Author: desk

  • গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন জেলার শ্রেষ্ঠ অফি-সার ইনচার্জ

    গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন জেলার শ্রেষ্ঠ অফি-সার ইনচার্জ

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহী জেলার জুলাই ২০২৫ মাসিক কল্যাণ সভায় এক অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে গোদাগাড়ী মডেল থানা।
    এদিন সভায় কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে টানা পঞ্চমবারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মনোনিত হয়েছেন ওসি রুহুল আমিন। রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এ ছাড়াও গোদাগাড়ী মডেল থানার আরও তিন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত অর্জনে সম্মাননা পান।এর মধ্যে মাদক উদ্ধার অভিযানে শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন পিএসআই রুহুল আমিন শামীম এবং ক্লোলেস মামলা রহস্য উদঘাটনে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন পিএসআই আবু হুরায়রা। তদুপরি, জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে গোদাগাড়ী মডেল থানার অন্তর্গত প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র।
    এদিন মসিক কল্যাণ সভায় একসঙ্গে চারটি পুরস্কার জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ওসি রুহুল আমিন বলেন, “এই অর্জন আমার একার নয়, ‘টিম গোদাগাড়ীর’ সকল অফিসার ও ফোর্সের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। এই ধারা অব্যাহত রাখতে সবার দোয়া ও সহযোগীতা চাই। মহান আল্লাহ আমাদের ভালো কাজে সহায়তা করুন।#

  • সুজানগরে বা-লুবাহী ট্রলির ধা-ক্কায় ৭ শিক্ষার্থী আ-হত – গাড়িতে অ-গ্নিসংযোগ ও বিক্ষো-ভ

    সুজানগরে বা-লুবাহী ট্রলির ধা-ক্কায় ৭ শিক্ষার্থী আ-হত – গাড়িতে অ-গ্নিসংযোগ ও বিক্ষো-ভ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর: পাবনার সুজানগর উপজেলায় বালুবাহী ট্রলির ধাক্কায় ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বুধবার(১৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুলাই উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জিনিয়া আফরিন জেমি, মাহমুদা ইয়াসমিন জান্নাতি, ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মিথিলা আক্তার, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মোহনা খাতুন, ১০ম শ্রেণির ছাত্রী অনামিকা ইসরাত উর্মি, রিতু খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস। আহতদের মধ্যে একজনকে পাবনা সদর হাসপাতালে এবং অপর ৬ শিক্ষার্থীকে স্থানীয় হাসপতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষর্থীরা ট্রলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চালক জয় এবং চালকের সহকারী বিজয়কে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) কামাল হোসেন লিটনের শাস্তি দাবি জানিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করলে দ্রুত বিদ্যালয় ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন লিটন। সংবাদ পেয়ে দ্রুত আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ। পরে তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন এবং আহত ছাত্রীদের চিকিৎসা খরচ বিদ্যালয় বহন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করেন ইউএনও ।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদার স্কুল চলাকালিন সময় ট্রলিতে বালু এনে নামিয়ে দিয়ে ফেরার সময় বিদ্যালয় চত্বরে ট্রলির চালক শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিলে ওই ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সুজানগরে সাপের কা-মড়ে শিশুর মৃ-ত্যু

    সুজানগরে সাপের কা-মড়ে শিশুর মৃ-ত্যু

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরে সাপের কামড়ে মো. সোহান মোল্লা (ইয়াছিন) নামের ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান মোল্লা ওই গ্রামের হাফিজুল মোল্লার ছেলে। সে স্থানীয় ৮৫ নং কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল বলে জানান বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন বাড়ির পাশে বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা করার সময় হঠাৎ বিষাক্ত সাপ তার পায়ে ছোবল দিলে শিশুটি চিৎকার করে ওঠে। কান্নার শব্দে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে সাপের বিষমুক্ত করার ভ্যাকসিন(অ্যান্টিভেনম) চেয়ে পাননি এবং পরে বাহিরের দোকান থেকে কিনতে গেলে নগদ টাকা না দেওয়ায় দোকানদার ভ্যাকসিন(অ্যান্টিভেনম) না দেওয়ায় দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে শিশুটি। এ সময় ছেলেকে বঁাচানোর চেষ্টায় ব্যর্থ বাবা দরিদ্র ভ্যান চালক ও শিশুটির মায়ের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। এদিকে বুধবার নিজ গ্রামে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয় শিশু সোহানকে। তার মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন মৃত্যু তঁারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেননা।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • প্রাকৃতিক দুর্যো-গ মো-কাবেলা ও পরিবেশ র-ক্ষায় বৃক্ষ রোপণের গুরুত্ব অপরিসীম- উপমহাপরিচালক

