Author: desk

  • নলছিটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যু-ব দি-বস ২০২৫ উদযাপন

    নলছিটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যু-ব দি-বস ২০২৫ উদযাপন

    ঝালকাঠিন প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি প্রতিপাদ্য নিয়ে ঝালকাঠির নলছিটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে র‍্যালি, আলোচনা সভা, যুবঋণের চেক এবং প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজী।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রমণী কুমার মিস্ত্রী,একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমীন,সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল রহমান,যুব উদ্যোক্তা ও জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত মোঃ আক্তারুজ্জামান,নলছিটি ভলান্টিয়ার্স স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আহ্বায়ক শাহাদাত ফকিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও অতিথিবৃন্দ।

    অনুষ্ঠানে ১০ জন যুবক-যুবতীর মাঝে মোট ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার যুবঋণ বিতরণ করা হয় এবং বায়োগ্যাস প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২০ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হয়।

  • সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যাকারীদের গ্রে-প্তার ও শা-স্তির দা-বিতে নলছিটিতে মানববন্ধন

    সাংবাদিক তুহিন হ-ত্যাকারীদের গ্রে-প্তার ও শা-স্তির দা-বিতে নলছিটিতে মানববন্ধন

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঝালকাঠির নলছিটিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নলছিটি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সংগঠনের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকরা। এতে প্রেসক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
    মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন নলছিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. এনায়েত করিম, ভারপ্রাপ্ত সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন মনু, সাধারণ সম্পাদক কে এম সবুজ, সাইদুল কবির রানা ও সমাজকর্মী বালি তাইফুর রহমান তুর্য্যু।
    বক্তারা বলেন, নির্মম নির্যাতন করে সাংবাদিক তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা নির্যাতন হচ্ছে। সত্য ঘটনা তুলে ধরলেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়। এ ধরণের হামলা, মামলা, নির্যাতন ও হত্যা বন্ধ করা না হলে সাংবাদিকরা রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিবে বলেও মানববন্ধন থেকে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

  • চারঘাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দি-বস পালিত

    চারঘাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দি-বস পালিত

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    “প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে রাজশাহীর চারঘাটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে।

    উপজেলা প্রশাসন ও ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ (ওয়াইপিএজি) এর আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা চত্বর থেকে একটি র‍্যালী বের হয়ে চারঘাটের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    পিএফজি চারঘাট উপজেলার সমন্বয়কারী সনি আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাঙ্গার প্রজেক্টের এরিয়া সমন্বয়কারী শফিকুর রহমান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউথ অ্যাম্বাসেডর এর সদস্য শাহাদাতুজ্জামান, পিন্টু আলী, হিমেল, কামারুজ্জামান, মোজাম্মেল হক, মৌসুমী দাস, আকাশ আলী, রোমানা খাতুন, রমন আলী প্রমুখ।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন

    ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস-২০২৫। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- “প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি”।

    মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে শহরের জুলাই চত্ত্বর, টাউন হল প্রাঙ্গণ হতে জেলা পরিষদ ভবন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য যুব র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালি শেষে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আবু বকর সিদ্দীক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।

    প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সেই সৌভাগ্যবান দেশগুলোর একটি, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হলো যুব সমাজ। আমাদের যুবকদের প্রাণশক্তি ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে তাদেরকে কিছু মৌলিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন- যেমন কম্পিউটার স্কিল, ভাষা দক্ষতা, ইংরেজি ভাষাজ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞান। এসব দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবে।

    তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে সোশাল বিজনেসের গুরুত্ব তুলে ধরছেন, যার মূল চালিকা শক্তি হলো যুব সমাজ। আন্তর্জাতিক যুব দিবসের এই দিনে আমরা প্রত্যাশা করি- এই তরুণ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবো।

    সভাপতি বলেন, বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি হচ্ছে পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি। এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের যুবকদের স্বাবলম্বী হতে হবে, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রিয় যুবসমাজ, তোমরাই বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের কারিগর। তোমাদের প্রতিটি সৎ উদ্যোগ, প্রতিটি উদ্ভাবনী চিন্তা, প্রতিটি অবদানই আগামী দিনের বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী, উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে।

    শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ। অনুষ্ঠান শেষে জেলার সফল ও উদ্যমী যুব উদ্যোক্তাদের মধ্যে চেক ও প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সভায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, যুব সংগঠনের সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

  • পাবনায় কে-ক কেটে করতোয়ার ৫০ বছরে পদার্পণ উদযাপন

    পাবনায় কে-ক কেটে করতোয়ার ৫০ বছরে পদার্পণ উদযাপন

    পাবনা প্রতিনিধিঃ

    পাবনায় শুভেচ্ছা বিনিময় আর কেক কেটে উদযাপন করা হলো পাঠকপ্রিয় দৈনিক করতোয়ার ৫০ বছরে পদার্পণ উৎসব। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতারের সভাপতিত্বে ও করতোয়ার পাবনা জেলা প্রতিনিধি শাহীন রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বে বক্তব্য দেন, ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিফাত রহমান সনম, সহ-সভাপতি এস এম আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, করতোয়ার ফরিদপুর উপজেলা প্রতিনিধি মির্জা বাসিত, ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রতিনিধি বিকাশ কুমার চন্দ্র চন্দ, সুজানগর উপজেলা প্রতিনিধি শেখ তৌফিক হাসান প্রমুখ।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান খান বিপ্লব, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, ক্রীড়া সম্পাদক ইমরোজ খন্দকার বাপ্পী, কার্যকরী সদস্য আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, আমাদের সময় প্রতিনিধি সুশান্ত কুমার সরকার, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি প্রবীর সাহা, ঢাকা পোস্ট প্রতিনিধি রাকিব হাসনাত, আনন্দ টিভির প্রতিনিধি সেলিম মোর্শেদ রানা, ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপার্সন মাসুদ রানা, সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন জুয়েল আসিফ প্রমুখ।

    শুভেচ্ছা বক্তব্যে বক্তারা বলেন, করতোয়া দেশের মাটি ও মানুষের পত্রিকা। তৃণমুলের সাধারণ মানুষ এখনও করতোয়া পত্রিকা পড়েন এবং ভালবাসেন। যে কারণে এখনও স্বমহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে করতোয়া। পত্রিকাটির আবেদন সর্বমহলে প্রশংসিত। সাংবাদিকতার মানদণ্ড মেনে পত্রিকাটি টিকে আছে। অনেকেই করতোয়া পত্রিকা নিয়ে পুরোনো দিনের কথা স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, আগে পাবনা শহরে করতোয়া পত্রিকা আসতো না। শহরের অদূরে টেবুনিয়ায় পত্রিকাটি আসতো। তখন অনেকেই পাবনা শহর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সেখানে গিয়ে করতোয়া পত্রিকা পড়েছেন। সেই করতোয়া আজ ৫০ বছর বয়সে পা রাখলো, যা পত্রিকার ইতিহাসে একটি মাইলফলক। আগামীতে পত্রিকাটি তার সততা, বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে এগিয়ে যাবে, পাঠকের ভালবাসায় সমৃদ্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। সেইসঙ্গে তারা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সহ পত্রিকার সাথে জড়িক সকলের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেন।

    শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে অতিথি সাংবাদিক সবাই মিলে কেক কেটে কেটে করতোয়ার ৫০ বছরে পদার্পণ উদযাপন করেন।

