Author: desk

  • রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কোটালীপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসের শেষকৃ-ত্য স-ম্পন্ন

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কোটালীপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসের শেষকৃ-ত্য স-ম্পন্ন

    কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কৃতি সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

    আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসকে কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মাসুম বিল্লাহ ও কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন এবং ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    এ সময় কোটালীপাড়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, মধুসুধন বিশ্বাস (মন্টু), প্রভাত চন্দ্র রায়, নারায়ণ চন্দ্র বাগচী, নরেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, মোজাসের হোসেন ঠাকুর, শেখ আব্দুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ দাড়িয়া সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি নিজ বাড়ীতে হঠাৎ স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা তাকে দ্রুত কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    সদ্যপ্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র বিশ্বাস কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভূতের বাড়ী গ্রামের প্রয়াত প্রিয় লাল বিশ্বাস ও মহারানী বিশ্বাসের ছেলে।
    ১৯৫৩ সালের ১০ জুলাই তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে তিনি এদেশের মানুষকে শত্রুর হাত থেকে ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেছেন। তার এই ত্যাগ অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গিয়েছেন।

  • কুমিল্লায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ছা-ড়া  গ্রাম বাংলা থেকে হারি-য়ে যাচ্ছে হাডুডু, ফুটবল

    কুমিল্লায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ছা-ড়া গ্রাম বাংলা থেকে হারি-য়ে যাচ্ছে হাডুডু, ফুটবল

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে ছেলেমেয়েরা হয়ে উঠেছে অনেকটা যান্ত্রিক। একসময়  হাডুডু, কাবাডি, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, ডাংগুলি, বৌ-বুড়িচি , কানামাছি ভৌ ভৌ,সাতার, নৌকা বাইচ খেলা গুলোতে মুখরিত ছিল গ্রামের মাঠ ও অলিগলি সহ বর্ষা মৌসুমে ভরা পানি নদীগুলোর মধ্যে, ছেলে, বুড়ো সকলের মন ছিলো ঐতিহ্যবাহী সে খেলায়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা স্কুলের  বিরতিতে মাঠের মধ্যে এ গ্রামীন খেলাগুলো খেলত। স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফিরে উঠান ও খোলা মাঠে চলতো উপকরণ বিহীন এসব গ্রামীণ খেলা। প্রযুক্তির উন্নতির ছোঁয়ায় এখন  মোবাইল গেমের কারণে, বিকালবেলা মাঠে দেখা যায় না কাউকে। মোবাইল গেমস ও টিভি কার্টোনের কারণে গ্রামীণ খেলাধূলার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে না ছেলেমেয়েরা। তাই বিলুপ্ত হতে চলেছে গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এসব খেলা।

    বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য এসব গ্রামীণ খেলাধুলা তো করেই না, এমনকি এসব খেলাধুলার নাম জানে কিনা সেটি এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ এক সময় এ সমস্ত খেলাধুলাকে বাদ দিয়ে বাঙালি ঐতিহ্যের পূর্ণতাকে কল্পনাও করা যেত না। বর্তমানে এসব ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার প্রচলন না থাকায় গ্রামীণ জনপদ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে হাজার বছরের বাঙালী’র ঐতিহ্য। এমটি মনে হচ্ছে গতকাল বিকেলে বি পাড়ার গ্রামের ফুটবল মাঠের দৃশ্য দেখে।কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ছাড়া তেমন সক্রিয় ভূমিকা কোন গ্রামে চোখে পরে না