    প্রাকৃতিক দুর্যো-গ মো-কাবেলা ও পরিবেশ র-ক্ষায় বৃক্ষ রোপণের গুরুত্ব অপরিসীম- উপমহাপরিচালক

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য সবুজ বনায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে এ সবুজ বনায়ন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বৃক্ষ রোপণ করলেই হবেনা। রোপনকৃত বৃক্ষগুলো নিজের সন্তানের মত পরিচর্যা করতে হবে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রংপুর রেঞ্জের, রেঞ্জ কমান্ডার উপমহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, বিভিএম, পিভিএমএস, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপযুক্ত কথাগুলি বলেন। রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ আনসার-ভিডিপি’র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১২ আগষ্ট বৃক্ষ রোপণ কমসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি র‍্যালি, আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপমহাপরিচালক আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ২৫০টি বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করেন। তিনি বলেন “বৃক্ষ মানুষের প্রকৃত বন্ধু।” তিনি আরও বলেন, গাছ লাগানো একটি ‘সদকাতুল জারিয়া’ এবং এটি আমাদের মূল্যবান সম্পদ। অক্সিজেন সরবরাহ করে গাছ আমাদের জীবন বাঁচিয়ে রাখে। মোঃ আব্দুল আউয়াল বলেন, তাই শুধু গাছ লাগালেই হবে না, নিজেদের সন্তানের মতো এর যত্ন ও পরিচর্যা করতে হবে। বাহিনীর মহাপরিচালকের উদ্যোগে এই বৃক্ষরোপণ অভিযান সারা দেশে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। এই কর্মসূচির আওতায় ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছের চারা রোপণ অব্যাহত থাকবে। রংপুর জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষ রোপণ কমসূচি অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া, রংপুর রেঞ্জের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন, সার্কেল এডজুটেন্ট মোঃ সাইদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বিজন দত্ত, উপজেলা প্রশিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান, আনসার ব্যাটালিয়ান সদস্য, উপজেলা কোম্পানি কমান্ডার, উপজেলা প্রশিক্ষিকা, ইউনিয়ন দলনেতা দলনেত্রী, সদস্য, সদস্যা, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • ইলিশের আ-কাশছোঁয়া দা-ম নিয়ে ক্ষো-ভ

    ইলিশের আ-কাশছোঁয়া দা-ম নিয়ে ক্ষো-ভ

    বরিশাল বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।

    ইলিশ মাছ—বাংলাদেশের জাতীয় মাছ, দেশের গর্ব। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এখন এই গর্ব কেবল গল্পের বইয়ে বা টিভি স্ক্রিনেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সিজনের সময়ও ইলিশের দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ছয় মাসে একবারও অনেক পরিবার ইলিশের স্বাদ নিতে পারছে না।

    জনগণের অভিযোগ, ইলিশ খৈল, ভুষি বা ফিড খায় না, এর চিকিৎসা খরচ নেই, চাষ করতে শ্রমিকও লাগে না। নদী বা সমুদ্র থেকে জাল ফেলে ধরে আনা হয়—তবুও দাম গরু-ছাগলের মাংস থেকেও অনেক বেশি!
    পূর্ববর্তী সময়ে ইলিশ ভারতে পাচারের অভিযোগ ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই সরকার ক্ষমতায় নেই এক বছর, তবুও বাজারে সুলভে ইলিশ মিলছে না।
    অনেকের প্রশ্ন—এত সরল ও প্রাকৃতিকভাবে ধরা পড়া মাছের দাম এত বেশি হওয়ার জন্য দায়ী আসলে কে? যদি জাতীয় মাছ হয়েও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকে, তাহলে এর মর্যাদা কি শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ?
    এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ হতাশ হয়ে বলছেন ইলিশকে জাতীয় মাছ না রেখে বরং পাঙ্গাশ মাছকে জাতীয় মাছ ঘোষণা করা হোক।”

