Author: desk

  • নড়াইলের লোহাগড়ায় দৌলতপুর ঠাকুরবাড়ি রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ত্রি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমি-টি গঠন

    নড়াইলের লোহাগড়ায় দৌলতপুর ঠাকুরবাড়ি রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ত্রি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমি-টি গঠন

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
    নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দৌলতপুর ঠাকুরবাড়ি রাধাগোবিন্দ মন্দিরের ত্রি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমল রঞ্জন সাধুখাঁর সঞ্চালনায় প্রফেসর ড. জীবন কৃষ্ণ সাহার সভাপতিত্বে উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধায় ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. জীবন কৃষ্ণ সাহা, বিষ্ণুপদ সাহা, অপূর্ব কুমার সাহা, নিতাই কর্মকার ও কমল কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৫১ সদস্য বিশিষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক কমিটিতে সভাপতি প্রফেসর ড. জীবন কৃষ্ণ সাহা, সহ-সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সহ-সভাপতি মানিক লাল চক্রবর্ত্তী (দাতা সদস্য), সাধারন সম্পদক অপূর্ব কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারন সম্পদক প্রবীর কুমার সাহা বাবু, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর কুমার সাধুখাঁ, সাংগঠনিক সম্পাদক কমল রঞ্জন সাধুখাঁ, প্রচার সম্পাদক সুনীল কর্মকার, দপ্তর সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সাহা কাপুড়িয়া, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সুব্রত কুমার সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবীন্দ্র চন্দ্র দাস, পুজা ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র সাহা বাবলু, সমাজসেবা সম্পাদক সঞ্জয় কুমার সাহা, মন্দিরের সেবাইত লক্ষীকান্ত চক্রবর্তী, নির্বাহী সদস্য অনুপ কুমার সাহা কাপুড়িয়া, রতন কুমার সাহা কাপুড়িয়া, সুবোধ রঞ্জন সাধুখাঁ, অরবিন্দু সাহা গুহ, বাবলু সাহা গুহ, সুকুমার সাহা কালু, সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস, সুবোধ চন্দ্র শীল, নিখিল চন্দ্র দাস, শ্যামল কুমার রায়, সমর কুমার বিশ্বাস, সঞ্জিব সাধুখাঁ, মদন কুমার সাহা, অরুপ কুমার সাহা মরা, অমর কুমার বিশ্বাস, নিতাই শীল, অসীম কুমার দাস ও পলান কুন্ডুকে নির্বাচিত করা হয়। মন্দিরের অধিকাংশ সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। নব গঠিত-কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন, সকলের সহযোগিতায় মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবেন।
    উল্লেখ্য: মন্দিরটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং পরবর্তিতে ছয় শতাংশ জমির ওপর রেজিস্ট্রিকৃত হয়।

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

  • নেছারাবাদে প্রধান শিক্ষক বি-রুদ্ধে স্বাক্ষর জা-লিয়াতির অ-ভিযোগ

    নেছারাবাদে প্রধান শিক্ষক বি-রুদ্ধে স্বাক্ষর জা-লিয়াতির অ-ভিযোগ

    আনোয়ার হোসেন,
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

    ১২১নং গণপতিকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষক অনুপ রায় এবং শিলা বিশ্বাসের স্বাক্ষর জাল করে দায়িত্বপালন কালীন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন (স্লিপ ও রুটিন মেরামত) বাবদ বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহকারি শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ অভিভাব সহ ৭১ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে।

    লিখিত বক্তব্যে অনুপ রায় উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে ব্যয় না করে শিক্ষা অফিসে পরিকল্পনা ও বিভিন্ন ভাউচারে তাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিষয়টি অনুপ রায়ের দৃষ্টি গোচর হয়।

    অবসরে যাওয়ার পূর্বক্ষনে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাগজপত্র, রেজিস্ট্রার ও মালামালের হিসাব বুঝিয়া দেয়ার কথা বলায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে বিদ্যালয় চলাকালীন তার ছেলে সাগর রায় সহ অফিস কক্ষে এসে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ করেন।

    অনুপ রায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের কাছে ৭১জনের গণ স্বাক্ষর করে লিখিত অভিযোগ সহকারে বিষয়টি উপস্থাপন করে এবং এলাকাবাসি ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের পরামর্শক্রমে অনুপ রায় নেছারাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।