    তোফাজ্জল হোসেন বাবু, পাবনা।

  • পঞ্চগড়ে কৃষকলীগ নেতার নামে কলেজ, নাম পরি-বর্তনের দাবি

    পঞ্চগড়ে কৃষকলীগ নেতার নামে কলেজ, নাম পরি-বর্তনের দাবি

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
    ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের পর পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাবেক গাড়াতী ছিটমহল এলাকায় গড়ে ওঠে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি হলো- ‘মফিজার রহমান কলেজ’। কলেজটির নামকরণ নিয়ে শুরু থেকেই স্থানীয়রা অসন্তোষ থাকলেও এবার নাম পরিবর্তনের দাবি জোড়ালো হয়ে ওঠেছে।
    সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বিলুপ্ত ছিটমহল ঘেষা গ্রাম ইয়ারপাড়ার বাসিন্দা মফিজার রহমান। তিনি স্থানীয়ভাবে কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি নন। বরং তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতারণা আর দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। এমন এক ব্যক্তির নামে কলেজের নামকরণ স্থানীয়রা মানতে পারেননি শুরু থেকেই। এতদিন নানা কারণে মুখ খুলতে না পারা স্থানীয়রা এবার কলেজটির নাম পরিবর্তন চান।
    সম্প্রতি কলেজটির নাম পরিবর্তনের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাফিজাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন।
    অভিযোগ উঠেছে- মফিজার রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সর্বশেষ উপজেলা কৃষকলীগের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বড়ভাই প্রয়াত মখলেছার রহমান ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তৎকালীন সময়ের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই মূলত নিজের নামে কলেজটির নামকরণ করেন। পাশাপাশি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত করেন নিজের নাম।
    অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মফিজার রহমান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শুধু কলেজের নাম আর প্রতিষ্ঠাতার পদই বাগিয়ে নেননি; তিনি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি করেছেন। এসব নিয়ে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিলো বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়।
    অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ছিটমহল বিনিময়ের পর পঞ্চগড়ের এই ছিটমহলটির নাম দেয়া হয় রাজমহল। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অগ্রগতির জন্য বিলুপ্ত এই ছিটমহলে শুরু হয় উন্নয়ন। ইতোপূর্বে ছিটমহলের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন মফিজার রহমান। পরে ছিটমহল আন্দোলনের নেতৃত্বে গিয়ে রাতারাতি বদলে গেছে তার জীবন চিত্র। রাজমহলের উন্নয়নের সাথে সাথে উন্নত হয় মফিজারের জীবন মানও। যেই মফিজার পুরনো বাই সাইকেলে বেড়াতেন, সেই মফিজারের সঙ্গে জড়ায় মোটরসাইকেল, টিন শেড বাড়ি বদলে হয় বড় দালান। বিলুপ্ত এই ছিটমহলে শুরু হয় তার রাজত্ব। যার ইতি ঘটেছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে।
    স্থানীয়রা জানান, ছিটমহল বিনিময়ের পরপরই রাজমহলে স্থাপন করা হয় একটি আলীম মাদ্রাসা, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও একটি কলেজ। ক্ষমতাবলে চারটি প্রতিষ্ঠানেরই সভাপতি পদ দখল করে মফিজার করেছেন, কোটি কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য। আলীম মাদ্রাসায় নিজের ভাইকে বসিয়েছেন অধ্যক্ষের চেয়ারে। সেখানেও চাকরির জন্য টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন অনেকে। এছাড়া ছিটমহল আন্দোলনে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর আশ্বাস দিয়ে রাজমহলবাসীর কাছে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। অনেকেই ছিটমহল আন্দোলনে নিজের সক্রিয় ভুমিকা আর বড় ভাই তৎকালিন আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত মখলেছার রহমানের ছত্রছায়ায় পঞ্চগড় ও নীলফামারী অঞ্চলের ছিটমহল বিনিময় কমিটির সভাপতি পদও দখল করেন তিনি।
    স্থানীয় মমিনুল ইসলাম বলেন, মফিজার রাজমহলবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিলুপ্ত ছিটমহলকে ব্যবহার করে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার চতুর্মুখী দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছিলো রাজমহলের বাসিন্দারা। আমি নিজেও তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছি। সবখানে অর্থ আর রাজনৈতিক প্রভাবে পার পেয়েছে। এখন আওয়ামী লীগের পতনের পর তারও প্রভাব নেই, কিন্তু তার নামে কলেজটি রয়েছে। আমরা এই নাম পরিবর্তনের দাবি জানাই।
    ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করেন ওয়ালিউল্লাহ ফারুক। তার গ্রামের বাড়ি কলেজটির পাশেই। তিনি বলেন, কলেজের জায়গাটা ছিলো আমার বাবা পিএম শাহাবুদ্দীনের। কলেজটি যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন কলেজের নাম আমার বাবার নামে করা হবে- এমন প্রলোভন দেখিয়ে নামমাত্র দামে জমি নিয়েছে মফিজার, কিছু জমি অন্যখানে বদলও দিয়েছে। মফিজারের প্রলোভনে পড়ে কলেজটি দাঁড় করাতে পরিশ্রম, সহযোগিতা- সবই করেছে আমার বাবা। কিন্তু কলেজের নাম কিংবা প্রতিষ্ঠাতা- কোথাও আমার বাবাকে রাখা হয়নি। মফিজার আমার বাবার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এমন প্রতারকের নামে কলেজের নাম থাকতে পারেনা।
    হাফিজাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন বলেন, মফিজার রহমান এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন যে তার নামে কলেজ হতে হবে। তিনি প্রতারক, দুর্নীতিবাজ এবং রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তির নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম থাকা উচিত নয়। স্থানীয় এলাকাবাসী কলেজটির নাম পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে আমাকে দাবি তুলতে বলছে। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি- এই কলেজের নাম পরিবর্তন করে ‘গাড়াতী ডিগ্রি কলেজ’ রাখা হোক।
    পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, কলেজের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে নীতিমালা দেখতে হবে।