  • গোদাগাড়ীতে দেড় শ-তাধিক পরিবার গৃ-হহীন, ১ হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে ত-লিয়ে গেছে

    গোদাগাড়ীতে দেড় শ-তাধিক পরিবার গৃ-হহীন, ১ হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে ত-লিয়ে গেছে

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী : রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী জেগে ওঠা চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের জমি ও বসতবাড়ি। গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় মালামাল সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন চরবাসীরা।

    মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯ টায় রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.৪৩ মিটার, যা বিপৎসীমা ১৮.০৫ মিটারের মাত্র ০.৬৬ মিটার নিচে। পানি বৃদ্ধির কারণে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতে টি-বাঁধ এলাকায় প্রবেশ ও পরিদর্শন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাশাপাশি নদীর পাড় সংলগ্ন ব্যবসায়ী ও দোকানিদেরও স্থানত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    পানি বৃদ্ধির ধারা
    পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ জুলাই রাজশাহীতে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। ওইদিন পানির উচ্চতা ছিল ১৬.৩৫ মিটার। পরবর্তীতে পানি কিছুটা কমলেও ৩১ জুলাই থেকে আবারও বৃদ্ধি শুরু হয় এবং এখনও তা অব্যাহত আছে।
    গত ১০ আগস্ট সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৭.১৩ মিটার, যা একই দিনের সন্ধ্যায় বেড়ে দাঁড়ায় ১৭.২২ মিটারে। ১১ আগস্ট সকালে তা হয় ১৭.৩২ মিটার এবং সন্ধ্যায় পৌঁছায় ১৭.৩৯ মিটারে। পানি বৃদ্ধির ফলে রাজশাহী ও সংলগ্ন বিভিন্ন চরের ওপরের অংশ ডুবে গেছে। চর খিদিরপুরের বাসিন্দা মাসুদ বলেন, “নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় চরগুলো তলিয়ে গেছে। আমরা গবাদিপশু ও মালামাল লোকালয়ে নিয়ে এসেছি, কিন্তু খাওয়ানোর জন্য এখন গোখাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।” আরেক বাসিন্দা রাকিব জানান, প্রতিদিন নৌকায় করে চরবাসীরা মালামাল সরাচ্ছেন। কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ ভাড়া বাসায় উঠছেন। গবাদিপশু সরাতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন, কারণ চর এলাকায় এখনও বহু পশু রয়ে গেছে।

    পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে ব্যাপকহারে নদীভাঙন ও বন্যা দেখা দিয়েছে। চর আষাড়িয়াদহ, চর বয়ারমারী, চর নওশেরা, হবুপাড়া, জামাইপাড়া, চর দিয়ার মানিকচকসহ আশপাশের এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ধান, করলা, পাটসহ মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন নতুন বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। বিশেষ করে চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের ১নং ও ২ নং ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।

    চর বয়ারমারী গ্রামের বাবুর বাড়ি (পিতা আলম) সম্পূর্ণ নদীতে তলিয়ে গেছে। একইসঙ্গে তার ৮ বিঘা ধানের জমিও নদী গিলে নিয়েছে। ১নং চর নওসাড়া ও ২নং চর দিয়ার মানিকচক পশ্চিমপাড়ার পরিস্থিতিও একই রকম।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক। প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। গবাদিপশু হারানো ও আবাদি জমি নষ্ট হওয়ায় অনেক পরিবার ভবিষ্যতের জীবিকা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।

    ভাঙনের ভয় ও পানিবন্দি পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে অনেক পরিবার গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গোদাগাড়ীর অভ্যন্তরীণ গ্রামগুলোতে চলে গেছে। সেখানে তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বা অস্থায়ী আশ্রয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রতিবছর বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয় এবারও ব্যাতিক্রম হয় নি। এবার ব্যাপকহারে বন্যার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন শুরু করেছে।