    এক সময় কৃষকরা সারাদিন মাঠে কাজ করে ক্লান্তিবোধ করলেও পরন্ত বিকেলে সব বয়সের মানুষ খেলার মাঠে জড়ো হতো। মাঠে এসে করতালী আর শোরগোলে হাডুডু, কাবাডি, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট খেলা শুরু করতো। দলবদ্ধ এ সকল খেলা হারিয়ে যাওয়ার কারণে মানুষের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ হারিয়ে যাওয়ার পথে। পড়াশোনার পাশাপাশি বিকেলে খোলা মাঠে দস্যিপনা চলতো শিশু-কিশোরদের। যুবরা দলবেঁধে খেলত হা-ডু-ডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, কাবাডিসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলা। এমনকি সেখানে স্থান পেত বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট, ফুটবলও। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি কেড়ে নিয়েছে অতীতের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে। আর প্রজন্মকে ক্রমেই ঠেলে দিচ্ছে যান্ত্রিকতার দিকে। কেবল যান্ত্রিকতায় যদি সঙ্গী হতো তবুও মেধাবী এক ভবিষ্যতের প্রজন্মের পাওয়ার জোর সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু খেলাধুলার প্রতি অনাসক্তি কিশোর-যুবকদের ঠেলে দিচ্ছে ভয়ঙ্কর মাদকতার দিকে। ফলে ভবিষ্যত বাংলাদেশ হচ্ছে মেধাশূন্য।

    এ বিষয়ে কথা হয় কুমিল্লা জজকোর্টের এডভোকেট আব্দুল আলীম খান এর সাথে তিনি বলেন, বর্তমানে গ্রামাঞ্চলেও খোলা জায়গা বা খেলার মাঠের স্বল্পতার কারণে অনেক গ্রামীণ খেলার বন্ধের পথে। ফলে বর্তমানে ভিডিও গেম, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন ইত্যাদি গ্রামীণ খেলাধুলার সে স্থান দখল করে নিয়েছে। ছেলেমেয়েরা একটু সময় পেলেই মেতে ওঠে এসব যান্ত্রিক জিনিস নিয়ে। ফলে ছেলেমেয়েরা হয়ে পড়েছে অলস ও খিটখিটে মেজাজের। যান্ত্রিক এসব টিভি বা মোবাইল স্কিন দেখতে দেখতে তৈরি হচ্ছে চোখের ভিবিন্ন প্রদাহ। শাররীক কসরতের এ সকল খেলা না খেলার কারণে ছেলেমেয়েদের শাররীক ও মানুষীক  বিকাশ সঠিক ভাবে তৈরি হচ্ছেনা, ফলে তৈরি হচ্ছে আগামী দিনের অলস এক জাতী। তাই আমাদের গ্রামীণ খেলার দিকে সকলের নজর দেওয়া জরুরি।

  • শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দুদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান

    শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দুদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান

    নিউজ ডেস্ক।।
    হিন্দুদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হিন্দুধর্মের একজন প্রধান দেবতা এবং বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। তাঁকে স্বয়ং ভগবান হিসেবেও পূজা করা হয়। তিনি সুরক্ষা, করুণা, কোমলতা এবং প্রেমের দেবতা হিসেবে পরিচিত। হিন্দুরা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে তাঁর জন্মদিন পালন করে আর তার জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে হিন্দুদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে হিন্দুদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানান। যা নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো।

    “শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আমি তাদের অব্যাহত কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করি।

    হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে জন্মাষ্টমী ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দুষ্টদের বধ করে এই পৃথিবীকে পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। আবহমানকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। উৎসব সার্বজনীন ও সম্প্রদায়গত বিভাজনকে সংযুক্ত করে মানুষকে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে। মানব সমাজকে এক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়। তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে এক অনন্য সংহতিবোধ। আনন্দরুপ বিনম্রতায় সমাজে সকলকে এক অভিন্ন আন্তরিকতায় আপ্লুত করে।

    সকল ধর্মের মর্মবাণী সম্প্রীতি, মানব কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ পাপিদের দুর করার জন্য অনেক মহৎ কাজ করেছেন, তাদের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি ইতিহাস বর্তমানে মানবসমাজের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। তিনি অন্যায়, অনাচার ও দুঃশাসনকে দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করে সমাজে সদাচারী ও নিরপরাধ মানুষদের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বস্তি দান করেছিলেন। গণবিরোধী স্বৈরশক্তি দেশে দেশে মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ণের খড়গ নামিয়ে আনে। শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও কৃতকর্ম অনুসরণে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শিক্ষা থেকে অসহায় ও মজলুম মানুষ প্রেরণা লাভ করবে।

    ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বাংলাদেশের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশীরা কখনোই ঔদার্য, পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা হারায়নি। এখানে সকল ধর্মের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সেই বন্ধন অটুট রাখতে দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ।