  • হাটিকুমরুলে মৎস্য আড়তদারদের মান-ববন্ধন 

    হাটিকুমরুলে মৎস্য আড়তদারদের মান-ববন্ধন 

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :   সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড নিউ টাউন মৎস্য আড়তের আয়োজন এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় সলঙ্গার কুতুবের চর অবৈধ মৎস্য আড়ৎ এর বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ হাটিকুমরুল রোড গোলচত্বরে এক শান্তিপুর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,কুতুবের চর অবৈধ মৎস্য আড়ত প্রতিবছর সরকারকে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একটি কুচক্রী মহল তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাছিল করার জন্য সিরাজগঞ্জ রোড নিউ টাউন মৎস্য আড়তটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কুতুবের চরে অবৈধ ভাবে স্থানান্তর করেন। 

    হাটিকুমরুল রোড নিউ টাউন মৎস্য আড়ত থেকে সরকার প্রতিবছর ভ্যাট ট্যাক্স সহ প্রায় ১কোটি ৭২ লক্ষ টাকা রাজস্ব পেত। 

    বক্তারা আরো বলেন,অবৈধ কুতুবের চর মৎস্য আড়ত থেকে বর্তমানে প্রতিটি মাছের গাড়ি থেকে অবৈধভাবে সমিতির নামে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, দ্রুত অবৈধ কুতুবের চর মৎস্য আড়ত ভেঙে হাটিকুমরুল রোড নিউ টাউন মৎস্য আড়তটি পূনঃপ্রতিষ্ঠা না করলে আমরা আরো কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

    এ সময় মানববন্ধনে সিরাজগঞ্জ রোড ( হাটিকুমরুল রোড) নিউ টাউন মৎস্য আড়ৎ কমিটির পক্ষে বক্তব্য  রাখেন,আব্দুল মজিদ খান,আমিনুল ইসলাম,মেহেদী হাসান ডিউক, শামীম হাসান, রনজু আহমেদ প্রমুখ।

  • গোপালগঞ্জে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির উপস্থিতিতে বিশেষ অ-পরাধ পর্যালোচনা ও কল্যাণসভা অনুষ্ঠিত

    গোপালগঞ্জে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির উপস্থিতিতে বিশেষ অ-পরাধ পর্যালোচনা ও কল্যাণসভা অনুষ্ঠিত

    কে এম সাইফুর রহমান,
    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির উপস্থিতিতে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ এর বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা ও কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ১১ আগস্ট ২০২৫ খ্রি. সোমবার (১১ আগস্ট) গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিশেষ এ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। সভায় উপস্থিত হয়ে ডিআইজি জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সকলকে পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিটি দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন।

    এরপর গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্স -এর ড্রীল শেডে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ কল্যাণ সভা। উক্ত সভায় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ইনচার্জবৃন্দ এবং সদস্যবৃন্দ সরাসরি তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। একটি উন্মুক্ত পরিবেশে, আন্তরিকতার সাথে সমস্যাগুলোর শুনানি হয় এবং রেঞ্জ ডিআইজি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ প্রদান করেন।

    সভায় গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডঃ মোঃ রুহুল আমিন সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল) মোঃ আব্দুল বাছেদ, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ), ঝেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ সহ অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে সদর থানায় নবনির্মিত জুনিয়র অফিসার্স ডরমিটরি ভবন -এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল সহ অন্যান্য প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • শিক্ষকতা পেশা সাংবাদিকতা নে-শা বি-বেকের তা-ড়নায় লেখালেখি থেকে পে-শাগত দা-য়িত্বে

