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪জন নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তারা আত্মগোপনে ছিলো। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলায় আরও অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার ৪জন আসামীসহ বিভিন্ন মামলায় সর্বমোট ১৯জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

  • সাংবাদিক তুহিনকে হ-ত্যার প্র-তিবাদে পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের প্র-তিবাদ সভা দো-য়া মহাফিল

    সাংবাদিক তুহিনকে হ-ত্যার প্র-তিবাদে পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের প্র-তিবাদ সভা দো-য়া মহাফিল

    পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

     রাজশাহীর পুঠিয়ায় গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবর (১১ই আগস্ট) বিকাল ৫ টায় পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের কার্যালয়ে পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের  সভাপতি দৈনিক ইনকিলাবওদৈনিক বার্তা পত্রিকার পুঠিয়া উপজেলা  প্রতিনিধি শেখ রেজাউল ইসলাম লিটনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের সহ সভাপতি দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি সাজেদুর রহমান জাহিদ, সহ সভাপতি দৈনিক  সানশাইন পত্রিকার মেহেদী হাসান, পুঠিয়া সাংবাদিক সমাজের ভার প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ভরের ডাক প্রত্রিকার

     মফিজুল ইসলাম ডলার, কোষাধ্যক্ষ  দৈনিক গণধ্বনি পত্রিকারএস, এম, আব্দুর রহমান, নির্বাহী সদস্য দৈনিক কালবেলা প্রত্রিকার ইউনুছ আহাম্মেদ শিশির, সদস্য দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকারও ৭১ সংবাদের মাজেদুর রহমান (মাজদার) সদস্যদৈনিক যশোর সংবাদ মারসিফুল ইসলাম সুইট। উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা হত্যাকারিদের দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করা হয়। সভার শেষে মরহুম সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

    মাজেদুর রহমান (মাজদার) 

    পুঠিয়া রাজশাহী ।।

  • সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যার আ-সামীদের ফাঁ-সির দাবি-তে রায়গঞ্জে মা-নববন্ধন

    সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যার আ-সামীদের ফাঁ-সির দাবি-তে রায়গঞ্জে মা-নববন্ধন

    অভিজিৎ কুমার দাস বিশেষ প্রতিনিধি:
    গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

    সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রায়গঞ্জ উপজেলার সচেতন সাংবাদিক সমাজের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় বক্তব্য রাখেন, রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের আহবায়ক মো. আবুল কালাম বিশ্বাস, রায়গঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রানা, রায়গঞ্জ উপজেলার প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ কুমার দাস ও জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি দৈনিক ডেল্টা টাইমসের প্রতিনিধি গোলাম মুক্তাদির, চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি রাম সরকার বিপ্লব,  আমাদের সময়ের প্রতিনিধি আশরাফ আলী, দৈনিক আমার দেশের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম হিরো, দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি সোহেল রানা, দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম আবির, দ্য ডেইলি পোস্টের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সজল, রায়গঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোকাদ্দেস হোসেন সোহান প্রমুখ।

    এ সময় রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাব, রায়গঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির অন্যান্য সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। উপস্থিত সকলে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।

    মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় আইন প্রণয়ন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিসহ দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবাদিক হত্যাকারী এবং তাদের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানান।

  • সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যা ও আনোয়ার’কে হ-ত্যা চেষ্টার প্র-তিবাদে মা-নববন্ধন ও বিক্ষো-ভ

    সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যা ও আনোয়ার’কে হ-ত্যা চেষ্টার প্র-তিবাদে মা-নববন্ধন ও বিক্ষো-ভ

    মোঃ মিজানুর রহমান, (কালকিনি)
    মাদারীপুর প্রতিনিধি

    গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা ও আনোয়ার হোসেনকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

    মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২ ঘটিকার সময় ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের পাথুরিয়ারপারে ডাসার রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় মাদারীপুর জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে বলেন চাঁদাবাজির নিউজ করায় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার তুহিন হত্যা ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেনকে নৃশংসভাবে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে।

    এতে স্পষ্ট বোঝা যায় বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। তাই অচিরেই সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রতিষ্ঠিত করে সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সাংবাদিক সুরক্ষা আইন অচিরেই বাস্তবায়ন করতে হবে।

    এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চ্যানেল ২৪ ও আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি সাগর তামিম, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি গাউসুর রহমান, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক,বাংলাভিশন টেলিভিশন ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি মুপ্তি ফরিদ উদ্দিন, কালকিনি মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান, চ্যানেল এস কালকিনি প্রতিনিধি ইব্রাহিম সবুজ, এশিয়ান টেলিভিশনের কালকিনি উপজেলা প্রতিনিধি শাহজালাল, দৈনিক কালবেলা কালকিনি প্রতিনিধি নৃপুন, দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার বি এম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি মাসুদ হোসেন কাইউম,ডাসার প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মোকাররম হোসেন, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আজিমদ্দিন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ডাসার উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি,এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি হেমায়েত হোসেন খান, সঞ্চালনায় ছিলেন, এস এম আজাদ হোসেন মুরাদ, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, রাজধানী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আবুল খায়ের বাবু, ইসমাইল খান হৃদয়, গোলাম আলী আকন, তরিকুল ইসলাম রিপন, হিমেল মাহাদ, হামিদ খান রনি,আয়নাল হক খান, প্রতিদিনের ক্রাইম ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চঞ্চল তালুকদার, কাজী মনির হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার মাদারীপুর প্রতিনিধি শ্রাবন খান সজীব,সহ শতাধিক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যার প্র-তিবাদে রায়গঞ্জে মান-ববন্ধন ও প্র-তিবাদ স-মাবেশ

    সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যার প্র-তিবাদে রায়গঞ্জে মান-ববন্ধন ও প্র-তিবাদ স-মাবেশ

    এম এ সালাম,
    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

    আজ সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রায়গঞ্জ উপজেলার সচেতন সাংবাদিক সমাজের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের আহবায়ক মো. আবুল কালাম বিশ্বাস, রায়গঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রানা, দৈনিক ডেল্টা টাইমসের প্রতিনিধি গোলাম মুক্তাদির, চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি রাম সরকার বিপ্লব, আমাদের সময়ের প্রতিনিধি আশরাফ আলী,দৈনিক আমার দেশ এর প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম হিরো,দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি সোহেল রানা,দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম আবির,দ্য ডেইলি পোস্টের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সজল প্রমুখ।
    এ সময় রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাব,রায়গঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির অন্যান্য সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
    মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় আইন প্রণয়ন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিসহ দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারী এবং তাদের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

  • তারাগঞ্জে আলোচিত রুপলাল হ-ত্যার ঘটনায় আ-টক ৪

    তারাগঞ্জে আলোচিত রুপলাল হ-ত্যার ঘটনায় আ-টক ৪

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে আলোচিত হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল (১০ আগস্ট) রাতে বুড়ির হাট এলাকায় নিজ নিজ বাড়ী থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

    আটকৃতরা হলেন- মোঃ আলেফ উদ্দিনের ছেলে আক্তারুল ইসলাম(৪৫), আজিজুল ইসলামের ছেলে এবাদত আলী(৩৫), মোঃ জাফর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম(৪০)- সর্ব সাং- সয়ার ইউনিয়নের বুড়ির হাট বালাপুর ও ডাঙ্গাপাড়া এবং কুর্শা ইউনিয়নের পশ্চিম রহিমাপুর খাঁন সাহেব পাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে মিজানুর রহমান(২৬)।

    তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ ফারুক গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রুপলাল ও তার ভাগিন জামাই প্রদীপকে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামীর চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ (১১ আগস্ট) তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে। গণপিটুনির ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে এবং উপজেলা জুড়ে প্রশাসনিক তৎপরতা জোড়দার করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য যে, গতকাল (৯ আগস্ট) শনিবার উপজেলার বুড়িরহাট বটতলীতে চোর সন্দেহে রুপলাল ও তার ভাগিন জামাই প্রদীপ দাস গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার কান্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করে (১০ আগস্ট) শ্রীমতি মালতী ওরফে ভারতী রাণী বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলা নম্বর- ৪/৯৪।

  • সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যার প্র-তিবাদে সিরাজগঞ্জে মান-ববন্ধন

    সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যার প্র-তিবাদে সিরাজগঞ্জে মান-ববন্ধন

    এম এ সালাম,

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিরাজগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা একই সঙ্গে সাগর-রুনি হত্যাসহ দেশের সকল সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিও জানানো হয়।আজ
    সোমবার (১১ আগষ্ট) বেলা ১১টায় মুজিব সড়কে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।

    বক্তারা বলেন, দেশে একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন হলেও কোন সরকারই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পুরো সাংবাদিক সমাজ নিরাপত্তা ও ঝুকির মধ্যে পড়েছে। প্রকাশ্যে একজন পেশাদার সাংবাদিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি পুরো সাংবাদিক সমাজের ওপর সরাসরি আঘাত। তাই দ্রুত সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

    সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাভিশনের স্টার রিপোর্টার হারুন-অর-রশিদ খান হাসানের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হকের সঞ্চালনায় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ইন্না, সহ-সভাপতি হিরক গুণ, কার্য্যকারী সদস্য নুরুল ইসলাম বাবু, সাবেক আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম তফিজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রবিন, সলঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম দুলাল উদ্দিন আহম্মেদ, কামারখন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজ, জেলা বাসদের আহবায়ক নব কুমার কর্মকার, কালবেলার জেলা প্রতিনিধি স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।

    এসময় সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলাল আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত আলী, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রইছি, আপ্যান বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম খান, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল কবির, আজকালের জেলা প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম, শ্যামল বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দিলীপ গৌড়, এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রিফাত রহমান, মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি সুজন সরকার, রাইজিংবিডি.কম এর জেলা প্রতিনিধি অদিত্য রাসেল, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম আলমগীর কবির, যুগের কথার বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হাসান জয়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।