    জন্মাষ্টমীর এই শুভদিনে আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলের প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

  • স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আ-লোচনায় মাহমুদ হোসেন

    স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আ-লোচনায় মাহমুদ হোসেন

    নেছারাবাদ পিরোজপুর প্রতিনিধি//

    পিরোজপুরে স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে ফেসবুকে ফটো কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পিরোজপুর-২ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রার্থী মো. মাহমুদ হোসেন। এ বিষয়ে তার দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

    ফটো কার্ডে তিনি লিখেন- স্বরুপকাঠি পৌর বিএনপি কাউন্সিল- ২০২৫ নব-নির্বাচিত সভাপতি কাজী কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ সিকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল কবিরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন- মাহমুদ হোসেন, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালি, নেছারাবাদ) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই ফটো কার্ডের নিচের অংশের বা পাশে নিজের ছবি সংরক্ষিত ছিল।

    স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, নবগঠিত কমিটি নিয়ে আগেই দলে নানা মতবিরোধ ছিল। এর মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক প্রার্থীর প্রকাশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দলীয় পরিমণ্ডলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ একে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক কৌশল বলেও মন্তব্য করছেন।

    মোহাম্মদ বশির আহমেদ নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডকৃত কমেন্টে লিখেন, “দলীয় ঐক্য ও সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এই নতুন কমিটি হবে অগ্রণী ভূমিকার বাহক। আমরা একসাথে কাজ করব গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সফলতা আনতে।”

    ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে সুজন বাহাদুর নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, একজন এমপি প্রার্থী ফটো কার্ডের নিচে নিজের ছবি লাগিয়ে নিজের অবস্থানকে ছোট করেছে। এটা নিছক ছেলেমানুষী ও নন পলিটিক্যাল নেতার পরিচয়। সবখানে দেখেছি নেতাদের ছবি ফটো কার্ডের উপরে থাকে এখানে দেখছি উল্টো। বাহ্!!

    মাসুদ পারভেজ নামে অন্য একজন ব্যক্তি কমেন্টে লিখেছেন, নবগঠিত স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির কাউন্সিলে বিজয়ীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ও মেসেঞ্জার গ্রুপে নিজের ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা ফটোকাত করা ঠিক হয়নি। ভাই বিতর্ক হবার আগে পোস্ট ডিলিট করে দিন।

    এ বিষয়ে মাহমুদ হোসেন বলেন, “আমি দলকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ দেখতে চাই। যে-ই দায়িত্ব পাক না কেন, আমাদের মূল লক্ষ্য আওয়ামী সরকারের পতন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।”

    উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট বুধবার স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে কাজী মো. কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. মাইনুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাফিজ সিকদার ও রাসেল কবির নির্বাচিত হন। দলীয় রাজনীতিতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন স্বরূপকাঠী ও পিরোজপুরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি ।।

  • র‌্যাব-১২ এর অভি-যানে ২৯৮০ পিচ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ ২ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    র‌্যাব-১২ এর অভি-যানে ২৯৮০ পিচ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ ২ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

    র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে সদর থানা এলাকা হতে ২৯৮০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় অদ্য ১৫ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ,সকাল ১০.৪৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন মুলিবাড়ি সাকিনস্থ ঢাকা রাজশাহী হাইওয়ের মুলিবাড়ি ওভারপাসের নিচে পাকা রাস্তার মাঝের অংশে ভ্যানের উপর’’ একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৯৮০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০২ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তাদের সাথে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ১। মোঃ আকাশ শেখ (১৮), পিতা- মোঃ ওয়াজকরনি শেখ, সাং- ঠাকুর ঠেক বনবাড়িয়া আটখোলা, ২। মোঃ আসিফ হোসেন (১৯), পিতা- মোঃ শরিফ উদ্দিন, সাং- দিয়া ধন খরা ২ নং ওয়ার্ড সিরাজগঞ্জ পৌরসভা, উভয় থানা জেলা-সিরাজগঞ্জ সদর,।

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিজ হেফাজতে রেখে পরস্পর যোগসাজশে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানা ও তার আশপাশ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের এর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদকমুক্ত, বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