    মরণবাঁধ ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মিত হয়েছে আবহমানকাল ধরে প্রবাহিত গঙ্গা-পদ্মা নদীর ভারতের অংশ ফারাক্কায় । ১৯৬৮-১৯৬৯ সালে ফরাক্কা ব্যরেজটি একতরফাভাবে নির্মাণ করে ভারত। কিন্তু ভারত কৌশলগতভাবে ব্যারেজটি তখনই চালু করেনি । তখন পাকিস্থানে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথানের ১৯৭০ সালের জেনারেল ইয়াহিয়া সামরিক শাসন জারি এবং সবশেষে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বধীনতা অর্জনের কাল। তারপরেও ভারত অপেক্ষা করে এবং অবশেষে ১৯৭৫ ইং সালের ২১ এপ্রিল ভারত ফারাক্কা চালু করার পর থেকে অব্যাহতভাবে মরণদশা শুরু হয়েছে দেশের নদীর উপর।

    শুস্ক মৌসুমে ফারাক্কা ব্যরেজের সব কয়টি গেট বন্ধ করে নদী শাসন করে মেরে ফেলা হয় অসংখ্য নদ নদীকে জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে পরিবেশ জীবন জীবিকায় নেমে এসেছে প্রচন্ড ধ্বস। দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হয় । গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নীচে নেমে যাওযায় উত্তাঞ্চলের বেশীর ভাগ নলকূপে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যায় । দেখা দেয় তীব্র পানির সংকট । উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের জীবনে অভিশাপ বয়ে এনেছে এই ফারাক্কা ব্যারেজ; এসব এলাকার মানুষ যাকে মরণ ফাঁদ বলে জানেন ।
    আবার বর্ষা মৌসুমে বিমাতৃসুলভ অচারণ করে ফারাক্কার সব কয়টি গেট খুলে দেশের মানুষকে ডুবিয়ে মারেন ভারত।

    সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাজরুল ইসলাম বলেন, । চর আষাড়িয়াদহ, চর বয়ারমারী, চর নওশেরা, হবুপাড়া, জামাইপাড়া, চর দিয়ার মানিকচক প্রভূতি এলাকার দেড় শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ১ হাজার বিঘা জমির ধান ও অন্যান্য ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
    ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে পাঠিয়েছি কোন ত্রান পাওয়া যায় নি।

    সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম ভোলা বলেন, প্রতিদিনই নদী ভাঙ্গন বন্যা তীব্র হচ্ছে, ১ হাজার বিঘা জমির মৌসুমী ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। আমরা ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র করেছি সেখানে লোকজনকে যাওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু বাড়ী ঘর রেখে যেতে চাচ্ছে না। পাঠানোর চেষ্ট করচ্ছি। গত বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ। আমরা ক্ষয়ক্ষতি তালিকা করে জমা দিয়েছি। বন্যা ও নদী ভাঙনের বিপরীতে কোন ত্রান পায় নি। বরাদ্ধও নেই। আগামীতে পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের ঠিকভাবে বিতরন করা হবে।

    স্থানীয় বাসিন্দা মো. তাহিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই নদী গিলে খাচ্ছে আমাদের জমি-বাড়ি। আজ যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, হয়তো কয়েকদিন পর সেটিও থাকবে না। সরকারি সহযোগিতা না পেলে আমরা কোথায় যাব জানি না।

    উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এসডি রাশেদুল ইসলাম বলেন, রবিবার পানি বিপৎসীমার নিচে ৩১ সেন্টিমিটার থাকলেও সোমবার তা ১২ সেন্টিমিটার ও মঙ্গলবার ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

    গোদাগাড়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একে এম মোমিনুল হকের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করে মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

    গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, ২০ টন জিআর চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, প্রচুর শুকনা খাবার আছে। যাদের ঘর, বাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা অনুয়ায়ী টিন দেয়া হবে। অস্থায়ীভাবে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

    ৩৭ বছর নদীতে থাকার অভিজ্ঞতার স্মৃতি থেকে আরমান মাঝি বলেন, “পদ্মার অনেক শাখা নদীও গত ৫০ বছরে শুকিয়ে গেছে। আগে পদ্মা কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল। শুষ্ক মৌসুমে এখন অনেক যায়গায় সরু খালের মতো পানি প্রবাহিত হচ্ছে।” বর্ষা মৌসুমে ফারাক্কার সব কয়টি গেট খুলে আমাদের ভাসিয়ে দেয়। এবার বন্যা ও নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