    এছাড়াও প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় অলকা বেপারীর সাথে অশ্লীল কথাবার্তার অডিও সোসাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে যা একজন প্রধান শিক্ষকের কাম্য নয়। এবং নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথেও খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে।

    এ বিষয়ে সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায় বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। ওরা কি জানে একটি বিদ্যালয়ে কতটাকা বরাদ্দ আশে কতটাকা হাতে পাওয়া যায়। তাছাড়া আমি যা বরাদ্দ পেয়েছি তার বিদ্যালয়ের কাজে ব্যায় করেছি। আমার এখন অবসরে যাওয়ার সময় ওরা একটা ঝামেলা সৃষ্টি করে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে।

    এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে।

    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ।।

  • খুলনার পাইকগাছায় সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অ-নুষ্ঠিত

    খুলনার পাইকগাছায় সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অ-নুষ্ঠিত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:।।

    পাইকগাছায় সফল ফর ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (সফল-IWRM) প্রকল্পের উপজেলা সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন।

    সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ফজলে রাব্বী, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাফিন শোয়েব, সলিডারিডাড-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার কৃষিবিদ এস এম ফেরদৌস এবং উত্তরণ-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার পাল।

    সলিডারিডাড প্রোগ্রাম অফিসার সুব্রত রায়ের সঞ্চালনা উপস্থিত ছিলেন উত্তরণের ওয়াটার ক্লাস্টার অফিসার মোঃ আব্দুস সাত্তার, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, সাংবাদিক আবুল হাশেম, এম জালাল উদ্দীন, কপিলমুনী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ আলী, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সানা, পীযুষ মণ্ডল, মোঃ আব্দুল্লাহ সরদার, মোঃ খোরশেদুজ্জামান, ইউপি সচিব মিরাজ আহমেদ, ইউপি সদস্য টিএম হাসানুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।

    সভায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার টেকসই উন্নয়ন, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন, এবং পানি ব্যবহারের সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব ও মতামত উপস্থাপন করা হয়।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা।।

  • পাইকগাছায় কড়ুলিয়া সেতু’র কাজ প্রায় ৬০ ভাগ স-ম্পন্ন

    পাইকগাছায় কড়ুলিয়া সেতু’র কাজ প্রায় ৬০ ভাগ স-ম্পন্ন

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা)।।
    খুলনার পাইকগাছার লস্করে কড়ুলিয়া নদীর উপর ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৪৮.৯ মিঃ দৈর্ঘ্য সেতু’র নির্মান প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।সংঅশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পে’র নির্মান কাজ ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। কোন প্রতিবন্ধকতা না হলে নিদিষ্ট মেয়াদে ২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ হলে সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত শুরু হলে উপকূলীয় অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, সুন্দরবন ঘেষা দু’উপজেলা কয়রা-পাইকগাছা’র সাথে অল্প সময়ে জেলা সদর খুলনায় যোগাযোগের জন্য পাইকগাছার লস্কর ইউপি’র বাইনতলায় কড়ুলিয়া নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান প্রকল্প গ্রহন করা হয়। প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন হয় বিগত ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর। এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মান প্রকল্প-১পাট এর আওতায় ১শ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে-৭৪৮ মিঃ দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন এনডিই কোম্পানী লিঃ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর( এলজিইডি) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্মান প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে এবং সেতুর দু’পারে লস্কর ও খড়িযায় ৩শ মিঃ সংযোগ সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহনের কাজ প্রক্রিয়াধীন।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব জানান, এ সেতুটি’তে ২৪০ পাইলের মধ্যে এরই মধ্যে ২৩২টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরসিসি স্প্যান থাকবে-২৫ টি ও নদীর মাঝখানে থাকবে ৭৫ মিটারের একটি স্টীলের স্প্যান।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনডিই’র প্রকল্প ম্যানেজার মোঃ সাহেব আলী জানান, আমরা সিডিউল মতে নদী শাসনসহ প্রকল্পের এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। কোন প্রতিবন্ধকতা না হলে তিনি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।স্থানীয়রা জানান,কড়ুলিয়া নদীর উপর ব্রীজটি নির্মিত হলে নদী পারাপারে আর নৌকা থাকবেনা অন্যদিকে ভোগান্তিও দুর হবে । এতে উপকূলের মানুষের অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।এলাকার মানুষের আয়ের উৎস্য বিশেষ করে মৎস্য সম্পদ ও কৃষি পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহনে সহজ হবে। জেলা-উপজেলা সদরের অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও যে কোন দুর্যোগকালে নিরাপদে যাতায়াত সহজ হবে। অন্যদিকে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও ভবিষ্যতে সেতু এলাকায় পর্যটন শিল্প প্রকল্পের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • বাবুগঞ্জে মাধবপাশায় পূর্ব রহমতপুর শুরু হচ্ছে শর্টপিচ T-10 ক্রিকেট টুর্নামেন্ট 🏏