  • ঋ-ণ ও  খাওয়ার অ-ভাবে পরিবারকে হ-ত্যা করে আত্মহ-ত্যা করল কর্তা

    ঋ-ণ ও খাওয়ার অ-ভাবে পরিবারকে হ-ত্যা করে আত্মহ-ত্যা করল কর্তা

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর পবা উপজেলায় ঋণের চাপে এবং অভাবের তাড়নায় দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মিনারুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে লিখেছেন, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম।’

    আজ শুক্রবার ১৫ আগষ্ট সকাল ৯ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশেখর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন মিনারুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (দেড় বছর)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

    জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।
    রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।

    পুলিশ জানায়, পরিবারের চারজন সদস্যই মারা গেছেন। এর মধ্যে এক ঘরে মা ও মেয়ে এবং অন্য ঘরে ছেলে ও বাবা মিনারুল ফ্যানের সাথে ঝুলছিলেন। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।

    হত্যাকাণ্ডের কারণ উল্লেখ করে ওই চিরকুটে মিনারুল আরো লেখেন, ‘এই কারণে যে আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলেমেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো।’

    “আমরা চারজন পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি, আর দেখা হবে না খোদা হাফেজ। আমি মিনারুল নিচের যেসব লেখা নিজ হাতে লেখব। সব আমার নিজের কথা। আমরা চারজন মারা যাব। এই মরার জন্য কারো কোনো দোষ নেই…।
    আমি প্রথমে আমার বউকে মেরেছি। পরে মাহিনকে এবং তারপর মিথিলাকে মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি। চারজনের মরা মুখ যেন বাপের বড় ছেলের বউ বাচ্চা না দেখে…এবং জানাজায় না যায়। আমাদের চারজনকে ঢাকতে আমার বাবাটা যেন টাকা না দেয়…। ’
    ‘কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • বাবুগঞ্জে দোয়ারিকা সেতুর নিচে বিটুমিন মিক্সচার প্লান চু-রি, ২ চো-র আ-টক

    বাবুগঞ্জে দোয়ারিকা সেতুর নিচে বিটুমিন মিক্সচার প্লান চু-রি, ২ চো-র আ-টক

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা।।

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা সেতুর নিচে সম্প্রতি স্থাপিত বিটুমিন মিক্সচার প্লানে আজ ভোরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে নৈশ্যপ্রহরী মো. শাহআলম হাং চুরির শব্দ টের পেয়ে চোর-চোর বলে চিৎকার করলে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দুই চোরকে ধরে ফেলেন।

    ধৃতদের মধ্যে একজন আলফা ড্রাইভার এবং অপরজন পেশাদার চোর হিসেবে স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করেন। তার নাম আল আমিন খলিফা (৪২)। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মো. কবির আইকন, মো. আনিচ আকন, মো. মানিক আইকন ও সুমন তামিদার ঘটনাস্থলে গিয়ে প্লানের মালিকপক্ষকে খবর দেন। চোরকে আটক রেখে সকাল ১১টার দিকে মালিকপক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি বাবুগঞ্জ থানাকে জানানো হয়।
    থানার ওসি’র নির্দেশে এসআই মান্নান দুই সঙ্গীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক চোরকে থানায় নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন খলিফা তার আরও দুই সহযোগীর নাম প্রকাশ করেন— মো. রাব্বি তালুকদার (পিতা ভুট্টো তালুকদার) ও মো. খায়রুল তালুকদার (৩৫), উভয়ের ঠিকানা লাফাদি, পোস্ট: মাধবপাশা, থানা: এয়ারপোর্ট।
    চোরেরা প্লানের জেনারেটরের ব্যাটারি ও মোটা তার কেটে নিয়ে যাচ্ছিল, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • বেগম খালেদা জিয়া রাজ-নীতির আ-লোকবর্তিকা, আ-স্তার প্রতীক