    চর আষাদিয়াদহ কাঁনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসগর আলী বলেন, গত বছর পদ্মার নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল জেলে পাড়ার একটি পাঁকা মসজিদ, ব্রীজসহ রাস্তা নদীগর্ভে চলে গেছে। কয়েক দিন ধরে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে তাদের এলাকায় কয়েকটা রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে টমেটো ও ধানের খেত। চর বয়ারমারি গ্রামের অন্তত ৫০টি বাড়ি সরিয়ে নিতে হয়েছে। চর বয়ারমারির পাশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার জেলেপাড়া গ্রামেও তীব্র নদীভাঙন চলছে। পোলাডাঙ্গা এলাকায় একটি সেতু ছিল। এই সেতুও ভেঙে গেয়েছিল নদীভাঙনের কারণে।

    এদিকে,
    চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা, মহানন্দা, পূণর্ভবাসহ প্রধান নদীগুলোতে পানিবৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। এতে পদ্মাতীরবর্তী ১২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র বলছে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে পানিবৃদ্ধি বন্ধ হতে পারে। অবস্থা আর খারাপ হবে না বলে মনে করছে সংস্থাটি। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পদ্মায় পানি বিপৎসীমার মাত্র ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ২১.৭৩ মিটার সমতলে প্রবাহিত হচ্ছিল।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো পানি বাড়ার কারণে বসতবাড়ির চারদিক ও ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মাতীরবর্তী হাজার হাজার পরিবার। তাদের অনেকে মানবেতর অবস্থায় রয়েছে। গবাদি পশুও নাজেহাল।

    সদরের নারায়ণপুর, আলাতুলী, ইসলামপুর, দেবীনগর, শাজাহানপুর, চরবাগডাঙ্গা, সুন্দরপুর অর্থাৎ সাতটি এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি অর্থাৎ দুর্লভপুর, পাঁকা, মনাকষা, উজিরপুর ও ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পদ্মার পানি প্রবেশ করে নিমজ্জিত, অর্ধনিমজ্জিত ও আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি ও বাগান। পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গ্রামীণ সড়কে পানি ওঠায় মানুষের চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন, দুই উপজেলায় পদ্মার পানিবৃদ্ধিজনিত কারণে অন্তত সাড়ে আট হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। পাঠদান বন্ধ রয়েছে অন্তত ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তবে কিছু প্রতিষ্ঠানের চারদিকে পানি থাকলেও পাঠদান বন্ধ হয়নি। এছাড়া আক্রান্ত সব ইউনিয়নে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মানুষ পানিবন্দি হয়নি।

    পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, উজানে ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানি ও বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বাড়ছে। ভারতে গঙ্গার সব পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
    তবে আশা করা হচ্ছে পনি আর তেমন বাড়বে না। স্থির হয়ে কমতে শুরু করবে। এর পরও সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় মহানন্দায় বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে ১৯.৭৫ মিটার এবং পূণর্ভবায় বিপৎসীমার ১.৬৬ মিটার নিচ দিয়ে ১৯.৮৯ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। অর্থাৎ জেলার সব বড় নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এখনও বন্যার পূর্বাভাস দেয়নি বলেও জানান প্রকৌশলী আহসান।

    সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম বলেন, সব ইউনিয়নের সার্বিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তথ্য সংগ্রহের কাজ ছলছে। উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি। অন্তত ১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ। বুধবার ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। ফসলি জমিতে পানি ওঠায় কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।।

  • শিবচরে ব্র্যাকের কর্মশালা: নি-রাপদ অ-ভিবাসন ও বিদেশ ফের-তদের পুনরেকত্রীকরণে জো-ড়

    শিবচরে ব্র্যাকের কর্মশালা: নি-রাপদ অ-ভিবাসন ও বিদেশ ফের-তদের পুনরেকত্রীকরণে জো-ড়

    নাবিলা ওয়ালিজা,
    মাদারীপুর প্রতিনিধি:
    মাদারীপুরের শিবচরে নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের “ইম্প্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা ২)” প্রকল্পের উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হায়দার এবং সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আমিনুল হক।

    কর্মশালার শুরুতে পরিচয় পর্ব ও কর্মশালার উদ্দেশ্য তুলে ধরেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের শিবচর উপজেলা প্রোগ্রাম অর্গানাইজার হাসান আল মামুন। পরে স্বাগত বক্তব্য ও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন, প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম ও পুনরেকত্রীকরণ প্রক্রিয়া তুলে ধরেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মাদারীপুর জেলার সেক্টর স্পেশালিস্ট (ইকোনমিক রিইন্ট্রিগ্রেশন) মাহফুজুল ইসলাম।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হায়দার বলেন, “ব্র্যাক একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান। দেশ ও মানবতার সেবায় তাদের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। মাঠ পর্যায়ে বিদেশফেরত অভিবাসীদের নিয়ে এভাবে পরিকল্পিত কাজ করা সম্ভব—এটি আমার ধারণার বাইরে ছিল। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