    শিক্ষকতা পেশা সাংবাদিকতা নে-শা বি-বেকের তা-ড়নায় লেখালেখি থেকে পে-শাগত দা-য়িত্বে

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে এম নজরুল ইসলাম খানকে পত্রিকাটির
    উপ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন—এই দায়িত্ব আমার কাছে ইনকামের উৎস নয়, বরং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নেওয়া একটি ব্রত।

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত ও রেজিস্ট্রেশন নং সি-১৮১২৯৮ এর অধীনে প্রকাশিত দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধানের নতুন উপ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এম নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ায় পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সম্পাদক মহোদয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।”

    তিনি জানান, শিক্ষকতা তার মূল পেশা হলেও সাংবাদিকতার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। অনিয়ম, অশিক্ষা, কুসংস্কার, দায়িত্বহীনতা, দুর্নীতি ও অসততা দেখে বিবেকের তাড়নায় তিনি মাঝে মাঝে লেখালেখি শুরু করেন। পরবর্তীতে কয়েকজন শ্রদ্ধাভাজন সাংবাদিকের অনুপ্রেরণায় এই পেশাকে আরও ভালোবেসে ফেলেন।

    নজরুল ইসলাম খান বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ খলিলুর রহমানের প্রতি, যিনি তার শখ ও ভালো লাগাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

    বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের মহাসচিব এবং দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার উপ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সহকর্মী, সহযোগী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি তিনি শুভকামনা জানিয়েছেন।

  • তেঁতুলিয়ায় কেশব ট্রেডার্স সার গোডা-উনের সামনে কৃষকদের বিক্ষো-ভ

    তেঁতুলিয়ায় কেশব ট্রেডার্স সার গোডা-উনের সামনে কৃষকদের বিক্ষো-ভ

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার মেসার্স কেশব ট্রেডার্সে সার পেতে কৃষকদের হয়রানিসহ নানান অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের মাঝে সার বিক্রয় না করে কৌশলে সটকে পড়ে ডিলারের ম্যানেজার আব্দুল আজিত। এসময় কৃষকরা সার না পেয়ে সার গোডাউনের সামনেই সাড়ে পাঁচ ঘন্টা বিক্ষোভ করেন।

    রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নিজবাড়ি এলাকায় ওই সার ডিলারের গোডাউনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

    জানা যায়, উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভজনপুর বাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক অনুমোদিত মেসার্স কেশন ট্রেডার্স নামীয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন গণেশ চন্দ্র ঘোষ। উপজেলার ভজনপুর বাজারে একাধিক বিসিআইসি ডিলার সহ বিএডিসি ডিলার থাকায় উপজেলা কমিটি কর্তৃক কেশব ট্রেডার্স নামীয় প্রতিষ্ঠানকে দেবনগড় বাজারে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরও জানা যায়, আগস্ট মাসে ওই ডিলার সার বরাদ্দ পেয়েছেন ইউরিয়া ১২৮ মেট্রিকটন, টিএসপি ৩ দশমিক ২০ মেট্রিকটন, এমওপি ৮ দশমিক ৯৫ মেট্রিকটন এবং ডিএপি ৫ দশমিক ৪ মেট্রিকটন।

    বিক্ষোভে কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, দেবনগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কৃষকরা তাদের খেতের কাজ ফেলে সার ক্রয় করতে ওই প্রতিষ্ঠানে যান সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে কৃষকদের নিকট সার বিক্রি না করে ডিলারের নিযুক্ত ম্যানেজার সটকে পড়ে। এসময় দীর্ঘক্ষণ যোগাযোগ না করেও কোন সাড়া না পেয়ে ক্ষুব্দ হয়ে গুদামের সামনেই সার চাই, সার চাই বলে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে গুদামের সামনে বসে পড়েন।