    বেগম খালেদা জিয়া রাজ-নীতির আ-লোকবর্তিকা, আ-স্তার প্রতীক

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলীঃ কি নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম, যেন ঠিক করতে পারছিলাম না। আজ শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায়ের পর বাসায় এসে টিভি, স্থানীয় ও জাতীয়, অনলাইন পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হচ্ছিল বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীর বিষয়ে। তাই এবিষয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে লিখা শুরু করলাম। জানি না পাঠকগন কতটা উপকৃত হবেন।

    বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৫ আগস্ট তিনি পা রাখবেন ৮১ বছরে। জাতীয়তাবাদী শক্তির অবিসংবাদিত আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন এবার এমন একসময় উপস্থিত হয়েছে যখন পতিত শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে বিনা বিচারে দীর্ঘকাল অসুস্থ অবস্থায় বন্দি জীবন যাপন শেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মুক্ত জীবন ফিরে পেয়েছেন তিনি। মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট অবিভক্ত ভারত বর্ষের জলপাইগুঁড়ির নয়াবস্তির ছোট্ট শহরে বেগম জিয়ার জন্ম হয়।

    বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে বিকশিত হয়েছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ‘আলোকবর্তিকা’ হিসেবে একজন আপসহীন নেত্রীর দেখা পেয়েছে এদেশের মানুষ। স্বৈরাচারের পতনের পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রথম নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার উপর আস্থা রেখেছেন তারা।

    শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম-এর উদ্যোগে বহুদলীয় গণতন্ত্রের শুরুটা হলেও বাধাগ্রস্ত হয় স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের অবৈধ ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে টানা নয় বছরের সংগ্রামের মাধ্যমে কয়েক দফা কারাবরণ করেন আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

    আশির দশকের শুরুতেই স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হারিয়ে অল্প বয়সে বিধবা হয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে জীবন সংগ্রাম শুরু করতে না করতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে যখন অন্ধকারের পথে দেশের রাজনীতি, তখন আলোকবর্তিকা হয়ে সামনে আসেন বেগম খালেদা জিয়া।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে ঘরকন্না থেকে রাজপথে নেমে আসেন দেশের রাজনীতির এই আপসহীন নেত্রী।
    নীতি ও আদর্শে অটুট থাকায় তিনি আপসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বেগম খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে তিনি তিন দশকের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি খালেদা জিয়া বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন। বছরখানেক যেতে না যেতেই নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় প্রশংসা অর্জন করেন। পরের বছর মার্চে তিনি দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদোন্নতি পান। এক মাস পর ১ এপ্রিল তিনি দলের বর্ধিতসভায় প্রথম বক্তৃতা করেন।

    রাজনীতিতে বেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন তিনি। চারবারের সংসদে পাঁচটি করে আসনে বিজয়ী হন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনবার দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন। আর সেই আপসহীন নেতৃত্বকেই এদেশের জনগণ রায় দিয়েছিলো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য।

    বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন একটা ভয়ংকর রকমের অরাজকতা ও দেউলিয়াত্ব চলছে। গত বছর জুলাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কণ্ঠোচ্চারিত ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ বিখ্যাত স্লোগানের কথা সবার মনে আছে। একটি বছর পার হয়ে গেল শিক্ষার্থীরা কি সে অধিকার পেয়েছে।

    সাম্প্রতিক গোপালগঞ্জে এনসিপির দলীয় সভার ওপর ছাত্রলীগের ক্যাডাররা যেরূপ হামলা চলিয়ে মারপিট ও ভাঙচুর করেছে, তাতে মনে হতে পারে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়েছেন, কিন্তু ফ্যাসিবাদ রেখে গেছেন। খুনখারাবি, চুরিডাকাতি, চাঁদাবাজি, ঘুষ, অবৈধ দখল নারীনির্যাতন, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদির বিরুদ্ধে আন্দোলন হলো, তা তো বন্ধ হয়নি, বরং অনেককিছু বেড়েই চলেছে। তবে প্রশ্ন এসে যায় আন্দোলনে শত শত নিরীহ ছাত্রজনতা প্রাণ দিল কেন? শত সহস্র আহতের আর্তনাদ ও আহাজারি এখনো থামেনি। যে আশা ভরসা স্বপ্ন নিয়ে লোকজন জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করলো, তা কি ভোগ করতে পারছেন?