    তিনি ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান এবং যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

  • লালমনিরহাটে  ৮ কেজি গাঁ-জাসহ হাবিব গ্রে-ফতার 

    লালমনিরহাটে ৮ কেজি গাঁ-জাসহ হাবিব গ্রে-ফতার 

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।। 

    লালমনিরহাটে গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে  ৮কেজি মাদক দ্রব্য গাঁজা ও ১টি অটোইজিবাইক  সহ ১জন মাদক কারবারি গ্রেফতার করছেন গোয়েন্দা পুলিশ। 

    জেলার পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম,এর দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ সাদ আহম্মেদের, নেতৃত্বে এসআই (নিঃ)/মোঃ মনিরুজ্জামান, সঙ্গীয় ফোর্স সহ জেলার সদর থানাধীন কুলাঘাট  ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাকোয়া গ্রামস্হ কুলাঘাট বাজার হইতে বড়বাড়ী বাজার গামী পাকা রাস্তার উপর বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা  এক টি অটোইজিবাইক  সহ ০১ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার। 

     গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন হাবিব মিয়া (২০),

    কুড়িগ্রাম জেলা ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সোনাকাজী গ্রামের  জাহিদুল ইসলামের ছেলে। জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ সাদ আহম্মেদ, জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানাধীন কুলাঘাট  ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা এক টি অটোইজিবাইক সহ এক জনকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দা পুলিশ। 

    হাসমত উল্লাহ।।

  • গোপালগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুজন সিকদারকে গ্রে-প্তার করে-ছে পুলিশ 

    গোপালগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুজন সিকদারকে গ্রে-প্তার করে-ছে পুলিশ 

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    গোপালগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক সুজন সিকদারকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের মান্দার তলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুজন সিকদার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম লেলিন সিকদারের আপন ছোট ভাই ও শহরের মান্দারতলা এলাকার দ্বীন ইসলাম সিকদারের ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি সুজন সিকদার দীর্ঘদিন যাবত ইউএসএইড নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন। 

    পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

  • রোভার স্কাউটের উ-দ্যোগে পোল মাংকি ব্রীজ তৈ-রি

    রোভার স্কাউটের উ-দ্যোগে পোল মাংকি ব্রীজ তৈ-রি

    কে এম সাইফুর রহমান, 
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের উদ্যােগে শিক্ষার্থী সহ অন্যান্যদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন খালে একটি পোল মাংকি ব্রীজ তৈরি করা হয়।

    আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) রোভার অনিক কুমার সাহার (সভাপতি, রোভার ইন-কাউন্সিল) তত্ত্বাবধানে একটি দল ভোর ৬টা থেকে ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করে যা সকাল ৯ টায় শেষ হয়।

    এ সময় গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মজনুর রশিদ ও তৌফিক এলাহী উপস্থিত ছিলেন।

    পোল মাংকি ব্রীজের উদ্বোধন করেন গোবিপ্রবি রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক মো.মজনুর রশিদ। এ সময় তিনি বলেন, “স্কাউট তথা রোভার স্কাউট হলো একটি আন্দোলন যা কিশোর কিশোরীদের শারিরীক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সামাজিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশে সহযোগিতা করে এবং স্কাউটরা মুক্তাঙ্গনে কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন দিকে পারদর্শিতা লাভ করে। এক্ষেত্রে সমাজ সেবা ও সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

    উল্লেখ্য, পোল মাংকি ব্রীজ সাধারণত স্কাউটদের একটি পাইওনিয়ারিং প্রজেক্ট যা বাঁশ দ্বারা নির্মিত এবং বিভিন্ন ল্যাশিং ব্যবহার করা হয় যেমন ডায়াগোনাল ল্যাশিং, স্কয়ার ল্যাশিং, ফিগার অব এইট, পোল এন্ড সেম্বার ল্যাশিং। এটি সাধারণত খাল বিল পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হয়।