    বাবুগঞ্জে মাধবপাশায় পূর্ব রহমতপুর শুরু হচ্ছে শর্টপিচ T-10 ক্রিকেট টুর্নামেন্ট 🏏

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা>>>

    বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের পূর্ব রহমতপুর ৯নং ওয়ার্ডের যুবসমাজের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে জমকালো শর্টপিচ T-10 ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। খেলোয়াড়দের নিবন্ধন ফি ধরা হয়েছে ১০০ টাকা, যা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ নভেম্বর।
    উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ নভেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে পূর্ব রহমতপুর গোডাউন বাবুলের মাঠে।
    বিজয়ীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার ও ট্রফি।
    এই টুর্নামেন্টে মাধবপাশা ইউনিয়নের পূর্ব রহমতপুর ৯নং ওয়ার্ডের খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
    আয়োজনে সহযোগিতা করছে — ৯নং ওয়ার্ড যুব সমাজ, ৯নং ওয়ার্ড গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
    যোগাযোগ: মোঃ শাহজাহান হোসেন বাদশা (মেম্বার ৯নং ওয়ার্ড), ০১৭৩৬-৬৬৬৫৩
    মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (অবঃ সার্জেন্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী), ০১৭১০-১৪৮৬৬৯
    মোঃ জাহিদুল ইসলাম নান্টু (সাবেক ক্রিকেটার ৯নং ওয়ার্ড), ০১৪০৯-০১৭৩১৩

  • পাইকগাছায় নদী থেকে অ-জ্ঞাত পুরুষের ম-রদেহ উদ্ধার

    পাইকগাছায় নদী থেকে অ-জ্ঞাত পুরুষের ম-রদেহ উদ্ধার

    পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি।।

    খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের জিরবুনিয়া গাছুয়া খালের দক্ষিণ মাথায় গেটসংলগ্ন বড় নদী থেকে এক অজ্ঞাতনামা পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে স্থানীয়রা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে পাইকগাছা থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পাইকগাছা থানার নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

    এলাকাবাসীর ধারণা, ঘের সংক্রান্ত কোনো বিরোধের জের ধরে এমন ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে বিষয়টি তদন্ত করছে।

    নৌ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুস সবুর জানান,মৃত্যু ব্যক্তির শরীরের সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ফোনটির সিম খুলে দেখা যায় ‘ভাইয়া’ নামে একটি নাম্বার সেভ করা ছিল। ওই নাম্বারে যোগাযোগ করলে অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, মৃত ব্যক্তি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি ২-৩ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।”

    পুলিশের ধারণা, উদ্ধার হওয়া মরদেহটি নিখোঁজ সেই ব্যক্তির হতে পারে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো প্রস্তুতি চলছে ।

    এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা,খুলনা

  • গোবিপ্রবি’তে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ট্রফি উ-ন্মোচন

    গোবিপ্রবি’তে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ট্রফি উ-ন্মোচন

    কে এম সাইফুর রহমান,
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২:৩০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর তার নিজ অফিস কক্ষে ট্রফি উন্মোচন করেন।
    এ সময় অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চাইতে অংশগ্রহণ করাই বড়ো বিষয়। তারপরও খেলাকে কেন্দ্র করে নানা রকম বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা থাকে। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা সেটি মাথায় রেখে সৃশুঙ্খলভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করবে। তবে খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন হলে বা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

    অনুষ্ঠানে প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীবসহ ৩৩টি দলের খেলোয়াড় প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

    আগামীকাল শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৫ নভেম্বর ২০২৫।

  • গোপালগঞ্জে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ব হাতধোয়া দিবস উদ-যাপন

    গোপালগঞ্জে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ব হাতধোয়া দিবস উদ-যাপন

    কে এম সাইফুর রহমান,
    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    গোপালগঞ্জে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ব হাতধোয়া দিবস -২০২৫ পালিত হয়েছে।

    গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে
    বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জেলা প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি সংক্ষিপ্ত র‍্যালী বের হয়। “হাত ধোয়ার নায়ক হোন” শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বের হওয়া র‍্যালীটি জেলা প্রশাসন ভবনের সামনে সুশাসন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

    এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ “স্বচ্ছতা’য় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়েজ আহমেদ।

    এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) ও গোপালগঞ্জ পৌর প্রশাসক বিশ্বজিৎ কুমার পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুলী বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম তারেক সুলতান, এনডিসি অনিরুদ্ধ দেব রায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রতন কুমার সাহা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন, বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী সিরাজুম মণি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  • গোদাগাড়ীতে  ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ অ-বহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    গোদাগাড়ীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ অ-বহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    রাজশাহী থেকেঃ মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহী গোদাগাড়ীতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ। সভায় উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ, শামসুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা অফিসারগণ আদিবাসী নেতৃবৃন্দ, এনজিও কর্মীরা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।

    সভায় মূল আলোচ্যসূচি ছিল ৯টি জনজাতির জন্য ৯টি আদর্শ গ্রাম প্রতিষ্ঠা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক মেলার আয়োজন এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী ও ব্যবহারিক জিনিসপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, যা জাতির পরিচয় বহন করে।

    উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়, গোদাগাড়ীর ১৪টি জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার উন্নয়ন এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া আদিবাসীদের জন্য সাংস্কৃতিক মেলা ও সংগ্রহশালা স্থাপনের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সংরক্ষণ ও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।
    উপজেলা প্রশাসন এ কার্যক্রমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সহযোগিতা কামনা করেছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন কোন গোষ্ঠীকে পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভাব নয়। ১৪টি জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন অবশ্যই করতে হবে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • ভাতার কার্ড না পেয়ে টাকা ফেরত চাওয়ায় মা-রধরের অ-ভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরু-দ্ধে

    ভাতার কার্ড না পেয়ে টাকা ফেরত চাওয়ায় মা-রধরের অ-ভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরু-দ্ধে

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি :
    স্ত্রীর মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের আশায় দেড় বছর আগে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ৮ হাজার টাকা দিয়েছিলেন এক অটোচালক। দীর্ঘদিনেও কার্ড না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত চাইতেই তিনি মারধরের শিকার হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইউএনও ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের। এ ঘটনায় আহত ভুক্তভোগী মো. রশিদুল কাজী (৩৭) ওই ইউপির চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর সরকারপাড়ার অটোচালক মো. রশিদুল কাজী তাঁর স্ত্রী রাবেয়া বেগমের মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করার জন্য দেড় বছর আগে সয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটকে ৮ হাজার টাকা দেন। তবে দীর্ঘদিনেও ভাতার কার্ড না করায় রশিদুল টাকা ফেরত চাইলে চেয়ারম্যান নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।

    রশিদুল কাজীর অভিযোগ, গত ১৪ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে চেয়ারম্যান টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট, আকবার হোসেন ও সাদেকুল মিলে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে তাঁকে বেদম মারধর করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান রশিদুলের পেটে লাথি মারেন, অন্যরা ঘুষি ও কিলঘুষিতে তাঁর নাক-মুখ ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের কিছু চৌকিদারও মারধরে অংশ নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

    ভুক্তভোগী মো. রশিদুল কাজী বলেন, “আমি একজন অটোচালক। স্ত্রীর জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করতে গেলে ৮ হাজার টাকা নেয় চেয়ারম্যান। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কার্ড করে দেয়নি। টাকা চাইতে যাওয়া আমাকে মারধর করা করেছে। প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। বলেছে-আর যদি টাকা চাইতে যাই, হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করে দেব, এমনকি খুন করে লাশ গুম করে ফেলব।”

    এ বিষয়ে জানতে সয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের মুঠোফোন একাধিকবার ফোন দিল তিনি ফোন রিসিভ করেননি ।

    ইউএনও রুবেল রানা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। চেয়ারম্যানকে শোকজ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা চাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।”

    তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, “ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ডিউটি অফিসারে কাছে এনেছিল। সেটি ইউএনও বরাবর হওয়ায় তাদের সেটি ইউএনওকে দিতে বলা হয়। থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”