    জাতীয় নির্বাচনে দল পরাজিত হলে গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে সরে যান। অপর দিকে শেখ হাসিনা করেছেন উল্টোটা। তাঁর আমলের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও জালভোটের, ২০১৮ সালের নির্বাচন ‘রাতের ভোটের’, ২০২৪ সালের নির্বাচন আমি, মামি, ‘ডামি ভোটের’। বিএনপিসহ বিরোধী বহু রাজনৈতিক দল সরকারকে ‘অবৈধ সরকার’ বলে আখ্যায়িত করে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানালেও শেখ হাসিনা কর্ণপাত না করে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করেন এবং গুম-খুন, হামলা-মামলা,জেল-জুলুম,দখলদারি-চাঁদাবাজি ইত্যাদি দমনপীড়ন-শোষণশাসন নীতি গ্রহণ করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেন। শুধু তাই নয়, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে দলীয়করণ করে ছদ্ম একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। বছরের পর বছর ধরে সর্বস্তরের মানুষের জমানো ক্ষোভ-বিদ্বেষ থেকে জুলাই ’২৪ এর ছাত্র-জনতার সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থান হয়, জনরোষে পড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চরম অপদস্ত হয়ে গদি ছেড়ে স্বৈরাচার আখ্যা নিয়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন। তাঁর প্রতি জনগণের ন্যূনতম শ্রদ্ধা বা সহানুভূতি ছিল না। তাঁর রাষ্ট্রীয় আবাস গণভবন, নিজস্ব বাসভবন, পিতৃভবন পুড়িয়েছে, তাঁর প্রতিকৃতিতে জুতা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ক্ষান্ত হয়নি, জুতার মালা পরিয়েছে। এ সবকিছুই ছিল জনগণের প্রচন্ড ক্ষোভ ও ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ। পালাবার সময় তিনি নিজে কাঁদলেন, আর কারো চোখ থেকে এক ফোটাও অশ্রু ঝরেনি। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা তখন বিজয়ানন্দে উল্লাসে-উচ্ছ্বাসে বিভোর। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস!

    দলগতভাবে বিএনপি এবং ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়া ছিলেন শেখ হাসিনার চক্ষুঃশূল। ক্ষমতায় থেকে তিনি খালেদা জিয়াকে অমার্জিত ভাষায় কেবল হেনস্থা করেননি, রাষ্ট্রের বরাদ্দকৃত বাসভবন থেকে উৎখাত করেছেন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পুরেছেন, নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, তিনি এখনও বিদেশেই রয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করে ধ্বংস করা।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তিত হলে বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হন। তিনি সম্প্রতি বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। গুলশানের বাসা-এয়ারপোর্ট যাতায়াতের সময় রাজপথে জনতার ঢল নেমেছিল। এ ছিল তাঁর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসার প্রতিফলন, যা তিনি ক্ষমতায় এবং ক্ষমতার বাইরে থেকে অর্জন করেছেন। কারামুক্তির পর তিনি প্রতিহিংসা থেকে বিরত থাকতে দলের নেতাকর্মীদের ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, যা ছিল তাঁর স্বভাবসুলভ বদান্যতা ও মহানুভবতা। তিনি ঐ সময় জনগণের মধ্যে ঐক্য ও দেশের প্রতি ভালবাসার কথা বলেন। আমরা তাঁকে কখনো কারো প্রতি কটাক্ষ বা মুখখিস্তি করে কথা বলতে শুনিনি। স্বৈরাচার নয়, শীলাচার ও সদাচার তাঁর ভূষণ, যা তিনি পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে পেয়েছেন।