    কৃষকরা আরও অভিযোগ করে বলেন, একটি আবাসিক এলাকায় মেসার্স কেশব ট্রেডার্স নামে প্রতিষ্ঠানটির ডিলার গোডাউনঘর নির্মাণ করে সার বিক্রি করেন যার এক চতুর্থাংশ মানুষ অবগত নন। এর আগে প্রায় কয়েকমাস ওই গোডাউনের সামনেই ছিলনা কোনো সাইবোর্ড। এলাকাবাসি ও কৃষকদের অভিযোগ রাতে কিংবা দিনের বেলায় এই গোডাউন থেকে ভ্যানে সার লোড করে বিভিন্ন স্থানে যায়। এছাড়া তাদের অভিযোগ কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করলে সরকারি রেটে সার বিক্রি করতে হবে তাই সিন্ডিকেট করে সারের ডিলার সার বিক্রি করেন খুচরা কীটনাশক দোকানদানদের নিকট। পরে তারাই কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দাম নেন।

    এদিকে স্থানীয় বাজারগুলোতে কীটনাশক দোকানদাররা কৃষকদের কাছ থেকে সাড়ে ১৩’শ টাকার বস্তা নিচ্ছে ১৭’শ থেকে ১৯’শ টাকা এবং এক হাজার ৫০টাকার বস্তা নিচ্ছে ১২’শ টাকা। যদিও কীটনাশক দোকানদারেরা সার বিক্রি করতে পারবেননা তবুও ডিলারের থেকে তাদের দোকানগুলোতেই বেশি সার মজুদ রাখা আছে বলে সাধারন কৃষকদের অভিযোগ উঠেছে।

    বিক্ষোভকারী কৃষকরা স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি অফিসকে বিষয়টি জানালে দীর্ঘক্ষণ পর কৃষি অফিসার ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ডিলারের লোকজন এসে সার বিক্রি করেন।

    রবিউল ইসলাম নামে স্থানীয় এক কৃষক বলেন, রাতের আধারে সার ভ্যানে করে নিয়ে যায়, বাজারের দোকানদারের কাছে সার বিক্রি করে দেওয়া হয় কিন্তু কৃষকদের দেওয়া হয় না।

    ওই ইউনিয়নের বাদিয়াগছ থেকে আসা কৃষক আজিবদ্দিন, টোটুয়াপাড়া থেকে আসা কৃষক রাশেদুজ্জামান, নতিফগছ থেকে আসা কৃষক মজিবর রহমান ও আতমাগছ থেকে আসা কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ৭০ থেকে ১০০জন কৃষক সার নিতে ওই ডিলারের প্রতিষ্ঠানে আসলে সকালে কয়েকজন কৃষকদের নিকট সার বিক্রি করে ডিলারের ম্যানেজার পালিয়ে যায়। পড়ে অনেকবার ফোন করেও তাঁরা ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এরপর ইউএনও ও কৃষি অফিসারকে বিষয়টি জানালে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিয়ে তাদের অপেক্ষা করতে বলেন। তাঁরা আরও বলেন, সারের জন্য এসে সার পাচ্ছি না, খুচরা বাজারে সার বিক্রি করে দেয় এরা। পরে বেশি দামে আমাদের সার কিনতে হয়। ডিলারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে কৃষকরা প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা এই বিক্ষোভ করেন।

    উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমাউন কবির বলেন, সকালের দিকে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন কৃষক সার নিতে এসে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে ডিলারের লোকজন সার বিক্রি করা বন্ধ করে দেয়। এরপর তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেন।

    কেশব ট্রেডার্সের ম্যানেজার আব্দুল আজিত বলেন, আমরা তো ভাই সার দিচ্ছিলাম।

    দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছলেমান আলী বলেন, খবর পেয়ে তিনি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। তিনি বলেন, সার যে বরাদ্দ আসছে তাতে ১০০ লোক সার পাবে এখানে প্রায় ২ হাজারের বেশি জনগণ কৃষক আসছিলেন। চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যে উপস্থিত কৃষকরা অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, চেয়ারম্যানের বক্তব্যে পক্ষ পাতিত হয়েছে। যেখানে ৭০-১০০কৃষক সেখানে চেয়ারম্যান ২ হাজার জন বানিয়ে দিলেন।

    এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, কৃষি অফিসার এ বিষয়ে অবগত করেছেন। সার বিক্রয়ে ডিলারের বিরুদ্ধে কৃষক হয়রানির সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।।