    রাজনীতিতে নেমেই বেগম খালেদা জিয়া হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও অগণতান্ত্রিক রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং তাঁর অধীনে সকল প্রকার নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। নানাবিধ অপশাসন ও অপকর্মের জন্য এরশাদ ‘স্বৈরাচার’ খেতাব পেয়ে যান; ‘বিশ্ববেহায়া’ তাঁর অপর তকমা। স্বৈরশাসকের সঙ্গে কোনো আপোস চলে না। ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ
    নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করতে সক্ষম হন। তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে জয়ী হন ও সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর পদ আলংকৃত করেন। বেগম খালেদা জিয়া তাঁর নীতিতে অটল থেকে যেরূপ অনমনীয় মনোবল ও সাহসিকতার পরিচয় দেন, তার ফলে দেশবাসী তাঁকে ‘আপোসহীন দেশনেত্রী’ আখ্যায় ভূষিত করে। বর্তমানে দেশে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ উঠতে শুরু করেছে। এটা হবে জাতীয় সংসদের ১৩তম নির্বাচন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সরকারের এক বছর পূর্তিতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। উপরন্তু তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্রুত একটি ‘ইলেকশন অ্যাপ’ চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। অপরদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে জাতীয় নির্বাচন হবে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন গত ১০ আগস্ট হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকা মতে, বর্তমানে দেশে ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০। তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে ১২ দিন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আগামী ৩১ আগস্ট প্রকাশিত হবে। এবারের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় সর্বপ্রথম প্রবাসীরাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগেই দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা প্রতীকসহ ব্যালট পেপার প্রবাসী ভোটারদের কাছে পাঠানো হবে বলে ইসি জানিয়েছে। এটা প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন। অর্থ বিভাগ নির্বাচন পরিচালনার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছে। সরকারের নির্বাচনের ঘোষণাকে দেশের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে।

    ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কাজকর্ম ইসি কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে। তবুও দলটির কাজকর্ম বন্ধ হয়নি। গোপনে চলছে। কলকাতায় অফিস খুলে দলের নিয়মিত কার্যক্রর্ম পরিচালনা করছে। তাতে ভারতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। দেশের অনেক মিডিয়াতেও বিষয়টি হাইলাইট হয়েছে। উপরন্তু দেশে আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীদের সাথে হাসিনা ও কিছু নেতা টেলিফোনে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছে এবং নানা অপতৎপরতা তথা নাশকতা চালানোর উসকানি দিচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসের ঘৃণ্যতম অপশাসন চালানোর পরও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ফ্যাসিবাদী মনোভাব এতটুকু কমেনি। এত হত্যা-নির্যাতনেও মোটেই তাদের অনুশোচনা নেই। আওয়ামী লীগের সব ধরনের অপকর্মে ভারতের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের সাথে ভারতপন্থী খ্যাত বামপন্থীরা এবং জাতীয় পার্টির সখ্য অটুট আছে। দ্বিতীয়ত ব্যবসা, মিডিয়া ও সামাজিক সংগঠনগুলোতে আওয়ামী লীগ ও তার ঘরানার শক্তি বেশি। এই অবস্থায় গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ তাদের পতনের দিন ঢাকার শাহবাগে কয়েক লাখ লোকের সমাবেশ ঘটিয়ে ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরিকল্পনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে তা ভেস্তে গেছে। কিন্তু তাদের সে পরিকল্পনা পরিত্যক্ত হয়নি। বলবত রয়েছে। তাই যে কোনো সময় সুযোগ পেলেই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে।

    বর্তমানে দেশে সর্বাধিক জনপ্রিয় দল বিএনপি। দলটির ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও সেভাবে সাংগঠনিক শক্তি গড়ে উঠেনি। মূল দলসহ সব অঙ্গ সংগঠন দুর্বল। তাই সমর্থকদের বেশিরভাগ ভাসমান, যাকে বলে আওয়ামী লীগ ঠেকাও সমর্থন। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রধান কারণ হচ্ছে, দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী ফুল টাইম রাজনীতিবিদ নন, পার্টটাইম রাজনীতিবিদ। অধিকাংশই ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। সরকারের সাবেক আমলার সংখ্যাও অনেক। নেতাদের বেশিরভাগ থাকেন ঢাকায়। জীবনযাপন করেন আলীশানভাবে। নিজস্ব কাজ শেষে দলে একটু সময় ও অর্থ দেন। নির্বাচন এলে মনোনয়ন পান, গণপ্রতিনিধি হন, ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রী হন। কিন্তু তাদের সাধারণ মানুষের সাথে সম্পর্ক খুব কম। দলে তাদের প্রধান কাজ নেতাদের মোসাহেবি করা। দলটির প্রচার মাধ্যমও তেমন নেই। যেটুকু আছে তা শক্তিশালী নয়। দেশের বেশিরভাগ ইসলামপন্থী দলেরও একই অবস্থা। দু’চারটি রাজনৈতিক দল ছাড়া বেশিরভাগ দলের স্থানীয় পর্যায়ে কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। অফিসও নেই। তাই স্থানীয় নির্বাচনে দু’চারটি আসনও পায় না। বিএনপি সর্বাধিক জনপ্রিয় দল হিসেবে নির্বাচনে এককভাবে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার অবস্থানে রয়েছে।

    পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে, বিএনপির প্রতি ভোটারদের সমর্থনের হারও ততই বাড়বে। বিএনপিকে নিজের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। বিশেষ করে, প্রচারের দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, আধুনিক যুগে প্রচারণার গুরুত্ব অপরিসীম। মিথ্যা-প্রোপাগান্ডা তথা অপতথ্যকে প্রকৃত তথ্য দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

    ‘বিএনপির চেয়ারপারসন হিসাবে বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি দলের এবং দেশবাসীর জন্য এক পরম ভরসা। তিনি অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, তাঁর জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত, ভাবমর্র্যাদা অবিতর্কিত। তিনি আছেন, যেন মাথার ওপর একজন অভিভাবক আছেন। আজ জনগণের কাছে একমাত্র তিনিই ‘আস্থার প্রতীক’। তিনি রাজনীতিবিদদের আলোকবর্তিকা।

    লেখক: মো. হায়দার আলী।।

  • বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকীতে চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির আ-লোচনা ও দো-য়া

    বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকীতে চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির আ-লোচনা ও দো-য়া

    বায়জিদ হোসেন, মোংলা।
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ১৫ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে উত্তর চাঁদপাই বাজারে আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় চাঁদপাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ্ আলম শেখ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম বাচ্চু’র সঞ্চলনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন পনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ রুস্তম আলী, বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন রনি ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, মধু বাদশাহ্, মোঃ সেলিম, লাভলু গোলদার, হাফিজুর রহমান, বুলবুল আহমেদ, আলামিন মোড়ল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মহসিন ফকির, ইশারাত হোসেন, যুবদল নেতা মোঃ শাহ আলম শিপন, নুর মোহাম্মদ, এমরান হোসেন, ফারুক গোলদার, ছাত্রদল নেতা শেখ সিফাতুল্লাহ শুভ, প্রমূখ।
    আলোচনায় সভায় বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রামী চেতনাকে ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহসী নেতৃত্ব ও ত্যাগ দেশের মানুষের হৃদয়ে অম্লান হয়ে আছে। এ ছাড়াও বিএনপি’র ৩১ দফার আলোকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
    আলোচনা সভা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া পরিবারের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া মোনাজাতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

  • শার্শার ব-ন্যা উপদ্রু-ত এলাকা পরি-দর্শনে মাওলানা আজিজুর রহমান

    শার্শার ব-ন্যা উপদ্রু-ত এলাকা পরি-দর্শনে মাওলানা আজিজুর রহমান

    আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া যশোর সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও যশোর৮৫/১ শার্শা আসনের জামাত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আজিজুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর ও দাউদখালী সীমান্ত অঞ্চলের বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেন।

    শুক্রবার সকাল ৯ টায় তিনি উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বন্যা উপদ্রুত দাউদখালী ও রুদ্রপুর গ্রামের পানিবন্দী শতাধিক পরিবারের খোঁজখবর নেন। ও তাদের বাড়িঘর
    পরিদর্শন করেন। এর আগে তিনি ভারতীয় ইছামতী নদীর পানি প্রবেশদার দাউদখালী খালমুখের কাটা বাঁধ পরিদর্শন করেন।

    এসময় জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল, ও কায়বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা রেজাউল করিম, শার্শা উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ফিরোজ আল মাহমুদ, শার্শা উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জামায়াতের কায়বা ইউনিয়ন আমির মাওলানা আমিরুল ইসলাম সহ দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
    শেষে তিনি ইছামতী নদীর পাড়ে দাউদখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।